কল্পনায় হলেও শুধু আমারি থেকো পর্ব-১২

0
603

#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_১২

–you know salam (আমানের বডিগার্ড)
i Won’t live without her.
she is my breath.
whenever i saw her in this position.
আমান আর কিছু বলগে পারে না বাচ্চা দের মতো কেঁদে চলেছে।
আমানের গার্ড দের হৃদয় কে স্পর্শ করছে এগুলো।
কেউ কাউকে এতোটা ভালোবাসতে পারে কি করে ।
সেখানে কেটে গেছে আমানের রাত,
মোঘের সেন্স এখনো আসে নি।
একটা রুমের ভেতরেই সে আছে।
আমানের গার্ড রা তাকে রক্তের পোশাক বদলে দিয়েছে,
কাদতে কাঁদতে চোখ লাল হয়ে গেছে।
চোখ দু’টো লালের সাথে ফুলেও আছে।
সারা রাত বিন্দুমাত্র ঘুম হয়নি তার।
,
রিমি এয়ারপোর্টে এসে নিজেকে লুকিয়ে নেয় কালো মাস্ক আর ক্যাপ দিয়ে,
রিমি সোজা মেঘকে রাখা হসপিটালের দিকে রওনা হয়।
,
রিমি প্রায় কিছুক্ষণ এর মাঝে হসপিটালে পৌঁছে যায়।
স্টাফ রা প্রথম রিমিকে আটকালেও পরে রিমির পরিচয় জানার পরে তাকে ভেতরে যেতে দেয়।
রিমি দৌড়ে আমানের কাছে আসে,
একটা সাদা সার্ট পরে আছে আমান।
চুল গুকো উস্কো খুসকো।
চোখ দুটো লাল হয়ে আছে,
খুদার্থ দেখাচ্ছে।
বড্ড অগোছালো লাগছে আমান কে।
রিমি পাশে থাকা বডিগার্ড এর দিকে তাকায়,
–Didn’t he eat dinner?
–no mam
He has been crying like this since last night.
None of us can handle him.
Her inner sorrows are bothering her again and again .
–o my god.
রিমি আমানের দিকে যায়।
–ভাইয়া।
আমানের কাঁধে হাত দিয়ে।
আমান পাশ ফিরে রিমিকে দেখে অবাক হয়।
–তুমি এখানে?
–ওর এই অবস্থায় ওর সাথে থাকবো না সেটা কি করে হয়।
আমানের কষ্ট গুলো রিমি বুঝতে পারছে আর এটাও বুঝতে পারছে ওর বোন টা কতো লাকি এতো ভালোবাসার একটা মানুষ পেয়েছে
–ভাইয়া শান্ত হোন সব ঠিক হয়ে যাবে
রিমি জানে এই শান্তনা কোন কাজে দিবে না তাও চুপচাপ শান্তনা দিয়ে চলেছে যদি কিছু হয়।
কেটে গেল আরও প্রায় কিছু ঘন্টা,
নার্স বেরিয়ে এসেছে,
–মিস্টার.খান।
সি ইজ নট অলরাইট বার উ ক্যান মিট উইথ হার।।
সিস্টার এর কথা শুনে আমান দৌড়ে কেবিনে চলে গেল,
মেঘের হাতে বুকে মেসিন বসানো।
মেয়েটা চোখ বন্ধ করে আছে।
যখন আমনের বুকের মাঝে চুপচাপ করে ঘুমায় ঠিক তেমন।
আমানের কষ্ট হচ্ছে মেঘকে এভাবে দেখে।
একটা চেয়ারে বসে মেঘের হাত ধরে আমান।
মেঘের কপালে গভীর ভালোবাসা একে দেয়,
–জলদি সুস্থ হও মেঘ প্রমিজ আমি তোমার সাথে হওয়া অন্যায় এর বদলা নিবো।
ভালোবাসি না তোমায়।
আমি কতোটা ভালোবাসি তোমায় তা কোন ভাষার দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব না আমার পক্ষে।
এতো ভালোবাসা রেখে তুমি কোথায় যাবা।
আমান মেঘের হাত ধরে রেখেছে আমানের চোখ দিয়ে ফোটায় ফোটায় পানি পরছে একটু একটু করে।
মেঘ তার ত চোখ বন্ধ ই আছে।
এভাবেই কেটে গেল ২ দিন,
রিমি ভিশন চেষ্টা করেছে আমান কে কিছু খাওয়ানোর কিন্তু ভালো করে কখনোই পারে নি।
রিমি অনেক খেয়াল রেখেছে আমানের সাথে মেঘের ও।
মেঘকে ঔষধ দিচ্ছিল নার্স আর আমান মেঘের হাত ধরে বসে ছিল হটাৎ মেঘ তার নিরব চোখের পাতা দুটো পিট পিট করে খুলে দেয়৷
মেঘকে চোখ খুলতে দেখে আমান মেঘের মাথায় হাত দেয়,
–ডক্টর ডক্টর,
আমানের কন্ঠ পেয়ে ডক্টর আসে,
ডক্টর মেঘকে চেক করে,
–she is out of danger.
–o thank you so much.. —
— In fact sir it has all been possible for Allah. Give thanks to allah.
ডক্টর চলে যায়।
আমান মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে
মেঘের হাতটা ধরে কাঁদছে,
মেঘ নিজের হাতের আঙুল দিয়ে আমনের চোখের পানি মুছে দেয়,
আর মাথা নাড়ায়।।
যেন আমান আর না কাঁদে,
আমান মেঘের হাতে চুমু দেয়,
কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই আমান।
মেঘ চোখ দুটো তারার মতো জ্বল জ্বল করছে।
লোকটার অবস্থা মেঘকে বলে দিচ্ছে লোকটা তাকে কতোটা ভালোবাসে।
ভালোবাসলে কি শুধু মুখে বললেই বুঝা যায়।
অপর মানুষ টার প্রতিক্রিয়া তার চালচলন দেখলে বোঝা যায় আসলে সে কতোটা ভালোবাসে,
মেঘের চোখের কোনের পানি মুছে দেয় আমান।
–তোমার অবস্থা দেখে আমার দম আটকে আসছিল মেঘ।
মনে হচ্ছিল আমার পৃথিবী কেউ থমকে দিয়েছে।
প্লিজ আবার আমার সাথে বাসায় চলো।
আবার আগের মতো হাসিখুশি থাকো।
তুমি আমার প্রান মেঘ।
বাঁচতে পারবো না তোমায় এভাবে দেখতে।
— Sir mam needs to be fed(নার্স)
–what kind of food. (আমান)
— sup (নার্স)
–ওকে।
আমান রিমিকে কল করে।
রিমি খাবার নিয়ে আসে মেঘের সেন্স আসার কথা শুনে।
রিমি কিছুক্ষণের মাঝেই পৌঁছে যায়।
মেঘকে দেখে রিমির ভিশন শান্তি লাগছে।
–তুই ঠিক আছিস আপু। ( রিমি)
মেঘ মাথা নাড়ায়।
–আল্লাহ হাজার শুকরিয়া।
আমি নামাজ পড়ে দিবো।
–You can’t have more than two here, ma’am (নার্স)
–ও ওকে (রিমি)
ভাইয়া সুপ এই-যে আপনি থাকেন আমি যাই।
–তুমি এখন কোথায় যাবে।
–বাসায় যাই আমার ত পরিক্ষা পড়তে থাকি আপনি বের হলে আমি আসবো।
–আচ্ছা।
রিমি আমানকে সুপ ধরিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
আমান মেঘকে সুপ খাইয়ে দেয়,
মেঘকে ভালো করে পরিষ্কার করে দেয়,
–এখন ঘুমাও।
মেঘ চোখ বন্ধ করে নেয় আমান মেঘের মাথায়া হাত বুলিয়ে দিতে থাকে।
মেঘ কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুমিয়ে যায়।
আমান গিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পরে

এই ২ দিনে এই প্রথম আমানের এতো শান্তির ঘুম হচ্ছে।
ছেলেটা প্রায় পাগল ই হয়ে ছিল এতো দিন।
,
,
,
কেটে গেল ৭ দিন।
আমানের পুরো খেয়াল রাখার কারনে মেঘ পুরোপুরি সুস্থ।
আজ মেঘকে ছেড়ে দিবে।
আমান মেঘকে কাপড় চেঞ্জ করিয়ে দেয়,
–আমি পানি খাবো (মেঘ)
–হ্যাঁ এই যে।
আমান দৌড়ে পানি ধরে দেয়।
মেঘ আমানের খেয়াল রাখা মুহুর্ত গুলোকে ভালোভাবে উপোভগ করছে,
সত্যি লোকটা ভিশন কেয়ার করে মেঘের।
–আপু তোরা রেডি (রিমি)
–হুম (আমান)
–চলুন তাহলে ভাইয়া।
–হুম চলো
আমান মেঘকে পাজকোলে তুলে বাইরে নিয়ে আসে।
সবাই ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।

চলবে,