গ্রামের লাজুক মেয়ে পর্ব-০৫

0
866

#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ৫…

√-রিতুঃ সরি ভাইয়া (মায়াবী ভাবে)

আমিঃ সরি কেনো?

রিতুঃ আসলে আপনার সাথে রাস্তায় আমি যত দুষ্টুমি করছি, আমি একটাও ইচ্ছা করে করি নাই, করতে হয়েছে(মায়াবী ভাবে)

আমিঃ করতে হয়েছে মানে??

রিতুঃ আসলে আমার বাসে উঠলে খুব বমি হয়। গতকাল রাতে কাকিমা কে বললাম,,, আমি যে শুভ ভাইয়ার সাথে যাবো ওতো দূরে , পরে যদি বমি হয় তখন খারাপ দেখা যাবে তো কাকিমা…
পরে কাকিমা এই বুদ্ধি দিলো আমায়…

আমিঃ কি বুদ্ধি দিয়েছে আন্টি?

রিতুঃ কাকিমা বললো, শুভ খুব ভালো ছেলে, ওর সাথে তুমি গল্প করতে করতে যাবে, তাহলে গল্পের মধ্যে থাকলে আর বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আর শুভ ও তোমার মতই লাজুক, মেয়েদের সাথে কথা বলতে পারে না সাজিয়ে, আমি ওর আন্টি হয়, তাও ও আমার সাথেই কথা বলতে পারে না, তাহলে বুঝো.. তুমি যদি একটু লাজুকতা কমিয়ে ওর সাথে দুষ্টুমি করতে পারো পুরো রাস্তায়, দেখবে তাহলে কথায় কথায় বাসায় পৌঁছে যাবে তোমরা, বুঝতেও পারবে না। সেই জন্য আমি একটু দুষ্টুমি করছি, সরি ভাইয়া..
আর বুবু আপনার অনেক প্রশংসা করছে, কেনো জানি আপনার সাথে কথা বলার পর আপনাকে দাদু বলতে ইচ্ছা হল, তাই বলছিলাম সরি,,, ভাইয়া…

আমিঃ সমস্যা নেই, আমার ও আপনার কথা গুলো অনেক ভালো লাগছে।

রিতুঃ আপনি ভাইয়া খুব ভালো, অন্য কেনো ছেলেকে এই ভাবে রাগালে হয়তো তখনি সে আমাকে বাজে ভাবে বকা দিতো অথবা থাপ্পড় দিতো। আর আপনি সব সহ্য করলেন, সত্যি আপনি অনেক অনেক ভালো।
আপনার যে বউ হবে, সে অনেক সুখে থাকবে। আপনি অনেক ভালো, আপনার সাথে এই টুকু সময় থেকেই বুঝতে পারছি। আপনার বউ অনেক ভাগ্যবতী হবে(মুচকি হাসি দিয়ে)

আমিঃ ☺☺☺

~ আমার হাত থেকে তার ব্যাগ নেওয়ার সময় তার হাতের ছুয়া লাগলো আমার হতে। কত তুলতুলে নরম হাত। শরীরের মধ্যে যেনো সুরসুরি দিয়ে উঠলো। জীবনে অনেক মেয়ের হাত ধরছি, যেমন ভাবির.. কিন্তু এই রকম অনুভূতি আজ প্রথম হচ্ছে, বলে বুঝানো মুসকিল। হাত ছুঁয়া লাগাতে রিতু আমার দিকে তাকিয়ে, আস্তে করে সরি বলে মুচকি হাসি দিলো। আমি শুধু তার মায়াবী হাসি দেখতে লাগলাম।
আমি বাসার মধ্যে ঢুকলাম, রিতুও আমার পিছনে পিছনে ঢুকলো।

ভাবি আমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে বললোঃ- এই যে মিষ্টার, এতো রাগ দেখান কেনো শুনি? আমি কি আপনার রাগ ঢালার পাত্র? ?

আমিঃ মোটু ভাবি বলে কি..(মুচকি হেসে দিয়ে রুমের দিকে যেতে লাগলাম)

ভাবিঃ আমি মোটু তাই না? তোমার ভাই কখনো বললো না আমি মোটা, আর তুমি বললে আমি মোটু, আজ তোমার ভাইয়ের কাছে নালিশ দিবো তোমার নামে বলে দিলাম ( পিছন থেকে ভাবি বলতে লাগলো)

আমিঃ যাও বলো গিয়ে, হি হি।

~আমি রুমে চলে গেলাম। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে আরামে একটা ঘুম দিলাম। রাতে ঘুম ভাঙ্গলো। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ৮ টা বাজে। মোবাইল দেখছি শুয়ে শুয়ে, এমন সময় ভাবি এসে বললো খেতে যেতে। ৫ মিনিট পর খেতে গেলাম। গিয়ে দেখি খাবার সব টেবিলে সাজিয়ে রাখছে ভাবি। আমি খাওয়া শুরু করা মাত্র রিতুকে নিয়ে ভাবি টেবিলের কাছে এসে বললো~

ভাবিঃ এই শুভ, আমার বোনের জন্য একটু অপেক্ষা করতে পারলে না, আগেই খাওয়া শুরু করলে…

~পাশে রিতু দাড়িয়ে থাকায় কথাটা শুনে খুব লজ্জা পেয়েছি, তাও উত্তর তো দিতে হবে, তাই বললাম~

আমিঃ আপনার বোনের জন্য আমি অপেক্ষা করবো কেনো?

ভাবিঃ অপেক্ষা করা তো তোমার দায়িত্ব। শত হলেও এটা তোমার ভাবির সুন্দরী বোন, আবার তোমার সুন্দরী বিয়ান..

আমিঃ আহারে কত সুন্দরী ? আমি তো বুড়ো মানুষ, তাই পিচ্চি পোলাপানের জন্য অপেক্ষা করি না হুমম।

ভাবিঃ আমার পিচ্চি দেবর কি বলে এই সব, তুমি বুড়ো হবে কেনো?

আমিঃ কি আর বলবো বলুন, আমি শুধু বুড়ো না, আপনার দাদা শ্বশুরও নাকি আমি, এতো টা বুড়ো নাকি আমি?

ভাবিঃ কে এমন কথা বলছে, তার নামটা একবার বলো, তারপর দেখো কি করি তাকে…

আমিঃ কে আর বলবে? আপনার সুন্দরী বোন বলছে ?

ভাবি রিতুর দিকে তাকিয়ে বললোঃ- তাই নাকি রিতু? এগুলো বলছিস তুই?

~ রিতুর আর কেনো কথা নেই। কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে আমাদের কথা শুনে। আমি এই কথা গুলো বললাম, কারন যদি সে এগুলো শুনে রেগে যায়, তাহলে বুঝবো আমার কপাল পোড়ছে, আর যদি হাসি দেয় তাহলে বুঝবো আমার গার্লফ্রেন্ড হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। যেহেতু হেসেছে তো ফেসেছে ~

~ রিতুকে ভাবি খাবার বেড়ে দিলো। রিতু আর আমি খাচ্ছি, ভাবি দাড়িয়ে আছে। আমি একটু পর পর রিতুর মুখের দিকে তাকাচ্ছি, এতো চেষ্টা করছি তাকাবো না, তাও চোখ রিতুর মুখের দিকে চলে যাচ্ছে। আমি যতবার তাকাচ্ছি, রিতুও ততবার মুখ চেপে ধরে মুচকি হাসি দিচ্ছে, মনে হয় লজ্জা পাচ্ছে সে ~

ভাবি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বললোঃ- এই দেবরজী, এই ভাবে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকতে নেই। নাহলে সবাই লুচ্চা বলবে কিন্তু হুমম…

আমিঃ আমি আবার কার দিকে তাকালাম?

ভাবিঃ আমি বুঝি দেখতে পাই না? তুমি বার বার আমার বোনটার দিকে তাকিয়ে দেখছো। সে তো ঠিক মত খেতেও পারছে না তোমার তাকিয়ে থাকার জন্য…

আমিঃ ভাবি তুমিই তো বললে এনি আমার ভাবির বোন, আবার আমার বিয়ান হই, তাহলে তাকিয়ে থাকলে কি সমস্যা হবে?

ভাবিঃ বিয়ান হলেও তো সে একজন মেয়ে তাই না বলো?

আমিঃ ও তাই, আমি তাকালো দোষ? আর যখন তোমার দিকে কেউ তাকিয়ে থাকে তাকে তো কিছু বলো না ?

ভাবিঃ আমার দিকে আবার কে তাকায়?

আমিঃ আমি বুঝি জানি না ভাবছো? তুমি যখন গোসল করতে যাও, ভাইয়াকে দেখি বার বার তোমার দিকে তাকিয়ে থাকে, কখন গোসল খানায় ঢুকবে তুমি, ঠিক তখনি ভাইয়া তোমার সাথে বাথরুমের ভিতরে ঢুকে যায়, তারপর তুমি একটু চিল্লা চিল্লি করো সয়তান, পাজি বলে… তারপর তোমাদের যে কে কাকে সাবান ঢলে দিচ্ছে বুঝাও মুসকিল ?

ভাবিঃ ও মা গো, তুমি এটাও দেখে নিয়েছো। আমার ইজ্জত শেষ ?‍♀ পাজি ছেলে, আজ তোমার ভাইয়া আসুক সব বলে দিয়ে নালিশ করবো দেখে নিয়ে তোমার নামে …

~ রিতু আমাদের কথা শুনে ভাতের দিকে তাকিয়ে হি হি করে হেসে দিলো। এমন সময় ভাইয়া এসে হাজির ~

আকাস ভাইয়াঃ কি নালিশ করবে আমার কাছে বলো? আমি হাজির…

আমিঃ না ভাইয়া কিছু না। এমনি মজা করছে ভাবি।

ভাইয়াঃ বুঝলাম তো মজা করছে, কিন্তু আমার বউটা কোথায় গো, আমার বুকে আসো তো একটু…

~ আমি ভাবির হাত টান দিয়ে আমার পাশের চেয়ারে বসিয়ে বললাম~

আমিঃ কিসের বউ তোমার, এটা আমার বউ ☺

ভাইয়াঃ আরে পাগল, ওই পেত্নী আমার বউ হতে যাবে কেনো? এটা হল আমার সুন্দরী বউ ? (বলে রিতুর হাত ধরে রিতুর পাশে বসে পড়লো)

~ রিতুর হাত ধরা দেখে আমার মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে ভাইয়ার উপর। আমার বউয়ের হাত কেনো ধরবে সে ? অবশ্য আমি তার বউয়ের হাত ধরে রাখছি, তাতে কি? আমি ধরতেই পারি অন্যের বউয়ের হাত, তাই বলে কি কেউ আমার বউয়ের হাত ধরবে নাকি ~

আমিঃ এই ভাবি, তোমার সামনে তোমার স্বামী অন্য মেয়ের হাত ধরবে, আর তুমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে নাকি? (ভাবির দিকে তাকিয়ে মেজাজ গরম করে)

ভাবিঃ আরে দুষ্টু ছেলে, ধরুক গিয়ে হাত৷ আমি আছি তো তোমার। তোমাকে হলে আমার আর কাউকে দরকার নেই পাগল.. (হাসি দিয়ে)

আমিঃ ভাবি এটা কিন্তু ঠিক না বলে দিলাম , সব সময় স্বামী কে এমন সুযোগ করে দিলে, বরের চরিত্র খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু তখন । ভালো চাইলে এখুনি রিতুর কাছ থেকে নিজের স্বামীকে সরাও বলছি…??

ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে বললোঃ- খুব নালিশ করা হচ্ছে আমার নামে তাই না। আমার সালিকে আমি ধরছি, তোর ও তোর ভাবির কি বল?

আমিঃ তোমার যতই সালি হক, তার জন্য তুমি একজন পরপুরুষ বুঝলে। এই ভাবে হাত ধরলে গুনাহ হয় জানো না তুমি? (রাগ হয়ে)

ভাইয়াঃ ওরে ভাই আমার, আমি আমার সালির জন্য পরপুরুষ, তাহলে তুই তোর ভাবির হাত ধরিস কেনো? তার জন্য তুই পরপুরুষ না বুঝি?

আমিঃ আচ্ছা এখন থেকে আর ধরবো না। এই বার তাহলে ওনার হাত ছাড়ো বলছি ?

~ আচ্ছা রে ছাড়লাম, বলে হাত ছেড়ে দিলো। ভাইয়া ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে চলে গেলো। আমি মনে মনে লুঙ্গি ড্যান্স দিলাম, আমি জিতেছি ঝগড়া করে, রিতুর হাত ছাড়াতে পারছি এটায় অনেক.. হি হি ~

খাওয়া দাওয়া শেষ করে রিতুর
সোজাসুজি চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে কথা বলছি, আর চান্স পেলেই রিতুর মুখের দিকে তাকাচ্ছি ☺

আমিঃ আচ্ছা ভাবি, বিয়ানের সাথে কি কি করা যায়? (হাসি দিয়ে)

ভাবিঃ মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা যায়, একটু দুষ্টুমি করা যায়…

আমিঃ প্রেম করা যায় না? (হাসি দিয়ে)

রিতুঃ শখ কত (মুখ ভেংচি কেটে ?)

ভাবিঃ পটাতে পারলে প্রেম ও করা যায় হা হা…

আমিঃ আচ্ছা ভাবি, বিয়ানের উপকার করা যায় না?

ভাবিঃ হুমম অবশ্যই করা যায় ☺

আমিঃ বিয়ানের যে পিঠ বেয়ে তার চুলের কাছে একটা তেলাপোকা উঠে গিয়েছে, আমি এটা বলে তার উপকার করতে চাই ☺

~ বলতে দেরি, চেয়ার থেকে উঠতে দেরী নেই রিতুর। ওমা ওমা বলে চিল্লাতে লাগলো সাথে লাফাচ্ছে ও কাপড় ঝারা দিচ্ছে। ভিষণ ভয় পেয়েছে হা হা।
ভাবি দৌড়ে গিয়ে পিঠে ও মাথায় ভালো করে দেখলো, কোথাও তেলাপোকা নেই ~

ভাবিঃ এই শুভ, মিথ্যা বললে কেনো? রিতু ভয় পেয়েছে ?

আমিঃ আপনি তো বললেন, বিয়ানের সাথে দুষ্টুমি করা যায়.. হা হা

ভাবিঃ ????

~ রিতুর চোখ রাগে লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি চোখ মেরে দিলাম, চোখ যেনো আরো লাল হয়ে গেলো।
সে রাগি ভাবে চেয়ারে এসে বসলো। আমি আর ভাবি গল্প করছি ~

~ কিছুক্ষণ পর রিতু আমার দিকে তাকিয়ে বললো-
রিতুঃ ভাইয়া একটা কথা বলি, মাইন্ড করবেন না..??

আমিঃ আরে একটা কেনো? হাজার টা বলো তুমি (হাসি দিয়ে)

রিতুঃ না মানে, আপনার ওটা খোলা কেনো..??

~ ? কার সারছে, কি আবার খোলা..? কিছু দেখলো না তো আবার। তাড়াতাড়ি প্যান্টে হাত দিয়ে দেখি ঠিকই আছে। তাহলে পাগলী আমার সাথে সয়তানী করলো ? ওর দিকে তাকিয়ে একটু চোখ গরম করলাম ~

রিতু আবার বললোঃ ভাইয়া আপনার ওটা খোলা কেনো? বন্ধ করুন প্লিজ…

~ আবার তাড়াতাড়ি হাত দিয়ে দেখলাম ভালো করে। কিন্তু ১০০% সব লক করা ~

আমিঃ আমার কিন্তু খুব রাগ হচ্ছে বলে দিলাম, আমি দেখি সব আটকানো, আপনি বলেন খুলা ?

রিতুঃ চোখ থাকতেও কানা, ওই দেখুন আপনার রুমের দরজা খোলা, বিড়াল যাচ্ছে হি হি…

আমিঃ ??? দরজা কে দরজা বলা যায় না, ওটা ওটা বলছেন??

রিতুঃ কেনো গো বিয়াই সাব…, আপনি কোনটা ভাবছেন?

আমিঃ ভাবি আপনার বোনটা খুব পাজি। আমার থেকে দূরে থাকতে বলবেন। আপনার বোন শুধু আমার ওটার দিকে তাকায় কেনো হুমম ?

রিতুঃ আপনার ওটার দিকে তাকাতে আমায় বয়েই গিয়েছে ?

আমিঃ আরে ম্যাডাম, ওটা মানে দরজা বুঝলেন… হা হা…

রিতুঃ ????

?????????

~ ভাবির কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম-
আমিঃ ভাবিজান এই ভাবে আপনার বোন শুধু হি হি করে হাসলে আর কথা না বলে চুপ করে থাকলে আমার প্রেম কিভাবে হবে? কিছু একটা করে তাকে কথা বলা শিখিয়ে দিন প্লিজ ভাবি…

ভাবিঃ তাহলে তো আজ রাতে রিতুর কাছে আমার থাকতে হবে। সারারাত বুঝাবো..

আমিঃ আচ্ছা তাহলে থাকুন। আচ্ছা ভাবি আপনি কেনো বাহানা পেলে ভাইয়ের থেকে দূরে ঘুমাতে চান কেনো?

ভাবিঃ বুঝবে পাগল বড় হলে। তোমার বউও দেখবে দূরে থাকতে চাইবে হা হা।

~ আমি হেসে দিয়ে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। অপেক্ষা করতে লাগলাম সকালের। দেখি ভাবি কত কত কথা শিখায় রিতুকে। ঘুমিয়ে পড়লাম ~

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ? …. ~গল্প চলবে~

বিঃদ্রঃ এমন কি দেখলো শুভ, জানতে হলে পড়তে হবে আগামী পর্ব…