চিরকুট পর্ব-০৪

0
90

#চিরকুট ( চতুর্থ পর্ব )
#ঈপ্সিতা_মিত্র
<৭>
তবে সেদিনের পর মা বাবার ব্যাবহার ভীষণভাবে বদলে গেছিল সৃজার সাথে। ওরা মন থেকে একসেপ্ট করে নিয়েছিল এই বিয়েটা, সৃজাকে। তাই নিজেরাই ওদের এক বছরের ম্যারেজ এনিভার্সারিটা খুব বড় করে সেলিব্রেট করেছিল। ফ্যামিলির সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের ডেকে একটা রিসেপশন দিয়েছিল। সেখানে সৃজাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। হাসি মুখে বৌমার প্রশংসা করেছিল সবার কাছে। গৌরবের তো এইসব দেখে বিশ্বাসই হচ্ছিল না ঠিক! ও সেই ভিড়ের মধ্যেই সৃজাকে আলতো স্বরে বলেছিল,
——–” তোমার এলেম আছে সত্যি! মা বাবার ওপর কি জাদু করলে যে এখন শুধু তোমারই গুণ গেয়ে যায়! আমার মা বাবাকে তো কোনদিন আমার ব্যাপারেও এত সুনাম করতে শুনিনি কখনো! ”
কথাগুলো বেশ বড় বড় চোখ করে বলেছিল গৌরব। সৃজা এইসব শুনে চোখ টিপে বলেছিল,
——-” থামবে তুমি। সত্যি! কি যে বলো!”
তবে এই মুহূর্তে গৌরবকে চুপ করিয়ে দিলেও সৃজা মনে মনে ভীষণ খুশি ছিল আজ। অবশেষে ও পেরেছে। নিজের জন্য এই পরিবারে, গৌরবের মা বাবার মনে একটা জায়গা তৈরি করতে। তাই সত্যিই একটা ভালো লাগায় ভরে ছিল মন।

সেই ভালো লাগার রেশ নিয়েই দিনগুলো কাটছিল এরপর। মনে হচ্ছিল চারিদিকের পৃথিবীটা ভীষণ রঙিন। আর এর মাঝেই গৌরব এসে হাজির হয়েছিল দুটো শিমলার ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে। বেশ হাসি মুখেই ও বলেছিল সৃজা কে,
———” যেভাবেই হোক ছুটি ম্যানেজ করো। পাহাড় ডাকছে আমাদের। তাই ঘুরতে যেতেই হবে। ”
এই কথায় সৃজা তবে বেশ খুশি হয়ে বলেছিল,
———” তুমি কিভাবে আমার মনের কথাটা বুঝে যাও? কতদিন ধরে ভাবছি কোথাও যদি একটা ঘুরতে যেতে পারতাম! আর পাহাড় তো আমার সব থেকে বেশি ফেভারিট..”
এটা শুনে গৌরব বেশ প্রাউডলি বলেছিল,
———-” এতদিন সংসার করে যদি বউয়ের মনের কথাটাই না বুঝলাম; তাহলে কিসের হাজবেন্ড! যাইহোক, প্যাকিং শুরু করো। আর তো দুদিন বাদেই ফ্লাইট।”
সেদিন এইসব এলোমেলো কথার পর অবশেষে দুদিন বাদে ওরা গিয়ে পৌঁছেছিল হিমাচল প্রদেশের এই সুন্দর পাহাড় নগরীতে। কটা দিন তারপর স্বপ্নের মতন কেটেছিল দুজনের। বরফ ঢাকা শিমলার রাস্তায় একে অপরের হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সৃজার মনে হচ্ছিল যেন কোন রূপকথার দেশে এসে হাজির হয়েছে গৌরবের সাথে। এত সুন্দর পাহাড়ে ঘেরা এই শহর! তার মাঝে দুজনের এই একান্ত সময়টা যেন ভালো লাগার রেশ ছড়িয়ে দিচ্ছিল মনে। কেমন আরো বেশি করে ভালোবাসতে ইচ্ছে করছিল দুজনের দুজনকে। ওদের ওই কাঠের কটেজের ফায়ার প্লেসের উষ্ণতা, আর দুটো ঠোঁটের উষ্ণতা মিলে মিশে এক হয়ে যাচ্ছিল এই বরফের দেশে বার বার। সেই মুহূর্তে গৌরব সৃজাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরছিল নিজের মধ্যে। কেমন সৃজার শরীরের গন্ধ নিচ্ছিল প্রাণ ভোরে! ওকে নিজের মধ্যে জড়িয়ে রাখছিল সারা রাত, সারা দিন। ভীষণ ভাবে ভালোবাসছিল এই কাজল চোখের মেয়েটাকে। আর সৃজাও এই সময় নিজের সমস্তটা দিয়ে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিচ্ছিল গৌরবকে। আদর মাখিয়ে দিচ্ছিল গৌরবের শরীরে, মনে। এই দিনগুলোকে ভালোবাসার ক্যানভাসে রাঙিয়ে তুলছিল নতুন করে।
আর এই রঙিন ক্যানভাসে আরো কিছুটা রং জুড়লো কদিন বাদে, কলকাতায় ফেরার পর। সৃজার সেই মাসে কদিন ধরে শরীরটা একটু খারাপ ছিল। খাবারে রুচি ছিল না, মাথাটা মাঝে মাঝে ঘুরে যাচ্ছিল। তাই গৌরবকে নিয়েই ডাক্তার দেখাতে গেছিল। তবে ওকে চেক আপ করার পর ডাক্তার কিছুটা আন্দাজ করে প্রেগেন্সি টেস্ট যখন করতে দিয়েছিল, সৃজা চমকে গেছিল হঠাৎ! নিজের অজান্তেই নিজের পেটের কাছে হাত রেখে ফিল করতে চেয়েছিল অন্য প্রাণের অস্তিত্ব! তারপর একদিন বাদে যখন রিপোর্ট পজিটিভ এলো, তখন তো গৌরব আনন্দে জড়িয়ে ধরেছিল সৃজা কে। ও বাবা হতে চলেছে! বিশ্বাস হচ্ছিল না ঠিক। আর সৃজাও কেমন আনন্দে হতবাক হয়ে বসেছিল কিছুক্ষণ চুপ করে। ওর পেটে ছোট্ট একটা প্রাণ আছে; যে ওকে একদিন মা বলে ডাকবে, ওর নিজের সন্তান! কথাটা যতবার মনে হচ্ছিল চোখ দুটো ভিজে যাচ্ছিল জলে। আসলে প্রথমবার মা হওয়ার অনুভূতি এরকমই। আনন্দ মেশানো কান্না নিয়ে আসে চোখে।
যাইহোক, এই কথাটা যখন বাড়ির সবাই জানতে পেরেছিল, খুশির শেষ ছিল না! সৃজার মা আনন্দির খবরটা শুনেই চোখে জল চলে এসেছিল। সেই ছোট্ট সৃজাকে যখন হসপিটালের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছিল, অবহেলায় কাঁদতে দেখেছিল, তখনই এই মেয়েটার জন্য কেমন মায়া জন্মে গেছিল মনে। সাত দিনের ফুটফুটে মেয়েটাকে ও কোলে তুলে নিয়েছিল ভীষণ যত্নে। মনে মনে সেই একদিনেই ও সৃজার মা হয়ে উঠেছিল যেন। আর আজ সেই মেয়ে নিজে মা হতে চলেছে! কথাটা ভেবেই অবাক লাগছিল কেমন! আসলে সৃজা তো আজও ওর কাছে সেই ছোট্ট মেয়েটাই, যে স্কুলে যাওয়ার আগে ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো, কারণ মা কে ছেড়ে থাকতে হবে বলে! তাই মেয়ে যে এত বড় হয়ে গেছে, এটা কিছুতেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না ঠিক।
তবে গৌরবের বাবা মা খবরটা শুনে আনন্দে চমকে উঠেছিল! অনন্যা তো সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুর ঘরে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে ছিল। হয়তো ছোট্ট একটা গৌরবই আসতে চলেছে ওর কাছে! আর সমীরণবাবু তো সাথে সাথে বলে উঠেছিল,
——–” কালই দক্ষিণেশ্বর যাবো, বৌমার নামে পুজো দিতে। সব যেন ভালোয় ভালোয় হয়ে যায়! বৌমা, তবে আমার কিন্তু একটা নাতি চাই। ”
শেষ কথাটা সৃজার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন উনি। কিন্তু এই মুহূর্তে এটা শুনে সৃজা হঠাৎ থমকে গেছিল যেন! ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, সৃজা তো শুধুমাত্র একটা সুস্থ্য সন্তান চায়। কথাটা ভেবেই আর কিছু বলতে পারেনি ঠিক। কিন্তু গৌরব বেশ দৃর গলায় বলে উঠেছিল বাবাকে,
——–” এইসব প্লিজ বোলো না এখন! আর তুমি তো সাইন্সের স্টুডেন্ট। জানোই তো, ছেলে বা মেয়ে হওয়াটা সৃজার হাতে না! তাহলে এইসব কথা ওকে বলছো কেন? আর সবার আগে ঈশ্বরের কাছে এটা চাও যে যে ই আসুক, যেন সুস্থ্য শরীরে আসে। এর থেকে বেশী কিছু চাই না আমাদের। ”
কথাগুলো বলে ও সৃজার হাতটা শক্ত করে ধরেছিল সেদিন। কিন্তু সমীরণবাবু বুঝেছিল ছেলে রেগে গেছে ওর কথায়। তাই পরিবেশটা কে সহজ করার জন্য বলেছিল,
——–” আরে এত চটছিস কেন? আমি তো কথার কথা বলেছিলাম। সব কথাকে অতো ধরিস না। ”
<৮>
যাইহোক, তবে এর পরেরদিনই অনন্যা সৃজার নামে পুজো দিতে গেছিল দক্ষিণেশ্বর। তারপর পুজোর প্রসাদ আর ফুল এনে সৃজার ঘরে গিয়ে ওর মাথায় ঠেকিয়ে বলেছিল আলতো স্বরে,
——–” তোমরা এখনকার দিনের মেয়ে; জানি না শুনবে কি না আমার কথা, তবে আমি বলি কি, এই প্রথম কটা মাস খুব সাবধানে থাকতে হয় বুঝলে। আর তারপর বাচ্চা হলেও সে সব সময় মাকেই চায়। আমার বাবু তো যেমন আমাকে ছাড়া এক সেকেন্ড থাকতো না! কতদিন হয়েছে ওকে কোলে নিয়ে রান্না করেছি। এত মায়ের নেশা ছেলের! তাই বলছি, চাকরিটা এবার ছেড়ে দাও। আসলে মা হওয়া অতো সহজ না। অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হয়। তোমার ভালোর জন্যই বললাম। তুমি বাড়ি থাকলে বাবুও নিশ্চিন্তে নিজের কাজ করতে পারবে। নইলে সারাক্ষণ বাচ্চাকে নিয়ে টেনশন থেকে যাবে!”
কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলেছিল অনন্যা। সেই সময় ঘরে শুধু সৃজাই ছিল। গৌরব অফিসে গেছিল। আর এই সুযোগটাই খুঁজছিল অনন্যা; কারণ ছেলের সামনে এইসব কথা বলা যাবে না। তাহলেই রাগারাগি শুরু। ছেলেকে তো চেনে! সব ব্যাপারে একটু বেশিই স্বাধীনচেতা। কিন্তু সব পরিস্থিতিতে এইভাবে ভাবলে চলে না। দিন শেষে বাচ্চা দেখা মানুষ করার দ্বায়িত্ব সব থেকে বেশি মায়ের। আর সেটা চাকরি করে করা সম্ভব না। এইসবই ভাবছিল, কিন্তু তখনি সৃজা বলে উঠলো একটু আস্তে গলায়,
——–” সরি মা। এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব না। অনেক পড়াশোনা করে, খেটে আমি এই চাকরি টা জোগাড় করেছি নিজের জন্যে। আর আমার মনে হয় না, মা হওয়ার মানে এটা যে নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে দিতে হবে! আর আমি আমার বাচ্চার সামনে এরকম কোন উদাহরণ তৈরিও করতে চাই না। আমার ছেলে বা মেয়ে যে ই হোক, সে এটাই শিখবে যে তার মা ঘরে আর বাইরে দুটোই সমানভাবে সামলাতে পারে। কোন কিছুতে থেমে যায় না! আর আমি এই মাস গুলোতে ঠিক নিজের খেয়াল রাখবো। তুমি চিন্তা কোরো না। ”

কথাগুলো ধীর স্বরে বলে কালী মায়ের প্রসাদটা মুখে দিয়েছিল সৃজা। তবে অনন্যার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেছিল এই মুহূর্তে। সৃজা যে মুখের ওপর এইভাবে না করে দেবে ওর কথায়; এটা ভাবেনি আসলে! তাই বেশ গম্ভীর মুখেই বলেছিল,
——-” ঠিক আছে! দ্যাখো যেটা ভালো মনে করবে সেটাই করো তুমি। আমি আর কি বলবো! এখনকার মেয়েরা তো এমনিই একটু বেশি বোঝে। ”
কথাগুলো বলেই ঘরটা খালি করে দিয়ে চলে গেছিল অনন্যা। কিন্তু সৃজা কেমন থমকে ছিল যেন। শেষ কথাটা যে অনন্যা ওকে শুনিয়ে বললো আজ, এটা বুঝেছিল সৃজা। কিন্তু কোন উত্তর দেয়ার মতন মানসিকতা ছিল না যেন ওর! আসলে সব সময় তো অন্যের ইচ্ছানুযায়ী চলা সম্ভব না। কিছু কিছু সময় নিজের কথাও ভাবতে হয়।

তবে এরপর পরেরদিন সকালে সৃজা গৌরবকে নিজে থেকে বলেছিল,
——–” আমি অফিস যাওয়ার জন্য একটা গাড়ি কিনবো ভাবছি। ডাউন পেমেন্ট টা আমার জমানো টাকায় হয়ে যাবে, তারপর বাকিটা ইয়েমাই তে কাটিয়ে নেব। ”
কথাটায় গৌরব বেশ চমকেই বললো,
——–” গাড়ি কিনবে! হ্যাঁ, কেনাই যায়। এমনিতেও প্রেগেন্সির টাইমে ভিড় ঠেলে ট্রেনে বাসে যাতায়াত করাটা চাপের। তবে আমাকে একটা কাজ করতে হবে তাহলে। ”
এই কথায় সৃজা একটু প্রশ্নবোধক চিন্হর মতন মুখটা করে বলেছিল,
——–” কাজ! কি কাজ? ”
এই প্রশ্নে গৌরব বেশ নির্বিকার মুখে বলেছিল,
——–” কেন! ড্রাইভিং শিখতে হবে। আজই একটা ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটে এডমিশন নিয়ে নিচ্ছি। কারণ ম্যাডাম কে অফিসে ড্রপ করা, আবার অফিস থেকে বাড়ি ফেরৎ নিয়ে আসার দ্বায়িত্বটা তো আমারই। ”
সৃজা এটা শুনে আলতো হেসে জড়িয়ে ধরেছিল গৌরবকে।
যাইহোক, এরপর দেড় মাসের মধ্যেই গৌরব ড্রাইভিং শিখে নিজেই সৃজাকে সঙ্গে নিয়ে অফিস যেত। গল্প করতে করতে হাসি ঠাট্টা মজায় দিনগুলো যেন চোখের পলকে পার হয়ে যাচ্ছিল ওদের। এর মধ্যে প্রত্যেকদিন সৃজা একটু একটু করে অনুভব করছিল নিজের মাতৃত্ব। বুঝতে পারছিল একটা প্রাণ ওর অলক্ষে বেড়ে উঠছে শরীরে, যার অস্তিত্বটা ও রোজ ভীষণ মন থেকে ফিল করে! তবে এই সুন্দর ছন্দে চলা দিন গুলোর তাল কাটলো হঠাৎ। সৃজা সেদিন টিফিন টাইমের পর একটা ফাইল নিয়ে দিতে যাচ্ছিল ম্যানেজারের ঘরে। ও কদিন হলো দোতলায় একটা ডেস্ক এ শিফ্ট করেছে। নতুন একাউন্ট খোলার কাজগুলো ও ই দেখছে। সেইসব রিলেটেডই একটা ফাইল নিয়ে যাচ্ছিল নিচে, একতলায় ম্যানেজারের কেবিনে। কিন্তু সৃজার সেদিন সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে একটা ধাক্কা লাগলো হঠাৎ! আসলে ও খুব আস্তে আস্তে রেলিং ধরে সিঁড়ি থেকে নামলেও পিছন থেকে আসা একজন পিয়ন বেশ অনেকগুলো ফাইল নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করে নামছিল নিচে, আর তখনি ওই লোকটা হোঁচট খেয়ে সৃজা কে পিছন থেকে ধাক্কা মারে; আর সৃজা সেই মুহূর্তে কিছুতেই টাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে আটটা সিঁড়ি নিচে। সেই মুহূর্তে যন্ত্রণায় ও চিৎকার করে উঠেছিল! সেই আর্তনাদ এতটাই তীব্র ছিল যে নিচে থাকা লোকজনের কানে এসে পৌঁছেছিল সঙ্গে সঙ্গেই। তাই তাড়াতাড়ি ব্যাঙ্কের কিছু স্টাফ এসে হাজির হয়েছিল সিঁড়ির কাছে, আর দেখেছিল মাটিতে শুয়ে সৃজা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তবে এই ভিড়ে গৌরবও ছিল সেদিন। ও কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থির হয়ে গেছিল কেমন সৃজাকে ওই অবস্থায় দেখে! তারপর কোনভাবে নিজেকে সামলে দৌড়ে গেছিল সৃজার কাছে। ওকে মাটি থেকে তুলে আগলে ধরেছিল নিজের মধ্যে। কিন্তু এই মুহূর্তে সৃজার হঠাৎ চারিদিকটা অন্ধকার হয়ে এসেছিল কেমন। পেটের মধ্যে প্রচণ্ড যন্ত্রণাটা আর সহ্য করতে না পেরে ও অজ্ঞান হয়ে গেছিল হঠাৎ গৌরবের বুকে মাথা রেখে।
( চলবে)