তীব্রস্রোত পর্ব-০১

0
191

ফারহানা_হাওলাদার_প্রকৃতি
#তীব্রস্রোত
#সূচনা_পর্ব

দরজা খোলার সাথে সাথেই দুটি মানুষ দু-দিকে সরে গেল। যা দেখে সুপ্তি অবাক হলো ভীষণ, সুপ্তি ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে জোর পায়ে ছাদে এগিয়ে গিয়ে দেখল তার বড় বোন সুপ্রিয়া দাঁড়িয়ে আছে তার বোনের পাশে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে, যাকে কিনা মাঝে মধ্যে সে তাদের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে। আজ তাকে এখানে তার বোনের সাথে দেখে সে রীতিমতো অবাক।

…..আপু কে ইনি?

……সুপ্তি আমি তোকে বুঝিয়ে বলছি তুই চল আমার সাথে।

……তোর যা বলার এখানেই বল?

……প্লিজ সুপ্তি, রুমে চল আব্বু বা আম্মু কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে।

……এটা আগে কেনো ভাবিস নি? এখন যদি আমার জায়গায় আব্বু, আম্মু আসতো, বা কোনো ভাড়াটিয়া আসতো তবেও কী তুই এভাবেই রিয়েক্ট করতি?

……প্লিজ সুপ্তি একটু বোঝার চেষ্টা কর। প্লিজ চল, ফারাবী তুমি এখন যাও প্লিজ আমি পড়ে তোমার সাথে যোগাযোগ করছি।

ফারাবী মাক্স পড়ে চলে গেল সিঁড়ি বেয়ে। আর সুপ্তিও তার বোনের সাথে সিঁড়ি বেয়ে এসে নিজেদের রুমে চলে এলো।

……হ্যা আপু এখন বল ছেলেটা কে?

……আমি ওকে ভালোবাসি।

……তুই জানিস আব্বু জানতে পারলে কী হবে?

……হ্যা জানি, কিন্তু কী করব বল? আমি ওকে খুব ভালোবাসি, আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারব না।

……কিন্তু আব্বু তো তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন।

……হ্যা আমি জানি আজ থেকে ১ সপ্তাহ পড়ে আমার বিয়ে, তাই আমি আজ ফারাবী কে ডেকে ছিলাম, আমরা পালিয়ে যাবো ভাবছিলাম, কিন্তু ফারাবী রাজি হচ্ছিল না তাই ওকে ডেকেছি এখানে।

…….আপু আমরা তো সবাইকে বুঝিয়েও বলতে পারি?

……বুঝবে না রে বোন আব্বু বুঝবে না।

……আচ্ছা আমি যদি বুঝাতে পারি?

……তুই পারবি না।

……আচ্ছা একটা চান্স দে আমাকে। যদি আব্বু না বোঝে তবে আমি নিজে তোকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করব।

……ঠিক আছে।

সুপ্রিয়া বিছানায় এক পাশ হয়ে শুয়ে পড়ল। তাই সুপ্তিও রুমের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল। সুপ্তি কিছুক্ষণ আগের কথা ভাবছিল,

কিছুক্ষণ আগেই সুপ্তি নিজের রুমে এসে দেখল সে সুপ্রিয়া কে খুঁজে পাচ্ছে না, তাই চারিদিকে খুঁজল যখন খুঁজে পেল না তখন তার সন্দেহ হলো, কারণ কয়েক দিন ধরেই সে লক্ষ করছে তার বোন কারো সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে ফোনে কথা বলে, আবার দিনের বেশিরভাগ সময় সে ছাদেই থাকে, তাই সুপ্তি এগিয়ে গেল ছাদের দিকে, আর ছাদের দরজা খুলেই তার সন্দেহ গুলো সত্যি হয়ে গেল। সে এমন কিছু দেখবে ভাবতেই পারেনি। বাট সে তার বোন কে নিয়ে যা সন্দেহ করেছে এটা সত্যি প্রমাণিত হয়ে গেল।

সকাল সকাল ঘুম ভাঙল সুপ্তির, সে আলসেমি দিয়ে উঠে বসল। পাশে তাকিয়ে দেখল সুপ্রিয়া নেই। তাই সে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে গেল, ড্রইং রুমে গিয়ে দেখল তার আম্মু বসে আছে, তাই সুপ্তি তার আম্মু কে প্রশ্ন করল।

……আম্মু আপু কোথায়?

……সুপ্রিয়া ছাদে গেছে।

……আম্মু আমার কথা আছে তোমার সাথে।

……হ্যা বল?

……আম্মু আগে বলো রাগ করবে না। আমি জাস্ট তোমাকে জিজ্ঞেস করছি, তুমি অন্য কিছু ভেবো না প্লিজ।

……হ্যা বল?

……আম্মু আমি বা আপু যদি কোনো ছেলে কে পছন্দ করি তবে কী তোমরা তাকে মেনে নিবে?

……এই কথা একবার বলেছিস দ্বিতীয় বার আর নয়, তোর আব্বু জানতে পারলে তোকে মেরে ফেলবে।

……বাট আম্মু আমাদের ও তো পছন্দ থাকতেই পারে?

……নাহ পারে না। তোদের অনেক আগেই এই বিষয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল, তোর আব্বু এসব প্রেম ভালোবাসা একদম পছন্দ করে না। তাই খবরদার আর কখনো এই কথা মুখে নিবি না।

……আম্মু প্লিজ তুমিও তো আব্বুর মতই কথা বলছ?

…….হ্যা কারণ আমি জানি তোর আব্বু যা বলবে তাই।

এই বলে সুপ্তির আম্মু উঠে চলে গেল। এখন সুপ্তি কী করবে বুঝতে পারছে না। তাহলে কী সুপ্তি তার বোন কে পালাতে সাহায্য করবে?

ইউনিভার্সিটি থেকে সুপ্তি বাসায় এসে দেখল তার বোন মন মরা হয়ে বসে আছে।

……কীরে তোর আবার কী হলো?

……তুই আব্বু কে বলেছিস কিছু?

……নাহ। আম্মু কে বলছিলাম, বাট আম্মু উল্ট রেগে গেল।

……তাহলে এখন কী করবি?

……কী আর করব যে প্ল্যান তোরা করেছিস তাই এপ্লাই করবি।

……তুই শিওর।

…..হুম আর কী কোনো পথ রেখেছিস তুই?

……যা জামা কাপড় গুছিয়ে নিয়ে তোর ওনাকে খবর দে, যে আজ রাতেই তোরা পালিয়ে যাচ্ছিস।

……আজই?

……হ্যা নয়ত কী বিয়ের দিন যাবি? তারপর দেখা গেল তোর জায়গায় আমাকে বসিয়ে দিলো সবাই। না বাবা আমি এত্তবড় রিক্স নিতে পারব না। আমি পড়াশোনা শেষ না করে বিয়ে করতে পারব না। তাই যা করার আজকের মধ্যেই করতে হবে। শুনলাম কার্ড ছাপানো শেষ, তবে তো কাল বা তার পরদিন থেকেই কার্ড বিলানো শুরু হয়ে যাবে। তাই যা করতে হবে আজকের মধ্যেই করতে হবে। তুই এখনি তোর ওনাকে ফোন দে।

সুপ্রিয়া ফারাবী কে ফোন দিয়ে সবটা জানালো, ফারাবী ও রাজি হয়ে গেল। সুপ্তি, সুপ্রিয়ার হাত থেকে ফোন নিয়ে ফারাবীর সাথে কথা বলে সব প্ল্যান করে নিলো। কীভাবে কী করবে।

……তোরা যাবি কোথায় ভেবেছিস?

……হ্যা ভেবেছি ফারাবীর ফুপি থাকে যশোর, সেখানেই যাবে বলছিল ফারাবী।

…….ওকে আমাকে সেখানের কারো ফোন নাম্বার আর সেখানের পুরো ঠিকানা দিয়ে যাবি।

……আচ্ছা ঠিক আছে।

ওরা সব প্ল্যান মোতাবেক গুছিয়ে নিলো। আজ রাতেই ওরা পালাবে বাড়ি থেকে। সব গুছিয়ে নিয়েছে এখন শুধু রাত হওয়া বাকি।

সুপ্তি কিছু খাবার, টাকা, একটা নতুন সিম কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলো সুপ্রিয়া কে। যাতে সুপ্রিয়ার কোনো সমস্যা না হয়।

রাতে সবাই মিলে ডাইনিং টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছিল তখন সুপ্তি বলে উঠল তার মাকে উদ্দেশ্য করে।

…….আম্মু একটু চা করে রেখে দিও।

……কেনো?

…….আজ অনেক পড়া আছে, তাই রাত জাগতে হবে।

……হুম বেশি রাত জাগিস না আবার। প্রয়োজনে ভোরে উঠে বসিস।

…….হ্যা তাও খারাপ বলনি। আচ্ছা তবে চা করতে হবে না। আমি বরং ১১টা পর্যন্ত পড়েই শুয়ে পড়ব আবার সকালে উঠে পড়ব।

……আচ্ছা ঠিক আছে।

সুপ্তি সবাইকে দেখিয়ে পাশের রুমে চলে গেল। যাতে সবাই বোঝে আজ সুপ্তি পাশের রুমেই ঘুমাবে, আর সুপ্রিয়া একা থাকবে রুমে। যাতে কেউ সন্দেহ না করে সুপ্তিকে।

রাত তখন ১২ টা দু-বোনের কারো চোখেই ঘুম নেই সুপ্রিয়া রুমের ভেতর পাইচারি করছিল, আর সুপ্তি রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছিল, সে জানে না আগামী কাল কী হবে? শুধু এটা জানে যা হবে তা খুব খারাপই হবে। কিন্তু বোন ভালোবাসে কাউকে, তার জন্য যখন বোন বাড়ি ছাড়তে চাইছে তাহলে অবশ্যই অনেক ভালোবাসে তাকে বোন।

সুপ্তি জানে না আবার কবে সে বোন কে দেখতে পাবে? নাকি পাবেই না। কিন্তু তার যে কিছু করার নেই। সে যদি এখন বোন কে বাঁধা দেয়, তবে হয়ত বোন কাউকে কিছু না জানিয়েই একদিন লাপাত্তা হয়ে যাবে। তখন তো সে কিছুই জানতে পারবে না তার বোন কোথায় আছে কার সাথে আছে? তবে সে আজ সকালে ইউনিভার্সিটিতে না গিয়ে ফারাবীর খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে অনেক। তার এক ফ্রেন্ডের সাথে মিলে। বেশি কিছু নয়, তবে যতটুকু জেনেছে, তাতে কোনো খারাপ রিপোর্ট পায়নি সুপ্তি, তাই সে বোনের পাশেই রয়েছে।

সুপ্তি চোখ মুছে রুমে এলো, দেখল সুপ্রিয়া এখনো পাইচারি করে চলেছে। সুপ্তি, সুপ্রিয়ার থেকে ফোন নিয়ে সিম পালটে সেট করে দিলো সুপ্রিয়ার ফোনে, সিমটা সরিয়ে রাখল। এরপর একটা চিঠি রেখে দিলো বিছানার মাঝ খানে। সুপ্তি সুপ্রিয়া কে বলল রেডি হয়ে নিতে, কারণ এখন প্রায় ১টা বেজে গেছে, এখন সবাই গভীর ঘুমে বিভোর। তাই সুপ্রিয়া রেডি হয়ে বেরিয়ে এলো ওয়াশ রুম থেকে, সুপ্রিয়া বেরিয়ে দেখল, সুপ্তি কান্না করছিল। যা দেখে সুপ্রিয়া ছুটে এসে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে উঠল।

……কী রে কাঁদছিস কেনো?

……তুই চলে যাচ্ছিস আমাদের ছেড়ে, আবার কী দেখা হবে কখনো তোর সাথে?

……আমি চলে যাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু মনটা তোদের কাছেই রেখে যাচ্ছি। আমি খুব জলদি ফিরে আসার চেষ্টা করব ইন’শা’আল্লাহ।

……আমি না জানানো অব্দি তোরা এদিকটায় পা ও রাখবি না। আব্বুর মাথা ঠান্ডা হলে আমি নিজে ফোন দিয়ে তোদের জানাবো তার পরে আসবি।

……হুম ঠিক আছে।

……আপু?

…..হ্যা বল?

……তুই কী শিওর ফারাবী ভালো ছেলে? তোকে ভালো রাখবে সে?

……হ্যা রে ও খুব ভালো একটা মানুষ, আমি প্রায় ৫ বছর ধরে ওকে জানি, কখনো খারাপ কিছু ওর মধ্যে দেখিনি।

……ঠিক আছে তোর বিশ্বাসেই আমি তাকে বিশ্বাস করছি। তুই যদি কখনো বুঝতে পারিস সে তোর জন্য সঠিক চয়েজ নয়, তবে তুই তখনি সবার আগে আমাকে জানাবি প্রমিজ কর।

……হুম প্রমিজ।

এরপর দু’বোন গলা জড়িয়ে ধরে আরও কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে নিয়ে, বের হবার জন্য রেডি হয়ে নিলো। ফারাবী ফোন দিতেই দুজন এগিয়ে গেল দরজার দিকে, একটা বোরকা পড়ে সুপ্রিয়া বেরিয়ে পড়ল। গেটে যেহেতু দারোয়ান আছে। তাই সুপ্তি আর সুপ্রিয়া প্ল্যান কষে নেমে আসলো সিঁড়ি বেয়ে, নিচ তালার কারেন্ট অফ করে দিতেই চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেল। ওরা গেইটের কাছাকাছি এসে ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে দেখল দারোয়ান ঘুমিয়ে আছে তার ছোট্ট রুমটায়। তাই দুজন ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে আস্তে আস্তে গেইটের কাছে এগিয়ে গেল। এরপর ধীরে ধীরে গেইট খুলে সুপ্রিয়া বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন সুপ্তি, সুপ্রিয়া কে আবার জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠল। কিছুর শব্দ পেয়ে সুপ্তি, সুপ্রিয়া কে ছেড়ে দিয়ে গেইট লাগিয়ে দিয়ে পাশে রাখা গাড়ীর পেছনে গিয়ে লুকিয়ে পড়ল। সুপ্রিয়া আর ফারাবী ও লুকিয়ে পড়ল দেখল দারোয়ান বেরিয়ে আসছে তার ছোট্ট রুমটা থেকে, রাস্তার হালকা আলোয় ওরা বুঝতে পারল। যা দেখে চুপ করে বসে রইল সুপ্তি। দারোয়ান চারিদিকে তাকিয়ে কিছু খুঁজল, এরপর দারোয়ান গেইটের দিকে এগিয়ে গেল। যা দেখে সুপ্তি আস্তে আস্তে গাড়ীর পেছন দিক থেকে সিঁড়ির দিকে বেরিয়ে এসে ছুটে সিঁড়ির কাছে চলে গেল। সেখানে গিয়ে কারেন্টের লাইন দিয়ে সুপ্তি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো। তাদের ফ্লাটে ঢুকে পাশের রুমে গিয়ে সুপ্তি কম্বল মুরি দিয়ে শুয়ে পড়ল। সে খুব ভয়ে আছে যদি সবাই জেনে যায় এই কর্মকাণ্ড তবে তার রক্ষে নেই আর। সে ভয় চুপ করে শুয়ে রইল। ঘুম হয়ত আজ আর তার আসবে না।

খুব সকাল সকাল সুপ্তির ঘুম ভাঙল, তার মায়ের চিৎকার শুনে। তাই রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে এলো। এসে দেখল তার মা মাথায় হাত দিয়ে সোপায় বসে বসে কান্না করছে। সে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে তার মায়ের কান্নার কারণ, নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে সুপ্তির, সে ভয় পাচ্ছে যদি কেউ জানতে পারে তবে কী হবে তার?

……সুপ্রিয়ার আম্মু কী হয়েছে সকাল সকাল এভাবেই চিৎকার চেচামেচি করছ কেনো?

সুপ্তি তার আব্বুর কণ্ঠ শুনে চমকে উঠল। যা দেখে সুপ্তির আব্বু জিজ্ঞেস করে উঠল।

……কীরে তোর আবার কী হলো?

……নাহ কিচ্ছু না। আম্মু কাঁদছে।

……কাঁদছে মানে? এই সুপ্রিয়ার আম্মু কী হয়েছে কাঁদছ কেনো?

সুপ্তির আম্মু কান্না না থামিয়ে নিচের দিকে তাকিয়েই সুপ্তির আব্বুর সামনে চিঠিটা ধরল। সে চিঠিটা দেখে প্রচুর অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল।

……এটা কী?

……পড়ে দেখো।

সুপ্তির আব্বু চিঠিটা পড়া শেষ করে, মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যেতে নিলো। যা দেখে সুপ্তি আর সুপ্তির আম্মু দুজনে মিলে ধরে নিয়ে সোফার উপর বসিয়ে দিলো। সে চশমাটা খুলে চোখ মুছে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইল। সে ভিজে যাচ্ছে ঘামে, যা দেখে সুপ্তি তারাহুরো করে ঠান্ডা পানি এনে দিলো তাকে।

……আব্বু পানিটা পান করে নাও।

……লাগবে না।

……আব্বু প্লিজ পানিটা খেলে তোমার ভালো লাগবে।

সুপ্তির আব্বু সুপ্তির থেকে পানির গ্লাস নিয়ে টেবিলের উপর রেখে দিলো, খেলো না। যা দেখে সুপ্তি উঠে দাঁড়িয়ে গেল। সুপ্তির মা গিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিলো। সুপ্তির আব্বু বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে বসে রইল, এরপর রেডি হয়ে ব্রেকফাস্ট না করেই বাসা থেকে বেরিয় পড়ল।


চলবে……..।