কারণে অকারণে সে পর্ব-০৭

0
571

#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:৭
#লেখক:রিয়ান আহমেদ (ছদ্মনাম)
;
আরশি নানীর বাসায় আসতেই সবাই তার উপরে এক প্রকার হামলে পড়েছে।আরশির নানী তাকে ধরে কেঁদে কেটে বললেন,
“আমার নানু বুড়িটার সাথে এসব কি হইলো।আল্লাহ্ আমার নানু বুড়িটার উপরের থেকে সব জ্বীন ভুতের আছড় সরাইয়া দেও।”

আরশির মামী বললেন,
“আয়েশা আপা আপনাকে আগেই বলছিলাম মেয়েকে সাত সন্ধ্যাবেলা ছাদে যেতে দিয়েন না এখন দেখলেন তো কি হলো।”
আরশির মামা বললেন,
“শোন আয়েশা মেয়েকে একটু শাসন করতে শিখ বুঝলি।,,দেখ মোবাইল টিপতে টিপতে চোখগুলো তো একেবারে গেছে।”
আয়েশা বেগম হতাশ হয়ে বললেন,
“কি করি বলেন ভাই?এই মেয়ে আমার কথা শুনে না।সারাদিন নিজের মন মর্জি মতো চলে।চশমা খুলে ফেললে আমাকে আপনাকেই আর ঠিকমতো দেখতে পাবে না।”

আরশির মামাতো ভাই বোনেরা কথাগুলো শুনে মিটমিটিয়ে হাসতে থাকে।আরশি বলল,
“আরে মামা মানুষের চোখে কি সমস্যা হয় না না কি?আমি সারাদিন মোবাইল টিপলে খাই কখন?ঘুমাই কখন?”
আয়েশা বেগম তেজি গলায় বললেন,
“দেখেন দেখেন কি সুন্দর ফটর ফটর কথা বলতে পারে!কিন্তু একটা কাজ দিলে তা আর তার ধারা সম্ভব হয় না।”
“আমাকে কি কোনো কাজ কখনো করতে দিয়েছো যে করবো?আর আমার বাবা কি টাকা পয়সা কম কামাই করে যে আমি কাজ না করলে চলবে না?,,,থাকো তোমরা তোমাদের আলাপ আলোচনা নিয়ে আমি গেলাম।”
আরশির বাড়িতে কোনো কাজ করে না কারণ তাকে করতে বলা হয় না।এখানে সে নিজের দোষটা কোথাও দেখতে পাচ্ছে না। আরশির রাগ লাগছে এখন।

আরশির নানী বাড়ি গ্রামে আর শহরের মাঝামাঝি পর্যায়ে।এখানে শহরের মতো সব সুযোগ সুবিধা থাকার পাশাপাশি গ্রামের মতো বিল আর পুকুরও আছে।আরশি নানীর বাড়ির পাশের পুকুরে বসে আছে কারণ বাড়িতে সবাই তাকে শান্তিতে বসতে পর্যন্ত দিচ্ছে না।আরশি পুকুরের পানিতে ঢিল ছুঁড়ে নিজের সাথেই নিজে প্রতিযোগিতা করতে থাকে।
;
;
আরহাম পিয়নকে ডেকে বলল,
“সামাদ ভাই আমার জন্য একটা কড়া লিকার দিয়ে চা নিয়ে আসুন।একটু জলদি আমার বাইরে যেতে হবে।”
“ঠিকাছে স্যার।”
আরহাম বসে আছে চায়ের অপেক্ষায়।তার রুমের ট্রান্সপারেন্ট গ্লাস দিয়ে বাইরের দৃশ্য সব দেখা গেলেও ভেতরে কি ঘটছে তা দেখা যায়।গার্মেন্টসের কিছু ওয়ার্কার কাজ না করে কিছু একটা করছে।আরহাম ভালো মতো খেয়াল করতেই দেখতে পায় চার পাঁচ জন গোল হয়ে বসে তাস খেলছে।আরহাম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ব্রেক টাইম হতে এখনো এক ঘন্টা প্রায় বাকি।তার মানে এরা কাজ ফাঁকি দিয়ে এসব কাজ করছে!আরহামের মাথাটা হঠাৎ ধপ ধপ করতে শুরু করে।তার রাগটা এই মুহূর্তে প্রথম পর্যায়ে আছে।আরহাম তখনই পিয়ন সামাদ হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে তাস খেলতে থাকা লোকগুলোর পাশে দাঁড়ায়।সে একজনকে সাহায্য করছে খেলা জিততে।আরহাম দেখে চা অনেকটা পড়ে যাচ্ছে আবার ঠান্ডাও বোধহয় হয়ে যাচ্ছে।

আরহাম অনবরত বেল বাজাতে থাকে নিজের টেবিলের যেন সামাদ চা নিয়ে জলদি আসে।কিন্তু সামাদ বোধহয় বেল বাজানোর শব্দ শুনতেই পাচ্ছে না সে ঠাই দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই।সামাদ বোধহয় বুঝতে পারছে না আজ এই চায়ের জন্য ভয়ানক কিছু ঘটবে।আরহামের এর রাগ এবার সপ্তম আকাশে পৌছে গেল।সে কেবিনের দরজা খুলে চিৎকার করে বলল,
“কাজের সময় এসব রঙ্গ তামাশা করা হচ্ছে তাই না?”
সবাই কেঁপে উঠলো এমন হুংকার শুনে।মিনিটের মধ্যেই সবার মাঝে পিনড্রপ সাইলেন্স তৈরি হলো।আরহামের মাথার রগ ফুলে উঠেছে।যেই টেবিলে সবাই তাস খেলছিল আরহাম সেটাকে লাথি মেরে উল্টে দিয়ে বলল,
“এই তোমরা পাঁচ জন আগামীকাল থেকে আর কাজে আসবে না।যতদিন কাজ করেছো ততদিনের সেলারি তোমাদের দিয়ে দেওয়া হবে।”
পিয়ন সামাদের দিকে ঘুরলো আরহাম।সে তো আগের থেকেই কাঁপাকাপি শুরু করে দিয়েছে।পিয়ন সামাদ বলল,
“ভাই আমাকে মাফ করে দিন।আমি আপনার জন্য দরকার পড়লে সারাদিন সারা রাত চা বানাবো।”
আরহাম ঘাড় বাঁকা করে লাল লাল চোখ করে,
“তোকে চাকরি থেকে তো বের করবোই আমি।কতবার বেল বাজিয়েছিলাম?,,আমার হাতে মার খেয়ে আইসিউতে যাওয়ার আগে এখান থেকে পালা।”
সামাদ আর দাঁড়ায় না আরহামের কাছ থেকে যত দ্রুত সম্ভব পালানোর চেষ্টা তার।আরহাম এরপর সোজা হেঁটে নিজের কেবিনে চলে যায়।
আরহাম যেই ওয়ার্কার্সদের চাকরি থেকে বের করেছে তাদের মধ্যে একজন বলে,
“সাধারণ একটা ব্যাপারের জন্য আমাদের চাকরি থেকে বের করে দিতে হবে?”
তখনই একজন পুরোনো কর্মী বলে,
“তোমরা তো আজ মাত্র পনেরো দিন ধরে কাজ করছো তাই ওনার রাগ সম্পর্কে জানো না।রিজা স্যার এতোদিন ফ্যাক্টরি ভিজিট করতো আর আরহাম স্যার অফিসে বসতো তাই এই কয়দিন টিকে ছিলে।,,কিন্তু উনি থাকা অবস্থায় কাজে ফাঁকি!এমন দুঃসাহস কারো নেই।যাইহোক এখন আর চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা করো না।”
;
আরহাম অফিসে যেতেই তার বাবা তাকে জরুরি তলব করে।আরহাম বাবার কেবিনে গিয়ে টেবিলের ওপর পাশের চেয়ারে বসলো।বাবা বললেন,
“এসব কি আরহাম একদিনে তুমি ছয়জন কর্মচারীকে কাজ থেকে বের করে দিয়েছো তাও এমন ছোট একটা বিষয়ের জন্য।”
“বাবা তোমার কাছে ছোট হতে পারে আমার কাছে না।,,,ওদের ভাগ্য ভালো আমি ওদের মারি নি।”
“চুপ করো।এমন একটু আধটু কাজে ফাঁকি দেবেই কর্মীরা।তাদের শাসন করলে ভবিষ্যতে তারা ভুল শুধরে নেবে।এখন চোখের সামনে থেকে দূর হও আমি অফিসে সিনক্রিয়েট করতে চাইছি না।”

আরহাম চুপচাপ বেরিয়ে গেল।সে সিদ্ধান্ত নেয় এবার থেকে মানুষের সাথে যতটা সম্ভব ভালো ব্যবহার করবে সে।মাথা গরম হলেও কারো গাল সে গরম করবে না।কাল আবার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তাকে।
;
সাভাশ কেস সল্ভ করতে পারছে না,খেতে পারছে না,ঘুমাতে পারছে না।তার মনে হচ্ছে সে দিনকে দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে।সারাদিন ইচ্ছে চুপচাপ শুয়ে থেকে আরশির সঙ্গে কাটানো মুহুর্ত নিয়ে ভাবতে।এই তো আজকের কথা সে যেই ‘ল’ ফার্মে কাজ করে সেখানকার তার এক সিনিয়র স্যার তার সঙ্গে দেখা করতে নিজে হেঁটে তার কেবিনে আসে।সাভাশ নিজের কল্পনা নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিল যে সে দেখেই নি তার সিনিয়র তার কেবিনে এসেছে।তার উপরে আবার উঠে সালাম পর্যন্ত দেয় নি।সিনিয়র এডভোকেট শাহাদাত আজম এটা দেখে বেজায় রেগে গেলেন।কারণ সাভাশ তাকে অসম্মান করেছে।তিনি সাভাশের ডেস্কের উপর হাত দিয়ে জোরে আঘাত করতেই সাভাশের হুস আসে।সে দ্রুত সোজা হয়ে বসে সামনের মানুষটাকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় এবং সালাম দেয়।শাহাদাত আজম বললেন,
“সাভাশ তুমি দেখছি সিনিয়রকে সম্মান করতে ভুলে গেছো।এমন ব্যবহার তোমার ধারা আশা করি নি।”
সাভাশ নিজের আচরণে লজ্জিত হয়ে বলল,
“স্যার আসলে আমি অন্যকিছুর ভাবনাতে ব্যস্ত ছিলাম।আমি নিজের আচরণের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।”
“অন্যকিছুটা কি জানতে পারি?এমন কি জিনিস আছে যা তোমার আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে তোমাকে ভাবতে দিচ্ছে না?”

সাভাশ কি বলবে বুঝতে পারছে না কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
“আসলে স্যার,,,।”
“হয়েছে আর আসলে নকলে বলতে হবে না।যা বলতে এখানে এসেছি তা বলি কেমন?”
“জ্বী স্যার।”
“তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তোমাকে এবং তোমার হবু স্ত্রীকে আমরা পুরো ‘ল’ ফার্ম থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”
“ধন্যবাদ স্যার।”
“হুম।”
শাহাদাত আজম চলে যেতে নিয়ে আবার ফিরে এসে বললেন,
“দেখো বিয়ে নিয়ে অথবা কনে নিয়ে চিন্তা না করে কাজে মন দেও।”
কথাটা বলে তিনি চলে যান।সাভাশ কথাটা শুনে আরো লজ্জায় পড়ে যায়।সত্যিই তার বিয়ে এবং কনে নিয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে কাজে মন দেওয়া উচিত।কিন্তু মেয়েটা যে তার ভাবনা চিন্তার মাঝে পার্মানেন্টলি জায়গা করে নিয়েছে সেটার কি হবে?আরশির মোবাইল নম্বরটা তার কাছে থাকলে ভালো হতো একটু কথা তো বলা যেতো।কিন্তু আরশি তো দেবে না নাম্বার আর হবু শশুড় বাড়ির মানুষদের থেকেও তো চাওয়া যায় না।কোনো বাহানাও খুঁজে পাচ্ছে না আরশির সঙ্গে দেখা করার।
থাক আর তো মাত্র কয়েকটা দিন।এংগেজমেন্টের দিন এমনিতেই দেখা হবে।
;
;
;
;
আগামীকাল আরশি আর সাভাশের এংগেমেন্ট হবে।আরশি ফোন দিয়ে নিজেই সব আত্মীয় স্বজনদের নিমন্ত্রণ করছে।আসলে সে একটা জরুরি কথা বলার জন্য নিজেই সবাইকে ফোন দিচ্ছে আরশি সবাইকে বলছে,
“আপনারা সবাই আগামীকাল আমার এংগেজমেন্টের কার্ডে দেওয়া ঠিকানায় চলে আসবেন।আর যেই কারণে ফোন দিয়েছি তা হলো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ জামাকাপড় পড়ে আসবেন না বুঝলেন।আমার জন্য অনুষ্ঠান করা হচ্ছে তাই আমিই একমাত্র জাঁকজমকপূর্ণ জামাকাপড় পড়বো।”
মজার ব্যাপার হলো আরশির এমন অদ্ভুত কথা কেউই খারাপ ভাবে নিচ্ছে না।কারণ সবাই জানে আরশিকে জ্বীনে ধরেছে এছাড়া সে আগের থেকেই অদ্ভুত কথাবার্তা বলে।

আরশি চায় না তার জন্য করা অনুষ্ঠানে অন্য কেউ গুরত্ব পাক।সেও কারো বিয়েতে সাজে না তাই তার বিয়ে সম্পর্কিত যেকোনো অনুষ্ঠানে সে ছাড়া আর কেউ সাজবে না।অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের মধ্যে মেয়েরা একেক জন এমন সাজ দেয় যে কোনটা বউ তা বোঝা যায় না।

রাতে সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আরশির বুকটা কেমন খা খা করতে থাকে।সে সত্যিই কি কিছুদিনের মাঝে অন্য একজনের সংসারে চলে যাবে?আরশির হঠাৎ কাঁদতে ইচ্ছা করলো মা বাবাই ভাইকে জড়িয়ে ধরে।আরশি মনের ইচ্ছাটাকে দমিয়ে রাখে।তার এখন নিজের পরিবারের প্রতি বড্ড অভিমান হচ্ছে।এতো কিসের তাড়া ছিল তাকে বিয়ে দেয়ার?সাভাশের সঙ্গে বিয়ে হলে কি সে কয়েকদিন পর পর ওকে আসতে দিবে বাসায়?না আসতে দিলে আরশি নিজেই ঝগড়া করে চলে আসবে।

আরশি ছাদের দিকে পা বাড়ায়।ছাদে উঠে অবাক হয় সে কবুতরের ঘরের লাইট জ্বালানো তার মানে আরহাম এখানেই আছে।আরশি বাউন্ডারির উপরে গিয়ে বসে।কিছুক্ষণ বাদে আরহাম কবুতরের ঘরটা থেকে বেরিয়ে আসে আর বোনকে দেখতে পায়।আরহাম ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আরু তুই এতো রাতে এখানে কি করিস?”
আরশির ভাইকে দেখে হঠাৎ চোখ ভিজে উঠে গলা ধরে আসে।ছোটবেলা থেকে ভাইয়ের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত চোখে ভেসে উঠে।আরশি চোখের জল আড়ালের চেষ্টা করে বলল,
“এম,,এমনি ঘরে গরম লাগছিল তাই এখানে এলাম।”
“এসিতে কোনো সমস্যা হয়েছে না কি?”
“মনে হয়।”
আরহাম আরশির পাশে বসতে বসতে বলল,
“আরু তুই কি কাঁদছিস?”
আরশি এবার আর না পেরে ভাইকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে বলল,
“ভাই আমি বিয়ে করবো না,,, আমি তোমাদের ছেড়ে যেতে চাই না।”
আরহাম বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,
“দেখ তুই আমাদের ছেড়ে কোথাও যাচ্ছিস না শুধু আমাদের থেকে একটু দূরে চলে যাচ্ছিস।আর বিয়ে তো এখনই হয়ে যাচ্ছে না আরো প্রায় এক মাস।”
“ভাই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে এসব ভাবতে।”
আরহাম বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“তুই যে আমি কবে এতোটা বড় হয়ে গেলি তা বুঝতেই পারি নি।আমার বয়স তখন সাত বছর যখন তুই এই পৃথিবীতে এসেছিলি।আমি চেয়েছিলাম আমার একটা ছোট ভাই হোক যে আমার সঙ্গে খেলবে আর আমি তাকে অর্ডার দেবো।কিন্তু হসপিটাল থেকে যখন মা আর বাবাই একটা পুতুল আনলো তখন মনে হলো ভাইয়ের থেকে এই পুতুলটা বেশি ভালো।,,আমি ছোটবেলা থেকেই একটু রাগী হওয়ায় তোকে বেশি শাসন করেছি।,,,তোকে একজন ভালো ছেলের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি সত্যিই খুশি।শোন সাভাশ যদি কখনো তোর সঙ্গে কড়া গলায় কথা বলে তাহলে নিজের ভাইকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিবি।আমিও ঐ ছেলেকে দেখে নিব।দেখবো কোন মুখ দিয়ে আমার বোনের সঙ্গে কড়া গলায় কথা বলে।মনে রাখবি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তোর ভাই সবসময় তোর পাশে থাকবে।”

আরশি হেসে দেয়।বোনের হাসি দেখে আরহামের মনটাও ভালো হয়ে যায়।সেদিনের সেই পুতুলটা কিছুদিন পর বধু সেজে বিয়ে করে চলে যাবে।

#চলবে!