তোর রঙে রাঙাবো পর্ব-০২

0
2639

#তোর_রঙে_রাঙাবো
#Part_02
#Writer_NOVA

দিনটা আমাদের কাছে যতটা অপরুপ ও ঝকঝকে পরিষ্কার। রাতটা তার শতগুণ হিংস্র ও ধোঁয়াসা।রাত না থাকলে হয়তো আমরা ভালো মানুষের মুখোশে থাকা পশু সদৃশ অমানুষদের চিনতে পারতাম না।রাতের ঘন অন্ধকারে তাদের আসল রূপ আমাদের কাছে ধরা পরে।

ঘড়ির কাটা ১১ টা ছুঁই ছুঁই করছে।বাগানে কিছু সময় পায়চারি করে রুমে চলে এসেছি।কিন্তু ভাইয়ুর আসার নাম নেই। বিকালে যে বের হয়ে গেলো তার কোন খবর নেই। গতকাল কলেজে নামিয়ে দেওয়ার পর আজ রাত পর্যন্ত তার সাথে আমার দেখা হয়নি।গতরাতে অনেক রাত করে ফিরিছে।সকালে খাবার তৈরি করে আমাকে না ডেকে বের হয়ে গেছে। রাত ১২ টা বাজতে চললো অথচ তার খবর নেই। কলে ট্রাই করছি তাও হচ্ছে না। সুইচ অফ বলছে।একরাশ রাগ ও অভিমান নিয়ে রুমের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম।

আমিঃ আমার মতো আজ তারা গুলোকেও ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে। ওরা ও একে অপরের বহুদূরে।ভাইয়ু কখন আসবে তুমি? তুমি ছাড়া যে আমার কেউ নেই। তোমার মতো আমাকে নিয়ে যে কেউ ভাবে না। জানি না কি জব করো তুমি? এত রাত পর্যন্ত থাকতে হয় কেন? এমন জব লাগবে না আমাদের। আমার একা ভীষণ ভয় করে।তোমার জন্য তো সবসময় মন খারাপ হয়ে থাকে।দিনকাল ভালো নয়।যদি কেউ তোমার ক্ষতি করে বসে।তাহলে আমি যে নিঃস্ব হয়ে যাবো।বাবা-মা তো কবেই আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। তারা থাকলে হয়তো তোমার অভাবটা পূরণ হতো।তুমি আমার জন্য কত কষ্ট করো।আর আমি রাজরাণীর মতো সবসময় তোমাকে খাটাই।তোমার এই ছোট্ট বোনটাকে মাফ করে দিও।কারণ আমি তোমাকে আরো বেশি করে জ্বালাবো তাই।

চোখ দিয়ে টপটপ করে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো।বাবা-মা কে খুব মনে পরছে। আমাদের জেলার বিখ্যাত সৈয়দ বংশের ছেলে মেয়ে এখন নিজেকে গোপন করে রেখেছে। একসময় যেই সৈয়দ বংশের কারণে সবাই ভয়ে কাপতো সেই বংশের সন্তানরা আজ আত্মগোপন করে ভিন্ন জায়গা পরে রয়েছে। ব্যাপারটা কি অদ্ভুত তাই না।কিন্তু এটাই সত্যি।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে বাইরের রোডের দিকে চোখ গেলো।ছোট এক মালবাহী ট্রাকভর্তি জিনিসপত্র নিয়ে কতগুলো ছেলে মেয়ে যাচ্ছে। আমি প্রথমে বিষয়টা পাত্তা দিলাম না।কিন্তু ট্রাকটা কিছু দূর যাওয়ার পর মাঠের অপর পাশে থামলো।

আমিঃ এতো রাতে কারা আসলো? ঐ দিকটা তো বস্তি এলাকা।সবার পরনে কিরকম অদ্ভুত দেখতে পোশাক? এই গরমে কেউ জ্যাকেট পরে তা এদের না দেখলে বুঝতাম না।একজনেরও মুখ বোঝা যাচ্ছে না। মাথায় জ্যাকেটের টুপি পরা।অন্ধকারের কারণ মুখ দেখা যাচ্ছে না। এই রে বস্তি এলাকার কোন ক্ষতি করতে যাচ্ছে না তো।

আমি ভয়ে উদগ্রীব হয়ে তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে গেলাম।কিন্তু বিপত্তি ঘটলো গেইটের সামনে এসে। এতো রাতে তো দারোয়ান চাচা আমাকে বাইরে যেতে দিবে না।তাহলে ভাইয়ু তাকে চাকরিতে রাখবে না। নখ কামড়ে এদিক সেদিক পায়চারি করতে লাগলাম।হঠাৎ চাচা একটু দূরে সরে গেল। আমি সেই ফাঁকে
গেইট আস্তে করে খুলে ভো দৌড় দিলাম।রোডের পাশে দোতলা বাড়িতে আমরা থাকি।রোড পার হলে উত্তর দিকে বিশাল বড় মাঠ।তার পাশেই বস্তি এলাকা।আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ট্রাকটার পেছনে দাঁড়ালাম। আমি যা দেখলাম তাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম।আল্লাহ, এমন মানুষও আছে আজকালকার দিনে।ভালো মতো উঁকি মেরে দেখতে নিলে এক জোড়া হাত পেছন থেকে আমার মুখে রুমাল চেপে ধরে। আমি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার বাহু ডোরে ঢলে পরি।তারপর কিছু মনে নেই।

🌺🌺🌺

গোডাউনের উঁচু স্তুপে বসে আছে সেই যুবক।যে লতিফ সাহেবকে নিজ হাতে মেরেছিলো।আজও তার চোখ মুখে হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে।এক হাতের গান দিয়ে কপালে স্লাইড করছে ও আরেক হাতের গানটা উল্টো দিকে তাক করা। তার সামনে দুই হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ৩০ বয়সের এক ছেলে।নাম রাফি।দুই হাঁটু গেড়ে মাথা নিচু করে বসে আছে রাফি।যুবকটা বেশ কিছু সময় রাফিকে খুব নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করলো।তারপর স্তুপ থেকে নেমে ছেলেটার সামনে এসে দাঁড়ালো।

—- যদি ভালো চাস তাহলে চুপচাপ তোর বসের নামটা বলে দে।যে তোকে আমাদের ডেরায় পাঠিয়েছে। নয়তো তোকে মারতে আমি ২য় বার ভাববো না।নিজের জীবনের মায়া থাকলে বলে দে।আমি তোকে সহি সালামত ঘরে পৌঁছে দিবো।তোর পুরো সিকিউরিটি আমার।আমার সকল খবর নিতে তোকে পাঠিয়েছে গুপ্তচর হিসেবে। স্ট্রেঞ্জ,বিষয়টা আসলেই ভাববার মতো।

রাফি মাথা উঠিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে আবার নিজের মাথাটা নিচু করে ফেললো।

— তুই হাসছিস কেন?আমি কি কোন জোকস বলেছি?তোর কি আমাকে জোকার মনে হয়? কি ভাবিস তুই নিজেকে?আমাকে তাচ্ছিল্য করিস।(রেগে)

যুবকটার রাগী স্বর শুনে তার গার্ডরা ভয়ে কাঁপছে।তাদের বস রেগে গেলে তাদের কপালেও শনি আছে। তাই সেখান থেকে যুবকটির ডান হাত হাসিব নামের ছেলেটি এগিয়ে এলো।

হাসিবঃ ভাই, এতটা হাইপার হয়েন না।আমাদের ঠান্ডা মাথায় সব কাজ করতে হবে।রাগের মাথায় কোন কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয় না।আপনি মাথা ঠান্ডা করেন।

হাসিবের কথায় ছেলেটি সামনে থাকা চেয়ারে বসলো।একমাত্র রেগে গেলে হাসিব তাকে শান্ত করতে পারে।বাকিগুলো তো ভয়ে সামনে আসতেও ভয় পায়।

রাফিঃ চায় যা খুশি কর তোরা।আমি কিছুতেই আমার মুখ খুলবো না।নিজের জীবন দিয়ে দিতে রাজী আছি। তবে আমার বসের নাম বলবো না। আমি তোর ধ্বংস দেখতে চাই। তার জন্য আমার মতো হাজার রাফিকে যদি জীবন দিতে হয় তাহলেই তাই দিবো।(নির্ভয়ে)

রাফির কথা শুনে ছেলেটার মাথায় আগুন ধরে গেল।চোখ দুটো দপ করে জ্বলে উঠলো। তেড়ে এসে ওর চুলের মুঠি ধরে মুখের ভেতর গানের মাথা ঢুকিয়ে দিলো।এই মুহুর্তে ওকে হিংস্র বাঘের চেয়ে কোন অংশ কম মনে হচ্ছে না।

—- মুখে দেখছি টাস টাস বুলি ফুটেছে। বল, আরেকবার বল।কি জানি বলছিলি?ভালো মতো বুঝিয়ে শুনিয়ে বললাম। তা ভালো লাগলো না।তোদের সাথে ভালো ব্যবহারটা একদম যায় না।আমারি ভুল হয়েছে তোর সাথে ভালো ব্যবহার করে।এবার ওপাড়ে গিয়ে আমার মৃত্যু কামনা করিস।আল বিদা।পথটা হয়তো খারাপ কিন্তু উদ্দেশ্যটা ভালো।

কতগুলো গুলির শব্দে পুরো গোডাউন তব্দা খেয়ে গেল।ছেলেটা রাফির মুখ থেকে নিজের গানটা বের করে তার ডোগায় খুব ধীরে ধীরে ফুঁ দিতে লাগলো।রাফি এলোমেলোভাবে মেঝেতে পরে আছে।ওর আশেপাশে রক্তের স্রোত বইছে।

হাসিবঃ কি করলেন ভাই এটা? রাফি ছিলো আমাদের শত্রুর কাছে পৌঁছানোর শেষ হাতিয়ার। আপনি রাগের বশে ওকেই মেরে দিলেন।এখন আমরা শত্রুকে চিনবো কি করে?

ছেলেটির মাঝে হাসিবের কথার মাধ্যমে কোন ভাবান্তর হলো না। সে এখনো খুব শান্ত হয়ে নিজের দুই হাতে থাকা গান দুটোকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে যাচ্ছে। একটু আগে যাকে শিকারী বাঘের মতো হিংস্র লাগছিলো।সে এখন শান্ত শিষ্ট একটা ছেলে।

—- আবর্জনা টাকে প্যাকেট করে বুড়িগঙ্গায় ফেলে আসো।আমি এটাকে এখানে দেখতে চাইছি না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই জায়গাটা ফকফকা পরিষ্কার দেখতে চাই। কথাটা যেনো দুই বার বলতে না হয়।

ছেলেটার আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে গার্ডগুলো পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব আগের মতো করে ফেললো।কিছু গার্ড লাশটাকে বিভৎস করে বস্তায় আটকে ফেললো।তারপর সেটাকে গাড়িতে উঠিয়ে বুড়িগঙ্গার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।ছেলেটি এক গান পরনের জ্যাকেটের ভেতর ঢুকিয়ে আরেক গান পায়ের বুট জুতার ভেতর ঢুকিয়ে গোডাউন থেকে বের হয়ে গেল।হাসিব যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। তার বসের মতিগতি এত বছর একসাথে থেকেও আজও বুঝতে পারলো না।

🌺🌺🌺

আধা ঘণ্টা ধরে তাসিন তার ভালোবাসার মানুষটার বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সে আজ একবারের জন্যও বারান্দায় উঁকি মারে নি।তাসিন জানে পুষ্প এই সময় বাইরে বের হয় না।তারপরেও ওর জন্য অপেক্ষা করতে ওর ভালো লাগে। অন্য দিকে বোনের চিন্তাও তার মাথায় আছে।কে জানে একা কি করছে? অবশ্য আজ নতুন নয়।অফিস থেকে ফিরতে এতো দেরী হবে কে জানতো? পরনের সাদা শার্ট টাও ঘামে ভিজে যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়ে গেছে। শেষে উপায় না পেয়ে পাইপ বেয়ে উপরে উঠে গেল।কিন্তু পুষ্পর দেখা পেলো না। বিষন্ন মনে নিচে নেমে গাড়িতে চড়ে বসলো।তবে প্রতিদিনের মতো আজও বারান্দায় চুড়ি পাগলীর জন্য এক মুঠ চুড়ি রাখতে ভুলেনি সে।

তাসিনঃ আমি কেন যে ওকে আমার ভালোবাসার কথাটা মুখ ফুটে বলতে পারি না।নিজের ওপর নিজের রাগ হয়।কোনদিন দেখবো আমার ভালোবাসার মানুষটাকে কেউ নিয়ে উড়াল দিবে। আমি হাজার চেষ্টা করেও ওকে মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারলাম না।আই লাভ ইউ পুষ্প।কতটা সহজ বলা।কিন্তু যদি ওর আমার বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায়।তাহলে যে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। আমি কি কোনদিনও মুখ ফুটে বলতে পারবো না পুষ্পকে?প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় ওর জন্য অপেক্ষা করি।ওর বাসার রাস্তা দিয়ে আমাকে যেতে হয়।কত অযুহাতে যে ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি।কিন্তু ও কি কখনো বুঝবে না।পুষ্প অন্য কারো হওয়ার আগেই আমাকে বিষয়টা জানাতে হবে।

তাসিন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ড্রাইভে মনোযোগ দিলো। পুষ্প ও তাসিন এক কলেজেই পড়াশোনা করে।তবে একি ক্লাশে নয়। বলতে গেলে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্কও আছে।কিন্তু তাসিন নিজের অজান্তেই পুষ্পকে ভালোবেসে ফেলেছে।এখন বলতে ভয় পাচ্ছে। যদি বন্ধুত্বের সম্পর্কটা শেষ হয়ে যায়।হঠাৎ গতকালের কথা মনে করে মুচকি হাসলো তাসিন। কলেজে যখন রনি চিৎকার করে তাকাতে বলেছিলো।তখনকার কথা বলছি আমি।

তাসিন ওদের কথার আগামাথা কিছুই না বুঝে নিজেই পেছন ফিরে তাকালো।পেছনে তাকিয়ে নিজেই অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো।নিজের চোখ দুটো বিশ্বাস হচ্ছে না। চোখ কচলে আবার তাকালো।কারণ পুষ্প ওদের দিকেই এগিয়ে এসেছিলো।ওর পরনে ছিলো কচুড়ি ফুল কালার থ্রি পিস। সাথে ম্যাচিং করা চুড়ি।যেগুলো তাসিন গিফট করেছিলো অন্য এক মেয়ে ফ্রেন্ডকে দিয়ে।নিজের হাতে দেওয়ার সাহস হয়নি তার।তাসিন কখনো ভাবতে পারেনি পুষ্প এগুলো পরে আসবে।পুষ্প আসতেই তাসিনের সাথে থাকা চেলাপেলা সরে গেল।পুষ্প অনেক সময় পর্যন্ত ওর সাথে এটা ওটা নিয়ে কথা বলেছে।আর তাসিন আড় চোখে বারবার ওকে দেখেছে।

পুষ্পর মুখটা মনে হতেই তাসিন আবারো আপনমনে হেসে উঠলো। একসময় নিজের বাসার পৌঁছে গেল।গাড়ি রেখে দোতালার দিকে যেতে নিলে ওর মনে খোটকা লাগে।কারণ সদর দরজাটা হা করে খোলা রাখা। ভেতরে গিয়ে সব জায়গায় নিজের বোনকে খুঁজতে লাগলো সে।

তাসিনঃ বোইনা কোথায় তুই?রাইপরী, কোথায় গেলি আমাকে ছেড়ে? আমি বলেছিলাম অচেনা কেউ এলে দরজা খুলতে না।তুই আমার কথা কেন শুনলি না।দুই রুমের সবকিছু তো ঠিক আছে। কেউ এলে এগুলো আস্ত রেখে গেল কিভাবে?আমার বোনটা কোথায়? ওর কোন বিপদ হয়নি তো।আমিও কিভাবে এতটা স্বার্থপর হয়ে গেলাম।বোনকে ছেড়ে নিজের প্রেমিকার কথাটা ভাবলাম।আমি কখনো তোকে রেখে এতো রাত করে অফিস থেকে ফিরবো না।এবার চলে আয়, প্লিজ তুই আমার বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন।

তাসিন হাঁটু ভেঙে বসে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পরলো। নিজেকে তার অনেক অসহায় মনে হচ্ছে। বেশ কিছু সময় কান্না করার পর উঠে চোখ, মুখ মুছে গাড়ি নিয়ে বোনকে খুঁজতে বের হয়ে গেল।

আচ্ছা, তাসিনের বোন কি এখনো ঐ মাঠের অপর পাশের বস্তি এলাকায় আছে?রাই কি দেখেছিলো সেখানে? যার কারণে সে অবাক হয়ে বলেছিলো, এমন মানুষও আছে আজকালকার দিনে। কে ছিলো সে?যে রাইকে পেছন থেকে রুমাল চেপে ধরেছিলো। আর ওকে অজ্ঞান করলো বা কেন?কি দেখে নিয়েছিলো রাই?যার কারণে ওকে বিপদে পরতে হলো।তাসিন কি ওর বোনকে পাবে?নাকি তার আগে ওর কোন বিপদ ছেয়ে যাবে।অনেক প্রশ্ন জমা হয়ে আছে এই পর্বের।দেখা যাক কি হয়? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা পাই কিনা।

#চলবে