তিক্ততার সম্পর্ক পর্ব-০৫

0
1801

#তিক্ততার_সম্পর্ক
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ০৫

আরমান ভাইয়ার গলা শুনে হুঁশ ফিরে আমার। সবাই ডিনার করছে আমি কিচেনে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখনই ভাইয়া কফি দিতে বলে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। ডাইনিং টেবিলে এখন শুধু মণি আর নানু বসে আছে। আঙ্কেল (খালু) গতকাল সকালে অফিসের কাজে তার বসের সাথে কোথাও গেছে শুনেছি আর কথা সবসময় নিজের রুমেই খায় তার খাবার। সবার খাওয়া শেষে বাড়ির কাজের মেয়ে টিয়ার সাথে আমি খেয়ে নিই। চুলা জ্বালিয়ে কফি বসিয়ে দিলাম। খাবার খেয়ে কফি খাওয়া এটা কেমন অভ্যাস বুঝি না আমি।

নিজের মনে বকবক করে কফি নিয়ে আরমানের রুমের দিকে পা বাড়ায় ইমা। সেদিকে একবার বাঁকা চোখে তাকায় ছাহেরা বেগম। মাথার চুলগুলো তার এমনই এমনই পাকেনি বয়স ভালোই হয়েছে তাই সবই বুঝে। তার ছেলে যে ইমাকে পছন্দ করে সেটাও বুঝে। কিন্তু সে তো কিছুতেই ইমাকে নিজের ছেলের বউ বানাবে না এসব ভেবে আবার নিজের খাওয়ায় মনোযোগ দিলো সে।

ইমা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, ভাইয়া আসবো ?

আরমান গম্ভীর গলায় বললো, আয়।

ইমা রুমে এসে দেখে আরমান সোভায় বসে ল্যাপটপে কিছু করছে। ইমা সোফার পাশে টি-টেবিলটাতে কফির মগ রেখে ঘুরতেই আরমান উঠে দাঁড়িয়ে ইমার হাত পিঠের সাথে মুচড়ে ধরলে ব্যাথায় ইমা আহ্ করে উঠে।

ইমা অস্থির গলায় বলে, ভাইয়া লাগছে আমার হাতটা ছাড়ুন।

আরমান তাকিয়ে দেখলো ইমার পুড়া হাতটা ধরেছে সে। হাতের ব্যান্ডেজটা অনেকটাই নোংরা হয়ে গেছে কাজ করার জন্য। ব্যান্ডেজ দেখে আরমান ইচ্ছে করে আরো জোরে চেপে ধরলো আর ইমা ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলো।

আরমান শান্ত তবে রাগী গলায় বললো, তুই সন্ধ্যায় বাসার বাইরে গিয়েছিলি কার অনুমতি নিয়ে ?

ইমা দাঁতে দাঁত চেপে ব্যাথা সয্য করে বললো, নানুর মেডিসিন শেষ হয়ে গিয়েছিলো আপনাকে বলেছে কিন্তু আপনি এনে দেননি তাই আমি গিয়েছিলাম।

আরমান হাতটা আরো চেপে ধরলে ইমা ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে ফেলে আর আরমান বলে, আমি নানুকে টাকা দিয়ে বলেছিলাম কাউকে দিয়ে আনিয়ে নিতে। বাড়িতে কাজের মেয়ে আছে, দারোয়ান আছে আর ড্রাইভারও আছে তুই কেনো গিয়েছিলি, কোনো বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে ?

ব্যাথায় ইমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো ভেজা গলায় বললো, মণি কাউকে না পাঠিয়ে আমাকেই যেতে বলেছিলো।

আরমান দাঁতে দাঁত চেপে বললো, মণি যেতে বললো আর তুই চলে গেলি আর আমি যে বলেছি আমার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখবি না সেটা তোর মাথায় ঢুকেনি ?

ইমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে আমি কার কথা শুনবো। আপনার মা যখন ইচ্ছে বাইরে পাঠায় এটা সেটার জন্য আর বাইরে গেলে আপনি আমার ওপর তার ঝাল মেটান। আগে নিজের মায়ের সাথে বুঝাপড়া করে আসুন তারপর আমাকে বলতে আসবেন কিছু। কিন্তু কথাগুলো ইমার কন্ঠনালি অতিক্রম করে মুখ পর্যন্ত এলো না। কারণ ইমার খুব ভালো করে জানা আছে তার মুখ থেকে এই কথাগুলো বের হলে তার অনেক বড় মাশুল তাকে দিতে হবে। তাই চুপ করে ব্যাথা সয্য করতে লাগলো সে।

আরমান চিবিয়ে চিবিয়ে বললো, আর যদি আমার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখিস তার ফল খুব খারাপ হবে ইমা।

কথাটা শেষ করে আরমান ইমাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলো। ইমা নিজের হাত সামনে এনে দেখতে লাগলো আর আরমান পুনরায় নিজের কাজ করতে লাগলো যেনো কিছুই হয়নি। ইমা ভেজা চোখে আরমানের দিকে৷ একবার তাকিয়ে বের হয়ে গেলো রুম থেকে আর নিজের রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলো। ইমার চোখদুটো যেনো বেহায়া হয়ে গেছে একটু কিছু হলেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। চার বছর ধরেই তো এসব সয্য করছে এবার তো সয়ে যাওয়া উচিত।

মহারানী কী নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন, কাজগুলো কী তবে আমাকে করতে হবে ?

একটু শান্তি মতো কান্না করার সুযোগও নেই ইমার।নিচ থেকে মণির চেঁচামেচি শুনে উঠে দাঁড়ালো আর চোখ মুছে নিয়ে নিচের দিকে পা বাড়ালো।

টিয়া তো আছে তোমাকে করতে হবে কেনো বুঝতে পারছি না। এই বাড়িতে টিয়া সার্ভেন্ট হয়ে এতটা কাজ করে না যতটা ইমা আপুকে করতে হয়ে। তার মূল্য কী এই বাড়িতে টিয়ার থেকেও কম মা ?

খাওয়া শেষে প্লেট নিচে রাখতে এসেছিলো কথা আর মায়ের চেঁচামেচি শুনে উত্তর না দিয়ে থাকতে পারলো না।

মেয়ের কথা শুনে ছাহেরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললো, মায়ের মুখে মুখে কথা বলা কোথায় থেকে শিখছিস তুই ? সব ঐ বাজে মেয়ের জন্য হচ্ছে। ঐ মেয়ের সাথে থেকে থেকে আমার মেয়েটা এমন বিগড়ে যাচ্ছে দিনদিন।

কথা শান্ত গলায় বললো, কারো থেকে কিছু শিখতে হয় না মা। তোমার কার্যকলাপ দেখে কাঠের পুতুলও কথা বলতে বাধ্য হবে।

কথাগুলো বলে কথা আর দাঁড়ালো না প্লেট রেখে নিজের রুমে যাওয়ার জন্য সিঁড়ির কাছে আসতেই ইমাকে দেখতে পেলো। কাঁদার জন্য ইমার চোখদুটো লাল হয়ে গেছে। তা দেখে কথা শুধু একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে সামনের দিকে আগালো।

মনে মনে বললো, তোমার প্রত্যেক ফোটা চোখের পানির মূল্য একদিন হয়তো দিতে হবে এদেরকে। অভিশাপ হয়ে নেমে আসবে তা। এতিমের চোখের পানির হিসাব আল্লাহ একদিন ঠিক নিবে তুমি দেখে নিও আপু।

ইমা নিচে যেতেই মণি কতগুলো কথা শুনিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো। ইমা টিয়ার সাথে বাকি কাজ গুছিয়ে খাবার খেয়ে নিলো আর তারপর রুমে চলে এলো।

৯.
ইয়াদ ড্রাইভ করতে করতে অনেক দূরে চলে এসেছে। একটা গ্রামে বিশাল মাঠের সামনে গাড়ি থামালো ইয়াদ। মাঠটা অনেক বড় আর মাঠের একপাশে রাস্তা অন্যপাশে বিশাল একটা নদী। ইয়াদ মাঠের শেষপ্রান্তে নদী তীরে বালুর ওপর বসে পড়লো। পূর্নিমার চাঁদের আলোতে চারপাশ আলোকিত আর নদীর পানিগুলো জ্বলজ্বল করেছে। ইয়াদ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিলো তার কানে লাগছে ঝিঝি পোকার ডাক। ইয়াদ মাঝে মাঝেই এখানে আসে নিজেকে শান্ত করতে। জায়গাটা তার ভীষণ প্রিয়। ফোনটা বেজে উঠলে ইয়াদ পকেট থেকে বের করে দেখে ইয়ানা।

হ্যাঁ বল ইয়ানা।

ইয়ানা ব্যস্ত হয়ে বললো, তোমার কী হয়েছে বলো তো ভাইয়া ?

ইয়াদ বললো, আমার আবার কী হবে ?

ইয়ানা আগের ভঙ্গিতে বললো, তোমার যেদিন মন খারাপ বা নিজের ওপর যেদিন বিরক্ত থাকো সেদিনই ফার্মহাউসে যাও। আজ কী হয়েছে বলো ?

ইয়াদ বললো, কিছু হয়নি আমি একটু পরই বাসায় ফিরছি এমনই এসেছিলাম।

ইয়ানা খুশি হয়ে বললো, ওকে তাড়াতাড়ি আসো আমি তোমার জন্য ওয়েট করছি।

ইয়াদ বললো, আরে তুই ঘুমিয়ে পর আমার লেট হবে হয়তো।

না না তুমি আসলেই ঘুমাতে যাবো আমি।

ইয়াদ আর কিছু বললো না কারণ ইয়ানা শুনবে না সেটা ইয়াদ জানে। আরো কিছু সময় সেখানে বসে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। এদিকে ছাঁদে পরে রইলো ইয়াদের করা পেইন্টিংটা চাঁদের আলোয় অদ্ভুত সুন্দর লাগছে সেটা। বাসায় এসে দেখে ইয়ানা ডিনার না করে ইয়াদের জন্য ওয়েট করছে। ইয়াদ তাই খিদে না পেলেও বোনের সাথে খেতে বসলো আর কোথা থেকে ইশান এসে ইয়াদের পাশের চেয়ারটা টেনে বসলো।

ইশান খাবার নিতে নিতে বললো, ভাইয়া আমিও তো তোমার জন্য ওয়েট করছিলাম আমাকে রেখেই খেতে শুরু করে দিলা ?

ইয়াদ ইশানের দিকে একবার তাকিয়ে খাবার মুখে দিলো আর ইয়ানা হেঁসে বললো, আমি তো কেবল তোকে ডাকতে যাচ্ছিলাম।

ইশান হেঁসে বললো, লাভ ইউ আপু এন্ড ভাইয়া।

ইয়াদ আবার তাকালো ইশানের দিকে। ছেলেটাকে ইয়াদ এতো ইগনোর করে তবু গায়ে মাখে না আবার চলে আসে ভাইয়া বলতে বলতে। ইয়াদের একেক সময় ইচ্ছে করে ইশানকে কাছে টেনে নিতে কিন্তু তখনই মনে পড়ে যায় ওর শরীরে বইছে একটা খুনির রক্ত যাকে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি হবে না ইয়াদের। এতোবছর ধরে যাদের খোঁজে আসছে একবার তাদের পেয়ে গেলে এই মুখোশধারী মানুষগুলোর মুখোশ সবার সামনে টেনে ছিঁড়ে ফেলবে ইয়াদ।

খাওয়ার মাঝে ইশান বলে উঠলো, আপু জানিস আজকে একটা অদ্ভুত মেয়ে দেখেছি আমি।

ইশান আর ইয়ানা মাত্র দুই বছরের ছোটবড় তাই ইশান ইয়ানার সাথে তুই করেই বলে। কিন্তু ইয়াদকে দুজনেই তুমি সম্মোধন করে। কিন্তু ইশানের দুঃখ ইয়াদ ইয়ানাকে তুই বললেও তাকে তুমি বলেই সম্মোধন করে। এতে ইশানের মনে হয় ইয়াদ তাকে আপন মনে করে না তাই তুমি বলে। যদিও তার ভাবনাটা একশো ভাগ সত্যি।

ইশানের কথায় ইয়ানা ভ্রু কুঁচকে বললো, অদ্ভুত মেয়ে মানে ?

ইশান হেঁসে বললো, মেয়েটাকে দেখে আমার মনে হয়েছে স্কুলে পড়ে তবে সে নাকি পড়ে কলেজে আবার তার কথার গম্ভীরতা দেখে মনে হয়েছে কলেজে পড়ে না বরং কলেজের কোনো গম্ভীর টাইপ টিচার।

ইশান কথাটা শেষ করেই জোরে হেঁসে উঠলো সাথে ইয়ানাও। ইশান আবার বললো, কী জানিস তো, তোকে না বরং ঐ মেয়েটাকে মানায় ভাইয়ার বোন হিসাবে।

এটা শুনে ইয়াদ ইশানের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায় আর তা দেখে ইশানের হাসি বন্ধ হয়ে যায়। প্লেটের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ খেতে শুরু করে দেয়।

ইয়ানা পরিস্থিতি সামলাতে বলে উঠে, ইশান আগে তো তাও বড় মেয়েদের সাথে ফ্লাট করতি। এখন কী তুই স্কুল কলেজের বাচ্চা মেয়েদের সাথেও ফ্লাট করা শুরু করেছিস নাকি ?

ইশান ইয়ানার কথা শুনে ইয়াদের দিকে তাকায় ভয়ে ভয়ে আর ভাবে, ভাইয়ার সামনে এটা বলার কী প্রয়োজন ছিলো আপুর ? এই আপুটাও না মানুষ বুঝে কথা বলে না।

ইয়ানা বললো, কী রে চুপ করে গেলি যে ?

ইয়াদ খাবার খাচ্ছে না শুধু নাড়াচাড়া করছে। ইয়াদের কেনো যেনো এখান থেকে উঠে যেতে ইচ্ছে করছে না। নিজের গম্ভীরতার জন্য কখনো এভাবে আড্ডা দিতে পারে না ওদের সাথে আর ইশানের ব্যাপারটা তো আলাদাই। তাই বসে বসে ওদের কথা শুনছে।

ইশান দ্রুত বলে উঠলো, আরে না না এমন কিছু না। সকালে আমি অনেক স্প্রিডে কার ড্রাইভ করছিলাম মেয়েটা হঠাৎ সামনে এসে পড়ে। আর অবাক করা ব্যাপার কী আপু জানিস ?

ইয়ানা ভ্রু কুচকে বললো, কী ?

ইশান বললো, একটুখানির জন্য এতোবড় এক্সিডেন্ট থেকে বেঁচে গেছে তবু একটু ভয় নেই ঐ মেয়ের চোখে মুখে। আমি গিয়ে কিছু কথা বলতেই গম্ভীর গলায় বলে উঠে সরি আমি তো অবাক। যেখানে মেয়েরা সম্পূর্ণ নিজের ভুল থাকতেও সরি বলে না সেখানে এতো সহজে সরি বলে দিলো যেখানে দোষ আমারও ছিলো।

ইয়ানা মুচকি হেঁসে বললো, তোর বর্ণনা শুনে ঐ পিচ্চিকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে আমার।

ইশান হেঁসে উঠে বললো, পিচ্চি বলো না আপু এতোকিছু বললাম রাগলো না যেই পিচ্চি বলেছি ওমনি রেগে বলে আপনি পিচ্চি কাকে বলছেন হ্যাঁ ? Now I am a college student.

এ কথা শুনে ইয়ানা শব্দ করে হেঁসে উঠলো আর ইশান মুখটা পেচার মতো করে তাকালো ইয়ানার দিকে বেচারা।

হাসতে হাসতে ইয়ানা বললো, শেষ পর্যন্ত বাচ্চা মেয়ের কাছে ঝাড়ি খেয়ে এসেছেন আমাদের ভার্সিটির ক্রাশবয় ইশান হামিদ। এটা তোর ওপর ক্রাশ খাওয়া মেয়েদের জানাতে পারলে সেই মজা হতো রে ইশান।

ইশান বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে তাকিয়ে আছে বোনের দিকে। হঠাৎ কী ভেবে খুশি হয়ে বললো, মেয়েটা দেখতে কালো তবে তার মুখে আল্লাহ যেনো একটা মায়াজাল সৃষ্টি করে রেখেছে। যে তাকাবে সেই মায়াজালে আটকে যাবে।

ইয়ানা ঈশানের কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে বললো, তুই কী আঁটকে গেছিস নাকি সেই মায়াজালে ?

ইয়ানার কথা শুনে চমকে উঠলো ইশান তার মনে পড়লো আনমনে কী বলে ফেলেছে সে। ইয়াদ এতোসময় চুপচাপ ওদের কথা শুনছিলো। ইশানের মায়াজাল শব্দটা শুনে ইয়াদের চোখের সামনে ইমার মায়াবী চোখ জোড়া ভেসে উঠলো।

মনে মনে বললো, তবে কী ঐ মেয়ের চোখেও মায়াজাল সৃষ্টি করে রেখেছে আল্লাহ তাআ’লা।

ইয়াদ হঠাৎ করে বলে উঠলো, আমার খাওয়া শেষ আমি রুমে যাচ্ছি। আর ইয়ানা অনেক রাত হয়ে গেছে আড্ডা না দিয়ে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যা।

আর কথা হলো না ডাইনিং টেবিলে। ইয়াদের পিছু পিছু ইশানও চলে গেলো। ইয়াদ নিজের রুমে গিয়ে থম মেরে বসে আছে।

ভাইয়া আসবো ?

ইয়াদ মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে ইয়ানা। ওকে দেখে স্বাভাবিক গলায় বলে, হ্যাঁ আয়, কিছু বলবি ?

ইয়ানা ভেতরে এসে বলে, হ্যাঁ একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।

ইয়াদ ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে, কী কথা ?

ইয়ানা বলে, সকালের ঐ ঘটনার পর জাহিদ বা ওর বন্ধুদের আর দেখিনি। তুমি কিছু করোনি তো ওদেরকে ভাইয়া ?

ইয়াদ চমকে উঠলো ইয়ানার প্রশ্ন শুনে। ইয়ানা কোনোভাবে সব জেনে যায়নি তো ? ইয়ানা ওকে ভুল বুঝে ওর থেকে দূরে সরে গেলে ইয়াদ সম্পূর্ণ একা হয়ে যাবে।

চলবে,,,,