তোর রঙে রাঙাবো পর্ব-০৪

0
2255

#তোর_রঙে_রাঙাবো
#Part_04
#Writer_NOVA

পড়ন্ত বিকেলের লাল আভা ছড়িয়ে পরছে পুরো ভুবনে।ঘন্টাখানিক পর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে পৃথিবী। সেই লাল আভায় চিকচিক করছে তার এলেমেলো চুলগুলো।কালো গাড়ির ওপর বসে আছে মাফিয়া কিং।খুব মনোযোগ সহকারে হাতে থাকা গানটা ব্লেজারের এক কোণা দিয়ে পরিষ্কার করছে।বর্তমানে এর থেকে জরুরি কাজ তার কাছে নেই। হাসিব হা করে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে। এত বড় কাজ থাকতে সে গান নিয়ে পরে আছে।তাদের সামনে লাইন করে প্রায় ১২/১৩ জনকে বেঁধে দাঁড় করে রাখা হয়েছে। প্রত্যকের পিছনে ছেলেটির কালো পোশাকধারী গার্ড দাঁড়িয়ে আছে। ভয়ে সবার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে।

হাসিবঃ ভাই, এত দেরী করছেন কেন?এখানে কাজটা শেষ করে দেন।আমাদের জন্য এখানে বেশি সময় থাকা মঙ্গলজনক নয়।

বেশ নির্জন জায়গাটা।উল্টো দিকে বিশাল বড় এক পরিত্যক্ত গোডাউন। গাছ-গাছালিতে ভরপুর ও নির্জন থাকায় এদিকে খুব একটা মানুষ আসে না। তাছাড়া জায়গাটা গ্রাম এলাকায়।প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভুলেও এদিকে পা মারায় না।

হাসিব এখন তার বসের কাজে রীতিমতো বিরক্ত বলা যায়।কারণ সে এক গান মুছে আরেকটা হাতে নিয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে খুব শান্ত একটা ছেলে মনে হচ্ছে। যে এসবের কিছুই বোঝে না।তার কাছে গান পরিষ্কার করা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন কাজ গুরুত্বপূর্ণ নয়।নিজের থেকে বেশি যত্নে রাখে এই গান দুটোকে।কোথাও গান ছাড়া সে যায় না।

হাসিবঃ ভাই, আপনি কি শুরু করলেন? আমি কিন্তু আপনার ওপর বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি। এই সামান্য একটা বিষয় এত সময় ব্যয় করা কোন মানে হয় না।জলদী কাজ শেষ করুন।আমাদের এখান থেকে ভালোই ভালোই কেটে পরতে হবে। এমনি আমাদের শত্রুর অভাব নেই।কেউ যদি পুলিশকে ইনফর্ম করে তাহলে আমাদের জন্য রিস্ক হয়ে যাবে।

ছেলেটি চোখ দুটো ছোট ছোট করে হাসিবের দিকে তাকিয়ে আবার কাজে মনোযোগ দিলো।মিনিট দশেক পর গানের ডোগায় ফুঁ দিতে দিতে গাড়ির ডিকির থেকে নামলো।নেমেই তার বিখ্যাত স্টাইলে ঘাড়টা এদিক সেদিক সাইকোদের মতো কাত করে সবার দিকে শান্ত ভঙ্গিতে চোখ বুলালো।ছেলেটির শান্ত চাহনিই যথেষ্ট ছিলো হাত- পা কাঁপাতে সামনে থাকা লোকজনের জন্য। নিজের থুতনিতে একটা গান স্লাইড করতে করতে শান্তভাবে বললো।

—– তোদের সাহস দেখে প্রশংসা করতে হয়।সাথে তোদের বসের।আমার এলাকা থেকে আমার গোডাউন থেকে গরীবের হকের জিনিসপত্র এনে এই পরিত্যক্ত গোডাউনে ঢুকচ্ছিস।বাহ্ বাহ্ অপূর্ব। গরীবের হক মেরে খেতে তোরা ভালোই পারিস।ইচ্ছে করছে তোদের প্রত্যেককে এই খুশিতে পুরস্কার দিতে।পুরষ্কার তো আমি অবশ্যই দিবো।তবে সেটা তোদের বস কে।আমার ডেরা থেকে আমার আমানত নেওয়ার দুঃসাহস করিস কি করে?

কথাগুলো বলতে বলতে ছেলেটার চোখ দুটো রক্তিম বর্ণ ধারণ করলো।যা দেখে বেঁধে রাখা লোকগুলোর গলা শুকিয়ে গেছে। ঘন ঘন ঢোক গিলছে তারা।হাসিবের মুখে দেখা যাচ্ছে বাঁকা হাসি। বেঁধে রাখা লোকগুলোর মধ্যে একটা ২৩ বছরের যুবক ছিলো।নাম সুমন।সেই হলো এই দলের প্রধান।তাদের দল টাকার বিনিময়ে অন্যের কাজ করে দেয়।

সুমনঃ বস,আমরা কিছু করি নি।আমরা টাকার গোলাম।আমাদের টাকা দিয়ে কাজ করে দিতে বলেছে।একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছিলো দুদিন আগে।তারা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আমাদের জন্য একটা লোক দিয়ে এডভান্স পেমেন্ট করে দিয়েছিলো।আর কি করতে হবে তাই বলে দিয়েছিলো।এই জিনিসপত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না। কতগুলো ধূসর রঙের পোশাক পরিহিত লোক ট্রাক ভর্তি করে এগুলো রেখে গেছে। আমাদের কাজ শুধু সহিসালামত ট্রাকভর্তি জিনিসপত্র গুলো গোডাউনের ভেতর রাখা।

সুমনের কথায় যুবকটির কপালে চিন্তার ভাজ পরলো।ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে বললো।

🌺🌺🌺

চোখ দুটো ঘুরিয়ে চিন্তাযুক্ত কপালের ভাজ নিয়ে ছেলেটি জিজ্ঞেস করলো।

—- তোদের বস কে?কোথা থেকে এসেছিলো লোকগুলো? আর কোথায় গিয়েছে? আমার গোডাউন থেকে গরীবের হকের জিনিসপত্র সরানোর সাহস পেলো কোথায়?ড্যাম ইট।এন্সার মি।
(চিৎকার করে)

ছেলেটির চিৎকারে সবার বুকটা ধক করে উঠলো।ভয়ে ভয়ে সুমন উত্তর দিলো।

সুমনঃ আমরা জানি না।কে সরিয়েছে? এমন কি আমাদের বস কে তাও বলতে পারবো না।আমরা শুধু টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট কাজ করে দেই।কে করতে বললো বা কোথা থেকে আসলো তা আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। নিজেদের কাজ করে টাকা পেলেই আমরা খুশি।বাকি কিছু আমাদের জানার প্রয়োজন নেই।

সুমনের কথা শুনে ছেলেটি দুই হাতে থাকা দুই গান দিয়ে একসাথে দুটো গুলি করলো।গুলি দুটো সুমনের দুই হাঁটুতে লেগেছে। সুমন একটা বিকট চিৎকার দিয়ে নিচে বসে পরলো।যা দেখে ছেলেটির গার্ডরাও কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো।হুংকার ছেড়ে ছেলেটি বললো।

—– তোদের মতো মানুষরা শুধু টাকা চিনিস।অন্যের কথা ভাবিস না।ট্রাকে কয়েক শত টন গরীবের জন্য আনা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিলো।সেগুলো দিয়ে তোরা গোডাউন ভর্তি করছিস।একটাকেও ছাড়বো না আমি।আগে তোদের ব্যবস্থা করি।পরে তোদের বসকে দেখে নিবো।হাসিব, হাসিব।(রেগে +চিৎকার করে হাসিবকে ডাকলো।)

হাসিবঃ জ্বি ভাই, বলেন।

—- একটাকেও ছাড়বি না।প্রত্যেকটাকে আমার ডেরায় নিয়ে যা।বেশ আদর যত্ন করে খাতিরদারি করিস।যদি কেউ মুখ খুলে।কিংবা কারো থেকে বিন্দু পরিমাণ কোন ক্লু পাওয়া যায়। আর হ্যাঁ,যতগুলো ক্যাটন জিনিস গোডাউনের ভেতর ঢুকিয়েছে। সবগুলো ট্রাকে ভর্তি করে ফেল।আমি এক ঘন্টার মধ্যে জিনিসপত্র সহ ট্রাক আমার ডেরায় দেখতে চাই। কোন হেরফের হয় না যেনো।সময়ের দিকটাও মাথায় রাখিস।নয়তো তোমাদের সেই খেসারত দিতে হবে। আগামীকাল রাতে আমি ডিসাইড করবো ট্রাকভর্তি জিনিসপত্র কোথায় কোথায় যাবে।কুইক কাজে লেগে পর।২য় বার বলতে যেনো না হয়।

ছেলেটার হুকুম পেয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সবাই কাজে লেগে পরলো।সুমন ও তার দলকে গাড়িতে তুলে কতগুলো গার্ড চলে গেল।বাকি গার্ডগুলো গোডাউন থেকে ক্যাটনগুলো ট্রাকে ভর্তি করতে লেগে পরলো।ছেলেটা গিয়ে গাড়ির ডিকির ওপর চোখ বন্ধ করে মাথায় হাত দিয়ে হেলান দিয়ে রইলো।ভাগ্যিস গোপন সূত্রে খবরটা পেয়েছিলো।নয়তো কখনোই এতো জলদী এখানে আসা সম্ভব হতো না।

ছেলেটার মাফিয়া এরিয়ার থেকে আজ দুপুরে প্রায় কয়েক শত টন গরীবের জন্য বরাদ্দকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোপনে সরিয়ে নেওয়া হয়।বিদেশী এক বিজনেস ম্যান ছেলেটার এক কাজে খুশি হয়ে তাকে গিফট দিতে চেয়েছিলো।কিন্তু ছেলেটা নিজের জন্য কিছু না চেয়ে গরীব, অনাহারী লোকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চেয়েছিলো।এতো সেই বিদেশি ব্যাক্তিটা অনেক অবাক ও খুশি হয়েছিলেন।তিনি তাই কয়েক শত টন খাদ্যদ্রব্য কিনে পাঠান।সেগুলো কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু এতো কড়া নজরদারিতেও তাদের চোখে ধূলো দিয়ে পেছনের দিক দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।যেটার খবর ছেলেটাকে একটা আননোন নাম্বার থেকে তার এক শুভাকাঙ্ক্ষী জানিয়ে দেয়।কিন্তু সেই শুভাকাঙ্ক্ষী নিজের পরিচয় দেয়নি।যেটা এখন খুব ভাবাচ্ছে মাফিয়া কিং- কে।কে হতে পারে সেই শুভাকাঙ্ক্ষী ছেলেটি? তাছাড়া ছেলেটা খবর বা পেলো কোথায়? যেখানে তার লোকেরা মজুদ থাকতেও ক্যাটোন সরিয়ে ফেলেছিলো।

গাড়ির ওপরে চোখ বন্ধ করে ভাবছে ছেলেটি।সবকিছু তাকে বেশ ভাবাচ্ছে।তবে এটা সে ভালোই বুঝতে পারছে।তার শত্রু খুব গভীর জলের মাছ।তাকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হবে।ওর খবর সবার আগে তার কাছে পৌছে যায়। কিন্তু কে সেই মানুষটা?নিজের কাছের কেউ কি? পেছন থেকে ছুড়িটাতো একমাত্র নিজের মানুষরাই মারতে পারে।তাহলে তাকেও কি তার আপন মানুষই পেছন থেকে ছুড়ি মারবে?

🌺🌺🌺

পরের দিন………

কফি হাউসের এক কোণার টেবিলে বসে আছে তাসিন ও পুষ্প। ক্লাশ শেষ করে একসাথে কফি খেতে এসেছে। অবশ্য পুষ্প আসতে চায়নি।কিন্তু তাসিন এক প্রকার জোর করে ওকে নিয়ে এসেছে।পুষ্প এটাই চেয়েছিলো যে তাসিন ওকে জোর করেই নিয়ে আসুক। দুজন চুপচাপ বসে আছে।

পুষ্পের পুরো নাম কুলসুমা মিজি পুষ্প। এবার অনার্স ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে।বাবা-মায়ের সবার ছোট মেয়ে।এক ভাই ও এক বোনের পর পুষ্প।সে দেখতে মাশাল্লাহ অনেক সুন্দরী। গায়ের রং কিছুটা গোলাপি ফর্সা।চেহারার গঠনটাও যথেষ্ট মায়াবী।হাসি দিলে বেশি সুন্দর লাগে।চুড়ি পাগলীটার হাতে সবসময় চুড়ি থাকে।বই,খাতা আনতে ভুলে যাবে।কিন্তু প্রত্যেকদিন চুড়ি পরতে ভুলবে না।ভারী মিষ্টি একটা মেয়ে পুষ্প।খুব সহজে সবার মন জয় করে নিতে পারে।

আজ পুষ্প পেস্ট রঙের থ্রি পিস সাথে ম্যাচিং করে সেই রঙের চুড়ি পরে আছে।তাসিন না চাইতেও বার বার আড় চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছে। সেটা বুঝতে পেরে পুষ্প অন্য দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে।

পুষ্পঃ আমি জানি তুমি আমাকে পছন্দ করো।কিন্তু তুমি নিজ থেকে না বলা পর্যন্ত আমি তোমার কাছে ধরা দিবো না।আমিও দেখি তুমি কতদিন নিজের মনের কথা লুকাতে পারো।এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে? বলে দিলেই তো হয়।বাপরে!!! কি লাজুক ছেলে।সারা কলেজে বাঘ। আর আমার সামনে মুচি বিড়াল।যেনো কিছুই জানে না।হু হু রাজনৈতিক নেতার ভাব বেশি😏। তুমি তোমার ভাব নিয়ে দুধ ভাত খাও।বলে দিলেই তো চুটিয়ে প্রেম করতে পারি।তা না করে আমাকে চরকির মতো ঘুরাচ্ছে ☹️।ছেলেটা কিচ্ছু বুঝে না।ধ্যাৎ ঘেচু একটা।(মনে মনে)

তাসিন পুষ্পের চোখের সামনে তুড়ি বাজাতেই ওর ধ্যান ভাঙে।কিছুটা ইতস্তত করে পুষ্প চোখ নামিয়ে ফেলে।তাসিন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।

তাসিনঃ ও হ্যালো ম্যাডাম, কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন?আমার দিকে তাকিয়ে কি এতো ভাবছেন? কতক্ষণ ধরে আপনার সাথে কথা বলছি।কিন্তু আপনার কোন রেসপন্স নেই।

পুষ্পঃ কোথায়? কি আবার ভাববো? কিছুই না।এমনি এমনি তাকিয়ে ছিলাম।আর হ্যালো,আপনার দিকে তাকাইনি।আপনার পেছনের ঐ পাতার ঝোপ দেখছিলাম।(ইতস্তত করে)

তাসিনঃ এতো মনোযোগ দিয়ে পাতার ঝোপ দেখতে হবে না। কোল্ড কফি তাহলে হট কফিতে পরিণত হবে। কফিটা খেয়ে নিন।এমনি আজ অনেক গরম পরেছে।আমার তো বারবার গলা শুকিয়ে আসছে।

পুষ্পঃ আপনার ছোট বোন তাহা কেমন আছে? ওকে কিছু দিন ধরে দেখি না।

তাসিনঃ দুই দিন ধরে কলেজে আসে না। আমিই মানা করে দিয়েছি।ওর সাথে মাঝে একটা ঝামেলা হয়েছে। তোমাকে তো সবকিছু খুলে বলেছি।তাই একটু টেনশনে আছি রাইপরীকে নিয়ে। তুমি তো জানো আমার রাজনীতিতে শত্রুর অভাব নেই। কে জানি,কে কখন ওর ক্ষতি করে বসে।তাছাড়া কলেজেও একটু ভেজাল হচ্ছে আমার। তাই কিছু দিন ওকে এসবের থেকে দূরে রেখেছি।

পুষ্পঃ আপনি বরং তাহাকে কিছু দিনের জন্য অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিন।আপনার কোন আত্মীয়ের বাসায় পাঠাতে পারেন।তাহলে ওর মনটাও ভালো হবে।কিছু দিন ঘুরে ফুরফুরে থাকতে পারবে।

তাসিনঃ ওকে দূরে পাঠিয়ে আমি ভালো থাকতে পারবো না। উল্টো নানা চিন্তায় ঘিরে থাকবে।এখানে ২৪ ঘন্টা ওর ওপর নজরদারি করতে পারছি।অন্য কোথাও গেলে তা পারবো না। তাছাড়া আপন বলতে আমাদের কোন রিলেটিভ নেই। কার কাছেই বা পাঠাবো বলো।আমার বোন আমার কাছে আছে। তাতে রাইপরীও ভালো আছে।আমিও ভালো আছি।

পুষ্পঃ ওহ্ আচ্ছা। আপনি যা ভালো মনে করেন তাই করেন।আপনি ওর বড় ভাই। তাহার কোনটায় ভালো কোনটায় মন্দ সেটা আপনার থেকে ভালো অন্য কেউ বুঝবে না। আমি শুধু আমার মতামত জানালাম।

তাসিনঃ ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ তুলে ধরার জন্য। দয়া করে ম্যাডাম এখন কফিটা খেয়ে নিন।নয়তো কফির মেইন স্বাদই থাকবে না।আশা করি বিষয়টা বুঝবেন।খাওয়া শেষ হলে তোমাকে আমি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে নিজের বাসায় যাবো।আমার বোইনা টা আমার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে।কারণ আমি বলে এসেছি আজ দুপুরের লাঞ্চ একসাথে করবো।

পুষ্প মুচকি হেসে কফির মগে চুমুক দিলো।আরো কিছু সময় একসাথে থেকে তারা বেরিয়ে গেলো। তাসিন বিল পে করে পুষ্পকে নিয়ে গাড়িতে উঠলো।গাড়িতে কেউ কোন কথা বলেনি।পুষ্পের বাসার সামনে ওকে নামিয়ে দিয়ে রওনা দিলো নিজের গন্তব্যে।আজও লেট হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই রাইপরী মন খারাপ করে ফেলবে।তাসিন মনে মনে ঠিক করলো আজ রাই-কে পুষ্পর কথা জানাবে।যদিও কিছুটা রাই আঁচ করতে পেরেছে। তারপরেও নিজ থেকে না জানালে মন খারাপ করে তাসিনের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবে।আর তাসিন তো ওর বোনের সাথে কথা না বলে থাকতেই পারে না।

#চলবে