তুমি থেকে যাও আমি রেখে দিব পর্ব-০৭

0
266

#তুমি_থেকে_যাও_আমি_রেখে_দিব
#পর্ব_০৭
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

–দেখুন আমি আপনার নাতনী কে আমার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে চাই।আপনি যদি অনুমতি দিতেন অনেক খুশি হতাম।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–দেখুন বিয়ে তো আর মুখের কথা না।আপনার ছেলে কেমন।ছেলে মানুষ হিসেবে কেমন।ছেলের চরিত্র কেমন।ছেলের ব্যবহার কেমন।এসব না জেনে শুনে, আমি হুট করে আমার নাতনীর সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিতে পারি না।বললেন অধরার নানি।

–আমি তো সে কথা বলি নাই।আপনার হাতে পনেরো দিন সময় আছে।আপনি আমার ছেলের সম্পর্কে,আমাদের পরিবার সম্পর্কে সবকিছু খোঁজ খবর নিয়ে জেনে নিবেন।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–পনেরো দিন কেনো,বিয়ের কাজ এত তাড়াতাড়ি হয় নাকি।আর অধরার মতামত না নিয়ে তো আমি আপনাকে কোনো কথা দিতে পারি না।আপনার পরিবার সম্পর্কে জানলেও,আপনার ছেলের সম্পর্কে কিছুই আমি জানি না।

–আচ্ছা অধরা অফিসে থেকে বাসায় ফিরুক।আপনি আপনার মতামত আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিবেন।আজ তাহলে আসি কেমন।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–এটা কেমন কথা।আমার বসায় যখন আসছেন।দুপুরে না খেয়ে যেতে দিব না।খেয়ে তারপরে যাবেন।আমার কথার ওপরে আর কোনো কথা বলবেন না।আশা করছি!

আশরাফুল চৌধুরী আর কিছু বলতে পারলেন না।হাজার হলে-ও অধরার নানি তার বড়।তিনি গুরুজনের কথা অমান্য করতে পারলেন না।থেকে গেলেন,অধরার নানি এতটুকু সময়ে যতটুকু পারছে রান্না করছে।দুপুর প্রায় হয়েই আসছে।অধরার নানি রান্না করে আশরাফুল চৌধুরী খেতে দিলেন।তিনি খেয়ে একটু রেস্ট করে বাসায় চলে গেলেন।অধরাকে তো রাজি করাতে পারলেন।কিন্তু চিন্তার বিষয় আহান কি রাজি হবে।খুব বড় একটা ঝড় উঠবে আজকে বাসায়।আশরাফুল চৌধুরী ভালো ভাবে-ই টের পাচ্ছেন।সারাদিন কাজ করে বাসায় ফিরলো অধরা।গোসল করে খেতে বসেছে।তখনি অধরার নানি পাশে বসলেন।

–আশরাফুল চৌধুরী এসেছিলেন।তোকে তার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে চাই।আমি ওনাকে এখনো কিছু বলি নাই।বলছি তুই আসলে তোর মতামত নিয়ে জানাবো।

অধরা আগের ন্যায় খেতে খেতে বলল।

–আমার মতামত নেওয়ার কি আছে নানি।তুমি তো আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছো।এত ভালো একটা প্রস্তাব পেয়েছো।তখন হ্যাঁ বলে দাও।

অধরার নানি অধরার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।যে,মেয়েটা বিয়ে করবে না।বলে সারাদিন পাগল করে দেয়।সেই মেয়ে এক কথায় বিয়ে করে রাজি হলো ব্যাপার কি।

–ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো।আগে কোনোদিন দেখো নাই।

–তুই বিয়েত রাজি।তুই না বলতি তুই কোনোদিন বিয়ে করবি না।

–আমি তো মজা করে বলছি।এখন তুমি বলো।তুমি রাজি আছো নাকি।বলল অধরা।

–দেখ উনি মানুষ হিসেবে ভালো।সবাই তাকে চিনে।কিন্তু তার ছেলে কেমন আমি জানি না।না জেনে শুনে আমি কি করে ওনার ছেলের সাথে বিয়ে দিব।

–নানি ওনার ছেলে খুব ভালো মানুষ।তুমি একবার মিশে দেখতে পারো।তোমার কঠিন মন জয় করে নিবে আহান স্যার।বলল অধরা।(বাকি মিথ্যা কথা কালকে বলবো নানি মনে মনে বলল)

–তুই যখন বলছিস।তখন ছেলে ভালো।তবু্ও আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।তারপরে পাকা কথা জানাবো।

–যা করবে তাড়াতাড়ি করবে বুঝছো।আজ-ই খোঁজ না-ও পারলে কালকে বিয়ে দিয়ে দাও।বলল অধার।

অধরার নানি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।এই মেয়েটার হলো টা কি।

–সত্যি করে বল তো তুই প্রেম ভালোবাসা করিস নাই তো আবার।

–আস্তাগফিরুল্লাহ,তুমি আমাকে এতদিন এই চিনলে নানি।যা-ও খোঁজ নিয়ে দেখো।আমি প্রেম ভালোবাসা করছি নাকি।

অধরার নানি সন্দেহ দৃষ্টিতে অধরার দিকে তাকিয়ে চলে গেলেন।

ড্রয়িং রুমে চৌধুরী পরিবারের সবাই বসে আছে।আশরাফুল চৌধুরী জরুরি তলব করে ডেকেছে সবাইকে।গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে জেনে সবাই এসেছে।তিতলি দাঁড়িয়ে আছে।আহান মাথা নিচু করে বসে আছে বাবার পাশে।আশরাফুল চৌধুরীকে ঘিরে পরিবারের সবাই বসে আছে।

–কি বলবে বলো।চুপচাপ বসে আছো কেনো।বললেন মিসেস আফরোজা চৌধুরী।

–আমি আহানের বিয়ে ঠিক করেছি।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

সবাই অবাক হয়ে আশরাফুল চৌধুরীর দিকে তাকালো।আহান এখনো আগের ন্যায় মাথা নিচু করে বসে আছে।

–কার সাথে বিয়ে ঠিক করেছো।মেয়ে কেমন।মেয়ের বাবা-মা কি করে।মেয়ে’রা কয় ভাইবোন।মেয়ের বাসা কোথায়।বললেন আফরোজা চৌধুরী।

–মেয়েকে তোমরা সবাই চিনো।বলল আশরাফুল চৌধুরী।

–কে,সে কার সাথে বিয়ে ঠিক করেছো।বললেন আফরোজা চৌধুরী।

–অধরা!আমি অধরার সাথে আহানের বিয়ে ঠিক করেছি।

তিতলি চিৎকার দিয়ে উঠলো।

–কি ঐ অসভ্য মেয়ের সাথে আমার ভাইয়ের বিয়ে।আমি কোনোদিন এই বিয়ে হতে দিব না।বাজে মেয়ে একটা।ঠিক বাবার মাথা খেয়ে ফেলছে।বলল তিতলি।

–তুমি কি করে ও মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক করতে পারো।ঐ মেয়ে আমার ছেলের যোগ্যই না।আমি অধরার সাথে আমার ছেলের বিয়ে হতে দিব না।বললেন মিসেস আফরোজা চৌধুরী।

–তিতির,আশফি,বড় বউ তোমাদের মতামত দাও।

–আমি মনে করি।আহানের জন্য যেটা ভালো হবে তুমি সেটাই করবে বাবা।আমি তোমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি।বলল তিতির।

–আমার ভাইয়ের যেটা ভালো হবে।আমি সেটাই করবো বাবা।আমার আহান যদি রাজি থাকে তাহলে আমি’ও রাজি।আর আহান যদি রাজি না থাকে তাহলে,আমি কিন্তু বিয়ে হতে দিব না বাবা।বলল আশফি।(আহানের বড় ভাই)

আশরাফুল চৌধুরী এবার আশার দিকে তাকালেন আশফির বউ।

–বাবা আমি কি বলবো।আপনারা যেটা ভালো মনে করবেন।সেটাই করবেন।বলল আশা।

–দাদু তুমি একদম ঠিক কাজ করেছো।ছোট চাচাকে বিয়ে দিয়ে দাও।দেখবে আর রুমের মধ্যে থাকতে পারবে না।চাচি এসে আম্মুর মতো মেরে কাজে তাড়িয়ে দিবে চাচা’কে।বলল রাহুল।আশফির ছেলে।

আশা এসে রাহুলের মুখ চেপে ধরলো।আশরাফুল চৌধুরী হাসলেন।

–আমি সবার মতামত নিলাম।কিন্তু বিয়ে অধরার সাথে-ই হবে।এখন শুধু আমার আহানের মতামত চাই।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–বাবা তুমি যদি চাও।তোমার ছেলে তোমার কাছে থাকুক।তাহলে আমার বিয়ে নিয়ে এ বাসায় আর কোনোদিন কোনো কথা না উঠে।তাহলে আমি বাসা ছেড়ে চলে যাব।বলল আহান।

–কিন্তু আমি কথা দিয়ে আসছি।অধরার সাথে তোমার বিয়ে হবে।এখন তোমাকে বিয়ে করতেই হবে।না হলে আমার মান-সন্মান শেষ হয়ে যাবে।

–তুমি আমার মতামত না নিয়ে।কিভাবে কাউকে বিয়ের জন্য কথা দিতে পারো।আমাকে কি তুমি বাঁচতে দিবে না বাবা।বলল আহান।

–একদিন তুমি ঠিক বুঝবে আহান।আমি তোমার ভালোর জন্যই এসব করছি।বললেন আশরাফুল চৌধুরী।

–আমি বিয়ে করবো না মানে করবো না।তুমি আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে পারবে না।বলে-ই সোফায় লাথি মেরে উপরে চলে গেলো।দু’দিন কেটে গেলো।আহান আবার আগের মতো পাগলামি শুরু করে দিয়েছে।একটাই কথা বিয়ে করবে না।তার বাবা কেনো তাকে চাপ দিচ্ছে।অধরা আশরাফুল চৌধুরীকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।এসব কিছু সয্য করতে না পেরে।আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।অসুস্থ শরীর নিয়ে।আহানের রুমের সামনে এসে দাঁড়ালেন।আস্তে করে আহানকে ডাকলো।আহান এসে দরজা খুলে দিয়ে বলল।

–বিয়ের কথা বাদে অন্য কথা বলতে পারলে।আমার সাথে কথা বলবে না হলে কোনো কথা আমি শুনবো না।

–আমাকে ভেতরে যেতে দাও।আমি অসুস্থ। দাঁড়িয়ে থাকতে সমস্যা হচ্ছে।

আহান সরে দাঁড়ালো।আশরাফুল চৌধুরী আহানের রুমে গিয়ে।লাইট অন করে বিছানার বসলেন।তারপরে আহানের হাত ধরে নিজের পাশে বসালেন।

–তুমি এভাবে আমার মান-সন্মন নষ্ট করে দিবে আহান।আজ যদি আমি মরে যাই।তাহলে সারাজীবন তোমার আফসোস করতে হবে।আজ তোমাকে জোর করবো না।আমি তোমাকে কয়টা কথা বলবো।আমার বয়স হয়েছে।আজ আছি কাল নেই।আমারও তো ইচ্ছে করে।ছেলেমেয়ের বিয়ে দিব।নাতি নাতনীর মুখ দেখবো।আমি মরে যাওয়ার আগে তোমাকে বিয়ে দিয়ে দিতে চাই আহান।

–বাবা তিতলি আপু তো আমার বড়।তুমি আপুকে বিয়ে দাও।তুমি আমাকে নিয়ে পড়েছো কেনো।আর ঐ মেয়েকে কোনোদিন বিয়ে করবো না।ওর সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।তুমি তো জানো আমি রুহিকে কতটা ভালোবাসি।

–বাবা এটা তোমার ভালোবাসা না।এটা তোমার আবেগ।রুহি যদি তোমার ভালোবাসা হতো।তাহলে তুমি তাকে ছেড়ে থাকতে পারতে না।যেতে দিতে না তার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য।তুমি কিন্তু ওকে ছাড়া বেশ ভালোই আছো।তুমি কিন্তু ওকে ফিল করো না।ওকে দেখার জন্য পাগল হও না।নিজের মতো বেশ ভালো আছো।তুমি নিজেই নিজেকে এমন বানিয়ে ফেলছো।

আহান ভেবে দেখলো বাবার সব কথা সত্যি।কিন্তু বাবা এতকিছু জানলো কি করে।

–তুমি চিন্তা করো না।অধরা তোমার সাথে থাকবে না।অধরা বিয়ের পরে ওর নানির বাসায় থাকবে,ওর মতো।আর তুৃমি তোমার মতো।অধরা আমাকে এই শর্ত দিয়েছে।তারপরে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে।

আহান ভ্রু কুঁচকে তাকালো তার বাবার দিকে।তারমানে অধরা রাজি বিয়েতে।এই সুযোগ মেয়েটাকে বেশ কথা শোনানো যাবে।এই সুযোগ তো হাত ছাড়া করতে পারি না।এখানে বাবাও খুশি হবে।বাবা খুশিও জন্য এতটুকু করতে পারি।কিন্তু মন সায় দিচ্ছে না।মনের বিরুদ্ধে বিয়ে করাটা কি ঠিক হবে।ভাগ্য যা আছে তাই হবে।ভাগ্যের লিখন কেউ বদলাতে পারবে না।বাবা আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে।বাবাকে আর কষ্ট পেতে দিব না।বুকে পাথর চেপে রেখে বলল।বাবা আমি রাজি।আমি বিয়ে করবো।মূহুর্তেই আশরাফুল চৌধুরী মুখে হাসির রেখে ফুটে উঠলো।

–তুমি সত্যি বলছো আহান।

–হ্যাঁ বাবা আমি সত্যি কথা বলছি।যাও তুমি বিয়ের ব্যবস্থা করো।

আশরাফুল চৌধুরী খুশি হয়ে সবাইকে খবর টা দিলেন।তিনি দেরি করতে চান না।তাই অধরার নানিকে ফোন করে বললেন সবকিছু ব্যবস্থা করতে।কাল সন্ধ্যায় মেহেন্দির অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করে দিলো।অধরাকে সবকিছু অধরার নানি দিবে।আশরাফুল চৌধুরী সবকিছু করতে চাইলে তিনি না করে দেন।বলেন,তিনি গরীব হতে পারে।কিন্তু এতটা গরীব না যে,তার নাতনীর বিয়েতে কিছু দিতে পারবে না।অধরার নানি অধরার এ কাজে বেশ অবাক হলেন।যে মেয়ে বাবা-মাকে ছাড়া একটা কাজ করে না।সেই মেয়ে বাবা-মাকে না জানিয়ে বিয়ে করছে।প্রশ্ন করতে চাইলেও মনের গভীর কষ্ট থেকে আর বললেন না।আশরাফুল চৌধুরী আশেপাশে সবাইকে ফোন করে জানিয়ে দিলেন।বিকেলের মধ্যে আত্নীয়-স্বজন এসে বাড়ি ভরে গেলো।পুরো বাড়ি বিভিন্ন রংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে।অধরার নানিও খুব সুন্দর করে নিজের বাসাটা সাজিয়ে তুলেছেন।একমাত্র নাতনী বলে কথা।সন্ধ্যায় বাসায় এসে সবকিছু দেখে অধরা অবাক হলো।তার নানিকে প্রশ্ন করতেই বললেন।আশরাফুল চৌধুরী দেরি করতে চায় না।কাল থেকে বিয়ের সব কাজ শুরু করতে চায়।

–এত তাড়াতাড়ি উনি তো আমাকে কিছু বলেন ই নাই।

–এখন এমন করছিস কেনো।বিয়ের জন্য তো খুব পাগল হয়ে গিয়েছিলি।যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।অধরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রুমে গেলো।অধরাদের বাসায় তেমন লোক নেই আশেপাশের আত্নয়ী,কয়জন লোক বাসা সাজাচ্ছে।অধরার নানিদের বাসার সবাই আসছে।বাসা একটু দূরে তাই আসতে সময় লাগছে।

অধরা রুমে গিয়ে ফোটা হতে নিলো।কয়দিন হলো ফোন দেওয়া হয় নাই বাসায়।কাঁপা কাঁপা হতে ফোন টা নিয়ে তার মাকে ফোন করলো।রিং হতে অধরার আম্মু ফোন ধরে বলল।

–কিরে মা কেমন আছিস।তোর শরীর ভালো আছে।কয়টা দিন তোর কোনো খোঁজ খবর নাই।চিন্তা হচ্ছিল তোর জন্য।

অধরার মায়ের কথা শুনে অধরার চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে।যে মা তার জন্য চিন্তাই পাগল হয়ে গেছে।সেই বাবা-মাকে না জানিয়ে এত বড় কাজ করছে।

–আচ্ছা মা।আমি যদি তোমাদের না জানিয়ে কোনো কাজ করি তাহলে তুমি আমাকে ভুল বুঝবে।রাগ করে থাকবে।কথা বলবে না।

–কি হয়েছে মা।এমন কথা বলছিস কেনো।কিছু হয়েছে তোর।মাকে বল হালকা লাগবে।

–কিছু হয় নাই।তুমি বলো আগে।

–আমি জানি আমার মেয়ে কখনো ভুল কাজ করবে না।আমার মেয়ের ওপরে আমার ভরসা আছে।তোর বাবার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে রে মা।কিছু একটা ব্যবস্থা করতে পারলি মা।আমাদের হসপিটালের রাখতে চাচ্ছে না।ঠিকমতো টাকা দিতে পারছি না।

–তুমি চিন্তা করো না মা।আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে নিব।আমি খুব তাড়াতাড়ি আসছি তোমাদের কাছে।টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে।শুধু টাকা টা হতে পাওয়ার অপেক্ষা।

–তুই সত্যি বলছিস।আমাদের জন্য তোকে কত কষ্ট করতে হচ্ছে তাই না রে মা।

–মেয়ে হয়ে যদি বাবা মার জন্য এতটুকু করতে না পারি তাহলে কেমন মেয়ে আমি।আচ্ছা আম্মু রাখছি।অফিস থেকে আসছি।খুব ক্ষদা লাগছে।বলেই ফোন রেখে দিলো।

কিছুক্ষণ নীরবে কান্না করে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

চলবে…..