তিক্ততার সম্পর্ক পর্ব-০৭

0
1801

#তিক্ততার_সম্পর্ক
Writer: #Tahmina_Toma
Part: 07

ইমা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কথার কাছে গিয়ে বসে বললো, কথা ঠিক আছিস তুই ?

কথা টলমলে চোখে ইমার দিকে তাকালো। মেয়েটা বড্ড চাপা স্বভাবের ইমা সেটা জানে। হয়তো বেশি ব্যাথা পেয়েছে তাই চোখ ভড়ে গেছে পানিতে।

ইশান সিট বেল খুলে তাড়াতাড়ি নেমে এলো গাড়ি থেকে আর এগিয়ে আসতে আসতে বললো, সরি সরি আই এম রেলি সরি। আপনারা ঠিক আছেন ?

ইশানের কথা শুনে ইমা আর কথা দুজনেই তার দিকে তাকালো। কথাকে দেখে ইশান থমকে গেলো আজ কতদিন ধরে মেয়েটাকে খুঁজছে আর এভাবে পেলো তাকে।

ইমা ছেলেটার থমকে যাওয়া দেখে ভ্রু কুঁচকালো আর কথার চোখেমুখে রাগ ফুটে উঠলো কথা অনেকটা চমকে জোরে বলে উঠলো, আপনি ?

ইশানের ঘোর কাটে কথা চেচানোতে আর ইমা ভ্রু কুঁচকে বলে, কথা তুই চিনিস উনাকে ?

কথা বললো, হ্যাঁ কয়েকদিন আগেও একবার মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলাম। এই মহাশয়ের গাড়ি ধাক্কা দিতে দিতে থেমে যায় সামনে এসে আর আজও তাই করলো।

ইশান কথা কী বলেছে শুনতে পায়নি। সে ইমার বলা নামটা বারবার আওড়াচ্ছে বিড়বিড় করে বললো, এই মেয়ের নাম কথা।

কথা ইশানের সামনে তুড়ি মেরে বলে, ও হ্যালো মিস্টার আপনি কী গাড়ি চালাতে পারেন না ?

ইশান থতমত খেয়ে বললো, গাড়ি চালাতে পারবো না কেনো ? দেখুন আজকে আমার দোষ নেই মোড় নেওয়ার সময় আমি হর্ণ দিয়েছি আপনাদের রিকশাওয়ালা সেটা উপেক্ষা করে চলে এসেছে।

রিকশাওয়ালা পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো সে ভীত গলায় বললো, আপা আসলে স্যারের দোষ নাই। আমি নতুন রিকশা চালাইতেছি তাই ভয় পাইয়া কী করুম বুঝতে পারি নাই ?

কথা আর কিছু বললো না কথা হাতে রক্ত বন্ধ করার জন্য চেপে ধরে আছে দেখে ইশান নিজের পকেট থেকে রুমাল বের করে শক্ত করে বেঁধে দিলো। কথা বাঁধা দিচ্ছিলো কিন্তু ইশান কী আর বাঁধা শোনার পাত্র। হাত বাঁধা হয়ে গেলে ইমা কথার হাত ধরে উঠানোর চেষ্টা করে বললো, কথা এভাবে রাস্তায় বসে থাকলে লোকজন আসতে যেতে তাকিয়ে আছে একটু কষ্ট করে উঠ বোন।

কথা ইমার হাত ধরে উঠার চেষ্টা করে কিন্তু পরে যেতে নেয় আর ইশান ধরে ফেলে। কথা আর ইমা দুজনেই চমকে তাকালো ইশানের দিকে। তাতে ইশানের কোনো ভাবান্তর হলো না। কথা তাড়াতাড়ি ইশানের থেকে সরে এসে ইমার কাঁধে ভড় দিলো। ইমা নিজেই হাঁটতে গেলে ঘুরে পরার অবস্থা তার ওপর সেও পায়ে ব্যাথা পেয়েছে তাই কথার ভাড় নিতে হিমসিম খাচ্ছে। ইশান ব্যাপারটা বুঝতে পেরে হুট করে কথাকে কোলে তোলে নিলো। কথা আর ইমার রিয়াকশন এমন ছিলো মনে হচ্ছিল দুজনের চোখই কোটর থেকে বের হয়ে আসবে।

কথা কাঁপতে কাঁপতে ব্যস্ত হয়ে বললো, আরে আরে করছেনটা কী ? পরে যাবো তো এক্সিডেন্ট করে আমার পায়ের বারোটা বাজিয়েছেন এখন কোল থেকে ফেলে কোমরটা ভাঙার ফন্দি আঁটছেন নাকি ?

ইমা রাগি গলায় বললো, আপনি ওকে কোলে তুলেছেন কেনো নামান বলছি এখনই।

ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে বললো, দেখুন আপু ও অনেক ইঞ্জুরড হয়েছে হাঁটতে পারছে না আর আপনিও ব্যাথা পেয়েছেন ওর ভাড় নিতে পারবেন না তাই আমি যেটা করছি সেটাই বেটার হবে। সামনে একটা হসপিটাল আছে আমি নিয়ে যাচ্ছি চালুন আমার সাথে।

কথা বললো, আমাদের আপনার হেল্পের প্রয়োজন নেই আমরা নিজেরাই চলে যাবো।

ইশান বললো, মিস কথা অসুস্থ অবস্থায় আপনি কথা একটু কম বললেই ভালো হয়।

কথা ভ্রু কুঁচকে বললো, আপনি আমার নাম জানলেন কীভাবে ?

ইশান এবার হেঁসে বললো, আপনি আসলেই পিচ্চি আপনার আপু কখন থেকে আপনাকে কথা বলে ডাকছে তাহলে না জানার কী আছে ?

ইমা কথাকে থামিয়ে বললো, ঠিক আছে চলুন।

ইমা চিন্তা করে দেখলো ছেলেটার কথা সত্যি। তাই রাজি হয়ে গেলো কিন্তু কথা যেতে রাজি নয়। তবু জোর করেই ইশান ওকে গাড়ির পেছনের সীটে বসিয়ে দিয়ে ইমাকে বললো, আপু আপনি সামনে বসুন প্লিজ।

ইমা খু্ড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটে গিয়ে গাড়ির সামনের সিটে বসে পড়লো। ইমা কখনো সামনের সিটে বসেনি তাই ভয় করছে৷ সামনে না বসেও উপায় নেই দুজনেই পিছনে বসলে খারাপ দেখায়। ইমা অন্য মনস্ক হয়ে এসব চিন্তা করছিলো আর কথা নিজের হাতে ফু দিচ্ছিলো খুব জ্বালা করছে। কথার হঠাৎ চোখ গেলো বাইরের দিকে ইশান রিকশাওয়ালাকে পাঁচশ টাকার কয়েকটা নোট ধরিয়ে দিলো আর তাতে রিকশাওয়ালা আবেগাপ্লুত হয়ে তাকালো ইশানের দিকে।

ইশান বললো, হয়তো খুব বেশি প্রয়োজন হয়েছে তাই ভালো করে চালাতে না জেনেই রাস্তায় বের হয়েছেন রিকশা নিয়ে কিন্তু এতে আপনার আর রিকশায় উঠা মানুষের জীবনের ঝুঁকি আছে তাই আগে ভালো করে শিখে নিন তারপর রাস্তায় বের হবেন কেমন ?

রিকশাওয়ালা ভেজা চোখে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। কৃতজ্ঞতায় কথা বলতে পারছে না সে। কথা সবটাই শুরু দেখলো ইশান কী বলেছে কথা শুনতে পায়নি গাড়ির ভেতর থেকে তবে সবটাই দেখেছে সে।

কথা বিড়বিড় করে বলে উঠলো, ভেবেছিলাম বড়লোক বাবার বিগড়ে যাওয়া ছেলে কিন্তু এতটা খারাপও না।

কথাটা চিন্তা করে মুচকি হাঁসলো কথা তখনই হঠাৎ ইমা বলে উঠলো, বেশি ব্যাথা করছে কথা ?

কথা বললো, না বেশি না।

ইমা রেগে বললো, হাত থেকে কেমন করে রক্ত বের হচ্ছে আর তুই বলছিস বেশি ব্যাথা করছে না ?

ইশান সামনের লুকিং গ্লাসে কথাকে একবার দেখে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হসপিটালে পৌঁছে গেলো। ইশান কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কথাকে কোলে তোলে ভেতরের দিকে যেতে লাগলো।

কথা রেগে বললো, আরে লোকে দেখলে কী বলবে নামান বলছি আমাকে ?

ইশান মুচকি হেঁসে বললো, আরে আপনি হেটে যেতে পারবেন না।

কথা বললো, আপু হেল্প করবে।

ইশান মনে হয় বেশ মজা পেলো কথার বলা কথাটা শুনে একটু শব্দ করেই হেঁসে বললো, আপনার আপু তো নিজেই হাঁটতে পারছে না।

ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে বলে, আপু আপনি আসতে পারলে ধীরে ধীরে আসুন নাহলে ওকে রেখে আমি আসছি।

ইমা বললো, না না আমি একাই আসতে পারবো।

ইশান কথাকে ভেতরে নিয়ে গিয়ে কথা হাতের রুমাল খুলে দেয় আর ডক্টর ড্রসিং করবে তাই। মেডিসিন লাগাতেই কথা চোখ বুজে ইশানের হাত খামচে ধরে। ইশান সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। হাতের ড্রেসিং শেষে কথা ইশানের দিকে তাকালে দেখে সে কথার দিকে তাকিয়ে আছে। কথা চোখ সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতের দিকে নজর যায়। কথা চোখ বড়বড় করে ফেলে সেটা দেখে আর তৎক্ষনাৎ হাত ছেড়ে দেয়। কথার হাটুর দিকে সালোয়ার ছিঁড়ে গেছে আর পা থেকেও রক্ত বের হচ্ছে। হাটুতে ব্যাথা পাওয়ার জন্যই তখন ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলো না। ডক্টর কথার সালোয়ার উপরের দিকে তুলতে গেলে কথা বাঁধা দেয়। মহিলা ডক্টর ছিলো কথা তাকে ইশারায় ইশানকে দেখায় আর বাইরে যাওয়ার জন্য বুঝায়।

ডক্টর বলে, মিস্টার আপনি একটু বাইরে যান।

ইশান ডক্টরের দিকে তাকিয়ে বলে, কেনো ?

ডক্টর কিছু বলার আগেই কথা বলে উঠে, আমার আপু কোথায় ?

ইশান কথাকে নিয়ে এতোটা মগ্ন ছিলো ইমার কথা সে ভুলেই গেছে। ইশান আর কিছু না বলে বাইরে চলে এসে ইমাকে খুঁজতে লাগলো। সিঁড়ির কাছে এসে দেখে ইমা দাঁড়িয়ে ছিলো।

ইশান বললো, আপু আপনি ঠিক আছেন ?

ইমা বললো, পা ব্যাথা করছে খুব।

ইশান ইমাকে ধরে আস্তে আস্তে কথা যেখানে আছে সেখানে নিয়ে গেলো। কথার ব্যান্ডেজ করা শেষ ডক্টর এবার ইমার পা দেখে বললো, বেশী কিছু নয় একটু চোট লেগেছে মেডিসিন নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।

ডক্টর কিছু মেডিসিন দিলো দুজনকেই আর ইশানই সব কিনে দিলো। কথা আর ইমা নিতে না চাইলে ইশান বলে এটা ক্ষতিপূরণ কারণ এক্সিডেন্ট তার জন্য হয়েছে। ওরা ইশানের সাথে কথায় পারে না তাই মেনে নেয়।

ইমা বললো, কথা তুই বাসায় চলে যা আমি অনেকদিন ভার্সিটি যাই না আজ সুযোগ পেয়েও না গেলে ভালো লাগছে না।

কথা বললো, কিন্তু তোমার পা তো।

ইমা বললো, আমার প্রবলেম হবে না বোন তুই একটু কষ্ট করে বাসায় চলে যা। নাকি আমি দিয়ে আসবো তোকে ?

না না তোমার এমনই লেট হয়ে গেছে তুমি যাও আমি ঠিক চলে যাবো।

দুই বোন কথা বলেই যাচ্ছে এখানে যে আরো একজন আছে সেটা যেনো ভুলেই গেছে তারা।

ইমা হঠাৎ ইশানের দিকে তাকিয়ে বললো, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ইশান বলে, এটা আমার দ্বায়িত্ব ছিলো। আমি বরং কথাকে বাসায় পৌঁছে দিচ্ছি।

ইমা চিন্তিত হয়ে বললো, কিন্তু,,,,,

ইশান ইনোসেন্ট ফেস করে বললো, প্লিজ আপু,,,,

ইমা মনে মনে ভাবছে, ছেলেটাকে দেখে খারাপ মনে হচ্ছে না আর খারাপ হলে আমাদের জন্য এতো কিছু করতো না। তাছাড়া কথা একা বাসায় যেতেও পারবে না।

ইশান বললো, কী ভাবছেন, আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না তাই তো ? ওকে আমি আমার পরিচয় দিচ্ছি তারপর ভেবে দেখুন, আমি ইশান হামিদ। বিশিষ্ট শিল্পপতি ইয়াসির হামিদের ছেলে আর আবরার হামিদ ইয়াদের ছোট ভাই।

ইশানের পরিচয় শুনে ইমা আর কথা চোখ বড় বড় করে তাকালো। ইমা নামগুলো নিজের মনে আওড়াতে লাগলো। সাথে সাথে ইয়াদের কথা মনে পড়ে গেলো। বুঝতে পারলো সেদিন কেনো আবরার হামিদ ইয়াদের নামটা তার চেনা চেনা লাগছিলো। তার কারণ আজ বুঝতে পারছে ইমা।

ইশান বললো, নিয়ে যাবো আপু,,,?

ইমা কী করে না করবে কারণ কথার বাবা ইয়াসির হামিদের ম্যানেজার। ইমা বললো, ঠিক আছে সাবধানে পৌঁছে দিবেন প্লিজ।

ইমা অনুমতি দিয়ে দিয়েছে সেখানে কথা আর কী বলবে ? কথাকে ইশান আবার কোলে করে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। ইমা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটে একটা রিকশা ডেকে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হলো। এদিকে ক্লাসে এসে আরমান ইমাকে খুঁজে না পেয়ে রেগে গেলো। আজ আরমানের প্রথম ক্লাস তাই ভার্সিটি আসার অনুমতি দিয়েছিলো কিন্তু মহারানী কোথায় কে জানে।

১১.
ইয়াদ কপালে আঙ্গুল চেপে বসে আছে চেয়ারে তার সামনে সটানভাবে দাড়িয়ে আছে রনিত। আবারো মোটা অংকের টাকা কোম্পানির একাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেছে। ইয়াদ যদিও জানে টাকা কে নিয়েছে কিন্তু তার কাছে প্রমাণ নেই আর তাই কী করবে ভেবে পাচ্ছে না।

ইয়াদ গম্ভীর গলায় বললো, রনিত ?

রনিত অন্যমনস্ক ছিলো ইয়াদের ডাকে চমকে থতমত খেয়ে বললো, জী স্যার ?

ইয়াদ কপাল থেকে আঙ্গুল সরিয়ে রনিতের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো, তোমাকে অন্যমনস্ক লাগছে কেনো ?

রনিত ইয়াদের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে বললো, আপনার ভয়ে দুদিন আগে কফিশপে গার্লফ্রেন্ডকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে এসেছিলাম। আপনি যদি জানতে পারেন আমার গার্লফ্রেন্ড আছে তাহলে আমার চাকরি শেষ সেই ভয়ে। কিন্তু গার্লফ্রেন্ড রেগে ব্রেকআপ করে দিয়েছে কত কষ্ট করে পটাইছিলাম। আমার গুলুমুলু গার্লফ্রেন্ডটা।

ইয়াদ উত্তর না পেয়ে বিরক্ত হয়ে বললো, মিস্টার ডি কে দেশে আসছেন কবে ?

রনিত কপাল কুঁচকে বললো, স্যার আপনি নিজের বাবাকে মিস্টার ডি কে বলে কেনো ডাকেন ?

ইয়াদ রাগি চোখে রনিতের দিকে তাকিয়ে বললো, যেটা প্রশ্ন করছি তার উত্তর দাও পাল্টা প্রশ্ন আমার পছন্দ নয় রনিত।

রনিত মুখটা ছোট করে বললো, সরি স্যার, ইয়াসির স্যার বিকেলের মধ্যে অফিসে চলে আসবেন মনে হয়।

ইয়াদ বিরক্ত হয়ে বললো, যাও খান ইন্ডাস্ট্রির ফাইল নিয়ে এসো।

রনিত ওকে বলে চলে গেলে ইয়াদ কিছু চিন্তা করে রহস্যময় হেঁসে উঠে বলে, এই কথাটা আমার মাথায় আগে কেনো আসেনি ?

ইয়াদ নিজের গার্ড জাম্বীকে কল দিলে সে বলে, জী স্যার বলুন কী করতে হবে ?

ইয়াদ বললো, আমার একজন হ্যাকার লাগবে, ইন্টারন্যাশনাল হাইলি ট্যালেন্টড হ্যাকার।

জাম্বী চিন্তিত হয়ে বললো, তেমন হ্যাকার তো আপনি চাইলে আমি এখনই এনে দিতে পারি কিন্তু প্রবলেম হলো লেডি হ্যাকার।

ইয়াদ কপাল কুঁচকে বললো, নো নো, তুমি জানো আমি এই মেয়েদের একদমই সয্য করতে পারি না, সব ধোঁকাবাজ এরা।

জাম্বী মনে মনে বললো, স্যার বিয়ে করতে গেলে তো আপনাকে মেয়েদেরই সয্য করতে হবে ২৪ ঘন্টা আর যদি চিরকুমার থাকেন তাহলে সেটা আলাদা কথা।

ইয়াদ বিরক্ত হয়ে বললো, আমার মৃত্যু শোকে নিরবতা পালন করছো নাকি ?

জাম্বী দাঁতে জিহ্বা কেটে বললো, ছি ছি স্যার এটা কী বলেন ? আসলে স্যার বর্তমানে এরিটাই টপ ইন্টারন্যাশনাল লেডি হ্যাকার। মোটা অংকের পেমেন্ট চার্জ করে এরিটা। ওর ধারে কাছে যেতে পারে এমন কেউ আছে শুনিনি।

ইয়াদ কিছু সময় চিন্তা করে বললো, ওকে তুমি ঐ লেডি হ্যাকারের সাথে যোগাযোগ করো।

কল কেটে ইয়াদ চেয়ারে হেলান দিলো আর মনে মনে বললো, এই এরিটাই আমার ফিফটি পারসেন্ট কাজ করে দিবে। লেডি হোক তো প্রবলেম কোথায় ? কাটা দিয়েই নাহয় কাটা তুলবো।

কথাগুলো চিন্তা করে ইয়াদ রহস্যময় হাঁসতে লাগলো। অন্যদিকে একজন ভাবতে লাগলো, এবার তোমার পালা আবরার হামিদ ইয়াদ। যে নারী জাতির সাহায্যে তোমার বাবার সব দখল করেছি সেই নারী জাতির সাহায্যে তোমার থেকে সব নিজের নামে করে পুরোপুরি মালিক হয়ে যাবো এই হামিদ সাম্রাজ্যের হাহাহাহা।

চলবে,,,,,