তোর আসক্তি পাগল করেছে আমায় পর্ব-১০+১১

0
2757

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana (Saba)
#পর্ব_১০
…গভীর ঘুমের মাঝে ও মাথায় ক্রমাগত ঠোঁটের উষ্ণ স্পর্শ পাচ্ছি । কপালে বারবার তার ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে চলেছে। আর তার সাথে পানির ও অস্তিত্ব ও পাচ্ছি। ঘুমের মাঝে ও বুঝতে পারছি না আমার গায়ে পানি কোথায় থেকে পড়ছে। আচ্ছা বৃষ্টি হচ্ছে নাকি। আর তার সাথে ক্রমাগত ফিসফিসিয়ে আমাকে ডেকে চলেছে।
.
–“বেলা।
.
.বেলা আর চোখ বুঝে থাকতে পারে না আসতে আসতে চোখ খুলে তাকায়। সাথে সাথে যেনো হামলা হয়ে যায় ওর মুখের ওপর। সারা মুখের ওপর চুমু বর্ষণ হতে শুরু করে। বেলা পুরো হকচকিয়ে গেছে। সে সাঁঝ এর কোলের মধ্যে বুকের সাথে লেগে গুটিয়ে আছে। আর তাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে সাঁঝ। মুখ একটু ঘোরাতে ওদের থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে দিশা। আর সাথে চোখের পাতায় ভেসে বিষাক্ত স্মৃতি পট। বেলা সাঁঝ কে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরানোর চেষ্টা করে।
.
. সাঁঝ এতক্ষণ পর বেলা কে চোখ খুলতে দেখে নিজেকে আর সামলাতে পারিনি তাই রুমের মধ্যে যে সবাই আছে সেটা ও ভুলেই গেছিলো। বেলার ধাক্কা খেয়ে বাস্তবে ফেরে। যদিও ওর লাজ লজ্জা একটু কম। এতক্ষণ সবাই ওদের দিকে মুগ্ধ হয়ে দেখছিল। সাঁঝ একটু সরে যেতে বেলা সাঁঝ এর কোলে থেকে বিছানা হেলান দিয়ে বসে যায়।
.
. বেলা কে সাঁঝ এর থেকে সরে যেতে চারজন চার দিকে থেকে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। বেদ নিশান ওম রুহি। রুহি তো আরেকটু হলে কেঁদে দেবে এমন অবস্থা।
.
–“এই আমাকে তোমাদের সাথে নাও না। সারা মুখ টা কাঁদো কাঁদো বানিয়ে বলে ওঠে।
.
. এদিকে সারার কথা শুনে সবাই হেসে ফেলে বেদ নিশান দুজন দু দিকে একটু সরে গিয়ে সারা কে জায়গা করে হাত বাড়িয়ে দেয়। সাথে সাথে সারা গিয়ে বেলার গলা জড়িয়ে ধরে। ওরা পাঁচ জন এক সাথে বেলা কে জড়িয়ে রেখেছে। বেলা ও চোখে পানি আর মুখে এক টুকরো হাসি নিয়ে ওদের জড়িয়ে রেখেছে। ও জানে ওর এই চার বন্ধু তাকে কত ভালোবাসে। তার একটু কিছু হলেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়।
.
. সাঁঝ বিছানার কিনারে বসে ওদের এই মুহূর্ত টা দেখছে আর ভাবছে ওদের মধ্যে বন্ধুত্ব পূর্ণ ভালোবাসা টা।
.
–“ভাবি তুমি ঠিক আছো। সারিফ বলে ওঠে। সে ও এতক্ষণ রুমের মধ্যেই ছিল।
.
–” হে বেলা। ঠিক আছো তুমি এখন। কি হয়েছিলো তোমার হ্যাঁ। জানো আজ কত কাজ ছিল অফিসে শুধুমাত্র তোমার জন্য এস আর সব কাজ ফেলে ছুটে এসেছে। সব মিটিং ক্যানসেল করিয়েছে। তুমি একটু সাবধানে থাকতো পারনা। আজকে সাঁঝ আর আমার ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান ছিল। দিশা বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে।
.
–” মাফ করবেন ম্যাম। আমার জন্য আপনাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। আপনাদের উচিত হয়নি এত কাজ ফেলে সামান্য একটা কারণে এখানে ছুটে আসা। তাছাড়া আমি আপনাদের জানায় ও নি। আপনাদের আসার কোনো দরকার ছিল না। এখন আপনারা যেতে পারেন। আপনাদের কেউ আটকে রাখেনি। আমার জন্য আমার বন্ধুরা যথেষ্ট। বেলা তাচ্ছিল্য পূর্ণ ভাবে বলে ওঠে।
.
. রুমের সবাই বিরক্তি নিয়ে দিশা কে দেখছে। আর বেলার বন্ধুরা রাগে ফুসছে।
.
–“ভাই এখন তুমি দিশার সাথে যেতে পারো। আমরা ভাবি কে দেখে রাখব। ।সারিফ এবার কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে ওঠে।
.
–” সাঁঝ বেবি দেখো বেলা তো এখন ঠিক আছে। আর তার সাথে এরা ও ওকে দেখে রাখবে বলছে। আর তাছাড়া বেলা কোনো বাচ্চা মেয়ে নয়। চলো আমরা বেরিয়ে পড়ি। দিশা সাঁঝ কাছে এসে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে।
.
–” আমি কোথাও যাবো না দিশা। আর আমি তোমাকে এটা ও বলিনি যে আমি তোমার সাথে কোথায়ও যাব। তুমি এখন আসতে পারো। সাঁঝ খানিকটা রুক্ষ ভাবে বলে ওঠে।
.
–” বেবি । দিশা আবার ও কিছু বলতে নিলে।
.
–“জাস্ট লিভ। চিৎকার করে বলে ওঠে সাঁঝ।
.
. সাঁঝ এর এমন ধমক শুনে দিশা মুখ ফুলিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি সবার দিকে ইশারা করতে সবাই আসতে আসতে কেটে পড়ে। সাঁঝ উঠে দরজা লক করে আবার ও বিছানায় ফিরে আসে। বেলা চোখ বন্ধ করে বসে আছে। সাঁঝ বেলার কাছে গিয়ে এক টান মেরে বেলা কে নিজের বুকের ওপর ফেলে।
.
. বেলা এতক্ষণ চোখ বুঝে ছিল তাই হটাৎ এমন টান খাওয়াতে চমকে ওঠে। চোখ খুলে সামনে তাকাতে দেখে তার দিকে ছলছল করে গভীর নীল চোখ জোড়া তাকিয়ে আছে তার দিকে। এই চোখে কষ্ট যন্ত্রণা অসহায়ত্ব ফুটে আছে। চোখ গুলো লাল হয়ে ফুলে আছে। মুখের দিকে তাকাতে দেখতে পায় মুখ টা শুকনো হয়ে আছে। বেলা আসতে আসতে নিজের হাত উঠিয়ে সাঁঝ এর গালে রাখে। আলতো হাতে সাঁঝ এর গালে স্লাইড করতে থাকে। সাঁঝ বেলার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। যে চোখে এখন তার জন্য কষ্ট ভালোবাসা চিন্তা দেখতে পাচ্ছে। সাঁঝ নিজের মুখ আলতো ঘুরিয়ে বেলার হাতে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ায়। বেলা সাঁঝ এর ঠোঁটের স্পর্শে কেঁপে ওঠে। বেলা নিজের মুখ সাঁঝ এর মুখের কাছে সরিয়ে আনে। হঠাৎ সাঁঝ এর কাঁধের দিকে চোখ যেতেই বেলা থমকে যায়। বেলার হাত সাঁঝ এর গালে থেকে নিচে পড়ে যায়। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। বেলা কোনো কথা না বলে সাঁঝ এর থেকে সরে আসতে নিলে সাঁঝ বেলার কোমর ধরে আটকায়।
.
. সাথে সাথে বেলা এক ঝটকায় সাঁঝ এর হাত নিজের কোমর থেকে সরিয়ে দেয়। তার শরীরে যেনো কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সাঁঝ অবাক হয়ে বেলার দিকে তাকিয়ে হাত এগিয়ে আবারো বেলা কে ধরতে গেলে বেলা চিৎকার করে ওঠে।
.
–“ডোন্ট টাচ মি। ছোঁবেন না আমাকে। আপনার ওই হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করবেন না। বুঝতে পেরেছেন ঘৃণা করি আমি। ঘৃণা করি। আপনার এই স্পর্শ এখন আমার কাছে বিষাক্ত লাগছে। দম আটকে আসছে আমার মনে হচ্ছে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আমাকে। যেখানে যেখানে স্পর্শ করেছে সেখানে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। আপনার এই স্পর্শ কে আমি ঘৃণা করি। আপনাকে ঘৃণা করি। আপনাকে আমি সহ্য করতে পারছি না। আর নিতে পারছিনা আমি আপনাকে। মুক্তি দিন আমাকে।এখন তো আপনার দিশা এসে গেছে। তাহলে আমাকে কেনো আটকে রেখেছেন আপনি ছেড়ে দিন আমাকে মুক্ত করে দিন আমাকে। বেলা চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ অবাক হয়ে বেলা কে দেখছে। তার চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে। বেলার যে চোখে এতক্ষণ তার জন্য ভালোবাসা দেখেছিল। সেই চোখে ফুটে আছে এখন একরাশ ঘৃণা। কষ্ট যন্ত্রণা অভিমান রাগ।
.
–“আপনার এই মিথ্যা ভালোবাসার নাটক বন্ধ করুন এবার। আপনি আমার জীবন টা পুরো নরক বানিয়ে দিয়েছে। পুরো নাটকের রঙ্গ মঞ্চ। যখন মনে হবে কষ্ট দেবেন যখন মনে হবে মিথ্যে ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নেবেন। কেনো কেনো বলুন তো। আমি কি আপনার হাতের পুতুল। অফিসে রোম্যান্স করে ও আপনার মন ভোরেনি এখন আপনি আমাকে নিয়ে খেলতে চাইছেন। আর তারপর আবারো ছুড়ে ফেলবেন। সেটা আর কখন হবে না। কখন না। আমি থাকব না আপনার কাছে। আপনাকে আমি ঘৃণা করি শুধু ঘৃণা। বেলা চিৎকার করে বলে ওঠে।
.
. বেলার কথা শুনে রাগে সাঁঝ এর কপালের রগ ফুলে উঠেছে। চোখ মুখ শক্ত হয়ে গেছে। হাত মুঠো বেঁধে রেখেছে। তার কানে বাজছে বেলার কথা গুলো ঘৃণা করি। বেলার দিকে তেড়ে যেতে গিয়ে মনে ওঠে একটু আগে বেলার বলা কথা টা আপনার স্পর্শ আমার কাছে বিষাক্ত লাগছে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। সাঁঝ উঠে বেড বক্সে থাকা কাঁচের জগ টা কে আছাড় দেয়। বেলার দিকে একবার তাকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় দমদমিয়ে।
.
. বেলা হাঁটু মুড়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তার বুক ফেটে কান্না আসছে। রক্তপাত শুরু হয়ে গেছে তার মধ্যে। এতদিন একটু একটু করে নিঃস্বেস হয়ে যাচ্ছে।
.
–“কেনো করলে এমন। কেনো। আমার সাথে এটা করার কি খুব দরকার ছিল। কেনো। মম বাপি তোমরা কেনো আমাকে একা করে চলে গেলে। কেনো আমাকে এই পৃথিবীতে একা ছেড়ে গেলে। আমাকে ও তোমাদের সাথে কেনো নিয়ে গেলে না।
বেলা কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে।
.
. বেলা আসতে আসতে বিছানা ছেড়ে উঠে থাই গ্লাস সরিয়ে গার্ডেন যুক্ত খোলা বারান্দায় চলে আসে। এটা বারান্দা কম গার্ডেন যুক্ত ট্যারেস বলা যায়। বেলা আসতে আসতে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। তার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। শাড়ির আঁচল মাটিতে টানা খাচ্ছে। চুল গুলো সব এলোমেলো হয়ে আছে। চোখ গুলো কান্নার ফলে আরও ফুলে গেছে। একদম কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বেলা। মুখ আকাশের দিকে। রাতের আকাশে পুরো কালো মেঘে ডেকে আছে। তার জীবন ও তো কালো মেঘে ঢাকা। যেখানে শুধু এক পাহাড় সমান দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা বেদনা লুকিয়ে আছে। যেখানে নেই কোনো ভালোবাসার ছোঁয়া। পুরোটাই নিকশ কালো অন্ধকারে ঢাকা।
.
. হটাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। তার কান্না দেখে আকাশ ও কান্না করছে। এটা ভাবছে। তার পর নিজের ভাবনা দেখে নিজেই একটা তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দেয়। তার সাথে কান্না করার মত কেউ নেই। সে এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গেছিলো এটা ব্যাঙ্গালোর সিলিকন ভ্যালি অফ ইন্ডিয়া আর এখানে আকসার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় আর তার কিছুক্ষন এর মধ্যে বৃষ্টি থেমে যায়। বৃষ্টির কোনো ঠিক নেই যখন তখন বিনা নিমন্ত্রণে চলে আসে।
.
. বেলা আকাশের দিকে মুখ উচু করে চোখ বন্ধ করে নেয়। হাত দুটো ছাড়িয়ে দেয় দু দিকে। মিশে যেতে চায় এই বৃষ্টির সাথে। বৃষ্টির পানির সাথে তার চোখের পানি মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে এসে ভেসে উঠছে সেই বিষাক্ত অতীতের কিছু দৃশ্য। এই রকম এক বৃষ্টির রাত ছিল সেদিন ও। আসতে আসতে ধুলো পড়ে থাকা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে আসে।

—————–

বৃষ্টির রাত। চারিদিকে শুনসান কেউ কোথাও নেই রাস্তার পাশে চারিদিকে বৃষ্টির ফোটা মুখরিত হচ্ছে সা সা করে শব্দ হচ্ছে। এই বৃষ্টির রাতে ও রাস্তায় আছে পাঁচ জন ছেলে মেয়ে।
.
–“আরে ইয়ার আজকে প্রোগ্রাম টা সেরে বেরোতে বড় দেরি হয়ে গেলো। বেদ বলে ওঠে।
.
–” আরে ইয়ার দেরি হয়েছে বলেই তো এত সুন্দর ভাবে বৃষ্টির মজা নিতে পাচ্ছি দেখ। বেলা হাত দুটো তার দু দিকে ছাড়িয়ে দিয়ে আকাশের দিকে মুখ করে রাস্তার মাঝে ঘুরতে ঘুরতে বলে ওঠে।
.
–“ধুর পুরো ড্রেস খারাপ হয়ে গেলো এই বৃষ্টির জন্য রুহি বলে ওঠে।
.
–“আরে বেলা ওই দেখ সামনে নিশান বলে ওঠে।
.
. সবাই সামনে তাকাতে দেখে এক জন লোক রাস্তার মাঝে পড়ে আছে পাশেই পড়ে আছে তার জিনিস পত্র। চারদিকে ছড়িয়ে আছে তরকারি জিনিসপত্র। ওরা তাড়াতাড়ি গিয়ে লোকটা কে তুলতে দেখতে পায় মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে।
.
–” লাগছে কোনো আমির বাপের বিগড়ে যাওয়া ছেলের কাজ। মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় সাধারণ মানুষের ওপর। বেদ রেগে বলে ওঠে।
.
–” এখন ওসব ছাড় আমাদের কে এক্ষুনি ওনাকে হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে। বেলা বলে ওঠে।
.
. দূর থেকে গাড়ির লাইট দেখতে পেয়ে বেলা উঠে দাঁড়িয়ে যায়।
.
–” তোরা ওনাকে দেখ আমি দেখছি গাড়ি দাঁড় করাতে পারি কিনা। বলে বেলা সামনে এগিয়ে যায়।
.
. দূর থেকে গাড়ি ছুটির আসছে আর বেলা ও মাঝ রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হাত উচু করে থামার জন্য। গাড়ি বারবার হর্ন দিচ্ছে তবুও বেলা এগিয়ে আসছে।
.
–” স্যার এক টা মেয়ে দেখুন রাস্তার মাঝখান দিয়ে এগিয়ে আসছে গাড়ির দিকে। মনে হচ্ছে মেয়েটা কোনো বিপদে পড়েছে।
.
–” ওকে ।
.
. গাড়ি এসে ঠিক বেলার সামনে থামে। বেলা তাড়াতাড়ি সরে এসে জানালা দিয়ে ড্রাইভার কে বলে ওঠে।
.
–“দেখুন সামনে একজনের খুব অবস্থা খারাপ হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে। যদি আমাদের একটু সাহায্য করতেন। দেখুন এই বৃষ্টির রাতে কিছু পাচ্ছি না। একটু হেল্প করুন। ওনার অবস্থা খুব খারাপ। বেলা একদমে বলে ওঠে।
.
–” আকাশ দেখো কি হয়েছে। গাড়ির ভিতর থেকে একটা তীক্ষ্ণ পুরুষালি ঝংঙ্কারময় আওয়াজে বলে ওঠে।
.
. আওয়াজ শুনে বেলার হৃৎপিন্ড পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। সারা শরীরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। বেলা একবার ভিতরে দিকে তাকিয়ে শব্দ এর উৎস খুঁজতে চেয়ে ও নিজেকে সরিয়ে নেয়। বেলা তাড়াতাড়ি করে বেদদের কাছে গিয়ে ধরা ধরি করে লোক টা কে গাড়িতে তুলে নেয়।
.
. বেলা গাড়ির পিছনে সবার সাথে বসে সামনে বসা ওই পুরুষালি ঝংঙ্কারময় কন্ঠের লোকটা কে দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটাও বিফলে যায়। ঘাড়ের এক অংশ ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। কানের কাছে গলায় একটা কালো তিল ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না মুখের একটু দেখা যাচ্ছে হালকা দাড়ি আছে। গাড়ির হালকা আলোতে এটুকু দেখতে পাচ্ছে তার বেশি না।
.
. লোকটা কে ওরা হসপিটাল এ অ্যাডমিট করে ডক্টর এর সাথে কথা বলে তারা সবাই বাড়ি ফিরে আসে।
.
. পরের দিন স্কুলে টিফিন টাইম সবাই একসাথে বসে গ্রাউন্ডে আড্ডা দিচ্ছে তারা পাঁচজন ছাড়া ও আরও কিছু তাদের ক্লাস মেট বসে আছে। তারা এখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ে। বসে বসে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ করেই বেলার কানে আসে আগের দিন রাতের সেই তীক্ষ্ণ পুরুষালি কন্ঠ। সাথে কেঁপে ওঠে বেলা পিছন ফিরে শব্দ এর উৎস খুঁজতে থাকে তাদের থেকে একটু দূরে একটা ফোন হাতে বসে আছে আর সেখান থেকে এই আওয়াজ আসছে। বেলা ছুটে গিয়ে মেয়েটার হাত থেকে ফোন নিয়ে দেখতে থাকে। এটা কালকের রাতের লাইভ টেলি কাষ্ট হচ্ছে। ব্যাঙ্গালোর সিটি নিউ গভর্নমেন্ট লিডার শিপ। যেখানে অ্যানাউন্সমেন্ট হচ্ছে শফথ গ্রহণ এর। বিজনেস টাইকুন সাঁঝ রওশন ব্যাঙ্গালোর সিটি নিউ গভর্নমেন্ট লিডার। বেলা পুরো মুখটা তে চোখ বুলাচ্ছে। তার চোখ গিয়ে আটকে যায় ঠিক কানের নিচে একদম গলায় থাকা কালো তিল এর ওপরে। বেলা এবার পুরো কর্নফ্রম হয়ে যায় যে এই ব্যাক্তি সেই কাল রাতের ব্যাক্তি ছিল। বেলার মুখে ফুটে ওঠে একটা এক টুকরো হাসি। আর তার সাথে বুকের ভিতরে ধুকপুকানি টা আরো জোরে বাড়তে থাকে।
.
. হঠাৎ পিছন থেকে কেউ শক্ত জড়িয়ে ধরায় আতকে ওঠে বেলা ঘোর কেটে বেরিয়ে আসে স্মৃতি পট থেকে। নিজেকে হওয়ায় ভাসতে অনুভব করে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতে দেখে চোখ মুখ লাল করে তার দিকে তাকিয়ে আছে এক জোড়া গভীর নীল চোখ।
.
.
.
.💝💝💝
.
. চলবে…

#তোর_আসক্তি_পাগল_করেছে_আমায়
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_১১
.. বেলা চমকে পিছনে তাকাতেই দেখে সাঁঝ তাকে কোমরে ধরে পিছন থেকে জড়িয়ে উচু করে তার সমান করে ধরে রেখেছে। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। চোখে লেগে আছে নেশা আসক্তি মাখা। বেলা এক ঝলক সাঁঝ কে দেখে নেয় পুরো। হটাৎ করে সাঁঝ বেলা কে নিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ওদের পাশ কেটে বেরিয়ে একটা বুলেট। আর তার সাথে সাথে ওদের পিছনে থাকা টুল এর ওপর ফুলের টব টা ভেঙে নিচে পড়ে। হটাৎ আচমকা এমন হওয়াতে বেলা ভয়ে সাঁঝ কে আকড়ে ধরে চোখ মুখ খিঁচে রেখেছে। সাঁঝ বেলা কে জড়িয়ে নিয়ে উঠে বসে। বেলা কে ভয়ে চোখ মুখ বন্ধ রেখে তাকে এই ভাবে আকড়ে থাকতে বেলার মুখের দিকে কিছুক্ষণ দেখে। দু হাত বেলা কে নিজের কোলে তুলে রুমে এসে একেবারে ওয়াশরুমে শাওয়ার এর তলায় নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। বেলা নিজের ওপর হালকা উষ্ণ পানির স্পর্শ পেয়ে আসতে আসতে চোখ খুলে তাকায়। সাঁঝ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে ভেসে ভয় হারানোর।
.
. বেলা কে নিজের দিকে তাকাতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে বেলার ঠোঁট জোড়া নিজের ঠোঁটের ভাঁজে নিয়ে। বেলা নাড়াচাড়া করতে পারছে না। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে সে। আর একটু আগের দৃশ্য টা ওর চোখে ভাসছে। ও কিছুতে এখন সাঁঝ এর এই আদর ফিল করতে পারছে না।
.
. সাঁঝ বেলার অবস্থা বুঝতে পেরে বেলা কে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। বেলার কোমরে হাত রেখে হালকা করে চেপে নিয়ে প্যাশনেট ভাবে কিস করতে থাকে। বেলা একহাত দিয়ে সাঁঝ কোমরে ও আরেক হাত মাথার পিছনে আকড়ে ধরে। সাঁঝ বেলার প্রতিক্রিয়া দেখে আরো সফ্টলি কিস করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর বেলা পুরো তার আদরে মুড়ে যেতেই সাঁঝ বেলার ঠোঁট ছেড়ে কপালে ঠোঁট রেখে গভীর এক চুমু খায়।
.
–“ঠান্ডা লেগে যাবে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি ড্রেস দিচ্ছি। সাঁঝ বেলার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে বেরিয়ে যায়।
.
. এদিকে বেলা ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে সাঁঝ রেডি হচ্ছে। চোখ মুখে হিংস্রতা ছেঁয়ে আছে নীল চোখ পুরো লাল হয়ে আছে কপালের রগ গুলো ফুলে আছে। বেলা বুঝতে পারছে সাঁঝ এখন প্রচণ্ড রেগে আছে। আর তার কারণ টা ও বেলা জানে। সাঁঝ পুরো ব্ল্যাক গেট আপ নিয়েছে। ফর্সা টকটকে মুখের সাথে ব্ল্যাক যেনো ফুটে আছে। পুরো জল জল করছে। গলায় ওই তিল টা জেনো আরো উজ্জ্বল হয়ে আছে।
.
. সাঁঝ মাথা ঘুরিয়ে দেখে বেলা তার দিকে তাকিয়ে আছে। মাথা থেকে টপ টপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। ভালো করে চুল গুলো ও মুছতে পারে না। এটা সাঁঝ প্রথম দিন থেকে দেখে আসছে। মুখে লেগে আছে বিন্দু বিন্দু পানি। কপাল বেয়ে গলায় গড়িয়ে পড়ছে পানি। সাঁঝ এর ঘোর লেগে আসছে। প্রচুর পরিমাণে নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে যেটা অতিরিক্ত অবিরাম। যার পরিমান দিনে দিনে আরো বেড়ে চলেছে। সাঁঝ এখন এই নেশায় ডুবে যেতে চায় না। তাই অতি কষ্টে নিজের চোখ সরিয়ে নেয়। বিছানা থেকে টাওয়েল নিয়ে বেলা কে টেনে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে নিজে চুল গুলো মুছে দিতে থাকে। বেলার এই নিষ্পাপ মাসুম মায়াবী মুখের দিকে যতো দেখছে ততই রাগ বাড়ছে। আরো হিংস্র হয়ে উঠছে।
.
.একটু আগের ওই ভয়ানক দৃশ্য টা ভেসে উঠছে সাঁঝ এর চোখের সামনে। ও যদি খবর টা না পেতো। ও যদি ঠিক সময়ে না এসে পৌঁছত। তাহলে কি হতো। এটা ভেবে তার বুক কেঁপে উঠছে। সে বেলা কে হারিয়ে ফেলত যদি আর একটু দেরি করত বেলা কে সরিয়ে নিতে।
.
. বেলার কোমরে সমান লম্বা চুল গুলো কে টাওয়েল পেচিয়ে কাঁধের এক পাশে রাখে। চোখ উন্মুক্ত পিঠের দিকে যেতে সাঁঝ এর শরীরে শিহরন জেগে যায়। কেঁপে ওঠে তার হৃৎপিন্ড। এক্সপ্রেস এর বেগে বিট করতে থাকে। বেলার ব্লাউজ ব্যাক লেস হওয়ায় পিঠ অনেক টাই উন্মুক্ত হয়ে আছে। পিঠে ঠিক মাঝখানে ত্রিভুজ আকৃতি তিল। লেভি দিয়ে পরিমাপ করলে হয়তো পুরো কাঁটায় কাঁটায় হবে। একসাথে তিনটে তিল জল জল করছে আর তার পাশে আছে বিন্দু বিন্দু পানি। সাঁঝ আর নিজেকে সামলাতে না পেরে বেলার নেশায় আসক্ত হয়ে পিঠে ওই তিল এর ওপর নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়। বেলা হঠাৎ এমন স্পর্শে কেঁপে ওঠে। চোখ গুলে চেপে বন্ধ করে নেয়। হাত চেপে মুঠো বাধে শাড়িতে। সাঁঝ ডুবে যায় বেলার মাঝে।
.
. হটাৎ ফোন বেজে ওঠায় বেলা চমকে সরে যেতে নিলে সাঁঝ বেলা কে আটকে রাখে নিজের সাথে। সাঁঝ বেলার পিঠে মুখ চুবিয়ে রাখে। এক হাতে দিয়ে কানে থাকা ব্লুটুথ কানেকশন এ রিসিভ করে। ফোন ওপারে কথা শুনে আসতে আসতে সাঁঝ নেশা কেটে গিয়ে হিংস্র তে পরিনত হয়। চোখ মুখ লাল হয়ে যায়।
.
–“আই এম কামিং। সাঁঝ মুখ তুলে বলে ওঠে শীতল কন্ঠে।
.
. বেলা কেঁপে ওঠে সাঁঝ এর এমন কন্ঠ শুনে চোখ খুলে সামনে আয়নায় তাকাতে চমকে যায়। সাঁঝ এর চোখে মুখের পরিবর্তন দেখে। বেলা ঘুরে সাঁঝ এর দিকে দাঁড়াতে সাঁঝ বেলার কপালে একটা গভীর চুমু দেয়।
.
–” ঘুমিয়ে পড়। আর রুমের বাইরে পা রাখবে না। বলে সাঁঝ বেরিয়ে যায়।
.
. কিন্তু হঠাৎ হাতে টান পড়াতে পিছন ঘুরে দেখে বেলা তার হাত ধরে আছে। চোখে মুখে তার উদ্বিগ্ন ভয় প্রশ্ন নিয়ে তার দিকে চেয়ে আছে।
.
–” চিন্তা নেই। বেঁচে ফিরে আসবে সাঁঝ বেলার কাছে। ঘুমিয়ে পড়। বলে বেরিয়ে যায়। রুম থেকে বেরিয়ে যায় সাঁঝ।
.
. বেলা ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছে সাঁঝ এর চলে যাওয়ার দিকে। মুখে ফুটে আছে ভয়ের ছাপ। একটু আগের কথা ভাবতে বুক কেঁপে ওঠে। আজ যদি সাঁঝ ঠিক সময় মত না আসতো তাহলে যে কি হতো বেলা আর ভাবতে পারছে না। চোখের সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসছে। বিছানায় বসে দেয়ালে টানানো তার ছবির দিকে তাকায়। এটাই সেই দিন ছিল যখন ও সাঁঝ এর ডিটেইল নিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছিল। সাঁঝ কে নিয়ে পাগলামি শুরু করেছিল। চোখের সামনে ভেসে ওঠে পুরোনো স্মৃতি।

——————

–“আরে ইয়ার বেলা । আর কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবি। আমাদের কে ভিতরে যেতে দেবে না। দেখ এবার তো ফিরে চল। বেদ বলে ওঠে।
.
–” স্কুল ডুব দিয়ে তুই তোর আনজানা ক্রাশ এর খোঁজে বেরিয়েছিস ভাবতে পারছিস। মানে এটা তুই আমাদের বেলা তো? প্রশ্ন করে ওঠে নিশান।
.
–“ওহ জাস্ট সাট আপ নিশ । বেলা তার দৃষ্টি সামনের বিল্ডিং এর টপ ফ্লোরে স্ক্যান করাতে করাতে বলে ওঠে।
.
–“আরে বাবা তুই কি এই মাটিতে দাঁড়িয়ে ওই আকাশ সমান বিল্ডিং এর টপ ফ্লোর স্ক্যান করাতে পারবি শুনি। রুহি বলে ওঠে।
.
–“ওহহোও তোর এই ক্রাশ এর চক্করে আমরা না বাঁশ খেয়ে যাই। ওম বলে ওঠে।
.
. সামনে দিকে তাকাতে হটাৎ বেলার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। চোখ গুলো চিক চিক করে ওঠে। বেলার দৃষ্টি অনুসরণ করে সবাই সামনে তাকাতে দেখে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে বেসমেন্ট এর দিকে যাচ্ছে সাঁঝ রওশন। পুরো ব্ল্যাক গেট আপ। বেলা তাড়াতাড়ি করে নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে পটাপট ছবি তুলে নেয়। নিজে ঘুরে দাঁড়িয়ে সাঁঝ বলে এক চিৎকার দিয়ে সাঁঝ এর সাথে রান্ডডমলি ক্লিক করতে থাকে। ওদের মধ্যে গ্যাপ অনেক টাই কিন্তু রান্ডডমলি ক্লিক করার জন্য সাঁঝ এর সাথে বেশ কয়েকটা ছবি উঠে যায়। সাঁঝ এর গাড়ি বেরিয়ে যেতেই বেলা চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠে।
.
. এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বেলার বন্ধু গুলো অবাক হয়ে বেলার পাগলামি দেখতে থাকে। বেলা যে সব সময়ে আখড়ু হয়ে থাকতো সেই এখন প্রেমে পড়েছে। বেলা ছবি গুলো চেক করতে করতে দেখে সাঁঝ তার দিকে ফিরে তাকিয়ে ছিল এক ঝলক আর তখন ক্যামেরা বন্দি হয় মুহূর্ত টা। সাথে সাথে আপলোড করে বেলা ছবিটা।
.
.❤️””দেখেছি তোমায় এক ঝলক বৃষ্টির রাতে। পড়ে গেছি নেশায় তোমার কন্ঠে।
ডুবেছি ওই গভীর নীল চোখের সমুদ্রের মাঝে।
আজ মরেছি তোমার নেশায় আসক্তিতে”” ❤️
❤Dream man❤️
.
. ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করে দেয় নিজের আইডিতে বেলা ।
.
.রাস্তার মাঝ দিয়ে এগিয়ে চলেছে পাশাপাশি তিনটে বাহন। দুটো বাইক ও একটি স্কুটি। বেলা পিছনে বসে দু হাত দু দিকে মেলে দিয়ে পিছনের দিকে হেলে পড়েছে।
.
. 🎶 ঝিরি ঝিরি স্বপ্ন ঝরে
দুটি চোখের সীমানায়
চুপি চুপি কানে কানে
কেউ আমাকে ডেকে যায়
মন হারানোর এ সময়ে
পাখা মেলে না জানি যাব কোথায় 🎶
.
. এটুকু গেয়ে বেলা স্কুটি থেকে লাফিয়ে পড়ে। রাস্তার মাঝে থেকে এবার স্কুটির সাথে আকাবাকা ভাবে ছুটতে ছুটতে গেয়ে ওঠে।
.
. 🎶 তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয়

তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয় 🎶
.
. রাস্তার মাঝে পা ছড়িয়ে বসে গালে হাত দিয়ে হেসে আবার ও গেয়ে ওঠে। আর রাস্তা থেকে যাওয়া সবাই দেখতে থাকে।
.
. 🎶একলা ঘরে মনে পড়ে
পথে প্রথম দেখার ছবি যে
ভয় জড়ানো শিহরনে
লিখি প্রেমের চিঠি যে

একলা ঘরে মনে পড়ে
পথে প্রথম দেখার ছবি যে
ভয় জড়ানো শিহরনে
লিখি প্রেমের চিঠি যে

হাত বাড়ানো এই সময়ে
পাখা মেলে না জানি যাব কোথায় 🎶
.
. বেলা হাত পা ছিটিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে দু পা দু পা করে এগিয়ে যায়। আর পাশ থেকে গাড়ি গুলো বেরিয়ে যায় বেলার পাগলামি দেখতে দেখতে। কেউ সিটি বাজাচ্ছে তো কেউ চিৎকার করে বেলার সাথে তাল মেলাচ্ছে।
.
. 🎶তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয়

তেরে রা রা রুরু মন উড়ু উড়ু
প্রেম হল শুরু মনে হয় 🎶
.
. বেলার এই পাগলামি সাথে তালে তাল মিলিয়ে তার চার বন্ধু ও সামিল হয়। সারা রাস্তায় এই রকম পাগলামি করে। আর বেলা তো পুরো ডুবে আছে সাঁঝের স্বপ্নে বিভোর হয়ে।

. দূর থেকে যে কেউ বেলার এই পাগলামি দু চোখ ভোরে দেখ ছিল সেটা তারা বুঝতে পারিনি। বেলার এই গান আর করা পাগলামি দেখে তার ও মুখে ফুটে ওঠে একটা মিষ্টি হাসি।

—————-

. হালকা আলো আধারি রুমের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে সাঁঝ। হলির মত তার পুরো শরীরে মেখে আছে রক্ত। সামনে পড়ে আছে দুটো লাশ। নৃশংস ভাবে পড়ে আছে। কেউ দেখলে আতকে উঠবে। সাথে সাথে হার্ট ব্রেক করবে।
.
–“আমার কলিজায় হাত বাড়ালে তার অবস্থা এমন হবে। এর থেকে ও ভয়ানক। কাউকে ছাড়ব না আমি। যে এই সাহস করবে তার সাথে সাথে পাতা কেটে যাবে। সাঁঝ দাঁত কিড়মিড় করে বলে ওঠে সাঁঝ।
–” আকাশ এর পিছনে কে আছে খোঁজ নাও। আমি যেনো সকালে এই খবরটা পেয়ে যাই। গট ইট। সাঁঝ হুঙ্কার ভরা গলায় বলে ওঠে।
.
. সাঁঝ রওশন এর জানের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস করে খুব ভুল করেছে এর পরিণতি খুবই ভয়ংকর হবে যেটা কোনো দিন ভাবতে পারবে না।
.
.
.
. 💝💝💝
.
. চলবে….
.
. ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন ।সবাই নিজেদের মতামত জানাবেন। 😊 😊 😊