ডাকপাড়ি পর্ব-৬৪

0
273

#ডাকপাড়ি
#পর্ব_৬৪
#আফনান_লারা
পূর্ণার ঘ্যানঘেনে আওয়াজে রাতে ঘুম শুরু হতো ফারাজের।বিরক্তি যে জিনিসে ছিল সেটা যে এত তাড়াতাড়ি অনুভব করার বস্তু হয়ে পড়বে তা কে জানতো?
ফারাজের সে রাতে বিন্দু মাত্র ঘুম হলোনা।রাতের শেষভাগে এসে মন চাইছিল পূর্ণতার কাছে ছুটে চলে যেতে এরপর ওর চোখে চোখ রেখে বলতে,’পূর্ণ যা মন চায় বলেন,আমি শুনবো।না শুনলে যে ঘুম আসেনা আমার’

আলমারির একটা শেলফে পূর্ণতার নতুন নতুন শাড়ী গুলা সাজিয়ে রাখা ছিল।সেগুলো হাতে নিয়ে দেখছে ফারাজ।দরজা খোলাই ছিল,দাদাজান সে সময় ঐখান দিয়েই নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলেন।হঠাৎ দেখলেন ফারাজকে,হাতে নিয়ে আছে পূর্ণতার সব শাড়ী।এমন দৃশ্য দেখে একদিকে তার মনটা যেমন প্রফুল্ল হয়ে গেলো তেমনই তার মনে হলো এটাই আসল সময় পূর্ণাকে এনে ফারাজের পাশে বসিয়ে দেয়া।এ সময়টাতেই ওদের একে অপরকে প্রয়োজন।যে করেই হোক কাল পূর্ণতাকে এই বাড়িতে নিয়ে আসতেই হবে।দ্রুত হেঁটে তিনি নিজের ঘরে এসে ফোন হাতে তুললেন।কল করলেন অরিন্দমকে।
অরিন্দম সবেমাত্র খাবার সেরে বিছানায় মাথা রেখেছিল,চোখ এখনও লাগেনি।ফোন বাজতেই উঠে বসে রিসিভ করলেন।

‘তুমি জানো পূর্ণতা কোথায় অরিন্দম? ‘

‘এত রাতে ফোন দিলেন যে?আমি তো ভয় পেলাম।পূর্ণতা কোথায় আবার,নিজের রুমেই আছে হয়ত’

‘গিয়ে দেখো তো সে কি করতেছে?’

‘কেন?কিছু হলো নাকি?’

‘যেটা বলেছি করো’

অরিন্দম বাধ্য হয়ে বিছানা ছেড়ে রুম থেকে বের হয়ে পূর্ণতা যে রুমে আছে সেদিকে গেলো।গিয়ে দেখে পূর্ণতা ফারাজের আঁকা একটা ছবি যেটা সে সাথে নিয়ে এসেছিল সেটা নিয়ে বসে আছে।ছবিটা একটা মেয়ের।দাঁড়িয়ে পাহাড় দেখার দৃশ্য।ছবিটাকে খুব মনযোগ দিয়ে সে দেখছিল।অরিন্দম যা দেখলেন সেটাই বললেন দাদাজানকে।দাদাজান খুশি হলেন,এরপর অরিন্দমকে কড়া গলায় জানিয়ে দিলেন কাল যেন তিনি পূর্ণতাকে পাঠিয়ে দেয়।ওর এখানে থাকা খুব জরুরি’
——-
পরেরদিন সকাল সকাল ফারাজ হয়ত ঘুমের ঘোরে বলছিল,’পূর্ণতা এত চেঁচামেচি করিয়েন না,আমায় একটু ঘুামতে দিন পূর্ণা’

সামনে ছিল মা।তিনি ফারাজের এইসব কথা শুনে ওকে ডাক দিলেন।ওমনি ফারাজ হকচকিয়ে উঠে বসে।মায়ের সামনে লজ্জিত চোখে চুপটি করে বসে থাকলো সে।কিসব বলেছে তা সে জানে।কারণ ঘুম চোখে থাকলেও সে জেগে থেকে কথাগুলো ইচ্ছে করেই বলছিল মন হালকা করতে কিন্তু রুমে যে কখন মা এসে সব গুছাচ্ছিল এত সময় ধরে তা সে টের পায়নি।মায়ের এই একটা স্বভাব।কাজ এমন ভাবে করে কাকপক্ষী ও আওয়াজ শোনেনা।
ফারাজের ও তাই হলো।মা মুচকি হেসে বললেন,’তুই না ওরে পছন্দ করিস না?তাহলে এখন ওরে এত মিস করছিস?’

‘মোটেও না।ঘুমের ঘোরে মানুষ কি নিজের ইচ্ছেতে কিছু বলতে পারে?’

‘সেটাই বলছিলি যেটা আসলে বাস্তব।এখন যা ফ্রেশ হয়ে নে।খাবার তৈরি ‘

ফারাজ মনটা খারাপ করে চলে গেলো।মনে পড়ে গেলো ওর পাশে বসে গাপুসগুপুস করে খাওয়া মেয়েটি আজ ওর পাশে বসে খাবেনা।তাকে একাই খেতে হবে।কারণ এখন যে সময় সেইসময়ে সকলের খাওয়া শেষ।
কাল রাতে দেরিতে ঘুম হয়েছিল বলেই আজ তার এত দেরি ওঠা।
—–
পূর্ণতা পুকুর ঘাটের কাছে এসে এক দৃষ্টিতে একটা দৃশ্য দেখছিল।তার চাচাতো ভাই তার বউকে পানিতে ডুবিয়ে দুষ্টামি করছে।
দুজনের হাসাহাসিতে পুকুরের পাড়ে যেন আওয়াজ গিয়ে বার বার বাড়ি খাচ্ছে।
পূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস বলে দিলো তার কপালে এইসব নাই।নিজের মতে বিয়েটা করলেও ফারাজ হয়ত এখনও প্রতিমার জায়গা অন্য কাউকে দিতে ২বার ভাবছে।ভাবারই কথা। যাকে ঘিরে ডাকপাড়িতে কতগুলো বছর ফারাজ গুনেছে, সেই বছর গুলো ফিরিয়ে নেয়া যায়না,যাবেও না।ভালবাসার যে সোনার বালা ফারাজ আলমারিতে তুলেছিল সেটা কি করে ভোলা যায়?ডাকপাড়ির ডাক হয়ত ফারাজের কান থেকে যায়নি,হয়ত আজ পার্কের পাশের সেই ডাকপোস্ট তাকে মনে করিয়ে দেয় প্রতিমা কেবল ফারাজের সরলতার উপমা।পূর্ণতা বুঝি কেউ নয়!!!
———
যন্ত্রে বাঁধা মন, ছিল ক্লান্ত অসহায়
অর্থে কেনা সুখ, ম্রিয়মাণ দুঃখের ছায়ায়

আর নয় সময় উদ্দেশ্যহীন মিছিলে
তুমি সেই পূর্ণতা আমার অনুভবে
আর নয় আঁধার, তুমি স্বপ্নে ডেকে নিলে
ভরে মন অন্তহীন রঙ্গিন এক উৎসবে

‘ভাই কি এই গান পূর্ণতা ভাবীকে নিয়ে গাইলেন??’

মতিনের কথা শুনে ছাদের রেলিং থেকে সরে এসে টাংকির পাশে এসে বলে,’কিছু গান আমরা গাই প্রিয় মানুষটাকে উদ্দেশ্য করে।আর কিছু গান গাই সেই গানে প্রিয় মানুষটার নাম আছে বলে।
হয়ত যে গানে প্রিয় মানুষটার নাম উল্লেখ থাকে সে গানটা গাইলে মনের ভেতর যে শান্তিটা পাওয়া যায় তা অন্য গান গেয়ে পাওয়া যায়না।
পূর্ণতা বলেছিল তাকে নিয়ে আমি গান গাইনা।সে যদি শুনতো!’

‘তাহলে হাবিজাবি আরও হিজিবিজি করে দিতো’

ফারাজ ব্রু কুঁচকে বলে,’ও ওতোটাও খারাপ না’

‘খারাপ তো আমিও বলি নাই।উনি অনেক অদ্ভুত ধরনের’
——–
সারথি আনাফের ওয়াশরুমে ঢুকে হারাই গেছে।এত বড় ওয়াশরুম।যত পা চালাচ্ছে কোণার দেয়ালের খোঁজই পাচ্ছেনা।অনেক কষ্টে শাওয়ার খুঁজে গোসলটা শেষ করে বের হয় সে।আনাফ সকাল সকাল বাবার সাথে মর্ণিং ওয়াকে গেছে।
সারথি গোসল করে বের হয়েই বড়সড় একটা ধাক্কা খেলো ওয়ারড্রবের সাথে।এই রুমে সব তার কাছে নতুন।তাই দিশ করে উঠতে পারছেনা।অভ্যাস হওয়া অবধি এমন ধাক্কা খেয়ে যেতে হবে।
হাত ঘঁষতে ঘষতে সে রুম থেকে বের হয়।রান্নাঘর থেকে ফুফু আর আনাফের আম্মুর কণ্ঠস্বর শোনা গেলো।সম্ভবত তারা ফুফুর ছোট বউকে বিয়ে আলোচনা করছিলেন।সেই মেয়ে নাকি খুব ভাল রান্না জানে।কোন কোন পদ করে ফুফুকে খাওয়ায় সেগুলোরই হিসাব দিচ্ছিলেন ফুফু।রান্নার টপিক আরও এগোলো সারথির প্রসঙ্গ আসায়।ফুফু চট করে বলে দিলেন সারথি বুঝি কখনও আনাফের বাবা মাকে রেঁধে বেড়ে খাওয়াতে পারবেনা।এ কথা শুনে সারথির মন খারাপ হয়ে গেলো।সে আর ঐদিকে গোলোনা।চলেই আসছিল কিন্তু হঠাৎ আনাফের আম্মু ওকে অবাক করে দিয়ে ফুফুকে বললেন সারথি খুব ভাল রান্না জানে।কোন উপকরণ কোথায় আছে সেটা শিখিয়ে পড়িয়ে দিলে সে একাই রাঁধতে পারবে।এটা শুনে ফুফু অবাক হয়ে বললেন,’তাই নাকি?খাইয়েছে কিছু?’

‘আপনার ভাইকে তো রান্না খাইয়েই রাজি করিয়েছে’

‘ওমা কি বলো!!!’

সারথির মুখ ভর্তি হয়ে গেলো এক রাশ আনন্দে।আনাফের আম্মু এমন বলবেন তা সে কল্পনাও করতে পারনি।সকাল সকাল মনটা অনেক অনেক ভাল হয়ে গেলো
মনের আনন্দে সামনের দিকে ছুটলো সে।হঠাৎ খেতে হলো জোরেসোরে এক ধাক্কা।এবার ধাক্কাটা কোনো ফার্ণিচারের সাথে নয় বরং লেগেছে আনাফের সাথে।বাইরে থেকে সবেই ফিরেছিল সে।সারথি এবার আর ব্যাথা পায়নি।আনাফ বললো,’এত খুশি কেন জানতে পারি?হাসির কারণে মুখের সৌন্দর্য্য ও তো মেলাতে পারছিনা ঠিক করে।এমন দাঁত কেলিয়ে রাখার কারণ বলো,ওহ হ্যাঁ।তোমার দাঁত কেলানোটাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিতে তাজা খবর নিয়ে এসেছি’

‘কি সেটা?’

‘কাল নাকি সজীবের বাবাকে চা পরিবেশন করতে গিয়ে সজীবের হবু বউ লেভেনের শাড়ী খুলে হাতে চলে এসেছিল’

সারথি এ কথা শুনে হাসলোনা।কিন্তু আনাফ হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে।

‘এত হাসির কিছু নেই।
মেয়েটা বিদেশে বড় হয়েছে।শাড়ী পরে ধরে রাখা জানবে কি করে?’

আনাফ হাসতেছিল সেইসময় আনাফের বাবা এসে তিনিও হাসছেন।লেভেনের এই কথা আনাফ তাকে না বললেও তিনি শুনেছেন সজীবের আঙ্কেল সানাউল্লাহ থেকে।তিনিও হাসি আটকাতে পারছেন না।এবার ছেলের সাথে এসে একসাথ হয়ে হাসছেন।সারথি লজ্জা পেয়ে এক পা এক পা করে সরে যাচ্ছে।

বাবা হাসতে হাসতে রুমে চলে গেছিলেন, আনাফ সারথিকে তখনই খপ করে ধরে বললো,’পুরো কথা তো শুনবে।শাড়ী খোলার পর সে রাগ করে শাড়ীটা বাকি যেটুকু বাকি ছিল খোলার সেটাও খুলে উর্মির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছে,’মাফ করবা আমার পক্ষে এটা সম্ভব না।বিয়ের দিন লেহেঙ্গা পরে বিয়ে করবো’

‘সবার সামনেই?’

‘হুম।ও জিন্সের সাথে শাড়ী পরছিল।আচ্ছা বাবা হাসছে কেন?’

‘জানিনা তো!’
———-
ফারাজের আজ কাজ নেই। যার কারণে সারাদিন তাকে বাড়িতেই থাকতে হবে।এটা সে একেবারে চায়নি।মন খারাপ শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছে।কিছুই ভাল লাগছেনা।অথচ সে এই বাড়িতে এতদিন এমন করেই দিন কাটাতো।ফারাজের বন্ধুবান্ধব নাই বললেই চলে।তারা থাকলে হয়ত তাদের সথে আড্ডা জমিয়ে সময় কাটানো যেতো।এখন সে একেবারেই একা পড়ে গেছে।আগে তো প্রতিমাকে নিয়ে চিঠি লেখে সময় কেটে যেতো।এখন যে একটা সেকেন্ড শেষ হতে এক মিনিট লাগাচ্ছে।কি মুশকিল!
সে কি ছোট বাচ্চা ছেলে যে এত জলদি আবেগে পড়ে গেলো?মেয়েটা কয়দিন বা হলো এসেছে।

‘এত মিস কেন করছি!তাও তার সেই ঘ্যানঘ্যান মিস করতেছি।মেয়েটা ছিল আজব ধরনের আর আমাকেও আজব করে তুলেছে।
তবে আমি চাই সে তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক।তার কমতি আমি খুব করে টের পাচ্ছি।আর পেতে চাইনা।’

অর্ক আর বাকি বাচ্চারা স্কুলে।মা আর সায়না কাকি রান্নাঘরের কাজে ব্যস্ত। বাবা বাজারে,দাদাজান হাঁটতে গেছেন।পুরো বাড়িতে নিজেকে কেমন খাপছাড়া লাগলো তার।বইতেও মন বসছেনা।পছন্দের যে বইটা এতদিন সে একানব্বই বার পড়েছিল, আজ বিরানব্বই বারে এসে সেটা অসহ্য লাগছে।অথচ ফারাজের একশোর উপরে একটা বই পড়ার রেকর্ড আছে।ভাল লাগলে ঐ বইয়ের পাতা ছিঁড়া অবধি সে পড়তেই থাকে।
বইটা টেবিলে সাজিয়ে তুলি আর রঙ পেন্সিল নিয়ে বসে সে।আজ সে আঁকবে,একটা মেয়ের ছবি।সেই মেয়েটি পূর্ণ।
সেদিনের সেই ভদ্র লোকরে বলা কথাগুলো কেমন সত্যি হয়ে গেলো।মন দিতে হয়নি হঠাৎ করেই ছবিটা মনের মতন হয়ে গেলো।যেন মন দিতে না চেয়েও ফারাজ মন দিয়েই ছবিটা এেঁকেছে।রঙ ছুতেই ছবিটা এত ভীষণ সুন্দর হয়ে গেলো যে এটা মার্কেটে চড়া দামে বেচা যেতো কন্তু ফারাজ বেচবেনা।রেখে দিবে নিজের কাছে।
কিছু ছবি বেচার জন্য অাঁকা হয়না।নিজের কাছে রেখে দেয়ার জন্য ও আঁকা হয়।এই ছবিটা সেই কাতারে পড়ে।
——
পূর্ণতা বাড়ি ফিরেছে আধা ঘন্টা হলো।বাড়ির সকলের অনুরোধেও সে এখনও ফারাজের কাছে যায়নি।সে ভেবে রেখেছে সারপ্রাইজ দিবে,একবার দেখবে তার অগোচরে ফারাজ কি করে।
ফারাজ সকাল থেকে ছবিটা আঁকায় ব্যস্ত ছিল।ছবি আঁকা শেষ করে দিছে এক ঘুম।কাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি, ঘুমালে সময়টা জলদি যাবে ভেবে সে ঘুমাতে মন দিছে জোর করেই।
পূর্ণতা চুপিচুপি ওর রুমে এসেছে ঘুরতে।এসে দেখে তার একটা অসাধারণ ছবি এঁকে সাজিয়ে রেখেছে ফারাজ।পূর্ণতার হা বন্ধ হচ্ছেনা।সে আসলেই কি এত সুন্দর?যতটা এই ছবির মেয়েটা সুন্দর!
আসলেই কি এটা পূর্ণতা!!
ছবিটাতে হাত রেখে পূর্ণতা ফারাজের দিকে তাকায়।ফারাজ ঘুমায়।নাটক করছেনা।সত্যি সত্যি ঘুমাচ্ছে সে।

পূর্ণতা অনেকক্ষণ ওকে দেখে চলেই যাচ্ছিল ঠিক সেসময় তার হাতটা ধরে আটকায় ফারাজ।
পূর্ণতা ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকায়।ফারাজের মুখে হাসি ফোটা।
পূর্ণতা ওর হাসি দেখে কিছু বুঝে উঠে পারছিল না।সেসময় ফারাজ বলে ওঠে,’আসলেন আর আমায় ডাকলেন না?’

‘ঘুমে ডিস্টার্ব করতে চাইনি’

‘বেনির দুই বাড়িতে জেগে যেতে হলো’

পূর্ণতা জিভে কামড় দিলো ওমনি।বেনি ঝুলিয়ে ফারাজের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের ছবিটা দেখছিল যখন তখন বেনির বাড়ি খেয়েছে ফারাজ তাতেই তর ঘুম ভেঙ্গে যায় তাও চোখ বুজে ছিল কয়েক মিনিট।
পূর্ণতা বেনি ঘুরিয়ে খোঁপা করে ফেলে বলে,’ইচ্ছা ছিল দেখার আমার অনুপস্থিতিতে ঠিক কি করেন’

‘দেখা তো হয়নি তোমার, তাই না?’

পূর্ণতা ছবিটা হাতে নিয়ে বললো,’দেখা হয়ে গেছে এবং বোঝাও হয়ে গেছে’

‘এই আর এমন কি!চিত্রকর ছবি আঁকতেই পারে!!’

‘চিত্রকর আমার শাড়ী নিয়ে কি করছিল?গুছিয়ে রাখা শাড়ীগুলো এলোমেলো করা কেন?যতদূর জানি আপনার না থাকাতে এই রুমে কেউ ঢোকেনা।তবে কাজটা যে আপনার সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ আমার নেই’

‘মোটেও না আমি শাড়ী ধরিনি’

‘বাবার থেকে শুনলাম আপনার নাকি ঘুম চলে গেছিলো আমায় ছাড়া? আর তাই দাদাজান আর্জেন্ট বাবাকে কল করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে’

‘সব যখন জেনেই বসে আছেন তবে আমার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন কেন?’

‘মুখ দিয়ে বের করে দেখার ইচ্ছা জাগছিল।কিন্তু আপনি অনেক ঘাড়ত্যাড়া।মচকালো তাও ভাঙ্গলো না’

চলবে ♥