তুই আমার জানপাখি পর্ব-০৯

0
3868

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 9

সবাই আমার কেবিনে আসল।
ভাইয়া আর রুদ্র আমার দিকে রাগি চোখ এ তাকিয়ে আছে।
আমি কিছুটা ভয় পেয়ে বাচ্চা দের মতো ফেইস করে শুয়ে আছি।
ভাইয়াঃ এসব কি ফারিয়া!!!!!!
আমি,বিশাল আর জন অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
কারন ভাইয়া যখন প্রচুর রেগে যায় তখন আমাকে ফারিয়া বলে ডাকে।।।।
আমি কান্না করে দিলাম।
কারন আমি সব সহ্য করতে পারি কিন্তু ভাইয়ার আমার ওপর রেগে থাকা সহ্য করতে পারি না।।।।।
আমার কান্না দেখে ভাইয়া আর রাগ করে থাকতে পারল না।।।
ভাইয়াঃ টুকু প্লিজ কাদিস না।।।।।
আমি যে তোর কান্না সহ্য করতে পারি না।।।এই বলে ভাইয়া ও কান্না করে দেয়।।।
আমাদের এই ভালবাসা দেখে সবাই খুশি হয়।।৷
আর ভাইয়ার রাগ কমতেই শুরু হয় আমার বায়না।
আমিঃ ভাইয়া আমি চকলেট খাব।।।।
ভাইয়াঃ একদম না।।।।।
আমিঃ ভাইয়া প্লিজ।।।।
ভাইয়াঃওকে।। লাস্ট বার।।
আমিঃ ওকে ভাইয়া।।
ভাইয়া চকলেট আনতে চলে গেল।
রুদ্র ইশারা পেয়ে সবাই কেবিন থেকে চলে গেল।
আমি ভয় পেয়ে চুপ করে বসে আছি।
রুদ্র এসে আমার কাছে বসল।।
রুদ্রঃকেন আমাকে এত কস্ট দাও বল তো?????
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।।।।
আমিঃ আমি আবার আপনাকে কি কস্ট দিলাম?????
এবার রুদ্র রেগে গেল।
রুদ্রঃতুমি কি বুঝ না যে আমি তোমাকে ভালবাসি??????
আমি এবার রেগে গেলাম।।।।।
আমিঃ আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন???আমি আপনাকে কখনও ভালবাসব না।।।।।।
রুদ্র কোনমতে নিজেকে শান্ত করে আমাকে জিজ্ঞাসা করল কেন…..
আমিঃবলব কেন আপনাকে???
রুদ্র আর নিজেকে সামলাতে পারল না।।।
আমার দুই বাহু শক্ত করে ধরে রেগে বলে উঠল
রুদ্রঃ তুই চাস বা না চাস তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না।।।।।তুই আমাকে ভালবাসা লাগবে না আমি একাই তোকে ভালবাসব।না চাইলেও তুই আমার।। #তুইআমারজানপাখি
কথা গুলা শুনে আমি ভে ভে করে কেদে দিলাম আর বললাম
আমিঃ আমার কতো ইচ্ছা ছিল একটা মাফিয়ার সাথে প্রেম করব।।।।।।।।
বলেই আবার কেদে দিলাম।।।
রুদ্র বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে।।।।।
তারপর হেসে দিল
আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি।।
তারপর আমার দুই গালে হাত রেখে বলল
রুদ্রঃ তোমার এই ইচ্ছাটা আমি পুরন করব।।।।।।।।
তারপর আমার কপালে পাপ্পি দিয়ে চলে গেল।।।।
আমি তখন ও ফ্রিজ হয়ে বসে আছি।।।।।
আড়াল থেকে ভাইয়া সব দেখল।।।।
ভাইয়াঃ আমার আর কোন চিন্তা রইল না।।।।।।আমাকে একবার রুদ্রের সাথে কথা বলতে হবে।।।।।।
রুদ্র চলে যাচ্ছিল
ভাইয়াঃএই যে আমার কুত্তা।।।।।।। (চিল্লিয়ে)
রুদ্র হঠাৎ থেমে গেল।।।।।রুশা,রুশার মা,বাবাও অবাক হয়ে গেল।।।।
রুদ্র পিছনে না ফিরে কান্না করতে করতে হাসতে লাগল।।।।।
রুদ্রঃ আজ ১০ বছর পর এই ডাকটা শুনলাম।।।।।।।
রুদ্র আর দেরি না করে ভাইয়াকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল।।।।।
তারা কথা বলতে যাবে এমন সময় বাবা,দাদাভাই আর দাদিমা আসল।

In America

অজানাঃ আর কতদিন আমাকে এসব কস্ট ভোগ করতে হবে??????
অন্যজনঃ তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।।।।।
অজানাঃ আর কবে ঠিক হবে???
অন্যজনঃ…………..
অজানাঃ১০ বছর আমি আমার পাপের শাস্তি ভোগ করছি।।।।।আর কতদিন আমাকে এসব সইতে হবে????আমি যে আর পারছি না…(কান্না করে)

In Hospital

বাবাঃ আমার মেয়ে কোথায়?????
ভাইয়ার কাছে গিয়ে কান্না করে বলে।।।।
ভাইয়াকে দেখে সবার ভয় করতে লাগল।।।।
রুদ্র বুঝতে পেরে ভাইয়ার কাছে গেল আর ভাইয়ার কাধে হাত রাখল
ভাইয়াঃ রুদ্র এনাকে চলে যেতে বল(রেগে চিল্লিয়ে)
ভাইয়া বাবাকে দেখতে না পারলেও দাদিমা আর দাদাভাইকে খুবি ভালবাসে
দাদিমা এসে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগল

চলবে……….