কারণে অকারণে সে পর্ব-০৬

0
588

#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:৬
#লেখক:রিয়ান আহমেদ (ছদ্মনাম)
;
সেদিনের পর আরশি তীব্র কথা ভাবতে প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।প্রথমে ব্যাপারটা ওর জন্য বেশ কঠিন ছিল কিন্তু এখন আর তেমনটা নয়।আরশির মনে যখনই তীব্র সম্পর্কিত কোনো ভাবনা আসে তখন সে অন্যকিছু ভাবতে শুরু করে।আগে যেমন তীব্রদের বাসায় ঘন ঘন তার যাওয়া হতো এখন আর তা হয় না।তীব্রর যত ছবি ছিল সব মোবাইল থেকে ডিলেট করে দিয়েছে।কৈশোরের অনুভূতি ভুলে যাওয়া কঠিন কিন্তু এই কঠিন কাজটা করা অসম্ভব কিছু নয়।

আরশি মেলায় এসেছে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরবে বলে।কিন্তু কোনো বান্ধবীর দেখা পাচ্ছে না সে।
“আছে কোথায় সবাই?আমাকে আসতে বলে নিজেরাই উধাও।”
হঠাৎ পেছন থেকে সাভাশ আরশিকে ডেকে উঠে,
“আরু তুমি এখানে?,,দেখেছো আজ আমার মনটা তোমাকে দেখার জন্য লাফাচ্ছিল আর আজই আমাদের দেখা। মাই কিউটি।”

আরশি পেছনে ঘুরে না দাঁতে দাঁত চেপে বিড়বিড় করে বলে,
“এর জন্য কোথাও গিয়ে শান্তি নেই।’কারণে অকারণে সে’ আমার সামনে চলে আসে।সাভাশ!তুই কি আমার মাথায় বাঁশ হয়ে পড়া ছাড়া আর কিছু পারিস না?,,, আচ্ছা এমন প্রিটেন্ড করি যে আমি ওনার কথাই শুনি নি।মেলায় এতো কোলাহলে কারো ডাকের সাড়া না দেওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।”

আরশি সাভাশের ডাককে উপেক্ষা করে নিজের মতো হেটে যেতে শুরু করে।সাভাশ তো পেছন থেকে ডেকেই চলেছে।
কিছুক্ষণ পর হঠাৎ সাভাশের ডাকা বন্ধ হয়ে যায়।আরশি ভেবে খুশি হয় যে আপদ বিদায় হয়েছে।কিন্তু
হঠাৎ আরশির কানে একটা মাইকিং আসে।মাইকে এক লোক বলছে,
“মেলায় একজন মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে।ওনার নাম আয়নুর আহসান আরশি।একটা সাদা রঙের লং ফ্রক পড়ে আছেন।বয়স বিশ বছর।চোখে চশমা।ওনার হাজব্যান্ড সাভাশ চৌধুরি ওনার জন্য মিসিং কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন।উনি যদি এটা শুনে থাকেন তাহলে দ্রুত যেন এখানে আসেন।”

আরশি কথাগুলো শুনতেই থ হয়ে যায়।নিজের আশেপাশে চোখ বুলিয়ে সে বুঝতে পারে সবাই তার দিকেই তাকিয়ে আছে।কারণ এই মাত্র লোকটার দেওয়া বিবরণের সঙ্গে তার অবিকল মিল রয়েছে।আরশি সবার দিকে তাকিয়ে একটা জোরপূর্বক হাসি দিয়ে মিসিং কাউন্টারে দৌড় লাগায়।
সেখানে যেতেই সে দেখতে পায় সাভাশ হাসি হাসি মুখ করে চেয়ারে বসে আছে।আরশি যেতেই সাভাশ দাঁড়িয়ে গিয়ে আরশির হাত ধরে চিন্তিত কন্ঠে বলল,
“তোমার জন্য আমার কতোটা চিন্তা হচ্ছিল জানো?তোমাকে পেছন থেকে ডাকতে ডাকতে দেখি তুমি গায়েব।দেখো টেনশনে আমার কি অবস্থা হয়েছে।একটা লেবুর শরবত না খেলে হয়তো আমি মাথা ঘুরিয়ে পড়েই যেতাম।”
আরশি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নেয়।সে রাগে দুঃখে পারছে না কেঁদে দেবে।আরশি আর না পেরে সাইডে গিয়ে নিজের হাত কামড়ে রাগ দমন করার চেষ্টা করে আর কান্না আটকায়।কিছুক্ষণ এমন করার পর সে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে সাভাশের কাছে গিয়ে বলল,
“হয়েছে?খুঁজে পেয়েছেন তো আমাকে?”
“হুম অবশ্যই খুঁজে পেয়েছি।”
“তাহলে চলুন মেলায় যাওয়া যাক।”
“হ্যা হ্যা চলো।কিন্তু এবার আমি তোমার হাত ছাড়বো না।”
কথাটা বলেই সাভাশ আরশির ডান ধরে নেয়।

আরশি মনে মনে বলছে,
“আজকে আপনি যেই কাহিনীটা করলেন না সেটার ফল এখন পাবেন।দরকার পড়লে মেলায় যা আছে সব কিনবো তবুও আপনার পকেটের সব টাকা শেষ করেই ছাড়ব।বান্ধবী গুলোরে একবার পাই! ওদের জিনিসপত্রের বিলটাও আপনাকে দিয়েই পরিশোধ করাবো।”

সাভাশ মনের সুখে আরশির হাত ধরে হাঁটছে।আরশি চুড়ির স্টলে গিয়ে বলল,
“ভাইয়া এই সবগুলো কাঁচের চুড়ি দেন।আর এই ঝুমকাওয়ালা চুড়ি দেন।”
লোকটা চুড়ি প্যাক করতে থাকে।আরশি হেসে সাভাশকে বলল,
“চুড়িগুলো সুন্দর না?”
“হুম অনেক সুন্দর।তোমার হাতে আরো সুন্দর লাগবে।”
“লাগবেই তো।ফ্রি জিনিসের আনন্দই আলাদা হয়।,,এই সব চুড়ির দাম তো আমার হাজব্যান্ড মানে সাভাশ মহাশয় দেবে তাই না?”
“অবশ্যই।”

তখনই আরশির অন্য বান্ধবীদের আগমন ঘটলো।আরশি সবার উদ্দেশ্যে বলল,
“শোন এটা হচ্ছে তোদের হবু দুলাভাই সাভাশ চৌধুরি।আজকে উনিই তোদের সবার মেলায় কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়ার বিল দেবে।”
সাভাশ কথাগুলো শুনতেই চোখ বড় বড় করে আরশির দিকে তাকায়।আরশি চোখ টিপে সাভাশের একটু কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
“আমাকে খুঁজে বের করে কতো বড় ভুল করেছেন সেটা আজ আপনি এবং আপনার মানি ব্যাগ হারে হারে বুঝবেন।”

সবাই মার্কেটিং করছে আর সাভাশ এতিমের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছে আর বিল দিচ্ছে।সাভাশের কাছে ক্যাশ দশ এগারো হাজার টাকার মতো ছিল কারণ সে সাধারণত কার্ড দিয়েই বেশিরভাগ পেমেন্ট করে।
সাভাশ দেখে মানি ব্যাগে আর মাত্র তিন হাজার টাকা আছে।এই চারজন রমনী যদি এখনই সামগ্রী কেনা বন্ধ না করে তাহলে তাকে বেশ লজ্জায় পড়তে হবে।

আরশি দেখলো সন্ধ্যা প্রায় হয়ে আসছে।এখন বাসায় না গেলে সমস্যা আছে।আয়েশা বেগমকে হুজুররা বলে গেছেন সন্ধ্যার পর মাগরিবের সময় আরশিকে যেন বাইরে থাকতে না দেওয়া হয়।যদি এমনটা করা হয় তাহলে আরশিকে জ্বীনটা আবার নিজের কবলে নিয়ে নেবে।
যদিও আরশি জানে যে তাকে কোনো জ্বীনে ধরে নি কিন্তু তার মা তো আর এটা জানেন না।তাই সন্ধ্যার পর ঘরে গেলে ওকে সেই লেভেলের বকাঝকা করবেন আর ভাগ্য খারাপ হলে থাপ্পড় ও খেতে হতে পারে।

আরশি সব বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে বলল,
“হয়েছে অনেক মার্কেটিং হয়েছে।এবার চল বাসায় যাই সন্ধ্যা হয়ে আসছে।”
সবাই আরশির কথায় সায় দিয়ে তাকে আর সাভাশকে বিদায় জানিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
আরশি সাভাশকে বলল,
“আমিও যাই তাহলে।,,আপনার এতোগুলো টাকা খরচ হয়েছে তাই আপনাকে আমি আমার তরফ থেকে কিছু দিতে চাই।”
সাভাশ কুঁচকে তাকালো।আরশি একটা হাওয়াই মিঠাই কিনে সাভাশকে দিয়ে বলল,
“এটা নিন। আমি আপনার মতো মহান হৃদয়ের মানুষ না যে হাজার টাকা খরচ করবো।”

সাভাশ আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আরশি স্থান ত্যাগ করে।
আরশি মেলার বাইরে চলে এসেছে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে এমন সময় সাভাশ এসে আরশির পাশে দাঁড়িয়ে বলল,
“আমিও তোমাকে একটা কিছু দিতে চাই।”
আরশি হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
“দিন তাহলে।”
সাভাশ পকেট থেকে একটা খুব সুন্দর পায়েল বের করে বলল,
“আমি এটা তোমার জন্য চট্টগ্রাম থেকে এনেছি।আমি তোমাকে এটা নিজের হাতে পায়ে পড়িয়ে দিতে চাই।”
আরশি কথাটা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে সে বুঝতে পারছে না কি বলবে।সাভাশ অপেক্ষা করে না বেশিক্ষণ সে হাঁটু গেড়ে বসে আরশি পা নিজের পায়ের উপরে রেখে সযত্নে পায়েলটা পড়িয়ে দিতে দিতে বলল,
“আমি জানতাম তোমার সঙ্গে আমার দেখা কোনো না কোনোভাবে হবেই আর দেখো হয়েও গেল।রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম তুমি সাদা পরী হয়ে রিকশায় চড়ে কোথাও যাচ্ছো।তোমার পিছু নিলাম আর এখানে এসে হাজির হলাম।,,একটা কথা কি জানো?তোমার সঙ্গে আমার প্রত্যেকটা দেখাই কাকতালীয়।এতে বোঝা যায় আমাদের কানেকশন উপর থেকেই সেট করে দেয়া।”

আরশি হঠাৎ খেয়াল করলো সাভাশ আজ ঠিক ওর মতোই সাদা রঙ পড়েছে।সাদা শার্ট আর কালো রঙের প্যান্ট।এটাও কি কাকতালীয়?
সাভাশ পায়েল পড়িয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।আরশি পায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমার জন্য এটা চট্টগ্রাম থেকে এনেছেন?”
সাভাশ হেসে বলল,
“তাহলে আর কার জন্য?আমার দশটা না পাঁচটা না একটামাত্র হবু বউ।”
“এটা খুব সুন্দর কিন্তু আমি এটা রাখতে পারবো না।”
“কেন?”
“দেখুন আমার যা মনে হচ্ছে এটা আসল মুক্তা দিয়ে তৈরি।এমন নাজুক জিনিস আমার মতো কেয়ারলেস মানুষের ধারা সামলে রাখা সম্ভব না।”
সাভাশ আরশির হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল,
“এই কেয়ারলেস মানুষটার কেয়ার করার জন্য আমি আছি তো।”
আরশি তীক্ষ্ম চোখে তাকিয়ে বলল,
“হাত ধরে যদি কেয়ার করা লাগে তাহলে আমার কেয়ারের প্রয়োজন নাই।এই গরমে কেউ কারো হাত ধরে? তার উপরে আমি আমার গায়ে কেউ হাত দিলে সেটা পছন্দ করি না।”

সাভাশ হাত ছেড়ে দেয়।আরশির থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
“বায় বাসায় যাও রিকশা তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।আমি গাড়ি দিয়ে দিয়ে আসার কথা বললাম না কারণ তুমি সেটা শুনবে না।বায় মাই বেবি,কিউটি।”

আরশি রিকশায় উঠে বসে কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে ভাবতে থাকে,
“লোকটা আমাকে এসব অদ্ভুত আদুরে নামে ডাকে কেন?মাই কিউটি,মাই বেবি!রেডিকিউলাস! আমাকে কি বাচ্চা মনে হয়?কোনো বাচ্চাকেই এমনভাবে ডাকে মানুষ।কখনো কখনো তো মনে হয় এর হাত নিশ পিশ করে আমার গাল টেনে দেওয়ার জন্য।”
;
;
;
আরহাম খাবার খেয়ে রুমে এসে মেডিসিন খাচ্ছিলো তখনই তার মা হুড়মুড় করে রুমে ঢুকে আরহাম তৎক্ষনাৎ মেডিসিনটা লুকিয়ে ফেলে মা দেখতে পেলে হাজারটা প্রশ্ন করবে।আরহামের মা ছেলের ধোঁয়া জামা কাপড় আলমারিতে তুলে রাখতে রাখতে বললেন,
“আরহাম কাল তোর নানীর বাসায় যাবো আমরা।আরুও যাচ্ছে তোর বাবা আর তুই বাসায় থাকবি শুধু।আমি সকালে রান্না করে দিয়ে যাবো রাতে সেগুলো গরম করে খেয়ে নিস তোরা।আমরা গিয়ে একদিন থাকবো।”
আরহাম মাথা নাড়িয়ে বলল,
“ঠিকাছে আর কিছু বলবে?”
“না আর কিছু না।”
আয়েশা বেগম চলে যেতেই আরহাম শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে।কিন্তু তখনই আবার আরশি আসে ওর ঘরে।আরশি পুরো ঘরে কিছু একটা খুঁজতে থাকে।আরহামের মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।আরহাম জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেয় আর মনে মনে বলে,
“আরহাম শান্ত হও।সব ঠিক আছে।মাথা গরম করা চলবে না।”
আরহাম গম্ভীর গলায় আরশিকে বলে,
“কি খুঁজছিস তুই পুরো ঘরে?”
“ভাই আমি তমাকে (মামাতো বোন) একটা বই দেবো বলেছিলাম সেটাই খুঁজছি।আমার ঘরে পাই নি তাই তোমার ঘরে খুঁজছি।”
“নাম কি বইয়ের?”
“অমর মানব।”
“হলরুমের বুক শেল্ফে রেখেছিস।”
“থ্যাংক ইউ ভাই।”
“এবার যা।”
“যাচ্ছি তো।”
আরশি রুম থেকে বের হতেই আরহাম হাফ ছেড়ে বাঁচে দ্রুত দরজা লাগায় যেন কেউ আসতে না পারে।
;
;
তীব্রর মা শবনম বেগম বেশ উদাসীন হয়ে বসে আছেন কারণ আরশির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।আরশি মেয়েটা ওনার খুব প্রিয় ছিল সবসময় মনে যা মুখেও তা।তার গম্ভীর মুখে হাসি আনার দায়িত্ব এই মেয়েটাই নিয়ে রেখেছিল।আরশিকে আর সবাই পছন্দ করুক আর না করুক আরশি ওনার প্রিয় হয়েই থাকবে।
তীব্র মাকে উদাসীন হয়ে বসে থাকতে দেখে ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলে বলল,
“মা এতো উদাসীন হয়ে বসে আছো কেন?তুমি দুটো কড়া কথা না বললে বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।”
শবনম বেগম রেগে গেলেন।
“বেশি কথা বলবি না তীব্র।আমার প্রিয় আরুটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেল।এখন আমার সঙ্গে দুটো কথা বলার মানুষ আর নেই।”
তীব্র একটু অবাক হয়ে বলল,
“ওহ তাহলে বিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে!ওকে করার মতো দুঃসাহসী মানুষ কে শুনি?”
“চুপ কর।ছেলে বেশ নামীদামি এডভোকেট।ঢাকা শহরে না কি তার মতো আরেকজন নেই।”

তীব্র তাচ্ছিল্য করে বলল,
“আরশি মতো মেয়েকে বিয়ে করছে তো?ভবিষ্যতে কাঁদতে হবে।যেই মেয়ে মানুষের সঙ্গে ঠিকঠাক আচরণ করতে পারে না সে আবার শশুড় বাড়ি গিয়ে স্বামীর সম্মান রাখবে।”
শবনম বেগম প্রতিবাদী হয়ে বললেন,
“শোন তীব্র আরশি যার সঙ্গে যেমন আচরণ করে সেটাই ঠিক।তুই মানুষ চিনিস না বলে এসব বলিস।আজকাল মানুষ যেখানে ভালো কাজ করলে দশ জনকে শোনাতে পছন্দ করে আরশি সেখানে সেটা নিজের ভেতরেই রাখে। ও সবসময় মনে যা থাকে তাই বলে সবাইকে যেটা ভুল কিছু না।তোর ওকে পছন্দ নাই হতে পারে।কিন্তু তোর নিজের অপছন্দটা যে সবসময় খারাপ হবে এটা কোথায় লেখা আছে?”
শবনম বেগম কথাগুলো বলে হনহন করে চলে গেলেন।তীব্র হা করে তাকিয়ে আছে মায়ের যাওয়ার দিকে।
;
#চলবে!