তুমি হাতটা শুধু ধরো পর্ব-৮+৯

0
396

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৮
#Jhorna_Islam

দায়ানের কথা শুনে সোহা কতক্ষন চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রয়।তারপর বলে,,,আপনি কি আমার সুনাম করলেন না বদনাম?

তুমি এখনো বুঝোনি আমি কি করেছি? থাক বুঝতে হবে না তোমার অবুঝ বালিকা।এক কাজ করো, সুনাম করছি নাকি বদনাম করছি জানতে চাইছো না? এই দুইটা থেকে তুমি যেইটা হলে হেপি হবা,সেইটাই ভেবে নেও।বলেই কফির মগে আবার চুমুক বসায়।

সোহা মাথা চুলকে ভাবতে থাকে।

দায়ান কফির মগে লাস্ট চুমুকটা বসিয়ে দেয়।কফি শেষ করে মগটা টেবিলের উপর রেখে দেয়।কফিতো ভালোই বানাও।”টেস্টিং গুড”।

সোহা দায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,শুনুন না!

দায়ান সোহার দিকে চোখ খুলে তাকায়।

সোহা দায়ান কে দেখে আঁ’তকে উঠে। দায়ানের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। মনে হয় মাথা ব্যাথাটা আরো বেড়েছে।মাথা দিয়ে এখনো টপটপ করে পানি পরতেছে।

দায়ান সোহা কিছু বলেনা দেখে আবার চোখ ব’ন্ধ করে নেয়।

সোহা কি করবে ভেবে পায় না। মাথা ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছে লোকটা।এই লোকটার কষ্ট সোহার সহ্যই হয় না।

সোহা সোফা থেকে উঠে দাড়ায়। আগে মাথাটা মুছে দিতে হবে।কিন্তু তাওয়াল তো দায়ানের পিঠের নিচে।কিভাবে নিবে? কোনো কিছু আর না ভেবে নিজের ওড়না দিয়েই মাথা মুছতে থাকে।খুব য’ত্ন সহকারে মাথার চুল গুলো মুছে দেয়।

দায়ানের মাথা ব্যাথাটা অনেক বেড়েছে। চোখ মেলে তাকাতে পারতেছেনা।সোহা যে মাথা মুছে দিতেছে বুঝতে পারতেছে।ওড়না থেকে মিষ্টি একটা ঘ্রা’ণ এসে নাকে লাগছে। কতোদিন পর কেউ য’ত্ন সহকারে মাথা মুছে দিতেছে দায়ানের। দায়ান চোখ ব’ন্ধ করে বিষয়টা উপভোগ করতে থাকে।

সোহা দায়ানের মাথা মুছে ওড়না টা আবার ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নেয়।মাথা ব্যাথাটা সাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিছু করতে হবে।লোকটার কষ্ট একদম সহ্য হচ্ছে না।কান্না পাচ্ছে।

শুনছেন? মলমটা কোথায়?

দায়ান কিছু বলছেনা।তার বলতেই ইচ্ছে করতেছে না।তাই চুপ করেই থাকে।

সোহা দায়ানের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে, নিজেই খুজতে থাকে।আলমারি,ওয়া’ড্রপ সব জায়গায় খুজতে থাকে।সোহার হাটার তালে তালে তার পায়ের নুপুর রিমিকি ঝিমিকি শব্দ তুলে বাজতে থাকে।যা দায়ানের কানে এসে লাগে।

অনেক খুঁজাখুঁজির পর বেড সাইড টেবিলের উপর গিয়ে দেখতে পায়।ওখানেই রাখা আছে।মনেহয় প্রায়ই লোকটার মাথা ব্যাথা করে।এসব ভাবার এখন সময় নেই।তাড়াতাড়ি করে দায়ানের কাছে আসে।

দায়ান সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বুজে আছে।সোহা দায়ানের পিছন দিকে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর হাতে মলম নিয়ে কপালে লাগিয়ে দেয়। খুব যত্ন সহকারে কপাল মাসাজ করতে থাকে।

দায়ান মাথা তুলে সোহার দিকে একবার তাকায়।তারপর আবার চোখ ব’ন্ধ করে নেয়।

সোহা কতোক্ষন দায়ানের কপালে মাসাজ করে,তারপর আস্তে আস্তে চুলে হাত দেয়।চুল গুলো ধীরে ধীরে টেনে দিতে থাকে।

সোহার তুলতুলে নরম হাতের সেবায় সব ব্যাথা যেমন ভেনিশ হতে থাকে দায়ানের।দায়ান চোখ বন্ধ করে উপভোগ করতে থাকে সোহার ছোয়া।

সোহা দায়ানের চুল নিয়ে যেমন খেলতেছে।কি সুন্দর চুল।সিল্কি ঘণ, আহা আমারিতো কি ভালো লাগতেছে চুল টেনে দিতে। বলতে ইচ্ছা করতেছে,,” শুনুন আজ থেকে আপনার মাথার চুল টেনে দেওয়ার আর মাসাজ করে দেওয়ার দায়িত্ব টা আমায় দিবেন?”

আজ থেকে না হয় এই দায়িত্ব টা আমি নিলাম।

দায়ান সোহার হাতের ছোয়ায় অন্য রকম একটা সুখ অনুভব করছে।ইচ্ছে করতেছে সারাক্ষণ যেনো সোহা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

মনে মনে আওড়ায় দায়ান” ম’ন্দ লাগছেনা।”

হঠাৎ ই দায়ানের কিছু মনে পরে যায়।তার মা ও তো এভাবে দায়ানের মাথা ব্যাথা দূর করে দিতো।মাথা মুছে দিতো।মাথা ব্যাথা হলেই মায়ের কাছে ছুটে যেতো।গিয়ে সোজা মায়ের কোলে শুয়ে পরতো।মায়ের মন বুঝে যেতো ছেলে কি চায়।খুব ভালোবাসা দিয়ে দায়ানের সব কষ্ট ব্যাথা নিমিশেই দূর করে দিতো। আর বলতো,,,
আমি না থাকলে কি হবে বাপ তোর? কে মাথা টিপে দিবে?

দায়ান মায়ের কোল থেকে ওঠে লাফ দিয়ে বিছানায় বসতো।আর বলতো এসব যদি তুমি আরেকবার বলো মা তাহলে আমি যেদিকে দু- চোখ যায় চলে যাবো।

দায়ানের মা তখন বলতো, আহারে বাপ আমার রাগ করে না।আমি থাকবো না তো কি হবে? তোর জন্য একটা লাল টুকটুকে বউ নিয়ে আসবো।সে দেখিস আমার মতোই তোকে সেবা করবে।সব কষ্ট ভুলিয়ে দিবে।আমরা না এনে দিতে পারলেও সে ঠিক তোর কাছে কোনো না কোনো ভাবে আসবে।বলেই কপালে চুমু একে দিতো।

দায়ানের অতীত মনে হতেই চোখের কোণ জলে ভরে উঠলো।চোখ মেলে লাফ দিয়ে দাড়িয়ে গেলো।

সোহা দায়ান এরকম ভাবে উঠে দাঁড়ানোতে ভয় পেয়ে যায়।অনুমতি না নিয়ে ছোঁয়ায় এই লোক আবার চ’ড় মে/রে দিবে নাতো?।আমার ই কি দোষ? এই লোকটার কষ্ট পাওয়া দেখে আমার সহ্য হচ্ছিল না।

এদিক ঐদিক তাকিয়ে দায়ান চোখের পানি আড়াল করে।সোহাকে বলে তুমি এখন যাও। আমি কিছুক্ষন একা থাকতে চাই।

সোহা মাথা নাড়িয়ে যাওয়ার পথ ধরে।

দায়ান অন্যদিকে তাকিয়েই আবার সোহা কে ডাকে।

শুনো।

সোহা ঘুরে দায়ানের দিকে তাকায়।

থ্যাংক্স!

সোহা অবাক হয়।কিন্তু প্রকাশ করে না। রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।

দায়ান সোহার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ’শ্বাস ফেলে।
ঘুড়ে দাড়িয়ে বারান্দার দিকে হাটা দেয়।

—————————————–
চারদিকে কোলাহল সবাই যে যার কাজে ব্য’স্ত। দায়ান সেই সন্ধ্যায় যে বারান্দায় এসেছে আর যায় নি বারান্দা থেকে। সময়ের পালাক্র’মে দিন রাতের আধারে তলিয়ে গেছে।মানুষ তবুও থেমে নেই।নিজ নিজ কর্ম ব্য’স্ততা নিয়ে এগিয়ে চলেছে।জীবন কারো জন্য থেমে থাকেনা।এগিয়ে যায়। এই যে দিন রাতের আধারে ঢেকে আছে,তাও মানুষ জীবিকার তাগিদে ছুটে চলেছে।

দায়ান এক মনে অন্ধ’কার আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।তারা নেই আজ আকাশে।

রাত ১০ টা বাজতে চললো। সোহা রান্না করে কখনই নিজের রুমে বসে বসে মোবাইল এ কতোক্ষন ফানি ভিডিও দেখেছে।

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০ টা প্রায় বাজে।তাই উঠে দাঁড়িয়ে দায়ানের রুমের দিকে হাটা দেয়।খাবার খেতে ডাকার জন্য। দায়ানের রুমের সামনে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁ’কি দেয়। কিন্তু দায়ানকে দেখতে পায় না।তাই দরজায় টুকা দেয়।

দরজায় টুকার আ’ঘা’তে দায়ানের ধ্যা’ন ভাঙে।

সোহা আবার ডাকে ” শুনছেন? খাবেন চলুন।
দায়ান বারান্দা থেকে বের হয়ে আসে। সোহার দিকে একবার তাকিয়ে,কোনো কথা না বলে ডাইনিং এ যেতে থাকে। যাওয়ার আগে আবার দাড়িয়ে বলে যায়,,,,
নেক্সট টাইম আমায় একদম শুনছেন বলে ডাকবেনা।”

সোহা দায়ান কে মুখ বা’কায়। তো কি বলে ডাকবো,, ওগো?

খাবার টেবিলে কারো আর কোনো কথা হয়নি।যে যার মতো খেয়ে ঘুমিয়ে পরে।

সকাল সকাল সোহা রান্না করে ফেলে।দু’জন ই তাড়াতাড়ি নাস্তা করে নেয়।
————————————–

দায়ান রেডি হয়ে গাড়িতে হেলান দিয়ে ফোন টিপছে।সোহার এখনো আসার খবর নাই।কি করছেটা কি এই মেয়ে? এতো টাইম লাগে রেডি হতে।আমার আবার অফিসে যেতে হবে।
এসব ভাবতে ভাবতেই বির’ক্ত মুখ নিয়ে আবার বাড়ির গেটের দিকে তাকায়। তখনই চোখ একজায়গায় গিয়ে থমকে যায়। সোহা বের হয়ে আসছে।পরনে তার নীল কালার লম্বা হাতার গাউন। কালো হিজাব,হাতে মেচিং কালো রেশমি চুড়ি। এক কথায় চোখ ধা’ধা’নো সুন্দর লাগছে।দায়ান কিছু সময়ের জন্য থমকে গেছে।চোখ সোহাতে আটকে যায়।
সোহা দায়ানের সামনে এসে তু’ড়ি বাজায়।
দায়ানের ধ্যা’ন ভা’ঙে।নিজেকে অন্যদিকে তাকিয়ে স্বা’ভাবিক করে নেয়।

দায়ান ও আজ ব্লু শার্ট ও কালো জি’ন্স পড়েছে। এই মেয়ের পোশাক নিজের সাথে মিলে গেলো কি করে? তাই ভাবছে দায়ান।

দায়ানতো আর জানেনা সবই সোহার কার’সাজি। দায়ানের রুমে উঁ’কি দিয়ে দেখে নিয়েছে দায়ান আজ কি রং এর পোশাক পরে।
দায়ানের পোশাকের রং দেখে,তারপর গিয়ে নিজে পোশাক পড়েছে।তাইতো এতো দেড়ি হয়েছে। হিহিহি
সোহারে তর যে কি বু’দ্ধি । নিজের মাথায় নিজেই চুমু।এমনিতে তো দিতে পারবনা তাই মনে মনে দিয়েই চালিয়ে দিলাম।

দায়ানকে জিজ্ঞেস করে আমাকে কেমন লাগছে? অনেক সুন্দর লাগছে তাইনা? আমি জানি আমি সুন্দর সবাই তাই বলে।আপনি একটু প্রশংসা করুন না। বলুন আমায় কেমন লাগছে?

“কাজের মেয়ে সকিনার মতো।”
বলেই দায়ান গাড়িতে গিয়ে উঠে বসে।

#চলবে

গল্প:-#তুমি_চাইলে_যেতে_পারো পর্ব:-(০৯)
লিখা:-AL Mohammad Sourav

এখানে দাঁড়িয়ে কান্না না করে ভিতরে চলো তোমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে বলেই সিমির হাত ধরে আল টেনে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। সিমির চোখে অশ্রু জমে আছে আল তা দেখেও সিমির প্রতি কোনো মাঁয়াই করেনি। সিমি ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারে আজ এখানে কারও বিয়ে হচ্ছে এমন সময় তাকিয়ে দেখে ওর বড় বোন শেলী রহমান কনে সেজে বসে আছে আর ঠিক তাঁর পাশে সুন্দর একটা ছেলে বর সেজে বসে আছে। সিমির চোখে এখনো অশ্রু আছে তখনি ওর বড় বোন দৌড়ে এসে সিমিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিয়েছে। এক এক করে সিমির বাড়ীর সবাই এসেছে। সিমি তাঁর চোখের পানি মুছে নিয়েছে। আল আনোকে নিয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। সিমির মা সিমিকে জড়িয়ে ধরে বলে।
সিমির মা:- তুই এমন ভাবে আমাদের ভুলে থাকতে পারলি? তখনি সিমির বড় বোন সিমির হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। সিমি যাচ্ছে আল তাকিয়ে আছে। সিমি একবার পিছন ফিরে তাকিয়েছে আলের দিকে আল কিছুই বলেনি। সিমিকে একটা ঘরে নিয়ে ভেতর থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে বলে।
শেলী:- সিমি আমার মাথা ছুঁয়ে বল তুই কি নিজের ইচ্ছে ঐ ছেলেটাকে বিয়ে করেছিস নাকী বাবা তোকে কোনো প্রকার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য করেছে?
সিমি:- আপু তুই কি যে বলিশ না। আমাকে কেউ জোঁড় করে কিছু করাতে পারছে বল! আমি নিজের ইচ্ছেতে বিয়ে করেছি। ছেলেটা খুব ভালো আর আমাকে পচন্ড ভালোবাসে।
শেলী:- সিমি তুই কেনো আমার সাথে মিথ্যা কথা বলতেছিস আমি তোর চোখ দেখে বুঝতে পারছি তোর সাথে অনেক বড় অন্যায় হয়ছে। তুই ওকে ডির্ভোস দিয়ে দিবি তোর জীবনটা কেনো নষ্ট করবি! দরকার হলে আমি তোর তখনি সিমি শেলীকে থামিয়ে দিয়ে বলে।
সিমি:- আপু কি বলছিস এসব আমি সত্যি অনেক সুখে আছি। আর তাছাড়া আল ছেলে হিসাবে খুব ভালো আমাকে অনেক ভালোবাসে। আচ্ছা তোর বিয়েটা কে ঠিকঠাক কে করেছ! আর এত কিছু আয়োজন কে করেছে?
শেলী:- তোর বর করেছে।
সিমি:- কি ওনি করেছে?
শেলী:- হ্যা! চারদিন আগে রাহাত মানে আমার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে ওকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়ীতে আসে। আর সেদিন জানতে পারি তোর সাথে কি কি হয়ছে। তোর সাথে যা যা হয়ছে আল আমাকে আর মাকে সবকিছু বলেছে। যাবার সময় রাহাতকে দেখিয়ে আমাকে বলে আমার পছন্দ হয়ছে কি না? ছেলে তো সুন্দর আর মা বলে পছন্দ হয়ছে তার পরের দিন সকালে রাহাতের বাড়ীর সবাই এসে আমাকে আংটি পড়িয়ে দিয়ে যায়। আর ওদের ঠিকানা দিয়ে যায় ওদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য পরে মা নিজে সব খোঁজখবর নিয়েছে ওদের পরিবারের সম্পর্কে। সবাই ওনাদের অনেক ভালো বলেছে আর আজকেই বিয়ে। আমি অনেক রিকুয়েস্ট করার পর আল রাজি হয়ছে তোকে নিয়ে আসতে।
সিমি:- সত্যি বলছিস ওনি সবকিছু ম্যানেজ করেছে?
শেলী:- হ্যা সবকিছু তোর বর করেছে। তবে আমার মনে হয় ছেলেটা অনেক ভালো কিন্তু তাই বলে বিবাহিত একটা ছেলে আমার বোনের বর হবে অন্তঃত আমি মানতে পারছি না।
সিমি:- আপু আমরা অনেক কিছু মানতে পারি না কিন্তু সবকিছু মেনে নিতে হয়। সত্যি বলতে আল আমার স্বামী এইটা এখন সবাই জানে। আচ্ছা আপু বাড়ীর কেউ এই ব্যপারে তোকে কিছু বলেনি তো?
শেলী:- বাবা আর ওনার বোনেরা অনেক কিছু করতে চায়ছে কিন্তু আলের জন্য সবকিছু ভেস্তে গেছে।
সিমি:- ঠিক আছে এখন চল আমরা বাহিরে যাই সবাই কি মনে করবে বল?
শেলী:- ঠিক আছে চল। ওরা দুজনে বাহিরে এসেছে। আনোকে সিমির মা কোলে নিয়ে রাখছে আলকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। সিমি ওর মায়ের কাছে যেতেই ওর মা বলে।
সিমির মা:- আল আমাকে সব বলেছে আর আজ আমাদের মধ্যে যে সুখটা দেখছিস সবটা আলের জন্য হয়েছে। আমি জানি তোর জন্য আজ শেলীর বিয়েটা হচ্ছে তানা হলে কখনো সম্ভব হতো না।
সিমি:- মা যা কিছু হয়ছে সবকিছু ভালোর জন্য হয়ছে। তখনি একজন সিমির মাকে ডাক দিয়েছে আর ওনি আনোকে কোলে নিয়ে চলে গেছে। সিমির চোখ দুইটা আলকে খোঁজতেছে তখনি পিছন থেকে কেউ বলে।
সিমি কেমন আছো? সিমি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সিমি অবাক হয়ে গেছে আর কতদিন পরে দেখা ওর সাথে। তখনি ছেলেটা বলে। তুমি টাকার জন্য এক বাচ্চার বাবাকে বিয়ে করে নিলে! আমার ভালোবাসার একটুও দাম ছিলো না তোমার কাছে? তখনি সিমি কিছু না বলেই চলে যাচ্ছে তখন ছেলেটা আবার বলছে। তোমার জন্য অপেক্ষা করবো যদি ইচ্ছে হয় তাহলে চলে এসো তোমাকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাবো। সিমি হাটার গতি বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে তখনি আলের সাথে ধাক্কা লেগেছে। আল পানি খেতে ছিলো তখনি হাত থেকে গ্লাসটা পড়ে গেছে। আল কিছুটা রেগে গিয়ে বলে।
আল:- কি হয়ছে তোমার এত তাঁড়া কিসের? কোথায় যাচ্ছো?
সিমি:- সরি সরি আমি ইচ্ছে করে করিনি বলেই আলের শরীরে পানিটা মুছে দিতেছে। তখনি সিমির হাতটা ধরে বলে।
আল:- কি করছো তুমি? তখনি চেয়ে দেখি সিমির মা তাকিয়ে আছে তখনি আল কথার ধরণ চেইঞ্জ হয়ে যায়। আল সিমির হাতটা ধরে সুন্দর করে চেয়ারে বসিয়ে আস্তে করে বলে একটু ঠান্ডা মাথা এখানে বসো। তোমার কোনো ক্ষতি করার বিন্দু পরিমান ইচ্ছে আমার নেই। আমার কিছু কাজ বাকী আছে সেই গুলি শেষ হলেই তুমি যেতে পারবে।
সিমি:- আচ্ছা এমন কেনো আপনি?
আল:- আমি এমনি! একটা মিথ্যা কথা বলবো?
সিমি:- আজ হঠাৎ করে আমার থেকে অনুমতি নিতেছেন ব্যপার কি? আপনি কি আমার প্রেমে পড়ছেন নাকী?
আল:- আমি প্রেমে পড়বো তোমার হাসালে তুমি! তোমার প্রেমে পড়ার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। তখনি সিমির মা চলে গেছে আল নিজের মত করে সিমির থেকে দূরে চলে গেছে। আল তাঁর মনের কথাটা মনেই রেখে দিয়েছে সিমিকে আর বলেনি। এখন বিয়ের কার্জক্রম শুরু হয়ে গেছে। কিছুকক্ষণের মধ্যে শেলীর বিয়েটা হয়ে যায়। শেলী সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। তখনি আল বলে আমি আনোকে নিয়ে গাড়ীতে অপেক্ষা করছি তুমি এসো। সিমি কিছু বলেনি সোজা ওর মায়ের কাছে গিয়ে বলে।
সিমি:- আজ আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো এখন আমার আর কোনো চিন্তা থাকবে না। মা তুমি নিজের খেয়াল রেখো আমি আসি।
সিমির মা:- মা তুই আমাকে ক্ষমা করে দিস আমি তোর জন্য কিছু করতে পারিনি। সবার জন্য আজ তুই তোর জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছিস।
সিমি:- যা হয়ছে সবকিছু ভালো হয়ছে। মা আমার জন্য দুআ করো আমি যেনো খুব সুখে থাকি এই বলে সিমি চলে এসেছে। আল গাড়ীতে বসে আছে আনো পিছনের সিটে ঘুমিয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সিমি আলের সাথে সামনের সিটে বসেছে। আল গাড়ীটা চালাচ্ছে সিমি মনে মনে ভাবছে আলকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া যায় ওর বোনকে এত ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়ার জন্য। তখনি আল বলে।
আল:- আমি জানি তুমি মনে মনে কি ভাবছো কিন্তু এসব কিছু আমি আমার মন থেকে করেছি। আমি যা করেছি সব নিজের জন্য করেছি। আমি তোমার কথা ভেবে কখনো এসব কিছু করিনি।
সিমি:- আপনি বুঝলেন কি করে আমি যে এসবকিছু ভাবতেছি। আল এখন চুপ করে আছে সিমি রেগে গিয়ে বলে। কি হলো এখন চুপ করে আছেন কেনো? আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি? তখন আল রহস্যজনক একটা হাসি দিয়ে বলে।
আল:- এতকিছু জেনে কি করবে কিছুদিন পড়ে তুমি চলে যাবে। আমি তোমাকে কিছু বলতে চাইনা আর জানাতে চাইনা। তুমি আমার জীবনে কোনো দিন থাকবে না আর আমিও তোমাকে রাখবো না। তোমাকে যেই কারণে বিয়ে করেছি তাঁর মধ্যে একটা কাজ কম্পিলিট আর মাত্র দুইটা কাজ বাকী আছে সেই গুলি খুব তাঁড়াতাড়ি শেষ করে আমি তোমাকে তোমার ঠিকানাতে পাঠিয়ে দিবো। যেখানে থাকলে তোমাকে মানাবে আর পচন্ড ভালোবাসবে সেখানে।
সিমি:- আপনি নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারেন এইটা তো আমি বিয়ের পর থেকে বুঝে গেছি। কিন্তু আমার জন্য এতটা চিন্তা কোথা থেকে আসলো শুনি?
আল:- গাড়ী চালানোর সময় আমি কথা কম বলি আর তাছাড়া সময় হলে সব বুঝতে পারবে আমি কতটা স্বার্থপর। আল আর সিমি দুজনে চুপচাপ হয়ে গেছে। কেউ কোনো কথা বলেনি গাড়ীটা বাড়ীর সামনে এসে থামছে। সিমি আনোকে কোলে নিয়ে বাড়ীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপ দিয়েছে। লতা এসে দরজাটা খুলেছে সিমি ভিতরে গেছে লতা দরজা বন্ধ করতে ছিলো তখনি আলকে দেখে দরজা বন্ধ করেনি। আল ভিতরে ঢুকতেই আলের বাবা বলে।
বাবা:- আল তোর সাথে কিছু কথা ছিলো।
আল:- কোন ব্যাপারে কথা বলবেন?
বাবা:- আমি আর তোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা সবাই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো। আমাদের জন্য তুই অনেক করেছিস আমরা চাইনা তুই আমাদের জন্য আর কিছু করিস।
আল:- হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানে কি?
মা:- হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয় আর আমরা যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেহেতু আমরা যাবই এই কথা বলে বাবা মা দুজনে চলে গেছে আল মন খারাপ করে ঘরে গেছে। মাথার চুল গুলি টেনে ধরে রাখছে এমন সময় সিমি ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে এসেছে। আলের এমন অবস্থা দেখে সিমি বলে।
সিমি:- আপনার কি শরীর খারাপ করছে নাকী মাথা ব্যথা করছে।
আল:- নাহ কিছুই করছে না বলে ওয়াশরুমে চলে গেছে। কিছুকক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার সাথে সাথে সিমি বলে।
সিমি:- আমার কিন্তু আরও একটা শর্ত বাকী আছে। আনোকে যদি আপনার কাছে রাখতে পারি তাহলে আপনি আমার দুইটা শর্ত পুরুণ করবেন মনে আছে?
আল:- বলে ফেলো কি করতে হবে?
সিমি:- মালা আবির নামে একটা ছেলেকে ভালোবাসে ওনারা সামনে শুক্রবার আসবে মালাকে দেখতে। আপনি নিজে থেকে সবাইকে এক সাথে রেখে বিয়েটা ঠিকঠাক করবেন। আর ঝিনুক আপুর শ্বশুর বাড়ীর সবার কাছে নিজে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে ঝিনুক আপুকে তাঁর শ্বশুর বাড়ীতে পাঠানোর ব্যবস্থা আপনি করবেন। এইটাই আমার দুই নাম্বার শর্ত? আল কিছুটা চুপচাপ বসে থেকে বলে।
আল:- মালা যে প্রেম করে তোমাকে কে বলছে?
সিমি:- মালা নিজেই বলেছে। আল আর কিছু বলেনি আনোর ডান পাশে শুয়ে পড়েছে তখনি সিমি বলে। কি হলো কিছু না বলে শুয়ে পড়েছেন কেনো? এবারও আল কিছু বলেনি। সিমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে আনোর বাম পাশে শুয়ে পড়েছে।

সকালে সবাই নাস্তা করতেছে তখনি আল সবার উদ্দেশ্য করে বলে। আমার কিছু কথা আছে সবাই কথা গুলি শেষ হলে তারপর কথা বলিয়েন। সবাই চুপচাপ হয়ে আছে তখন আল বলতে আরম্ভ করেছে। আমি জানি আমার প্রতি সবার অনেক রাগ আছে এটা থাকার কথা। মা বাবা আপনারা সিদ্ধান্তটা যেটা নিয়েছেন সেটা আপনাদের একান্ত মতামত এখানে আমি জোঁড় করবো না। তবে কিছু কথা বলি। ঝিনুক আপুর শ্বশুর বাড়ীর সমস্যাটা আমি মিঠিয়ে দিবো আর ওনার স্বামীর সাথে যে সমস্যা আছে সেটাও। তবে এখন কথা হচ্ছে মালা আবির নামে একটা ছেলেকে ভালোবাসে। ছেলেটা শুক্রবার ওর পরিবার নিয়ে আসবে মালাকে দেখতে। এখন মালা যেহেতু বড় হয়েছে সেহেতু ওর বিয়ে দেওয়াটা আমারদের কর্তব্য। আমি বলি মালার বিয়েটা হয়ে গেলে আর আপু তাঁর শ্বশুর বাড়ীতে চলে গেলে তখন যার যেখানে ইচ্ছে সেখানে যাওয়া যাবে। এমন আছে আমি হয়তো দূরে কোথাও চলে যেতে পারি। আলের কথা শুনে সবাই ওর সাথে একতম হয়ছে। সিমি আলের দিকে তাকিয়ে আছে আল কিছু না বলে বেড়িয়ে গেছে। সবার খানা শেষ হয়ছে আজ অনেকদিন পর বাড়ীর সবার মন খুব ভালো। আল ঝিনুকের শ্বশুর বাড়ীতে গেছে সবাই আলের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করছে। তখনি আল ঝিনুকের স্বামীকে বলে। আচ্ছা ভাইয়া আপনার সাথে যদি আমার মত হতো তাহলে কি করতেন? আপনি সবকিছু মেনে নিতেন? আল নিজের মত করে কিছু কথা বলেছে তখন ফিরুজ ভাই আলকে আশ্বাস দিয়েছে
ফিরুজ:- আমি তোমার আপুর সাথে সংসার করবো। যদি আমার পরিবার আমার বিরুদ্ধে চলে যায় তাও আমি ঝিনুকের সাথে সংসার করবো। সাহানা আর ফয়সাল সত্যি কাজটা খুব অন্যায় করেছে। তোমার সাথে সত্যি অনেক বড় অন্যায় হয়ছে।
আল:- ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আর হাঁ আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দিন আমি সেদিন রাগের মাথায় যা করেছি সেইটা অন্যায় করেছি।
ফিরুজ:- আল যা হবার হয়ে গেছে তা নিয়ে এখন মন খারাপ করোনা আমি তোমাকে কথা দিলাম ঝিনুকে আমি আগামীকাল গিয়ে নিয়ে আসবো। যদি পরিবার মেনে না নেয় তাহলে ওকে নিয়ে আলাদা ভাবে বাসা ভাড়া করে থাকবো।
আল:- আলাদা থাকতে হবে না আপনি চাইলে আমাদের সাথে থাকতে পারেন যদি আপনি কিছু মনে না করেন। ফিরুজ ভাই রাজি হয়নি ওনি আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকবে। তবে ফিরুজ ভাইয়ের মনটা খুব ভালো সত্যি আমার আপুর ভাগ্যটা খুব ভালো। আল সেখান থেকে বেড়িয়ে এসেছে। আল আজ অফিসে যায়নি বাড়ীতে এসেছে সিমি মালার সাথে বসে গল্প করছে আল কিছু বলেনি।
মালা:- ভাবি তুমি কিন্তু কখনো ভাইয়াকে ছেড়ে যাবে না।
সিমি:- ঠিক আছে তাই হবে। ( কে কাকে ছেড়ে যাবে সেইটা সময় বলে দিবে মনে মনে কথাটা ভাবছে) আচ্ছা মালা তুমি বসো আমি রুমে যায়। সিমি রুমে গিয়ে দেখে আল বারান্দায় মোবাইলে কথা বলছে সিমি কিছু না বলে বেড়িয়ে এসেছে।

আজ দুই দিন হলো আল সিমির সাথে তেমন কথা বলে না আর সিমিও আলের সাথে কথা বলে না। আজ শুক্রবার মালাকে দেখতে আবিরের পরিবারের সবাই এসেছে। বাড়ীটা সুন্দর করে গোচানো হয়ছে আলের মা সবকিছু নিজের হাতে রান্না করেছে। আবিরের বাবা মায়ের মালাকে পছন্দ হয়ছে ১৫দিন পড়ে বিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করেছে। সবাই অনেক খুশি হয়েছে। আজ এক সাপ্তাহ হয়ে গেছে আল ঠিক আগের মত করে রাতে বাড়ীতে আসে না সারা দিনে একবার আসে তো আসেনা এসবকিছু সিমি ব্যপারটা ভালো চোখে নিচ্ছে না। সিমি ঘরে ঢুকে দেখে আল ঘরে আনোর সাথে দুষ্টমি করছে তখনি বলে।

সিমি:- আপনি আবার আগের মত শুরু করেছেন ব্যপারটা কি?
আল:- আমাকে এমন প্রশ্ন করার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?
সিমি:- অধিকার কেউ কাওকে দেয়না কিছুছু সময় জোঁড় করে আদায় করে নিতে হয়।
আল:- ও তাই বুঝি?
সিমি:- হ্যা হ্যা তাই এখন বলেন এক সাপ্তাহ যাবৎ আপনি আগের মত করে কেনো করছেন? সামনে মালার বিয়ে আর আপনি যদি আগের মত করে করেন তাহলে তো সব শেষ হয়ে যাবে। তখনি সিমি একদম আলের কাছে গিয়ে ওর দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে। তাহলে কি আপনি আবার আগের মত নাইট ক্লাবে যেতে আরম্ভ করেছেন?
আল:- তুমি আমার কে? আর তুমি এত কিছু জেনে কি করবে? দুইদিন পরেই চলে যাবে আমার জীবন থেকে তাহলে আমি তোমার কাছে কয়ফত দিতে যাবো কেনো? তখনি সিমি রেগে গিয়ে বলে।
সিমি:- কারণ আমি বর্তমানে আপনার স্ত্রী আর একজন স্ত্রী হিসাবে সবকিছু জানার অধিকার আমার আছে। তখনি আল কিছুটা মুচকি হেসে সিমির একদম কাছে দাঁড়িয়ে গেছে। আল সিমির দিকে এক পা দুই পা করে যাচ্ছে আর সিমি পিছনে যাচ্ছে তখনি সিমি বলে এই আপনি আমার দিকে আসতেছেন কেনো?
আল:- তুমি একটু আগে বলেছো আমার স্ত্রী তোমার কথা মত আমি তোমার স্বামী আজ বড্ড ইচ্ছে করছে স্বামীর অধিকার আদায় করতে।
সিমি:- দেখুন ভালো হবে না আমি তো রাগের মাথায় বলেছি। আপনাকে আমি স্বামী হিসাবে এখনো মানি না।
আল:- নিজের মুখে বলেছো তুমি আমার স্ত্রী আর স্ত্রীর অধিকার থেকেই জানতে চেয়েছো তাই আগে আমি আমার স্বামীর অধিকার আদায় করি। তখনি সিমি গিয়ে দেওয়ালের সাথে আটকিয়ে গেছে। আল সিমির একদম।কাছে গেছে। সিমি বার বার আলকে বারণ করছে ঠিক তখনি আল সিমির দুইটা হাত ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরেছে। সিমির নিশ্বাঃসের সাথে আলের নিশ্বাঃসের বারি খাচ্ছে এমন সময় আল নিজেকে সিমির আরও কাছে নিয়ে গেছে আর সিমির চোখ বন্ধ করে দিয়েছি।

চলবে…