তিক্ততার সম্পর্ক পর্ব-০৬

0
1823

#তিক্ততার_সম্পর্ক
Writer: #Tahmina_Toma
Part: 06

ইয়ানা ভ্রু কুঁচকে বললো, কী হলো ভাইয়া কিছু বলছো না কেনো তুমি ?

ইয়াদ নিজেকে সামলে গম্ভীর গলায় বললো, আমি কী করবো, কিছুই করিনি শুধু বুঝিয়েছি তোকে যেনো আর বিরক্ত না করে।

ইয়ানা বললো, ওহ্ তাই বলো।

ইয়াদ বললো, রাত হয়েছে অনেক ঘুমিয়ে পড় গিয়ে।

ইয়ানাও গুড নাইট বলে চলে গেলো। সকালে অফিস যেতে হবে তাই ইয়াদও ওয়াশরুম গেলো ফ্রেশ হতে। মুখে পানির ছিটা দিয়ে আয়নার দিকে তাকালো। ইয়াদের মা মিসেস রুবিনা মারাত্মক সুন্দরী মহিলা। ইয়াদ, ইয়ানা আর ইশান তিনজনই তার মতো অত্যাধিক সুন্দর হয়েছে। ইয়াদের মুখ থেকে পানিগুলো টপটপ করে পরছে তাতে তার সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেছে। ইয়াদ নিজের এই সৌন্দর্যকেও ঘৃণা করে কারণ সে এটা তার মা নামক একজন প্রতারক মহিলার থেকে পেয়েছে। ছেলেরা মেয়েদের সম্মান করতে শেখে তার মায়ের থেকে আর ইয়াদের কাছে তার মাই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণিত মহিলা তাহলে কীভাবে সে অন্য মেয়েদের সম্মান করতে শিখবে ?

ইয়াদ আয়নায় নিজের মুখের ওপর হাত রেখে বললো, মিস্টার আবরার হামিদ ইয়াদ সবাইকে বলে বেড়াও মুখোশধারী। তুমি নিজেও কী কম মুখোশধারী ? তোমার মুখোশের আড়ালে যে ভয়ংকর রুপ লুকিয়ে আছে সেটা তোমার বোন জানতে পারলে ? ঘৃণা করবে হ্যাঁ ঘৃণা। তুমি যেমন তোমার মুখোশধারী মা-বাবাকে ঘৃণা করো তোমার বোনও তোমাকে ঘৃণা করবে। কিন্তু আমি তো আমার বোনকে কখনো আমার ভয়ংকর রুপ জানতে দিবো না। এই গম্ভীর খোলসের আড়ালে ভয়ংকর রুপটা লুকিয়ে রাখবো যতদিন না তাদের খোঁজে পাচ্ছি। আজ বারোটা বছর ধরে সারাদেশে তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছি তাদের। খুব তাড়াতাড়ি পেয়েও যাবো ইনশাআল্লাহ। তোমাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে মুখোশধারী মিস্টার এন্ড মিসেস হামিদ।

কথাগুলো বলে পাগলের মতো হাসতে লাগলো ইয়াদ। সেটা কোনো মুগ্ধ করা হাসি নয় বরং ভয়ংকর হাসি। এই হাসিতে লুকিয়ে আছে হাজারো কষ্ট, অভিমান, রাগ আর প্রতিশোধের নেশা। ইয়াদ নিজের প্রতিশোধের কথা মনে হতেই রেগে লাল হয়ে গেলো। ভুলে গেলো সারা বিকেল তাকে তাড়া করে বেড়ানো সেই মায়াবী চোখ। তার জীবনে নারী প্রবেশ নিষিদ্ধ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ইয়াদ রুমে এসে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলো। একসময় ঘুমিয়েও গেলো ইয়াদ।

তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে ইয়াদের কিন্তু এক ফোঁটা পানির দেখা মিলছে না। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে ঢোক গিলতে গেলেও ব্যাথা করছে। যেদিকে তাকাচ্ছে শুধু ধূ-ধূ মরুভূমি। বালি আর বালি কোনো প্রাণের চিহ্ন নেই সেখানে। ইয়াদের মনে হচ্ছে সে এক ফোটা পানি না পেলে এখনই ছটপট করে মারা যাবে।

ইয়াদ অনেক কষ্টে বললো, কেউ আছেন একটু পানি খাওয়ান নাহলে মরে যাবো আমি।

ইয়াদের কথার উত্তর দেওয়ার মতোও কেউ নেই তার কাছে। ধূ-ধূ প্রান্তরে সে একা দাঁড়িয়ে আছে। টলমলে পায়ের সামনের দিকে আগাতে লাগলো ইয়াদ একটু পানির আশায়। অনেক পথ সামনে গিয়ে মরুভূমির মাঝে এক টুকরো সবুজ দেখতে পেলো। পানির আশায় পাগলের মতো ছুটতে লাগলো সেদিকে। ভয় হচ্ছে যদি মরিচীকা হয়ে ধোঁকা দেয় তাকে। ধোঁকা খাওয়ার ভয় নিয়ে তবু আগাচ্ছে ইয়াদ মনের কোণে এক টুকরো বিশ্বাস নিয়ে যদি মরীচিকা না হয় তাহলে একটু পানি পেয়ে যাবে সে আর তাতে জীবন বাঁচবে তার। বারবার হোঁচট খেয়ে পরছে ইয়াদ কিন্তু ভেঙে পরছে না আবার উঠে দাঁড়িয়ে সেদিকে ছুটছে সে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারলো না সে কোনো মরীচিকার পেছনে ছুটেনি। তার সামনে মরুভূমির মাঝে এক টুকরো সবুজ বাগান। নানা ফুলে ভড়ে আছে সেই বাগান যেনো চোখ জুড়িয়ে যায় বাগানের দিকে তাকালে। এক একটা ফুল যেনো তাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।

ইয়াদ একটা সাদা গোলাপ ছেঁড়ার জন্য হাত বাড়াতেই পেছন থেকে মোহনীয় এক নারী কণ্ঠে বলে উঠলো, অনেক যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে এই মরুভূমির মাঝে ফুল ফুটিয়েছি। এতো সহজে কীভাবে ছিঁড়ে নিতে দিবো জনাব ? ফুল নিতে হলে যে তার মূল্য চুকাতে হবে।

এই ফুল না নিতে পারলে ইয়াদের মনে হচ্ছে এ জীবন বৃথা তাই পাশে তাকালো কে কথাটা বলেছে দেখার জন্য। উল্টো দিকে ফিরে গাছে পানি দিচ্ছে সাদা ধবধবে বোরখা পড়া এক রমণী। পানি দেখে ইয়াদের তৃষ্ণার কথা মনে হলো। এই বাগান আর ফুল দেখে ইয়াদ তৃষ্ণার কথা ভুলে গিয়েছিলো সম্পূর্ণ।

ইয়াদ ব্যস্ত স্বরে বললো, মূল্য যা দিতে হবে দেবো তবু একটু পানি পান করিয়ে আমার তৃষ্ণা মেটাও দয়া করে।

নারী কণ্ঠস্বর হেঁসে বললো, নারী বিমুখ পুরুষ আজ এক নারীর কাছে দয়া চাইছে ?

ইয়াদ কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না। যে করেই হোক একটু পানি তার চাই জীবন বাঁচাতে।

সে আবার বলে উঠলো, শুধু পানি নয় আপনার সামনে যা দেখতে পাচ্ছেন সবই আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে শুধু তার মূল্য দিতে হবে বিনিময়ে।

ইয়াদ ব্যস্ত হয়ে বললো, কী সেই মূল্য ?

মেয়েটা এবার ইয়াদের দিকে তাকিয়ে বললো, একটু ভালোবাসা, আপনার বুকের বা পাশে একটু জায়গা দিন। এই সম্পূর্ণ বাগানের সাথে নিজেকেও বিলিয়ে দিবো আপনার পায়ে।

মেয়েটাকে দেখে চমকে উঠলো ইয়াদ। সেই ভেজা মায়াবী চোখ জোড়া তাকিয়ে আছে ইয়াদের দিকে। তার চোখে ইয়াদের একটু ভালোবাসা পাওয়ার তীব্র আকুতি দেখা যাচ্ছে। ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো ইয়াদ। সত্যি সত্যি তৃষ্ণায় ফেটে যাচ্ছে গলা। তাড়াতাড়ি সাইড টেবিল থেকে পানির জগ নিয়ে ঢকঢক করে সবটা খেয়ে নিলো। হাঁপাচ্ছে ইয়াদ যেনো স্বপ্ন নই সত্যি ছিলো সব। এতোক্ষণে টনক নড়লো ইয়াদের রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। টেবিল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা বাজে কেবল। আজ ২৪ বছর ধরে ইয়াদের ঘুম ভাঙছে সেই স্বপ্ন দেখে। কাউকে গলায় দড়ি চেপে খুন করা হচ্ছে আর বাচ্চা ছেলেটা ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে তবে আজ কেনো অন্য স্বপ্ন দেখলো সে। তাও আবার সেই মেয়েটার।

ইয়াদ বিড়বিড় করে বললে, আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে ঐ মেয়েটাকে হেল্প করা। কী করে ঐ মেয়ে আমার লাইফে এতটা প্রভাব ফেলতে পারে ?

ইয়াদ বড়বড় পা ফেলে ওয়াশরুমে গেলো আর চোখেমুখে পানির ছিটা দিলো। সে কিছুতেই ভাবতে পারছে না সে আজ সেই স্বপ্নটা দেখেনি। ছোটবেলায় পুরো একবছর অসুস্থ ছিলো ইয়াদ। মাথায় আঘাত লাগার কারণে সারা কোমায় চলে গিয়েছিলো। সবকিছু ভুলে গিয়েছিলো আগে তার সাথে কী হয়েছিলো। দীর্ঘ এক বছর বেডে পরে থাকার পর ঐ স্বপ্ন দেখে একদিন চিৎকার করে উঠে বসে ইয়াদ। সেদিন বুঝতে পারেনি সেই স্বপ্নের মানে। ইয়াদ যখন চিৎকার করে উঠে বসে তখন রুবিনা তার পাশেই ছিলো। ছেলেকে সুস্থ হতে দেখে সে কী খুশি। ইয়াদকে বলা হয়েছিলো খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলো সে আর মাথায় আঘাত লাগার কারণে কোমায় চলে যায়। এরপর থেকে প্রতিদিন ইয়াদের ঘুম ভাঙতো সেই একই স্বপ্ন দেখে। মানে বুঝতে পারতো না সেই স্বপ্নের মাকে জিজ্ঞেস করতো ছোট ইয়াদ। উত্তর পেতো সে দুঃস্বপ্ন দেখেছে। কিন্তু যেদিন ইয়াদের আঠারো বছর পূরণ হয় সেদিন জানতে পারে ইয়াদ সেই স্বপ্নের মানে। তারপর থেকে আজ বারোটা বছর ধরে তাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে ইয়াদ। যে স্বপ্নটা থেকে মুক্তি পেতে সে ছটফট করেছে সেই স্বপ্নটা একসময় তাকে এমন ভয়ংকর তৈরি করেছে তাহলে আজ কীভাবে পাল্টে যেতে পারে সেই স্বপ্ন? ইয়াদের মাথা কাজ করছে না। রুমের পাশের মিনি ছাঁদটাতে গিয়ে পাঞ্চিং ব্যাগটাতে পাগলের মতো পাঞ্চ করতে লাগলো। কী হচ্ছে এসব তার সাথে কিছুই বুঝতে পারছে না। গতকালের বিকেলটা তার কাছে অভিশপ্ত মনে হচ্ছে কেনো দেখা হলো ঐ মেয়ের সাথে কেনো ? অনেকটা সময় পর আযানের ধ্বনি ভেসে আসলো কানে। ইয়াদ একটু শান্ত হলো ফ্রেশ হয়ে ওযু করে নামাজটা পরে নিলো। ইয়াদ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করে সবসময় তবে সেটা সবার আড়ালে। আল্লাহর কাছে একটু শান্তি চায় সে কিন্তু তার জন্য হয়তো আল্লাহ সেটা সৃষ্টিই করেনি আর একজনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতে।

১০.
কেটে গেলো বেশ কিছুদিন ইয়াদ সেই চোখ দুটো যত ভুলার চেষ্টা করেছে তত বেশি বিরক্ত করেছে সেই মায়াবী চোখ। তবে সেদিনের মতো আর কোনো স্বপ্ন দেখেনি আগের মতো আবার সেই একই স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে ইয়াদের। মেয়েটাকে নিয়ে আর মাথা ঘামায় না মনে পড়লে পড়ে তাতে তার কিছু যায় আসে না। এদিকে ইশান বিনা কারণে সেই অদ্ভুত মেয়েটাকে খুঁজছে কেনো খুঁজছে হয়তো সে নিজেও জানে না। ইমার হাতটা ঠিক হয়ে গেছে তাই আজ ভার্সিটি যাবে আরমানকে বলেছে আর আরমানও অনুমতি দিয়েছে যাওয়ার জন্য। সকাল সকাল উঠে নামাজ পড়ে বাসার সব কাজ সেড়ে নিলো ইমা৷ নাহলে মণি একটুও ছাড় দিবে না তাকে।

ব্রেকফাস্ট করতে এসে চেয়ার টেনে বসে কথা বললো, আপু আজ ভার্সিটি যাবে ?

ইমা মুচকি হেঁসে বললো, হ্যাঁ যাবো তো।

কথা খুশি হয়ে বললো, তাহলে একসাথে যাবো আমরা ওকে ? আমার কলেজ ক্রস করেই তোমাকে ভার্সিটি যেতে হবে।

ইমা কথার দিকে তাকালো। হাসলে মেয়েটাকে কতো সুন্দর দেখায় তবু হাসে না সহজে। কী করে হাঁসবে এই বাড়িতে যে হাসাও বারণ।

ইমা এক দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে তারপর মুচকি হেঁসে বললো, ঠিক আছে একসাথে যাবো।

কথা আর ইমার কথার মাঝেই আরমান, ইমার মণি আর নানু এসে যার যার চেয়ারে বসে পড়লো। তা দেখে ইমা আর কথা চুপ হয়ে গেলো।

এক টুকরো সাদা রুটি আর গরুর কলিজা ভূনা দিয়ে মুখে পুরলো আরমান। মুখে হয়তো কোনোদিন বলবে না তবে সে মনে করে ইমার হাতে জাদু আছে যেটাই রান্না করে অমৃত মনে হয়। বেশ আয়েশ করে খাচ্ছে আরমান।

মুখের খাবার শেষ করে হঠাৎ বলে উঠলো, মা বাবা কবে আসবে ?

ছাহেরা বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো, আজ চলে আসবে তবে বাসায় আসতে রাত হবে। ডিনারের সময় আসতে পারে।

আরমান ছোট করে ওহ্ বলে পুনরায় নিজের খাবারে মনোযোগ দিলো। আর ইমা যার যেটা লাগছে সেটা এগিয়ে দিচ্ছে। খাওয়া শেষে আরমান বের হয়ে গেলো। এদিকে সব গুছিয়ে রেডি হয় নিলো ইমা। এতো তাড়াতাড়ি করছে তবু লেট হয়ে গেছে কথা বারবার তাড়া দিচ্ছে।

ড্রয়িংরুমে আসতেই মণি বলে উঠলো, ঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে সব কাজ না করলে তোর খবর আছে বলে দিলাম ইমা। টিয়ার রান্না বাসার কেউ খেতে পারে না সেটা খুব ভালো করেই জানিস তুই।

ইমা নিচু গলায় বললো, আমি ঠিক সময়ে চলে আসবো মণি।

আর কথা না বাড়িয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এলো। গেইটের বাইরে আসতেই কথাকে দেখতে পায় রিকশায় বসে ওয়েট করছে ইমার জন্য। এই বাড়িতে তিনটা গাড়ি আছে। একটা আরমানের, একটা তার বাবার আর একটা বাড়ির সবার জন্য। আরমান আর তার বাবা নিজেদের গাড়ি নিজেরাই ড্রাইভ করে আর বাড়িতে যেটা আছে সেটার জন্য একটা ড্রাইভার আছে। ইমার আঙ্কেল হামিদ গ্রুপ অব কোম্পানিতে চাকরি করে। ইমা ভেবে পায় না একটা কোম্পানি চাকরি করে আঙ্কেল এতো টাকা পয়সা, গাড়ি, বাড়ি কীভাবে করলো। যার উত্তর পেতে বারবারই ব্যর্থ সে। আঙ্কেলের কাজ নিয়ে বাড়ির আর কারো অবশ্য কোনো মাথা ব্যাথা নেই। কথা গাড়ি নিয়ে যাওয়া পছন্দ করে না তাই প্রতিদিন রিকশা করেই যায়। পছন্দ না করারও একটা কারণ আছে অবশ্য। এই গাড়ি নিয়ে একদিন অনেক কথা শুনতে হয়েছিলো তার মায়ের কাছে। তারপর আর গাড়ি নিয়ে কলেজে যায় না সে।

ইমা আশপাশে তাকিয়ে দেখছে কথা হঠাৎ বললো, আচ্ছা ইমা আপু মা আর ভাইয়া তোমাকে এতো কষ্ট দেয় তবু তাদের কিছু বলো না কেনো ?

কথার প্রশ্নে ইমা কথার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে বললো, যার পায়ের নিচে দাঁড়ানোর মতো মাটি নেই তার পক্ষে সয্য করা ছাড়া কোনো অপশন নেই কথা।

কথা ইমার দিকে তাকিয়ে বললো, একদিন তোমাকে কেউ নিজের থেকেও বেশী ভালোবাসবে দেখে নিও আপু।

কথা আর ইমা দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলো হঠাৎ রিকশা ব্রেক করলে দুজনই অসাবধানতায় নিচে পরে যায়। ইমা রাস্তার পাশে মাটিতে পড়তেও কথা পিচঢালা রাস্তায় পরে, যার জন্য হাত ছিলে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। কথা উঠার চেষ্টা করলেও উঠতে পারে না। এদিকে ইমা কোনো রকমে উঠে দাঁড়ায় সেও পায়ে ব্যাথা পেয়েছে। ইমা সামনে তাকিয়ে দেখে একটা কালো রঙের লেটেস্ট বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে তাদের সামনে আর কথা উঠার চেষ্টা করেও উঠে দাড়াতে পারছে না। ইমা খুড়িয়ে খুড়িয়ে কথার দিকে যেতে লাগলো আর কথা হাত চেপে ধরে বসে আছে।

চলবে,,,,,