গোধূলী বেলায় প্রেম পর্ব-০৫

0
3851

#গোধূলী_বেলায়_প্রেম
#ফাবিহা_নওশীন

|পর্ব~৫|

রীতি যাওয়ার পর সাদিব পানি দেওয়া বন্ধ করে চশমার বক্স হাতে তুলে নিলো।
চশমাটা রীতি ফেরত দেওয়ায় ওর ইগোতে বেধেছে কিন্তু সেটা রীতির সামনে প্রকাশ করে নি।
সাদিব চশমার বাক্স ছুড়ে মারলো।সেটা মাটিতে বাড়ি খেয়ে ছিটকে কোথায় গিয়ে পৌছেছে সেটা সাদিবের অজানা।
সাদিবের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।চশমাটা নিলে কি এমন ক্ষতি হতো?কেনো ফিরিয়ে দিলো?

আজ এক সপ্তাহ ধরে রীতি সাদিবকে আগের মতো কোথাও দেখছেনা।প্রতিদিন সকালে অসংখ্যবার বাগানে উঁকিঝুঁকি দেয় এই বুঝি সাদিব পানি দিতে আসবে কিন্তু আসেনি।
রোজ বিকেলে ছাদেও অপেক্ষা করে সাদিবকে এক নজর দেখার জন্য।কিন্তু সাদিব ছাদেও যায়না।মাঝে একবার শুধুমাত্র সিড়িতে দেখা হয়েছিলো।সাদিব রীতিকে না দেখার ভান করে নিজের মতো উপরে চলে যায়।রীতির দিকে একটিবার চায়নি পর্যন্ত।
এসব ভেবে জানালার গ্রিল ধরে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।বুকের ভেতর কেমন চিনচিনে ব্যথা অনুভব করছে।
নিজেকে নিজেই বুঝাচ্ছে হাজারো কথা।
“রীতি সাদিবকে নিয়ে তোর ভাবনা আর সাদিবের ভাবনার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।ভাবনার জগতে নিজেকে হারিয়ে ফেলিস না।নয়তো একদিন নিজের অস্তিত্ব খোজে পাবিনা।তখন অনেক কষ্ট পেতে হবে, দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে।এখনো সময় আছে নিজেকে সামলে নে।”

আজ বাবা ওকে চশমা দিয়েছে।চশমা ছাড়া দীর্ঘ ১০দিন থাকায় চশমাহীন জীবনে অভস্ত্য হয়ে পড়েছে।কিন্তু রীতি ওর আগের লাইফে ফেরত যেতে চায় তাই চশমাটা পড়ে নিলো।আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।তারপর আবার চশমা খোলে আবারো দেখছে।দুটো আলাদা মানুষকে আবিস্কার করতে পারছে।চশমা রেখে লম্বা চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে আবারো নিজেকে দেখছে।
তারপর আবার চশমা পড়ে নিজেকে দেখছে।নিজের এই অদ্ভুৎ কান্ডের জন্য নিজেই নিজের উপর ক্ষিপ্ত হলো।চুল বেধে চশমা পড়ে কিচেনে গেলো এক কাপ চা খেতে হবে।চা খেয়ে নিজেকে একটু ঠান্ডা করতে আপাতত ব্যস্ত।

সাদিব বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।আকাশে গোল চাদ উকি দিচ্ছে।চাদের আলোর আভা ছড়িয়ে পড়েছে।বাগানটাও দিনের আলোর মতো পরিস্কার দেখতে পাচ্ছে।
বাগানের দিকে চোখ যেতেই ওর সেদিনের ঘটনা মনে পড়লো।আর রাগ হতে লাগলো।রীতি ওকে ইনসাল্ট করেছে।সেটা ভাবতেই রাগটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
সাদিব গিটার নিয়ে এলো রুম থেকে।একমাত্র গানই ওর মনটা ভালো করতে পারে।
বিদ্যুৎ চলে গেছে।ইদানীং হুটহাট বিদ্যুৎ চলে যায়।রীতি বারান্দায় এসে দাড়িয়েছে।বিকেলে বৃষ্টি হয়েছে তাই পরিবেশটা যথেষ্ট ঠান্ডা।
রীতি ফোনে ফেসবুকিং করছে।

সাদিব গিটার নিয়ে এসে বারান্দার চেয়ারে বসলো।তারপর গিটারে সুর তুলছে।রীতির কানে গিটারের শব্দ পৌছাতেই রীতি কান খাড়া করে রাখলো।

“আমি নিতে দেবোনা সময়কে
এক মুঠোভরা জ্যোৎস্না
চাদঁটা যতই দূরের হোকনা
ছুতে আমি চাইনা।
পৃথিবীর সব অপার বিস্ময়
থাক আমার অদেখা।
শূন্য খাতার প্রতিটি পাতায়
সময় কাব্য অলেখা
আমি মেলবোনা আর স্বপ্নডানা
ঐ নীল মেঘেদের ছোয়ায়
আমি লিখবো না আর কাব্য কোনো
স্মৃতির ছেড়া পাতায়।”

সাদিবের মনটা ফুরফুরে লাগছে।
রীতির গাল বেয়ে পানি পড়ছে।কখন চোখ দিয়ে পানি পড়ে গেছে টেরই পায়নি।সাদিবের গানের সাথে যেনো রীতির ভাবনা মিলে যাচ্ছে।সাদিব যেনো রীতির প্রতিচ্ছবি হয়ে রীতিকে-ই বলছে প্রতিটি লাইন।

.

সাবিহা কোচিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ১৫মিনিট ধরে।একটু পর পর হাতঘড়ি দেখছে।আর বিরক্তিতে কপাল কুচকে যাচ্ছে।ওর চোখ কাউকে খোজছে।বারবার ডানেবামে তাকাচ্ছে।
সাবিহা কিছুটা ভয় পাচ্ছে।
“ভাইয়া যদি এখন ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বের হয় আর আমাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তবে আমার খবর আছে।আর কোচিংয়ের ভেতরে একবার ঢুকলে
বের হতে পারবোনা।রিজভীর সাথে দেখা হবেনা।উফফ রিজভী তুমি কোথায়?কেনো এখনো আসছোনা?আমাকে কেইস খাওয়াবে?ভাইয়া যদি আমাকে দেখে মেরে ফেলবে।”
আর তখনই একটা বাইক এসে থামলো।বাইক থেকে একজন ড্যাশিং বয় নামলো।সাবিহার মুখে হাসি ফুটলো।

সাবিহা হাসি থামিয়ে বললো,
—–“এতো দেরি করলে কেনো?ক্লাস শুরু হয়ে গেছে আমি যাচ্ছি বায়।”

—–“আরে আরে এতো তাড়াতাড়ি কেনো?”

—–“কারণ তুমি লেইট।আমার ক্লাস লেইট হয়ে যাচ্ছে।”

—–“তাহলে ক্লাসের পর আসতে বলতে।একটু গল্প তো করতে পারতাম।তোমাকে তো মন ভরেও দেখতে পেলাম না।আর তুমি তাড়াহুড়ো করছো?”

—–“রিজভী আমাকে দেখার এতো ইচ্ছে হলে আরো তাড়াতাড়ি আসতে।দায়সারা কথা বলোনা।আর ক্লাস শেষে দেরি করে বাড়িতে ফিরলে মাকে কৈফিয়ত দিতে হবে।অনেক জেরার মুখোমুখি পড়তে হয়।সো সরি এন্ড বায়।”

সাবিহা কোচিংয়ের ভেতরে ঢুকে গেলো দৌড়ে।রিজভী তখনো ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
আর তার কিছুটা দূরে রিক্সা থামিয়ে রিক্সায় বসে আছে রীতি।রীতির কেমন জানি খটকা লাগছে।সাবিহা কার সাথে এতোক্ষণ যাবত কথা বললো?
বিষয়টি বিস্তারিত না জানা পর্যন্ত ওর শান্তি নেই।

.

রীতি বিছানায় শুয়ে জানালার গ্রিলে পা তুলে ফোন ঘাটছে।ফেসবুকে সাদিব নামে সার্চ করছে।কিন্তু সাদিবের আইডি পাওয়াই যাচ্ছেনা।যেসব নাম সাদিব নামে আসছে সেগুলো যে সাদিব নয় তাতে ওর বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।রীতি সাদিবের শিউর নেম জানেনা।ওর অন্য নাম থাকতে পারে।তবে সেটা জানার জন্য রীতির বর্তমানে সাবিহার ফেসবুক আইডি প্রয়োজন।
রীতি ফোন নিয়ে দিয়ার ফ্ল্যাটে চলে গেলো।সেখান থেকে সাবিহার ফেসবুক আইডি নিয়ে ফ্রেন্ডলিস্ট ঘাটতে শুরু করলো।
ফ্রেন্ডলিস্ট অনলি মি করা।তাই ওর ডিপি পোস্ট এর রিয়েক্টর চেক করলো।সেখানে সাদিব রায়হান নামে একজন পেলো।রীতির খুশি দেখে কে।সাদিবের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস চেক করে শকড খেলো ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেওয়া।
রীতির হাত রীতিমতো কাপছে।ফোন ধরে রাখার মতো সামান্যতম শক্তি হাতে অবশিষ্ট নেই।হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো।সাথে দু ফোটা চোখের পানি।বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠলো।রীতি ফোন তুলে কমেন্ট চেক করলো।স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ নেই।কমেন্টে অনেকেই প্রশ্ন করেছে কে সে,ভাবির নাম কি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আদিবের একটাই উত্তর আছে একজন যাকে ভালোবাসি,অদৃশ্য কেউ।
রীতির কেনো জানি মনে হচ্ছে এই মেয়ে ওর কল্পনার কেউ।আর এই স্ট্যাটাস ১বছর আগের।
রীতি সাদিবের সব পোস্ট, কমেন্ট, রিয়েক্ট ঘেটে তেমন কিছুই পেলোনা।মনের মধ্যে কিছুটা হলেও শান্তি অনুভব করছে।

রীতি বিকেলে সাবিহাকে পেয়ে নানা কথার ফাকে ইনিয়ে বিনিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—–“তোমার বফ আছে? ”

সাবিহা দমে গেলো।তারপর বললো,
—-“উহু।”
রীতির সাবিহার কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।ওর মনে হচ্ছে সাবিহা ব্যাপারটা লুকাচ্ছে।রীতিকে বলতে চাইছেনা।কেউ যেচে না বললে জোর করে জানা যায় না।

হটাৎ সাবিহা বললো,
—–“হ্যা আছে।কিন্তু প্লিজ কাউকে বলোনা।”

রীতি সাবিহার কথা শুনে বুঝতে পারলো ওই ছেলেটার সাথেই ওর কিছু চলছে।
তাই জিজ্ঞেস করলো,
—–“সেই ছেলে তোমার বফ যে কিনা গতকাল তোমার কোচিং এর বাইরে বাইকে করে এসেছিলো?”

সাবিহা রীতির কথা শুনে চমকে গেলো।তারমানে রীতি দেখেছে।আর কেউ দেখেনি তো?কেউ যদি দেখে আর এসব ওর বাবার কানে গেলে ওর খবর আছে।
সাবিহা কাপা কাপা গলায় বললো,
—–“তুমি দেখেছো?”

রীতি ছোট্ট করে বললো,
—–“হুম।”

—–“ওর নাম রিজভী।ভালো চাকরি করে।ভালো ফ্যামিলি।আমাকে খুব ভালোবাসে।আর আমিও ওকে খুব ভালোবাসি।প্লিজ আপু কাউকে বলোনা।”

—–“আচ্ছা বলবোনা।যদি তোমার বফের পিক দেখাও।ডিটেইলস বলো।”

রীতির ছেলেটাকে দেখে অতিরিক্ত স্মার্ট মনে হচ্ছে।কিছুটা ফাতরাও মনে হচ্ছে।অল্প বয়সী বেশিরভাগ মেয়েরা এখন এমন ছেলেদের প্রেমেই পড়ে।

.

সাদিবের পাত্তা নেই বেশ কিছুদিন ধরে।ওদের ভার্সিটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সাদিব গান গাওয়ার প্রিপারেশন নিয়েছে।ব্রাউন কালার পাঞ্জাবি পড়বে বলে ঠিক করেছে।রীতি যে সাদিবের ভার্সিটিতে পড়ে সেটা সাদিবের আজো অজানা।

রীতি ভাবছে এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ওর বান্ধবীদের মতো শাড়ী পড়বে।আগেরবার সাধারণ ভাবেই প্রোগ্রামে এসেছিলো।তেমন কোনো সাজগোছ ছিলো না।কিন্তু এইবার অন্যরকম কিছু ভাবছে।
তবে সমস্যা হলো ওর অন্য মেয়েদের মতো তেমন মেকাপ সামগ্রী নেই।মায়ের শাড়ির কালেকশনে অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি আছে।।রীতি মায়ের আলমারি থেকে গাঢ সবুজ রঙের একটা শাড়ি পছন্দ করলো তারপর ম্যাচিং করে এয়ারিং আর কাচের চুড়ি সিলেক্ট করে নিলো।
তবুও রীতি মন খারাপ করে বসে রইলো।ওর তো মেকাপ নেই।লিপস্টিক আর কাজল দিয়ে গর্জিয়াছ সাজ হবেনা।কিন্তু রীতি গর্জিয়াস সেজে তাক লাগিয়ে দিতে চায় সাদিবকে।
.

সাদিব ভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিটার নিয়ে অনুশীলন করতে বসেছে।কিছুক্ষণ পরেই অনুষ্ঠান শুরু হবে।তাই ফাকা জায়গায় বসেছে কিছুটা অনুশীলন করতে।
রীতি সাদিবকে দেখতে পেয়ে বান্ধবীদের নিয়ে ওর আশেপাশে ঘুরঘুর করছে।অবশেষে রীতিও বান্ধবীদের সাহায্যে গর্জিয়াছ সেজে ভার্সিটিতে এসেছে চশমা ছাড়া।

সাদিব অনুশীলন শেষে গিটার রেখে চারপাশে দেখছে।হটাৎ একটা মেয়েকে দেখে সাদিবের চোখ আটকে যায়।শাড়ী পড়া একটা মেয়ে হেসে হেসে বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করছে।মেয়েটাকে ওর চেনা চেনা লাগছে কিন্তু ব্রেইনে হাজারো চাপ প্রয়োগ করে মনে করতে পারছেনা।
তাই পাশে থাকা বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলো,
—–“ওই মেয়েটাকে চিনিস কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে।”

সাবিদের ফ্রেন্ড আশিক বললো,
—–“অবশ্যই চিনি কেনো চিনবোনা?ও তোর এক্স ছিলো ভুলে গেলি?এক বছর আগে ব্রেকাপ করেছিলি।৩বছরের প্রেম ছিলো।সে কি কঠিন প্রেম রে বাবা?সে প্রেমিকাকে ভুলে গেলি?”
আশিক কথাগুলো বলে ফিক করে হেসে দিলো।
সাদিব চোখ পাকিয়ে তাকালো আশিকের দিকে।তারপর উঠে গিয়ে ওদের সামনে দাড়ালো।কাছ থেকে দেখলে হয়তো চিনতে পারবে।ওর চেনা চাই কে সে?

সাদিব ওদের কাছে গিয়ে দাড়িয়ে বললো,
—–“এক্সকিউজ মি,,,।”

রীতি সাদিবের কন্ঠ শুনে চমকে তাকালো।তারপর ঢোক গিলতে লাগলো।
সাদিব রীতির দিকে চেয়ে আছে।তারপর ডাইরেক্টলি বললো,
—-“কে বলুন তো আপনি চেনা চেনা লাগছে?”

রীতি সাদিবের কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলো।সাদিব ওকে চিনতেই পারছেনা।অথচ সাদিবকে চমক দেওয়ার জন্য এতো সেজেছে আর সেই চিনছেনা?রীতির এক বান্ধবী বললো,
—-“ভাইয়া এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।এখনকার ছেলেদের সুন্দরী মেয়ে দেখলেই চেনা চেনা লাগে।তাই আপনারও লেগেছে।ব্যাপার না।”

ওরা সবাই একসাথে হেসে দিলো।রীতি ফিসফিস করে চুপ থাকতে বললো।তারপর লজ্জা মাখা মুখে বললো,
—–“উনি আসলেই আমাকে চেনেন।আমরা উনাদের বাসায় ভাড়া থাকি।”

সাদিব কিছুটা অবাক হয়ে বললো,
—-“তুমি!!! রীতি?
মাই গড।তুমি এখানে পড়ো?”

রীতি মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।তারপর চুপ করে দাড়িয়ে আছে।কিছু বলছেনা।সাদিবের হাসি পাচ্ছে ও রীতিকে চিনতে পারেনি?হাসিটা দমিয়ে রেখে কিছুনা বলে ঘুরে মুচকি হাসতে হাসতে বন্ধুদের কাছে ফিরে এলো।
সাদিব একটু পর পর রীতিকে দেখছে।একদমই অন্য রকম লাগছে।মেয়েদের শাড়ী পড়লে আসলেই অন্য রকম সুন্দর লাগে।রীতিকেও অনেক সুন্দর লাগছে।রীতির লজ্জামাখা লাল আভা ছড়িয়ে পড়া মুখটা বারবার ভেসে উঠছে।রীতিকে ভালো লজ্জায় ফেলেছে আজ ও।একে তো শাড়ী পড়েছে,প্রথমবার এমন সাজে দেখছে তাও চশমা ছাড়া তাই চিনতে সমস্যা হচ্ছিলো।

চলবে…..