চাঁদ উজাড় পূর্ণিমা পর্ব-১৬ এবং শেষ পর্ব

0
970

#চাঁদ_উজাড়_পূর্ণিমা💚🦋

#পর্ব_১৬(অন্তিম পর্ব)

#লেখক_ঈশান_আহমেদ

রাত গভীর হয়ে গেছে।হঠাৎ আরশের মোবাইলে কল আসলো।আরশ ঘুম ঘুম চোখে কলটা রিসিভ করলো।মোবাইলের ওপাশ থেকে মৌয়ের কন্ঠ ভেসে আসলো।

“হ্যালো হাবিজি।কি করো?”

মৌয়ের গলা শোনে আরশ রীতিমতো শকট।সে এক লাফে শোয়া থেকে উঠে বসলো।নিমিষেই জেনো তার ঘুম উধাও হয়ে গেছে।রুমে থাকা দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো তার দুইটা দশ বাজে।

“আর ইউ সিরিয়াস মৌ?রাত দুইটার সময় তোমার কল দিতে হলো!তাও আবার কি করি জিজ্ঞেস করার জন্য।”

“কি করবো বলে!কাজিনগুলো এতোক্ষণ গল্প করতেছিলো। এখন সবগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে।তাই আমি বেলকনিতে এসে তোমাকে কল করলাম।আমার কিউটু বর তাহ্ প্লিজ আমাকে এখন একটু ঘুরতে নিয়ে যাবে।”

“মৌ পাগল হয়ে গেলে নাকি!এতো রাতে তোমাকে নিয়ে আমি কই যাবে?”

“কই যাবে আবার?ঘুরতে যাবে।বাইকটা নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসো।আমরা দুজনে এই মাঝ রাতে একে অপরের হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হাঁটবো।”

“বোঝার চেষ্টা করো মৌ।কালকে আমাদের বিয়ে।আর একটা নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের গায়ে হলুদ ছোঁয়ার পরে তাদের বাইরে বের হওয়া ঠিক নাহ্।”

“কি?এটা কি সত্যি নাকি?”

“হ্যাঁ।”

“বাইরে বের হলে কি হবে?”

“আমি ডিটেইলস জানি নাহ্।তবে মেইবি কোনো ক্ষতি হয়।”

“থাক তাহলে আমরা আজকে আর বের হবো নাহ্।ওকে আল্লাহ হাফেজ।”

“আল্লাহ হাফেজ।আর মৌ শোনো বেলকনিতে না দাঁড়িয়ে রুমে চলে যাও।”

“ওকে হাবিজি।”

মৌ কলটা কেটে দিলো।আরশ মুচকি হেসে মোবাইলটা রেখে শুয়ে পড়লো।

ফজরের আযানের আওয়াজে আরশের ঘুম ভাঙলো।সে ঘুম থেকে উঠে ওযু করে মসজিদে গেলো।মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে এসে দেখে সারাবাড়িতে হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে।আরশ মুচকি হেসে তার রুমের দিকে যেতে গেলে হঠাৎ রাত এসে তার সামনে দাঁড়ালো।আরশ অবাক হয়ে বললো,

“কি রে রাত!তুই এতো সকালে চলে এসেছিস?”

“আর বলো নাহ্ ভাইয়া।সকালে ঘুমাচ্ছিলাম আম্মু পানির ছিটা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়েছে।তারপরে জোর করে এতো সকালে পাঠিয়ে দিলো।অনেক কাজ আছে নাকি!”

আরশ হেসে দিলো।তারপরে বললো,

“যাক ভালো হয়েছে।তুই কাজ কর আর আমি আমার রুমে গিয়ে ঘুমাই।”

আরশ কথাটা বলে তার রুমে চলে গেলো।রুমে এসে বিছানায় শুতেই আরশের চোখ ঘুম চলে আসলো।

—🦋—

মৌ ঘুম থেকে উঠে বসে বসে চোখ ডলছে।মুখটা বাংলার পাঁচের মতো করে বললো,

“দিথুনী তোরে খুন করবো!এতো সকালে ঘুম ভাঙালি কেনো?”

“গাধী আজকে তোর বিয়ে আর তুই পড়ে পড়ে ঘুমাবি নাকি!”

মিতু পাশে থেকে বললো,

“দিথি একদম ঠিক বলেছে।তুই এখন উঠে পড়।নাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।”

মৌ মুখ মলিন করে বললো,

“আরেকটু ঘুমাতে দে প্লিজ।”

দিথি মৌয়ের পাশে বসে বললো,

“আজকে একটু সকালে উঠে পড় আমার বইন।কারণ জুম্মার নামাজের পরে তোদের বিয়ে।পার্লারে যেতে হবে অনেক প্যারা আছে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।”

মৌ বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

/🌻\

তুরের ডাকে আরশের ঘুম ভাঙলো।

“কি রে তুর এতো ডাকার কি আছে?”

“আরশ দশটা বাজে।আজকে তোর বিয়ে ভাই।”

“আরে আরেকটু ঘুমাই।সমস্যা নাই তো।”

“চুপ কর।আর তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।”

আরশ বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।

!✨!

রাজ বসে বসে কফি খাচ্ছে।হঠাৎ বাড়ির কলিংবেল বেজে উঠলো।রাজ দরজা খুলে দেখলো কয়েকজন পুলিশ দাঁড়ানো আর তাদের সঙ্গে একটা মেয়ে।মেয়েটাকে দেখে রাজের আত্মা কেঁপে উঠলো।কারণ মেয়েটাকে রাজ ভালো করেই চিনে।মেয়েটা হলো রাজের প্রথম স্ত্রী।তারা লুকিয়ে বিয়ে করেছিলো।

একজন পুলিশ অফিসার রাজের হাতে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে বললো,

“মি.রাজ ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট।”

রাইতা এসে হাজির।রাজকে এই অবস্থায় দেখে রাইতা বললো,

“আপনারা ও-কে অ্যারেস্ট করেছেন কেনো?”

“মিসেস.সায়নী উনার বউ থাকা সত্ত্বেও উনি আপনাকে বিয়ে করেছেন।

সায়নী কাঁদতে কাঁদতে বললো,

“দুইদিন আগেও রাজ আমার বাসায় গিয়েছিলো।কিন্তু আমি জানতামও না যে ও আবার বিয়ে করেছে।এটা জানতে পেরেছি আমার কাজিন মৌয়ের থেকে।ওর বিয়েতে বেড়াতে এসেই সবটা জেনেছি।আমি আর রাজ লুকিয়ে বিয়ে করেছি।রেজিস্ট্রি ম্যারেজ।আমার বাড়ির লোক এখনো জানে না।খালি আমার কাজিনরা জানে।রাজের ছবি দেখানোর পরে মৌ বললো যে রাজ নাকি আপনাকে বিয়ে করেছে!ও-কে এই জিজ্ঞেস করলে ও অস্বীকার করেছে।আর আমার সাথেও বাজে ব্যবহার করেছে।তারপরে আমি থানায় গিয়ে রাজের নামে মামলা করেছি।ও এখন আমাকে বউ হিসেবে অস্বীকার করছে বলে।”

রাইতার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।সে ঘৃণার দৃষ্টিতে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ সায়নীর কথা কানে বাজতেই রাইতা বললো,

“মৌ মানে?”

“অয়ন সাহেব মানে আমার খালুর মেয়ে।”

রাইতা চুপ হয়ে গেলে।পুলিশ রাজকে টানতে টানতে তার বাড়ির বাইরে বের করলো।চারিপাশের লোকজন রাজের এই অবস্থা দেখে হাসছে আর কানাঘুষা করছে।রাজ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।সে মনে মনে বললো,

“মৌ তোমাকে আমি সুখে থাকতে দিবো নাহ্।তোমার জন্য আজ আমার এতো অপমানিত হতে হচ্ছে।”

রাইতা তার রুমের বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাঁদছে।

“রাজ তুমি আমাকে এভাবে ধোঁকা দিলে!”

হঠাৎ রাইতা কি মনে জেনো উঠে বসলো।তারপরে চোখের পানি মুছে ঘড়ির দিকে তাকালো।ঘড়িতে দেড়টা বাজে।

“দুইটা বাজে।তার মানে একটু পরে আরশ আর মৌয়ের বিয়ে।নাহ্ এই বিয়ে আমার আটকাতে হবে।রাজকে হারিয়েছি তবে আরশকে হারালে চলবে নাহ্।আরশের কাছে গিয়ে যদি আমি ক্ষমা চাই।ও ঠিকই আমাকে ফিরিয়ে দিবে।”

রাইতা কথাটা বলে একগাল হাসলো।বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে মৌদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।

“💙”

আরশ আর মৌ পাশাপাশি বসে আছে।মৌ লজ্জামাখা মুখ নিয়ে বসে আছে।আরশ যা দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।কাজি এসে বিয়ে পড়িয়ে চলে গেলো।আরশ মৌয়ের একটা হাত শক্ত করে ধরে বললো,

“তুমি আজ সম্পূর্ণ আমার।”

মৌ হাসি দিয়ে বললো,

“আর তুমিও।”

হঠাৎ করে রাইতা এসে আরশকে জড়িয়ে ধরলো।আরশ অবাক হয়ে গেছে।সে বুঝতে পেরেছে এটা রাইতা।আরশ এক ঝটকা দিয়ে রাইতাকে তার থেকে দূরে সরিয়ে উঠে দাঁড়ালো।তারপরে ঠাস করে রাইতার গালে একটা থাপ্পড় মারলো।বিয়ে বাড়ি জেনো নিমিষেই থমকে গেছে।

আরশ চিৎকার করে বললো,

“তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে জড়িয়ে ধরার!”

আরশ প্রচন্ড রেগে গেছে।মৌ আরশের রাগ দেখে ঘাবড়ে গেছে।কারণ সে এর আগে আরশকে এতোটা রাগতে দেখেছি।মৌ একটা ঢোক গিলে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।

রাইতা গালে হাত দিয়ে কাঁদো কাঁদো সুরে বললো,

“আরশ তুমি আমাকে সবার সামনে এভাবে থাপ্পড় মারলে?”

“তোমাকে তো কেবল একটা থাপ্পড় দিয়েছি।তোমাকে আরো দশটা থাপ্পড় দেওয়া উচিত।”

রাইতা আরশের কাছে এসে আরশের হাত দুটো চেপে ধরলো।

“আরশ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।প্লিজ আমাকে তোমার স্ত্রীর অধিকার দেও!”

আরশ রাগের কারণে রীতিমতো কাঁপছে।সে রাইতার হাত ছাড়িয়ে রাইতার গালে আরেকটা থাপ্পড় মারলো।

“লজ্জা করে না তোমার!যেই শুনতে পেরেছো রাজের আগে একটা বিয়ে আছে আর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে।সেই তুমি এখানে এসে সিনক্রিয়েট করা শুরু করলে!একটা কথা শোনে রাখো,আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে।আর বর্তমানে মৌ আমার স্ত্রী।সো তুমি আমাদের থেকে দূরে থাকো।”

“আরশ তুমি কীভাবে জানলে রাজকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে?”

“এটা সিম্পল বিষয়।কারণ সায়নী আমার শালিকা।আর সায়নীকে আমি আর মৌ দুজনে মিলেই বলেছি জেনো সে তার সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নেয়।”

রাইতা কাঁদতে কাঁদতে বললো,

“আরশ প্লিজ আমাকে তুমি এভাবে দূরে সরিয়ে দিয়ো না।”

“জাস্ট স্টপ মিসেস.রাইতা।আপনি এই মুহূর্তে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যান।নাহলে কিন্তু এই বাড়ি ভর্তি মানুষের সামনে আমি সিকিউরিটি ডেকে আপনাকে বের করে দিবো।ঠিক যেমন ভাবে আপনি আমাকে বের করে দিয়েছিলেন।”

রাইতা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে গেলো।রাইতা চলে যেতেই আরশ বললো,

“আরে সবাই এতো চুপচাপ হয়ে গেলেন কেনো!বিয়ে বাড়ি হৈচৈ করতে হবে তো।”

আরশ কথাটা হেসে দিলো।সবাই আবার যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।আরশ মৌয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে মৌ অবাক হয়ে আরশের দিকে তাকিয়ে আছে।আরশ ভ্রু কুচকে মৌয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

“কি হয়েছে মৌ?”

“ওরে বাবা রে!তোমার কি পরিমাণ রাগ।আমি যদি বেশি দুষ্টুমি করি তাহলে তো আমাকেও এভাবে মারবে মনে হয়।”

মৌয়ের কথায় আরশ জোরে এসে দিলো।মৌকে জড়িয়ে ধরে বললো,

“পাগলি কোথাকার!তোমাকে মারলে তো আগেই মারতাম।কারণ এতোদিনে তুমি কম দুষ্টামি করোনি।আর আসল কথা হলো দুষ্টুমি গুলো মানা যায় তবে ধোঁকা মানা যায় নাহ্।”

মৌ আরশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,

“হাবিজি আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারো।আমি কখনো এমন কিছু করবো নাহ্ যাতে তুমি কষ্ট পাও।”

||🍁||

সন্ধ্যাবেলা,

আরশ মৌকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে আসলো।মৌ তো তার শ্বশুর বাড়িতে এসে অনেক খুশি।একেকজনের সাথে গল্প করে সময় পাড় করে দিচ্ছে।আরশ বেচারা একা একা রুমে বসে আছে।কারণ তাদের বাড়িতে আসার পরে থেকে মৌ একবারও আরশের সাথে কথা বলেনি।

রাতে সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আয়াত মৌকে আরশের রুমে বসিয়ে দিয়ে চলে যায়।আরশ রুমে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে দিলো।তারপরে মৌয়ের সামনে এসে বসে বললো,

“বাহ্ মৌ!প্রথম দিন এসেই আমাকে ভুলে গেলে।পরে কি করবে কে জানে?”

আরশের কথা শুনে মৌ হেসে দিলো।আরশের গলা জড়িয়ে ধরে আরশের গালে একটা চুমু দিয়ে বললো,

“উহু!এতো কষ্ট পেলে চলে নাকি?সবাইকে তো একটু টাইম দিতে হয় তাই-না!”

আরশ কিছু না বলে মৌয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো,

“আমার সাথে বেলকনিতে চলো।”

“আরে এতো কেনো কিসের!চলো তাহলেই তো বুঝবে।”

আরশ মৌকে কোলে করে বেলকনিতে নিয়ে গেলো।মৌ তো বেলকনি দেখে অবাক।কারণ বেলকনিটা অনেক সুন্দর করে সাজানো।বিভিন্ন ফুলের গাছে ফুল ফুটে আছে,চারিপাশে বেলুন সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের লাইট লাগানো।এক কথায় অসাধারণ!

“কেমন লাগলো মৌ?”

“অনেক সুন্দর।”

“তোমার জন্য সাজিয়েছি।তুমি নাকি ফুল গাছ অনেক পছন্দ করো আর নাকি অন্ধকারে কিছুটা ভয় পাও!সেই কারণে বেলকনি আলো দিয়ে সাজিয়ে ফেলেছি।কারণ বেলকনি তোমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা।”

“তুমি কিভাবে জানলে?”

“মিতা আন্টি মানে আমার শ্বাশুড়ি মা বলেছেন।”

মৌ বেলকনিটা ঘুরে ঘুরে দেখছে।হঠাৎ আরশ তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে এক গুচ্ছ গোলাপ তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

“কিছু মানুষ কবে,কিভাবে মনে জায়গা করে নেয় তা বলা বড় দায়।ঠিক তেমনিই তুমিও আমার মনে জায়গা করে নিয়েছো।তোমার বাচ্চামো,তোমার মুখের হাসি,তোমার কাজল কালো চোখ,তোমার লম্বা চুল,পরিশেষে তোমার চোখের কালো ফ্রেমের চশমা।তোমার সবকিছুতে আমি মুগ্ধ হয়েছি।তোমাকে দেখেছি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে।হয়তো বা কখনো লজ্জামাখা দৃষ্টিতে তোমায় দেখেছি।আমার স্বপ্নের অলিতে গলিতে বারবার তোমায় খুঁজে পেয়েছি।থাক এতো বলেই বা কি হবে!মানুষটা তো আমারই।তবে শেষে দুটো লাইন না বললে নয়;

″তোমার চোখে আকাশ আমার-
#চাঁদ_উজাড়_পূর্ণিমা||“💚🌻

বড্ড ভালোবাসি গো তোমায়।আমার প্রিয়তমা।আমার অর্ধাঙ্গিনী।আমার শিশপ্রিয়া!”

আরশের কথাগুলো শোনে মৌয়ের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।সে আরশের হাত থেকে গোলাপগুলো নিয়ে আরশের সোজাসুজি বসে পড়লো।তারপরে আরশের বুকে মাথা লুকিয়ে বললো,

“আমিও আমার হাবিজিকে বড্ড ভালোবাসি।”

আরশ মৌকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলো।

“মৌ তোমার না ছোট্ট আরশ লাগবে?তাহলে আর দেরি কেনো!আজ তো বাসর করতেই হবে।”

আরশের কথায় মৌ কিছুটা লজ্জা পেয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ লুকালো।আরশ নিজের ভর মৌয়ের উপর ছেড়ে দিলো।মৌয়ের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো।মৌ আরশের চুলগুলো টানছে।আরশ নিজেকে মৌয়ের মাঝে হারিয়ে ফেলেছে।তাদের ভালোবাসা আজ পূর্ণতা পেলো।

…………………………………..#সমাপ্ত……………………………………..

<প্রথম খন্ডে অনেক কিছুই না জানিয়ে শেষ করে দিলাম।কারণ দ্বিতীয় খন্ড আসবে এই গল্পের।সবাই একটু ধৈর্য্য ধরুন।ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় খন্ড আসবে।>

(আল্লাহ হাফেজ।আশা করি গল্পটা সবার ভালো লেগেছে।)

[ভূল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন।নেক্সট না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন তাহলে আমাদের লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়!]