ইচ্ছে কথন পর্ব-০২

0
723

#ইচ্ছে_কথন
#writer_falak_moni
#পর্ব_২

রাত ৯টা ছুই ছুই।তরু বিছানার এক পাশে গুটিসুটি মেরে বসে আছে ভেতরে এক রাশ ভয় নিয়ে। এক অজনা ভয় মনের ভেতর তীব্র গতিতে হাতুরি পিটাচ্ছে। এই বুঝি দুমরে মুচরে সব তছনছ করে নিয়ে যাবে। আজ চোখে ঘুমও আসছে না। আসবেই বা কি করে মা তো সব সময় মাথায় হাত বুলিয়ে প্রতিরাতে রাজকুমার রাজরানীর গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতো। মা চলে যাওয়ার পর চোখের পাতা থেকে ঘুমের ঘোরও চলে যায়। কিছুক্ষণ পর প্রিয় রুমে প্রবেশ করে। বিছানার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বেলকনিতে চলে গেল সে। পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ফুকতে লাগলো আকাশের দিকে তাকিয়ে। প্রিয় মানুষকে হারানোর যন্ত্রণাটা হয়তো পৃথিবীতে সেই ব্যক্তিই বুঝে যে কিনা তার প্রিয় মানুষটাকে হারিয়েছে।

সিগারেটের ধোয়া উড়তে লাগে চারিপাশ।একসময় তরু নাকের কাছে ধোয়া যেতেই বেচারি কাশতে লাগে। প্রিয় সিগারেট ফেলে দৌড়ে রুমে যায় গিয়ে দেখতে পায় তরু নাকে হাত দিয়ে কাশতে ব্যস্ত।প্রিয় দৌড়ে একগ্লাস পানি ধরলো তরুর সামনে। তরু তো প্রিয়কে দেখে কাশ এমনেই চলে যাওয়ার অতিক্রম। বেচারি কাপতে কাপতে প্রিয়র হাত থেকে গ্লাসটা নিল তারপর ডগ ডগ করে পুরো পানি গিলে ফেলল। প্রিয় মেয়েটা এমন ভয়ার্ত চেহারা দেখে বলতে লাগলো,,

আচ্ছা তরু তুই আমাকে এত ভয় পাস কেন বল তো?

তরু প্রিয়র দিকে তাকিয়ে মাথায় লম্বা ঘোমটা টেনে আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,

ক ক কই, না তো

প্রিয় এবার হেসে দিল, তবে এই হাসি সেই হাসি নয় এই হাসিতে আছে এক মনকারা প্রতিচ্ছবি যা দুই মিনিটেই কাউকে গায়েল করে দিতে পারবে। তরু এক ধ্যানে প্রিয়র দিকে তাকিয়ে আছে। বুকের ভেতর এক অজানা সাহস পেল। লোকটাকে এবাবে হাসতে কখনো দেখেনি সে। যখনই দেখেছে মুখটাকে বাংলা পাঁচের মতো গোমড়া করে বসে থাকতো। প্রিয় হাসি থামিয়ে বলল,

তুই বুঝি আমাকে ভয় পাস না তাহলে আবার তোতলাচ্ছিস কেন?

তরু এবার এক বড় দীর্ঘ শ্বাস নিলো,তারপর আনমনা হয়ে নিজে নিজেই বলতে লাগলো,

এখন ভয় পেলে চলবেনা তরু। সাহস আনতে হবে নিজের ভেতর। হে সাহস জলদি আসো, এখনই আসো, কুইক বলেই প্রিয়র দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

কোথায় আমি ভয় পাচ্ছি। আপনাকে কেন ভয় পেতে যাব। সোনা আপু তো বলেছে আপনি আমার স্বামী। আপনাকে ভয় পাওয়ার তো কিছুই নেই।

তরুর কথাগুলো শুনে প্রিয়র চোখের পাতা দুটো সাথে সাথেই বন্ধ করে নেয়। তারপর খুব ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলতে থাকে,

দেখ তরু, তুই আমার অনেক ছোট। তকে আমি আমার বোন ভেবেছি সবসময়। এখন হুট করেই তো আর স্ত্রী ভেবে নিতে পারবো না। আর সব চেয়ে বড় কথা হলো আমি তকে কখনো ভালোবাসতে পারবো না।তর এখনো বুঝার অনেক কিছুই বাকি আছে। আমি জানিনা তকে কখনো নিজের স্ত্রীর অধিকার দিতে পারবো কিনা। তবে একটা কথা বলে রাখি কাল আমি চলে যাব। বাবা হয়তো অলরেডি টিকিট কেটের ফেলছে। আমি জানি সময়ের সাথে মানুষের অনেক কিছুই বদলায়।সবারই একটা ইচ্ছা থাকে পছন্দ থাকে। হয়তো তর জীবনেও সে রকম দিন আসবে। তুইও বড় হবি তর ভেতরেও ভালো লাগা আবেগ এগুলো প্রবেশ করবে। এমনটাও হতে পারে যে আমাকে বিয়ে করেছিস। এক সময় মনে হবে আমি তর অনেক বড়, বয়সে বড়, সব দিক থেকে আমাকে তর পাশে মানায় না। তখন কিন্তু আমার আশায় নিজের জীবন থামিয়ে রাখিস না। তর মন যা বলবে তুই তাই করিস। তুই এখন অনেক ছোট এক সময় বড় হবি। তখন আমার কথাগুলো বুঝবি।

তরু প্রিয়র কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে ভাবতে থাকে। তারপর ঠোঁট দুটো উল্টে প্রিয়কে প্রশ্ন করে,

আচ্ছা প্রিয় ভাইয়া মানুষ জীবনে কয় বার বিয়ে করে?

এটুকু একটা মেয়ের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে প্রিয় থতমত খেয়ে যায়।কখনো ভাবেনি তরু তাকে এমন একটা প্রশ্নের সামনে সম্মুখীন করাবে। তবুও প্রিয় তরুর ভেতর কি প্রসঙ্গের ঝড় বয়ে যাচ্ছে সেটা জানার জন্য প্রশ্ন করলো,

কেন, হঠাৎ এ প্রশ্ন?

আসলে ভাইয়া জানো তো মা সব সময় আমাকে বেহুলা লক্ষীনধরের গল্পটা বলতো। তুমি হয়তো সে বিষয়ে জানো। আমি জানি ভাইয়া আমি খুব ছোট। বিয়ে কি স্বামী কি এসব জানি না। তবে মা বলতো স্বামী স্ত্রী একজন নাকি আরেক জনের হাইড্রোজেন +অক্সিজেন। হাইড্রোজেন যেমন অক্সিজেন ছাড়া চলতে পারেনা তেমনই অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন ছাড়া চলতে পারে না। এতটুকু আমি বুঝি ভাইয়া। জানো তো ভাইয়া তোমাকে আমি যেমন ভয় করি ঠিক তেমন শ্রদ্ধাও করি। মা আরেকটা কথা সব সময় আমাকে বলতো, সেটা হচ্ছে মেয়েদের বিয়ে নাকি একবারই হয়। সেখানে তুমি ঠিক কি বুঝাতে চাইছো আমি জানিনা। হয়তো তোমার কথাগুলোর অর্থ এক সময় বুঝব। কিন্তু আমার চিন্তা মস্তিষ্ক সব একই থেকে যাবে। তুমি সেটা সময়ের সাথেই মিলিয়ে নিও।

তরুর মুখের প্রত্যেকটা বাক্য প্রিয়র বুকে তীরের মতো করে আঘাত বাধলো। এক বিষাক্ত আঘাত যেই আঘাতে মানুষের হৃদয় পুড়ে যায়।কিন্তু দেহ পুড়ায় না। ক্লাস অষ্টম শ্রেনিতে পড়া একটা মেয়ের মুখে এত সুন্দর করে স্বামীর সংজ্ঞা অনুসারেই নির্ণয় করতে পারবে সেটা প্রিয়র জানা ছিল না । সত্যিই তো মেয়েটার চোখে মুখে এখন কোনো ভয়ের আভা খুজে পাচ্ছে না। এক অন্যরকম লাগছে মেয়েটাকে। এক হিংস্রতা প্রকাশের আভাস মিলছে তার চেহারার মধ্যে। কিন্তু নাতাশা তার কি হবে?

এসব ভেবেই প্রিয় তরুর দিকে এগিয়ে যায়।আসলে মেয়েটা কি বুঝাতে চাইছে তাকে সেটাই বুঝতে পারছেনা সে। এতটুকু একটা মেয়ে আর বুঝাবেই বা কি এসব ভাবতে ভাবতে তরুর মাথায় তার ডান হাতটা ছোয়ালো। ছোয়াতেই তরু চোখ বন্ধ করে ফেলল।কথাগুলো কি খুব বেশিই বলে ফেলল যার কারনে এখন প্রিয় ভাইয়ের হাতের মাইর খেতে হবে। তরু একটা চোখ বন্ধ রেখে আরেকটা চোখ মেলে তাকালো প্রিয় কি করে সেটা দেখার জন্য। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল প্রিয় তার সামনে নেই। ওমা গেল কোথায় এসব ভাবতে ভাবতে তরু খাট থেকে নেমে বেলকনির দিকে যায়।সেখানে গিয়ে দেখতে পায় প্রিয় আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সিগারেট ফুকছে।তরু আর দাড়ালো না বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো চোখ দুটো বন্ধ করে। প্রিয় কিছুক্ষণ পর রুমে ডুকে তরুর সামনে দাড়িয়ে তরুকে নিক্ষেপ করলো। মেয়েটা কি সজাগ নাকি ঘুমিয়ে আছে। তারপর যখন দেখলো তরু চোখ বন্ধ করে বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে তখন ভাবলো ঘুমিয়ে পড়েছে৷ তাই প্রিয় দাড়িয়ে দাড়িয়ে বলতে লাগলো

আমি জানি তরু, সেদিন যদি রহিমা খালা আমাকে তার নিজের দুটো কিডনি না দিত তাহলে হয়তো আমি এখন আর এই জায়গায় দাড়িয়ে থাকতাম না। কি করব বল,তকে বিয়ে করা ছাড়া আমার কোনো উপায়ও ছিল না। তকে যদি মেয়ে হিসাবে আমাদের বাড়িতে রাখতে যেতাম তাহলে সমাজ তরই বদনাম করতো । এ সমাজ যে বড় নিষ্ঠুরতা রে যেটা তুই এখন বুঝবি না। আমি যেমন তকে কখনো ভালবাসতে পারব না। তেমন কখনো তর চেহারাও দেখব না কথা দিলাম। যদি কোনোদিন তর ফেইসের মুখোমুখি হতে হয়।তাহলে সেদিনই যেন আমার মরন হয়। তকে আমি মুক্ত করে দিয়ে গেলাম। হয়তো তর সাথে আর কোনো দিন আমার কথা কিংবা যোগাযোগও হবে না। ভালো থাকিস।

কথাগুলো বলে প্রিয় সোফাতে শুয়ে পড়ে। এক অজানা নিরাশ তাকে ঘিরে ফেলছে।কিভাবে পারবে এই নিরাশাজনক আপদটার থেকে বের হতে। জীবনটাকে আজ তুচ্ছ বলে মনে হচ্ছে। সব চেয়ে বেশি যেটা নিরাশ করছে সেটা হলো নাতাশা। কিভাবে পারবে এই মেয়েটাকে ভুলে থাকতে। এ মেয়েটা যে রক্তের শিরায় শিরায় প্রতিটি মুহূর্ত মিশে আছে তার ভেতরে। পারবে কি তাকে ছাড়া বাকিটা জীবন কাটাতে। এসব ভাবতে ভাবতে প্রিয় সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালবেলা তরু ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রিয় রুমে নেই।তাড়াতাড়ি করে দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকায় ঘড়ির দিকে তাকাতেই টিকটিকি এলার্ম দিচ্ছে। তার মানে সাতটা বাজে। এত সকালে প্রিয় ভাইয়া গেল কই।এসব ভেবে তরু নিচে নামলো নিচে নেমে দেখতে পেল আফজাল চৌধুরি, কল্প,নাতাশা নিচে বসে বসে ব্রেকফাস্ট করছে। তরু নাতাশার দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল নাতাশার চোখ মুখ ফুলে একাকার হয়ে আছে। তাই তরু বলতে লাগলো,

সোনা আপু তোমার মুখ এমন লাল হয়ে আছে কেন?কান্না করছো নাকি।

তরুর দিকে তাকিয়ে নাতাশা একটা ফিক করে হাসি দিলো তারপর বলল এলার্জি থেকে এটা বলেই নাতাশা দৌড়ে রুমে চলে গেল।রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে খাটের উপর শুয়ে বালিশ দিয়ে মুখ ঢেকে চাপা কান্না করতে লাগলো।যে কান্নার শব্দ দেয়ালেই আবদ্ধ। ভালোবাসার মানুষটাকে হারানোর যন্ত্রনাটা বুঝি এমন হয়।সেটা আগে জানা ছিলো না। নাতাশা খাবার টেবিল ছেড়ে ওঠে যাওয়ার সাথে সাথে কল্পও নাতাশার পিছু পিছু আসলো। কল্প নাতাশার দরজার সামনেই দাড়িয়ে রইলো।কল্প বুঝতে পারছে নাতাশা এখন তার কান্না নিয়ে ব্যস্ত কাদবেই না বা কেন। আজ যে প্রিয় তাকে অনেক কথা বলেছে যেগুলো শুনলে নিমিষেই চোখের পানি অতিক্রম করবে।

ফ্লাসব্যাক,,

ভোর ৫টা নাতাশা ফজরের নামায পড়ে। একটা হাদিসের বই হাতে নিলো। হাতে নিতেই চোখে পাতা দুটো জিম জিম হয়ে আসছে ভার হয়ে। মনে হচ্ছে চোখে অনেক রাজ্যের ঘুম। থাকবেই না বা কেন আজ সারাটা রাত মেয়েটা চোখের পাতা দুটো এক করেনি। নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে অন্য মেয়ের সাথে এক রুমে আবদ্ধ করে কিভাবে ঘুমাবে সে। সারা রাত পায়চারি করতে করতে ভোর হলো। হাদিসের বইটা টেবিলের উপর রাখতে যাবে তখনই প্রিয় দরজায় কড়া নাড়তে লাগলো।

প্রিয়কে দেখে নাতাশার চোখের পানি উধাও হয়ে গেল। নাতাশা প্রিয়র দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। ছেলেটাকে আজ কেমন যেন শুকনো দেখাচ্ছে।মুখটা কেমন যেন হলুন বর্ন ধারন হয়ে আছে হয়তো সেও সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছে তার মতো করে। প্রিয় নাতাশার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,

আসবো,

নাতাশা মাথা নাড়ালো।প্রিয় নাতাশার বিছানার উপর বসে বলতে লাগলো ,,

আই এম সরি নাতাশা। পারলে ক্ষমা করে দিও।তোমাকে আর আমার করে পাওয়া হলো না। অনেক কথা দিয়েছিলাম তোমাকে। সেগুলোও রাখতে পারলাম না। ক্ষমা করে দিও আমাকে।

কথাগুলো বলে প্রিয় আড়ালে চোখ মুছলো।যেটা নাতাশার চোখ এড়ালো না। নাতাশা দেখেও না দেখার ভান করে অন্যদিকে ফিরে তাকালো।কি করবে সে তার হাতে যে কিছুই করার নেই।বিধাতা হয়তো এমনটাই চেয়েছে। প্রিয় চোখ মুছে ঠোঁটে শুকনো হাসির রেখা টেনে বলতে লাগলো,

আমি কিন্তু তোমাকে ঠকিয়েছি। তাই আমাকে যা শাস্তি দেওয়ার দিয়ে দাও।পরে কিন্তু আর পাবে না।

নাতাশা হঠাৎ করে প্রিয়কে জরিয়ে ধরলো।হয়তো এটাই তাদের শেষ জরিয়ে ধরা। প্রিয়ও নাতাশাকে জরিয়ে ধরলো শক্ত করে। যেন ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে। এক গভীরতার উর্পবাসের স্রোতে বয়ে যাচ্ছে দুটি হৃদয়।যেখানে দুটি মানুষের ভালোবাসার সমাপ্তির অবসান ঘটবে এক অজানার শূন্যতায়।

প্রিয় নাতাশাকে সামনের দিকে ফিরিয়ে কপালে একটা ভালোবাসার স্পর্শ ছুয়ে দিল।নাতাশার চোখের পাতা দুটো বন্ধ করে সেই স্পর্শটাকে উপভোগ করতে ব্যস্ত হয়তো এই স্পর্শটা আর কখনো ফিরে পাবে না। নাতাশা প্রিয়কে আবার জরিয়ে ধরলো। প্রিয়র কাধে নিজের থুৎনি রেখে বলতে লাগলো,

প্রিয় আমার একটা কথা রাখবে, আই প্রমিস এটাই তোমার কাছে আমার শেষ চাওয়া।

হুম বলো,

প্রিয় আমি তরুকে নিজের ছোট বোনের চোখে দেখি। তুমি তো জানো তরু আমার কতটা প্রিয়।তার মূল কারন হলো রহিমা খালা ওনি ওনার জীবন দিয়ে তোমার জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে। আজ ওনার জন্য তুমি এখানে দাড়িয়ে আছ। তোমার জীবন মানে আমার জীবন। আমি তোমাকে না পেয়েছি তাতে কি হয়েছে। ভালোবাসলে যে পেতে হবে এমনটা তো নয়। তাই আমি তোমাকে বলছি এটা আমার ওয়াদা যদি কখনো আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে তুমি ঠিক ৫বছর পর দেশে ফিরে আসবে। তরুকে নতুন একটা জীবন দিবে। এর মধ্যে আমি তরুকে আমার মতো করে গড়ে তুলবো। তরুর ভেতরই তুমি আমার প্রতিচ্ছবি পাবে।

নাতাশার কথা শুনে প্রিয় শুধু একটা কথাই বলল,,

নাতাশা জানিনা তোমার কথা রাখতে পারবো কিনা। তবে একটা কথা কি জানো, যেদিন তরুর আর আমার বিয়ে হয় সেদিন আমার ভেতরের অনুভূতিগুলোকে আমি কবর দিয়ে ফেলেছি। যা এখন বের করে আনার সাধ্য আমার ভেতর নেই।

কথাগুলো বলেই প্রিয় রুম থেকে চলে যায়।পেছন ফিরিয়েও আর তাকায় নি।

৫বছর পর,,

#চলবে