এক আকাশ অভিমান পর্ব-৯+১০

0
126

#এক_আকাশ_অভিমান
#মার্জিয়া_জাহান_চাঁদনী
#পর্ব : ৯

ভালোবাসা সুন্দর! ভ*য়ং*ক*র রকম সুন্দর!!
যদি দুজন মানুষের চাওয়া এক থাকে। পাওয়ার আখাংকা তীব্র হয়।দুজনের মোনাজাতে দুজনকেই চায়। অন্যদিকে ভালোবাসা জ*ঘ*ন্য যন্ত্রণাদায়ক!
একজন অনুভূতি জমিয়ে রাখে মনে, আর অন্যজন উড়িয়ে দেয় আকাশ পানে।
একজন নদীর তীরে ঘর বাধার সপ্ন বুনে , অন্যজন অট্টালিকায় অন্যত্রে মজে থাকে।
সত্যি ভালোবাসা সুন্দর!!

” আচ্ছা ভাবি, আমরা যাকে মন থেকে চাই তাকে পেয়ে গেলে কি এমন হতো? কি হতো পৃথিবীর সব নিয়ম ভেঙে বিধাতা ভালোবাসার মানুষ গুলোকে মিলিয়ে দিলে?”

রিনির কথায় তপ্ত নিঃশ্বাস ত্যাগ করে তরী। একটু দম নিয়ে বলে

” সবাই যদি ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে যায় তাহলে তো আক্ষেপ টা থাকে না রিনি।ভালোবাসলে যে তাকে নিজের করে পেতে হবে তার তো কোনো মানে নেই।ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যে পায় সে কদর করতে জানে না। আর যে হারায় সে বুঝে না পাওয়ার হাহাকার ঠিক কত টা ভয়ংকর। না পাওয়া প্রিয় মানুষটা কে ভেবে আক্ষেপ করাও যে একটা পাওয়া।
সেই মানুষটার স্মৃতি বয়ে বেড়ানো, তার সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো সারা জীবন মনের গহীনে থেকে যায়। সব থেকে কষ্ট দায়ক হলো পেয়ে হারানোর যন্ত্রণা। এ এক অন্য রকম ব্যাথা। যা না দেয় শান্তিতে বাঁচতে আর না দেয় ভুলে থাকতে। আজ যদি তুমি তাকে পেয়ে যাও তাহলে তোমার কোনো আক্ষেপ থাকবে না। আর না পেলে সারা জীবন আক্ষেপ থাকবে। ভালোবাসার আরেক নাম যে আক্ষেপ ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষ গুলো। হোক না অন্য কারো সাথে। একটা কথা আছে না ? ‘ তুমি অন্য কারো ছন্দে বেধো গান ‘।।”

” পেয়ে হারানো হলেও মানতে পারতাম। কিছু দিনের জন্য হলেও সে আমার সুখের খাতায় লিখা থাকতো।
কিন্তু আমি যে তাকে কত টা চাই সেটা তো তাকে বলতেই পারলাম না। একপ্রাক্কিক ভালোবাসা আমার, না পারলাম তাকে বলতে আর না পারলাম তাকে নিজের করে পেতে, না পারলাম নিজের মন কে বুঝাতে। আবেগের কাছে যে আমি হার মেনে যাচ্ছি। আমার জীবনে যে আক্ষেপ টা অনেক গভীর।”

” বলে দাও তাকে ।”

” সে যে অন্যের আকাশের চাঁদ।”

” ভুল ও তো হতে পারে।”

” সে নিজের মুখে স্বীকার করেছে।”

” চেষ্টা করে দেখতে আরেকটু ।”

” চাই না তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করতে।”

” পারবে এই নরক যন্ত্রণা সহ্য করে বুকে পাথর চাপা দিয়ে বেচেঁ থাকতে?”

” তুমি কি ভাবে পারছো ভাবি?”

” জীবন্ত লাশ হয়ে। ভালো থাকার অভিনয় করে।”

” আমিও না হলে অভিনয় করেই বেচেঁ থাকবো। তবুও কারো সম্পর্ক ভেঙে দীর্ঘশ্বাসের কারণ হবো না।”

তরী কিছু না বলে চুপ করে রইলো। এই কষ্টের যে কোনো সান্তনা হয় না।ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে রিনি। অশ্রু জমা হলো তরীর চোখেও।

দরজার আড়াল থেকে এই দৃশ্য টা লুকিয়ে দেখলো শ্রাবণ। তরী ও রিনির সব কথাই শুনেছে সে। তবে কে সেই ব্যাক্তি যাকে রিনি এত ভালোবাসে?


” আমাকে কেনো ডেকেছেন শামীম ভাই? তাড়াতাড়ি বলেন। দেরি হলে মা বকবে। ”

মাথা নিচু করে কথা গুলো বললো রিনি। দৃষ্টি তার মেঝেতে নিবদ্ধ। ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকানোর বৃথা চেষ্টা করছে। চোখের নিচে কালি জমে গেছে।
রিনি কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে শামীম। একদিনেই মেয়েটার চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে।
মনে মনে হাসলো শামীম।তার মানে প্রেয়সীর মনে আমার জন্য জায়গা আছে। নাহলে এতো অভিমান করার তো কোনো কারণ নেই।অন্য নারীর সাথে দেখে প্রেয়সীর হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।

” আমাকে ভালবাসিস?”

চমকে উঠলো রিনি।শামীম জানলো কি করে বুঝতে পারলো না। ভাবি বলে দেয় নি তো?
না না রিনি স্বীকার করবে না। শুধু শুধু একটা সম্পর্কের মাঝখানে ডুকে সেটা নষ্ট করার মতো পাপ কিছুতেই করবে না। এত টা সার্থপর সে না।প্রয়োজন হলে নিজের ভালোবাসা কে মাটি চাপা দিবে।তবুও কারো সম্পর্ক ভাঙবে না।

” এসব আপনি কি বলছেন শামীম ভাই? আমি কেনো আপনাকে ভালবাসতে যাবো?”

আহত হলো শামীমের হৃদয়।। তার মানে সে ভুল!!
এই অশ্রু , অভিমান সব কিছু অন্যকারণে অন্য কারো জন্য? যাচাই করার জন্য শামীম আবার বললো

” ভেবে চিন্তে বলছিস তো কথা টা?সত্যি আমাকে ভালবাসিস না?”

” পাগল হলেন নাকি শামীম ভাই? আমি আপনাকে সেই নজরে কখনো দেখি নি!”

” আচ্ছা তাই ? তাহলে কিছু প্রশ্নের উত্তর দে।”

” কি প্রশ্ন ?”

“সেদিন আমি কাউকে ভালোবাসি শোনে তোর মুখে আঁধার নেমে এসেছিল কেনো?
কেনো আমার সাথে অন্য কাউকে দেখে অভাবে চলে এসেছিস।
কেনো তোর চোখ মুখের এই অবস্থা?
কার বিরহে তুই ছন্নছাড়া?
তোকে বলতেই হবে।”

” বলে কী লাভ! তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসো না। তোমার মন তো অন্য কারো দখলে। তোমার অনুভূতি অন্য কারো জন্য।”

” তোকে বলেছি সেটা? ”

” সেদিন তো বললে।”

” কি বলে ছিলাম ভালো করে মনে কর।”

” কোনো এক চঞ্চলা পরীকে মন দিয়েছো । ”

” তুই যখন ছোট ছিলি তখন তোকে কি নামে ডাকতাম ?”

” চঞ্চলা পরী..
বলেই চোখ তুলে তাকালো শামীমের দিকে। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো ” আমি?
শামীম চোখের ইশারায় বললো ” হুম!

” তাহলে ওই মেয়েটা কে ছিল? ”

” আমার আর শ্রাবণের কলেজ ফ্রেন্ড। অনেকদিন পর দেখা হয়েছিল। তাই একটু কথা বলেছি। তাছাড়া সে বিবাহিত।”

“তার মানে তুমি আমা…

শেষ করার আগেই শামীমের ফোন বেজে উঠলো। শ্রাবণের নাম্বার দেখে রিনি কে নিরব থাকতে বললো।
কল রিসিভ করে স্পিকারে দিল। শ্রাবণ বললো

” রিনি একটা ছেলে কে ভালোবাসে,, খুঁজ লাগা শামীম কে সেই ছেলে। যার জন্য আমার বোনের চোখের জল ঝরেছে। ওই হা*রা*ম*জা*দা কে সামনে পেলে জান কবজ করে ফেলবো। ও জানে না কার বোন কে কষ্ট দিয়েছে।”

শামীম আর রিনি হতভম্ব হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইল।বুঝার চেষ্টা করলো কি হলো ব্যাপার টা।
কিন্তু বিষয় টা তাদের মাথার ওপর দিয়ে চলে গেল।

#চলবে ইনশা আল্লাহ…!

#এক_আকাশ_অভিমান
#মার্জিয়া_জাহান_চাঁদনী
#পর্ব : ১০

” তরীর আবার বিয়ে দিয়ে আমরা কোনো ভুল করলাম না তো অনিকের বাবা? কাছে রাখতে গিয়ে তরী কে হারিয়ে ফেলবো না তো ?”

অর্ধাঙ্গিনীর এমন প্রশ্ন শুনে অবাক হলেন সিরাজুল সাহেব। বিয়ের জন্যই রাবেয়া বেগমই বেশি আগ্রহী ছিলেন। আজ হটাৎ এই প্রশ্ন শুনে অবাক হবারই কথা।

” হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো রাবেয়া? কিছু হয়েছে?”

দম নিলেন রাবেয়া বেগম। অতঃপর বললেন

” শ্রাবণের একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। তাই তরীকে মেনে নিতে পারছে না। অন্য দিকে তরী ও অনিকের জায়গায় শ্রাবণ কে স্বামী রূপে গ্রহণ করতে পারছে না। শ্রাবণের যে মেয়ের সাথে সম্পর্ক সেই মেয়ে এসেছিলো সেদিন বাড়িতে। তরীরই বান্ধবী সে। যা নয় তা বলে অপমান করেছে ,অশান্তি করেছে। মিথ্যে বলে শ্রাবণের কান ভাঙ্গিয়েছে। সেদিন তরীর গায়ে হাত ও তুলেছে।ওরা রোজ রোজ অশান্তি করে। কাল তাহেরা বলেছে তার ছেলের বউ সে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবে। আমার খুব ভয় হচ্ছে।

” চিন্তা করো না রাবেয়া, একটু সময় দাও সব ঠিক হয়ে যাবে। বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন। সেই বন্ধনে বাঁধা পড়েছে তরী শ্রাবণ। আজ না হোক কাল ওরা ঠিক একে অপরকে মেনে নিবে। যেকোনো সম্পর্কে সময় দিতে হয়।
এক বার শ্রাবণের মনে বিয়ের বন্ধন টা জায়গা করে নিলে ওই মেয়েকেও ভুলে যাবে।ভয় পেয় না রাবেয়া। রমিযুল বলেছে তরী এই বাড়িতেই থাকবে।
মন শক্ত করো, আমরা নিজের ছায়া কেও মাঝে মাঝে ভয় পাই। ছায়ার মধ্যে সামান্য সুচ কেও তলোয়ার মনে হয়। সব ঠিক হয়ে যাবে তরী শ্রাবণ দুজনকেই সময় দিতে হবে।”

” ঘর পুড়া গরু তো, সিধুরে মেঘ দেখলই ভয় পেয়ে যাই।
আল্লাহ যেনো আমাদের শেষ সময়ে এই ভাবে একা না করে দেন।”


মাঝ রাত তখন। তরী বসে আছে সোফায়, হাতে অনিকের ছবি।চাঁদ ঘুমুচ্ছে নিশ্চিন্তে।

” হারিয়ে গেলে আমাদের ছেড়ে?
কি হতো থেকে গেলে?
আমরা একসাথে বাঁচতাম। হাতে হাত রেখে পথ চলতাম। সাথে থাকতো আমাদের রাজকন্যা।
তুমি চলে গেছো তাতে কিছুই থেমে থাকে নি। সকালে সূর্য ওঠে, ঘাসের ওপর ফুল ফোটে, তারারা ঝিকিমিকি করে,সময় ও নিজের মতো করে বয়ে চলেছে।আমার জীবন ও থেমে নেই। এক অজানা স্রোতের মতো
গড়িয়ে চলছে। আমাদের রাজকন্যা ও বড় হচ্ছে।
তুমি থাকলে একটা সম্পর্ক শেষ অব্দি পরিণতি পেতো।
উহু একটা নয় দুইটা সম্পর্ক।
তুমি ছাড়া আমার বসন্ত গুলো রংহীন, সকাল গুলো আলোহীন। বুকের মধ্যে এখন আর প্রশান্তি অনুভব হয় না। সারাক্ষণ একটা চিন চিন ব্যাথা ভেতরটা খুঁড়ে খুঁড়ে খাচ্ছে।”

দরজা খোলার শব্দে ধ্যান ভাঙলো তরীর।
শ্রাবণ রুমে ঢুকে তরী কে বসে থাকতে দেখে অবাক হল।হাতের ঘড়ি খুলতে খুলতে বললো

” তুমি বেডেই ঘুমাতে পারো চাঁদের সাথে, আমি সোফায় ঘুমাবো।”

তরী কিছু না বলে বেডে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়লো। শ্রাবণ সোফায় শুয়ে চোখের ওপর হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে রইলো।কিছু একটা মনে হতেই তরীকে জিজ্ঞেস করলো

” ছেলেটা কে ?”

” কোন ছেলে?”

” যাকে রিনি ভালোবাসে।”

” জানি না আমি।”

তরী মনে মনে অবাক হলো, শ্রাবণ কি করে জানলো?
একবার ভাবলো বলে দিবে সত্যি টা। পরোক্ষণেই মনে হলো এখন সত্যি টা বলে দিলে ঝামেলা হতে পারে। শামীম শ্রাবণের বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে পারে।রিনির জন্য বিপদ হতে পারে । তাই সত্যি টা না বলাই উত্তম।
শ্রাবণ আবার বললো

” সত্যি টা বলো তরী। আমি জানি তুমি সবটা জানো।”

” আপনাকে কে বললো আমি সবটা জানি ?”

” যেই বলুক না কেনো। তুমি বলো কে সেই ছেলে?”

” বললাম তো আমি জানি না কে সে।”

” রাগীও না আমাকে তরী!! তুমি সব জানো। এখন ইচ্ছা করে নাটক করছো।”

” এখানে রাগার কি আছে? আমি জানি না যে সেই ছেলে আপনি নিজেই খুঁজে নেন। আমাকে কেনো মাঝে টানছেন?”

মাথায় আগুন ধরে গেল শ্রাবণের। উঠে গিয়ে তরীকে টেনে তুললো। দুই বাহু ধরে শক্ত করে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলে। ব্যাথায় চোখ মুখ খিচে ফেললো তরী।শ্রাবণের চোখ দিয়ে আগুন ঝরছে। রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।

” আর কত নাটক করবে তুমি? আর কতো মিথ্যে বলবে?
আমার জীবনটা তো বিষে ভরিয়ে দিয়েছো, এখন আমার বোন টা কে উস্কে দিয়েছো। ওর জীবনটাও তছনছ করে শান্তি পাবে তুমি।
বলো কে সেই ছেলে?
আমি চিনি তাকে ?
তোমার জন্য আমার বোন যদি কিছু করে বসে আমি তোমাকে ছাড়বো না তরী।”

গাল চেপে ধরলো তরীর। ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি চলে এসেছে। তবুও শ্রাবণের মন গলাতে পারে নি।
চাঁদের কান্নার আওয়াজে হুস ফিরল শ্রাবণের। তরীর গাল ছেড়ে দিয়ে সোফায় বসলো।তরী ছুটে গিয়ে মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্না থামালো।নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে একটা সময় ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই তরীর মুখোমুখি হলো শ্রাবণ। শ্রাবণ কে দেখেই তরী মুখ ঘুরিয়ে প্রস্থান নিলো।
শ্রাবণের চোখ পড়লো তরীর গালের দিকে।
ফর্সা গালে আঙ্গুলের দাগ এখনো স্পষ্ট। র*ক্ত লাল হয়ে আছে মুখশ্রী।


” কাজটা তুই ঠিক করিস নি শ্রাবণ। তরীর গায়ে হাত তুলে তুই কা*পু*রু*ষে*র পরিচয় দিয়েছিস।”

” তুই আমাকে কা*পু*রু*ষ বললি শামীম?”

” হুম! ঠিকই বলেছি। তরী তোর বিবাহিতা স্ত্রী। তুই মানিস আর না মানিস সত্যি এটাই কলিমা পড়ে তাকে তুই স্ত্রী হিসাবে কবুল করেছিস। স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে নিজেকে সুপুরুষ দাবি করা যায় না। আল্লাহ নারাজ হন।ভুল ত্রুটি হতেই পারে তুই বলে তুই রোজ ওর গায়ে হাত তুলবি সেটা ঠিক না। তোদের বিয়ের এক মাস ও হয় নি। তার মধ্যে তুই প্রায় দিন তরীর গায়ে হাত তুলিস, ম*দ খেয়ে বাড়ি ফিরিস।তোর মধ্যে থেকে কি মনুষ্যত্ব বোধ টাও হারিয়ে গেছে? কি করে ভুলে যাস ওর একটা বাচ্চা মেয়ে আছে।তোর এই উগ্র ব্যাবহার ওই নিষ্পাপ শিশুটার উপর পড়তে পারে। তোর এত টা অধঃপতন হবে ভাবতে পারি নি।”

” সে সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি করে, তর্ক করে। প্রশ্ন করলে সোজা উত্তর দেয় না। স্বামী বলে মিনিমাম সম্মান টুকু করে না। সে ভুলে যায় আমি তার স্বামী। ”

” ওহ তাই নাকি? তুই কখনো স্ত্রী বলে মেনেছিস?
তার প্রাপ্য সম্মান টুকু দিয়েছিস?
স্ত্রীর অধিকার দিয়েছিস?
ভালোলাগা খারাপ লাগা চিন্তা করেছিস?
আচ্ছা সেসব বাদ, পেরেছিস ওই বাচ্চা মেয়েটার বাবা হয়ে উঠতে?
পারিস নি। তাহলে তরী তোকে স্বামীর সম্মান টা দিবে কি করে আশা করিস?
একটা কথা আছে না ?
” নিজের বেলায় ষোলআনা, পরের বেলায় চার আনা”..

শ্রাবণ কিছু না বলে চুপ করে রইলো….

#চলবে ইনশা আল্লাহ…. !