দৃষ্টির অলক্ষ্যে পর্ব-০১

0
571

#দৃষ্টির_অলক্ষ্যে
#পর্বঃ০১
#রূপন্তি_রাহমান (ছদ্মনাম)

পাঁচ বছর পরে মানুষটাকে নিজের অফিস ট্রেইনার হিসেবে দেখে চমকিত হলো নাযীফাহ। বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগের থেকে সুদর্শন হয়েছে, চেহারায় এসেছে গাম্ভীর্যের ছাপ। অবশ্য পাঁচ বছর কম সময় না। পরিবর্তন হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময়। উহ্ মানুষটা নাযীফাহ’র প্রাক্তন স্বামী কিংবা প্রেমিক নয়৷ একটা সময় সামনের আসনে আসীন এই সুদর্শন পুরুষের সাথেই তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর কোনো এক অজানা কারনে আর হয়নি বিয়ে। অজানা হলেও কারনটা সে আন্দাজ করতে পারে। নিজেদের মধ্যে পরিচিত গড়ার জন্য বার দুয়েক দেখা হয়েছিল তাদের। বিয়ের কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবাইকে দাওয়াতও দেয়া হয়ে গিয়েছিল। এরপর? এরপর দুজনের পথ আলাদা। মানুষটার হাসিতে মাতোয়ারা হয়েছিল সে। বাঁধা পড়েছিল তার মায়ায়। কল্পনায় ছোট্ট একটা সংসার সাজিয়ে ফেলেছিল। কল্পনার সেই সংসার কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিলো। বাস্তবে আর রূপ নেয়নি।

তুড়ির শব্দে ভাবনাচ্ছেদ হয় নাযীফাহ’র।

‘মিস দশ মিনিট যাবৎ আপনার নাম জিজ্ঞেস করছি। মন আর কান কোথায় আপনার?’

বিস্ফোরিত চোখে তাকায় নাযীফাহ। তারমানে ভুলে গিয়েছে সে পাঁচ বছর আগের সেই আয়োজন। অবশ্য ভালোই হয়েছে। না হলে অস্বস্তিতে পড়তে হতো।

এবার কিছুটা উচ্চ শব্দে বলে,

‘এক্সকিউজ মি ম্যাম, আপনার নাম?’

চমকে উঠে আশেপাশে তাকায় সে। ইশ! বাকিরা তার দিকে কেমন তাকিয়ে আছে। লজ্জাজনক ব্যপার। অফিসে প্রথম দিনে এমন ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। শুকনো গলায় নত মস্তকে বলে উঠলো সে,

‘জ্বি আমার নাম নাযীফাহ তাসনিম।’

অতঃপর সেই মানুষটা সামনে এসে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলতে লাগলো,

‘আমি তাহমিদ জামান৷ আপনাদের ট্রেইনড অফিসার। আগামী তিন মাস আপনারা আমার আন্ডারে কাজ করবেন। আপনারা এখানে টোটাল তেরো জন লোক আছেন। আমাদের অফিস শুরু হয় সকাল নয়টায়। এক মিনিট এদিকও না সেদিকও না আর ছুটি হয় বিকাল পাঁচটায়। এই সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা অব্দি কাজের সূত্রে আমি যেখানে বলবো সেখানে যেতে হবে। মানে প্রেক্টিক্যাললি কোনো কাজ দেখানোর জন্য সাইটে যেতে হয় সেখানেও যেতে হবে। আবার আমাদের ফ্যাক্টরীতে যাওয়ার কাজ লাগলে সেখানেও যেতে হবে। আমার ফ্যাক্টরী কিন্তু গাজীপুর। তিনমাস পর আপনাদের থেকে আমরা মাত্র তিনজনকে সিলেক্ট করবো। কারন আমাদের দরকার দক্ষ মানুষ। দেখা যাক এই তিন মাসে আপনারা নিজেদের ঠিক কতটা দক্ষ প্রমাণ করতে পারেন। আপনাদের প্রত্যেক কে একটা ডেমো ফাইল দেওয়া হবে আমাদের কোম্পানির প্রাথমিক কাজ গুলো আয়ত্ত করার জন্য। যেখানে বুঝতে সমস্যা হবে নিয়ে আসবেন। আমি বুঝিয়ে দিবো। আর হ্যা আপনাদের প্রত্যেকের কাজের গতিবিধির উপর ভিত্তি করে পনেরো দিন পর ল্যাপটপ দেওয়া হবে। আপাতত আপনারা নিজের ডেস্কে যান।’

যার যার ডেস্কে সবাই চলে গেল। নিজের ডেস্কে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল নাযীফাহ। এতোক্ষণ যেন সে বদ্ধ গুহায় ছিলো যেখানে অম্লজানের বড্ড অভাব। সামনে রাখা বোতল থেকে ঢক ঢক করে পানি পান করলো। অকস্মাৎ মাথায় এলো তার,

‘আচ্ছা সে কি ভুলে গিয়েছে? নিশ্চয়ই ভুলে গিয়েছে। মুখাবয়ব দেখে তো তাই মনে হলো। এক হাজার আটশ পঁচিশ দিন কেবল কম নয়। হয়তো বিয়েও করেছেন বাচ্চাও আছে। আমার মতো পুড়া কপালি তো আর সবাই না।’

বক্ষঃস্থল থেকে নির্গত হলো দীর্ঘ নিঃশ্বাস। এই দীর্ঘশ্বাসে আছে শুধু হতাশা আর বির্মষতা। কোনো কিছু না পাওয়ার আক্ষেপ। খুব করে কাঁদতে ইচ্ছে করলো তার। কিন্তু এটা অফিস এখানে কাঁদা যাবে না। নিগূঢ়, নিস্তব্ধ রজনীতে বারান্দায় গিয়ে কড়া করে এক কাপ কফি হাতে সে চন্দ্র বিলাস করবে আর মন হালকা না হওয়া অব্দি কাঁদবে।

_____________

‘কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে আমি হাত খরচের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিবো? এই টাকা দিয়ে তুই কি করবি ফাহিম?’

বাবার প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায় সে। হাতের কাছের গ্লাসটা শরীরের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে মেঝেতে ছুড়ে মারে । মুহূর্তের মধ্যেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় সেই গ্লাসখানা। রাগে ফোঁস ফোঁস করছে ফাহিম।

ফাহমিদা বেগমের চক্ষু জোড়ায় এক আকাশ সমান বিস্ময়। নিজের ছেলের এই অধঃপতন যেন তার বিশ্বাসই হচ্ছে না। আকস্মিক কান্ডে কিংকর্তব্যবিমূঢ় খালেদ মোশাররফ,বাকরূদ্ধ তিনি। অনুভব করলেন অন্তর্দেশে র’ক্ত ক্ষরণ হচ্ছে, প্রবলভাবে। ছেলের একটু একটু বখে যাওয়া উনাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছেন। কার নজর পড়লে তার সুখের সংসারে?

‘আমি টাকা চাইলে তোমরা এমন করো কেন? কই তোমাদের আদরের মেয়ে যখন টাকা চায় তখন তো অভাব থাকে না। কত হাসিমুখে তাকে টাকা দাও। আমার ক্ষেত্রেই এমন করো কেন? আমি টাকা চাইলে অভাব তোমাদের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়ায়।’

‘নাযীফাহকে টাকা চাওয়ার সাথে সাথেই দিয়েছি তুই দেখেছিস?’ খালেদ মোশাররফের নিস্তেজ, নীরস আর বিষন্ন স্বর।

কথা বলার শক্তি টুকু পাচ্ছেন না।সারা শরীর কেমন অবশ আর অসাড় হয়ে আসছে। অদৃশ্য বৈশ্বানরের শিখায় দাও দাও করে জ্বলছে উনার সুখের সংসার। যেন চোখের পলকে ভস্ম হয়ে যাবে সব। একেবারে ভস্ম হওয়ার আগে পারবে তো সেই ভয়ানক অগ্নিশিখা শীতল করতে?

ফাহমিদা বেগম হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন।

‘তোকে এসব কে বলেছে আর কে শিখিয়ে দিয়েছে? বাবা মা হয়ে আমরা কোনো বৈষম্য করিনি তাহলে তুই বৈষম্য কোথায় দেখলি? কেউ তোর ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিচ্ছে? পরিবার থেকে আলাদা করতে চাইছে।’

চোখ গরম করে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে চেয়ারে একটা লা’থি দিয়ে প্রস্থান করলো ফাহিম।

নতজানু হয়ে বসে খালেদ মোশাররফ। চাহনি উনার গৃহ তলে স্থির। স্ত্রী কাঁধে হাত রাখতেই শির উঁচু করলেন তিনি। অসহায়ত্বের ছাপ মুখ জুড়ে। ছেলে মেয়ে দু’টির টেনশনে পাগল প্রায় তিনি।

_______________

অফিস টাইম শেষ। বাইরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে নাযীফাহ। পেটেও খিদা চুঁ চুঁ করছে।আজ প্রথম দিন ছিলো বলে ভয়ে টেনশনে কিছু মুখে তুলতে পারেনি। এখন গিয়ে আবার রান্না করতে হবে।তারপর আবার বাড়িওয়ালার মেয়েকে পড়াতে হবে। যা পাঁজি এই মেয়ে। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে মাথা উঁচিয়ে এদিক সেদিক রিক্সার সন্ধান করতেই নাযীফাহ খেয়াল করলো তার পাশে তাহমিদ এসে দাঁড়িয়েছে। নিজেকে গুটিয়ে নিলো সে। যদি তাকে বহুবার শোনা সেই অপ্রীতিকর প্রশ্ন গুলো করে তখন? মানুষ সব সহ্য করতে পারলেও নিজের চরিত্র নিয়ে কটু কথা সহ্য করতে পারে না।

অফিসের গাড়ি নিকটে আসতেই এদিক সেদিক না তাকিয়ে সেখানে চড়ে বসলো তাহমিদ। গাড়ি চলে যেতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল নাযীফাহ। এবার ধরেই নিলো বিপরীত দিকের লোকটার পাঁচ বছর পূর্বের কিছু আর মন মস্তিষ্কে নেই।

নিজের ছোট্ট রুমটায় এসে গা এলিয়ে দিলো নাযীফাহ। মাথার উপর সাঁই সাঁই করে ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে নিজের এই ছোট্ট জীবনের সমীকরণ মিলাতে ব্যস্ত সে।

‘প্রাপ্তির খাতা তার শূন্য, অপ্রাপ্তির খাতা পরিপূর্ণ।’

________________

কপালে হাত ঠেকিয়ে রকিং চেয়ারে বসে আছে তাহমিদ। মনটা তার বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছুরিত আর এলোমেলো। কত বছর পর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুখখানা দেখলো। এতোদিনের ভাটা পড়া অশান্ত ঝড়টা আবার তুমুল বেগে বইতে শুরু করেছে। কাজে মন বসাতে পারছে না সে।

মনোয়ারা বেগম ছেলের মাথায় হাত রাখলেন। মায়ের পানে নির্জীব চাহনি নিক্ষেপ করলো সে। ছেলের এমন এলোমেলো আনন দেখে মনোয়ারা বেগম শুকনো গলায় জিজ্ঞেস করলেন,

‘মন খারাপ বাবা?’

তাহমিদ ধরা গলায় বলল,

‘আমরা যেই জিনিসটা মন থেকে চাই তা পাই না কেন? কেন পাওয়ার আয়োজন হয়েও তা হারিয়ে যায়?’

‘তুই সেই পাঁচ বছর আগেই কেন আটকে আছিস? সেই মেয়েরও হয়তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে।’

নিস্তেজ হাসলো তাহমিদ। এই হাসিতে আছে কিছু না পাওয়ার বেদনা।

‘কিন্তু তুমি আজও বললে না, এতো আয়োজন করার পরও কেন তুমি বিয়েটা ভেঙে দিলে।’

‘কিছু কিছু ব্যপার জনসম্মুখে না আসাই ভালো। ওপাশের মানুষটার সম্মানহানি হতে পারে না।আমার কাছে মনে হয়েছে সে আমার ছেলের জন্য না, ব্যস।’

উষ্ণ, তপ্ত শ্বাস ফেলে তাহমিদ।

‘অথচ তোমার ছেলে কিন্তু তাকে মন দিয়ে ফেলেছিল। এমন ভাবে মন দিয়েছিল আর কাউকে তার মনে ধরেনি।’

‘একটা বিয়ে করে নে দেখবি ভালোবাসা এমনি জন্ম নিবে।’

চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল সে। বিছানার উপর থেকে নীল মলাটের ফাইলটা নিয়ে উল্টে পাল্টে বলল,

‘আজ তো আপা আসার কথা ছিলো। এলো না যে?’

ছেলের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ালেন মনোয়ারা বেগম।

‘কথা ঘুরাচ্ছিস বাবা। এই বুড়ো মায়ের কথা একবারও ভাববি না? এই বয়সে সংসারের ঘানি আর কত টানবো?’

হাতের ফাইলটা বন্ধ করে মায়ের দিকে নিষ্প্রভ, মলিন নেত্রপাত করল।

‘শত শত পাত্রী দেখার পর যাকে মনে ধরেছিল, আমার চক্ষু শীতল হয়েছিল তাকেই তো পেলাম না। তাই আর বিয়ে করতে ইচ্ছে হয় না। বিশ্বাস করো মা আর কারো মুখের দিকে তাকিয়ে আমার চক্ষু শীতল হয়নি। অনুরাগের পাখিরা ডানা ঝাপটায়নি।’

মনোয়ারা বেগম বিষাদভারাতুর গলায় বললেন,

‘ফয়সাল বিয়েতে রাজি ছিলো না। তারপরও তোর বাবা তার সাথে আমার মেয়েটার বিয়ে দিলো। তার ফলাফল কি হলো? আমার মেয়েটাকে সে আজও মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। মনে কর তোর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মেয়েটাকে তিলে তিলে শেষ হতে দেখছি তাই আর তোর,,,। কত করে বললাম চলে আয় আর ফয়সালের সংসার করতে হবে না। শুনলো না আমার কথা।’

‘নির্দিষ্ট একটা মানুষের মায়ায় আটকে গেলে সেখান থেকে আর ফিরে আসা যায় না। আপার তাই হয়েছে। ফয়সাল ভাই এর খবর জানি না। কিন্তু তোমার মেয়ে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। তাই তো চেয়েও কিছু করতে পারছি না।’

‘মাঝে মাঝে মেয়ের লুকায়িত আ’ঘাতের চিহ্ন গুলো দেখলে বুকটা ফেটে যায় আমার।’

‘এতো তাড়াতাড়ি কেন বাবা তার কাঁধের দায়িত্ব আমার কাঁধে সপে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো? আমি ক্লান্ত মা খুব ক্লান্ত। বড় বোনটার দিকে তাকালে মনে হয় আমি ব্যর্থ ভাই। আচ্ছা মা ফয়সাল ভাই কি নিজের মেয়েটার দিকে তাকিয়েও পরিবর্তন হতে পারে না?’

‘জানি না ‘ বলে উনি পা বাড়ালেন দরজার দিকে। তাহমিদ পিছন থেকে ডেকে বলল,

‘মা, সেই মেয়ে কে কি তোমাকে বলেছিল সে এই বিয়েতে রাজি না?’

‘না, তবে এর থেকেও বেশি কিছু আমি দেখেছিলাম।’

দ্রুত প্রস্থান করলেন সেখান থেকে।

__________________

বিশাল অন্তরীক্ষে মিটমিটে আলো ছড়ানো চন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছে নাযীফাহ। রিংটোনের শব্দে তার ঘোর কাটে। ফোন কানে তুলে শুনতে পেলো বাবার মেঘমেদুর কন্ঠ।

‘কি করছিস মা?’

‘বাবা?’

মেয়ের বিষাদময় গলায় শুনে কেঁপে উঠলো খালেদ মোশাররফের বুকের ভেতর। উনার চঞ্চল মেয়েটা ধীরে ধীরে প্রাণহীন হয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো হাসে না। আগে পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর করার জন্য প্রতি মাসে একবার গ্রামে যেত। আর এখন? আশপাশের মানুষের কটু কথা থেকে বাঁচতে গ্রামেও আসে না। কিছু না করেও আজ তার মেয়েটাকে সবাই খারাপ বলে।

‘তোর কি মন খারাপ, মা?’

‘তোমার মনে আছে বাবা? পাঁচ বছর আগে একজনের সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল?’

‘কার কথা বলছিস তুই?’

মলিন হাসলো সে।

‘বিয়ে পর্যন্ত তো একজনের সাথে গড়িয়েছে। আর বাকিরা তো দেখে যাওয়ার পরপরই ফোন করে অপমান করতো।’

মেয়ের কথায় একেবারে চুপসে যান খালেদ মোশাররফ। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন উনি। যেন কেউ উনার গ’লা’চি’পে ধরেছেন। ধরা গলায় বললেন উনি,

#চলবে

বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।