গোধূলি বেলায় প্রেম পর্ব-০৭

0
3808

#গোধূলি_বেলায়_প্রেম
#ফাবিহা_নওশীন

|পর্ব-৭|

🌿🌿
দুদিন পর।রীতি ডিপার্ট্মেন্টের হেডের রুমে দাড়িয়ে আছে।
আর এক পাশে রাহি আর ওর পুরো গ্যাং মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
পুরো রুমে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে।স্যার গলা খাকারি দিয়ে কথা শুরু করলো।রাহির আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছে।
স্যার বলা শুরু করলো,
—-“রাহি হোয়াট’স ইউর প্রব্লেম উইথ রীতি?”

রাহি কাপা কাপা গলায় বললো,
—-“নাথিং স্যার।আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।”

স্যার নরম গলায় বললো,
—-“তার মানে রীতি তোমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে?”

রাহি কাচুমাচু করে বললো,
—-“জ্বি স্যার।”

স্যার কিছুটা উচ্চস্বরে বললো,
—-“সাট আপ!”

স্যারের কন্ঠস্বর পুরো রুমে বাড়ি খেয়ে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসছে।সবার অন্তত আত্মা কেপে উঠছে।

রাহির গ্যাং ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছে।আর ভাবছে এই বুঝি এদের রাস্টিকেট করে দেওয়া হবে।মনে মনে রাহিকে ভিষণ বকছে এ যাত্রায় বেচে গেলে রাহির সাথে মেশা তো দূরের কথা রাহির মুখও দর্শন করবে না।

স্যার বললেন,
—–“আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।তুমি এতটা নির্বোধ কি করে হতে পারলে?তুমি রীতিকে হিংসা করছো?হিংসা করার জন্য যোগ্যতা লাগে সেটা অর্জন করো।ভালো ভাবে পড়াশোনা করার বদলে হিংসা করছো?এই হিংসা কি তোমাকে ফার্স্ট করে দেবে?যদি ফার্স্ট হতে চাও ভালো করে পড়াশোনা করো হিংসা নয়।নির্বোধ মেয়ে।
আর তোমাদের(রাহির গ্যাং)বলি,রাহির পেছনে পেছনে ঘুরে কি পাবে?বন্ধু ঠিক আছে।কিন্তু বন্ধু যখন অন্যায় করে তখন তার ভুল শোধরে দিতে হয় তার ভুলে সঙ্গ দিতে হয়না।
সবাই রীতিকে সরি বলো।”

সবাই বাচার জন্য দ্রুত সরি বলে দিলো।রাহি কিছুটা সময় নিয়ে দাতে দাত চেপে সরি বললো।

স্য্রার ধমকি দিয়ে বললো,
—-“এরপর যদি আর কখনো এমন ঘটনা ঘটে তবে মনে রেখো এই ভার্সিটিতে তোমাদের জায়গা হবেনা।”

—-“সরি স্যার আর এমন হবে না।”

—-“নাও ইউ ক্যান গো।”

সবাই একে একে রুম ত্যাগ করলো।রীতি মুচকি হেসে স্যারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রুম ত্যাগ করলো।
স্যারের সাথে কথা বলে বেড়িয়ে ক্যাম্পাসে ছোট খাটো একটা জটলা দেখতে পেলো রীতি।কৌতুহল বশত সেখানে গেলো।

সাদিব গিটার বাজিয়ে গান গাইছে।আর মেয়েরা ওকে জেকে বসেছে।রীতির প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।পাশে পড়ে থাকা ইট তুলে ওর মাথায় মেরে ফাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।রীতি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেনা।প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।রীতি নিজের রাগকে নিজের কন্ট্রোলে রেখে ভার্সিটি ত্যাগ করলো।

সাদিব বাড়িতে ঢুকেছে বাইকে করে।বাইক পার্ক করে কাধের ব্যাগ হাতে নিয়ে হাটছে।আর তখনই মাথায় উপর ঠান্ডা তরল জাতীয় কিছু অনুভব করলো।সাদিব স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে।মাথায় কি পড়লো।গাল বেয়ে পানি পড়ছে।সাদিব মাথায় গালে মুখে হাত দিয়ে পানি আবিস্কার করলো।
“পানি!!হোয়াট দ্যা হেল?”
সাদিব উপরের দিকে তাকালো কাউকে দেখতে পারছেনা।দুপাশের বারান্দা,ছাদ সবটা দেখে নিলো কেউ নেই।
সাদিব এটুকু বুঝতে পারছে কেউ ইচ্ছে করে এমনটা করেছে।আর পানি মেরেই পালিয়েছে।তাই তাকে খোজে বের করার চেষ্টা করা,বোকামি ছাড়া কিছু না।

সাদিব কাউকে না পেয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে মাথা মুছতে মুছতে ভেতরে চলে গেলো।
রীতি এক মগ পানি নিয়ে বারান্দায় অপেক্ষা করছিলো।সাদিব আশা মাত্রই ছুড়ে মেরে পালিয়েছে।

রীতি কনফিউজড ছিলো কাজটা করতে পারবে কিনা সেটা ভেবে।কিন্তু পেরেছে।এখন তো নিজের উপর রীতিমতো গর্ব হচ্ছে।হায় হাতের কি সই রে বাবা।

.

তিনদিন যাবত রীতি মামা বাড়িতে এসেছে।রীতির মায়ের ভাইয়ের খুব মনে পড়ছিলো তাই রীতির পরীক্ষা শেষ হতেই চলে এসেছে।রীতির বাবা দাদার একমাত্র ছেলে হওয়ায় চাচা,ফুপি কেউ নেই।আর মা তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন হওয়ায় তিন মামা পেয়েছে কোনো খালা মনি নেই।
সবাই যেখানে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য বইয়ে সারাদিন মুখ গুজে আছে সেখানে রীতি মামা বাড়িতে বসে বসে বোর হচ্ছে।
কাজিনদের হৈ-হুল্লোড় সহ্য করছে।এতো মানুষের ভীর রীতির ভালো লাগে না।
রীতি মন খারাপ করে ছাদে বসে আছে।হাতে রাখা চকলেটে কামড় দিয়ে আকাশের দিকে চোখ দিলো।

“গোধূলি বেলায় রাঙ্গা আলোয়
মনে ঝেকে বসেছে বিষন্নতা
গোধূলিকে দিয়েছি সপে
একাকীত্বের তিক্ত বেদনা।”

সেদিন রিমনকে ধরে কঠিন জেরা করেছিলো চকলেটের বিষয়ে কিন্তু যুতসই উত্তর পায়নি।ওর বন্ধুর জন্মদিন ছিলো তাই নাকি দিয়েছে।রীতি যেই রিমনকে চেপে ধরবে সত্য বের করার জন্য ঠিক ওই সময় মা এসে বলে দুজনকে রেডি হয়ে নিতে মামার বাড়ি যাবে।
রীতির ফোন বেজে উঠলো।রীতি ফোনের স্কিনে আননোন নাম্বার দেখে রেখে দিলো রিসিভ না করেই।কিন্তু ফোন সেটা মানতে নারাজ তাই বেজেই চলেছে।রীতি ফোন রিসিভ করে সালাম দিলো কিন্তু কোনো উত্তর নেই।রীতি কিছুক্ষণ হ্যালো হ্যালো বলে ফোন রেখে দিলো।রক্তিম আকাশের দিকে আবারো চেয়ে রইলো।হটাৎ কি মনে করে নাম্বারটা চেক করলো।অচেনা নাম্বার।ওর মন কেনো যেনো বলছে এটা যদি সাদিব হয়।নাম্বারটা সেভ করে সকল সোসাইল সাইটে সার্চ করলো।কিন্তু তাতে রীতি হতাশ হলো।কারণ রীতি নাম্বারের মালিককে খোজে পেতে সক্ষম হয়নি।

কিছুক্ষণ পর আবারো ফোন বেজে উঠলো।রীতি রিসিভ করে ওপাশ থেকে কেবল নিশ্বাসের শব্দ পেলো আর কিছু শুনতে পাচ্ছেনা।রীতি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
—-“কে আপনি কথা কেনো বলছেন না?যদি কিছু বলার না থাকে তো ফোন করে বিরক্ত করবেন না।আদার ওয়াইস আমি আপনার নাম্বার ব্লক করে দেবো।”

রীতি কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো উত্তরের আশায় কিন্তু কোনো উত্তর পেলো না।তাই ফোন কেটে নাম্বার ব্লক লিষ্টে রেখে দিলো।

“কিরে রীতি তুই ছাদে দাড়িয়ে গোধূলি বিলাশ করছিস আর আমি এসে তোকে পুরো বাড়ি তন্নতন্ন করে খোজছি।”
কন্ঠস্বরটা শুনে রীতির মন হুট করেই কিছুটা ম্যাজিকের মতো ভালো হয়ে গেলো।

রীতি হাসি হাসি মুখ করে ঘুরে দাড়ালো।
তারপর বললো,
—-“মামু কা বাচ্চি।আমি একা একা বোর হচ্ছি আর তুমি শ্বশুর বাড়ি জামাই আদর খাচ্ছো?”

রীতির ছোট মামা রীতির চশমা খোলে নিয়ে বললো,
—-“আরে না জামাই আদর না।তোর মামীর শরীরটা ভালো ছিলোনা তাই কিছুদিন ছিলাম।ইউ নো এই সময় মেয়েরা হাসব্যান্ডকে পাশে চায় কতটা।আমিও না তুই বুঝবি কই থেকে?তুই তো শুধু বইয়ের পাতা চিনিস।”

—–“মামা! বেশী হয়ে যাচ্ছে।”(নাক ফুলিয়ে)
রীতির মামা হেসে ফেললেন।

রীতি এসব কথা বাদ দিয়ে মামীর খবর নিতে চাইলো।
—–“মামী এখন কেমন আছে?পুচকো আসতে আর কতদিন?তোমার একটা ছেলে হলেই তবে না আমার কপালে একটা বয়ফ্রেন্ড জুটবে।”

—–“কি আর করা ভাগ্নি আরো ৩মাস ওয়েট কর।আমার ছেলেটা আসুক।তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোর বিয়ে দিয়ে দেবো।আমার আর আমার বউয়ের খাটনি কম হবে।রুব্বান রহিমকে লালন পালন করবে।হাহা।”

—-“এই প্ল্যান তোমার?তাহলে তার আগেই অন্য কাউকে জুটিয়ে নেবো।বুঝেছো মামা?”

রীতির মামা হকচকিয়ে উঠলো।
—-“এই এই দাড়া তুই আবার প্রেম ট্রেম করছিস না তো?”

রীতি মামার কথা শুনে ঘাবড়ে গেলো।শুকনো হেসে বললো,
—-“কি বলো মামা,সামনে আমার পরীক্ষা।পরীক্ষা রেখে প্রেম ট্রেম ইম্পসিবল।”

মামা তবুও সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালো রীতির দিকে।

রীতির ছোট মামা রীতির ৮বছরের বড়।বছর খানেক হলো সে বিয়ে করেছে।রীতি ওর মামার সাথে অনেক ফ্রি।মামার বয়স কম হওয়ায় দুজনের সাথে মামা ভাগ্নীর সম্পর্কের চেয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কটাই বেশি।
দুজনে মিলে ছাদে দাড়িয়ে মাগরিবের আজান পর্যন্ত আড্ডা দিলো।রীতির মনটা ফুরফুরে লাগছে।ছোট মামা না থাকতে ওর কাছে মামা বাড়ি নির্জীব মৃত লাগে।

মাঝরাত।ঠান্ডাটা খুব করে পড়েছে।রীতি মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে আছে।হটাৎ ওর ফোনটা বেজে উঠলো।রীতি বিরক্তি নিয়ে ফোনটা কেটে সাইলেন্ট করে রেখে দিলো।এই মাঝরাতে ওর জানতে ইচ্ছে করছে না কে ফোন করেছে।ফোন সাইলেন্ট করে আবারো ঘুমিয়ে পড়লো।তারপর আবার উঠে বসে।চুলটা খোপা করে ফোন নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো।নাম্বারটা চেক করে নিলো।এটা অন্য নাম্বার।আগেরটা ব্লক লিষ্টে।রীতি গভীর ভাবে ভাবছে কে হতে পারে?কেউ একজন তো আছেই যে কিনা ওকে চিনে,ওকে ফোন করছে কিন্তু পরিচয় দিতে চাইছেনা।কিন্তু সে কে।রীতি এমন কাউকে দেখছেনা যে কিনা ওকে এভাবে ফোন করতে পারে।

রীতি ফোনের স্কিনে চেয়ে আছে।যদি আরেকবার ফোন করে তো রিসিভ করবে।কিছু জিজ্ঞেস করবে।
রীতি বারান্দায় পাইচারি করছে কিন্তু ফোন আসছেনা।
হটাৎ ফোনে মেসেজ এলো।রীতি তাড়াতাড়ি মেসেজ ওপেন করলো।
“ঘুমিয়ে আছো?”

রীতি তাড়াতাড়ি টাইপ করলো,
“ঘুমাতে দিলেন কই?মাঝরাতে ফোন দিয়ে ঘুমের ১৩টা বাজালেন।কে বলুন তো আপনি? ব্লক খাওয়া পার্সোন?”

ওপাশ থেকে উত্তর এলো,
“বিরক্ত করার জন্য দুঃখীত।আসলে ভালো লাগছিলো না তাই তোমাকে কল করেছিলাম।”

রীতি রিপ্লাই করলো,
“সে নাহয় বুঝলাম কিন্তু আপনি কে?নামটা বলুন প্লিজ।”

অপর প্রান্ত থেকে উত্তর এলো,
“নাম বললে চিনবে না।বাট আমি তোমাকে চিনি।নাম না বলাই ব্যাটার।”

রীতি উত্তর দেখে কয়েক সেকেন্ড স্তব্ধ হয়ে রইলো।
এতোক্ষণ ভেবেছিলো সাদিব কিন্তু নাম বললে চিনবে না এটা শোনার পর ওর সেই আশায় দুই বালতি পানি ঢেলে দিয়েছে।সাদিবকে চিনবে না তা কি হয়?এ আবার কে?কই থেকে জুটলো।
রীতি কড়া করে মেসেজ দিয়ে বললো,
“এই খবরদার আরেকবার মেসেজ কিংবা ফোন দিলে আপনাকে খুন করবো।চিনি না জানি না।পাগলের আমদানি মাঝরাতে।”

অপর পাশের মানুষটি মেসেজ পড়ে মুচকি হাসছে।আর বলছে,
“খুন তো কবেই করে ফেলেছো কিন্তু বুঝতে চাইছো না।আর পাগল? হুম, পাগল! ঠিকি বলেছো।আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।”

রীতি আরো দুদিন পরে বাড়িতে ফিরেছে।বাড়িতে ফিরেই বই নিয়ে বসেছে।দিয়া আর সাবিহা রীতিকে এক প্রকার টেনে হিচড়ে ছাদে নিয়ে গেলো।তারপর ওদের গসিপ শুরু হলো।
সাবিহা ওর বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এই চারদিন যা যা ঘটেছে তা পাই টু পাই বলছে আর রীতি বিরক্ত হচ্ছে।
এর মধ্যে দিয়া গুড নিউজ দিলো।

—-“আরে সাবিহা অফ যা,রীতি আপু আসল ঘটনা শুনো চারতলার জুই আপুর বিয়ে।আপুর ভাই নেই তাই বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব এই বিল্ডিংয়ের ছেলেরা নিয়েছে আর সাদিব ভাই লিডার।আর তার বিয়ের সাজগোছ,শপিং এর কিছু দায়িত্ব আমার আর সাবিহার উপর পড়েছে।চাইলে তুমিও জয়েন হতে পারো।”
দিয়া বললো।

রীতি আতংকিত হয়ে বললো,
—-“এই বিল্ডিংয়ে বিয়ে? মাই গড।আমার পড়াশোনা।দিয়া আমি এসবে থাকতে চাইনা।আমার দুমাস পর ফাইনাল পরীক্ষা।তোমরাই থাকো।”

—-“আচ্ছা বাদ দেও।এই কয়দিন তোমাকে খুব মিস করেছি।এতদিন পর দেখা চলো সেলিব্রেট হয়ে যাক।আপু গান ধরো।”
দিয়া বললো।

রীতি ঢোক গিলে বললো,
—-“আমি গানের “গ”ও জানি না বেব।মাফ চাই।”

সাবিহা আর দিয়া দুজনেই রীতিকে জেকে ধরলো।
—-“প্লিজ প্লিজ।”
রীতি গান টান আসলেই তেমন গায় না।পারেও না তেমন।

ওদের জোরাজোরিতে রীতি গান ধরলো।

সুরুজ হোয়া মাধ্যম,চাদ জ্বলনে লাগা
আসমায়ে হায় কিউ পিঘালনে লাগা(২)
মেহ ঠেহেরা রাহা জমিন চনলে লাগা
ধার্কা ইয়ে দিল সাস থামনে লাগা

হোওও..কেয়া ইয়ে মেরা পেহেলা পেহেলা পেয়ার হে সাজনা….কেয়া ইয়ে মেরা পেহেলা পেহেলা পেয়ার হে…

সাদিব সাবিহার মুখে রীতির আসার খবর শুনে ছাদের গেটের সামনে এসে দাড়িয়েছে।রীতির কন্ঠে গান শুনে পুরোই থ।রীতির মতো নিরামিষ মার্কা মেয়ে গান গাইছে এটা ভেবেই সাদিব ছোট্ট খাটো স্ট্রোক করে ফেললো।
গান গাইতে গাইতে রীতির হটাৎ সাদিবের দিকে চোখ যেতেই রীতি গান থামিয়ে চোখ বড়বড় করে রেলিঙের দিকে ঘুরে গেলো।রীতি চোখ মুখ বন্ধ করে রেলিঙ ধরে দাড়িয়ে আছে।লজ্জায় ওর মাথা কাটা যাচ্ছে।সব সময় কেনো সাদিবের সামনেই লজ্জায় পাড়তে হয়।
সাবিহা আর দিয়া মনোযোগ দিয়ে গান শুনছিলো সাদিবের জন্য রীতি লজ্জা পেয়ে গান অফ করে দিয়েছে তাই সাবিহা ভাইয়ের সামনে গিয়ে রাগ ঝাড়ছে।

চলবে….