তুই আমার জানপাখি পর্ব-০৭

0
4032

তুই আমার জানপাখি
writer:Faria Siddique
Part 7

ln Bangladesh airport

স্রোত কাকে যেন কল করল।।তারপর চিল্লিয়ে বলে উঠল
Whatttttttttttttttttt(স্রোত)
স্রোত ঃআমি এক্ষুনি যাচ্ছি…টুকুর সাহস কি করে হয় ওর নিজের বাড়ি না গিয়ে ফ্রেন্ড এর বাড়ি যাওয়ার।।।।।।।।।।
airport এর বাহিরে স্রোতের জন্য কতগুলো গার্ড আর গাড়ি দারিয়ে আছে
স্রোত বিশালকে কল করে রুদ্রদের বাড়ির ঠিকানা জেনে নেয়।
স্রোত গাড়ি তে ওঠে আর বিশালকে বলে আমাকে কিছু না জানাতেদ।ভাইয়া আমাকে surprise দিবে।যতই আমার ওপর রেগে থাকুক ভাইয়া এখন আমাকে কিচ্ছু বলবে না। কারন আমি তো অসুস্থ।। হিহিহি।
স্রোত ঃখান ভিলাতে চল।
ড্রাইভারঃ ওকে স্যার…..
স্রোত ঃ আমার বোনটাকে আমি খুব ভালবাসি।ওর উপর আমি কোন বিপদ আসতে দিব না যতদিন আমি বেচে আছি।আমি আসছি টুকু। ততোর ভাইয়া আসছে।(কান্না করে)
স্রোত চোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকে অতীতএর কথা।হঠাৎ করেই আবার চোখ খুলে কান্না করতে করতে বলে
স্রোত ঃআমি আমার টুকুর ওপর ওই নুরে আলম সিদ্দিকীর আর পারভীন বেগমের কোন ছায়া পরতে দিব না।যাদের জন্যে আমাদের আজকে এই অবস্থা তাদের তো শাস্তি পেতেই হবে……(রাগে চোখ মুখ লাল করে)

In Siddique mension

নুরে আলম(আমাদের বাবা)ঃ কি বলছ কি!!!!!!!!!!(চিৎকার করে)
ছোট মিমি(বাবার ছোট বোন) কি ভাইয়া এভাবে চিল্লাচ্ছো কেন????????
বাবাঃ আমার কলিজাগুলা দেশে এসেছে।।।।।।।।(খুশি হয়ে)
ছোট মিমিঃ তাতে কি ওরা আমাদের কাউকে দেখতে পারে না।।।।।।
বাবাঃ তাতে কি আমি তো ওদের কে এখনও ভালবাসি।মা মা মা (চিল্লিয়ে).
দাদিমাঃ কি হয়েছে নুরু?????
বাবাঃ ফারিয়া আর স্রোত দেশে এসেছে।।।।।।
দাদিমাঃ কি বলছিস।।।।।।(খুশি হয়ে)
দাদাভাইঃ কারা এসেছে রে নুরু????
বাবাঃ আমার দুই কলিজার টুকরা এসেছে বাবা।।
দাদাভাইঃ কি দাদুভাইরা এসেছে।।।।(খুশি হয়ে কান্না করে)
বাবাঃ এবার আমি আর ওদের আমার কাছ থেকে যেতে দিব না।।।।আজ ১০ বছর পর আমি আমার কলিজাগুলারে দেখব।
এমন সময় আপিলা,জিজু আর মিমি(আমার বাবার বোন) আসল
আপিলাঃ মামা ফারিয়া এখনওআমাদের অনেক ঘৃণা করে। এখনও আমাদের সহ্য করতে পারে না।আর জানো আমার মনে হয় ফারিয়া আর কখনও আমাকে আপিলা বলে ডাকবে না।(কান্না করে)
বাবাঃ তুই জানলি কিভাবে যে ফারিয়া আমাদের ওপর রেগে আছে??????
তারপর আপিলা পার্টির সব ঘটনা বলে।
দাদিমাঃ আমাদের কলিজারা আমাদের ওপর এত রেগে আছে??(কান্না করে)
দাদাভাইঃ ১০বছর আগে আমি শুধু আমার দাদুভাইদের হারাই নি আমার ছোট ছেলেকেও হারিয়েছি।।। (মন খারাপ করে).
বাবাঃ আস্তে আস্তে সবাইকে ফিরিয়ে আনবই।।।।

In khan vila

ভাইয়া খান ভিলাতে আমাকে ডাকতে ডাকতে ঢুকল।
ভাইয়াঃ টুকু, টুকু (চিল্লিয়ে)

রুশা সোফায় বসে ছিল।আর নুডুলস খাচ্ছিলো। ভাইয়া দেখে দারিয়ে গেল এবং বলতে লাগল
রুশাঃ এই যে কে আপনি?????? আর এভাবে ষাড়ের মত চিল্লাচ্ছেন কেন?????
ভাইয়ার মেজাজ এমনিতেই খারাপ ছিল।তার ওপর আবার রুশার এসব কথা।ভাইয়ার মেজাজ তো out of Control হয়ে গেল।
ভাইয়াঃ ফারিয়া কোথায়??????
আমি তখন ঘুমাইয়া ছিলাম।
রুশাঃ কেন??আর কে আপনি????
ভাইয়াঃ আমি ফারিয়ার ভাইয়া।।।।(মেজাজ ঠান্ডা করার চেস্টা করে).
রুশাঃ ওওওওওওওওও
ভাইয়াঃএত ওও না করে তারাতারি বল আমার টুকু কোথায়???
রুশা কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুশার বাবা মা আসল।
রুশার বাবাঃ কে বাবা তুমি????
ভাইয়াঃ আমি ফারিয়ার ভাইয়া।।।।।।।।।।। আমার বোন কোথায়????????
রুশাঃএমন ভাবে বলছে যেন আমরা তার বোনকে খেয়ে ফেলেছি।।।।হু
রুশার মাঃ আহ রুশা চুপ থাক তো। বাবা তুমি বস।ফারিয়া ঘুমাচ্ছে।
রুশার মা চলে গেল ভাইয়ার জন্য নাস্তা বানাতে।এমন সময় বিশাল আর জন নামল।
ভাইয়াঃটুকুকে বল সব কিছু গুছিয়ে নিতে আর তোরা ওগুছা।আমরা আজকেই বাড়িতে যাব।
বিশাল আর জন কোন কথা বলল না।।।।।।।।
কারন তারা জানে ভাইয়া প্রচুর রেগে আছে।

চলবে………..