দৃষ্টির অলক্ষ্যে পর্ব-০৮

0
312

#দৃষ্টির_অলক্ষ্যে
#পর্বঃ০৮
#রূপন্তি_রাহমান (ছদ্মনাম)

‘ধন্যবাদ, আমার উপহার গ্রহণ করার জন্য। এখন আগের থেকেও বেশি মায়াবী লাগছে।’

পা চলা থেমে যায় নাযীফাহ’র। ঘাড় ঘুরিয়ে তাহমিদ কে বলল,

‘স্যার আমাকে কিছু বললেন?’

তাহমিদ মোবাইলের দিকে ইশারা করে বলল,

‘আপনাকে না। আমার ভাগ্নীকে বলেছি।’

নাযীফাহ ‘ওহ’ বলেই চলে গেল। নাযীফাহ চলে যেতেই তাহমিদ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। আর একটু হলেই ধরা পড়ে যাচ্ছিলো।

___________________

‘মা আজ কি রান্না করবো?’

তূবার প্রশ্নে মাথা তুলে তাকাল তার শ্বাশুড়ি রাশেদা খাতুন। নাতনীর সাথে খেলায় মগ্ন তিনি।

‘তোর যা ইচ্ছে রান্না কর।’

মোবাইল বেজে উঠলো তূবার। শব্দ পেয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো । মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে থাকা নামটা দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো তার। রিসিভ করে কানে ধরেই বলল,

‘বাব্বাহ্, ম্যাডামের তিনদিন পরে মনে হলো আমার কথা। স্বামীর সাথে কেমন কাটলো এই তিনদিন?’

মোবাইলের ওপাশ থেকে হাসির শব্দ পাওয়া গেল।

‘আমার একমাত্র ভাইয়ের বউয়ের কি অভিমান হলো নাকি?’

‘আচ্ছা তোর সাথে কি আমার কোনো শ’ত্রু’তা ছিলো?’

কপালে চিন্তার বলিরেখা ভাসমান হয় তামান্নার।

‘মানে বুঝলাম না?’

তূবা আফসোস এর স্বরে বলল,

‘তোর এই খাড়ুস, রসকষহীন কাঠখোট্টা, আনরোমান্টিক ভাইয়ের সাথে কে বলছিল আমার বিয়ে দিতে?’

বান্ধবী+ভাবির কথা শুনে হাসতে লাগলো তামান্না।

‘হাসিস না, জানিস মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে। আমার তো কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। একটু আধটু কেয়ার পেতে আমারও মন চায়। আজ রাগ করে কয়েকটা কথা বলেছি। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। উল্টো কিসব আজে বাজে প্রশ্ন করলো। মানুষ এমন কি করে হতে পারে? আমার তো প্রায় সময় মনে হয় আমি ওর দূরসম্পর্কের বউ। আমাকে হুট করে কাছে টেনে নিলে, অপরিকল্পিত ভাবে আদর সোহাগ করলে পাপ হয়ে যাবে।’

তামান্না রগড় গলায় বলল,

‘আদর সোহাগ না করলে তো আমার ভাইঝি আকাশ থেকে টুপ করে পড়েছে।’

তূবা মলিন হেসে বলল,

‘ওই যে কালেভদ্রে একটু আধটু কাছে টেনে নিয়েছিল তারই ফলস্বরূপ আমার ফারিয়া। তুই তোর নিজের দিকে তাকা তারপর আমার দিকে। সোহেল ভাই তোকে কত কেয়ার করে। আর আমি? আমি কিন্তু তোকে হিংসা করছি না। আমার খারাপ লাগে। তার জন্য যদি একটু সাজি সে বলেও না কেমন লাগছে। আমার তো ইচ্ছে করে তার মুখ থেকে কমপ্লিমেন্ট শুনতে। সে বলুক আমাকে সাজাতে মিষ্টি লাগছে। ছোটখাট কোনো উপহার দিক। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে আমার কপালে চুমু দিয়ে বলুক, সাবধানে থাকবে। সে হুট করে রেগে যায়। গম্ভীর হয়ে যায়। আবার হুট করে স্বাভাবিক। আমি কোনো অন্যায় করলে বলবে তো।তোর ভাই বুঝেও বুঝতে চায় না আমি তাকে ভালোবাসি।না বুঝুক, সারাজীবনের মতো হারিয়ে গেলে বুঝবে।’

এবার যেন তামান্না একটু নত হয়ে গেলো। সে জানে তার বান্ধবী বিয়ের আগে থেকেই বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে। কিভাবে সংসার আগলে রাখবে।সবার সাথে কি করে মিশবে। সবই ঠিক আছে শুধু তার ভাইটা কেমন যেন।ইন্ট্রোভাট টাইপ। নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করে। নিজের মনের ভাব, রাগ, জেদ উপস্থাপন করতে পারে না।সবকিছু নিজের মাঝেই চেপে রাখে। সদুষ্ণ শ্বাস ফেলল সে।

‘মাঝেমধ্যে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। তুই তো জানিস আমার ভাই কেমন। মনের কথা প্রকাশ করতে পারে না। ভেবেছিলাম তোর মতো আ’জরাইল সাথে বিয়ে দিলে ভাই একটু পরিবর্তন হবে।এখন দেখছি আরো গুটিয়ে নিয়েছে। তুইও তো ভাইয়ের কাছ ঘেঁষে থাকতে পারিস।’

‘তোর ভাই ঠিক করে তাকায়? ভালোভাবে কথা বলে? প্রতিনিয়ত তাকে আকৃষ্ট করার ফন্দি আঁটতে হবে কেন? আমি তার প্রেমিকা? এসব ফন্দি আঁটবো। সে ছোট বাচ্চা?’

‘এক কাজ কর আজ সবকিছু ভাইয়ের পছন্দ মতো রান্না করে অফিসে গিয়ে ভাইকে সারপ্রাইজ দে।’

‘বাদ দে তোর বজ্জাত ভাইয়ের কথা। হুমায়রার সাথে কথা হলো তোর? আজ কতদিন হলো কথা হয় না।’

‘গত চারদিন আগে হলো। মোবাইল চুরি হয়ে গিয়েছে। আমাকে ফোন করে বলল। তোর নাম্বার নাকি মুখস্থ নেই। আমার থেকে তো নাম্বার নিলো তোর।’

তূবা কিঞ্চিৎ মন খারাপের ভান করে বলল,

‘দেখলি তোর নাম্বার মুখস্থ আছে। আমার নাম্বার নেই। আমাকে কেউ বান্ধবীই মনে করে না।’

‘নাটক ক্ষেমা দেন আফা। আমাদের বন্ডিং কতটা স্ট্রং সবাই জানে। আমার আরেকটা ভাই থাকলে ওরে বউ করে নিয়ে আসতাম।’

‘তাহলে আমাকে বাদ দিয়ে ওকেই তোর খাড়ুস ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতি।’

এবার নিঃশব্দে হাসলো তামান্না। উৎফুল্ল, আনন্দে মনে বলল,

‘কারন পরিচয়টা তোর সাথে আগে হয়েছিল। তোর পরিবারের মানসিক চিন্তাভাবনা আর আমার পরিবারের মানসিক চিন্তাভাবনা এক রকম। ও যে মাঝে মাঝে উগ্র, উন্মাদ আর তিগ্ম আচরণ করে আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হই।’

তামান্না কে থামিয়ে দেয় তূবা।

‘থাক বাদ দে। সবাই কি এক রকম নাকি। যে যেভাবে শান্তি পায় সেভাবেই চলুক। তবে ও ই ভালো আছে। স্বামী সন্তান নেই। যখন যেখানে মন চায় চলে যায়। পুরো দেশ ঘুরে বেড়ায়।’

তামান্না আফসোস আর দুঃখ প্রকাশ করলো,

‘এটাকে ভালো থাকা বলে না রে।একা একা জীবন পার করা যায় না। সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। স্বামী সন্তান জীবনের একেকটা অংশ। আশেপাশে মানুষ থাকার পরও হাজার হাজার মানুষ নিজেকে একা মনে করে। একা একা বেঁ’চে থাকা যায় না। শেষ বয়সে একজনকে দরকার হয়। যেন মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটিয়ে বলা যায়, ‘এই মানুষটার সাথে আমি আমার বিগত দিনগুলো পার করে এসেছি। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়া মানুষ টা আমার।’

‘এভাবে বলিস না। ওর মন কিন্তু অনেক ভালো। এটা কিন্তু অস্বীকার করতে পারবি না। কত সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারে। যেখানে যায় ওর বান্ধবী হয়ে যায়।’

‘ তা ঠিক। আচ্ছা শুন, যা বলছি তাই কর। রাখছি এখন।’

তামান্নার কথামত তূবা ফয়সালের পছন্দমতো সব রান্না করলো। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, পাবদা মাছের কালিয়া, ছোট মাছের চচ্চড়ি, ঘন ডাল, তিন রকমের ভর্তা আর সাথে লেবু। প্রচন্ড গরম আর আগুনের তাপে একেবারে ঘেমে-নেয়ে একাকার তূবা। শরীরের প্রতিটা ভাঁজে ঘামের অস্তিত্বে। তার ক্লান্তি নিবারনের জন্য শাওয়ার নেওয়া প্রয়োজন। তবে তার আগে মেয়েকে গোসল করাতে হবে। শ্বাশুড়ির গোসলের জন্য সবকিছু এগিয়ে দিতে হবে। সংসার সামলে রাখা নারীর ধর্ম। সর্বক্ষেত্রে নজর রাখতে হয়। একটা সংসারকে গুছিয়ে রাখা সহজ কথা নয়।

টেবিলে খাবার ঢাকা দিয়ে রেখে তূবা শ্বাশুড়ির কাছে গেল। নামাজ শেষ করে মাত্রই উঠলেন তিনি। তূবা কে পরিপাটি দেখে প্রশ্ন করলেন?

‘কোথাও যাবি তুই?’

তূবা ব্যস্তভঙ্গিতে জবাব দিল,

‘আপনার ছেলের জন্য খাবার নিয়ে যাবো মা।’

রাশেদা খাতুন এক গাল হেসে বললেন,

‘আচ্ছা, খেয়ে তারপর যা।’

সময় দেখে তূবা বলল,

‘না মা, দেরি হয়ে যাবে।একটু পর ফারিয়ার বাবার লাঞ্চের ব্রেক দিবে। আমি টেবিলে খাবার দিয়ে দিয়েছি। আপনি আর ফারিয়া খেয়ে নিয়েন।’

___________________

হাতের কাজ সেরে লাঞ্চের জন্য বের হবে ফয়সাল। সামান্য কাজ ফেলে রাখা মানে মাথায় বাড়তি প্রেশার নিয়ে রাখা। তাই সবটা কমপ্লিট করে যাবে। তন্মধ্যে পিয়ন এলো রুমে। ফাইলে দৃষ্টি স্থির রেখে বলল,

‘কিছু বলবেন?’

পিয়ন প্রশস্ত হেসে বললেন,

‘স্যার, ম্যাডাম এসেছেন।’

তূবার আসার কথা শুনে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কারন সচরাচর তূবা অফিসে আসে না। তপ্ত শ্বাস ফেলে বলল,

‘ভেতরে আসতে বলুন।’

ভেতরে এসে তূবা টিফিন ক্যারিয়ারটা টেবিলে রাখতেই তূবার অফিসে আসার কারন উদঘাটন করতে পারলো। মনে মনে খুশিই হলো তবে প্রকাশ করলো। চোখমুখে গাম্ভীর্যের ছাপ বিদ্যমান। রাশভারী গলায় বলল,

‘এসবের দরকার ছিলো না।’

তূবা এক পলক ফয়সালের দিকে তাকালো। তবে কোনো কথা বললো না। রসকষহীন কাঠখোট্টা লোক থেকে তূবা এর থেকে বেশি আসা করে না। প্রতিটা বাটি বের করে তূবা বলল,

‘একটা প্লেটের ব্যবস্থা করলে ভালো ছিলো।’

ফয়সাল পিয়নকে খবরকে দিয়ে একটা প্লেটের ব্যবস্থা করল। তূবা একে একে সব গুলো পদ প্লেটে নিতেই ফয়সালের খিদে যেন মাথা চারা দিয়ে উঠলো। অথচ এতক্ষণ সে খিদের লেশমাত্র অনুভব করেনি। খাবারের ঘ্রাণ নাক আসতেই খিদে মাত্রা তরতর করে বাড়তে লাগল । এরমধ্যেই তূবা খাবারের প্লেট তার দিকে এগিয়ে দিল। এদিক ওদিক না তাকিয়ে ফয়সাল হাত ধুয়ে খাওয়া শুরু করলো। তূবা গালে হাত দিয়ে ফয়সালের তৃপ্তি সহকারে খাওয়া দেখছে। অকস্মাৎ ফয়সাল এক লোকমা তূবার সামনে ধরল। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো তূবা। এতোটা সে ভাবেনি।মনে মনে খুব হলো।আনন্দ, অভিলাষে চকচক করে উঠলো চোখ দু’টো। তার ভাবনায় জল ঢেলে ফয়সালের কন্ঠ থেকে স্ফুরিত হয়,

‘এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমার পেট খারাপ হবে।’

মন খারাপ হয়ে গেলো তূবার। পেট খারাপ হবে বলে সে খাবার বাড়িয়ে দিয়েছে। হাসিমাখা বদনে হঠাৎ করে অন্ধকার ঘনীভূত হলো। শুকনো মুখে বলল,

‘আপনি খান আমি আর তাকাবো না।’

তূবার মেঘাচ্ছন্ন মুখটা দেখে ফয়সালেরও মন খারাপ হয়ে গেল।সে তো ওই অর্থে কথাটা বলেনি। সে তো একটা অজুহাতে তূবাকে খাইয়ে দিতে চেয়েছিল। এজন্য সে কম কথা বলে। সে এক অর্থে বললে সেটা অন্য অর্থে প্রকাশ পায়।

‘মুখের সামনের খাবার ফিরিয়ে দিতে নেই।’

ফয়সাল খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে তূবাকে খাইয়ে দিতে লাগল। তবে তূবা আর ফয়সালের দিকে তাকায়নি।খাওয়ার পাট চুকিয়ে কক্ষ থেকে বের হতে নিলে ফয়সাল এক গাল হেসে বলে,

‘ধন্যবাদ, প্রতিদিন তোমার হাতের রান্না করা খাবার খাই। তবে আজ খেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছি। খাবারের স্বাদেন্দ্রি অন্যরকম ছিল।’

তূবা ফয়সালের দিকে তাকিয়ে ওষ্ঠদ্বয় প্রসারিত করলো। ফয়সাল পুনশ্চ বলল,

‘আর স্যরি, আমি কিন্তু ওভাবে বলিনি ওই কথাটা।’

__________________

লাঞ্চ আওয়ার তবে নাযীফাহ’র কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। সে তার ডেস্কে বসে পেপার ওয়েট টা ঘুরাতে লাগল। আপাতত মন খারাপ তার। কেন মন খারাপ সে জানে না। টুং করে মোবাইলের মেসেজ টিউন বেজে উঠলো। ইচ্ছে না থাকা সত্বেও মোবাইল হাতে নিল। মেসেজ পড়ে আহাম্মক হয়ে গেল সে।

‘আমার একলা আকাশ থমকে গেছে তোমার কাছে এসে। শুধু আমার আকাশ না আমি মানুষটাই আপনাকে দেখে থমকে গিয়েছিলাম বহু দিন আগে বহুক্ষণ আগে।’

নাযীফাহ দ্রুত টাইপ করল,

‘কে আপনি জনাব?’

দুই মিনিট পর অপর পাশ থেকে উত্তর আসলো,

‘ আপনার না হওয়া পাগলাটে প্রেমিক পুরুষ,জনাবা।’

নাযীফাহ’র মুখ আপনা-আপনি হা হয়ে গেল। বলে কি এই পা’গ’ল। নির্ঘাত প্রেমিকা কে মেসেজ দিতে গিয়ে ভুল করে তার নাম্বারে চলে এসেছে। তাই আর কথা বাড়ালো না সে।

______________

মাগরিবের নামাজ পড়ে মাত্রই ড্রয়িং রুমে এসে বসলো তূবা এবং রাশেদা খাতুন। তন্মধ্যে ফারিয়া বায়না করলো নাগেটস খাবে। মেয়ের বায়না মিটানোর জন্য সে ছুটলো রান্নাঘরে। ফ্রিজ থেকে রেডিমেড নাগেটস আর সমুচা বের করে ভাজতে লাগলো। ভাজা শেষ করে সেগুলো প্লেটে নিয়ে ড্রয়িং রুমে আসতেই কলিং বেল বেজে উঠলো। তূবা প্লেট টা রাশেদা খাতুনের হাতে দিয়েই এসে দ্বার খুলল। সামনের মানুষটাকে এই সময় দেখে কপালে সূক্ষ্ম রেখার ভাঁজ পড়ে। গলার টাই ঢিলে, শার্টের ইন খোলা, এলোমেলো চুল আর র’ক্তি’ম বর্ণ চোখ। উদ্ভ্রান্ত, অব্যবস্থিতচিত্ত, অস্থির প্রকৃতি আর ভয়ংকরই লাগছে ফয়সালকে। তূবা ফয়সালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিল,

‘আজ এতো তাড়াতাড়ি?’

বলতে দেরি হলো আর ফয়সালের তাকে নিজের শরীরের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে থা’প্প’ড় দিতে দেরি হলো না।

#চলবে

বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।