তিক্ততার সম্পর্ক পর্ব-৩০

0
1780

#তিক্ততার_সম্পর্ক
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ৩০

ইয়াদ নিজের চিন্তায় বিভোর তখনই আতিক আবার বলে উঠলো, কলির সম্পর্কে সেদিন সত্যিটা জানতে পেরে এক মুহুর্তের জন্য থমকে গিয়েছিলাম। অজানা কারণে খুব কষ্ট হচ্ছিলো বুকের ভেতরটায়। সেদিনের পর কলিকে আর আমার থেকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়নি। সময় এগোতে থাকে নিজের গতিতে আর কলির প্রতি আমার অনুভূতিগুলো বাড়তে থাকে, কিন্তু একসময় ধরা পরে যাই ইয়াসিরের কাছে। ও সেদিন রাগ করেনি বরং বুঝিয়েছিলো কলির সাথে আমি সুখি হতে পারবো না। কিন্তু আমি ইয়াসিরের কোনো কথা শুনতে নারাজ। ইয়াসির সুযোগ বুঝে সবটা জানায় নিজের বাবাকে। তাফসির সাহেব কোনো রিয়াকশন করেননি তখন কিন্তু পরে জানান তিনি কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। তাফসির হামিদের সব থাকলেও মনে শান্তি ছিলো না,,, একমাত্র ছেলেটা সব কিছুতেই উদাসীন আবার অপর দিকে মেয়েটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মেয়েটার একটা গতি হবে সেটা কল্পনাও করতে পারেনি। তবে আমার বাবা-মাকে রাজি করানো সহজ ছিলো না, অনেক কষ্টে তাদের মানাতে হয়েছিলো। শেষমেশ ঠিক হলো আমার মেডিকেল পড়া শেষ হলে আর কলির আঠারো বছর হলে বিয়ে হবে। ডাক্তারি পড়ার জন্য আমি চলে যাই ইউকে কিন্তু যখন ফিরে আসলাম তখন সব এলোমেলো হয়ে গেছে। একটা ঝড় সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে।

ইয়াদ খেয়াল করলো আতিকের চোখের কোণে পানি চিকচিক করছে। ইয়াদ কাঁপা গলায় বললো, তাহলে ফুপি এখন কোথায় ?

আতিক শান্ত গলায় বললো, নেই।

ইয়াদ চমকে উঠে বললো, নেই মানে ?

আতিক ফ্লোরে বসে পড়লো ধপ করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললো, সেদিন তোমার বাবা একটা খুন হয়নি, তার সাথে তার পুরো পরিবার খুন হয়েছিলো তোমার মা আর ডি কের হাতে।

ইয়াদ সোফায় থেকে দাঁড়িয়ে গেলো। ইয়াদের মনে হচ্ছে সে শূন্যে ভাসছে, মাথাটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে নিজের কাছে।

ইয়াদ কাঁপা গলায় বললো, কী বলছেন এসব ?

আতিক উচ্চস্বরে কেঁদে উঠে বললো, ঠিক শুনেছো তুমি। তোমার মা আর ডি কে শুধু তোমার বাবার খুনি নয়। তোমার বাবা, দাদা-দাদী, ফুপি আর তোমার দাদার পি.এ ইমরুলের খুনি এই দুটো মানুষ রুপি নরপিশাচ।

ইয়াদ ধপ করে বসে পড়লো সোফায় শরীরটা কাঁপছে তার। এতোদিন জেনেছিলো শুধু তার বাবাকে খুন করেছে তারপর জানলো ইমার বাবাকেও খুন করেছে আর এখন আরো তিন জন মানুষ ? ইয়াদের ঘৃণায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে,,, এতো জঘন্য একজন মানুষের পেটে কেনো জন্ম নিতে হলো তার ? উত্তরটা হয়তো আল্লাহ তাআ’লা ভালো জানেন।

আতিক কাঁদতে কাঁদতে বললো, আমার কলিকে কোনো মারলো বলো তো ? ওকে আমার কাছে দিয়ে দিতো আমি ওকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতাম। আমার কলিটা তো বলতেও পারতো না তার বাবা-মাকে তার সামনে কে খুন করেছে। তাহলে কেনো মারলো আমার কলিকে ? যে মেয়েটার ছবি বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম কবে তাকে প্রাণ ভরে দেখবো সামনে থেকে কিন্তু তাকে শেষবারের মতো দেখার ভাগ্য আমার হয়নি। মৃত্যুর সময় আমার কলি কতোটা কষ্ট পেয়েছে।

আতিক কাঁদছে আর ইয়াদ সোফায় বসে আছে মাথা নিচু করে। আতিককে কী সান্ত্বনা দিবে, ইয়াদের নিজের চোখ থেকে টপটপ পানি পড়ছে।

আতিক নিজের চোখ মুছে বললো, সেদিন তোমাকে ছেড়ে দিয়েছিলো নিজেদের স্বার্থে। নাহলে তোমাকে মারতেও হয়তো হাত কাঁপতো না তাদের কারো। যে সম্পত্তির জন্য এতো কিছু করলো শেষে জানতে পারে ইয়াসিরের সাইন নিয়ে তাদের কোনো লাভই হয়নি। কারণ ইয়াসিরের নামে কোনো প্রোপার্টি ছিলোই না। ইয়াসিরের উদাসীনতার জন্য তোমার দাদা তার বেশির ভাগ প্রোপার্টি তোমার নামে করে দিয়েছিলো তোমার জন্মের পর পরই আর বাকিটা কলির নামে। উইলে উল্লেখ ছিলো একটা সন্তান জন্ম নেওয়ার আগে কোনো কারণে কলি মারা গেলে তার নামের সব প্রোপার্টি বিভিন্ন এতিমখানার নামে চলে যাবে। আর কলির মৃত্যুর পর হয়েছেও সেটাই। তোমার নামের প্রোপার্টি তোমার আঠারো বছর হওয়ার আগে পর্যন্ত তোমার অভিভাবক দেখাশোনা করবে। তবে তোমার আঠারো বছর হলে তোমার প্রোপার্টি তুমি বুঝে নিতে পারবে কিন্তু বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করতে বা কাউকে দিলেও পারবে না। এই দুটোর জন্য বিয়ের পর তোমার স্ত্রীর সিগনেচার লাগবে বিক্রি করতে বা কারো নামে উইল করে দিতে। আর তোমার ক্ষেত্রেও কোনো সন্তান জন্মের পূর্বে কোনো কারণে মৃত্যু হলে সব বিভিন্ন চ্যারিটির হাতে চলে যাবে। তবে তুমি আর তোমার স্ত্রী একসাথে মিলে বিক্রি বা কারো নামে উইল করে দিতে চাইলে সেটা করতে পারবে৷

ইয়াদ অবাক হয়ে শুনছে আতিকের কথা। তার দাদা এতো প্যাচ কেনো লাগিয়ে রেখেছে বুঝতে পারছে না। নাকি তাফসির হামিদ রুবিনা সম্পর্কে আগেই জেনে গিয়েছিলো বলে এতো প্ল্যান করে সব সাজিয়ে রেখেছিলো। যাতে ইয়াসির, কলি বা ইয়াদের ক্ষতি করে কারো লাভ নয় বরং লস হয়। ইয়াদ বুঝতে পারলো তার দাদা খুব তীক্ষ্ণ বৃদ্ধির অধিকারী ছিলেন। কাছেরটা না ভেবে দূরেরটা ভাবতো সবসময়।

ইয়াদ শান্ত ভাবে বললো, আপনি এতোকিছু কীভাবে জানলেন ? আপনি তো তখন ইউকে ছিলেন যখন এসব ঘটেছিলো।

আতিক নিজের চোখ মুছে ফ্লোর থেকে উঠে সোফায় ভালো করে বসলেন আর তারপর বললো, আমি যখন ফিরে আসি তখন এসব ঘটে যাওয়ার প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেছে। দেশে ফিরে ছুটে যাই হামিদ মঞ্জিলে কিন্তু সেখানে তালাবদ্ধ গেইট ছাড়া কিছু দেখতে পাই না। গেইটের বাইরে থেকে দেখে মনে হচ্ছিল এ বাড়িতে মানুষের পা পড়ে না কয়েক মাস পেড়িয়ে গেছে। আমি পাগল হয়ে যাই কলির চিন্তায়। কাকে জিজ্ঞেস করবো ভেবে কুল কিনারা পাই না। হঠাৎ আমার মনে পরে অফিসের কথা তাই দেড়ি না করে তোমাদের অফিসের পথ ধরি। অফিসে গিয়ে জানতে পারি তিন’মাস আগে তাফসির হামিদ আর তার স্ত্রী কন্যা গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছে। আমার দুনিয়া থমকে গিয়েছিলো, মনে হচ্ছিল কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমার কলি আর এই পৃথিবীতে নেই সেটা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি। চোখে মুখে পানির ছিটা পড়তেই জ্ঞান ফিরে আমার। কোনো রিয়াকশন ছাড়া উঠে বসে জানতে চাই তোমার বাবার কথা। উত্তরে শুনতে পাই সে মিটিং রুমে, অফিসের মিটিং করছে, তার বাবার মৃত্যুর পর সেই নাকি বিজনেসের হাল ধরেছে। এতো শক খাওয়ার পর আরো একটা শক। যে ছেলে জীবনে অফিসে পা রাখেনি সে নাকি পুরো বিজনেসটা সামলাচ্ছে। অবাক হলেও পরে ভাবলাম হয়তো পরিস্থিতি এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। ওয়েটিং রুমে বসে তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম আর নিজের চোখের পানি মুছতে লাগলাম দু’হাতে।

এতটুকু বলে আতিক থাকলো। গলা শুকিয়ে গেছে তার। উঠে গিয়ে ডাইনিং টেবিল থেকে পর পর দু-গ্লাস পানি ঢকঢকে পান করে নিলো। ইয়াদের চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। রাগ, ঘৃণা, কষ্ট আর প্রতিশোধের নেশায় একটা মিশ্র অনুভতি হচ্ছে ইয়াদের। আতিক পানি পান করে আবার নিজের জায়গায় গিয়ে বসলো।

কিছু সময় চুপ থেকে আতিক আবার বললো, ইয়াসিরকে দেখে আমি যতটা না অবাক হয়েছিলাম তার থেকেও বেশী অবাক হই তার কথা শুনে। আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমি কে আর কাকে চাই ? প্রথমে ভেবেছিলাম অনেকগুলো বছর পর দেখেছে তাই হয়তো চিনতে পারছে না।কিন্তু যখন আমার নাম শুনেও চিনতে না পারলো তখন আমার সন্দেহ হয়। কিছু না বলে চলে আসি অফিস থেকে। কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছিলাম না কী হচ্ছে এসব। দুদিন পর এখানকার একটা নামকরা প্রাইভেট হসপিটালে আমার জয়েন করার কথা ছিলো। দুদিন হন্যে হয়ে নিজের মনের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বেড়িয়েছি কিন্তু ফলাফল শূন্য অন্যদিকে কলির শূন্যতা আমাকে গ্রাস করছিলো একটু একটু করে। হতাশ হয়ে হসপিটালে জয়েন করি কিন্তু সেখানে যা দেখতে পাই তাতে কী রিয়াকশন দেওয়া উচিত সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম।

ইয়াদ কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে আতিকের দিকে। এতগুলো দিন অনেক চেষ্টা করেও তার থেকে বেশি কিছু জানতে পারেনি ইয়াদ। যখন যতটুকু বলার ইচ্ছে হয়েছে ততটুকু বলেছে। আর ইয়াদ চাইলেও উনার উপর জোর করতে পারেনি। কারণ কোনো কারণে উনার মানসিক অবস্থার অনেকটা অবনতি ঘটেছে সেটা জানতে পেরেছিলো ইয়াদ৷ জোর করলে উনার ক্ষতি হতে পারে আর ইয়াদের কাছে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উনি তাই কখনো জোর করেনি। যতটুকু বলেছে ততটুকুই শুনে গেছে। মানসিক অবনতির কারণ তখন বুঝতে না পারলেও এখন ভালো করেই বুঝতে পারছে ইয়াদ। তার ফুপিকে যে এই মানুষটা পাগলের মতো ভালোবাসতো তার প্রামণ এতবছর পরও উনার হাউমাউ করে করা কান্নাটা। আজ নিজের ইচ্ছে তে উনি সব বলছে দেখে ইয়াদ চুপচাপ শুনে যাচ্ছে। তার সবটা জানা খুব দরকার ছিলো।

ইয়াদ অস্থির গলায় বললো, কী দেখতে পান হসপিটালে গিয়ে ?

আতিক কিছু সময় চুপ থেকে বললো, আমার মাথা ব্যাথা করছে এখন আর কিছু বলতে পারবো না। আমার কলিকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব।

ইয়াদ বুঝতে পারলো উনার উপর বেশি চাপ পরে গেছে আজ, তাই আর কিছু বললো না। উনাকে ঘুমাতে বলে বের হয়ে গেলো ফ্ল্যাট থেকে। ইয়াদ প্রতিদিন এখানে আসে যদি কিছু জানতে পারে সেই আশায়। আজ অনেক কিছু জানতে পেরেছে সে, তবে আরো অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে মনে। তার উত্তর একমাত্র আতিক হোসাইন দিতে পারেন।ইয়াদ ড্রাইভ করে অফিসের দিকে যাচ্ছে, রেগে নেই তবে মনে মনে ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিলো।

বিড়বিড় করে বললো, আবরার হামিদ ইয়াদ অনেককে হসপিটালে পাঠালেও এখনো কাউকে কবরে পাঠায়নি। কবরে পাঠানোটা শুরু আর শেষ হয়তো মিসেস এন্ড মিস্টার কবির দিয়েই হবে।

ইয়াদ ভেবেছিলো সব প্রমাণ জোগাড় করে এদের আইনের হাতে তোলে দেবে কিন্তু এসব জানার পর সেটা কখনোই করবে না। ইয়াদ এদের নিজের হাতে একটু একটু করে শাস্তি দেবে। কতগুলো জীবন কেড়ে নিয়েছে এরা। কেনো শুধুমাত্র কিছু প্রোপার্টির জন্য ? ইয়াদের বাবার খুন তার চোখের সামনে হয়েছে বলে কিছুটা মনে আছে কিন্তু দাদা-দাদী বা ফুপির কোনো স্মৃতি তার মস্তিষ্কে নেই।আজ রুবিনা কবিরের উপর ঘৃণাটা কয়েক গুন বেড়ে গেলো ইয়াদের।

৩০.
ডি কে বিরক্ত হয়ে সোফায় বসে আছে আর রুবিনা বেডে। ডি কের বিরক্তির কারণ রুবিনাকে একটা কাজ দেওয়া হয়েছে সেটাও সে করতে পারছে না।

দিসার বিরক্ত হয়ে বললো, তোমার এই একটা কাজ করতে আর কতদিন লাগবে বলতে পারো ?

রুবিনা দ্বিগুণ বিরক্তি নিয়ে বললো, ঐ মেয়ের আশেপাশে গেলেই বিরক্ত লাগে আমার। ওর সাথে মিশে সিগনেচার জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব না, আমি আগেই বলেছি।

দিসার রেগে বললো, হাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে কেউ কাজগুলো করে দিয়ে যাবে না। বিদেশ থেকে ফেরার পর তোমার ছেলে যেদিন থেকে অফিসে জয়েন করেছে সামান্য কিছু করতে গেলেও তার অনুমতি নিতে হয় আমাকে। এসব আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। ইয়াদের সিগনেচার জোগাড় করা আরো কঠিন কারণ সে প্রত্যেকটা বিষয়ে অতিরিক্ত পরিমাণের সচেতন। তোমার মতো মাথা মোটা মহিলা আর ইয়াসিরের মতো গাধার ছেলে এমন চালাক কী করে হলো বুঝতে পারি না আমি। এই কোনোভাবে ইয়াদ আমার ছেলে নয়তো ?

রুবিনা রেগে বললো, ইয়াদ যখন জন্ম নেয় তখন তুমি জেলে পঁচে মরছো দু’বছর ধরে। তাহলে ও তোমার ছেলে হলো কীভাবে ?

ডি কে চিন্তা করে বললো, তাহলে ওর এতো তীক্ষ্ণ চিন্তা ভাবনা কী করে হলো ?

রুবিনা ভাবলেশহীন ভাবে বললো, ইয়াদের দাদার সামনে তোমার চালাকি কিছুই না। দেখো না, এমন প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে এতোবছর ধরে খুলতে পারছি না। ইয়াদ ওর দাদার মতো হয়েছে।

ডি কে বিরক্ত হয়ে বললো, তবু তো বুড়োটার গুষ্টি শুদ্ধো বিনাশ আমিই করলাম। এখন শুধু ইয়াদ আর ইয়ানা বাকি রয়ে গেছে।

ডি কের কথা শুনে চমকে উঠলো রুবিনা ব্যস্ত গলায় বললো, এটা কী বলছো ? তুমি কিন্তু কথা দিয়েছিলে ইয়াদ বা ইয়ানাকে তুমি প্রাণে মারবে না। ইয়াদকে প্যারালাইজড করে রাখবে আর ইয়ানাকে বিয়ে দিয়ে দেবে।

ডি কে থতমত খেয়ে বললো, হ্যাঁ হ্যাঁ সেটাই করবো একবার শুধু সব হাতে পেয়ে যাই।

কথাটা শেষ করে ডি কে রহস্যময় ভাবে হাসলো যা রুবিনার নজরে এলো না। ডি কে রুবিনাকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতে লাগলো ইমার থেকে কীভাবে সিগনেচার নিতে হবে।

চলবে,,,,