তিক্ততার সম্পর্ক পর্ব-২৪

0
1763

#তিক্ততার_সম্পর্ক
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ২৪

ইশান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বললো, আসলে ভাইয়ার সাথে কিছু জরুরি কথা ছিলো।

ইমা ওয়াশরুমের দিকে তাকিয়ে বললো, তোমার ভাইয়া তো কেবল ফ্রেশ হতে গেলো সময় লাগবে মনে হয়।

ইশান বললো, ঠিক আছে তাহলে আমি পরে,,,

ইশান কথা শেষ করার আগেই ইয়াদ ওয়াশরুম থেকে বের হলো এলোমেলো পায়ে। ইয়াদকে দেখে ইশানও ভ্রু কুঁচকালো কারণ ইয়াদকে একদমই সুস্থ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। ইশান আর ইমার চিন্তা ভাবনার মাঝেই ইয়াদ পরে যেতে নিলো। ইমা দৌড়ে গিয়ে ধরলো আর ইয়াদও নিজেকে একটু সামলে নেওয়ার চেষ্টা করলো। ইমা ইয়াদের গায়ে হাত লাগতেই চমকে উঠলো। ইমার মনে হচ্ছে সে গরম চুলায় হাত দিয়ে দিয়েছে। ইশানও এগিয়ে এসেছে ইয়াদের দিকে। ইমা একপাশে ধরলে ইশান অন্যপাশে ধরলো।

ইশান চমকে উঠে বললো, ভাইয়া তোমার তো জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে।

ইয়াদ ইশানকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে কাঁপা গলায় বললো, আমার কিছু হয়নি আমি একদম ঠিক আছি।

ইমা খানিকটা রাগী গলায় বললো, জ্বরে ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না তাও বলছে আমি ঠিক আছি। এতো জ্বর নিয়ে আপনাকে এখন শাওয়ার নিতে কে বলেছে ?

ইয়াদ চেয়েও কিছু বলতে পারলো না। অনেক দূর্বল লাগছে শরীর। জ্বরের জন্য লান্সে কিছু খেতেও পারেনি। ইশান আর ইমা আস্তে করে ইয়াদকে বেডে শুইয়ে দিলো। ইমা টাওয়েল নিয়ে ভালো করে চুল মুছে দিতে লাগলো ইয়াদের।

ইশান ইমার দিকে তাকিয়ে বললো, ভাবি তুমি ভাইয়ার পাশে বসো আমি ডক্টরকে আসতে বলছি এখনই।

ইমার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। ইয়াদের চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। এখন তো সেন্সলেসই হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। ইমা না চাইতেও তার চোখ থেকে পানি পড়ছে টপটপ করে। ইশান ইমার উত্তরের অপেক্ষা না করে চলে গেলো রুম থেকে। ইমা কী করবে বুঝতে পারছে না। ইয়াদের শরীর স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ গরম। ইয়াদের গোঙানির শব্দে ইমার হুঁশ ফিরে। ইয়াদ হঠাৎ কাত হয়ে বমি করে দিলো ইমার গায়ে পড়লো সব, ইয়াদ পিটপিট করে তাকালো একবার ইমার দিকে। ইমা দ্রুত নিজে পরিষ্কার হয়ে এসে ইয়াদের মুখ মুছে দিলো। ইয়াদ প্রচন্ড পরিমাণ কাঁপছে ইমা উঠে কাবার্ড থেকে একস্ট্রা ব্লাংকেট বের করে ইয়াদের গায়ে জড়িয়ে দিলো, দৌড়ে কিচেনে থেকে বাটিতে পানি নিয়ে এসে জলপট্টি দিতে লাগলো। একদিকে ইমা এসব করছে অন্যদিকে চোখের পানি ঝরছে অবিরাম। ইয়াদ আরো অনেকবার বমি করলো, তবে ইমা নিচ থেকে একটা পাত্র দিয়ে এসেছিলো সেটা এগিয়ে দিয়েছে সেটাতে করেছে বমি। হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকলো ইয়ানা।

ভাইয়ার কী হয়েছে ভাবি ?

ইশান ডক্টরের সাথে কথা বলতে বলতে নিচে যাচ্ছিলো তখনই ইয়ানা শুনতে পায় ইয়াদের জ্বর হয়েছে। ইয়ানার রাগ অভিমান কোথায় পালিয়ে গেলো ইয়ানা নিজেও জানে না। ভাইয়ার অসুস্থতার কথা শুনে ইয়ানা স্থির থাকতে পারেনি।

ইমা কাঁদতে কাঁদতে বললো, বুঝতে পারছি না আপু দেখো উনি কেমন যেনো করেছেন। আমার খুব ভয় করছে আপু, খুব ভয় করছে।

ইমা এবার শব্দ করেই কেঁদে দিলো। ইয়ানা ইয়াদের কপালে হাত দিয়ে ছিটকে সরিয়ে নিলো।

ইয়ানা ধরা গলায় বললো, ভাইয়া মনে হয় আজ বৃষ্টিতে ভিজেছে কোন কারণে।

ইয়ানার কথা শুনে ইমা চমকে তাকালো ইয়ানার দিকে। ইয়াদ তো আজ অনেকটা সময় বৃষ্টিতে ভিজেছে সেটা তার জন্যই।

ইমা স্তম্ভিত হয়ে বললো, মানে ?

ইয়ানা বললো, ভাইয়ার বৃষ্টির পানি সহ্য হয় না। ছোট বেলায় আমার সাথে একদিন বৃষ্টিতে খেলেছিলো অনেক সময়। রাতে ভয়ংকর জ্বর হয় ভাইয়ার। যে জ্বর এমনই এমনই যায়নি পাঁচ দিন হসপিটালে ভর্তির ছিলো আর পুরোপুরি সুস্থ হয়েছিলো পনেরো দিন পর। এরপর থেকে ভাইয়া কখনো বৃষ্টিতে ভেজা তো দূর বৃষ্টির ফোঁটা মাথায় ফেলেনি।

ইয়ানা ইয়াদের দিকে তাকিয়ে কাঁদছে আর বলছে। ইমার হাত থমকে গেছে। আজ তার জন্য ইয়াদের এই অবস্থা হয়েছে। না সে যেতো বৃষ্টিতে ভিজতে আর না তাকে দেখে ইয়াদ এগিয়ে যেতো। ইয়াদকে ছাদে রেখে আসার পর অনেক সময় সেখানেই ছিলো, ইমা একবার বলেওনি চলে আসতে। ইমার এখন নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে। ইশান ডক্টর নিয়ে ইয়াদের রুমে প্রবেশ করলো। ডক্টর দেখে ইমা আর ইয়ানা সরে দাঁড়ালো।

ডক্টর ইয়াদের জ্বর মাপলো আর প্রয়োজনীয় চেক-আপ করে বললো, জ্বর ১০৫° ছাড়িয়ে গেছে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর দেখে মনে হচ্ছে জ্বর অনেক আগেই এসেছে কিন্তু গুরুত্ব দেয়নি তাই এখন আরো খারাপের দিকে গেছে অবস্থা।

ডক্টরের কথা শুনে ইয়ানা শব্দ করে কেঁদে দিলো আর ইমা পাথর হয়ে গেছে।

ডক্টরের সামনে ইয়াদ আবার বমি করে দিলো তা দেখে ডক্টর আরো ভীত গলায় ইমাকে জিজ্ঞেস করলো, বমি করেছে আরো ?

ইমা কী উত্তর দিবে সে পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে মুর্তি হয়ে। ইমা উত্তর দিচ্ছে না দেখে ইয়ানা ইমার কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে বললো, ভাবি ডক্টর তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছে।

ইমা চমকে উঠে বললো, ক,,,কী হয়েছে ?

ডক্টর আবার বললো, বমি করেছে আগে আরো ?

ইমা মাথা দিয়ে সম্মতি জানালে ডক্টর ইশানের দিকে তাকিয়ে বললো, উনাকে এখন আর এখানে চিকিৎসা করা সম্ভব নয় দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন, খারাপ কিছু হয়ে যাওয়ার আগে।

সবাই যেনো পাথরের মর্তি হয়ে গেছে। জ্বরের কারণে কারো এতো খারাপ অবস্থা হতে পারে যেনো কল্পনা করতে পারছে না। ইশান কোনো মতে নিজেকে সামলে ড্রাইভারকে গাড়ি বার করতে বললো কল দিয়ে। ইশান গিয়ে ইয়াদকে কাঁধে তোলে নিলো যদিও ইশান হিমসিম খাচ্ছে ইয়াদকে রাখতে। কোন রকমে গাড়িতে উঠে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। ইমা ইয়াদের মাথা নিজের কোলে নিয়ে বসে আছে আর ইশান ড্রাইভ করছে, ইয়ানা ইশানের পাশে বসে আছে সামনের সীটে। বাড়িতে এতোকিছু হয়ে যাচ্ছে রুবিনা বা ইয়াসিরের কোনো খবর নেই সেদিকে।

২৬.
ইয়াদ চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে আশেপাশে দেখতে লাগলো। জায়গাটা তার পরিচিত মনে হচ্ছে না। মাথাটা খুব ভারী লাগছে ডান হাত দিয়ে মাথা ধরতে যাবে কিন্তু মনে হলো কেউ হাতটা শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আছে। ইয়াদ হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো ইমা তার হাত আঁকড়ে ধরে হাতের উপর ঘুমিয়ে আছে। ওড়নাটা ভালো করে মাথায় পেঁচানো, ছোট করে মুখটা দেখা যাচ্ছে শুধু। গালে চোখের পানির দাগ স্পষ্ট হয়ে আছে শুকিয়ে। আজকাল ইমার দিকে তাকালে ইয়াদের চোখ সরাতে ইচ্ছে করে না তবু সরিয়ে নেয়। ইয়াদ আশেপাশে ভালো করে দেখে বুঝতে পারলো সে হসপিটালে আছে। গতরাতের কথা মনে করার চেষ্টা করলো। ওয়াশরুমে থাকতেই বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিলো তাই তাড়াতাড়ি শাওয়ার শেষ করে কোনোরকমে চেঞ্জ করে রুমে চলে আসে। কিন্তু রুমে পা রাখতেই হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে যায় চোখের সামনে। তারপর ইমা ইশান সবার কথা মনে পড়লো একটু একটু করে। বমি করে ইমার দিকে তাকানোর পর আর কিছু মনে নেই ইয়াদের। বামহাত উচু করে দেখলো স্যালাইন চলছে। নড়াচড়ায় ইমার ঘুম ভেঙে গেলো। ফজরের নামাজ পড়ে কিছু সূরাহ পড়ে ইয়াদের মাথায় ফু দিচ্ছিলো হঠাৎ ইমার হাত আঁকড়ে ধরে ইয়াদ তাই হাতটা না ছাড়িয়ে পাশে বসেছিলো। সারারাত না ঘুমানোর জন্য কখন চোখ লেগে গেছে বুঝতে পারেনি। সকালের দিকে ইয়াদের জ্বর কমেছে। সারাটা রাত ইমা কীভাবে পার করেছে সে নিজেও জানে না। ইয়াদকে সে কতটা ভালোবাসে গতরাতে ইয়াদের ঐ অবস্থা দেখে বুঝতে পেরেছে ইমা। সে বুঝে গেছে ইয়াদকে ছাড়া বাঁচা তার পক্ষে সম্ভব নয়। ইয়াদ যখন জ্বরে ছটফট করছিলো ইমাও ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো বুকের ভেতর থেকে হার্টটা কেউ টেনে বের করে নিচ্ছে। ইয়ানা কাঁদতে কাঁদতে চোখমুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। ইশান ছেলে মানুষ তবু ছটফট করেছে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে। বিপদের রাত নাকি সহজে শেষ হয় না, তার প্রমাণ গতরাতে পেয়ে তারা তিনজন। একেকটা মিনিট একেকটা বছরের মতো মনে হয়েছে। ইয়াদ একটু শান্ত হলে ইশান ইয়ানাকে বলেছিলো বাসায় চলে যেতে। সে আর ইমা থাকলেই হবে। কিন্তু ইয়ানা সাফ জানিয়ে দিয়েছে সে এক পাও নড়বে না যতক্ষণ না তার ভাইয়া তার সাথে কথা বলছে। ইয়ানা ভুলে গেছে গতকাল তার ভাইয়া সম্পর্কে সে কী শুনেছিলো। ইয়ানা বুঝে গেছে তার ভাইয়া যদি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষও হয় তাহলেও সে তার ভাইয়াকে ছাড়া নিজের জীবন কল্পনা করতে পারবে না। ইমা কেবিনের ভেতরে, ইয়ানা আর ইশান বাইরে বসেছিলো।

ইমা ইয়াদকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো, এখন কেমন লাগছে আপনার ? খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে, ডক্টরকে ডেকে আনবো ?

ইয়াদ কথা বলার চেষ্টা করে বুঝতে পারলো তার শরীর কতটা দূর্বল। বেশ কষ্ট হচ্ছে কথা বলতে তবু বললো, আমি ঠিক আছি।

ইমা হালকা রাগ দেখিয়ে বললো, শরীরে ১০৫° উপরে জ্বর নিয়ে যে লোক বলতে পারে আমি ঠিক আছি সে আর কখন বলবে আমি ঠিক নেই সেটা আমার মতো মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়।

ইয়াদ দূর্বল গলায় বললো, যতক্ষণ শ্বাস নিতে পারবো ততক্ষণ বলবো আমি ঠিক আছি।

ইমা রেগে বললো, হ্যাঁ আপনি ঠিক আছেন আমিই ঠিক নেই তাই হসপিটালের বেডে শুয়ে আছি। আপনি জানেন আপনার বৃষ্টির পানি সহ্য হয় না। তাহলে কোন আক্কেলে এতো সময় বৃষ্টির মধ্যে বসে ছিলেন তখন।

ইয়াদ আনমনে বললো, চোখের সামনে জান্নাতের হুর নেমে এসেছিলো মনে হচ্ছিলো তাকে একটু কাছ থেকে দেখার জন্য সামান্য বৃষ্টি তো দূর মৃত্যুর সাথেও সাক্ষাৎ করতে পারবো।

ইমা চমকে উঠলো ইয়াদের কথা শুনে। পড়ে ভাবলো ইয়াদ জ্বরের ঘোরে ভুলভাল বকছে তাই কিছু না বলে ইয়াদের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে উঠে দাড়ালো বাইরে যাওয়ার জন্য।

ইমা সামনের দিকে পা বাড়াতেই ইয়াদ পেছন থেকে বললো, কোথায় যাচ্ছো ?

ইমা ঘুরে তাকিয়ে বললো, ডক্টরকে ডাকতে যাচ্ছি, ইয়ানা আপু আর ইশান ভাইকে বলতে যাচ্ছি আপনার ঘুম ভেঙেছে। গতকাল ইশান ভাই না থাকলে কী করতাম আমি জানি না। আপনার অবস্থা দেখে আমি তো নড়াচড়া করতেই ভুলে গিয়েছিলাম।

ইয়াদ অবাক হয়ে বললো, মানে ?

ইমা মুচকি হেঁসে বললো, বড় ভাই হয়ে ছোট ভাইয়ের কাঁধে চড়ে হসপিটালে এসেছেন। ইমার কথা শুনে ইয়াদের চোখ আপনা আপনি বড় বড় হয়ে গেলো। ইয়াদ ইশানের তুলনায় লম্বা আর স্বাস্থ্য দু’দিক থেকেই বেশি। ইশান তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে এসেছে ভেবে ইয়াদের বিষম খাওয়ার মতো অবস্থা হলো। ইমা তা বুঝতে পেরে মুচকি হেঁসে বের হয়ে গেলো। ইয়াদের চোখের সামনে ভাসলো শৈশবের কিছু মধুর স্মৃতি। ইয়াদের বয়স যখন ৮ বছর তখন ইশানের জন্ম, ইয়ানার তখন মাত্র দুইবছর বয়স। গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে শিখেছে। ইয়াদ তখন ভেবে পেতো না কাকে রেখে কাকে কোলে নিবে। দুই ভাইবোন নিয়ে প্রচন্ড খুশি ছিলো ইয়াদ। ইশান যখন একটু বসতে শিখলো দু’জনকে দু কাঁধে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরতো ইয়াদ। পুরনো সুখের স্মৃতি মনে পড়তেই মুচকি হাঁসলো। তখনই কেবিনে ঢুকলো ইয়ানা আর ইশান। ইয়াদের হাসিটা লক্ষ্য করেনি দু’জনের কেউই। তাহলে হয়তো কয়েক মিনিট থমকে দাঁড়িয়ে থাকতো। ইয়াদের হয়তো নিজেরও মনে নেই শেষ কবে খুশি হয়ে হেসেছিলো। মুচকি হেসেছে অনেক তবে সেই হাসিতে কখনো খুশি থাকতো না বরং লুকিয়ে থাকতো হাজারো কষ্ট, রহস্য আর কারো জীবন সমাপ্তির ইঙ্গিত। আজ অনেক বছর পর খুশি হয়ে মুচকি হাঁসলো ইয়াদ সেটা হয়তো নিজেও খেয়াল করেনি সে।

ইয়ানা ইয়াদের দিকে এগিয়ে এসে ব্যস্ত গলায় বললো, এখন কেমন আছো ভাইয়া ?

ইয়াদ নিজের অনুভূতি আড়াল করে বললো, হুম ভালো।

ইয়ানা হঠাৎ রাগী গলায় বললো, তুমি জানো বৃষ্টি তোমার চরম শত্রু তাহলে কেনো গিয়েছিলে বৃষ্টিতে ভিজতে। জানো কতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম গতরাতে তোমার অবস্থা দেখে।

ইয়ানা এসব বলছে আর ইশান একটু দূরে চুপচাপ দাড়িয়ে ইয়াদের দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ইয়াদ ঘুরে তাকালো ইশানের দিকে। তাতে মুখ কালো হয়ে গেলো ইশান ইয়ানা দুজনেরই। ইশানকে এখানে দেখে না আবার রেগে যায় এমনই ভাবছে দুজন।

কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে ইয়াদ শান্ত গলায় বললো, দূরে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো এদিকে আয়।

ইয়াদের কথা শুনে ইয়ানা আর ইশান এমনভাবে ইয়াদের দিকে তাকালো যেনো সে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা বলেছে৷ ইয়াদ ইশানকে কখনো তুই করে বা বিরক্তি গলা ছাড়া কথা বলে না তাই এতেটা অবাক হয়েছে দুজন। ইশান ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ইয়াদের দিকে।

চলবে,,,,