তুই হবি আমার পর্ব-১৮

0
1894

#তুই_হবি_আমার??
#DîYã_MôÑî
#পর্ব__১৮

গাড়ির পাশে তীব্র রোদে ঠোট ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে সাদিয়া। রাগে শরীর রি রি করছে ওর। সুমিও এসে ওর পাশে দাড়ালো।

সুমি : এভাবে বাচ্চাদের মতো রাগ করে চলে এলি কেন.? সবাই কি ভাবলো.?

সাদিয়া : কে কি ভাবলো না ভাবলো তা নিয়ে কোনো কালেই আমার মাথা ব্যাথা ছিলো না। ওর কত্ত বড় সাহস আমার কাছ থেকে আমার পছন্দের জিনিস ছিনিয়ে নিলো। ওই মেঘরোদ্দুরই আমার ব্যাগ নিয়ে কিছু করছে। ওকে তো।

সুমি : এতো হাইপার হোস না। সবাই সন্দেহ করবে। সামান্য একটা শাড়িই তো। চল অন্য শাড়ি পছন্দ করি।

সাদিয়া : লাইফে প্রথম কোনো শাড়ি পছন্দ করলাম তাও নিতে দিলো না। সবই তো দিয়ে দিসি,, অন্ততো ভদ্রতার খাতিরে শাড়িটা দিতো আমাকে। লোভির দল। সব চাই ওদের। মনে চাচ্ছে ওদের পানি ছাড়া গিলে ফেলি।

সুমি : আরীব ঠিকই বলে ডাইনি।
সাদিয়া: ওই কি বললা তুমি.? ডাইনি.? কে ডাইনি? আমাকে ডাইনি বললে তুমি.?

সুমি : কেলো করেছে,,, কই না তো। মেঘের বউকে ডাইনি বলেছি।

সাদিয়া : ঠিক করেছো।।। আরো বলো ওই আপুটাকে। ডাইনি, চুরেল, শয়তান্নি, মেয়ে হনুমান।
সুমি : আচ্ছা। এবার তো ভেতরে চল।

সাদিয়া : হুহ। চলো যাই।

সাদিয়া ভেতরে ঢুকতেই মেঘ বেরিয়ে গেলো। কিছুক্ষন পর নুরিনকে নিয়ে ফিরে আসলো। কুহু নুরিনকে দেখে বেশ অবাক হয়। হঠাৎ নুরিন এখানে..?

মেঘ : জান তুমি কি কি কিনবে বলেছিলে না.? নাও কেনো। সমস্যা নাই বিল আমি পে করে দিবো।

নুরিনের চোখ সাদিয়ার দিকে। একে তো মেঘ ইমার্জেন্সি বলে ডেকে আনলো তারওপর সাদিয়াকে দেখে কথা বলার শক্তিও চলে গেছে ওর। আর এখন মেঘের উদ্ভট কথা।

নুরিন : আমি কখন কি কিনতে চেয়েছি।।আর রোজ তুমি.?

সাদিয়া : রোজ না আমি সাদিয়া। এখন কি কপালে নাম লিখে নিয়ে বের হতে হবে.? রোজ রোজ করে মাথা খেয়ে নিলো সবাই। বালের রোজ।

নুরিন : বালের রোজ.? মেঘ ও এমন করছে কেন.? রেগে যাচ্ছে কেন.? কি হয়েছে।

সাদিয়া : আমার মাথা আমার নাক, চোখ মুখ, ইচ্ছা আমি রাগবো নাকি হাসবো সেটা আমার ব্যাপার তুমি তোমার কাজ নিয়ে থাকো আপু। এই আরীব চলো আমরা অন্য কোথাও যাই। প্রচন্ড ভীর এখানে।

আরীব হা করে সাদিয়া দেখছে। সাদিয়া রাগে দুহাত কচলাচ্ছে। আর সাপের মতো ফনা তুলে কথা বলছে।

সাদিয়া : ওই আরীব চলো। নাকি তুলে নিয়ে যেতে হবে।
আরীব : হ্যা হ্যা চলো। জানু তুমিও আসো।

ওরা চলে যেতেই মেঘ জোরে জোরে হেসে দিলো। কুহু আর নুরিন এখনো বোকার মতো মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে।

কুহু : হাসছিস কেন.? আর নুরিনই বা এখানে কেন.?

নুরিন : সেটাই তো এখানে এসে এতো ঝারি শুনতে হবে আগে ভাবি নি। সিম্পল একটা কথা বলেছি তাতেই রোজ এতো উত্তেজিত হলো। বাবাহ।

মেঘ : হাসছি রোজের জেলাসি দেখে। দেখলি না কিভাবে ফোসতে ফোসতে চলে গেলো। এখন থেকে এটাই ওর মেডিসিন। কতদিন আর সহ্য করবে.? এভাবে চলতে থাকলে নিজেই এসে নিজের আসল পরিচয় দেবে।

কুহু : ঊফ আমাকে ভয় পাইয়ে দিসিলি একেবারে। এভাবে জান ডাকে কেউ। আমি তো ভাবছি সত্যি সত্যি নুরিনের সাথে তোরর।

নুরিন : ইশশ আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগে। আমার জামাই এগুলো জানলে আমি শেষ। সবসময় আমাকে ফাসাও কেন মেঘ। দুনিয়ায় কি মেয়ের অভাব পড়ছে.?

মেঘ : রোজ তো তোমাকেই চেনে। আর তুমি ছাড়া আমার এই দুর্দিনে কে সাহায্য করবে জান.? প্লিজ নাটকটা চালিয়ে যাও।

নুরিন : আচ্ছা ঠিক আছে রে বাবা। কিন্তু জ্বালাতে গিয়ে না নিজে জ্বলে যাও,, সেদিকে খেয়াল রেখো।

মেঘ : এখন কি কম জ্বলতেছি.? ঠিক করেছি নিজেও জ্বলবো ওকেও জ্বালাবো। ইট্স কল রিভেঞ্জ।


কয়েকটা ড্রেস নিয়ে ট্রায়েলরুমে ঢুকেছে সাদিয়া। আরীব আর সুমি বাইরে পাইচারি করছে।
সাদিয়া : আহা জান,,, আমার সামনে রুমের মধ্যে ইয়ে করছে তাও মেনে নিলাম। সেদিন নাটক করলো আজ সকালেও নাটক করলো আর এখন জান নিয়ে আসছে। দুমুখো সাপ কোথাকার। আমার ব্যাগটা তুই সড়িয়েছিস আমি জানি। কিন্তু কখন কি করলি,,, পাক্কা চোর। চুরির টাকায় বউরে জিনিস কিনে দেয়। মনে চাচ্ছে দেওয়ালের সাথে তোর মাথা ঠুকে দেই। বজ্জাত।

আরীব : সেই কখন ঢুকেছে এখনো বের হচ্ছে না কেন জানু.?
সুমি : কি জানি.? ৫-৬টা ড্রেস দেখতে তো এতো টাইম লাগার কথা না। তোমার সমস্যা হলে তুমি যেতে পারো। আমি থাকছি এখানে।

আরীব : হ্যা। আসলে ওদের শপিং এর কি অবস্থা সেটা দেখতে যেতাম আর কি।
সুমি : যাও তুমি।

আরীব চলে যেতেই সুমি দরজা নক করতে লাগলো,,
সুমি : বেবি এবার তো বের হ। একঘন্টা হয়ে গেলো এখনো কি হয়নি তোর.? এতো টাইম নিয়ে কি করছিস ভেতরে।

খট করে দরজা খুলে ড্রেসগুলো সুমির হাতে ধরিয়ে দিলো। ড্রেসগুলো যেমন ছিলো তেমনই আছে। একটা ভাজও ভাঙেনি।
সাদিয়া : মশা মারতেছিলাম। মশা মারার জন্যই তো দেশে ফিরছি। যত্তসব নটাংকবাজ।

সুমি : মেঘের কথা বলছিস.?
সাদিয়া : না। ওর কথা কেন বলবো। এই তোমার আর কোনো কাজ নেই। যাও তো নিজের কাজে যাও।

সুমি : আমার ওপর রাগ দেখাচ্ছিস কেন.? আমি কি করলাম.?
সাদিয়া : তোমরা তো কেউ কিছু করো না। সব আমি করি আমিই তো খারাপ। তাই কেউ আমাকে ভালোবাসতে পারেনা।

সুমি : বুঝলাম।
সাদিয়া ভ্রু কুচকে সুমির দিকে তাকিয়ে বললো,,
সাদিয়া : ককি? ববুঝেছো.?

সুমি : বুঝলাম এই সাইজের জামা তোর জন্য সুট করবে না। এগুলো তো একটু মোটা মানুষদের জামা। তাইনা.?
সাদিয়া : হ্যা ঠিক।

সাদিয়ার কথায় ভ্রু নাচালো সুমি। তারপর হাসতে হাসতে চলে গেলো ওখান থেকে। সাদিয়াও কাউকে কিছু না বলে গাড়িয়ে এসে চুপচাপ বসে রইলো।


মেঘরা বসে কফি খাচ্ছে ঠিক সে সময় সুমি আসলো। সুমির পাশে সাদিয়াকে না দেখে মেঘ এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। সুমি মুচকি হেসে বললো,

সুমি : সাদিয়া আসে নি।
আরীব : সেকি কেন.? কোথায় আছে ও.?

সুমি : আছে কোথাও। চিন্তা করো না। বলছি তোমাদের শাড়ি কেনা শেষ তো? ল্যাহেঙ্গা কিনবে না.?

কুহু : হুম কফি খেয়ে ল্যাহেঙ্গার শপে যাবো। তুমি কি খাবে কোল্ড, ব্লাক অরর

সুমি : কোল্ড কফি। যা গরম পড়েছে। দাড়াও সাদিয়াকে কল করি,, কোথায় আছে জেনে নেই।

দুইবার রিং হলো কিন্তু কল রিসিভ করলো না সাদিয়া। তিনবারের বার রিসিভ করতেই সুমি বলে উঠলো
— এই ফোন ধরছিলি না কেন কোথায় আছিস তুই.?
— সুম্পি একটা কাজের জন্য #MR কলেজের ওখানে এসেছি। আরীবের গাড়িটা নিয়ে এসেছি। ওকে জানিয়ে দিও আর হ্যা দুইঘন্টার মধ্যে আমার খোজ করার প্রয়োজন নেই। আমি দুইঘন্টা পর চলে আসবো। টেক কেয়ার।
— হ্যা কিন্তুতু। ফোন কেটে দিলো। উফ এই মেয়েটাও না।

কুহু : কি বললো.?
সুমি : একটা কাজে গেছে। দুইঘন্টা পর চলে আসবে।

আরীব : এখানে ওর কি কাজ.? ও তো এখানের কোনোকিছুই ঠিক করে চেনে না। ও কোথায় আছে..?

সুমি : তা তো জানি না। যাক বাদ দাও। ও যখন বলেছে দুইঘন্টা পর আসবে তখন আসবেই। চলো আমরা ল্যাহেঙ্গা কিনি। পিংক ল্যাহেঙ্গা রাইট.?

কুহু : হুম।
মেঘ : বলছি আমার না একটা কাজ আছে। ভুলে গেছিলাম এতো চাপের মধ্যে। আমাকেও এখন যেতে হবে। তোমরা থাকো। টাটা

মেঘ উঠে চলে যেতেই আরীবও রেগে বেরিয়ে গেলো।
কুহু : এদের নিয়ে আর পারি না। আমার কপালেই এমন ঘাড়ত্যারা বন্ধু আর ভাই লিখা ছিলো.? এদের চেয়ে আরাভ আয়াশ শতগুনে ভালো। চেঞ্জ করার উপায় থাকলে আগে এইদুটোকে চেঞ্জ করতাম। বদমাইশ।

নুরিন : সবাই তো চলে গেলো। কুহু চলো আমরা নিজেরাই কেনাকাটা করি। ওদের আশা বাদ দাও।

সুমি : হ্যা চলো।


সাদিয়া কলেজে এসে সোজা প্রিন্সিপাল স্যারের কেবিনে ঢুকলো। প্রিন্সিপাল স্যার সাদিয়াকে দেখে খানিকটা অবাক হয়,, এসময় ও এখানে কেন.?

স্যার : কিছু বলবে মামনি.?
সাদিয়া : এক্চুয়ালি আংকেল আমার কিছু ইনফর্মেশন প্রয়োজন। এই কলেজের স্টুডেন্টদের ওপর একটা আর্টিকেল লিখবো ভাবছি।

স্যার : হঠাৎ..?
সাদিয়া : ইন্ডিয়া থেকে ফিরে যখন গাড়িতে এই কলেজের নাম শুনলাম তখনই ভেবে নিয়েছিলাম। সুযোগ পাইনি বলার। তাই আজ বললাম।

স্যার : কি ইনফর্মেশন.?
সাদিয়া : আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। পিয়ন আংকেলকে বলে দিন আমি যা চাইবো আমাকে যেন তা একটু জোগাড় করে দেয়।

স্যার : ঠিক আছে। তুমি যাও আমি পিয়নকে সব বলে তোমার কাছে পাঠাচ্ছি।
সাদিয়া : অকে।

সাদিয়া উঠে দরজার কাছে যেতেই স্যার আবার সাদিয়াকে ডাকলো,,
স্যার : রোজ শোনো
সাদিয়া : জি। ( সাদিয়া স্যারের দিকে তাকাতেই দেখলো স্যার হাসছে। ভয়ে কথা ঘোরানোর জন্য বললো ) স্যার এই রোজ নামের মেয়েটার ডিটেইলস টাও একটু লাগবে। দিতে পারবেন.?

স্যার : পিয়ন দিয়ে দিবে। তুমি এবার আসতে পারো মামনি।

সাদিয়া কেবিন থেকে বের হয়েই দেওয়ালে জোরে একটা ঘুসি দিলো।
সাদিয়া : বুলসিট। স্যার কি কিছু আন্দাজ করেছে.? হয়তো নাহলে হঠাৎ রোজ বলে ডাকবে কেন.? আমিও না ডাফার একটা পুরোনো অভ্যাস এখনো ত্যাগ করতে পারলাম না। উফ সাদিয়া টেক এ ডিপ ব্রেথ ইউ উইল ম্যানেজ ইট।


সাদিয়ার কথামতো পিয়ন গত ৭মাসের ফুটেজ দিলো ওকে। সাথে কিছু প্রশ্নের উত্তর। এদিকে মেঘও সাদিয়ার কল ট্রাক করে কলেজে চলে এসেছে।

সাদিয়া : আরীব আমাকে নিয়ে অনেককিছু ভেবে ফেলেছে। আর কাউকে না হলেও আরীবকে সব সত্যিটা জানানো উচিত আমার। হয়তো আমার এই কাজে ও আমাকে সাহায্য করতে পারে। রওশন ভাইয়াকে দেখলাম মনে হলো,, যাক সবার লাইফ সেটেল হয়ে গেছে ওটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। কিন্তু এই #গ্যাংস্টার_মিস্ট্রি আমি সবার সামনে অপেন করবোই। কে আছে এর পেছনে যে আমার মেঘরোদ্দুরের ক্ষতি চায় আমার দাভাইকে কিনতে চায়.?

মেঘ : এই যে মিস একা একা আনমনে হাটছেন হোচট খেয়ে পড়ে যাবেন তো।

মেঘের গলা শুনে পেছন ফিরে তাকালো সাদিয়া। তারপর রাগি গলায় বললো…

সাদিয়া : তাতে আপনার কি.? আর আপনি এখানে কেন.? ফলো করছেন নাকি আমাকে.?

মেঘ : আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছে এটা আমার বাবার কলেজ। সো আমি যখন ইচ্ছা এখানে আসতে পারি। আপনি একথা বলার কে.? হ্যা.?

সাদিয়া : নোবডি। বাই।
মেঘ : আরে শুনুন। আপনার কপালের তিলটা কিন্তু অনেক সুন্দর। নজরটিকার মতো

সাদিয়া : ধন্যবাদ। আর এভাবে গায়ে পড়ে কথা না বললেই খুশি হবো।

মেঘ : গায়ে কখন পড়লাম.? কথা বলছি তাতেই এতো তেজ,, আপনার গায়ের ওপর পড়লে না জানি কি সুনামি ডেকে আনেন।

সাদিয়া : ঠিক। কথাটা মাথায় রাখবেন।
মেঘ : কিসে করে রাখবো.? আপনি একটু রেখে দিন।

সাদিয়া : মেজাজ গরম করবেন না একদম। যান নিজের কাজে যান।
মেঘ : নিজের কাজই তো করছি। আর আপনি এখানে কি করছেন.?

সাদিয়া : আমি,, আমি তো টিম বানানোর জন্য কিছু স্টুডেন্ট খুজছিলাম। আসলে কোরাসের জন্য কিছু মেমবার লাগবে। তাই এসেছি।

মেঘ : তাই.?
সাদিয়া : ততাছাড়া ককি.? অকে বাই আমাকে যেতে হবে।

মেঘ : সবাই বাড়ি চলে গেছে। শপিং শেষ। আর এটা আপনার জন্য। নিজের পছন্দের জিনিস সবসময় স্যাক্রিফাইজ করতে হয়না। আর কিছু জিনিসের ওপর অধিকার চেয়ে নিতে নয় ছিনিয়ে নিতে হয়। তবে একটা কথা বলতেই হয় আপনার চয়েজ খুব একটা মন্দ না। ঠিক আমার মনের মতো।

সাদিয়ার হাতে শাড়ির প্যাকেট ধরিয়ে পেছন ঘুরে হাটা শুরু করলো মেঘ। সাদিয়া শাড়িটা এনে গাড়ির ভেতর ছুড়ে মারলো।

সাদিয়া : তোমাকে তো পরে দেখে নিবো আগে আপিলার মমকে শাস্তি দিবো। আমার আম্মুকে মারার শাস্তি। আর কুশান চৌধুরি কি বলবো আপনার সম্পর্কে.? সম্পর্কে আপনি আমার বাবা হন কিন্তু কর্মে একজন মালিক। এমন বাবা আপনি যে আমাকে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে মেন্টাল টর্চার করেছেন। আপনার করা প্রতিটা কাজ আমার আমার ডায়েরির স্বৃতি হয়ে আছে। জানেন আপনার এই অপয়া মেয়েটা কষ্ট পেলে কি করতো.? ওর আম্মুর রেখে যাওয়া ডায়েরি তে মনের কথা লিখে মন হালকা করতো। বালিশে মুখ গুজে কাঁদতো। আমি চাইলেই আপনাদের শাস্তি দিতে পারি কিন্তু না,,, আপনারা আমার না হলেও, আপিলার মা বাবা। আমার আম্মু যেমন আপনাকে ভালোবেসেছিলো,, আপিলাও তার মা বাবাকে ভালোবাসে।আমি চাইনা নতুন করে এসে আপনাদের জীবনে কোনো বিপর্যয় আনতে। এই হিসাবের হাতাটা নাহয় এখানেই বন্ধ থাক। তবে মিসেস রুশানি কুশান চৌধুরি আপনাকে কি সবদিক থেকে ছাড় দেওয়া ঠিক.? নিশ্চই না। সুতরাং তৈরি হন আপনার সৎ-মেয়ে আসছে আপনার টেক কেয়ার করতে।

গাড়ি থেকে সানগ্লাস বের করে পড়ে নিলো। তারপর শিষ বাজাতে বাজাতে গাড়িতে উঠলো। দূর থেকে অজানা মানুষটা ঠোটে হাসি রেখে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

অজানা : খুব অদ্ভুদ মেয়ে তুমি। যত তাড়াতাড়ি ইমোশনাল হও তার চেয়েও দ্রুত ডেন্জারাস হয়ে যাও। তোমার মন আর ব্রেইন দুইটাই তোমার কন্ট্রোলে তবে এটা কোনো সমস্যা না সমস্যা হলো তুমি আমার ব্যাপারে একটু বেশিই জানার চেষ্টা করছো যা আমাদের ফিউচারের জন্য একটু আনকম্ফর্টাবেল। কিন্তু আমার হবু বউ এর তো এতোটুকু অধিকার আছেই সো বি কন্টিনিউ।

চলবে,,