ডিভোর্স পর্বঃ ২

0
3521

#ডিভোর্স
পর্বঃ ২
লেখকঃ #আবু_সাঈদ_সরকার

তানিশাঃ যাই হোক
বিয়ের আগে আপনার
অতীতটা জানা
ভালো…

নীলঃ হুম বলো কী
ছিলো তোমার অতীত..

তানিশাঃ এটা আমার
সেকেন্ড বিয়ে…

নীলঃ মানে..

তানিশাঃ মানেটা খুব
সহজ আমার বাবা তার
বন্ধুর ছেলের সঙ্গে
জোর করে বিয়ে দেন
হঠাৎ তার বাবা একদিন
মারা যান কিন্তু
ছেলেটার সার্থ ছিলো
না আমাকে খাওয়ানোর
বেকার ছেলে কেমন হয়
সেটা তো জানেন এ…

তা ছাড়া ওনার সঙ্গে
আমার কোনো আদও
কোনো সম্পর্ক ছিলো
না…

না ফিজিক্যাল না
শারীরিক…

শুধু এক ঘরে থেকেছি
জাস্ট এত টুকুই…


নীলঃ ছেলেটা কী
এতটাই খারাপ ছিলো
যে তাকে ছেড়ে চলে
আসলে সে নিশ্চয়ই
তোমাকে মারধর
করতো…


তানিশাঃ মারধর
কেনো করবে সে তো
আমার চোখে চোখ
রেখে কথা বলতে
পারতো না হ্যা তার
এদিকটা অবশ্য ভালো
ছিলো কিন্তু তাই বলে
সারাটা জীবন একটা
বেকার ছেলের সঙ্গে
থাকাটা অসম্ভব…


নীলঃ আচ্ছা একটা কথা
বলি…

তানিশাঃ জ্বী বলেন..

নীলঃ আমাকে ছেড়ে
আবার যাবে না তো…

তানিশাঃ পাগল নাকি.
। ।
আচ্ছা এসব কথা ছাড়ো
এখন বলো বিয়ে নিয়ে
তোমার প্লেন কী…


নীলঃ এখনো ভাবা হয়
নি.

তানিশাঃ ও আচ্ছা
আপনি বিয়েতে কাকে
কাকে Invite করবেন…

নীলঃ প্রথমতো
আমাদের সিনিয়ার
অফিসার কে ওনি খুব
ভালো মানুষ মাএ এক
মাস হলো আমাদের
ব্যাংক এ জয়েন
হওয়ার…

তার পর আমার
পরিবারের সবাইকে…

তানিশাঃ নাইস
আমাদের তেমন কাউকে
বলার নেই…


নীলঃ যদি মনে কিছু না
করে তাহলে একটা কথা
বলি তোমাদের
ডিভোর্স এর কত দিন
হলো…


তানিশাঃ এক বছর দু
মাস…

নীলঃ ও এর মাঝে
ছেলেটা কখনো তোমায়
সঙ্গে যোগাযোগ করার
চেষ্টা করে নি…

তানিশাঃ না আর আমি
কখনো চাইতাম ও না যে
তার ফোন আসুক…

আচ্ছা আজ তাহলে
আসি…


নীলঃ ওকে বাসা পযন্ত
ছেড়ে দিয়..

তানিশাঃ না থাক চলে
যেতে পারবো…

নীলঃ ওকে আমি
স্যারকে ইনভাইট করে
আসি…


তার পর একটা অটো
নিয়ে স্যার এর বাসায়
আসলাম…

নীলঃ স্যার আসবো…

স্যারঃ হ্যা এসো..

নীলঃ স্যার সামনের
মাসের ১ তারিখ এ
আমার বিয়ে আপনাকে
কিন্তু আসতেই হবে


স্যারঃ আচ্ছা বাবা
আসবো তা কেমন আছো
নীল..

নীলঃ জ্বী ভালো
আপনি..

স্যারঃ হুম ভালো কী
খাবে চা না কফি..

নীলঃ চা..৷

তার পর স্যার এর সঙ্গে
কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা
হয়ে গেলো ওনার
ব্যবহার বার বার
আমাকে মুগ্ধ করে দেয়
একটা মানুষ এতটা
ভালো কী ভাবে হতে
পারে সেটা ভাবতেই
অবাক লাগে…



১৫ দিন পর..

তানিশাঃ হ্যালো

নীলঃ হ্যা বলো…

তানিশাঃ বিয়ের জন্য
শপিং এ যাবো আপনি
বসুন্ধরা শপিং মলে
আসবেন প্লিজ…


নীলঃ ওকে কখন আসবা
তুমি…

তানিশাঃ আমি তো
বাসা থেকে বেড় হয়ে
গেছি…

নীলঃ ও তাহলে আমি
শপিং মলে এ গেলাম
তুমি ওখানেই আসো…

তানিশাঃ আচ্ছা…

কিছু খন পর

তানিশাঃ আচ্ছা আমরা
বিয়ের দিন মেচিং
করে কাপড় পড়বো
কেমন…

নীলঃ হুম

তার পর শপিং শেষে
একটা রেস্টুরেন্ট এ বসে
চা খেতে খেতে..

তানিশাঃ ওয়াও
এই রেস্টুরেন্টে টা তো
অনেক সুন্দর আর
গোছালো…


নীলঃ হুম আর তুমি
জানো এই রেস্টুরেন্টে
এর মালিক কে..

তানিশাঃ না তো আমি
তো আজকেই প্রথম
আসলাম ..

নীলঃ আমাদের ব্যাংক
এর সিনিয়ার অফিসার
স্যার এর…

ওনি শখ করে এই
রেস্টুরেন্টে টা
বানিয়েছেন..


তানিশাঃ নিশ্চয়ই ওনার
বউ এর জন্য..

নীলঃ আরে না ওনি তো
সিঙ্গেল এখনো বিয়ে
করে নি…

তানিশাঃ ও ওনি
নিশ্চয়ই খুব বড় লোক..

নীলঃ হুম তবে
অহংকারী না..

তানিশাঃ আমি তো ওই
মানুষটাকে দেখার
অপেক্ষায় আছি…

নীলঃ সেই দিনটা খুব
শীঘ্রই আসতে চলেছে…


দেখতে দেখতে আজ
সেই দিনটা চলে
আসলো..

সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে
বিয়েটা সম্পুর্ণ হলো..

ঠিক তখনি..
তানিশার বাবাঃ
জামাই বাবাজি তোর
অফিসের স্যার আসলেন
না তো…


নীলঃ এখনি চলে আসবে
কথাটা বলতে না বলতেই
একটা মারসিটিজ গাড়ি
চলে আসলো…

তানিশাঃ গাড়িটা
প্রচুর দামি…

নীলঃ ওনি চলে
আসছেন…

এটা ওনার এ গাড়ি ১৫
কোটি টাকা দিয়ে
কিনে নিয়েছেন…


তানিশার বাবাঃ
কথাটা শুনে মাথায় বাজ
পড়ার মতো অবস্থা ১৫
কোটি টাকা চোখেও
দেখি নি…


নীলঃ আমি গাড়ির
দরজাটা খুলে দেই…


তানিশাঃ ওনি গাড়ির
দরজাটা খুলে দিতেই সব
কিছু মনে হলো নিস্তব্ধ
হয়ে গেছে চোখ দুটো
দিয়ে মনে হয় স্বপ্ন
দেখছি….

আমার সামনে এখন যে
দাড়িয়ে আছে সে আর
কেউ নয় ১ বছর আগের
বেকার ছেলেটা….


চলবে.