গ্রামের লাজুক মেয়ে পর্ব-০৪

0
901

#গল্পঃ গ্রামের লাজুক মেয়ে ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ৪…

√- রিতু হাতে চুল নিয়ে বললোঃ দেখে তো মনে হচ্ছে, রং করেন নাই ?

আমিঃ তাহলে আমাকে বুড়ো বলছেন কেনো?

রিতুঃ তাহলে যে বুবু বললো…(বুবু মানে আমার শুবশ্রী ভাবি) ?

আমিঃ কি বলছেন আপনার বুবু..? শুনি..

রিতুঃ বুবু বললো, সে নাকি তার দাদা শ্বশুর কে পাঠিয়েছে আমাকে নেওয়া জন্য। আপনি কি তার দাদা শ্বশুর না?

আমিঃ হায় আল্লাহ, ওনি কি বলে এই সব। আমি তার দেবর হই দেবর, বুঝলেন?

রিতুঃ আমি এটা কখনো মানি না। বুবু আমায় মিথ্যা বলবে না কখনো। আপনি তার দাদা শ্বশুর আমি জানি।

মাথায় প্রচুর রাগ উঠে গিয়েছে ?
আমিঃ ঘোড়ার ডিম হই বুঝলেন। চুপ করে ওগুলো খাওয়া শুরু করেন। বাস থেকে নামার আগে যেনো ওগুলো খাওয়া শেষ হয় বুঝলেন। নাহলে খবর আছে আপনার ?

চুপচাপ আইসক্রিম বের করে খেতে লাগলো…

পাশের সিটের থেকে এক বিবাহিত মহিলা, কোলে বাচ্চা আছে, সে রিতুকে ডাক দিয়ে বললোঃ- এই যে পিচ্চি মেয়ে, স্বামীর সাথে কি নিয়ে এতো ঝগড়া হচ্ছে গো..? ☺

রিতু তাকে বললোঃ আপু, ওনি আমার স্বামী না তো। ওনি আমার বুবুর দাদা শ্বশুর হয় ?

সেই মহিলা টা, আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আমার চুল, মুখ, হাত দেখতে লাগলে…
হায় আল্লাহ, আজ কোন পাগলীর পাল্লায় পড়লাম, ইজ্জত তো শেষ। এবার মনে হয় বুড়ো প্রমাণ করেই ছাড়বে ?
আমার আর কি কথা বলার মত মুখ আছে, চুপ করে মাথা নিচু করে ফেললাম ?
বাসায় যায়, তারপর শুবশ্রী ভাবির ব্যাপারটা দেখবো… হুমম।

একবার রিতুর মুখের দিকে তাকিয়ে আবার রাগে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। একা একা খাচ্ছে, একবার ও আমায় বলছে না, আপনি খাবেন কিনা… ?

তারপর থেকে মন খারাপ ও সাথে রাগে মুখ ফুলিয়ে রাখছি। বাস তার নিজের গতিতে চলছে, জানালা দিয়ে মিষ্টি রৌদ্র ও মন শান্ত করা বাতাস আসতে…
কত চিন্তা ভাবনা করছি, কত রোমান্টিক গল্প করবো তার সাথে, তা তো হলেই না একমাত্র ভাবির জন্য। আমায় নাকি বলে আমি বুড়ো, এর থেকে অপমান হয় বুঝি। ভাবির উপর মেজাজ খুব খারাপ।

~ বাস এসে ফেরীতে উঠলো ~

আমি রিতুকে বললামঃ চলুন, নামুম।

রিতুঃ চলে এসেছি ভাইয়া আমরা?

আমিঃ হুমম বোন চলে এসেছি, নামুম (মন খারাপ করে)

রিতুঃ আচ্ছা।

~ রিতু বাস থেকে ফেরীর উপর নেমে আশেপাশে তাকাচ্ছে। চারদিকে শুধু পানি দেখে তার মুখ ভয়ে চুপসে গিয়েছে, দেখার মত কান্ড ~

রিতুঃ ভাইয়া আমায় কোথায় নিয়ে আসলেন?

আমিঃ আপনাকে এই পানির মধ্যে এখন ফেলে দিবো। কত বড় সাহস আপনার, আমায় বুড়ো বলছেন ?

রিতুঃ সত্যি আমায় পানিতে ফেলে দিবেন?

আমিঃ হুমম, অবশ্যই। আপনার সাথে মজা করবো কেনো?

রিতুঃ প্লিজ প্লিজ ভাইয়া আমাকে ফেলবেন না প্লিজ ? আমি সাঁতার পারি না…

আমিঃ হা হা, তাই বললে কি হয়, আমাকে দাদু বলার স্বাদ আজ মিটিয়ে দিবো…

~ ” আমি মরবো না ” বলে দৌড়ে বাসে উঠতে গেলো ~

আমিঃ হা হা, বাসে উঠে লাভ নেই। বাস ও এখন পানিতে ফেলে দেওয়া হবে.. আপনার আর বাঁচা হল না..

~ রিতু দৌড়ে আবার আমার কাছে এসে বললো ~

রিতুঃ আর কখনো আপনাকে বুড়ো বলবো না। এই বারের মত কি মাফ করে দেওয়া যাবে না?

আমিঃ না দেওয়া যাবে না। যে আমাকে বুড়ো বলে আমি তাকে কখনো মাফ করি না হুমম…

রিতুঃ তাহলে কি আমার আর বাঁচার উপায় নেই?

আমিঃ হি হি, হুমম নেই।

~ রিতু কিছুক্ষণ মায়াবী চোখে ? আমার দিকে তাকিয়ে থেকে..
হঠাৎ মুখ চেপে ধরে হি হি করে হেসে দিলো ? ~

আমিঃ কি হল? পাগল হয়েছেন নাকি? এখন আপনাকে পানিতে ফেলবো, আর আপনি এমন করে হাসছেন..

রিতুঃ শয়তান ছেলে। আমি মনে হয় কিছু জানি না মনে করছেন…

আমিঃ কি জানেন?

রিতুঃ এটা ফেরী। ও ফেরী তো মাত্র বাস কে নদী পার করে দিচ্ছে। আসছে বুড়ো আমায় পানিতে ফেলতে। বুড়ো হয়েছে কিন্তু বুড়োর ঢং যায় দেখছি। ঢং দেখলে মরে যায়, মরে যায়…

আমিঃ আপনি দেখি খুব পাজি মেয়ে। ভাবি যেমন বলছিলো, তার সাথে একটুও মিল নেই আপনার দেখছি।

রিতুঃ কেনো? বুনু কি বলছে আমার কথা?

আমিঃ আপনার নামে আপনার বুবু কত সুনাম করলো। এখন দেখি ?

রিতুঃ এখন কি দেখেন? আর কি সুনাম করছে শুনি?

আমিঃ ভাবি বলছিলো, আপনি নাকি খুব লাজুক। কেনো ছেলেদের সাথে কথা বলেন না। সব সময় চুপচাপ থাকেন। কিন্তু এখন দেখছি আপনি খুব দুষ্টু পাজি মেয়ে..

রিতুঃ আমি পাজি মেয়ে ?… বুবু ঠিকই বলছে, আমি খুব লাজুক। আমার ছেলেদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে খুব। কিন্তু আপনি তো আর ছেলে না, তাই লজ্জা লাগছে না কথা বলতে.. হি হি

আমিঃ আমি ছেলে না মানে? আমি তাহলে কি?

রিতুঃ আপনি ছেলে কে বললো? আপনি হলেন বুড়ো দাদু.. আর আমার বুড়ো দাদুদের সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে না। তাদের সাথে অনেক দুষ্টুমি করি আমি.. হি হি

আমিঃ আমার আর কিছু বলার নেই। বাসায় যায়, তারপর আপনার বুবুর সাথে যোদ্ধ হবে, আমি তার কবে কার দাদা শ্বশুর হয় ?

রিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে বুড়ো দাদু.. ?

আমিঃ আপনার নাম তো রিতু? প্লিজ রিতু ম্যাডাম, আমায় আর বুড়ো দাদু বলবেন না ওকে। আমার কিন্তু খুব রাগ উঠে..

রিতুঃ আচ্ছা আর বলবো না ভাইয়া…

আমিঃ চলুন ওই দিকে নিরিবিলি জায়গায় যায়…

রিতুঃ হুমম চলুন ভাইয়া…

~ একটু সাইডের দিকে গিয়ে দাড়ালাম ~

আমিঃ সিদ্ধ ডিম খাবেন…?

রিতুঃ সিদ্ধ ডিম খেতে কেমন যেনো লাগে আমার…

আমিঃ একটা খেলে কিছু হবে না।

~ সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা ভাইয়াকে ডাক দিয়ে দুই জন কে ডিম দিতে বললাম। দুই জন কে ডিম কেটে ঝাল লবণ দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেলেন সে। দুইজন দাড়িয়ে ডিম খাচ্ছি ~

আমিঃ আচ্ছা আপনি রিলেশন করেন?

রিতুঃ রিলেশন কি…?

আমিঃঃ হা হা হা, আপনি রিলেশন মানে যানেন না..?

রিতুঃ না তো। রিলেশন কি ?

আমিঃ মানে প্রেম/সম্পর্ক ।

রিতুঃ ওহহহ।

আমিঃ কি বললেন না রিলেশন করেন?

রিতুঃ না ভাইয়া। কিন্তু কেনো?

আমিঃ এই বয়সে তো সবাই রিলেশন করে, তাই বললাম আরকি.. তাই রিলেশন করেন না কেনো?

রিতুঃ সত্যি বলতে তেমন কাউকে এখনো পাওয়া হয় নাই, যে আমার মনের মত হবে।

আমিঃ আপনার মনের মত বলতে? আপনার স্বপ্ন কেমন হবে আপনার প্রিয় মানুষ টি…?

রিতুঃ আমার মনের ইচ্ছা, একজন রাজকুমার আসবে আমায় নিতে, আমায় নিয়ে উড়ে উড়ে আকাশের মেঘের আড়ালে তার ছোট রাজমহলে নিয়ে যাবে, তারপর ওখানে আমরা খুব আনন্দের সাথে বসবাস করবো..

আমিঃ হা হা, তারপর বলুন?

রিতুঃ আপনি হাসছেন কেনো হুমম? তারপর আমি আর আমার সে রাজকুমার মেঘের উপর দিয়ে হাটবো, দৌড়াবো, খেলা করবো… ?

আমিঃ হা হা, তারপর?

রিতুঃ আপনি হাসছেন কেনো?

আমিঃ হা হা এমনি। তারপর বলুন?

রিতুঃ বলুন বলছি, হাসছেন কেনো?

আমিঃ এমনি হা হা।

রিতুঃ বলুন বলছি, আমার কিন্তু কান্না আসছে এখন…

আমিঃ আচ্ছা, পৃথিবীতে এতো সাদা কালো মানুষ থাকতে, আপনি শেষে লাল নীল জ্বীন কে জীবন সঙ্গী বানাতে চান…??

রিতুঃ মানে? জ্বীন কেনো আমার জীবন সঙ্গী হবে?

আমিঃ আপনার যে স্বপ্ন, আপনাকে উড়িয়ে নিয়ে মেঘের উপর নিয়ে যাবে, আবার মেঘের উপর দিয়ে হাঁটাচলা করাবে, এটা তো আর মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, হয়তো জ্বীনই পারবে আপনার স্বপ্ন পূরন করতে। হবেন নাকি জ্বীনের বউ…??

রিতুঃ ?? আপনি আমায় এই ভাবে অপমান করলেন?

আমিঃ কোথায় অপমান করলাম। আপনার মনের আশা পূরন কিভাবে হতে পারে বললাম হা হা…

রিতুঃ হয়েছে হয়েছে। এবার আপনি বলুন আপনার জীবন সঙ্গী কেমন চাই..?

আমিঃ চাইলে তো সব পাওয়া যায় না, কিন্তু এমন হলে খুশি হবো… ধরুন, তার কেনো অহংকার, হিংসা থাকবে না। মানুষ ছোট হক বা বড় হক, কাউকে ঘৃণা করবে না, মনটা থাকবে উদার মানে দান করতে পছন্দ করবে, আল্লাহর প্রতি সব সময় ভয় থাকবে, মুখটা মায়াবী থাকবে, খুব ভদ্র ব্যবহার থাকবে, সংসার নিজের দায়িত্ব মতো গুছিয়ে রাখবে, এবং আমায় সে অনেক অনেক ভালোবাসা দিবে। আমাকে ছাড়া আর কেনো পুরুষের কথা স্বপ্ন ও ভাববে না।
যানেন, জান্নাতি নারীর একটা বিশেষ গুন থাকবে সেটা হলো, তারা নিজের স্বামী ছাড়া অন্য কাউকে স্বপ্নেও কল্পনা করবে না। তার স্বামী কালো হক, ফর্সা হক, বা খাটোই হক… এই পৃথিবীতেও এখনো এখন নারী পাবেন, সেই সব নারীর মধ্যে জান্নাতী নারীর গুন আছে, স্বামীই তাদের কাছে সব।

রিতুঃ তাহলে আমার ইচ্ছে আরেকবার শুনবেন?

আমিঃ হুমম বলুন?

রিতুঃ সে ভদ্র থাকবে, চরিত্র সুন্দর থাকবে, কথা গুলো অনেক মিষ্টি থাকবে, সব সময় আমায় হাসাবে, সবার প্রতি সম্মান থাকবে, সে আমার জন্য সৎ টাকায় দুই বেলা হলেও নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করে আনবে, মানে কুড়ে থাকবে না আবার অসৎ পথে বেশি দেওয়ার আশায় হারাম ও খাওয়াবে না, এবং অনেক অনেক ভালোবাসা দিবে আমায়…

আমিঃ আপনার চাওয়া গুলো কিন্তু খুব সুন্দর good girl…

রিতুঃ Thanks… আপনার চাওয়া গুলোও খুব সুন্দর, কিন্তু… ?

আমিঃ কিন্তু কি?

রিতুঃ আপনার চাওয়া গুলো খুব সুন্দর হলেও, এই বয়সে আর বউ কপালে জুটবে না গো বুড়ো দাদু (বলে হি হি করে হেসে দিলো)

আমিঃ আপনি আসলেই একটা দুষ্টু পাজি মেয়ে… ?

রিতুঃ আচ্ছা দাদু ভাই আপনি তার চেয়ে চুপ থাকুন। দাদু ভাই আমার ডাব খেতে ইচ্ছা হয়েছে, ডাব কিনে দেন প্লিজ।

আমিঃ ওকে পিচ্চি মেয়ে, আপনার মত কুচি ডাব কিনে দিবো হুমম ?

রিতুঃ হি হি হি, চলুন…

~ রিতুকে ডাব কিনে দিলাম, আমিও খেলাম। তারপর বাসে উঠে বসলাম। ঘাটে ফেরী ভিরলো। বাস আবার রাস্তায় উঠে চলা শুরু করলো। মনে মনে ভাবছি, আর রিতুর সাথে কথা বলবো না। ও শুধু আমায় বুড়ো বলে মন টা খারাপ করে দেয়। আর বুড়ো শুনতে মন চাচ্ছে না ~

কিছুক্ষণ পর ভাবি ফোন দিলো। ভাবির উপর আমার খুব রাগ জমে আছে…

আমিঃ হ্যালো, কে বলছেন..?

ভাবিঃ কি গো দেবর, আমার বোনকে পেয়ে আমায় ভুলে গেলে বুঝি?

আমিঃ না না, এমন মোটেও ভাববেন না যে আপনাকে ভুলে গিয়েছি। বাসায় আসি, তারপর দেখা হবে (রাগি ভাবে)

ভাবিঃ কি হয়েছে ভাইয়া, তুমি রাগ কেনো?
আমার বোন কি তোমার সাথে বাজে ব্যবহার করছে নাকি?

আমিঃ আপনার বোন বাজে ব্যবহার করবে কেনো? আপনি নিজে তো অনেক ভালো তাই না? (রাগ হয়ে)

ভাবিঃ ভাইয়া তুমি মাথা ঠান্ডা করো। নিশ্চিত পাগলীটা তোমার মাথা গরম করেছে। বাসায় এতো তারপর সব বলো ওকে।

আমিঃ হুমম বাসায় গিয়ে তো যোদ্ধ হবেই। রেডী থাকবেন ওকে…

ভাবিঃ হুমম আমি রেডি। আজ নাহয় সিদ্ধান্ত নিবেই তোমার ভাইয়ের সাথে সংসার করবো, নাকি তোমার সাথে সংসার করবো.. এটার সিদ্ধান্ত আজ হবেই (সয়তানী হাসি দিয়ে)

আমিঃ আমার বয়েই গিয়েছে আপনার সাথে সংসার করতে… মুটু ভাবি.. ?
ফোন রাখলাম বায়…

~ কল কেটে দিয়ে পাশের সিটে তাকিয়ে দেখি পেত্নীটা মানে ভাবির পাগলী বোন মুখ চেপে ধরে হাসছে। এরা দুই বোন আসলে আমায় পাগল করে দিবে ~

বাস ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে থামলো। বাস থেকে নেমে পেত্নী কে নিয়ে রিক্সায় উঠলাম। রিক্সা এসে বাসার সামনে থামলো। তাকে বললাম, নামুন ম্যাডাম, চলে এসেছি।
রিক্সা চালক আঙ্কেল কে ভাড়া দিয়ে বাসার মধ্যে ঢুকতে যাবো, এমন সময় রিতু বলো–

রিতুঃ ভাইয়া, একটা কথা শুনবেন প্লিজ।

আমিঃ হুমম বলুন। একটু তাড়াতাড়ি বলুন, আমার মন ভালো না (রাগি ভাবে)

রিতুঃ সরি ভাইয়া (মায়াবী ভাবে)

আমিঃ সরি কেনো?

রিতুঃ আসলে আপনার সাথে রাস্তায় আমি যত দুষ্টুমি করছি, আমি একটাও ইচ্ছা করে করি নাই, করতে হয়েছে(মায়াবী ভাবে)

আমিঃ করতে হয়েছে মানে??

রিতুঃ আসলে……. ~ গল্প চলবে ~

বিঃদ্রঃ গল্পের মূল কাহিনি তো মাত্র শুরু… জানতে হলে পরতে হবে আগামী পর্ব গুলো।