তোকে ছাড়া আমি শূন্য পর্ব-১৮+১৯

0
4277

#তোকে_ছাড়া_আমি_শূন্য
পর্বঃ১৮
#Faria_Siddique





৩২




বিশাল আর রাহিল কে বাসায় পাঠানোর পর আমি গাড়ী নিয়ে রুদ্র এর পিছনে ছুটলাম।
ও অনেক জোরে গারি চালাইতাছে, এক পর্যায়ে নদীর পাড়ে গিয়ে গাড়ী থামাল, তারপর রুদ্র গাড়ীর উপর নিজের হাত বারি মারল।
আমি গিয়ে দেখি রুদ্র নদীর পাড়ে বসে আছে আর অর হাত থেকে রক্ত পরছে।
আমি আর দেরি না করে ওর হাত ধরে আমার রুমাল বাধতে লাগলাম কিন্তু ও নিজের হাত আমাকে ধরতে দিতে চাইছিলনা।
পরে আমি জোর করে ওর হাত নিয়ে আমার রুমাল বাধতে লাগলাম
রুদ্র অনেক রেগে আছে, আমাকে দেখে বলতে লাগল

রুদ্র ঃ তুমি এইখানে কি করছ,? তোমার ভালবাসার মানুষের কাছে যাও।(রেগে)

এই কথা সোনার পর আমার মাথা গরম হয়ে গেল, আমি রেগে বলে উঠলাম
ফারিয়াঃ তুই আমাকে কইদিন চিনোস, আর তুই না জেনে কেমনে বললি যে অ আমার ভালবাসার মানুষ, পুরা সত্যি না কেনে এমন কথা বলার সাহস কে দিয়েছে তোরে।






রুদ্র আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।আমি আবার বলতে শুরু করলাম।
আমিঃ ও যদি আমার ভালবাসার মানুষ হইত তাহলে আমি তোর পিছন পিছন এত দূরে আসতাম না।

ও আমাদের পাশের বাসায় থাকত যখন আমরা লন্ডন এ ছিলাম আর ও আমার অনেক ছোট
রুদ্রঃ তাহলে ও তোমাকে জড়িয়ে ধরল কেন,,, তুমি জানো না আমি তোমার পাশে অন্য কোন ছেলে কে সহ্য করতে পারিনা।
আর তোমার সাহস দেখি অনেক বেড়ে গেছে, তুমি আমাকে তুই করে বলছো।

এতক্ষনে মনে পরল যে আমি তো রাগের মাথাই রুদ্র কে তুই করে বলে ফেলছি, না জানি আমার সাথে কি করে

রুদ্র ঃ থাক আর ভয় পেতে হবে আমি কিছু বললাম না আজকে
ফারিয়া ঃ যাক বাচা গেল ( মনে মনে)
রুদ্র ঃ কিছু বললে
ফারিয়া৷ ঃ না, কিছু না





৩৩



সারাটা দিন যেভাবে সেভাবে কেটে যায় …
শত কষ্টের পরও তোমাকে ভুলিয়ে রাখি
নিজের মাঝে! কিন্তু জানো ??… যখনি
দিন শেষে বালিশে মাথাটা লাগিয়ে চোখ
দুটো বন্ধ করি ,আমি জানিনা ঠিক তখনই
কোত্থেকে সেই কয়েক মুহুর্তে যেনো তুমি
কিভাবে চলে আসো ! আমি আসলেই বুঝিনা
আর এক মুহুর্ত ও পারিনা তোমাকে ছাড়া
থাকতে এক নিমিষেই মনে হয় ছুটে যাই
তোমার কাছে …




চোঁখের যত জল,মনের ব্যাথা ভয়
তুমি দাও আজ করে উজার আমি
নেবো আপন করে”’ যেন সেই সবই
ছিল আমার যত দিন আছি আমি
খুজবো তোমায়”’ দেখবো এর শেষ
কোথায় যত আমি পাশাপাশি
সীমানা দুরে দেখা যায়”’





হয়তো আমি ভেবে ছিলাম তুমি আমার হবে, তাই
তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম । সেটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড়
ভুল ছিলো । কিন্তু , তোমাকে ভালো না বাসলে, আমি ভালোবাসার
কষ্ট টাই অনুভব করতে পারতাম না । তবুও তোমার জীবনকে অভিশাপ্ত
করবো না, কারন, আমি আজ ও তোমায় ভালোবাসি, আমার সব টুকু সুখ
কেঁড়ে নিয়েছো, কিন্তু , আমার মনে লুকানো ভালোবাসা গুলো তুমি নিতে পারো নি ।
এটাই যে আমার বেঁচে থাকার সম্বল।





ভাইয়া বসে বসে এসব কথা আর রুশার কথা ভাবতাছে

ভাইয়াঃ আমি তো ওকে সত্যি ভালবাসি, তাহলে ও কেন বুঝলো না,আর ও আমার মা বাবাকে নিয়ে এত গুলা বলার সাহস কই থেকে পেল।আমি মনে হয় ওকে একটহ বেশি বিরক্ত করে ফেলছি।
আমি থাকব না এই দেশে, আমি লন্ডনে চলে যাব যত তারাতারি সম্ভব

এমন সময় রুশা রুমে ডুকে।

রুশা ঃ কোন দিন ও না, তুমি কোথাও যাবেনা।
হঠাৎ রুশার কথা শুনে ভাইয়া তাকিয়ে দেখে রুশা দাড়িয়ে আছে

ভাইয়া ঃ তুমি এইখানে কিভাবে,,,,???

রুশা ঃ আমি এইখানে কিভাবে সেটা বড় কথা না, তুমি এতক্ষন কি বলছিলে???
ভাইয়া ঃ আমি কি বলছিলাম সেটা শুনে তোমার কি কাজ, তুমি তো আর আমাকে ভালবাস না, যে আমি তোমাকে বলতে যাব
রুশাঃ হুম ,তাই তো। আমাকে কেন বলবা, বলার জন্য মনে হই অন্য কাউরে পাইছো , তাই তোর এখন আমাকে বলার দরকার নাই
ভাইয়াঃহুম পাইছি তাতে তোমার কি???
রুশাঃ আমি কি বলব বল, তোমাকে আমি ওইদিন কথা গুলা বলতে চাই নাই,আসলে রাগের মাথাই বলে ফেলেছি,, তার পর থেকে আমি একদিন ও শান্তি মত থাকতে পারিনি।
ভাইয়াঃ আমি তো তোমার জিবনে এসেছি তোমাকে ভালোবাসব বলে।কিন্তু তুমি সেই ভালোবাসার মর্যাদা রাখতে পার নি।তাই প্লিজ আমার সামনে থেকে যাও।
ভাইয়ার কথা শুনে রুশা অনেক রেগে যায় আর ভাইয়ার শার্টের কলার চেপে ধরে বলে,,,,

রুশাঃ তুই নিজেরে কি মনে করস,তোর যখন মনে হবে আমাকে ভালবাসবি আবার আমাকে ছেড়ে চলে যাবি।
রুশার কাজএ ভাইয়া রিতিমত শক্ড
ভাইয়া ঃ এসব কি ধরনের কথাবার্তা??(রেগে)
আর আমার কলার ছাড়।
এই বলেই ধাক্কা মেরে রুশার হাত ছাড়িয়ে নেয়।
রুশা ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে কান্না করে দিল।
ভাইয়াঃ আচ্ছা তুমি থাক আমি গেলাম।
যেই না ভাইয়া উঠতে যাবে তখন এ রুশা ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল

রুশাঃ প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।(কান্না করে করে)
ভাইয়াঃরুশা তুমি যাও এখান থেকে প্লিজ।
রুশা আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই ভাইয়া রুশাকে তার রুম থেকে হাত ধরে বের করে দিয়ে দরজা আটকে দিল।

রুশা কাদতে কাদতে চলে গেল।বিশালও এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুমে চলে গেল।

আসলে রুশাকে বিশাল নিয়ে এসেছিল।যাতে ভাইয়ার সাথে কথা বলতে পারে।কিন্তু আমার ভাই তো ভাই এ।ভাঙবে তবু মচকাবে না।






আমি আর রুদ্র এখনও নদীর পাড়ে বসে আছি।এখানের বাতাস খুবই ভালো লাগছে।
আমিঃএবার যাওয়া যাক।অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
রুদ্রঃহুম তুমি যাও আমি আরও কিছুক্ষন থাকব।
আমিঃআমি থাকব কি???
রুদ্রঃনা তুমি বাসায় যাও।
আমিঃ আচ্ছা।






অন্যদিকে



মেহেক তো রাগে ফুসছে আর দাভাই মেহেকের কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ
দাভাইঃ অন্যের জন্য গর্ত করলে সেখানে নিজেকেই পরতে হয়।(হাসতে হাসতে)
মেহেকঃ আপনি আমার সাথে ইচ্ছে করে এমন করলেন কেন??
দাভাই ঃ আমার মন ইচ্ছে হয়েছে তাই
মেহেক ঃ মানে!!!!!
দাভাই ঃ তুমি কি ভাবছো আমি কিছু জানিনা
মেহেক ঃ কি জানেন আপনি??
দাভাই ঃএই যে তুমি আমাকে ভালবাসো
মেহেক ঃ কে বলল আপনাকে, আপনি ভুল জানেন, আমি আপনাকে ভালবাসি না।
দাভাই ঃ ও আচ্ছা।তাহলে রোজ আমাকে ফোন দাও কেন?
মেহেক অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
মেহেক ঃ আমি আপনাকে আগে চিনতাম না
দাভাই ঃ ঠিক তো
মেহেক ঃ হুম।




চলবে

#তোকে_ছাড়া_আমি_শূন্য
পর্বঃ১৯
#Faria_Siddique




৩৪




।জীবনে চলার পথে যাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসবে । সেই তোমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেবে।
কি হবে জীবনে এতো পারফেক্ট মানুষ খুঁজে, যদি সেখানে ভালোবাসাই না থাকে ।
স্তব্দ রাতগুলো একসময় হাসিতে পূর্ণ থাকতো, আজ নীরবতায় পূর্ণ থাকে।
ওই ভালোবাসা কাউকে দিওনা যে ভালোবাসা শুধু তাকে কাঁদাবে
প্রত্যেক মানুষই প্রেমে পরে, কেউ প্রকাশ করে, কেউবা লুকিয়ে রাখে ।
নিন্দা করতে গেলে বাইরে থেকে করা যায় কিন্তু বিচার করতে গেলে, ভিতরে প্রবেশ করতে হয়
সুখী ত তারাই হয় যারা অন্যের বুকে ছুরি মেরে ভালো থাকতে যানে
হ্যাঁ বদলে গেছি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির পাত ছিঁড়ে আমি হারিয়ে গেছি
কষ্ট কে বাস্তব জীবনে নিয়ে সামনের দিকে এগোতেই হবে।




এই সবগুলা কথাই বিশালের সাথে মিলে যায়।বিশাল এখনো সামিয়াকে ভালোবাসলেও তা ঘৃনার মাঝে ডাকা পরে গিয়েছে।এখন সে শুধুই প্রতিশোধ নিতে চায়।



রাতের আধারে বারান্দায় বসে আছে বিশাল।আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।ঠিক এমন সময় তার মোবাইলে একটা কল আসলো।
বিশাল কলটা বাকা হেসে রিসিভ করল।
বিশালঃহুম বল কি খবর?
……..………………………….
বিশালঃগুড
……………………….
বিশালঃওর উপর নজর রাখ।
………………………..
বিশালঃহুম
বলেই বিশাল কল রেখে বাকা হাসি দিল।




আমি গিয়ে বিশালের কাধে হাত রাখলাম।আমাকে দেখেই বিশাল মুচকি হাসল।
আমিঃএসব না করলে হয় না।
বিশালঃআমি তো কম কস্ট পাই নি।
আমিঃছাড় না। ওকে ওর মত থাকতে দে।
বিশালঃসেটা সম্ভব না।আমি প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়ব।আমার প্রত্যেক টা চোখের পানির মূল্য দিতে হবে ওকে।
আমি আর কিছু বললাম না।চলে আসলাম আমার রুমে।






রুমে আসতেই দেখি রুদ্র কল দিয়েছে।আমি মুচকি হেসে কল রিসিভ করলাম।
আমিঃহ্যালো।
রুদ্রঃএকটু বারান্দায় আসো তারাতারি।
আমিঃকেন???
রুদ্রঃআসতে বলছি আসো।
আমি আর কোন কথা না বলে বারান্দায় চলে গেলাম একটা ওরনা নিয়ে।
আমি বারান্দায় গিয়ে দেখি রুদ্র গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি মুচকি হাসলাম।রুদ্র আমার মুচকি হাসি দেখে নিজেও মুচকি হাসল।
আমিঃ এতো রাতে এখানে কি?(ইশারায় বললাম)
রুদ্র কিছু না বলে মাটিতে হাটু ঘেরে বসে কিছু একটায় আগুন ধরালো।
আমি দেখলাম আগুন দিয়ে I love u লিখা।
আমিও মুচকি হেসে love u too বললাম।
তারপর রুদ্র আর কিছুক্ষন থেকে গাড়ি নিয়ে চলে গেল।আমিও রুমে চলে আসলাম।




সকালে আমার ঘুম ভাঙলো চিল্লাচিল্লিতে।
আমি ঘুম থেকে উঠে নিচে গিয়ে দেখি রুদ্র আর তার পরিবার বসে আছে হল রুমে।আমি ওদের দেখে হা হয়ে রইলাম।সবার নজর আমার দিকে আসতেই সবাই চুপ হয়ে গেল।
আমি একবার তাদের দিকে তাকিয়ে তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে তারাতারি দৌড়ে ওপরে চলে গেলাম।আমার যাওয়া দেখে সবাই হাসতে লাগলো।




আমি রুমে যেতেই বাবা,দাভাই আর ভাইয়া আমার রুমে আসল।
আমিঃবাবা এসব কি??
বাবাঃআমি চাই রুদ্রর সাথে তোমার বিয়ে হোক।
দাভাইঃশুধু বাবা না আমরা সবাই চাই।কারন রুদ্র আমার বিজনেস পার্টনার আমি ওকে খুব ভালো করেই চিনি।ও খুবই ভালো ছেলে।
ভাইয়াঃহুম আমি ও চাই তোর সাথে রুদ্রের বিয়ে হোক।
আমি মুচকি হেসে বললাম।
আমিঃ তোমরা যা ভালো বুঝবে তাই হবে।
আমার এই কথা শুনে সবার মুখে হাসি ফুটল।





আমি একটা কালো কালার সোনালি পারের শাড়ী পরলাম।চুলগুলা খোপা করলাম।কানে দুল আর একটু হালকা সাজ দিলাম।



আমাকে নিচে নিয়ে গেল আমার দুইভাই।আমাকে আমার বাবা আর ভাইদের কাছে বসানো হল।রুদ্রের মা,বাবা,রুদ্র আর রুশা এসেছে।আমি রুশার দিকে তাকাতেই সে আমার দিকে করুনা চোখে তাকাল।যার অর্থ আমি বুঝতে পেরেছি।




সবার কথা শেষ হল।এখন বিয়ের তারিখ ঠিক করবে সবাই।ঠিক তখনি আমি বলে উঠলাম।
আমিঃআমার কিছু কথা আছে।
সবাইঃকি?
আমিঃআমি চাই আমার বিয়ের সাথে সাথে আমার দুইভাইয়ের বিয়েও হয়ে যাক।
আমার কথা শুনে সবাই আমার দিকে বিস্ফোরক চোখে তাকাল।
আমি সবার দিকে তাকিয়ে একটা কেবলা হাসি দিলাম।




৩৫




জীবন এত ক্ষণস্থায়ী বলেই মাঝে মাঝে সবকিছু এমন সুন্দর মনে হয়।
বেশি দিন ভালবাসতে পারে না বলেই ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার।
তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে। সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে।
হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস, তাকে সবকিছু বলতে হয় না। অল্প বললেই সে বুঝে নেয়।
মানবহৃদয় আয়নার মত। সে আয়নায় ভালবাসার আলো পড়লে তা ফিরে আসবেই।
কাগজে-কলমে কোন সৌন্দর্যের যথার্থতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াতে হয়। সুখী হওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মানুষের। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।
সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা অসুখী।





যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে।
খুব বেশি সুন্দর কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব ভাল মানুষরাও বেশি দিন বাঁচে না। স্বল্পায়ু নিয়ে তারা পৃথিবীতে প্রবেশ করে।
যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করে, তখনই সে লজিক থেকে সরে আসতে শুরু করে। মায়া-মমতা-ভালবাসা এসব যুক্তির বাইরের ব্যাপার।








এসব কথাই নিজের ডাইরিতে আপন মনে লিখছে মেহেক।সে জানে না কিভাবে দাভাই সব জানতে পারল।
কিন্তু সে মনে করে যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।দাভাই যদি না জানত তাহলে সে নিজেই সব বলে দিত।
মেহেকঃআচ্ছা ফারদিন কি আমাকে ভালোবাসে?অবশ্যই বাসে।
মনের মাঝে এই উত্তর আসতেই মুচকি হাসল সে।
কিন্তু মনটা কেমন জানি খচখচ করেছে তার।
মেহেকঃআচ্ছা ফারদিন যদি আমাকে ভালোবেসে থাকে তাহলে সে আমাকে বিয়ে করতে অবশ্যই না করবে না।হুম আমি তাকে এক্ষুনি জিজ্ঞাসা করবো।
যেই ভাবা সেই কাজ।
মেহেক আর কিছু না ভেবে দাভাইকে কল করলো।




চলবে……….