এক কাপ ঠান্ডা কফি পর্ব-০৫

0
181

#এক_কাপ_ঠান্ডা_কফি [পর্ব:-০৫ ]
#সাজু ভাই সিরিজ।

সাজু প্রথমে হাত উপরে তুলে নিল কিন্তু মনে মনে দ্রুত কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু রাতের আঁধার তাই পালানো বা লুকাতে বেশি সমস্যা হবে না। সে হাত উঁচিয়ে চারিদিকে তাকাচ্ছে, সামনে দারোগাসহ বাকি সবাই বাগানবাড়িতে প্রবেশ করে ফেলেছে। চাঁদের হালকা আলোতে সে সামনেই একটা বড় গাছ দেখতে পেলো।

উপায় একটাই, গাছের আড়ালে যেতে হবে। আর তারপরই সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে দারোগা সাহেব কে ডাকতে হবে, নিজের কাছে কোনো পিস্তল নেই নাহলে কিছু একটা করতে পারতো।

” যেভাবে বলছি সেভাবেই করো নাহলে কিন্তু এখানেই লাশ বানিয়ে দেবো। ” বললো সে অদৃশ্য লোকটা।

সাজু আর দেরি না করে এক লাফ দিয়ে গাছের আড়ালে গোড়ায় পড়ে গেল। তারপর একটু গড়িয়ে সে আড়ালে চলে গেল। সাজুর বিশ্বাস ছিল লোকটা গুলি করবে না, কারণ তাহলে যদি গুলির শব্দ শুনে বাগানবাড়ি থেকে সবাই দৌড়ে আসে তবে এদের বিপদ বাড়বে। তবে যদি পিস্তলে সাইলেন্সর লাগানো থাকে তাহলে গুলি করতে ও পারে।
সাজুর ধারণা সত্যি হলো, লোকটা গুলি না করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। সাজু কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে তারপর আস্তে করে মাথা বের করলো। শত্রুরা দলে কতজন সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে, দারোগা সাহেবের নাম্বার থাকলে কল করে ডাকা যেতো৷

পাতার খসখস আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, লোকটা নিশ্চয়ই হাঁটছে। সাজুর ধারণা লোকটা একাই এসেছে কারণ আশেপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সে নিজেও নড়তে পারছে না কারণ তাহলে শব্দ হবে, আর শব্দ হলে লোকটা কি করবে সাজু বুঝতে পারছে না।

এমন সময় একটা ভালো ঘটনা ঘটলো। গ্রামের দুজন ব্যক্তি বড় টর্চ হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে বাগান বাড়ির দিকে আসছে। যেহেতু এটা বাগানের মধ্যে ছোট্ট আলের মতো রাস্তা তাই তাদের টর্চে এবার সবটা দেখা যাচ্ছে। সাজু দেখতে পাচ্ছে সেই লোকটা হাত নামিয়ে পিস্তল লুকিয়ে ফেলেছে। সাজু তখন সেই সুযোগটা নিলো, গাছের আড়াল হতে বেড়িয়ে ঝাপিয়ে পড়ে লোকটার দিকে।

লোকটা কেবলই প্রস্থান করার জন্য পা বাড়াতে শুরু করেছে তখনই এমন আক্রমণে ভড়কে গেল সে। আগত দুই গ্রামের মানুষ ধস্তাধস্তি জাবরদস্তি শুনে টর্চ নিয়ে দৌড়ে এলো। লোকটা ততক্ষণে সাজুকে দুটো আঘাত করে ফেলেছে। লোকগুলো কাছে আসতেই সাজু বললো,

– ভাই সাবধানে একে ধরুন তার সঙ্গে কিন্তু পিস্তল আছে, খুব সাবধানে ধরেন।

অস্ত্রধারী লোকটা এবার নিজের ভুল বুঝতে পারলো, তার উচিৎ ছিল এখানে কিছু না করা কারণ চারিদিকে অনেক মানুষ। তাছাড়া তাকে খুন করার হুকুম ও দেওয়া হয়নি, আগ বাড়িয়ে কিছু করতে গিয়ে নিজে বিপদে পড়ে গেল।
গ্রামের দুজন মিলে লোকটাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিল, সাজু ভাই তার পিস্তল কেড়ে নিলো। তারপর সেভাবেই তাকে সহ রওনা দিল বাগানের মধ্যে।

লাশের পঁচা গন্ধে কাছাকাছি থাকার কোনো পরিবেশ নেই। তবুও নাকমুখ চেপে পুলিশের দল সেখানে উপস্থিত হয়েছে। মাহিশার বাবা কাকা সবাই আছে, এতক্ষণ কেউ কাছ থেকে দেখে নাই পুলিশ আসার পরে সবাই এসেছে। রাতের টর্চের আলোতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা একটা পুরুষ মানুষের লাশ। মাহিশার বাবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন, অন্তত নিজের মেয়ে বেঁচে আছে হয়তো এরকম ধারণা করলেন।

দারোগা সবকিছু শুনে বিস্মিত হয়ে গেল, তিনি টর্চ দিয়ে লোকটার চেহারা ভালো করে দেখলেন। তারপর একটা চড় মেরে বললো,

– চারিদিকে এতো খুনাখুনি আর এতো মানুষের মধ্যে হারামজাদা চলে এসেছে। নিশ্চয়ই কাজি সাহেবের মৃত্যু আর ওই পাত্রী কিডন্যাপের সঙ্গে এই লোক জড়িত। ওই হারমজাদা তোর নাম কি?

– চুপচাপ।

– থানায় নিয়ে বাঁশডলা দিলে সবকিছু সুড়সুড় করে বের হবে। এখন মুখ বন্ধ করে থাক।

লাশ পোস্টমর্টেম আর অপরাধী লোকটাকে থানায় নেবাে হুকুম দিয়ে সাজুকে নিয়ে বেরিয়ে গেল দারোগা সাহেব।

|
|

মাহিশাদের বাড়ির উঠনে বসে আছে সাজু ভাই ও দারোগা সাহেব। আশেপাশে আরও মানুষ আছে তবে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মাহিশার বাবা।

– সাজু বললো, আপনি কি জানতেন আপনার মেয়ে কাউকে পছন্দ করে কি না। বা তার এই বিয়ে করার সম্পুর্ণ মতামত আছে কিনা জিজ্ঞেস করে নিয়েছেন?

– মিথ্যা বলবো না। শহরে একটা ছেলেকে পছন্দ করতো আমার মেয়ে, কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে তার অমত ছিল না।

– সেই ছেলের নাম কি?

– মাহিন।

– তার সঙ্গে আপনার মেয়ের পরিচয় হয়েছে কীভাবে, মানে ছেলের বাসা কোথায়?

– ছেলের বাসা ঢাকায়, আমার মেয়ে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।

– আপনি সেই ছেলেকে দেখেছেন?

– না।

– আপনি যখন আপনার মেয়েকে বিয়ের কথা বললেন সে কিছু বলে নাই? মানে বিয়ে করবে না বা তার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চায়।

– আমি আগে থেকেই শুনেছিলাম ও কাউকে পছন্দ করে কিন্তু মেয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি বলে আমি ওটা গুরুত্ব মনে করিনি। তারপর যখন ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে তখন শুধু জিজ্ঞেস করলাম। সে বললো তার আপত্তি নেই।

– তারমানে সে জানতো আপনাকে বললেও লাভ হবে না সেজন্য গোপনে পরিকল্পনা করেছে।

– কিসের পরিকল্পনা স্যার?

একটা ছেলে দুকাপ চা নিয়ে এলো। সাজু ভাই বললেন,

– আমি চা খাই না, আমার জন্য কি এক কাপ ঠান্ডা কফি দিতে পারবেন?

– আমাদের বাসায় তো কফি নেই।

– তাহলে আপনিই চা খেয়ে নিন।

– আমার মেয়ে কিসের পরিকল্পনা করেছে সেটা বললেন না তো।

– সবকিছুতেই কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার। একটা বাড়িতে দুটো মেয়ে আছে, বড় মেয়ে একটা ছেলেকে পছন্দ করে। কিন্তু বাড়ির কেউ সেটা মানবে না, আর সেজন্য সেই মেয়ে প্রচুর পাগলামি, চেচামেচি, ভাঙচুর করতো, কান্না করতো। তারপর পরিবার থেকে তাকে বিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো৷ বিয়ের আগ পর্যন্ত তাকে কড়া নজরে পাহারা দিয়ে রাখা হয়েছে যেন পালাতে না পারে। তারপর নির্দিষ্ট দিনে মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু…

– কিন্তু কি? ” কৌতূহল নিয়ে বললো দারোগা। ”

– কিন্তু দ্বিতীয় মেয়েটাও একজনকে পছন্দ করত তবে সেটা ছিল নরমাল। কারণ তাকে যখন বলা হয়েছে সে যে কারো সঙ্গে কথা না বলে তখন সে মেনে নিয়েছে। কোনো ধরনের পাগলামি করে নাই, সবকিছু নিজের মনের মধ্যে রেখেছে। আর যখন তার বিয়ে ঠিক হয়ছে তখনও কারো সঙ্গে কোনো কিছু বলে নাই। গায়ে হলুদের দিন দুপুরে সে পালিয়ে গেল, কেউ কিছু বুঝতে পারে নাই যে মেয়েটা পালাতে পারে। আর সে যেহেতু ঠান্ডা মাথায় বিয়েতে রাজি ছিল তাই তাকে কেউ পাহারা দিতো না।

– আমার মেয়ে এমনটা করতে পারে না স্যার, ওকে নিশ্চয়ই কিডন্যাপ করা হয়েছে।

– সেটা তো আমরা অবশ্যই খুঁজে বের করবো। আপনার মেয়ের মোবাইল কোথায়?

– মোবাইল তো পাওয়া যায়নি, মনে হচ্ছে মোবাইল সঙ্গে নিয়ে গেছে।

– অদ্ভুত না? কিডন্যাপকারীরা আপনার মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইলও কিডন্যাপ করেছে।

– বিয়ে বাড়িতে একটা হৈচৈ ছিল, এমনও হতে পারে কেউ হয়তো সরিয়ে ফেলেছে।

– সমস্যা নেই কিন্তু আপনার মেয়ে যে সিম ইউজ করতো সেই নাম্বারটা দেন।

★★

সিসি ক্যামেরার সবগুলো ফুটেজ রেকর্ড দেখা হয়ে গেছে। সাব্বির আর তার বাবার ছবি আলাদা করে বের করার হুকুম দেয়া হয়েছে। লাশের কোন পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না এটাই বড় সমস্যা হয়ে গেছে। তিনি মেয়েটার একটা ছবি তুলে সেটা ঢাকা শহরের বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে দিলেন৷ যদি পুলিশ রেকর্ডে কোনো মিসিং রিপোর্ট থাকে তাহলে সহজ হবে পরিচয় বের করতে। সঙ্গে সঙ্গে সাব্বির ও তার বাবার পরিচয় ও বের করার জন্য বললেন। যেহেতু সাব্বির বের হবার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে তাকিয়ে লাশ পাওয়া গেছে। সেহেতু সাব্বিরই খুন করেছে এটা ওসি সাহেবের কাছে পরিষ্কার।

খুনি কে সেটা তো বোঝা যাচ্ছে কিন্তু এখন শুধু তাকে ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু তার আগে দরকার লাশের পরিবার খুঁজে বের করা, কারণ মামলা নিতে হবে। তাছাড়া লাশ দাফন করতে হবে নাহলে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

সাব্বির পালিয়ে আছে টঙ্গী রেলস্টেশনের কাছে একটা কলোনির মধ্যে। সেদিন পালিয়ে আসার পর থেকে সে বুঝতে পেরেছে বিশাল একটা বিপদ তার জন্য অপেক্ষা করছে। মেয়েটা সে খুন করে নাই অথচ কে করেছে সেটাও জানে না। এদিকে তার বাবা কল দিয়ে বলেছে পুলিশ তাকে নাকি সন্দেহ করেছে।

সাব্বির তার মোবাইল নাম্বার চালু রেখেছে কারণ এই নাম্বার পুলিশের কাছে যাবার সম্ভবনা নেই। মোবাইলে কল এসেছে দেখে চমকে গেল সাব্বির। রিসিভ করে কানের কাছে ধরে চুপচাপ রইল,

– সাব্বির বলছো?

– হ্যাঁ, কে আপনি?

– মেয়েটাকে রেখে পালিয়ে না এসে যদি ভেবে তারপর লাশটা গায়েব করতে তাহলে কি আজকে এমন বিপদ হতো?

– কে আপনি?

– খুন করতে তোমার হাত কাঁপছিল ভালো কথা কিন্তু আমি তো তাকে গলা কেটে দিয়েছিলাম। তারপরও কেন চলে এলে আর এখন সবাই শুধু বিপদের মধ্যে আছে।

– আপনি খুন করেছিলেন? মানে সেদিন আপনি ওই বাসার মধ্যে ছিলেন।

– হ্যাঁ, তবে তোমার কাজের গাফলতির জন্য শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে। তোমার হিসাবটা পরে করবো কিন্তু আগে সাজু ভাইয়ের মার্ডার করতে হবে। সাজুকে মারাটা হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আর তোমাকে সারা হচ্ছে নিজের আক্রোশ।

– সাজু ভাই আবার কে?

– ওই মেয়ের মতো একজন যাত্রী। যাদে যাত্রার শুরু আছে কিন্তু সেখান থেকে ফেরার যাত্রা নেই।

– আপনি কি সবসময় খুন করেন?

– না যখন কাজ পাই তখনই করি। কখনো কখনো মাসে ৪/৫ টা। আবার কোনো মাসে একটাও না।

– পুলিশ তোমাকে খুঁজবে, সুতরাং সাবধান। তবে পুলিশ থেকে বেঁচে লাভ নেই কারণ আমি নিজেই তোমাকে মারবো।

সাব্বির কলটি কেটে দিয়ে নাম্বারটা সেভ করে রেখে দিলো৷ তার সমস্ত শরীর কেমন লাগছে।

★★

একটা মেসেজের শব্দে মোবাইল বের করলো সাজু ভাই। মেসেজটা রামিশা দিয়েছে, সাজু ভাই খানিকটা অবাক হয়ে বের করলো মেসেজ,

” স্যরি সাজু ভাই, খুব খারাপ ব্যবহার করার জন্য আমাকে মাফ করে দিবেন৷ আপনার সঙ্গে এভাবে ব্যবহার করবো কোনদিন কল্পনা করিনাই। আমি একটু মানসিক অশান্তিতে আছি, কালই আমি আপনার কাছে যাবো। আপনি নাকি নতুন মামলা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন? সাজু ভাই রহস্যের সমাধান করবে আর রামিশা থাকবে না এটা কি হয় বলেন? I Love You, Always. Miss You. ”

পরপর তিনবার পড়লো মেসেজটা, তারপর সে কিছুটা ভাবনায় পড়ে গেল। গতকাল রাতে সে অদ্ভুত ব্যবহার করেছে কিন্তু এখন আবার নতুন করে আচরণ করে কেন? এদিকে রামিশার কাছে থাকা ছবি পাওয়া গেছে উত্তর বাড্ডায় একটা বাড়িতে যেখানে কিনা একটা মেয়ে খুন হয়েছে।
রামিশার হিসাবটা মাথার মধ্যে এলোমেলো লাগা শুরু করেছে।

বাগানবাড়িতে গ্রেফতার হওয়া লোকটার মোবাইল দারোগা সাহেবের কাছে ছিল। সেই মোবাইলে কল এসেছে, সাজু বললো রিসিভ করে লাউডস্পিকার দিয়ে কথা বলতে। দারোগা সাহেব রিসিভ করে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল , অপরপ্রান্ত থেকে তখন একটা হাসি শোনা গেল।

– হাহাহা, কংগ্রাচুলেশনস সাজু। তুমি তাহলে আমার লোকটাকে ঘায়েল করে দিয়েছ? কোনো ব্যাপার না, এবার তাহলে গাছে গাছে লড়াই হবে।

– সাজু বললো, কে আপনি?

– পরিচয় পাবে সমস্যা নেই, এতো তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই। আমি তো তোমাকে চুপচাপ থাকতেই বুঝতে পেরেছি মোবাইল অন্য কেউ রিসিভ করেছে।

– তারমানে এটা আপনার লোক?

– হ্যাঁ, তোমাকে একটা খবর দিচ্ছি সাজু ভাই। যে মেয়েটাকে তোমরা খুঁজছো তার লাশ এখন ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। তার পরিবারকে বলে লাশ নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে বলো। এমনিতে সে অনেক কষ্ট পেয়ে মারা গেছে।

মাহিশার বাবা তখনই চিৎকার দিয়ে উঠলো, দারোগা তাকে ধমক দিয়ে চুপ করতে বললো।

– লোকটা বললো, গ্রামের মাঠে খেলার তেমন ইচ্ছে আমার নেই। তুমি বরং ঢাকায় আসো, আমি তো ঢাকায়। উত্তর বাড্ডার এক বাড়িতে মেয়েটা খুন করা হয়েছে, সেখানে আবার তোমার ছবি পাওয়া গেছে। অদ্ভুত না?

এবার সাজু ভাই অবাক হয়ে গেল। সে জানে উত্তর বাড্ডা লাশ পাওয়া গেছে এবং তার ছবি, কিন্তু তার সঙ্গে মাহিশার কোনো সংযোগ থাকবে এটা সে ভাবেনি।

– লোকটা বললো, ঢাকায় এসে বরং খুঁজে বের করো কে আমি আর কার কথায় খুন করেছি মেয়েটাকে।

– যেহেতু গোয়েন্দা নামটা হয়েছে তাই খুঁজে তো বের করবোই। কারণ এটা আমার কাজ।

– আর আমার কাজ খুন করা, মেয়েটাকে খুন করা হয়ে গেছে এখন দ্বিতীয় টার্গেট করতে হবে। ঢাকা আসো সাজু ভাই, তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।

সাজুর কাছে মনে হচ্ছে কণ্ঠটা খুব পরিচিত।

.
চলবে…