ডিভোর্স পর্বঃ ৩

0
3383

#ডিভোর্স
পর্বঃ ৩
লেখকঃ #আবু_সাঈদ_সরকার

তানিশাঃ নিজের
চোখকে বিশ্বাস করতে
পারছি না এটা কোনো
স্বপ্ন না তো একটা
বেকার ছেলে একবছর এ
এত কিছু কীভাবে
করলো…


সাঈদঃ গাড়ি থেকে
নামতেই সেই বিশ্বাস
ঘাতকের মুখটা দেখতে
পেলাম যে কী টাকার
জন্য নিজের স্বামীকে
ছেড়ে যায় সে আর যাই
হোক কোন দিন কারো
সাথে সংসার করতে
পারবে না…

নীলঃ স্যার ভিতরে
আসুন..

সাঈদঃ হুম

তানিশাঃ তুমি
এখানে…

সাঈদঃ what আপনি
আমাকে তুমি করে
বলছেন মানে কী নীল
এটা কোন ধরনের
বেয়াদবি ছিঃ নীল
তুমি আমাকে ডেকে
এনে এভাবে অপমান
করবে ভাবতেও পারি
নি
…( Attitude
নিয়ে)


নীলঃ স্যার আপনি
যেমনটা ভাবছেন
আসলে সেটা নয় ও
হয়তো ভুলে বলে
ফেলেছে তুমি স্যার কে
তুমি করে বলছো কেনো
তোমাকে বলছি ওনি
আমার সিনিয়ার…


সিনিয়ার কে কখনো
তুমি করে বলে কেউ

তানিশাঃ সরি স্যার
বুঝতে পারি নি মুখ
ফসকে বেড়িয়ে পড়েছে
..

সাঈদঃ its ok..


তানিশার বাবাঃ
মেয়েটা তার জীবনের
সব থেকে ভুলটা
সেদিনি করেছিলো
যেদিন সাঈদ এর হাতটা
ছেড়ে দিয়েছিলো
কিন্তু আমি বাবা হয়ে
মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে
পারছিলাম তাই বাধ্য
হয়ে আমাকেও মেয়ের
সঙ্গে তাল মিলাতে
হয়…


সাঈদঃ তাহলে
তানিশার বিয়ে নীল এর
সঙ্গে হচ্ছে ভালো…
( নীল আমার আবার
একটা জরুরী কাজ আছে
আমাকে এখনি যেতে
হবে আর আমি দোয়া
করছি যেনো তোমাদের
বিবাহিত জীবন সুখের
হয়…


এই এইটা নিন মিস
তানিশা আক্তার…

তানিশাঃ কী এটা…

সাঈদঃ তাড়াহুড়োতে
কিছু নিয়ে আসতে পারি
নি এতে ৫০ হাজার
টাকা আছে নিজের
পছন্দের কিছু কিনে
নিবেন আসি তাহলে
এখন…

বলেই চলে আসলাম
জানি না হঠাৎ কেনো
এই স্বার্থ পর মেয়েটার
কথা ভেবে অজান্তেই
চোখে পানি চলে
আসলো….



নীলঃ তো এবার
আমাদেরও বিদায়
নেওয়ার সময় হয়ে
গেছে..

বাবা দোয়া করবেন
যেনো আমরা সুখি হই…

তানিশার বাবাঃ দোয়া
রইলো..


নীলঃ ড্রাইভার
গাড়িটা নিয়ে আসলো
তার পর আমরা দুজনে
গাড়িতে বসে পড়লাম..


তানিশাঃ গাড়িতে
বসে… সে কেনো হঠাৎ
করে আমার জীবনে
আসলো সে কয়েক
মিনিট এ আমার
জীবনটা কেনো ভেঙ্গে
টুকরো টুকরো করে
দিলো…


নীলঃ কিছু খন বাড়িতে
এসে…
মা তানিশাকে রুমে
নিয়ে গেলো আর আমি
সকল বন্ধুদের বিদাই
দিতে গেলাম…


সব কিছু, শেষ এ..

অবশেষে সেই সময়টা
চলেই আসলো যেটার
জন্য সবাই অপেক্ষা
করে মানে ফুলশয্যার
রাত..

রুমের দরজাটা বন্ধ করে
বিছানায় গিয়ে বসলাম
কে নো যানি বুকের
মাঝে একটা ভয় কাজ
করছে…

তবুও সাহস করে
তানিশার হাতটা ধরে..
তোমাকে খুব সুন্দর
লাগছে আজ..

বলেই কপালে এটা চুমু
একে দিলাম…

তানিশাঃ এখন ওসব না
আজ ভিষণ ক্লান্ত..

নীলঃ এই রাতের জন্য
এত অপেক্ষা এটা আমার
জীবনের প্রথম রাত…

তানিশাঃ তোমার প্রথম
আমার দ্বিতীয় বার..

তো…

নীলঃ যেটা প্রত্যক
স্বামী স্ত্রী মাঝে হয়
সেটাই হবে ওটা
বলছিলাম আর কী..

তানিশাঃ ও তার মানে
এখন আমার শরীরটাকে
ভোগ করতে চাও এই নাও
তাহলে ভোগ করো
শাড়ির আচলটা ফেলে
দিয়ে ..

নীলঃ কী করছো এসব
আর এখন আমি তোমার
স্বামী আমার সম্পুর্ণ
অধিকার আছে তোমার
শরীরের উপর…

তানিশাঃ তাই তো
বলছি দেরি করছো
কেনো নিজের ক্ষুধা
মেটাও…


নীলঃ ছিঃ তানিশা
তোমার নেচার টা এতো
খারাপ সেটা জানা
ছিলো না…


তানিশাঃ জানলে কী
করতেন হুম বিয়ে করতেন
না এটাই তো…

নীলঃ সব কিছুর একটা
লিমিট আছে তানিশা
অতিরিক্ত বলে ফেলছে
তাই রাগটা কন্ট্রোল না
করতে পেরে ঠাস করে
একটা থাপ্পড় বসিয়ে
দিলাম…

তোমার শরীরের উপর
কোনো লোভ নেই আমার
তোমার কী অন্যান
মেয়েদের তুলনায় কিছু
বেশি আছে নাকি যত
সব….




সাঈদঃ রাত গরিয়ে দিন
১ মাসের ছুটি নিয়ে এক
অজানা গ্রামে ঘুরতে
আসলাম.. যে গ্রামটা
প্রকৃতির রুপে সাজানো
সকাল বেলা পাখির
ডাকে ঘুম ভাঙ্গে…


এখানে নিজের পরিচয়
বেকার…

তেমন ভালো কাপড়
নিয়ে আসি নি..

এই গ্রামে একটা চালের
ঘড় ১ মাসের জন্য ভাড়া
নিয়েছি…


রাত ৮ টা ঘরে ডুকার
সময় হঠাৎ একটা মেয়ের
সঙ্গে ধাক্কা খেলাম…

মেয়েটাঃ দেখে চলতে
পারিস না মোর যদি
কিছু হয়ে যেতে মুই
কিন্তু তোক ছাড়তাম
না…


সাঈদঃ মেয়েটার দিকে
তাকাতেই crush
খাওয়ার মতো অবস্থা
এত সুন্দর একটা মেয়ে
তাও আবার গ্রামে
বিশ্বাস হচ্ছে না…


মেয়েটাঃ কে রে তুই এই
গ্রামে আগে তো
দেখুনি..

সাঈদঃ আমি কাল এ
আসছি শহর থেকে
ওখানে গেছিলাম
চাকরির জন্য কিন্তু হয়
নি তাই এখানে আসছি..


মেয়েটাঃ ও তার মানে
তুই বেকার আর তুই কার
লগে শুদ্ধ ভাষা বলিস
হ্যা এটা গ্রাম এখানে
গ্রামের ভাষায় কথা
বলবি..


সাঈদঃ আচ্ছা আপনার
নামটা জানতে পারি…

মেয়েটাঃ স্নেহা
তোর..

সাঈদঃ বাহ খুব সুন্দর
নাম তো আমার নাম
সাঈদ..

স্নেহাঃ তা খাওয়ার
মতো তো কোন টাকা
নাই তোর কাছে তুই ঘরে
যা আমি আসতেছি…

সাঈদঃ মেয়েটা কিছু
না বলতে দিয়েই চলে
গেলো…


আমি ঘরে ডুকে লাইট টা
অফ করে শুয়ে ছিলাম
ঠিক তখনি মেয়েটা চলে
আসলো..


স্নেহাঃ এই নেয় তোর
জন্য ভাত আর ডাল
নিয়ে এসেছি…

সাঈদঃআমি তো একটু
আগে খেলাম কিন্তু
মেয়েটা যখন নিজে
নিয়ে এসেছে তাই আর
না করতে পারলাম না…


ভাত মুখে দিতেই…


চলবে..