তুই আমার জানপাখি পর্ব-১০

0
3733

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 10

দাদিমা এসে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরল।।।।।।
দাদিমা:আমার ফারিয়াকে ফিরিয়ে দে।।(কান্না করতে করতে)
দাদাভাই এসে দাদিমাকে ছাড়িয়ে নিল।।।।
দাদাভাইঃশান্ত হয়।।।।।।।।আমাদের ফারিয়া ঠিক হয়ে যাবে।।।।।।
ভাইয়াঃকি আমাদের ফারিয়া আমাদের ফারিয়া বলতাছো।ও শুধু আমার বোন আর তোমাদের কারোর কিছু না।।।(চিল্লিয়ে)
রুদ্রঃ ফারদিন শান্ত হ।।।।।।এতো চিল্লাফাল্লা করিস না।।।।।।।।
ভাইয়াঃওই লোকটা(বাবা) কে চলে যেতে বল।।ওনাকে আমি সহ্য করতে পারছি না।।।।।।
রুশাঃ আপনার সমস্যা কি হা????ওনি ওনার মেয়েকে দেখতে আসছে তাতে আপনার কি??????
ভাইয়াঃ এই মেয়ে তুমি যদি আমার হাতে থাপ্পর খেতে না চাও তাহলে ওখানে চুপচাপ দারিয়ে থাক।।।।(রেগে)
রুদ্রঃ রুশা চুপ কর।।।।।(ধমক দিয়ে)
রুদ্র এবার তার মা আর বাবার কাছে গেল।।।
রুদ্রঃ মা বাবা তোমরা এবার বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নাও।।।।।।সারাদিন তো কিচ্ছু খাও নাই।।।
রুদ্রের মাঃঠিকাছে বাবা।।। আমি গিয়ে তোদের জন্য খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি।।।।
রুদ্রের মা বাবা চলে গেল।।।।
রুশা গেল না।।কারন ওর আরও কিছুক্ষণ স্রষ্টা কে জ্বলাতে ইচ্ছা করছে।।।।।
বাবাঃ আমি আমার মেয়েকে না দেখে যাব না।।।।।।।
ভাইয়াঃo really mr.Siddique…. আপনার মেয়ে!!!!তা ১০ বছর আগে কোথায় ছিল এই ভালবাসা??????(রেগে)
বাবা চুপ হয়ে গেল।।।।।।
দাদাভাইঃ দয়া করে চুপ কর।।।।।আমি আর তোমাদের কোথায় যেতে দিব না স্রোত।।।।। (কড়া সুরে)
ভাইয়াঃ তুমি চাও বা না চাও আমার বোনকে আমি কোথায় যেতে দিব না।।।।আর ও নিজেই তোমাদের সাথে যাবে না।।।।।
চেচামেচিতে আমার ঘুম ভেঙে গেল।।।।।।
নার্সঃ ও আপনি ওঠে গেছেন।।।।।
আমিঃ হুম।।। (হাল্কা হেসে)
নার্স ও হাসল।
আমিঃ আমার ভাইয়াকে একটু ডেকে দিবেন?????
নার্সঃঅবশ্যই।।
নার্স গিয়ে ভাইয়াকে ডেকে দিল।।।।।
ভাইয়া এসে আমাকে আদর করল তারপর কথা বলে চলে গেল।।।।।
ভাইয়া যাওয়ার পরই রুদ্র এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।।।।
আমি পুরাই ফ্রিজ হয়ে গেলাম।।।।
তারপর কিছু না বলে চলে গেল।।।
তারপর দেখলাম আমার বাবা, দাদিমা,দাদাভাই আমার কেবিনে আসল।।
ওদের দেখেই আমি রেগে গেলাম।।।
জোরে জোরে ভাইয়া বলে চিল্লাতে লাগলাম।।।
আমার চিল্লানি শুনে সবাই আসল।।।
আমিঃ ভাইয়া এরা এখানে কেন???( চিল্লিয়ে)
অনেক বেশি চিল্লানোর কারনে আমার মাথা দিয়ে রক্ত পরতে লাগল।।।।।
ভাইয়াঃ টুকু উউউউউউউউউ
রুদ্র ডক্টর ডক্টর বলে চিল্লাতে লাগল।।।।।
ডক্টর তারাতারি আসল।।।।।
ডক্টর ঃ o no……প্লিজ আপনারা সবাই যান।।।।।ওকে এভাবে উত্তেজিত করবেন না।।।প্লিজ।।।।
ডক্টর আমাকে আবার ব্যান্ডেজ করে দিয়ে চলে গেলেন।।।।।।
বাবা,দাদিমা,দাদাভাই ও কান্না করতে করতে চলে গেলেন।।
সবাই চলে গেলে রুদ্র আসল।।।।।।
রুদ্রঃ এভাবে না চিল্লালে তোমার হচ্ছিল না(রেগে)
আমি কিছু বল্লাম না।।।।শুধু চোখ বন্ধ করে চুপ করে থাকলাম।।।।।।।
রুদ্রঃ জানপাখি তুমি কেন এমন কর বলত।।।আমি যে তোমার এই কস্ট দেখতে পারছি না।।।
কথাটা বলেই চলে গেল।।।।।।
আমি কিছু বললাম না চুপ করে কান্না করলাম

২ দিন পর

আজকে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিল।।।।
ভাইয়া,আমি,বিশাল,জন আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম।।।
রুদ্র,তার মা বাবা,রুশা অনেক করে বলেছিল তাদের এখানে যেতে কিন্তু ভাইয়া রাজি হয় নাই।।।।।
কিন্তু রুদ্রের মা আমাকে সেবা করার জন্য রুশা কে আমাদের এখানে পাঠিয়ে দিল।।
ভাইয়া না করেছিল কিন্তু কোন লাভ হয় নাই।।।।
রুদ্র আমার ওপর রাগ করে আছে তাই আমার সাথে কথা বলে না।।।।।
না বল্লে আমার কি আমার কিছু যায় আসে নাকি।।।।।
আমি ও কথা বলতে চাই নাই।।।।।।
বাসায় আসার পর থেকে রুদ্রের জন্য খারাপ লাগতে শুরু করল।।।কিন্ত ওই যে আমার রাগ।।।রাগের কারনে আর খারাপ লাগাটাকে পাত্তা দিলাম না।।।।
রুশা আমার অনেক খেয়াল রাখতে লাগল।।
আসার পর থেকে আমার খাওয়া দাওয়া সব কিছুর খেয়াল রাখতে লাগল।।।সাথে আমার ভাইয়াকে প্রচুর পরিমাণে জ্বলাতে লাগল।।।।।
রাতে খাটে শুয়ে আছি এমন সময় ভাইয়া আসল।।।।
ভাইয়াঃ টুকু কি করছিস????
আমিঃ কিছু না ভাইয়া।।।
ভাইয়াঃ তোর সাথে একটু কথা ছিল।।।।
রুশাঃ হা ভাইয়া বল…..
ভাইয়াঃ রুশা মেয়েটাকে এবার বাড়িতে চলে যেতে বল।।আমি আর ওকে সহ্য করতে পারছি না।।
আমি অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।।।।
আমিঃ কেন???ও কি এমন করেছে যার জন্য এভাবে বলছিস?????
ভাইয়াঃচলে যেতে বলেছি চলে যাবে আর কোন কথা শুনতে চাই না।।।।।
এই বলে ভাইয়া চলে গেল।।।।
আমার ভয় হতে লাগল কারন রুশা ওয়াশরুম এ ছিল আর সব শুনেছে।।।।।

ln America

অজানাঃঅনেক হয়েছে আর না।।।।এবার আমি আর ওদের থেকে আলাদা থাকব না।।।।আমি আসছি।।।।।(কান্না করে)

চলবে……………