চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা পর্ব-১২+১৩

0
514

#চাঁদ_উজাড়_পূর্ণিমা💚🦋

#পর্ব_১২

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

একটা লোক এসে দুই কাপ চা দিয়ে গেলো।রাজ চাগুলো রেখে আরশের পাশে বসলো।

“কেনো আমার বোনটার সাথে এমন করলি আরশ?”

রাজের কথায় আরশ চমকে যায়।আরশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

“কি বলছি তুই রাজ?তোর বোন মানে?”

“তোর জন্য আমার ছোট্ট বোনটা সুইসাইড করছে।”

“আর ইউ সিরিয়াস রাজ?তুই কি বলছিস ভেবে বলছিস তো!”

রাজ চিৎকার করে বললো,

“হ্যাঁ।হ্যাঁ।আমি যা বলছি ভেবেচিন্তেই বলতেছি।”

আরশ রাজের কাঁধে হাত রেখে বললো,

“রাজ আমি কিছু বুঝতে পারছি নাহ্।প্লিজ একটু বুঝিয়ে বল।”

“হ্যাঁ এখন তো কিছু বুঝবি নাহ্।ওকে আমিই তাহলে তোর কুকর্মগুলো বলি।”

“রাজ আজেবাজে কথা বাদ দিয়ে।সবটা ক্লিয়ার করে বল।আমি তোর কথা কিছুই বুঝতে পারছি নাহ্।”

রাজ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলো,
“আচ্ছা আমই বলতেছি তাহলে।”

“আমার বোনটা তোকে পাগলের মত ভালবাসত তুই তার সাথে প্রেমের নাটক করলি!তারপরে রাইতাকে থেকে দেখে বিয়ে করে ফেললি আর আমার বোনটাকে দূরে ছুড়ে ফেলে দিলি!এ কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই তো আমার ছোট্ট বোনটা মরে গেলো।”

আরশ হা হয়ে তাকিয়ে আছে সে বুঝতেই পারছেনা রাজ কি বলছে!আরশ রাজের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,

“আর ইউ সিরিয়ালরাজ? তুই পাগল হয়ে গেছিস! এগুলো কি বলছিস আমি এগুলো কিছুই বুঝতে পারছিনা।তোর বোন আমার আপন বোনের মতো। আমি ওর সাথে কিভাবে প্রেমের নাটক করতে পারি। আর তোর বোনের সাথে তো নিহাদের প্রেম ছিল।”

“রাজ অবাক চোখে আরশের দিকে তাকিয়ে আছে।রাজারহাটের কাঁধে হাত দিয়ে বলল,
কি বলছিস এগুলো তুই?নিহাদের সাথে সম্পর্ক ছিল মানে?”

“দেখ রাজ তুই হয়তো অনেক কিছু জানিস না।নিহাদের সাথেই রিমির সম্পর্ক ছিলো।আর তোকে কে বলছে যে আমি রিমির জীবন নষ্ট করেছি?”

“নিহাদই তো বললো তুই নাকি রিমির সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ও-কে ধোঁকা দিয়ে রাইতাকে বিয়ে করেছিস।”

“আমি কখনোই এমনটা করতে পারি নাহ্।যেখানে আমি রিমিকে নিজের বোনের চোখে দেখতাম।”

“আমি তবুও তোকে বিশ্বাস করতে পারছি নাহ্।”

“রাজ তুই এখনো সবটা ঠিকভাবে জানিস নাহ্।আগে সবটা জেনে আয় দ্যান এই ব্যাপার নিয়ে ডিসকাস করা যাবে।আমি এতোদিন ভাবতাম রিমির মৃত্যুটা নিতান্তই আত্মহত্যা কিন্তু আজকে কারণটা বুঝতে পারলাম।”

আরশ কথাগুলো বলে হাঁটা শুরু করলো।রাজ নিরব দৃষ্টিতে আরশের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

|🌻|

মিতা বেগম মৌয়ের রুমে গিয়ে দেখলো মৌ মুখ গোমড়া করে বসে আছে।

“কি হয়েছে রে মৌ?”

“দেখো না আম্মু আরশকে কতবার কল করছি ও কিছুতেই রিসিভ করছে নাহ্।”

“হয়তো ব্যস্ত আছে।পরে কল করবে নে।”

অন্যদিকে,

আরশ বাড়িতে এসে দেখে মৌ দশবার কল করেছে।এতোগুলো কল দেখে আরশ কিছুটা অবাক হলো।সে মৌকে কল করলো।কল করার সাথে সাথেই মৌ রিসিভ করলো।কল রিসিভ করার সাথে সাথেই মৌ বলতে শুরু করলো,

“কই ছিলে এতোক্ষণ?নামাজ তো সেই কখন শেষ হয়েছে।এতোবার কল করার পরেও রিসিভ করো নাহ্।কেমন মানুষ তুমি!”

“আরে মৌ আমাকে কথা বলতে তো দিবে।”

আরশ কথাটা বলে সম্পূর্ণ ঘটনা মৌকে বললো,

“আচ্ছা রাজ মানে তো রাইতা আপুর বর?এম আই রাইট?”

“হুম তুমি ঠিকই বলেছো।”

“তুমি তাকে চিনো কিভাবে?”

“সে রাইতার বর হওয়ার পাশাপাশি একসময় আমার বন্ধু ছিলো।”

“হোয়াট?তার মানে রাইতা আপু তোমার বন্ধুকে বিয়ে করেছে!”

“হুম।”

“ওকে এইসব বাদ দেও যেটা বলার জন্য ফোন করেছি সেটা আগে শোনো।”

“কি বলবে বলো?”

“আই এম প্রেগনেন্ট।”

মৌয়ের কথা শুনে আরশের হাত থেকে ফোনটা পড়ে যেতে গেলে সে ধরে ফেলল।সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তারপর একটা ঢোক গিলে বলল,

“তু তু তু তুমি প্রেগন্যান্ট মা মা মানে?”

আরশের তোতলানো শুনে মৌ জোরে হেসে দিলো।মৌয়ের হাসি শুনে আরশ একটা নিশ্বাস ফেললো।আরশ বুঝতে পারলো যে মৌ মজা করেছে।

“মৌ সবসময় এমন মজা করা ঠিক নাহ্।”

“হয়েছে এতো জ্ঞান দিতে হবে নাহ্।তুমি কালকে সকালে আমাদের বাড়িতে আসবে।”

“কিন্তু কেনো?”

“তোকে আসতে বলেছি তুই আসবি।তোর এতোকিছু জানতে হবে কেনো?”

“মৌ তুমি আমার সাথে তুইতোকারি করছো?”

মৌ নাক টেনে বললো,

“একশো বার বলবো।হাজার বার বলবো।তোর কোনো সমস্যা?”

“হঠাৎ করে রাগ হয়ে যাওয়ার কারণটা কি জানতে পারি?”

“তুমি একটুও রোমান্টিক নাহ্।এটাই হলো আমার রাগ হওয়ার কারণ।”

মৌ কথাটা বলে কলটা কেটে দিলো।আরশ মেবাইলটা হাতে নিয়ে মুচকি হাসলো।

“পাগলি একটা।”

#চলবে…………………

#চাঁদ_উজাড়_পূর্ণিমা💚🦋

#পর্ব_১৩

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

সকালবেলা,

আরশ মৌদের বাড়িতে এসে বসে আছে।তবে মৌ এখনো ঘুম থেকে উঠেনি।মিতা বেগম আরশকে কফি দিয়ে বললো,

“মৌ তোমাকে আজকে ডেকেছে তোমাকে নিয়ে ওর কলেজে যাবে বলে।তবে কালকে রাতে ঘুমাতে পারেনি।অনেক জ্বর এসেছিলো ওর।”

“আন্টি মৌয়ের জ্বর এসেছিলো?”

“হ্যাঁ বাবা।”

“আন্টি আমাকে তো একবার জানাতে পারতেন।”

“অনেক রাত হয়ে গেছিলো বাবা।”

“আন্টি আমি কি একটু মৌয়ের রুমে যেতে পারি?”

“এতে আবার পারমিশন নেওয়া লাগে নাকি?মৌ তোমার বউ।তুমি তো ওর রুমে যেতেই পারো।”

আরশ মুচকি হেসে কফির কাপটা হাতে নিয়ে মৌয়ের রুমের দিকে গেলো।আরশ মৌয়ের রুমের দরজার সামনে গিয়ে দেখে মৌ বিছানায় ঘুমিয়ে আছে।আরশ মৌয়ের রুমে গিয়ে কফির কাপটা টেবিলে রাখলো।তারপরে গিয়ে মৌয়ের মাথার কাছে বসলো।আরশ মৌয়ের কপালে হাত দিয়ে দেখলো জ্বরটা কমে গেছে।আরশ আস্তে করে মৌকে ডাক দিলো,

“শিশপ্রিয়া…..”

আরশের কণ্ঠ কানে যেতেই মৌয়ের ঘুম ভেঙে গেলো।সে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে আরশ তার পাশে বসে আছে।মৌয়ের মুখে হাসি ফুটলো।মৌ উঠে বসতে গেলে আরশ বাঁধা দিয়ে বললো,

“মৌ তোমার শরীর অসুস্থ।তোমার এখন উঠে বসার দরকার কি!”

“উফ হাবিজি আমি এখন একদম ঠিক আছি।সো আমাকে বাঁধা দিয়ো নাহ্।”

মৌ শোয়া থেকে উঠে বসলো।

“তা হঠাৎ জ্বর আসলো কিভাবে?”

“ওই যে রাতের বেলা বাইকে ঘুরেছি প্লাস আইসক্রিম খেয়েছি।”

“নিষেধ করেছিলাম আমি।”

“দূর কিছুই তো হয়নি।আল্লাহ রহমতে ঠিক আছি।”

“কালকে হলুদের অনুষ্ঠান আছে মৌ।”

“তো কি হয়েছে?”

“এমন টাইমে তুমি অসুস্থ হলে।”

“আরে আমি এখন ঠিক আছি।”

“আজকে সারাদিন রেস্ট নিবে।আন্টি তো বললো কাল অনেক জ্বর এসেছিলো।এখন না হয় জ্বর নেই।তবে শরীরের দূর্বলতা তো আর কাটেনি!”

“আমি মোটেও দূর্বল নাহ্।”

“হয়েছে এতো কথা না বলে এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।আমি বরং আন্টির কাছে থেকে তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি।”

“এতো কষ্ট তোমার করতে হবে না।”

“আমি কি করবো না করবো সেটা তোমার বলতে হবে নাহ্।”

“তুমি এতো কেয়ারিং!”

আরশ কিছু না বলে মৌয়ের রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।মৌ মুচকি হাসি দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

আরশ নিচে এসে দেখলো মিতা বেগম রান্নাঘরে কাজ করছেন।আরশ গিয়ে মিতা বেগমের সামনে দাঁড়িয়ে বললো,

“আন্টি মৌয়ের খাবারটা দিন।”

“একটু অপেক্ষা করো বাবা।”

মিতা বেগম নাস্তা রেডি করে দিলো।আরশ নাস্তা নিয়ে রুমে এসে দেখলো মৌ মোবাইল টিপছে আর হাসছে।আরশ নাস্তা নিয়ে বিছানার একপাশে রেখে বললো,

“মৌ মোবাইল চালানো বন্ধ করে আগে খেয়ে নেও।”

“তুমি খাইয়ে দেও।”

“আমার কেনো খাওয়াতে হবে?”

“তোমার হাতে খাওয়ার আমার ইচ্ছা হয়েছে।তাই খাওয়াবে।”

“মৌ…..”

“কি হয়েছে?”

“তুমি নিজে খেয়ে নিলে কি হয়?”

“এতো কথা বলার কি দরকার হ্যাঁ?আমি কি তোমাকে বলছি আমাকে কিস করো!তুমি শুধু আমাকে খাইয়ে দেও।এতেও তোমার সমস্যা!”

আরশ আর কিছু না বলে মৌকে খাইয়ে দিলো।মৌও লক্ষী মেয়ের মতো সবটা খেয়ে নিলো।খাওয়া শেষ হলে আরশ মৌকে বললো,

“মৌ বিয়ে কি পিছিয়ে দিবো?”

“বাট হোয়াই?”

“না মানে তোমার তো শরীর ভালো নেই।”

“আরে গাধু আমি কি বলছি আমার শরীর খারাপ!আমি এখন অনেক বেটার আছি।আর এখন আমাকে টাইট হাগ করো শীঘ্রই।”

আরশ আর কিছু না বলে মুচকি হেসে মৌকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।মৌও আরশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো

/🌻/

“রাজ তুমি ইদানীং আমাকে ইগনোর করছো কেন?”

“তোমাকে আমি আবার কখন ইগনোর করলাম?”

“রাজ আমি অন্ধ নাহ।সবটা চোখে দেখি।”

“মেইবি এগুলো তোমার মনের ভুল।”

“রাজ আমি কিন্তু পাগল নাহ্।”

“তুমি পাগল নাহ্ হলেও অভদ্র তো বটে।এখন যেই পরিস্থিতিতে এসে আমি দাঁড়িয়েছি।আমার তো মনে হচ্ছে আমি অনেক বড় অন্যায় করেছি।তুমি আরশের বউ হওয়া সত্ত্বেও তোমাকে বিয়ে করে।তবে আবার একটা জিনিস ভেবে ভালোও লাগছে তোমার মতো একটা মেয়ে আরশের লাইফ থেকে চলে গেছে।”

রাইতা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রাইতা নিজেকে সামলে বললো,
“তুমি এগুলো কি বলছো রাজ?”

“আমার তো মনে হয় নাহ্ তুমি কানে শুনো রাজ।যা বললাম ভেবে দেখো।”

রাজ আর এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।

“রাজের হঠাৎ কি হলো!”

/🦋\

“মৌ আজকে রেস্ট নেও।আমি বরং এখন বাসায় যাই।কারণ বাসায় অনেক কাজ আছে।”

“আরো কিছুক্ষণ থেকে গেলে হয় নাহ্!”

“কালকে তো আবার দেখা হবে।আজকে না হয় একটু অল্প সময়ই তোমার সাথে থাকলাম।”

মৌ আর কিছু বললো নাহ্।আরশ মৌয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে গেলো।

আরশ বাসায় এসে সোফায় বসে আছে।আমেনা বেগম এসে তার পাশে বসলো।

“কি রে নাতিন কাল দি তোর হলুদ।”

“হ্যাঁ দিদুন।তুমি কি খুশি?”

“আই বহুত হ্যাফি।”

“ওটা হ্যাফি না ওটা হলো হ্যাপি।”

“ধূর বাদ দে দি।ওতো ভালো কইরা কওন লাগতো নাহ।”

“দিদুন মৌকে কি তোমার ভালো লেগেছে?”

“কয়বার কমু!আমি তো আগেই কইছি মাইয়াডা রে মোর ভালো লাগে।”

“হ হইছে।এতো চ্যাইতে উঠার কি আছে!”

আরশ কথাটা বলে আমেনা বেগমকে জড়িয়ে ধরলো।আয়াত এসে ওদের পাশে বসলো।

“ভাইয়া….ভাবির কি খবর?”

“তোর ভাবির আর খবর।সে তো জ্বর বাঁধায় বসে আছে।”

আয়াত লাফ দিয়ে বললো,

“কি?জ্বর বাঁধালো কিভাবে?”

আরশ সত্যিটা না বলে বললো,

“বাঁধিয়েছে কোনো ভাবে।”

“কাল তো গায়ে হলুদ।কিভাবে কি করবা ভাবি যদি অসুস্থ থাকে!”

“আল্লাহ রহমতে এখন ঠিক আছে।এতো চিন্তা করার কিছু নাই।”

|🌼|

দুপুরবেলা খাওয়ার পরে আরশ তার নিজের রুমে ঘুমিয়ে আছি।হঠাৎ আরশের কল আসলো।সে তাকিয়ে দেখলো একটা নাম্বার ভেসে উঠেছে।নামটা ডিলিট করলে কি হয়েছে!এটা তো তার চিরচেনা নাম্বার।কারণ নাম্বারটা রাইতার।

আরশ মোবাইল হাতে নিয়ে ভাবছে,

“রাইতা কি বলবে আমায়?ও কেনো কল করলো!এর থেকে আমি যত দূরে সরতে চাই।এই মেয়ে তত আমার দিকে এগিয়ে আসে!”

আরশ বিভিন্ন চিন্তার মধ্যে কলটা রিসিভ করলো।কল রিসিভ করার সাথে সাথে রাইতা বললো,

” তুমি আমার সংসার ভাঙ্গার জন্য রেডি হয়েছো তাই-না!”

“কি যা তা বলছো তুমি রাইতা।”

রাইতা তারপরে আরশকে সবটা বললো।

“রাজ যদি এগুলো বলেও থাকে,তাতে আমার দোষ কি!এই সব কথাবার্তা একদম আমাকে কল করে বলবে নাহ্।বেহায়া মেয়ে কোথাকার!”

আরশ কথাগুলো বলে কলটা কেটে দিলো।

“এই মেয়ের লজ্জা বলতে কিছুই নেই।”

|||💚|||

বিকেলে মৌ বেলকনিতে বসে আছে।আর কফি খাচ্ছে।

“এখানে যদি আরশ থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো।আমি ওর কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকতাম।আর ও আমার মুখের উপর উড়ে আসা চুলগুলো সরিয়ে দিতো।”

মৌ কি জানি ভেবে আরশকে কল করলো।আরশ কল রিসিভ করতে মৌ বললো,

“কি করো হাবিজি?”

“এইতো বসে বসে টিভি দেখছিলাম।”

“এক কাজ করো আমাদের বাড়ির সামনে চলে আসো।”

“কিন্তু কেনো?”

“আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে।”

“মৌ আজকে না বের হলে হয় নাহ!”

“আমার খুব বোরিং লাগছে।”

আরশ মুচকি হেসে বললো,

“আচ্ছা আমি আসতেছি।”

“ইয়াহু।”

মৌ কথাটা বলে মোবাইলে একটা চুমু দিয়ে কল কেটে দিলো।আরশ বাইক নিয়ে মৌদের বাড়ির সামনে এসে দেখলো।মৌ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।আরশকে দেখে মৌ দৌড় দিয়ে নিচে চলে আসলো।

“আজকে কোথায় যাবে মৌ?”

“এই তো ফুচকা খাবো।দ্যান তোমার কাঁধে মাথা দিয়ে লেকের পাড়ে বসে থাকবো।”

আরশ মুচকি হেসে বললো,

“আচ্ছা বাইকে উঠো।”

মৌ আরশের পিছনে উঠে বসলো।আরশ বাইক স্টার্ট দিয়ে ফুচকার দোকানে গেলো।মৌ বাইক থেকে নেমে ফুচকার দোকানে দৌড় দিলো।আরশ বাইক থেকে নেমে বললো,

“হায়রে আমার উড়নচণ্ডী!”

আরশ গিয়ে মৌয়ের পাশে দাঁড়ালো।

“মামা দুই প্লেট ফুচকা দেন।”

“মৌ দুই প্লেট তুমি খেতে পারলে নেও।আমি কিন্তু ফুচকা খাই না।”

“কি?গাধু কোথাকার।ফুচকা আবার কেউ না খেয়ে থাকতে পারে!”

“আমার ফুচকা খেতে ভালো লাগে নাহ্।”

“হাবিজি এই ধরনের কথা বলে ফুচকাকে অপমান করবে নাহ্।”

“বাহ্ এইসব বললে ফুচকা অপমানিত হয়?”

“ইয়াহ্ একশো বার হয়।”

মৌয়ের কথায় আরশ জোরে হেসে দিলো।মৌ মুখ ভেঙচি কেটে মুখ ঘুরিয়ে ফেললো।আরশ মৌয়ের হাত টেনে তার দিকে ঘোরালো।

“ওকে আমি আর ফুচকাকে অপমান করবো নাহ্।এবার খুশি!”

মৌ হাসি দিয়ে বললো,

“হ্যাঁ।”

“ওকে চলো আমরা ওইপাশে গিয়ে বসি।”

“ওকে।”

আরশ মৌয়ের হাত ধরে নিয়ে একটা বেঞ্চে বসালো।মৌ আর আরশ বসে বসে গল্প করছে আর হাসছে।

#চলবে………………..

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।]