গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক পর্ব-০৩

0
2173

গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক

লেখক : Farhan Ahmed Sajjad

পর্ব : ৩

বাসায় আসার সময় জিসা আমার পিছনে বসার সাহস পাচ্ছে নাহ্!!

আমি জিসা কে বললাম : যা দেখেছ সব এখানেই ভুলে যাও!!

বাসায় যেনো এসব কথা বলতে না শুনি কেমন!!

জিসা মাথা নেড়ে হ্যা বললো!!

বাসায় এসেই ফ্রেস হয়েই নীলার বাসার ঠিকানা নিয়ে!!
আবারো বাইক নিয়ে বের হলাম!!

নীলার বাসার নিচে বাইক থামালাম ”
দেখতে পেলাম নীলার বাসায় অনেক লোকের ভীড় সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে!!

বিষয় টা বুঝতে বাসার ভিতরে গেলাম!!
ভিতরে গিয়ে দেখতে পেলাম!!

সাদা কাপড়ে মুড়ানো একটা লাশ!!
আমি লাশের উপর থেকে কাপড় সড়াতেই,
ছিটকে ২ হাত পিছনে পরে গেলাম!!

এটা তো নীলার লাশ ” নীলা সুইসাইড করেছে বাসা থেকে বিয়ের জন্য বেশি চাপ দেওয়ার জন্য!!

চোখ থেকে অঝড়ে পানি ঝড়তে লাগলো!!
কি করবো বুঝতে না পেরে আম্মুকে ফোন দিলাম!!

আমি : হ্যা আম্মু তুমি আমার বিয়ের জন্য নীলা নামের এক মেয়ের ছবি দেখিয়েছিলে সেই মেয়েটা সুইসাইড করেছে!!

এইটুকু বলেই আমি ফোন কেটে দিলাম!!

এরপর আমি নীলার রুমে গেলাম!!
নীলার বিছনার নিচ থেকে দুইটা চিরকুট পেলাম!!

একটা তে বাসা থেকে বেশি চাপ দেওয়ার কথা লিখেছে!!

অন্যটা তে লিখেছে : ফারহান একটা বখাটে ছেলে ” ফারহান কে কখনো আমি মেনে নিতে পারবো পারবো নাহ্!!
আমার জিবন নিয়ে অন্যেরা কেনো এমন করছে!!
আমার ভালো লাগে না এগুলা!!
আর ফারহান কে আমি চিনি” বাট না চেনার ভাব নিয়ে ছিলাম এতদিন!!

লেখাটা পড়ে নিজেকে নিজেই ঘৃনা করতে লাগলাম!!

এই চিরকুট টা আমি নিয়ে নিলাম!!

আমার জন্য এসব হয়েছে আম্মু হয়তো নীলার বাসায় বলে ছিলো আমি নীলা কে পছন্দ করেছি!!

আমি আবার দৌড়ে নীলার লাশের কাছে গেলাম!!
নীলার হাত ধরে বললাম মাফ করে দিও আমায়!!

সবশেষে
বাসায় এসে অনেক গুলা ঘুমের ঔষুধ খেতে যাচ্ছি এমন সময় জিসা এসে আমার হাত থেকে সব গুলো ঔষুধ ফেলে দিলো!!

আমি জিসা কে থাপড়াতে থাপড়াতে রুম থেকে বের করে দিলাম!!

জিসা গাল ধরে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো!!
আমি জিসা কে বললাম : তুমি কালকেই তুমার বাসায় চলে যাবে!!

মাথা পুরো গরম হয়ে রয়েছে!!
আমার জন্য এক মেয়ে সুইসাইড করেছে!!
সরি আমার জন্য নাহ্!!
আমাকে বিয়ে করবে না বলেই সুইসাইড করেছে!!

আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করলাম!!
বিয়ে তো দূরের কথা ” প্রেম পর্যন্ত করবো নাহ্!!

সিগারেট খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়লাম!!
রাত ১২ বা ১ টার দিকে লক্ষ্য করলাম!!
জিসা আমার পা য়ে মাথা ঠেকিয়ে কান্না করছে!!

আমি হুট করেই বিছানাতে বসে পড়লাম!!
জিসার দিকে তাকাতেই জিসা ভয় পেয়ে দৌড়ে রুম থেকে বেড়িয়ে চলে গেলো!!

সো আমি আবার ঘুমানোর চ্রেষ্টা করলাম!!
বাট ঘুম আসছে নাহ্!!

তাই বাইক দিয়ে রাতেই বেড়িয়ে পড়লাম!!

রাস্তা একদম ফাকা মাঝে মাঝে দু একটা গাড়ি চলছে!!
বাইক অনেক স্পিডে চালাচ্ছি!!

হঠাৎ লক্ষ্য করলাম!
এক বৃদ্ধলোক রাস্তার পাশে সুয়ে আছে বাট শীতে কাপছে!!

আমি বাইক টা থামিয়ে লোকটার কাছে গিয়ে দেখি!!
লোকটার গায়ে কিছু নেই এই শীতে খালি গায়ে শুয়ে আছে!!

আশেপাশে কোন দুকান খুজতে লাগলাম বাট কিছুই খুলা পেলাম নাহ্!!

তাই আমার শরির থেকে চাদর খুলে লোকটা কে ডেকে দিলাম!!

এরপর সেখান থেকে চলে আসছিলাম বাট একটু দূরে দুজন লোকের উপস্থিতি টের পেলাম!!

এতরাতে কে ওখানে বিষয় টা বুজতে সামনে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম!!
সেটা বলার মত না!!

ছেলে মেয়ে দুজনেই উলঙ্গ!!
নষ্টামি করতে ব্যাস্ত ”

আমাকে দেখেই দুজন কাপড় পড়ে নিলো!!
ছেলেটা আমার দিকে এগিয়ে এসে বললো :- এই কে রে তুই??

আমি : ঐ মেয়েটা কি লাগে??
ছেলেটা : আমার Gf আর তুই কে সেটা বল!!

আমি : বিয়ের আগেই এসব!!

এইবলে দুজনের ছবি তুলে সেখান থেকে চলে আসছিলাম!!
বাট ছেলেটা পিছন থেকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো!!

বিশাল বড় ভুল করে ফেললো ” কারন আমার মুড ভালো নেই তাই বেশি কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে আসতে চেয়েছিলাম!!
বাট কি আর করার,

ছেলেটার নাকে কিছু ঘুষি মারতেই ছেলেটা জ্ঞান হারালো!!
এরপর মেয়েটার দিকে তাকাতেই দেখি মেয়েটা ভয়ে কাপছে!!

আমি মেয়েটার চুল ধরে বুকের মধ্যে একটা লাথি মেরে বললাম : তোদের বিয়ে হয়েছে??

মেয়েটা : না ”
আমি : তুই তো মুসলিম তাই না, তোর তো বেচেঁ থাকার’ই অধিকার নেই জেনা করেছিস তুই!!

মেয়েটা : প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন আর এমন হবে না!!

আমি : আমি মাফ করার কেও না!!
তোর বাসার ঠিকানা দে!!

মেয়েটা প্রথমে না দিলেও থাপড়িয়ে ঠিকানা বের করলাম!!
এরপর ছেলে মেয়ে দুজন কে নিয়ে মেয়ের বাসায় দিয়ে মেয়ের বাবা কে সব কাহিনি বলে এরপর আমি চলে আসলাম!!

এর মধ্যেই ফজরের আযান দিয়ে দিছে!!
আমি বাইক নিয়ে সোজা মসজিদে চলে গেলাম!!

নামায আদায় করে, এরপর
নীলার কবর জিয়ারত করতে নীলার কবরের কাছে গিয়ে দাড়াতেই কেমন যেনো চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারলাম নাহ্!!

নীলা আমার বেশি কাছের ছিলো না বাট তবুও কেনো এতটা মিস করতেছি বুঝতেছি না!!

যাইহোক সব শেষে বাসায় আসলাম!!

আপু : সারারাত কই ছিলি!!
আমি: কোথাও না!!

আপু : জিসা কে কি বলেছিস??
আমি : কেনো কি হয়েছে??

আপু : জিসা সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিছু না বলে চলে গেলো কেনো??

আমি : যানি না!!!

সো রুমে এসে গোসল করে নাস্তা করতে বসলাম!!
এমন সময় আম্মু বলে উঠলো : – তোর মামা কে বলেছি ভালো মেয়ের খুজ করতে, সমস্যা নেই তুই চিন্তা করিছ নাহ্!!

সকাল সকাল আবারো মন টা খারাপ করে দিলো!!
তাই খাবারের মধ্যেই পানি ঢেলে ভার্সিটির দিকে গেলাম!!

ভার্সিটি গিয়ে চুপচাপ এক জায়গায় বসে রয়েছি!!

এক ফ্রেন্ড এসে বলল : দোস্ত যানিছ আজকে ভার্সিটিতে নতুন এক মেয়ে আসছে সেই জিনিস” ভার্সিটির সব ছেলের লোম দাড়িয়ে গিয়েছে মেয়েটাকে দেখে!!

আমি : একটু বেশি হয়ে গেলো না??

ফ্রেন্ড : আরে নাহ্ তুই নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবি না চল তোকে দেখাই!!

আমি : তুই কি পাগল নাকি আমি যাবো মেয়ে দেখতে!!

ফ্রেন্ড : তোর যেতে হবে না মেয়েটা তোর দিকেই আসছে!!

আমি মেয়েটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলাম!!
অসাধারণ এত সুন্দরী মেয়ে হয়তো এই প্রথম দেখলাম!!

বাট মেয়েটা আমার দিকে আসছে কেনো!!
আমার মুড এখন ঠিক নেই!!
বেশি বুঝলে এটাকেও থাপড়াবো!!

মেয়েটা আমার সামনে এসে দাড়ালো”
এরপর আমার মত করেই”
মেয়েটা আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে লাগলো!!
আমি কিছুটা অভাক হলাম!

#চলবে???