চন্দ্রপ্রভা রজনী পর্ব-০৮

0
229

#চন্দ্রপ্রভা_রজনী
#পর্বঃ৮
লিখাঃসামিয়া খান

সুবাহার ইউনিভার্সিটিতে এক্সাম চলছে।শুধুমাত্র এ কারণে সুবাহার ভার্সিটিতে আসা।তা নয় একদম নববধূ হয়ে কখনোই সে শ্বাশুড়ির সাথে মনমালিন্য করে আসতো না আজকে।এসে আবার বিপাকে পড়েছে সে।স্বাধীন তাকে হুট করেই কোথায় যেনো নিয়ে যাচ্ছে।স্বাধীনকে চিনে সুবাহ।তার একজন প্রিয় স্টুডেন্টও বটে।এজন্য এক্সাম শেষে স্বাধীন যখন তার সাথে এক জায়গায় যেতে বলল কোনো প্রকার দ্বিরুক্তি প্রকাশ না করে সুবাহা তার সাথে চলতে লাগলো।

গাড়ী নিয়ে এসে হাতিরঝিল এ থামালো স্বাধীন।গাড়ীর ইঞ্জিন অফ করে বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলো।

“ম্যাম আপনার সত্যিই বিয়ে হয়ে গিয়েছে?”

স্বাধীনের এরকম বাচ্চার মতো করা প্রশ্নে বেশ বিরক্তবোধ করলো সুবাহ।

“তুমি কি ভার্সিটি থেকে এতদূর আমাকে এই প্রশ্ন করার জন্য নিয়ে এসেছো?”

“যা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দেন।”

“তুমি তো সেদিন রিসেপশন পার্টিতেও গিয়েছিলে।তাও এ প্রশ্ন?”

“কেনো করলেন বিয়ে আপনি?”

“তার কৈফিয়ত কি আমি তোমাকে দিবো?”

“আমাকে দিবেন না তো কাকে দিবেন?আপনার জামাইকে?”

স্বাধীনের কথা বলার ধরণ দেখে একটা ধাক্কা খেলো সুবাহ।সে কোনোদিনও তার সাথে এমনভাবে কথা বলেনি।এর আগেও অনেকবার তারা একসাথে বেড়িয়েছে।তার প্রধান কারণ থাকতো নীলক্ষেত থেকে বই কিনতে যাওয়া।আজকেও তাই ভেবেছিলো।অথচ স্বাধীন তাকে আজকে হাতিরঝিল নিয়ে এসেছে।এবং এসেই এরকম উদ্ভট আচরণ ও কথাবার্তা বলছে।

“কি হলো বলেন?নাকী আপনার জামাই এর থেকে পার্মিশন নিতে হবে?”

“স্বাধীন! ভদ্রভাবে কথা বলো।আমি তোমার প্রফেসর।আর আমার বিয়ে নিয়ে তোমাকে কি বলবো আমি?”

“ঢং করেন।আমার কী কম ছিলো যে ওই ডাক্তারের পিছনে পড়লেন?শালা একটা**”

“এই অভদ্র ছেলে কি বললে তুমি এটা?তুমি জানো ওটা কে?আমার স্বামী।”

“তো কী করবো নাঁচবো?”

কথাগুলো বলে বেশ বিকৃত ভঙিতে শরীর দুলাতে শুরু করলো স্বাধীন।মনে হচ্ছে নেশা জাতীয় কিছু সেবন করেছে সে।গাড়ীর ভিতরে আশেপাশে একটু চোখ বুলিয়ে সুবাহ দেখতে পেলো পিছনের সিটে অনেকগুলো এলকোহলের বোতল রাখা।যা বুঝার বুঝে গিয়েছে সে।তাড়াতাড়ি করে স্বাধীনের অগোচরে দরজা খুলে বের হয়ে আসলো সুবাহ।আর যাই হোক একটা মাতাল ছেলের সাথে একা গাড়ীতে থাকা শোভনীয় হয়না।রাস্তায় নেমে সুবাহা আর এক মিনিটও দাড়ালো না ওখানে।প্রথমে স্বাধীন পিছনেও আসলেও একটা টাইম গাড়ী অন্যদিকে ঘুড়িয়ে চলে গেলো।সুবাহ মনে হয় হাফ ছেড়ে বাঁচলো।ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ফেলে সামনের দিকে হাঁটা ধরলো।

,
,
,
ড্রয়িংরুম এর এপাশ থেকে ওপাশে পায়চারি করছে আজমল খান।কোনো বিষয় নিয়ে মনে হয় খুব বেশী রেগে রয়েছে।পাশে সোফায় বসে সবুজের তিন বছরের মেয়ে মেঘকে খাবার খাওয়াচ্ছে তার স্ত্রী হুসনে আরা বেগম।নাতনির মুখে এক চামচ খাবার তুলে দিয়ে আজমল খানের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো হুসনে আরা।

“আপনার কী হয়েছে একটু বলবেন?এভাবে হাঁটাহাঁটি করছেন কেনো?”

“কী হয়েছে তাই নাহ?বড় মেয়েটাকে এত জঘন্য কেনো বানিয়েছো?”

“মানে?”

“দেখে আসো গিয়ে রাস্তায় রাস্তায় নায়ককে জড়িয়ে তার ছবি রয়েছে।তাও আবার বড় আকারে বিলবোর্ডে।ঠিক মডেলদের মতো।”

“ওহ আচ্ছা।”

বেশ নির্বিকারভাবে হুসনে আরা ওহ আচ্ছা কথাটা বলল।যাতে তার এ বিষয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।

“তুমি তো বলবেই ওহ আচ্ছা।দিয়েছো তো একটা জঘন্য মেয়ে জন্ম।মানসস্মান আর রইলো না।শেষে কীনা মিডিয়া জগতে নামলো ছিঃ।”

“মিডিয়া জগত ভালোর জন্য ভালো আর খারাপের জন্য খারাপ। তো এতে ছিঃ বলার কিছু নেই।”

“তোমার মেয়ে তো আর ভালো না।শুনলাম দেওয়ান সাহেবের ছেলে আরিয়ান, মাসুদ আহসান এর বড় মেয়ে সুবাহকে বিয়ে করেছে দুদিন আগে।আর করবেই না কেনো ওরকম খুনী, লম্পট আর নচ্ছার মেয়ে মানুষকে কে বিয়ে করতে চাবে?রাক্ষসী একটা! আমার সোনার মতো বউমা আর ছেলের পা খেয়েছে।ছোট মেয়েকে সামলে রেখো বড় মেয়ের মতো যেনো হয়না আবার।”

আজমল খানের কথা শুনে থম মেরে বসে রইলো হুসনে আরা।মেয়ের জন্য ইদানীং তার বড্ড কষ্ট হয়।যাও আগে ভেবেছিলো আরিয়ান আছে মায়াকে দেখে রাখবে তার ভরসাও এখন আর নেই।তার বিশ্বাস হয় না তার স্বামী সেই মানুষটা নাকী যে মায়াকে চোখের আড়াল করতে দিতো না।আসলে পৃথিবীর হয়তো এটাই নিয়ম যখন স্বার্থে আঘাত লাগে তখন আপন সম্পর্কগুলো ভুলে যায় মানুষ।
তার পাশে বসে থাকা সবুজের তিন বছরের মেয়ে আধোআধো বুলিতে নচ্ছার শব্দটা বার বার উচ্চারণ করে চলেছে।একটা অপরিপক্ক কণ্ঠে এত জঘন্য একটা শব্দ হুসনে আরার কানসহ পুরো শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিলো।স্বামীর উপর ক্ষোভ ঝাড়তে তিন বছরের ছোট বাচ্চার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে কাজের বুয়ার হাতে দিয়ে রুমে চলে গেলো সে।

দরজায় দাড়িয়ে সম্পূর্ণ কিছু স্পষ্ট দেখতে পেলো দিহা।আজমল খান যখন রাগারাগি করছিলো তখন এসেছে সে।ওরকম পরিস্থিতে ভিতরে যাওয়া ঠিক হবে কীনা তাই ভেবে বাহিরে দাড়িয়ে ছিলো।

দাদীর কাছে মার খেয়ে অনবরত কান্না করছে মেঘ।কাজের বুয়ারোও তাকে থামানোর ক্ষেত্রে কোনো হেলদুল নেই।একটা নিশ্বাস ফেলে ভেতরের দিকে এগুলো দিহা।মেঘের সামনে দাড়িয়ে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।এবং আশ্চর্যভাবে মেঘ দিহার কোলে এসে চুপ করে গেলো।সেদিকে কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে হুইলচেয়ারের চাকা ঘুড়িয়ে নিজের রুমে চলে গেলো সবুজ।আর মনে মনে এক কঠিন স্বিদ্বান্ত আসলো। তার যে করেই হোক ভালো হতে হবে।অন্তত মেয়ের জন্য ভালো হতে হবে।
,
,
,
আজকে সারাদিন শ্যুটিং ছিলো দিহানের।বেশ পরিশ্রম গিয়েছে তার উপর।ক্লান্ত শরীর এবং ক্লান্ত মন নিয়ে কোনোরকম সিড়ি ভেঙে উপরে উঠছে সে।এই বিশাল বড় বাড়ীতে শুধুমাত্র সে আর মাহসিন থাকে।আর দুই একজন কাজের লোক ছাড়া কেও নেই।দিহান কতোবার বলে মাহসিনকে বিয়ে করতে কিন্তু মাহসিন কোনোভাবে রাজি নয়।এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয়েছে অনেকবার।মাহসিনের বক্তব্য সে দিহানের আগে কখনো বিয়ে করবেনা।আর দিহান জোড় করেও করাতে পারেনা।

“দিহান স্যার আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে।”

“বলে দেও কালকে আসতে।এখন রাত দশটা বাজে।আর কোনো প্রকার এপয়নমেন্ট ছিলো না কারো।”

“কিন্তু স্যার মেয়েটা সেই দুপুরে এসেছে। এবং আপনার সাথে দেখা না করে যাবেনা বলছে।”

মেয়ে শব্দটা শুনে থমকে দাড়ালো দিহান।পিছন দিকে ঘুড়ে সার্ভেন্টের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।

“মেয়েটা কই?আর নাম কি মায়া?”

“জ্বী স্যার মায়া।আর বাহিরের রুমে বসে রয়েছে।”

সার্ভেন্টের কথা শুনে আর দাড়ালো না দিহান।দ্রুত হেঁটে মায়ার কাছে গেলো।

রুমের দরজা দিয়ে প্রবেশ করার সময় দিহান দেখতে পেলো ডিভানে হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে মায়া।পড়নে তার লাল বেনারসির মতো একটা শাড়ী।একটু এগিয়ে গিয়ে খেয়াল করলো দিহান মায়ার পিঠটা বার বার ফুলে উঠছে।দিহান বুঝতে পারলো মায়া কোনো বিষয়ে কাঁদছে।মায়ার কাছে গিয়ে কোনো কথা না বলে দিহান তাকে কোলে তুলে নিলো।দিহানের স্পর্শ চিন্তে ভুল হয়নি মায়ার।তাই তো কোনো প্রকার বাঁধাপ্রদান করলো না।কোনোরকম কান্না আঁটকে সে দিহানকে বলল,

“আমি কন্ট্রাক পেপারে সাইন করে দিয়েছি।”

“সেসব পরে হবে মায়ামতি।তোমার কী মান্থলি চলছে। দেখো কোনো প্রকার সংকোচ করবেনা।”

দিহানের কথায় মাথা নাড়ালো মায়া।সে তো আর বলতে পারছেনা তার পেটে ব্যাথা আরিয়ানের পায়ের আঘাতের জন্য হচ্ছে।

মায়াকে কোলে নিয়ে একদম সিড়ি বেয়ে নিজের রুমে আসলো দিহান।কাজের লোকেরা বেশ অবাক হলো একাজে।কারণ দিহান মটেও ওরকম মানুষ না যে মেয়ে নিয়ে আসে বাড়ীতে। আসলেও এবাড়ীতে আজ পর্যন্ত নিয়ে আসেনি।

মায়াকে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলো দিহান।ল্যান্ড লাইনে কল দিয়ে হট ওয়াটার ব্যাগ নিয়ে আসতে বলল।কথা বলা শেষ হলে মায়ার কাছে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো।

“খুব বেশী ব্যাথা করছে?”

“হুম।”

“কখন এসেছো?আর বাড়ীর ঠিকানা পেলে কোথায়?”

“দুপুরে এসেছি।আর বাড়ীর ঠিকানা দুর্বা গুগল করে বের করে দিয়েছে।”

“এত ভাড়ী শাড়ি আবার ফুল স্লিভ ব্লাউজ পরে আসার কী দরকার ছিলো?মুখে মেকআপও করেছো দেখছি।দুপুরে খেয়ে এসেছিলে?”

“না।”

“এভাবে চলবেনা মায়ামতি।এখন থেকে তোমার সবকিছু নিয়মের মধ্যে চলবে।তুমি একটু শুয়ে থাকো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”

ফ্রেশ হয়ে এসে দিহান দেখতে পেলো মায়া ঘুমিয়ে পড়েছে।ঘুমন্ত মায়াকে দেখে একগাল হাসলো দিহান।মায়াকে আর যাই হোক এক রুমে নিজের সাথে রাখবেনা দিহান।তার রুমের পাশে একটা রুম মায়ার মন মতো সাজাবে বলে মনস্থির করলো সে।এমন সময় দরজায় শব্দ হলো।সার্ভেন্ট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে গেলে দিহান নিয়ে গিয়ে মায়ার পেটের উপর রাখলো।

মায়ার পাশে বসে তার গায়ে হাত দিতেই কেঁপে উঠলো দিহান।জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।ব্যস্ত হয়ে বেশ কয়েকবার মায়াকে ডেকেও কোনো সাড়া পেলোনা সে।তাড়াতাড়ি করে মাহসিনকে ডেকে একটা গাইনেকোলজিস্ট ডাক্তারকে ডাকতে বলল।

“দিহান স্যার আপনাকে একটা কথা বলতে চাচ্ছি।”

“এনিথিং সিরিয়াস ডক্টর?”

“আসলে স্যার মেয়েটার উপর মারাত্বকভাবে টর্চার হয়েছে।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেল্টের দাগ।গলায় আঙুলের দাগ রয়েছে মুখ থেকে মেকআপ ক্লিন করে দেখতে পেলাম অনেক চড় মারার দাগ।”

ডক্টরের কথা শুনে মুখের রেখা শক্ত হয়ে গেলো দিহানের।কোনো রকম শুধু বলল,

“আর পেটে ব্যাথা?”

“বেশী সম্ভব পেটেও আঘাত করা হয়েছে।স্যার মেয়েটা আপনার কে হয়?”

“আমার বাগদত্তা।”

কথাটা বলে দিহান রুমের দিকে পা বাড়াবে এমন সময় ডক্টর বলল,

“স্যার আরেকটা কথা কীভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা।”

“আপনি বিনা সংকোচে বলতে পারেন।”

“স্যার ম্যাডাম কিন্তু মূল জায়গায় অক্ষত রয়েছে।তার সাথে কোনো প্রকার..”

ডক্টরের পুরো কথা শুনার প্রয়োজনবোধ করলো না দিহান।বর্তমানে তার মায়ার কাছে যাওয়া দরকার।তার থেকে বেশী প্রয়োজন আর কিছু নয়।

রাত এখন একটা বাজে।মায়াকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।এবং সে ঘুমাচ্ছে।দিহানের চোখে ঘুম নেই।মায়ার সাথে কি হয়েছে তা সে জানেনা।দুর্বাকে যখন এ বিষয়ে কল করা হয় তখন দুর্বা তাকে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি।শুধু মায়ার খেয়াল রাখতে বলেছে আর এ বিষয়ে ঘাটতে না করেছে।

“স্যার ঘুমাবেন না?”

“ঘুম আসছেনা মাহসিন।তুমি গিয়ে ঘুমাও।রাত তো অনেক হলো।”

“না স্যার আমি কীভাবে আপনাদের রেখে ঘুমাবো বলেন।”

“সমস্যা নেই তুমি ঘুমাতে পারো।”

“নাহ স্যার।আমি পারবো না।”

মাহসিনের না ঘুমানোর দৃঢ় প্রকল্প দেখে মৃদু হাসলো দিহান।নিজের চুলে আঙুল চালাতে চালাতে বলল,

“মাহসিন, আমি যদি এখন মায়াকে বিয়ে করি?”

“স্যার এ ভুল জীবনেও করিয়েন না।এখন মায়া ম্যাডামকে বিয়ে করা মানে তার মৃত্যু।”

“আমি জানি মাহসিন।কিন্তু মেয়েটার যে বড্ড আমাকে প্রয়োজন।”

“স্যার আপনি এমনিতেও তার রক্ষা করতে পারেন।আমার বিশ্বাস আছে আপনার উপর।”

“সত্যি বলছো?”

“জ্বী স্যার।”

“ঠিক আছে এখন গিয়ে ঘুমাও আমি একটু মায়ার সাথে একা সময় কাঁটাতে চাই।”

মায়ার স্যালাইন শেষ হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ।হাত থেকে ক্যানোলা খুলে স্বাবধানে মায়াকে কোলে নিয়ে দিহান তার রুমের সাথে এটাচ ব্যালকনির ডিভানে গিয়ে বসলো।একটা নির্ঘুম রাতের সমাপ্তি ঘটিয়ে সূর্য ধীরে ধীরে আকাশের বুকে মাথা গজিয়ে উঠছে।সেদিকে পিটপিট করে চোখ মেলে দেখলো মায়া।এক নতুন ভোর তার নতুন জীবনের।মায়া জানেনা এ ভোর তার জীবনে অন্ধকার নিয়ে আসবে নাকী আলো। তারপরও এক অজানা ভয়ংকর সুন্দর লাগছে পরিবেশটা।মায়ার কপালে আলতো করে অধর স্পর্শ করে দিহান আরেকটু বুকে জড়িয়ে নিলো তাকে।তারপর বেশ নির্মল একটা কণ্ঠস্বরে বলল,

“নতুন জীবনে স্বাগতম মায়ামতি।”

চলবে,,,