দেওয়া নেওয়া সানাই পর্ব-০৩

0
329

#দেওয়া_নেওয়া_সানাই
পর্ব:3
#লেখিকা_নুসরাত_শেখ

বৃষ্টিতে ভেজার কারণে ঠান্ডা লেগে গেছে।সাথে গলা ব্যাথাতো আছেই।আম্মু কিছুক্ষণ পর পর বকছে আর লিকার চা করে দিচ্ছে।এইদিকে ইফরাজ কিছুক্ষণ পর পর আমার দিকে তাকিয়ে রাগ দেখাচ্ছে।একটু বৃষ্টি বিলাস করেছি তাই বলে এত্ত শাসন করে কেউ।ইফরাজ বকতে চেয়েও হয়তো পারছেনা আব্বু আম্মুর জন্য। রাত আটটার পর থেকেই এমন ঠান্ডা লেগে গেছে।এখন বাজে রাত দশটা।এরই মধ্যেই আম্মু নয়বার লিকার চা করে দিয়েছে।কিন্তু তাও কিছুতেই ঠান্ডা কমছেনা।হাচি আসছে কিছুক্ষণ পর পর।গলা ব্যাথার কারণে কান্না আসছে।কিন্ত এখন কান্না করলে নির্ঘাত বকা খাবো।তাই চুপচাপ কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লাম ।(ঐশানী)

আম্মু একটা ছাতা দিনতো আমি একটু বাইরে যাবো।(ইফরাজ)

এত্ত রাতে কি জন্য যাবে বাবা?কি লাগবে বলো আমি লিমনকে(বাড়ির সহযোগি) দিয়ে আনিয়ে দেই।(মমতা আহসান)

না আম্মু আমার এই যেতে হবে।একটা ছাতা দিলেই হবে।(ইফরাজ)

আচ্ছা আসো তুমি ডাইনিং এ আমি দিচ্ছি। (মমতা আহসান)

জ্বি আম্মু।
তারপর আমি আম্মুর সাথে ডাইনিং এ আসলাম।আম্মু আমার হাতে একটা ছাতা দিতেই আমি বেড়িয়ে পড়লাম।ঝিড়ি ঝিড়ি বৃষ্টি পড়ছে।বৃষ্টি আমার পছন্দ হলেও ভেজা আমার না পছন্দের তালিকার একটি।বৃষ্টির দিন গুলো ও আমার তেমন ভাল লাগেনা।বিশেষ করে কাজের অসুবিধার জন্য এইবৃষ্টি আমার অপছন্দের।কি ভাবি কি বলি মাথা কাজ করেনা।মেয়েটা আমাকে পাগল বানায় দিবে।আমি গলির মোড়ের একটা ফার্মেসির থেকে গলা ব্যাথা ও ঠান্ডার কিছু ঔষধ কিনে নিলাম।এই ঔষধ নিতেই এখন বের হয়েছি।নাহলে এই বৃষ্টির মধ্যে আমি কোনদিন বের হইনা একেবারে প্রয়োজন ছাড়া।ঔষধ কেনা হলে আর একটা বেকারির থেকে অনেক গুলো চকলেট আর কিছু বেকারির খাবার কিনে আবার বাড়ি ফিরে আসলাম।
আম্মু এই গুলো সবার জন্য এনেছি আপনারা খেয়ে নিবেন।আর ঐশানীর খাবার টা দিলে ওকে খাবার এর পর এই ঔষধ গুলো খাইয়ে দিতাম।(ইফরাজ)

তুমি বাবা এত্ত কিছু আনতে গেলে কেন?(মমতা আহসান)

এসব সামান্য জিনিস এর কথা জিজ্ঞেস করতে হয় আম্মু?আমি আপনাদের ছেলে তো।এই টুকু জিনিস আনলে আপনি বারণ করতে পারেননা।(ইফরাজ)

ঠিক আছে বারণ করবনা।এখন তুমি সবার সাথে খেয়ে নাও।আমি ঐশানীকে খাইয়ে দিবোনে।(মমতা আহসান)

আমার কাছে খাবার টা দিয়ে দেন আম্মু। আমি খাইয়ে দিবো।(ইফরাজ)

ঠিক আছে তুমি রুমে যাও আমি লিমন কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দিবো।(মমতা আহসান)

ঠিক আছে(ইফরাজ)

______

খাবার টা খাও নাহলে কিন্ত তোমার খবর আছে ঐশানী।(ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)

খেতে ভালো লাগেনা।প্লিজ জোর করবেননা।(ঐশানী)

এই দিকে তাকাও।খাবেনা কেন বলো?এইযে ঠান্ডা লেগেছে তা ঠিক করতে হলে তো ঔষধ খেতে হবে।আর ঔষধ খাওয়ার জন্য হলেও খাবার খেতে হবে।ঐশানী প্লিজ একটু খাও।(ইফরাজ)

ভাল লাগেনা খাবোনা।(ঐশানী আবার শুয়ে)

আমি প্লেট টা টেবিল এ রেখে ওর পাশে বসলাম তারপর ওর কোমর জড়িয়ে বসিয়ে দিলাম। ও প্রথম এ অবাক হলো তারপর হাতের উপর হাত রেখে সরাতে চাইলো।
একটা কথা বারবার না বললে তোমার মানতে কি অসুবিধা হয়?এইযে দশমিনিট ধরে বলছি খাবার টা খেয়ে নাও।কিন্ত তুমি বারবার শুয়ে পড়ছো খাবেনা বলে তালবাহানা করছ।কি চাও জোর করি?(ইফরাজ)

আগে কোমর থেকে হাতটা সরান।(ঐশানী)

জদি না সরাই কি করবে?(ইফরাজ)

এভাবে কোন মেয়েকে ধরতে হয়না আপনি জানেন না?(রাগ করে ঐশানী)

আমি অন্য কোন মেয়েকে তো ধরিনাই ।আমি আমার বউ কে ধরেছি।এখন আর কোন কথা না খাবার খেয়ে ঔষধ খাও।তারপর ঘুমাও।(ইফরাজ)

আগে আমাকে ছাড়েন তারপর খাবো।(ঐশানী)

এমন করো কেন একটু জড়িয়ে এইতো ধরেছি।অন্য কিছুতো আর করছিনা।(ইফরাজ মুচকি হেসে)

দিনদিন এত্ত অসভ্য হয়ে যাচ্ছেন কেন আপনি?(রাগি সুরে ঐশানী)

বউ এর সাথে দুষ্ট মিষ্টি কথা না বললে বউ তো মনে করবে আমি আনরোমান্টিক।তাই একটু অসভ্য নাহয় হলাম বউটা।এখন ছেড়ে দিলাম চুপচাপ খেয়ে নাও।তোমার খাওয়ার পর আমি বাইরে খেতে যাবো।এমনেই আসছি পর থেকে খাবার এর সিডর উঠেছে আমার উপর।খাবার খেতে খেতে মিনিমাম পাচঁ কেজি বেড়ে গেছি।কালকেই বাড়ি ফিরে জিম যেতে হবে।(ইফরাজ)

খাবার দিলেতো আপনি না ও করেননা খেতেই থাকেন।খাদক একটা।(ঐশানী)

খাবার নিয়ে খোটা দিলা তুমি আমাকে?(অবাক হয়ে ইফরাজ)

সরি সরি ভুল করে বলে ফেলছি।(ঐশানী অসহায় বোধ করে)

দিলে দিলা খোটা তাতে আমার কি?এই বাড়ির ছেলে আমি তোমার খোটা শুনে খাবার খাওয়া বন্ধ করবো এটা ভেবোনা।আমার খেতে প্রচুর ভালো লাগে।আর পছন্দের খাবার হলে আমি নিজেকে ধমিয়ে রাখতে পারিনা।নিজে তো খাও দেশি মুরগির মতো।তাই তোমার চোখে আমার টা বাধেঁ।থাক বাদ দেই খাও জলদি আমার খুদা লাগছে এত্তক্ষন খাবার নিয়ে ভাসন দিতে যেয়ে।(ইফরাজ)

খাদক,খবিশ সাথে অসভ্য সব মিলিয়ে খাসভ্য।(ঐশানী মনে মনে)

কি হলো খাও।(ইফরাজ)

খাচ্ছিতো।এত্ত চিৎকার করেন কেন?(ঐশানী প্লেট হাতে নিয়ে)

কিছুক্ষণ পর

আমি খেয়ে আসি তুমি ঘুমাও।
তারপর আমি ডাইনিং এসে খেতে বসলাম। বলেনা শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি।আসলেই গতো দুইদিন যাবত খাওয়ার উপর রাখা হয়েছে।এক ঘন্টার পর পর ফল,মিষ্টি, চা আরো নানান খাবার ঘরে আসে যায়।আমি কিছুটা খাই বাকি গুলো দিয়ে পাঠাই।নাহলে আম্মু রাগ করে।খাবার খেতে খেতে সবার সাথে গল্প হচ্ছে।
দিদা তোমাকে নিয়ে কালকে ঘুরতে যাবো।সকালে রেডি থেকো।(ইফরাজ)

আমার বউ নিয়ে টানাটানি কেন করো দাদুভাই?তোমার বউ নিয়ে যাও।(দাদা ফারুক আহসান)

আমার ঐ বউ এর থেকে এই বউ কে বেশি পছন্দ হয়েছে।আর তুমি দাদা বুড়ো হয়ে গেছো।তোমার জন্য আমার বউ দিয়ে দিলাম সে তোমার সেবা করবে।আর আমি আমার দিদা জান এর সেবা করব।তাইনা জান?(ইফরাজ দিদার হাত ধরেই)

ঠিক আছে দাদাভাই।(দিদা মনিরা আহসান)

ঠিক আছে তাহলে তোমার দাদাভাই কে নিয়েই থাকো।আমার কাছে আর এসোনা।(দাদা ফারুক আহসান)

হিংসুটে জামাই একটা।(দিদা মনিরা আহসান)

ঠিক হিংসুটে দাদাভাই।চলো জান তোমার জন্য চকলেট এনেছি তোমাকে দেই।(ইফরাজ দিদার হাত ধরেই)

চলো দাদুভাই।(দিদা মনিরা আহসান)

সত্যি আমার মেয়ের জন্য আজকে আমার আনন্দ হচ্ছে এমন একটা জামাই পেয়েছে।মাসাআল্লাহ আমার মেয়ে-জামাই এর উপর কারো নজর না লাগুক। (মমতা আহসান মনে মনে)

______

দাদুভাই আমার ঐশানী কেমন?(দিদা মনিরা আহসান)

অনেক ঝগড়ুটে।কেন যে তোমার সাথে আগে দেখা হলোনা।আফসোস তোমাকে আগে পেলামনা।(ইফরাজ মজা করে)

আমি মজা করছিনা।আমি জিজ্ঞেস করছি ঐশানী কেমন ব্যবহার করে তোমার সাথে?আর তোমাদের মধ্যে কি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়েছে কিনা?(দিদা মনিরা আহসান)

তোমার নাতনী ঐশানী আমার কাছে আল্লাহর দেওয়া আমানত।ওর সাথে আমার সম্পর্ক বন্ধুত্ব পূর্ণ।ওকে আমি আগে ভালোবাসতে চাই আর ওকে ওতো সময় দিতে হবে তাইনা।ওর পুরানো ভালোবাসা ভুলতে একটু তো টাইম লাগবেই।আর রইল স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তা ও ধীরে ধীরে হয়ে যাবে আল্লাহ চাইলে।আর তার জন্য সারাজীবন টাই পরে আছে।কিন্ত তাও আমার একটা আফসোস থেকেই যাচ্ছে।(ইফরাজ মন খারাপ করে)

কিসের আফসোস দাদুভাই?(দিদা মনিরা আহসান উদ্বিগ্ন হয়ে)

তোমাকে না পাওয়ার আফসোস। আচ্ছা শোননা চলো তোমাকে বিয়ে করে ঐশানীর সতিন বানাই দেই।(ইফরাজ মুচকি হেসে)

যাহ দুষ্টু। (দিদা মনিরা আহসান লজ্জা পেয়ে)

হায় মে মারযাবা।কি সুন্দর লাগে তোমাকে লজ্জা পেলে।(ইফরাজ)

যাও ঘুমাতে কালকে আবার কথা বলব।(দিদা মনিরা আহসান)

চলো তোমার বুড়োর কাছে দিয়ে আসি।নাহলে আবার কি করে বসে বউ এর শোকে।(ইফরাজ)

কিছুক্ষণ পর

এইযে দাদা তোমার বউ কে দিয়ে গেলাম।আবার কালকে নিতে আসব আমার আমানত যত্নে রেখো।(ইফরাজ)

কেনো নিয়ে না গেলে আবার ফেরত কে চাইলো।আমি আমার ঐশানী দিদুন কে নিয়ে আসি।(দাদা ফারুক আহসান)

কত্ত শখ আসছে আমার বউ নিয়ে টানাটানি করতে।এই যোয়ান টাগরা যুবক হয়ে পাত্তা পাচ্ছি না।বুড়োর কত্ত শখ আমার বউ নিতে যাবে।দিদা তোমার বুড়োকে আচলে বাধো আমি আমার বউ এর কাছে গেলাম।(ইফরাজ)

নিজে যে আমার বউ নিয়ে টানো।(দাদা ফারুক আহসান)

আমি যোয়ান মানুষ দুইটা বউ আমার কাছে কোন ব্যাপার এইনা।তুমি বুড়ো মানুষ এখন আমার মতো তো আর হতে পারবানা।(ইফরাজ চোখ টিপ দিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল)

আমার

আহ থামেনতো।অনেক বলেছেন এখন ঘুমানতো।বাচ্চাদের সাথেও ঝগড়া করতে হয় আপনার। (দাদা কে থামিয়ে দিদা মনিরা আহসান)

_______

এই মেয়ে ঘুমাতে বলেছি সেই কখন?এখানে এসে ফোন টিপছো কেন?(ইফরাজ ঐশানীকে ঝাড়ি দিয়ে)

সব সময়ই বকেন কেন?আর ঘুম না আসলে কি করব?তাই ফোন দেখছিলাম। (ঐশানী)

বকবো নাতো আদর করবো তোমাকে।আদর এর কাজ করেছ যে কোলে বসিয়ে আদর করব?(ইফরাজ)

অসভ্য মার্কা কথা বার্তা বলেন কেন আজিব?আমি বলছি আপনাকে আদর করতে?(ঐশানী রাগ করে)

কথা না শুনলে বকা শুনতে হবেই।যাও ঘুমাতে।(ইফরাজ)

যদি না যাই কি করবেন?(ঐশানী)

ওর মোবাইল হাতের থেকে নিয়ে একটা আছাড় মেরে দিলাম।
যাও ঘুমাতে।(ইফরাজ রাগি সুরে)

আপনার সাহস কি করে হলো আমার ফোন ভাঙ্গার?(দাঁতে দাঁত চেপে ঐশানী)

নতুন কিনে দিবো কাল এখন রুমে যাও।আমি যেতে বলছি তাও এক্ষুনি। (ইফরাজ)

আমার ফোন কেন ভাঙ্গলেন আপনি তার উত্তর দেন আগে।(ঐশানী)

আমার বউ তার প্রাক্তন এর ছবি দেখে কান্না করুক তা আমি মানবো এত্তটাও ভালো আমিনা।সময় দিয়েছি অতিত ভুলে আমাকে ভালোবাসার জন্য।অতিত কেই আকড়ে কান্না করার জন্য না।বিয়ে করা বউ তুমি আমার। তোমার চোখে অন্য কারো জন্য পানি আসবে তা আমি মানতে পারবোনা।তাই ফোনটা ভেঙ্গেছি।কালকে নতুন কিনে দিবো এখন যাও ঘুমাও। (ইফরাজ ঐশানীর হাত ধরেই)

আপনি খুব খারাপ মানুষ। (ঐশানী কান্না করেই)

হুম জানি।(ইফরাজ)

______

পরের দিন দুপুর এর খাবার খাওয়ার পর আমরা ফিরে আসলাম ইফরাজদের বাড়ি। রাতের থেকে ওনার সাথে না আমি কথা বলেছি না উনি।মানলাম কালকে ফারাজ এর পিক দেখে কান্না করেছি তাই বলে ফোনটাই ভেঙ্গে দিবে।আমার ফোনে কত্ত ইনফরমেশন ছিল সব তো শেষ হয়ে গেল।উনি আমাকে বাড়িতে দিয়ে আবার বের হয়ে গেছে।আমি মামমাম এর সাথে বসে গল্প করছি।আর আব্বু হসপিটাল এ গেছে।আব্বু একজন ডাক্তার আর আম্মু গৃহিনী।ইফরাজ বিজনেস করে তাতো আগেই বলেছি।ওর শোরুম আছে।মামমাম এর সাথে কথা বলছি আর ইফরাজ এর সম্পর্কে জেনে নিচ্ছি।ইফরাজ এর একটা বড় বোন ও আছে সে লন্ডন থাকে ফ্যামিলি নিয়ে মানে হাজব্যান্ড ও বেবি নিয়ে।আমাদের হঠাৎই বিয়ের কারণে উনি নাকি একটু রাগ করেছে।আসবে সামনের মাসেই আমাকে দেখতে আর বেড়াতেও।(ঐশানী মনে)

মাস্টার্স কম্পিট তো করো নাই?(তুবা বেগম)

না ছয়মাস পড়ে ফাইনাল ছিল। কিন্ত ছেড়ে দিয়েছি।(ঐশানী)

ইফরাজ বলছিলো আবার ভর্তি করাবে তোমাকে।জদি হয় ছয়মাস পরেই পরীক্ষার জন্য বলবে।নাহলে আবার ফাস্ট সেমিস্টার থেকে শুরু করতে হতে পারে।এখন ভার্সিটির উপর নির্ভর করে তারা কি করে।(তুবা বেগম)

উনি সত্যি আমাকে ভর্তি করাবে মামমাম?(ঐশানী অবাক হয়ে)

এইরে সারপ্রাইজ দিতে চাইছিল আমি আগে বলে ফেললাম। (কপালে হাত দিয়ে তুবা বেগম)

আচ্ছা আমি বলবনা যে আমি জানি।তুমি মানে আপনিও ওনাকে বলিয়েন না।(ঐশানী)

ঠিক আছে বলব না ।কিন্ত তোমার আমাকে এখন থেকে তুমি করে বলতে হবে বলো বলবে?(তুবা বেগম ঐশানীর গালে হাত দিয়ে)

ঠিক আছে মামমাম। (ঐশানী)

বাহ কত্ত ভালোবাসা মা বউমার।আমাকে তো কেউ ভালোবাসেই না।(ইফরাজ গেটে দাড়িয়ে)

হুম সারাদিন ভালোবাসলেও তোর মন ভরেনা হিংসুটে।(তুবা বেগম)

হুম আমি হিংসুটে বলেই তো আপুকে দূরে বিয়ে দিয়েছি।যাতে আমার ভালোবাসার ভাগ না বসাতে পারে।(ইফরাজ সোফার উপর বসেই)

চা খাবি বাবা?(তুবা বেগম মুচকি হেসে)

না কফি খাবো।বানানো থাকলে দাও না থাকলে কষ্ট করতে হবেনা।(ইফরাজ হেলান দিয়ে)

শরীর খারাপ নাকি বাবা তোর?(তুবা বেগম)

কোই নাতো।আমিতো ঠিক আছি।(ইফরাজ )

হাতে ঔষধ কিসের?(তুবা বেগম)

তোমার বউমার ঔষধ ঠান্ডা লেগেছে তার।কালকে যেই ঔষধ কিনেছি ঐগুলা ঐ বাসায় রেখে আসছে গুনোধর বউমা তোমার।তাই আবার কিনে আনলাম।(ইফরাজ)

কিভাবে ঠান্ডা লাগলো মা তোমার?(তুবা বেগম)

বৃষ্টিতে ভিজেছে আর সেই জন্য ঠান্ডা লেগেছে।বলো তাকে ঔষধ খেতে আমি উপরে গেলাম। কফি ওকে দিয়ে পাঠিয়ে দিও।(ইফরাজ বলেই হাটা দিলো)

ঝগড়া লেগেছে নাকি ?(তুবা বেগম)

নাতো মামমাম। (ঐশানী)

তাহলে সরাসরী তোমার সাথে কথা কেন বলল না?(তুবা বেগম)

এমনেই আপনার সামনে মনে হয় সরম পাইছে।(ঐশনী)

আমার ছেলে যেই লেভেল এর ঠোঁট কাটা ও একদিকে সরম লজ্জা আরেক দিকে।নিশ্চিত ঝগড়া হয়েছে।আচ্ছা যাইহোক একটু কথা বলে নিও রাগ উধাও হয়ে যাবে।রাগ করে থাকতে পারেনা কারো সাথে।(তুবা বেগম)

হুম।(ঐশানী)

************(চলবে)**********