তুই আমার জানপাখি
writer:Faria Siddique
Part :6
In London
ছোট আব্বুঃ কিরে স্রোত কি হয়েছে????আর কোথায় যাচ্ছিস????
ছোট মাঃ আমাদের বল বাবা কি হয়েছে????আর এভাবে কাদছিস কেন???
স্রোত ঃআমি বাংলাদেশে যাচ্ছি।। আর এখন কিছু বলার সময় নাই।আমি গিয়ে সবকিছু জানাবো।
এই বলে বেরিয়ে গেল।
বাহিরে স্রোত এর জন্য গাড়ি আর কতগুলা গার্ড অপেক্ষা করছে।
তারপর স্রোত বাংলাদেশ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
In hospital
I see তাই ও মিমকে দেখে এমন react করল।আচ্ছা বিশাল তুমি ফারিয়া কে বলবা না যে আমি তার অতীত জানি।আর রুশা,মা বাবা কে কিছু বলার দরকার নাই।।।(রুদ্র)
রুদ্রঃ তোমার সব কস্ট দূর করে দিব জানপাখি। আজ থেকে তুমি আমার romantic টর্চার দেখবা।#তুইআমারজানপাখি।(মনে মনে বাকা হেসে)
বিশালঃ ঠিকাছে ভাইয়া।আর আপনার কাছে আমার অনুরোধ আমার জানু টাকে normal life এ নিয়ে আসবেন প্লিজ।
রুদ্রঃতোমার জানুর দায়িত্ব আজ থেকে আমি নিলাম।
বিশাল ঃ আর ভাইয়া ওর মাথায় যখন খুব বেশি চাপ পরে তখন ওঅজ্ঞান হয়ে যায় আর নাক দিয়ে রক্ত পরে।
রুদ্রঃ তোমার জানু আজ থেকে আমার জানপাখি।
এমন সময় doctor আসল
Doctor:ফারিয়ার বাড়ির লোক কে আছেন????
রুদ্র,বিশাল আর জনঃ আমরা……..
doctor:আপনারা ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।।।।কিন্তু খেয়াল রাখবেন যাতে বেশি স্ট্রেস না নেয়..যদি বেশি চাপ পরে মাথার উপর তাহলে সমস্যা হবে..৷৷
রুদ্রঃওকে doctor আমরা খেয়াল রাখব।
বিশাল আর জন আমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে রুদ্র আর তার পরিবার বাধা দেয়।।।।।
আমিও বাধা দেই।
আমিঃ আমি যাব না। আমার ভাইয়া আসবে।আমি আমার বাড়িতে যাব।বিশাল জন প্লিজ আমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যা।।।
রুদ্রঃ i say shut upppppp…(চিল্লিয়ে)
রুদ্র র ধমক শুনে আমি আর কোন কথা বললাম না।
তোমরা তিনজন আমার বাড়িতে থাকবে।আর তোমার ভাই ও আমাদের বাড়িতেই আসবে……….বুঝেছ(রুদ্র)
আমিঃ আমার জন্য এত কেন করছেন??????
রুদ্রঃতোমার জন্য করব না তো কার জন্য করব????(আমার কানের কাছে এসে আস্তে করে বলে)
আমি কেপে ওঠলাম।।।।।।
রুদ্র আমাকে কোলে নিল।সবাই মুখ টিপে টিপে হাসতাছে।
আমিঃআমাকে নামান প্লিজ।।।
রুদ্রঃ চুপ থাকবে নাকি ফেলে দিব?????
আমিঃ না না ফেলবেন না প্লিজ।।।।। আমার এখনও বিয়ে হয় নি আমার ১২ টা বাচ্চা নেয়ার শখ।আমারে ফেলে দিলে আমার জামাই বিধবা হয়ে যাবে।।।।।আমার বাচ্চারা এতিম হইয়া যাইব।।।।।।আয়ায়ায়ায়া(নেকা কান্না করে)
রুদ্র কাদবে না হাসবে কিছুই বুঝতে পারতাছে না।।।।।।।।
বিশাল আর জন হাসতে হাসতে শেষ।।।।
রুদ্র আর কোন কথা না বলে আমাকে কোলে নিয়ে গাড়ি তে বসাল।
In khan bhil
রুদ্রঃফারিয়া আর বিশাল জন উপরে থাকবে আমার আর রুশার রুমের সাথে
রুদ্রের বাবাঃরুদ্র কি বলছ????? ও সিরি দিয়ে ওঠবে কি করে ও যা weak…..
রুদ্রঃ বাবা তুমি টেনশান কর না।।।
রুশাঃ হুম, বাবা ভাইয়া আছে না।।।।।কোলে করে নামাবে ফারিকে।।।।কি তাই না ভাইয়া?????????
রুদ্রঃ বেশি বলছিস না????
বিশালঃ আমরা আছি তো।।। চিন্তা করার কিছু নাই।।।।।।।।।।
আমি নিরব দর্শকের মত সব কিছু শুনছি।।।।।।।।।
আমিঃআমি কি বলছিলাম যে………
আর বলতে পারল না রুদ্র থামিয়ে দিয়ে বলল।
রুদ্রঃ এখানে তোমার কোন কথা বলার দরকার নাই।
আমি রেগে গেলাম
আমিঃআপনি কিন্তু বেশি করছেন…………..
আর কিছু বলতে পারলাম না তার আগেই রুদ্রর রক্ত লালাবরন চোখ দেখে ভয় পেয়ে গেল।।
আমি চুপ হয়ে গেলাম।
রুদ্রঃ আজ থেকে আমি যা বলব তাই হবে।।।।আর কোন কথা আমি শুনব না।
বিশাল আর জনঃ ভাইয়া যা বলছে তা মেনে নে না জানু।কেন জেদ করছিস????
রুদ্রঃ সরি জানপাখি তোমার জীবনের সব দু:খ মুছে দিতে আমাকে এসব কিছু করতে হচ্ছে।(মনে মনে)
রুদ্র আর কোন কথা না বলে আমাকে কোলে নিয়ে আমার রুমে চলে আসল।
আর আসার সময় তার মাকে বলে আসছে খাবার রেডি করার জন্য।।।।
রুদ্রের মাঃ এই মেয়েটাই পারবে আমার ছেলেকে খুশি রাখতে।।।।।।
রুদ্রের বাবাঃ এই প্রথম আমার ছেলে কোন মেয়েকে এভাবে কেয়ার করছে।।।।।
রুদ্রের মাঃ ফারিয়ার পরিবারের সাথে কথা বললে হত না???
রুদ্রের বাবাঃ আচ্ছা ফারিয়া যদি মিমের মামাতো বোন হয় তাহলে তো ও শিল্পপতি নুরে আলম এর মেয়ে………….
কিন্তু ও মিমের সাথে এমন করল কেন???????
চলবে…………
