কারণে অকারণে সে পর্ব-১০

0
576

#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:১০
#লেখক:রিয়ান আহমেদ (ছদ্মনাম)
;
“আরশি তুই কি এই বিয়েতে রাজি?তোর মনে কি আমার জন্য আর কোনো ভালোবাসা নেই?তুই এতো সহজে কিভাবে অন্য কাউকে মেনে নিতে পারছিস?”
তীব্র প্রশ্নগুলো এক নাগাড়ে জিজ্ঞেস করে থামলো।আরশি চিকেন কাবাব খাচ্ছিলো আর তীব্র ওর পাশে বসে আছে।আরশি কথাগুলো শুনে একেবারে হতভম্ব হয়ে গেল সে এতোটাই অবাক যে সে নড়তে ভুলে গেছে।আরশি চুপচাপ বসে রইলো এমন কি ঘাড়টাও ঘুরালো না তীব্রর দিকে।তীব্র আবার জোরালো গলায় বলল,
“আরশি তুই কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস না?আমি যা জিজ্ঞেস করছি তার জবাব দে প্লিজ।”
আরশি কিছু বলতে চাইছে কিন্তু বলতে পারছে না।তার মনে এই মুহূর্তে একটাই প্রশ্ন তীব্রর সাথে নেহার কি কোনো সমস্যা হয়েছে?আর যাইহোক না কেন এমনি এমনিই তীব্র তার সঙ্গে এসব কথা বলতে আসবে না।আরশি কাঁপা কাঁপা হাতে পানির গ্লাসটা নিয়ে পানি পান করে গলা ভিজিয়ে নেয়।এরপর তীব্রর দিকে না তাকিয়ে প্লেটের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তীব্র ভাই আপনার কি নেহা আপুর সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে?”
তীব্র চমকে উঠে আরশির প্রশ্ন শুনে।আরশি কিভাবে বুঝে ফেলল ব্যাপারটা তবুও সে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
“আমি তোকে আগে প্রশ্ন করেছি তাই আগে উত্তরটা তুই দে।”
“আমি প্রয়োজন বোধ করছি না।আপনার প্রশ্নটা এখন আমার লাইফে কোনো ম্যাটার করে না।যদি আপনি আমাকে আমার করা প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে ভেবে দেখবো।”
তীব্রর রাগ উঠে গেল।সে এই মুহূর্তে নিজের সমস্যা নিয়ে আরশির সাথে আলোচনা করতে চাইছে না।তীব্র রাগ চেপে রাখতে না পেরে বলেই ফেলল,
“এখন আর আমাকে ভালো লাগবে কেন?আমার প্রতি সব ইন্টারেস্ট তো তোর শেষ এতো এডভোকেটকে পেয়ে।আমি চেয়েছিলাম তোকে একটা সুযোগ দিতে কিন্তু তুই তো সেই সুযোগ চাস না।আসলে কি বলতো তুই কখনো কাউকে ভালোবাসতে পারিস না তুই হচ্ছিস সুবিধাবাদী মানুষ।”
আরশি কথাগুলো শুনে শান্ত গলায় বলল,
“তীব্র ভাই আপনাকে আমি এখন কিছু কথা না বলে পারছি না।আপনার চোখে যেহেতু আমি অনেক আগে থেকেই বেয়াদপ তাই নতুন করে বেয়াদপ উপাধি পাওয়ার ভয়ে আমি কথাগুলো চেপে রাখবো না।,,আমি যখন আপনাকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলেছি তখন আমি আপনার কাছে বেহায়া ছিলাম আর এখন যখন আপনার কথায় আপনাকে ইগনোর করছি তখন আমি আপনার কাছে সুবিধাবাদী মানুষ হয়ে গেলাম।কিন্তু আমার যা মনে হয় সুবিধাবাদী মানুষ তো আপনি। আপনার সঙ্গে নেহা আপুর ঝামেলা হয়েছে এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত না হলে আপনি আমাকে এ কথা বলতে আসতেন না।আমার যা মনে হয় নেহা আপু আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে।,,,আপনি এখন ভাবছেন নেহা যেহেতু আমাকে ছেড়ে দিয়েছে তাহলে আমি আরশিকেই বিয়ের প্রস্তাব দেই ও তো আমাকে ভালোবাসে তাই নাচতে নাচতে রাজি হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তা করছি না কারণ আমি ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি সাভাশকে বিয়ে করার।আর হ্যা আমি যদি আপনাকে এংগেজমেন্টের দিন নিজের ভালোবাসার কথা বলে বেহায়া হয়ে থাকি তাহলে আপনিও একজন বেহায়া।কারণ আপনি এই মুহুর্তে চৌদ্দ দিন আগে আমি যেই অবস্থানে ছিলাম সেই অবস্থানে আছেন।,,, আপনি আমাকে সেদিন শুধু নিজের চাচাতো বোন হওয়ার দরুন রিজেক্ট করেন নি এটা আমি জানি আসল কথা হলো আপনি আমাকে নিজের যোগ্য মনে করেন নি।সত্যি কথাই তো নেহা আপু আমার চেয়ে বেশি সুন্দরী ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি তাকে ছেড়ে কেন আপনি আমার কাছে আসবেন?কিন্তু আজ যখন সে নেই তখন আমি আপনার কাছে একটা অপশন হওয়ায় আপনি আমার কাছে এসেছেন।,,আমি কারো জীবনে অপশন হতে চাই না তীব্র ভাই। আমি কারো জীবনের বাকিটা পথ পাড়ি দেওয়ার একমাত্র অবলম্বন হতে চাই।আপনি আমাকে সুযোগ দিবেন বলছিলেন আসলে এটা সুযোগ না দয়া।আমি কারো দয়ার পাত্র হয়ে থাকতে পারবো না সারাজীবন তাও আবার নিজের প্রিয় মানুষটার।ভালোবাসায় দয়ার কোনো জায়গা নেই।আসছি।”
আরশি চলে যায় সেখান থেকে।তীব্র আরশির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।আজ আরশির বলা প্রত্যেকটা বাক্য সত্য।সে আরশিকে ভালোবেসে পেতে চায় নি আসলে সে নেহাকে দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল যে সে নেহার আগে বিয়ে করে নেবে।আর তার কাছে সবচেয়ে বেটার অপশন ছিল আরশি যেহেতু আরশি তাকে আগে থেকেই ভালোবাসতো।তীব্র ভাবতে পারে নি আরশি তাকে এভাবে রিজেক্ট করবে।তীব্রর মনে হচ্ছে কেউ তাকে বলছে,”অনেক মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছিস তুই।”
;
;
আভাস আজকে সারাদিন সাভাশকে সবকিছু ক্লিয়ার করবে করবে বলেও করতে পারে নি।আরশিদের বাসা থেকে বের ওরা হতেই ওদের মা আভাসকে ফোন দিয়ে বলেন,”জুয়েলারি শপ থেকে আংটিটা আসার সময় নিয়ে আসিস তুই।”
আভাস আর কি করবে মায়ের আদেশ মেনে নিয়ে সাভাশ আর আরিয়ানাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজে সিএনজি নিয়ে জুয়েলারি শপে চলে।এরপর বাসায় গেলে সাভাশের খোজ করে জানতে পারে যে সাভাশ তো বাসায়ই নেই।সে জেন্টস পার্লারে গেছে। এরপর আরো অনেক কারণে সারাদিনে সময় হয়ে উঠে নি সাভাশের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার।

আসলে আভাসের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নেই সে চায় তার ভাই খুশি থাকুক।কিন্তু প্রথমে তার ভাইয়ের সবটা জেনে নেওয়ার অধিকার অবশ্যই আছে। সাভাশ যদি সবটা জানার পরেও আরশিকে বিয়ে করতে সম্মত হয় তাহলে তাই হবে।

আভাস সাভাশকে টেনে সাইডে নিয়ে এসে বলল,
“ভাই আমার তোমাকে কিছু বলার আছে আরশি আপুর সম্পর্কে।”
“কি বলবি বল।”
আভাস সব ঘটনা খুলে বলল।সাভাশ সবটা শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
“আমি তোর কথায় খুব একটা অবাক হই নি।আমি আগের থেকেই ধারণা করেছিলাম আরশির কাউকে ভালোবাসে যার কারণে সে প্রথম থেকেই বিয়ে ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল।কিন্তু ওর কোনো বয়ফ্রেন্ড ছিল না এই ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত ছিলাম কারণ সাধারণত মেয়েদের বয়ফ্রেন্ড থাকলে তারা পাত্রকে ডায়রেক্টলি বলে দেয়।আরশি আমাকে এমন কিছু বলে নি তাই আমার ধারণা ছিল ওর ভালোবাসাটা একপাক্ষিক।দেখ আমার ধারণাটাই ঠিক ছিল।যাইহোক এসবে আমার কোনো সমস্যা নেই।ভালোবাসা মানুষের অজান্তেই হয়ে যায় আমিও আরশিকে ভালোবেসে ফেলেছি।খুবই অদ্ভুত একজন মেয়ে ও।ওকে বুঝলে ও সাদা কাগজের মতো আর না বুঝলে অজানা ভাষায় লেখা একটা বই।,,আমি হয়তো জানি ও কাকে ভালোবাসতো।”
আভাস অবাক হয়ে বলল,
“কাকে?আর তুমি কিভাবে জানলে।”
সাভাশ হেসে বলল,
“তীব্র,,আরু তীব্রকে ভালোবাসতো হয়তো এখনো বাসে।”
“তীব্র!কিন্তু কিভাবে হতে পারে এটা?”
“তুই ভাব যেদিন আরশি ড্রিংক করেছিল সেদিন কি ছিল?”
“তীব্রর এংগেজমেন্ট।”
“এক্সেক্টলি! আরশি তীব্রকে হারানোর দুঃখে ড্রিংক করে নিজেকে দেবদাস বানানোর পরিকল্পনা করেছিল।আর আমি একদিন ওর সঙ্গে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম তখন কাকতালীয়ভাবে তীব্রর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়।আরশির ভাবটা তখন এমন ছিল যে কোনোমতে সেখান থেকে পালাতে পারলে ও বাঁচে।ও হয়তো যত দ্রুত সম্ভব তীব্রর দৃষ্টির আড়ালে যেতে চাইছিল।সেদিন আমার কাছে কারণটা ক্লিয়ার না হলেও আজকে ক্লিয়ার।”

আভাস হেসে বলল,
“ভাই তুমি সবকিছু কিভাবে বুঝে যাও বলো তো?”
“এমনি এমনি তো আর এডভোকেট হই নি ইঞ্জিনিয়ার মশাই।মানুষের চেহারা দেখে আমার তার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে ছোটখাটো একটা ধারণা বানিয়ে ফেলতে পারি।”
কথাটা বলে সাভাশ হা হা করে হাসতে লাগলো।আভাসও হেসে দিল।
;
;
সাভাস আর আরশি একে অপরকে এখন আংটি পড়াবে।দুজনের হাতে দুটো আংটির বক্স।সাভাস আরশির দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,”হাতটা দয়া করে আমার হাতের উপর রাখুন ম্যাডাম।”
আরশি কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।সে মনে মনে বলল,
” আল্লাহ্ সবকিছু এখন তোমার হাতে।আমি জানি না কি হতে চলেছে ভবিষ্যতে।আমি তোমার উপর ভরসা করে সাভাশের সঙ্গে একটা নতুন সম্পর্কের সূচনা ঘটাতে যাচ্ছি।”
কথাগুলো ভেবে আরশি মুচকি হেসে সাভাশের হাতের উপর হাত রাখে।দুজন একে অপরকে আংটি পড়িয়ে দেয়।চারপাশ করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে।দুজনের মাথার গোলাপের পাপড়ির বর্ষণ হতে শুরু করে।

তানহা স্টেজে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে নিয়ে বলতে শুরু করে।
“আরশি এবং দুলাভাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা তাদের জীবনের সুন্দর এই দিনটির জন্য।আমি জানি না আজ আজ কার মনে কেমন অনুভূতি হচ্ছে।কিন্তু আমার মনের অনুভূতিটা আমি জানি।আরশি আমাদের সবার কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ ছিল।সে যখন কিছুদিন পর বরের বাসায় চলে যাবে তখন কারো জীবন থেমে থাকবে না তবে নিরামিষ অবশ্যই হয়ে যাবে।কারণ মানুষটা আমাদের সবাইকে যেমন বিরক্ত করেছে তেমনি অনেক হাসিয়েছে।ভালো থাকিস আরশি,, আমার দোয়া সবসময় তোর সাথে থাকবে।আরহাম,ছোট আম্মু ,চাচ্চু তোমরা প্লিজ নিজেদের অনুভূতিটা সবাইকে বলো।আরহাম ভাই এসো।”

আরহাম তো বেশ লজ্জা পেল।আরহাম যখন তানহাকে মানা করে দিতে যাবে তখনই আরিয়ানা মিষ্টি হেসে বলল,
“মিস্টার আরহাম আপনি যাচ্ছেন না কেন?”
আরহাম আর কিই বা বলতে পারে।একেই তো আরিয়ানা তার ডাক্তার আবার এখন বোনের শশুড়বাড়ির মানুষ তাই সে কথার সম্মান রাখতে বাধ্য হয়ে স্টেজে গেল।
আরহাম মাইক হাতে নিয়েও কিছু বলছে না।সে বেশ অস্বস্তি বোধ করছে।কিন্তু যখন দেখলো আরিয়ানা তার জন্য চিয়ার আপ করছে তখন সব অস্বস্তি কাটিয়ে আরশির দিকে একবার তাকিয়ে বলতে শুরু করলো,
“কি বলবো?আমাদের বাড়ির প্রাণ হচ্ছে আরু।বাড়িটা হয়তো ওর অনুপস্থিতিতে নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে।আমার কাছে ও আমার বোন না সন্তানের মতো।ওর জন্য সব সময় বেস্টটাই আমি দিয়ে এসেছি।আমার মতে সাভাশও বেস্ট কেউই হবে আমার বোনের জীবনে।,,ছোটবেলা থেকেই ও অনেক দুষ্টু তাই শাসনটা বড় ভাই হিসেবে আমাকেই করতে হতো।ওর ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার আর ওকে আগলে রাখার দায়িত্ব বিয়ের পর থেকে সাভাশের।আর সাভাশ তোমাকে বলছি কখনো যদি আমার বোনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করো তাহলে এর ফল বেশ খারাপ হবে।”
সাভাশ আরহামের হুমকিটা শুনে জোরপূর্বক হাসলো।আরহাম মাইক ছেড়ে চোখের কোনের অশ্রু মুছে নেমে গেল।এরপর রিজা আহসান আর আয়েশা বেগম এলেন।রিজা আহসান বলতে শুরু করলেন,
“আমার মেয়েটা নাকি একদম আমার বাবার মতো হয়েছে আমার মা বলতেন।আমার বাবাও না কি এমন অদ্ভুত মানুষ ছিলেন।আজ আমার মা বেঁচে থাকলে বেশ খুশি হতেন নাতনির জীবনের এই খুশির দিনটিতে।ওনার খুব আদরের মানুষ ছিল আরশি।ওর একটা বাজে স্বভাব হলো মনের কথা মুখে চলে আসে।এটাকে পুরোপুরি বাজে অভ্যাস বলা চলে না।তবুও এই অভ্যাসটার কারণে সবাইকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবাই মানিয়ে নিয়েছে।আশা করছি চৌধুরি বাড়িতেও আরশির এই অভ্যাসটার সঙ্গে সবাই মানিয়ে নেবেন।”

আয়েশা বেগমকে মাইক দেওয়া হলে উনি কান্নার কারণে কিছু বলতেই পারেন না।ওনার মনে হচ্ছে ওনার কলিজাটা কেউ কেটে ফেলছে তাই শেষ পর্যন্ত তাকে কিছু না বলেই নামতে হলো।
;
আরশি সাভাশের পাশে বসে বসে মোবাইল টিপছে আর অন্যদিকে সবাই আনন্দ করছে।সাভাশের বেশ বিরক্ত লাগছে মেয়েটা তার পাশে থেকেও তার সাথে একটা কথাও বলবে না?এটা কখনোই হতে পারে না।সাভাশ খপ করে আরশির হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে নেয় আরশি ধরে রাখার সুযোগ পায় না।

সাভাশ কোর্টের ভেতরের পকেটে সেটা ঢুকিয়ে রাখে।আরশি রেগে বলল,
“আপনি আমার মোবাইল নিলেন কেন?”
“তোমার মোবাইলটা আমাদের প্রেমে কাবাবে হাড্ডি হচ্ছিল।”
“দিয়ে দিন না।আমি এখানে বসে বসে করবোটা কি?”
“কেন আমার সঙ্গে প্রেম করবে।”
আরশি দাঁতে দাঁত চেপে কয়েকটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
“প্রেম করবেন?চলেন আমার সঙ্গে ছাদে।প্রেম করতে হয় নিরিবিলি পরিবেশে এটা একদমই প্রেম করার যোগ্য পরিবেশ নয়।”
সাভাশের আরশির কথায় সন্দেহ হলো।সে সন্দিহান হয়ে বলল,
“তুমি ছাদে নিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে না তো?”
আরশি একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বeলল,
“গ্রেট আইডিয়া।আপনাকে মেরে তারপর বলবো প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভুলতে না পেরে আপনি ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে মরে গেছেন।”

#চলবে!