দৃষ্টির অলক্ষ্যে পর্ব-০৬

0
305

#দৃষ্টির_অলক্ষ্যে
#পর্বঃ০৬
#রূপন্তি_রাহমান (ছদ্মনাম)

শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে কি করবে না করবে তা ভেবে চলেছে তাহমিদ। আগে মাথা ঠান্ডা হওয়া দরকার। তারপর অন্য কিছু ভাবা যাবে।

একটা নাম্বারে ফোন করে মোবাইল কানে ধরলো সে। বুক ঢিপঢিপ করছে পরপর কয়েকটা ঢুক গিলে গলা ভিজিয়ে নিলো। কি বলবে তা বার বার আওরাতে লাগলো সে। যদি মনে না থাকে?

বাড়িওয়ালার মেয়েকে মাত্রই পড়িয়ে এসেছে নাযীফাহ। খিদে পেয়েছে প্রচুর কিন্তু ক্লান্তিতে দু’চোখ বুঁজে আসছে তার। নেতিয়ে পড়া শরীরটা কে নিয়ে বিছানায় শুয়ে রইল কিছুক্ষণ। শরীরের ক্লান্তি কিছুটা কমলে খাওয়া যাবে। আচমকা রিংটোনের শব্দে চমকে উঠে সে। বুকে বার কয়েক থুথু দেয়। এমন নিরিবিলি পরিবেশে মোবাইলের বিকট শব্দে ভয় পেয়ে গিয়েছে সে। স্ক্রিনে আননোন নাম্বার দেখে ভ্রু কুঁচকায় নাযীফাহ। দরকারী ফোন ভেবে রিসিভ করলো সে। হ্যালো বলে সালাম দিয়েও কোনো সাড়াশব্দ পেলো না। বার কয়েক জিজ্ঞেস করলো কে। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে কল কাটতে যাবে ওমনি ভেসে উঠলো পরিচিত কন্ঠস্বর।

‘নাযীফাহ, আমি তাহমিদ।’

কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় নাযীফাহ। যদিও এক অফিসে কাজ করার সুবাদে কল।করতেই পারে। তারপরও ব্যপারটা নাযীফাহ’র হজম হচ্ছে না। গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না তার। কথা ঝুড়ি কেমন গলায় দলা পাকিয়ে আটকে আছে।

‘কাল তো শুক্রবার একবার বিকেলে বনানীর চিলেকোঠা রেস্টুরেন্টে দেখা করতে পারবেন? আমার আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে।’

কি উত্তর দিবে ভেবে পেলো না নাযীফাহ। আসলে কি যাওয়া উচিত নাকি না। নাযীফাহ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তাহমিদ পুনরায় বলল,

‘আসতে পারবেন, মিস নাযীফাহ? কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর জানা আমার খুব প্রয়োজন।’

এবার মুখ খুলল সে। নিস্তেজ গলায় বলল,

‘কেন পড়ে আছেন সেই পাঁচ বছর আগের ঘটনা নিয়ে। সময়ের সাথে সাথে আরো অনেক কিছু বদলেছে। ভুলে যান সব।’

‘কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর না পেলে মানুষ মানসিক অশান্তিতে থাকে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ যখন প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া অব্দি আমার শান্তি নেই।’

নিজের রুমের জানালা টা খুলে নাযীফাহ। রাতের শীতল বাতাস তার গা স্পর্শ করলো। পরম প্রশান্তিতে চোখ বন্ধ করে ফেলে সে। চোখ বন্ধ রেখেই সে উত্তর দিলো,

‘মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা থাকে যার কথা মনে পড়লে মন হয় কেউ কা’টা গায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে। আমি সেসব দিনের ঘটনা থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছি।কেন আপনি আবার সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন?’

‘এই অধমের জন্য না একটু সহ্য করলেন। আমি জানতে চাই সবকিছু।’

তপ্ত, সদুষ্ণ শ্বাস ফেলে নাযীফাহ বলল,

‘আচ্ছা ঠিক আছে।’

নাযীফাহ’র সাথে কথা শেষ করেই দেখল তূবার নাম্বার থেকে অনেকগুলো কল এসেছে। তাহমিদ কলব্যাক করলো।

‘কোথায় তোরা সেই সন্ধ্যায় বের হয়েছিস আর এখন রাত ন’টা বাজে।’

তূবা নীরস গলায় বলল,

‘আমি ফয়সালের জন্য অপেক্ষা করছি। ওবাসায় ফিরে যাবো।’

‘মানে বুঝলাম না তুই তো ফারিয়া কে বেরিয়েছিলি তাহলে ফয়সাল ভাই আসলো কই থেকে?’

‘এতোকিছু বলতে পারবো না। তুই মাকে বলে দিস আমি ওবাসায় ফিরে গিয়েছি।’ বলেই খট করে মোবাইল কে’টে দিলো তূবা। বোনের কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে। হয়তো আবারও রাগারাগি করেছে।

_________________________

রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি বসে আছে দুজন। তাহমিদের নজর না চাইতেও নাযীফাহ’র নাকে জ্বলজ্বল করা নাকফুলের দিকে যাচ্ছে। নতজানু হয়ে বসে আছে নাযীফাহ। তাহমিদের দিকে তাকাতে তার কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। তন্মধ্যে ওয়েটার এসে।

‘স্যার আপনাদের কফি।’

ওয়েটারের দিকে তাকিয়ে সৌজন্য হাসলো তাহমিদ। অতঃপর একটা কাপ নাযীফাহ’র দিকে এগিয়ে দিলো। নাযীফাহ মন্থর গলায় তাহমিদ কে বলল,

‘আপনি কিছু জানার জন্য ডেকেছিলেন। দয়া করি কি বলতেন।’

কফির কাপে চুমুক দিয়ে তাহমিদ বলল,

‘আপনার কি কারো সাথে রিলেশন ছিলো? যার সাথে আপনি ফিজিক্যালি ইনভলভ ছিলেন?’

আঁতকে উঠল নাযীফাহ। হতবিহ্বল নাযীফাহ অনুভূতিশূন্য চোখে নিষ্পলক তাকিয়ে জবাব দিলো,

‘যদি বলি ছিলো?’

চকিত হয় তাহমিদ। তাহলে কি অযথাই এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে?

‘আপনার উত্তর টা কি হবে?’

তাহমিদ নিষ্প্রভ, বিষন্ন স্বরে বলে,

‘জানি না।’

মলিন হেসে নাযীফাহ পুনরায় বলল,

‘আর যদি বলি ছিল না। আপনার উত্তরটা কি হবে?’

সোজা হয়ে বসে তাহমিদ। আকুলতাপূর্ণ, অধৈর্য্য গলায় বলল,

‘আমি সবটা জানার জন্য এসেছি।’

নাযীফাহ’র চোখে পানি টইটম্বুর। পলক ফেললে গাল স্পর্শ করবে সেই পানি। তাহমিদের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘পানি খাবো।’

টেবিলে সাজিয়ে রাখা একটি পানির বোতলের ছিপি খুলে নাযীফাহ’র সামনে ধরলো তাহমিদ। গলা ভিজিয়ে নিলো নাযীফাহ।

‘আপনার সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেও একটা ফেমিলি আমাকে দেখে গিয়েছিল। তারা জানায় তাদের আমার কে পছন্দ হয়নি। স্বাভাবিক সবার পছন্দ তো এক না। এরপর এলেন আপনারা সবকিছু ঠিকঠাক আপনার সাথে। কেনাকাটা শেষ দাওয়াত দেওয়াও শেষ। আপনার মা এক রাতে ফোন দিয়ে বললেন এই বিয়ে সম্ভব না। বাবা যেন আর না সামনে না আগায়। মুহুর্তে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল আমার স্বপ্ন। আপনাকে নিয়ে ছোট্ট একটা সংসারের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম আমি। এক সেকেন্ডে সব শেষ হয়ে গেলো। আমার মনের অবস্থা কি ছিলো শুধু আমি জানি। একটু একটু করে আমার জমায়িত অনুভূতি, অনুরাগ দিয়ে তৈরি অলীক কল্পনার ইতি টানলাম। আমি আমার বাবাকে প্রথম বারের মতো ভেঙে পড়তে দেখেছিলাম। ওই তারিখেই বাবা আমার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালালো। ঘটক লাগিয়ে দেওয়া হলো চারদিকে। দুইদিন পর পাত্র পক্ষ দেখতে এলো তাদের হলো পছন্দও আমাকে। এরপর জানি না কি হলো। উনারা বাড়ি গিয়ে বাবাকে ফোন করে যা নয় তা বলে অপমান করলো।উনারা কি বলছে কিছুই আমাদের বোধগম্য ছিলো না। উনারা শেষে বলল আমি নাকি চরি’ত্রহীন। কথাটা শোনার সাথে সাথে জ্ঞান হারাই আমি। উনারা আর কি বলেছিল আমার জানা নেই। কখনো বাবা কে জিজ্ঞেসও করেনি। কি জিজ্ঞেস করবো? বাবা উনারা কেন আমাকে চরি’ত্রহীন বলেছে এটা? এরপর থেকে আমার জীবনটা বিষিয়ে গেলো। বেঁচে থাকাটাই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে গেলো। এলাকায় রটে গেলো আমি নষ্টা। ঢাকা শহরে পড়ার নাম করে ছেলেদের সাথে রাত কাটাই। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে যা বুঝানো হয় এরা তাই বুঝে। ঘর থেকে থেকে বের হতে পারতাম না। বাবাও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে গেলো। মা তো আমার টেনশনে পাগল প্রায়। আমি শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে গেলাম। একেকটা বানোয়াট কথা আমার শরীরে কাঁটার মতো বিঁধতো। ওরা কোথায় এসব খবর পেয়েছে জানি না। আমি সব সময় ছেলেদের থেকে দূরে দূরে থেকেছি। অথচ আমিই এসব জঘন্য কথার স্বীকার হয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? আমার বাবা মা কখনো এসব কথা বিশ্বাস করেনি। আমাকে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে। একদিন ছোট ভাইটা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এলো। কে নাকি আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে। সেদিন ছোট ভাইয়ের চোখের পানি সহ্য হয়নি। বাবার বারণ সত্বেও বিচার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফেরত এসেছিলাম অপমানিত হয়ে। তারপর মানুষের কটু কথা থেকে বাঁচতে আবার ঢাকা এলাম। হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম একেবারে। মাঝে মাঝে মনে হতো আত্ম হন’ন করি। আমার সেমিস্টার ড্রপ হলো। আবারও পুরোদমে পড়াশোনা শুরু করলাম। দিন গড়ালো মাস গড়ালো। গ্রামের মানুষ প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সেসব কথা। বাবা ফোন করলো বাড়ি যাওয়ার। আমি ইতস্ত করছিলাম যাওয়ার জন্য। বাবার অনুরোধ আর ফেলতে পারলাম না। গ্রামের গিয়ে দেখলাম আবারও বিয়ের বন্দোবস্ত করছে বাবা। একটা কথা কি জানেন? সবার ভাগ্যে সবকিছু থাকে না। হয়তো আমার কপালে বিয়ে নেই। এবারও পাত্রপক্ষ অপমান করে গেল। আমার বিয়ে পর্যন্ত গেলে বাবাকে চূড়ান্ত ভাবে অপমানিত হতে হয়। এর পিছনে কে বা কারা আছে বাবা এতো চেষ্টা করেও বের করতে পারিনি। নিজেকে বাবার অপদার্থ সন্তান মনে হয়। আমার জন্য বাবা কত ভাবে অপমানিত হয়েছে।’

অন্তর্দেশের দুঃখ গুলো একনাগাড়ে বলে নতজানু হয়ে নৈঃশব্দ্যে চোখের পানি ফেলতে লাগলো নাযীফাহ। তার জীবনটা মাঝ নদীতে মাঝি ছাড়া নৌকার মতো। বায়ুপ্রবাহ যেদিকে হয়। সে ও সেদিকে ছুটে।

‘ এমন কেউ কি ছিলো যে আপনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল আর আপনি তাকে অপমান করে রিজেক্ট করেছেন?’

না বোধক মাথা নাড়ে নাযীফাহ।

‘ তাহলে কে করছে এমনটা?’ আচ্ছা আপনি নতুন করে বিয়ের স্বপ্ন দেখেন না?’

চোখে পানি মুছে তাহমিদের দিকে তাকালো নাযীফাহ।

‘প্রতিটা মেয়ের মনে বিয়ে নিয়ে কিছু সুপ্ত বাসনা থাকে। আর সেটা বিয়ে নিয়ে। আমিও এর বাইরে না। তবে মনকে বুঝ দিয়েছি এসব সংসার ধর্ম আমার জন্য না। কারন আমার বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা আগানো মানে আমার বাবাকে পুনরায় অপমানিত হওয়া। আমি চাই না আর কেউ আমার বাবাকে অপমান করুক। ছাড়ুন এসব কথা। এখন বলেন আপনার বউ বাচ্চা কেমন আছে?’

গায়ে জড়ানো শার্ট চেক করতে লাগলো তাহমিদ। কিছু একটা খোঁজার চেষ্টা করছে। তাহমিদের কান্ডে নাযীফাহ ভ্রু যুগল কুঁচকে তাকিয়ে আছে।

‘শার্টে কি খুঁজছেন আপনি?

‘না আসলে খুঁজছিলাম কোথাও লিখা আছে নাকি যে আমি বিবাহিত আর বাচ্চা আছে।’

এবার কপাল কুঁচকে এলো নাযীফাহ’র

‘ঠিক বুঝলাম না।’

জবাব দেয় না তাহমিদ। ঠোঁট প্রসারিত হলো তার।

‘ কফিটা শেষ করুন মিস।’ বলেই উঠে দাঁড়ায় সে। পুনশ্চ বলল,

‘উপরওয়ালা বোধহয় অন্যকিছু ভেবেছিলো। যা তিনি লিখে রাখেন তা বোধ হয় কেউ খন্ডাতে পারে না।’

রেস্টুরেন্টের দরজা অবদি গিয়ে আবারও ফিরে আসে তাহমিদ।

‘বি প্রিপয়ার্ড ফর এভ্রিথিং।’

আর দাঁড়ালো না। গটগটিয়ে চলে গেলো সে। তাহমিদের যাওয়ার পানে আহাম্মকের ন্যায় তাকিয়ে রইল নাযীফাহ। সবকিছু বুঝেও যেন বুঝতে পারলো না সে।

_________________________

‘আমার ভুল হয়ে গিয়েছে, বাবা। আর তোমাদের সাথে এমন উ’গ্র আচরন করবো না।’

জমি থেকে ফিরে পাখার নিচে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি।ছেলের কথা শুনে চট করে চোখ মেলে তাকান উনি। ছেলের কথা যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না উনার।

‘ বাবা আমি বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে এমন করেছি। আর করবো না। আমাকে মাফ করে দাও।’

হাতের ইশারায় ছেলেকে কাছে ডাকলেন তিনি। একটা হাত উনি উনার ছেলের মাথায় রাখলেন। আদরের স্বরে বললেন,

‘সময় থাকতে বুঝতে পেরেছিস এটাই অনেক। এই বয়সে পড়লে ছেলে মেয়েরা সঠিক ভুল বিচার করতে পারেনা। যা হওয়ার হয়েছে। সব ভুলে যা। সামনে টেস্ট পরীক্ষা মন দিয়ে পড়। এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করতে হবে।’

বাবার কথার তালে মাথা নাড়ল ফাহিম। সেখান থেকে প্রস্থান করতেই খালেদ মোশাররফ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যাক এবার তিনি কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত।

আসলেই কি নিশ্চিন্ত নাকি নতুন ঝড়ের পূর্বাভাস?

______________________

রেস্টুরেন্ট থেকে ফিরে সোজা মায়ের রুমে যায় তাহমিদ। কোনো ভণিতা ছাড়াই বলল,

‘মা, আমি যদি সেই মেয়েকে বিয়ে করি তাহলে কি মেনে নিবে নাকি নারাজ থাকবে আমাদের উপর?’

বুখারী শরীফ পড়ছিলেন মনোয়ারা বেগম। আচমকা ছেলের কন্ঠস্বর পেয়ে ভয় পেয়ে যান তিনি। ছেলের কথা বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।

‘কাকে?’

‘কাল যার কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম।’

বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় মনোয়ারা বেগম। তার মানে কাল ওই মেয়ে কে বিয়ে করার জন্য বিয়ের কথা মুখ দিয়ে বের করেছিল?

#চলবে

বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।