এই শহর আমার পর্ব-১৮ এবং শেষ পর্ব

0
7262

#এই_শহর_আমার
#last_part
#Suraiya_Aayat

“আপনি কোথায় বলুন তো ? এখনো আসছেননা কেন? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি আপনার জন্য আর আপনি বেপাত্তা , শুভ্রতাও চলে এসেছে, আপনার ফ্রেন্ড কি আপনাকে একবারো ফোন করে তাড়া দেইনি বিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য !কেমন ফ্রেন্ড আপনার ! নাকি নিজের বিয়ে বলে আনন্দে মাথার ঠিক নেই কোনটা?😒”
বিরক্ত হয়েই কথাগুলো বলল মুগ্ধতা ৷ বিরক্ত হওয়ার ই কথা ৷ যেখানে স্পর্শর বিয়ে বাড়ি পৌছানোর সময় 7টার সময় আর এখন 8টা 15 বাজে ৷ মুগ্ধতা আর শুভ্রতা ঠিক করেছিলো কন্যাপক্ষ হবে , তাই আগে আগেই নীতুর বাসায় চলে গেছে, নীতুর সাথে যথাসম্ভব ভালো ভাবেই কথা বলার চেষ্টা করছে ৷ স্পর্শর একটু এমারজেন্সি অপারেশন পড়ে গিয়েছিলো বলে হসপিটাল চলে গিয়েছিলো ৷ আর বলেছিলো যে 7টার সময় পৌছে যাবে ৷

স্পর্শ একটু হাফ ছেড়ে বলল
” হয়েছে আমার পেয়ারি পিংকিশ নাগিন ! আমি আসছি , আমি অলরেডি হসপিটাল থেকে রওনা দিয়েছি ৷ আর কিছুখন লাগবে ৷”

মুগ্ধতা ভ্রু কুচকে বলল
” শুনুন বেশি সেজে রাজপুত্রের মতো হয়ে আসলে খবর আছে ৷ হয়তো এমন হলো নীতু কুন্টি বিয়ের আসরে আপনার ওপর ফিদা হয়ে বিয়ে করতেই না করে দিলো আর সবার সামনে বলল যে আপনাকে বিয়ে করবে,তখন কিন্তু আমি ওর চুলের মুঠি ধরে টাকলু বানিয়ে দেব বলে দিলাম ৷”

স্পর্শ হসতে হাসতে বলল
” আমাকে দেখলে তুমিই ঘায়েল হয়ে যাবে তাহলে নীতুর না জানি কি হবে ৷”

মুগ্ধতা রেগে বলল
” স্পর্শ ৷ ”

আরো বেশি কিছু বলতে গেলেই স্পর্শ বলে উঠলো
” আচ্ছা পিংকিশ নাগিন এখন আপাতত ঝগড়া করতে পারছি না, ড্রাইভ করছি তো, আগে পৌছাই তার পর না হয় ঝগড়া করবো কেমন ৷”

” হমম ৷”

স্পর্শ ফোনটা রেখে দিলো ৷ ফোনটা কেটে দিয়ে ভারী লেহেঙ্গাটা সামান্য উঁচু করে ধরে মুগ্ধতা শুভ্রতার কাছে গেল, শুভ্রতা নীতুর সাথে গল্প করছে যা মুগ্ধতার সহ্য হচ্ছে না তাই আর তড়াতড়ি করে শুভ্রতার কাছে গেল ৷

নীতু মুগ্ধতাকে দেখে বলে উঠলো
” এই তো মুগ্ধতা তোমার কথাই বলছিলাম, কোথায় ছিলে এতক্ষন ! আর স্পর্শ ভাইয়াকে তো দেখছিনা ৷”

মুগ্ধতা সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বলল
” স্পর্শ ভাইয়ার খোঁজ নিচ্ছ যে তার সাথে তোমার কি? বিয়ের আসরে আমার জামাইকে নিজের জামাই বলে দাবী করবা না তো আবার!”

নীতু ওর এমন কথায় ঘাবড়ে গেল,বেশ থতমত খেয়ে বলল
“কী বলছ এসব ৷”

শুভ্রতা মুগ্ধতার হাতে বাড়ি দিয়ে বলল
“আহহ , মুগ্ধ কি বলছিস কি ! ”

মুগ্ধতা শুভ্রতার দিকে কটমট চোখে তাকালো ৷ নীতুর দিকে মিথ্যা হাসি দিয়ে বলল
” আরে আমি তো এমনি বলছিলাম, তুমিও দেখছি মজা বোঝনা একদম, বোকা মেয়ে, বাট নীতুকুনটি থুক্কু নীতুপরী তোমাকে কিন্তু আজকে খুব. সুন্দর লাগছে, আমার জামাই বাদে সবাই চোখই ফেরাতে পারবে না 😊 ৷”

আজ ওর বিয়ের দিন আর আজো মুগ্ধতা নীতুকে স্পর্শর সাথে টেনে আনছে, একটু খারাপ ও লাগছে, ও হয়তো স্পর্শর ওপর ক্রাশ খেত , কিন্তু ক্রাশকে জীবনসঙ্গী ভাবা নেহাতই বোকামো সেটা নীতু বোঝে কিন্ত মুগ্ধতা এখনো বোঝেনা, হয়তো নামেই মুগ্ধতা সকলের সামনে ম্যাচিওর কিন্তু ওর স্বভাব আর আচার আচরনগুলো আগের মতোই আছে ৷ ও কি তাহলে কখনো চেন্জ হবে না ?

নীতু আর বেশি কথা বাড়ালোনা,ওর কাজিনের সাথে কথা বাত্রা শুরু করে দিলো ৷ মুগ্ধতা শুভ্রতার হাত ধরে টেনে আনলো একসাইডে এনে বলল
” তোর মাঝে আমি নীতু কুট্নির ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছি, তুই ও কি ওর মতো হয়ে গেলি, আমাকে ভুলে গেলি ?”

শুভ্রতা মুগ্ধতার মাথায় টোকা মেরে বলল
” পাগল হলি তুই ! আর কিসব যা তা বলছিস ৷ আর নীতু আতিফ ভাইয়ার কথা বলছিলেন এর থেকে বেশি কিছুই না ৷”

আতিফের নাম শুনে মুগ্ধতা মুখ বাকিয়ে বলল
” হাহ ! জানা আছে ওনাকে , নীতু কুটনির ঠিক মানুষের সাথেই বিয়ে হচ্ছে যেমন ও তেমন ওর জামাই , দুটোই কালি নাগিন ৷ লুকিয়ে ওয়াড্রবের চাবিটা খুজে কার্ডট না দেখলে তো এই বিয়েতে এসে টাস্কি খেতাম ৷ তাও ভালো আগে থেকেই ঝোক সামলে এসেছি ৷ বিয়ের পর দুই কুটনি গলা জড়ায়ে ঘুরবে ৷😏”

শুভ্রতা ওকে উপেক্ষা করে বলল
” আরে বাদ দে তো , ওই দেখ বর এসেছে ৷ চল গিয়ে দেখি ৷”
কথাটা বলে মুগ্ধতার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো ৷
মুগ্ধতা বলল
” কই আমার জামাইটাতো এখনো এলো না 😞৷”

💔

“কি হয়েছে চলে এলে কেন?”

” বাসায় যাবো আমি ৷”

” এখন বাসায় গায়ে কি করবা ?”

” বাসায় মানুষ কি করে ? ঘুমাই ,আমি ঘুমাবো ৷”

স্পর্শ হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল
“মাত্র কিছুখন আগে ওদের বিয়ে শেষ হলো আর তুমি এখন বলছো বাসায় যাবে ! কি হয়ছে কি তোমার বলোতো মুগ্ধ ৷”

মুগ্ধতা রাগী চোখে তাকিয়ে বলল
” আপনি কি গাড়ি স্টার্ট দেবেন নাকি আমি গাড়ি থেকে নেমে যাবো কোনটা ?”

স্পর্শ আর কোন কথা না বাড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো ৷ সবকিছুই তো ঠিকঠাক ছিলো কিন্তু হঠাৎ যখন নীতুর একটা কাজিন স্পর্শর সাথে কথা বলতে এলো তখনই মুগ্ধতা রাগ করে বেরিয়ে গেল ৷

স্পর্শ ড্রাইভ করছে আর মুগ্ধতা একমনে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে ৷ প্রায় 30 মিনিট পর স্পর্শ গাড়ি থামালো ৷ মুগ্ধতা বাইরের দিকে চেয়ে দেখলো খুব সুন্দর একটা পরিবেশ,চারিদিকে আলোয় পরিপূর্ণ এটা জায়গা, ব্রিজের ওপর কতো দম্পতি দাড়িয়ে আছে আবার কেউ কেউ হাত ধরে কতো কথা বলছে ৷রাতের হাতিরঝিল যে এতো সুন্দর হয় সেটা হয়তো মুগ্ধতা আজ নিজের চোখে না দেখলে জানতেই পারতো না ৷ মুগ্ধতা গাড়ি থেকে নামলো, স্পর্শর দিকে খানিকটা মুগ্ধ নয়নে তাকালো,মনটা ভালো হয়ে গেছে ওর ৷ স্পর্শ মুচকি হেসে ওর হাত ধরে এগোতে লাগলো ৷ স্পর্শর অনেক ইচ্ছা ছিলো যে মুগ্ধতাকে রাতের হাতিরঝিল দেখাবে দুজন পাড়ে বসে হাত হাত রেখে গল্প করবে, মুগ্ধ নয়নে একে অপরের মাঝে হারিয়ে যাবে ৷
মুগ্ধতা ব্রিজের কাছে দাঁড়ালো ৷ শনশন করে হাওয়া বইছে, তরতাজা অনুভূতি একদম ৷ পাশে দাড়িয়ে আছে স্পর্শ ৷ দুজনের এই নিরবতা ভেঙে মুগ্ধতা বলে উঠলো
” আমার মন খারপের কারন গুলো আপনার কাছে এতো স্পষ্ট কীভাবে বলবেন?আমি তো আজ আপনাকে বলিনি যে আমার কি হয়েছে ৷”

স্পর্শ মুচকি হেসে বলল
” আমি মনে করি মন খারাপ হতে কোন কারন লাগে না ৷ মন খারাপটা সাময়িক , কারন ছাড়াও হয় ৷ যদিওবা তোমার মন খারাপের কারন আছে ৷ আমকে অন্য কারোর সাথে দেখলে তুমি একদম সহ্য করতে পারো না,যেটা তোমার আমার প্রতি ভালোবাসাটাকেই ব্যাক্ত করে ৷ আমি বুঝি আর এটাই হয়তো ভালোবাসা ৷’

মুগ্ধতা নদীর দিকে তাকিয়ে বলল
” এই প্রকৃতিটাও কতো উদার তাইনা ! কারোর মন খারাপ সহ্য করতে পারে না, ঠিক কোন না কোন ভাবেই মনটা ভালো করে দেই ৷ ভালোবাসি আপনাকে,অনুভব করি প্রতিটা মূহুর্তে নিজের সাথে তাই হয়তো অন্য কারোর সাথে আপনাকে মানতে বড্ড কষ্ট হয় ৷ ভালোবাসি আর ভালবাসবো, আর ভুলেও আপনি অন্য কাউকে ভালোবাসার কথা ভাবলে আপনার খবর আছে ৷”

স্পর্শ একটু শব্দ করেই হাসলো তারপর বললো
“আমার উত্তর জানবে না যে আমি ভালোবাসি কি?”

” নাহ জানতে চাইবো না , কারন ভালোবাসি শব্দটা মুখে উচ্চারন করে বললেই যদি ভালোবাসা যেত তাহলে আজ পূর্ণতা পেত হাজার হাজার ভালোবাসা , কিন্তু তারা তো পাইনি ৷ আর তাছাড়া আপনিই না বলেন যে ভালোবাসি শব্দটা বারবার বললে দ্বিতীয় বার তা শোনার জন্য আগের মতো ওত আগ্রহ কাজ করে না ৷তাই আমার যেদিন ইচ্ছে হবে সেদিন শুনবো তার আগে নয় ৷ ”

স্পর্শ মুগ্ধতার নাকটা টেনে দিয়ে বলল
” পিংকিশ নাগিন ও দেখি অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে , মুগ্ধ তুমি কি বড়ো হয়ে যাচ্ছো ? ম্যাচিওরিটি ৷”

মুগ্ধতা স্পর্শর দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো
” বাসায় চলুন ৷”

” হমম ৷”

😘

বাসায় ঢুকতেই মুগ্ধতা দেখলো চারিদিকে অন্ধকার , অন্ধকার দেখে স্পর্শর পাজ্ঞাবীটা খামচি মেরে ধরলো মুগ্ধতা, অন্ধকারে ও খুব ভয় পাই ৷
স্পর্শ মুগ্ধতার হাতটা ধরলো ৷হঠাৎ করে আলো জ্বলে উঠতেই মুগ্ধতা চোখ বন্ধ করে নিলো ৷ তাকিয়ে দেখলো বাসার সবাই উপস্থিত সেখানে, এমনকি এর বাবা মা সহ সবাই ৷ মুগ্ধতা বুঝতে পারলো না হঠাৎ সকলের একত্রিত হওয়ার কারন ৷ মুগ্ধতা পারি পাশে তাকিয়ে দেখলো বেশ বেলুন আর ফুল দিয়ে ভালোই ডেকোরেট করা ৷ অবাক হয়ে স্পর্শর দিকে তাকিয়ে বলল
” এসব কি?”

স্পর্শ ওর হাত ধরে সামনের দিকে নিয়ে গিয়ে বলল
” এনগেজমেন্ট ৷ আজকে তোমার আর আমার এনগেজমেন্ট আবার বিয়ে করবো আমরা ৷ তুমি না বলেছিলে আমাদের কেন বিয়ে হবে না আবার ? এবার সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করবো ৷ সবাই জানবে তুমি আহানাফ মুগ্ধতা ৷”

মুগ্ধতা খুশিতে ডগমগ ৷

ও আর স্পর্শ সবাইকে গিয়ে সালাম করলো ৷ সবার চোখে মুখে খুশির ছড়াছড়ি ৷

স্পর্শ একটা রিঙ বার করে মুগ্ধতার হাতে পরিয়ে দিলো৷
মুগ্ধতা কাচুমাচু মুখ করে বলল
” কিন্ত আমি তো কোন রিঙ কিনিনি আপনার জন্য তাহলে কি হবে?”

স্পর্শ মুগ্ধতার গালে হাত বুলিয়ে ওর পকেট থেকে আর একটা রিঙ বার করে মুগ্ধতার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল
“নাও পরিয়ে দাও ৷”

মুগ্ধতা খুশি হলো খুব , খুশি হয়ে স্পর্শকে রিঙটা পরালো ৷আবার ও আর স্পর্শ এক হবে ৷ সবাই জানবে যে ওরা স্বামী স্ত্রী ৷

😘

মুগ্ধতার চোখটা একটা কাপড় দিয়ে বেধে স্পর্শ ওর রুমে ঢুকলো ৷মুগ্ধতা তো ছটফট করছে যে রুমে কি এমন সারপ্রাইজ আছে যার জন্য ওকে এভাবে চোখ বেধে এনেছে ৷
স্পর্শ মুগ্ধতাকে নিয়ে গিয়ে বিছানায় বসালো ৷ মুগ্ধতার চোখ খুলে দিতেই মুগ্ধতা চারিপাশে তাকালো ৷ কোন কিছুই নতুনত্ব দেখলো না,আগের মতোই তো সব ৷
স্পর্শকে উদ্দেশ্য করে বলল
” এত ঘটা করে চোখ বেধে রূমে আনলেন যে , কই কিছুই তো দেখছি না স্পেশাল ৷😒”

স্পর্শ মুগ্ধতাকে ওর বিছানার চাদরের দিকে তাকাতে বললো, মুগ্ধতা বিছানার চাদরের দিকে তাকিয়েই “আআআআআআ” করে চেঁচিয়ে উঠলো, বিছানা থেকে এক লাফ মেরে স্পর্শকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো ৷ স্পর্শ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্হা ৷ মুগ্ধতা স্পর্শকে রাগী গলায় বলল
” রাত বিরেতে এসব ফাজলামি করার মানে কি বলবেন?”

স্পর্শ হাসতে হাসতে বলল
” ফাজলামি কোথায় , তুমি যেমনটা চাও তেমনটাই তো করেতি ৷ নাগিন বেডশিট দিয়েছি, কেন তোমার পছন্দ হয়নি ৷ ” কথাটা বলে আবার হাসতে লাগলো ৷
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল
” তাই বলে কনো কাউকে নাগিন বেড কভার পাততে দেখেছেন?”

স্পর্শ মুগ্ধতার হাত ধরে বিছানার কাছে নিয়ে যেতে গেলেই মুগ্ধতা হাত ছাড়িয়ে দু কদম পিছিয়ে গেল ,
” ওটা এখান থেকে সরান আমার ভয় করছে ৷ ”

” নাগিন ও নাগিনকে ভয় পাই ! বাহ শুনে ভালো লাগলো ৷”

স্পর্শ গিয়ে বেডশিটটা চেন্জ করলো ৷
মুগ্ধতা ভয়ে ঘরে ঢোকেনি , ব্যালকনিতে দাড়িয়ে আছে ৷
স্পর্শ রুম থেকে বলল
” মুগ্ধ ঘরে এসো, একটা সারপ্রাইজ আছে ৷”

সারপ্রাইজের নাম শুনে মুগ্ধতা বলল
” লাগবে না আপনার সারপ্রাইজ , আপনারা এমন সারপ্রাইজ দেখে আমার কলিজা কেঁপে গেছে , এমন সারপ্রাইজ আমার কখনো চাই না ৷”

” তাড়াতাড়ি আসো নাহলে পনিশমেন্ট পাবে বলে দিলাম ৷”

মুগ্ধতা ভয়ে ভয়ে রুমে ঢুকলো ৷
স্পর্শ ওকে ওর পাশে বসতে ঈশারা করলো, মুগ্ধতা অনেক ভয়ে ভয়ে ওর পাশে বসলো ৷
” ক্লোজ ইউর আইস ৷”

” নাহ আমি আর চোখ বন্ধ করছি না ৷”

” ওকে তাহলে চোখ খোলাই রাখো আর সারপ্রাইজটা কেমন হেয়ছে বলবে ৷ তারিফ না করলে আমি কিন্তু গিফট ফেরত নিয়ে নেব বলে দিলাম ৷”

” এখনো গিফট ই দেখলাম না তার আগেই ফেরত নেওয়ার ধান্দা😒৷”

স্পর্শ একটা ব্যান্ড এনে মুগ্ধতার মাথায় পরিয়ে দিলো ৷
” মিররে দেখো কেমন লাগছে ৷”

মুগ্ধতা তাড়াতাড়ি করে ছুটে গিয়ে আয়নাতে দেখলো ৷ একটা পিংকিশ নাগিন ব্যান্ড যেটা ও এতোদিন ধরে খুজেছে কিন্তু কোথাও পাইনি ৷ ব্যান্ড পেয়ে মুগ্ধতা একপ্রকার নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে ৷ স্পর্শ বলল
” পছন্দ হয়েছে ? ”

” হহম হমমম খুব ৷ পুরো পিংকিশ😍৷ তবে আপনি এটা কোথায় পেলেন?”

” তোমার জন্য আলাদা করে অর্ডার করে বানাতে হয়েছে , না জানি তারা আমাকে কি পাগলটাই না ভেবেছে ৷”

” সে যাই হো আমি ইমপ্রেস ৷ সেই খুশিতে একটা কবিতা শোনাই প্লিজ ! প্লিজ প্লিজ না করবেন না ৷”

” স্পর্শ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
” হমম শোনাও😞৷”

“হয়েছি পিংকিশ নাগিন,
আপনি পিংকিশ বান্দর
কতো সুন্দরই না আমাদের এই প্রেমবন্ধন
পেয়েছি পিংকিশ নাগিন ব্যান্ড
নাচবো আমি ড্যাডাং ড্যাগ
করবো নৃত্য বাঁশির তালে
আর ঢাকডোল পিটিয়ে জানাবেন সবাইরে
আমার ঘরে আছে নাগিন
কেউ হবেনা তার সতীন
জামাইটা শুধু তার
তাই কেউ হুদাই নজর দেবেন না আর ৷”

” কি ভালো না😍 এই প্রথম কতো সুন্দর ছন্দের হয়েছে, কি যে খুশি লাগছে না ?”

” অনেক সুন্দর হয়েছে, এবার আপতত ভালোবাসি ?”

” নাহ , আমাদের তো আজ সবে এনগেজমেন্ট হলো, এখনো তো বিয়ে হয়নি ৷ তাই হু আর ইউ ভাইয়া ?”

” মুগ্ধ😤 ৷”

” স্পররর্শ ভাইয়া ৷ স্পররররর্শ ভাইয়া ৷ তাধিন ধিন তাধিন ধিন ৷”

#সমাপ্ত,,,,