চন্দ্রপ্রভা রজনী পর্ব-০৩

0
273

#চন্দ্রপ্রভা_রজনী
#পর্বঃ৩
লিখাঃসামিয়া খান

মাসুদ আহসান রোজ সকালে উঠে তার প্রথম কাজ হচ্ছে এক গ্লাস চিরতা পাতার রস খাবে।এটা সে গত ত্রিশ বছর ধরে করে আসছে।এখন একদিনও না খেয়ে থাকতে পারেনা।কারণ কথায় আছেনা মানুষ অভ্যাসের দাস।
ডায়নিং টেবিলে বসে অনবরত ফোনে কথা বলে চলেছে মাসুদ।এটা তার আরেকটা নিত্য স্বভাব।যাবতীয় ফোন কল সে খাবার সময় এটেন্ড করবে।আর তা মাসুদের স্ত্রী আফিয়া এবং দিহার সহ্য করতে হচ্ছে।আর এদিকে সে ফোনে কথা বলেই চলেছে।

“আরিয়ান ইজ এ জেম।আর সুবাহ তো কহিনূর।তার জন্যই তো এক করে দিলাম।আরিয়ানের বাবা দেওয়ান সাহেব হুট করে এসে আমার সুবাহকে আরিয়ানের জন্য চেয়ে বসলো।আমিও খোজ খবর নেওয়া শুরু করলাম।দেশের নামকরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের মালিক আরিয়ান।আরিয়ান ডাক্তারপাশ করেছে সিংগাপুর থেকে।তাহলে কি না করা যায়?ব্যাস সব পাকাপোক্ত করলাম।জ্বী হ্যাঁ।বিয়ে সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে।আজকে তো রিসেপশন।আজকে কিন্তু আমি কোনো কথা শুনবো না।আসতেই হবে।জ্বী অবশ্যই।খাওয়া ব্যাপার না।এসে সুবাহকে আর আরিয়ানকে একটু দোয়া দিয়ে যাবেন।এতেই হবে।আচ্ছা তাহলে আসছেন কিন্তু।খোদা হাফেজ।রাতে দেখা হচ্ছে।”

হাসিমুখে ফোনটা টেবিলের উপর রাখলেন মাসুদ।তারপর আফিয়ার উদ্দেশ্য বলা শুরু করলো,

“বুঝলে আফিয়া মিনিস্টার স্যারের সাথে কথা বললাম।আজকে রাতে কমিউনিটি সেন্টারে আসছে।চিন্তা করে দেখেছো মিডিয়ায় এই কথাটা আসলে আমার ইমেজ কতোটা ভালো হবে।আজকেই সামনের ইলেকশনের কথা ফাইনাল করবো তার সাথে।হাজার হোক সুযোগ তো হাতছাড়া করা যায়না।”

মাসুদের কথায় আফিয়া কিছু বললেন না।নির্লিপ্ত ভঙিতে খাওয়া চালু রাখলো।

“বাবা তুমি কি জানো তোমার জেম এর সাথে বিশিষ্ট্য শিল্পপতি আজমল খান এর বড় মেয়ে মায়ার সাথে সম্পর্ক ছিল।”

“কে ওইযে সেই মেয়েটা যে নাকী নিজের ভাই আর ভাবীকে এক্সিডেন্ট করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।আহারে আমার বন্ধুর মেয়ে ছিল ওর ভাবী।একটা মেয়েই ছিল।”

“বাবা শুধু সন্দেহের বশে সবাই মেয়েটাকে জাজ করে।ওর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

“দিহা মামুণি তুমি ভেতরের খবর জানো না।ওর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।কিন্তু আপন মেয়ে তো তাই পুলিশে দেয়নি। বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমার আজমল সাহেবের জন্য খারাপ লাগে।ছেলেটা পংগু হয়েছে,ছেলের বউটা মারা গেলো।ওদের তো তিন বছরের একটা মেয়েও আছে।সবই কপাল।”

“হয়তো কিছু প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে কিন্তু এমন কোনো কিছু পাওয়া যায়নি যাতে মায়াকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়।আমি স্টাডি করেছি।”

“দিহা মামুণি,আবেগ দিয়ে নয় বিবেগ দিয়ে ভেবে দেখবে সবকিছু ঠিক আছে।আর আরিয়ান যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছেলে।তার জন্যই ওই মেয়েকে বিয়ে করেনি।আর এর জন্য ওকে আমি বাহবা দেই।”

মাসুদের কথাগুলো শুনে দিহা একটা তাচ্ছ্যিলের হাসি হাসলো।

“দিহান ভাইকে কেন ডাকলে না বিয়েতে? ”

“দিহান কে? যে ওকে বিয়েতে ডাকতে হবে।”

“দিহান ভাই এ বাড়ীর ছেলে,আমার আর সুবাহর ভাই।”

“কোনো ভাই নয়।সৎ ভাই।”

সৎ ভাই কথাটা শুনে আফিয়া খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলো।এখন এখানে থাকলে নিশ্চিত কথা কাটাকাটি হবে যা সে এই মূহুর্তে চাচ্ছেনা।

“তুমি তাকে পর মনে করতে পারো বাবা।বাট আমরা না।সত্য হলো দিহান ভাই এ বাড়ীর ছেলে।এই সমস্ত সম্পত্তির একছত্র মালিক।যা তুমি হাজার না করলেও সত্যটা বদলাবে না।”

কথাটা বলে আর একমিনিটও বসলো না দিহা।নিজের রুমে চলে গেলো।মাসুদের মধ্যে কোনো ভাবান্তর হলো না।সে বিনা সংকোচে খেতে লাগলো।
,
,
,

সকালের খাওয়া- দাওয়ার পাট চুকেছে অনেক আগে।এখন বাজে বেলা বাড়টা।বাড়ী ভর্তি মানুষ।যেহেতু বিয়ে বাড়ী তাই মানুষ থাকাটা স্বাভাবিক।

শ্বাশুড়ির রুমে বসে আছে সুবাহ।তার কোলে মানহা।বিছানায় নানারকম শাড়ি, গহনা দিয়ে ভরপুর।তার মধ্যে থেকে একটা চুড়ি মুখে নিয়েছে মানহা।সুবাহ একবার সরানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাতে মানহা চিৎকার দিয়ে কান্না করায় আর চেষ্টা করেনি।

“সুবাহ এই বেনারসিটা পড়বে আজকে।তার সাথে এই জুয়েলারি গুলো ঠিক আছে।”

সুবাহ স্বীকার করতে গিয়েও করতে পারলো না।কারণ যা তাকে পড়তে বলা হয়েছে তা বেশ ভারী।একটু আমতা আমতা করে জবাব দিলো,

“মা এগুলো তো খুব ভারী আমি অন্যকিছু পড়ি?”

“কেনো? অন্যকিছু পড়বে কেনো?শোনো সুবাহ এ বাড়ীতে কর্তী এখনো আমি।তো যা যা বলেছি তাই করবে।”

সুবাহ একপাশে মাথা এলিয়ে সম্মতি প্রকাশ করলো।এ বাড়ীর সকল মানুষের স্বভাব শুধু ধমক দিয়ে কথা বলা।বিষয়টা মটেও সুবাহার ভালো লাগেনি।হঠাৎ করে সুবাহাকে চিন্তাজগত থেকে বের করে আনলো রিশা।

“সুবাহ তুমি নিশ্চয় চিন্তা করছো এরা কেমন মানুষ যারা সবসময় বকে কথা বলে।কিন্তু চিল আমরা যথেষ্ট ভালো আছি।তোমাকে বিনা কারণে কেও বকবেনা।আর মা এতো মোটা শাড়ী মেয়েটা পড়তে পারবেনা।”

“তুই পারিস না দেখে কি আর কেউ পারবেনা?তা প্রডিউসার ম্যাডাম আজকে আপনি চন্দ্রপ্রভাতে গেলেন না যে।”

“অরী বুবু আমার সব কথাতে তোর বাম হাত না ঢুকালে চলেনা?”

“না গো বনু।”

“তোরা কথা বাদ দিবি।আরিয়ান কই?”

“আসছে বলল।”

“ঠিক আছে সুবাহ তুমি রুমে গিয়ে গোসল দেও। একটু পরে বিউটিশিয়ানরা আসবে।মানহাকে রিশার কোলে দেও।”

“জ্বী মা।”

মানহাকে রিশার কোলে দিয়ে সুবাহ রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার একটু পরে আরিয়ান রুমে প্রবেশ করলো।

“ডাকছিলে মা।”

“হ্যাঁ। শুনো বাবা আজকে এই স্যুটটা পড়বে।”

এটা বলে আনোয়ারা বেগম আরিয়ানের হাতে একটা অফ হোয়াইট কালারের স্যুট ধরিয়ে দিলো।স্যুটটা একবার নেড়েচেড়ে দেখে আরিয়ান রেখে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।কিন্তু রিশার কথায় তাকে থামতে হলো।

“ভাই কালকে রাতে তোদের রুম থেকে তোর চিল্লানোর আওয়াজ কেনো আসছিলো।”

“কই নাতো।তেমন কিছু হয়নি।”

“ভাই মিথ্যা বলবি না।বুঝেছিস।সত্যি হলো তুই দুটো মেয়েকে ইউস করেছিস উপরে উঠার জন্য।প্রথমে মায়ার সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করলি কিন্তু যখন ওর পরিবার ওকে বাড়ী থেকে বের করে দিলো তখন ওর থেকে দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করলি।তাহলে এখন এত টান কীসের?”

“তুই যা বুঝিস না রিশা তা নিয়ে কথা বলবিনা।”

“কেন বলবো না?সুবাহকে কেও তোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়নি।তুই নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছিস।কেনো জানিস তোর হসপিটালে প্রোপিট হবে বলে।তার মধ্যে মাসুদ আঙকেল আগামী ইলেকশনে দাড়াবে।এবং ৯০% চান্স আছে তার এমপি হওয়ার।সংসদ সদস্যের জামাতা হওয়া লোভ সামলাতে পারিসনি।সেম অন ইউ।”

রিশার কথায় কোনো রিয়াকশন দিলো না আরিয়ান।শান্ত ভঙিতে জবাব দিলো,

“রিশা সারাদিন এত অভিনেতা আর অভিনেত্রীর ভিড়ে থেকে সবকিছু এখন তুই ড্রামাটিক হিসেবে নিস।আমার সুবাহকে বিয়ে করার পিছনে কারণ আছে।আর মায়া আমার ভালোবাসা। ভালোবাসাকে ইউসের নাম দিবিনা।”

“লজ্জা করেনা মায়াকে ভালোবাসা বলতে।বাই দ্যা ওয়ে তোর বউকে বলে দিস আজকে রাতে দিহান আসবে।কোনো সিন ক্রিয়েট যাতে না করে।”

“ওটা তার ব্যাপার।”

আর কোনো কথা না বাড়িয়ে আরিয়ান রুম থেকে চলে গেলো।

“রিশা আরিয়ানকে এতকিছু না শুনালেও পারতি।”

“কেনো বুবু ভাই দোষ করবে কিছুনা আর আমি বললে দোষ।”

“দিহা তুই ছোট ছোটোর মতো থাক।মা তুমি ওকে কিছু বলো।”

“কি বলবো?যখন বলার সময় ছিল তখন কিছু বলিনি দেখে আজ তোমরা এত অধঃপতনে।এখন বলে কি হবে!”
,
,
,

মায়ার এখন প্রচন্ড ভয় লাগছে।দিহানকে কামড় দেওয়াটা একদম ঠিক হয়নি।যদি এখন দিহান রাগ করে তাহলে একাজটাও হয়তো হাড়াতে হবে।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তার।তা হাত দিয়ে মুছে নিল মায়া।মায়ার থেকে কিছুদূরে মনিরকে দাড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলো সে।দৌড়ে তার কাছে গেলো।

“মনির ভাই কোথায় যেতে হবে একবার ঠিকঠাক ভাবে বলবেন।”

“কেনো থার্ড ফ্লোরের নয় নাম্বার স্পটে।”

“গিয়েছিলাম কিন্তু ওখানে কেও ছিলনা।”

“ওহ আচ্ছা।তাহলে আবার যাও।”

“কিন্তু ওখানে তো কেও নেই।”

“ওখানেই আছে সবাই।তুমি যাও।”

মায়া কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।তাও কোনোরকম নিজেকে সামলে চলা শুরু করলো থার্ড ফ্লোরের উদ্দেশ্য।

থার্ড ফ্লোরে পৌঁছে মায়া বেশ অবাক হয়ে গেলো। এক ঘন্টা আগে এখানে যেরকম বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল কিন্তু এখন একদম পরিপূর্ণ একটা সেট তৈরী করা।খুব সম্ভবত এখানে ফটো শ্যুট হবে এখন।কিন্তু মায়া তো নাচার জন্য এসেছিল।

“এই মেয়ে তুমি এখানে কি করছো?”

পাশ থেকে একটা মেয়ে মায়াকে প্রশ্ন করলো।

“এই মেয়ে তুমি এখানে কি করো?”

“মনির ভাই আসতে বলছিলো।”

“ওহ আচ্ছা।ওইযে কোণার ওই গ্রীন রুমের দিকে যাও।ওখান থেকে রেডী হয়ে আসবে।”

“ঠিক আছে।ধন্যবাদ।”

একটা ক্ল্যাসিকাল ফটো শ্যুট করবে এখন দিহান।একদম পাঞ্জাবি পড়ে ঠিক বাঙালি সাজে।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা ছবি ক্লিক করা শেষ।যে কোম্পানির হয়ে ফটো শ্যুট করছে তার ব্র্যান্ড এম্বাসিডার হচ্ছে দিহান।

শাড়ী তে বেশ অভ্যস্ত মায়া।নাচতে গেলে সব ধরণের পোশাকে অভ্যস্ত থাকতে হয়।সামনে তাকিয়ে ক্যামেরার সামনে দিহানকে দেখে বেশ অবাক হলো মায়া।আবার ভয়ও পেলো।এই বুঝি দিহান তাকে অপমান করে বসে।

মায়াকে দেখে দিহানের গলা শুকিয়ে আসলো।একটা লাল পাড়ের সাদা শাড়ী,চুল ছেড়ে দেওয়া,হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি মাথার একপাশে রজনীগন্ধা এবং গোলাপ বসানো।ঠিক টিপিক্যাল বাঙালী মেয়ের মতো লাগছে।দিহানের তার থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে থাকা মাহসিনকে দেখে নিজের কাছে ডাকলো।

“কিছু বলবেন স্যার?”

“মেয়েটাকে এখানে আসতে বলো।”

মাহসিন গিয়ে মায়াকে দিহানের কাছে পাঠিয়ে দিলো।মায়া বেশ ভয়ে ভয়ে দিহানের সামনে এসে দাড়ালো।

“স্যার আসলে তখনকার ঘটনার জন্য আমি…”

পুরো কথাটা বলতে পারলো না মায়া।তার আগেই দিহান ওকে ক্যামেরার সামনে নিয়ে আসলো।পড়ে যাওয়ার ভয়ে মায়া দিহানকে আকড়ে ধরলো এবং সাথে সাথে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠলো।

ফটোগ্রাফার ছবিটা দেখে বেশ প্রশংসা করলো।এবং আরো বিভিন্ন ভঙিমায় তাদের বেশ কিছুক্ষণ ছবি তুললো।পুরো সময় দিহানের নজর মায়ার দিকে ছিল।দিহানের নজরে একটা নেশা নেশা ভাব লাগছিলো।
,
,

বিরক্তিতে মুখ তেতো হয়ে আসছে মায়ার।সে এখানে নাচার জন্য এসেছিলো। কিন্তু কেও তাকে নাচার জন্য কি করতে হবে তা বললই না।

“মায়া না তোমার নাম?”

“জ্বী।”

“এইযে। ”

“কিন্তু খামটা কীসের জন্য?”

“তখনকার ছবিগুলো তোলার জন্য।এতে টাকা আছে।”

“কিন্তু আমি তো ছবি তুলতে আসিনি।ডান্সার হিসেবে এসেছিলাম।”

“উহু তুমি মডেল হিসেবে এসেছিলে।এখন তাড়াতাড়ি খামটা নেও।”

মায়ার হাতে খামটা দিয়ে মেয়েটি আর দাড়ালো না।হয়তো অনেক ব্যস্ত।খামটা খুলে মায়া দেখতে পেলো তাতে সবগুলো এক হাজার টাকার নোট।পুরো বিশটা আছে।মায়া বেশ অবাক হলো।এই টাকা দিয়ে অনায়াসে সে এই মাস পার করতে পারবে।নিশ্চয় সামনের মাসে কোনো ব্যাবস্থা হবে।

দিহানকে বের হতে দেখে মায়া দৌড়ে তার কাছে গেলো।বেশ উচ্ছ্বাসিত স্বরে বলল,

“আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার আমার অনেক উপকার করলেন।আর প্লিজ কামড়ের কথা ভুলে যাবেন দয়া করে।”

মায়ার কথা শুনে দিহান তার দিকে একটু ঝুঁকে আসলো,

“শোনো মেয়ে ওটা কামড় ছিলনা। ওটা লাভ বাইট হিসেবে বিবেচনা করেছি আমি।”

মায়ার মুখের হাসি হুট করেই বিলিন হয়ে গেলো।দিহানের থেকে বেশ কিছদূর সরে এসে বলল,

“অসভ্য যে অসভ্যই থাকে।”

কথাটা বলে আর একটুও দাঁড়ালো না মায়া।দৌড়ে চলে গেলো।আর সেদিকে এক ধ্যানে দিহান কিছুসময় তাকিয়ে রইলো।

চলবে,,