দোটানা পর্ব-০৬

0
459

#দোটানা ২
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_০৬

খাবার টেবিলে সবাই নাস্তার উদ্দেশ্যে বসেছে।আয়ান যে প্রান্তে বসেছে সায়ান ঠিক তার বিপরীত প্রান্তে।আরুশি একসাইডে বসেছে।আরুশি খেয়াল করলো আয়ান আর সায়ানের চেয়ারে ওদের নাম লিখা বেশ বড় করে,আর আরেকটা অবাক করার জিনিস হলো ওদের প্লেটের আশেপাশের খাবারগুলো সব সেইম আর সব খাবার দুই দুই বার করে রাখা।মানে আয়ানের ধারে যা সায়ানের ধারেও তা তবে সব আলাদা আলাদা বাটিতে কিন্তু এমনটা সবার ক্ষেত্রে নয়।আরুশি বুঝতে পারলো না এমনটা কেনো অতঃপর বুঝতে পারলো তার মানে।সায়ান ফোন টিপে টিপে খাচ্ছে আর আয়ান ল্যাপটপে গুতাগুতি করে খাচ্ছে।দুজনকে আলাদা আলাদা বাটি দেওয়ার পরও দুজন হাত দিলে এক বাটিতে দেয় অতঃপর যার মিসটেইক ধরা পরে সে হাত সরায় আর অপরজন রাগি দৃষ্টিতে তাকায়।অনেকক্ষণ এসব দেখে শব্দ করে হেসে উঠে আরুশি।

সবাই ওর দিকে অবাক হয়ে তাকালে ও হাসি বন্ধ করে মুচকি মুচকি হাসতে শুরু করে।তখনি যায়ান ছুটে আসে।

আরুশি আপু তুমি একটু হেল্প করবে আমায়।আজ না আমাদের স্কুলে রম্য ছন্দ প্রতিযোগিতা,আর আমাদের বাড়িতে এসব রম্য ছন্দ কেউ ভালো পারে না জানি,ফোন থেকেও ভালো কিছু পাচ্ছি না,তুমি একটু সাহায্য করবে আমায়।

আরে আরে আসো আমার ভাইটা।তুমি একদম সঠিক মানুষের কাছেই আসছো,তবে তুমি লিখো আমি বলি।
আয়ান সায়ান দুই ভাই।
পথে পেলো মৃত গাই,
আয়ান বলে নিয়ে যাই আর সায়ান বলে খেয়ে যাই।হা হা হা হা।

আরুশির কথা শুনে সবাই হু হু করে হেসে উঠে,আয়ান সায়ানের রাগে আরুশিকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে কিন্তু বাবা মায়ের সামনে আর কোনো কথা বাড়াতে চাইলো না তারা।

আয়ান সায়ান রাগ আর বিরক্তি নিয়ে ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে আবার খাবারে মন দেয়।হাসি থামিয়ে খেতে খেতে নিরব বলে উঠলো।

তা সায়ান বিয়ের ব্যাপারে কি ভেবেছো কবে বিয়ে করছো তুমি।

কথাটা শুনে আরুশি কেমন ঘাবড়াতে শুরু করলো।

সায়ান স্বাভাবিক ভাবে উত্তর দিলো।

আমার একটু সময় লাগবে ডেড ভেবে বলবো।

কথাটা শুনে আরুশি সস্তির নিশ্বাস ফেললো,তবে অনেকটা অবাকও হলো, ওর সাথে সবাইও অবাক কারন সায়ান বলেছে ভেবে দেখবে যে জায়গাতে বিয়ের কথা ভাবতেই পারে না সায়ান তাও আরুশিকে সেটা তো কল্পনাতেও না।

দেখো সায়ান এতো ভাবাভাবির এখানে কোনো প্রশ্ন আসে না ডিসিশন আমার জলদি চাই।

ওকে ডেড বলেছি তো জানাবো।কথাটা বলে সায়ান উঠে চলে গেলো।

এই সায়ান নিশ্চয়ই কোনো ফন্দি এটে রেখেছে তা তো আমি বুঝতেই পারছি।তবে ওকে আমিও দেখে নিবো। বর্তমানে আমার অফিস যাওয়ার রাস্তা ক্লিয়ার করি,ওই আয়ান আমাকে অপমান করে বের করেছিলো, ওর সামনেই আমি অফিসে আবার জব পাবো।

আসলে বড় বাবা,সায়ান কবে বিয়ের কথা জানাবে তা তো জানা নাই।আসলে আমি পরগাছার মতো হয়ে আছি।জবটাও নেই।বিনা দোষে জব থেকে বার করা হলো আমায়।কান্নার ভান করে বললো আরুশি।

আরে আরুশি মা এটা তো তোমারও ঘর।তুমি এখন আর জব করে কি করবে।এখানে যা চাই তাই পাবে।তুমিও তো আমাদের পরিবারের সদস্য।

না বড় বাবা তাও আমি জব করতে চাই।এখন আপনারা না দিতে চাইলে কি করার আছে।এমনিই তো বিনা দোষে

বার করা হয়েছে।সবাই একবার শুনেছে কথাটা।

আয়ান তোমাকে কথার মাঝে ফোড়ন দিতে কে বলেছে।সমস্যা নাই মা তুমি জব করতে চাইলে আমি আমাদের অফিসেই তোমাকে ভালো পোস্টে রাখবো আজ থেকেই।

আর কোনো পোস্ট লাগবে না বড় বাবা আগের পোস্টেই চলবে।

তবে।

সমস্যা নেই বড় বাবা আমি ওই পোস্টে খুশি।

ওকে ঠিক আছে তবে আরুশি মা আজ থেকেই অফিস যাবে।হেসে বললো নিহান।আয়ান ওকে একদম উত্তপ্ত করবে না বলে দিলাম।

হ্যাঁ আমার তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই।বাবা আমি উঠলাম তোমার এমপ্লয়কে বলো সময়মতো চলে আসতে।কথাটা বলে উঠে গেলো আয়ানও। এবারও সবাই অবাক হলো।কারন আরুশির অফিস যাওয়ার কথায় কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখালো না আয়ান,বরং অফিস আসতে বললো।

ও মা এই গুমরো হনুমানটার কি হলো।সহজে মেনে গেলো।না নোংরো হনুমানটার মতো এরও কোনো ফন্দি আছে।যাই হোক আমার সাথে আমার আল্লাহ আছেন।

আসো সস্তা মেয়ে,আমিও তো তাই চাইছিলাম তুমি অফিস আসো,না হলে আমার ডোজটা কিভাবে দেবো তোমায়।
___________________

আরুশি অফিসের জন্য রেডি হয়ে বেরুবে তখনি সায়ার ওর রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।

কি করছো সায়ান দরজা খোলো।

কেনো বেবি তোমার না আমার বউ হবার অনেক শখ,চলো স্বামী স্ত্রী খেলা খেলি।

ওসব খেলার জন্য তোমার বিয়ের ট্যাগের দরকার নেই আর আমি তোমার মতো না।ছাড়ো রাস্তা।

আরুশি সায়ানকে পাশ কাটিয়ে যেতে নিলে সায়ান ওর দিকে এগিয়ে আসে,আরুশি শুকনো ঢোঁক গিলে পিছু যায়।

দেখো সায়ান আমি চিৎকার করবো।

ইশ আরুশি তুমিও না বেবি। কাল রাতে তো চিৎকার করেছিলে বন্ধ রুমে কেউ শুনেছিলো?নো বেবি।সো এখনও শুনবে না।

আরুশি পাশে থাকা ছুরি হাতে নিয়ে নিলো।

দেখো সায়ান এগিয়ো না আমার দিকে আমি তোমার উপর প্রহার করবো।

সায়ান মৃদু হাসলো,আরুশি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওর দুই হাত ধরে পিছন মুড়ে নিলো যাতে হাতে থাকা ছুরি পরে গেলো,আরুশি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।

সায়ান আরুশিকে বিছানা ছুড়ে ফেললো তারপর ও উঠে আসার আগেই বিছানার সাথে ওর দুই হাত চেপে ধরে ওর উপর আসলো,আরুশি ছুটতে ব্যার্থ হওয়ায় চোখে ওর জল চলে আসলো,বিনয়ের স্বরে বললো।

প্লিজ সায়ান আমার সর্বনাশ করো না।

সায়ান বিনা বাক্যে ওর ঠোঁটের দিকে এগুতে থাকলে আরুশি এবার শব্দ করে কেঁদে দিলো,আরুশিকে অবাক করে দিয়ে সায়ান জোরে শয়তানি হাসি দিলো,আরুশি প্রশ্নসুচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সায়ানের পানে।

কি দেখছো সুইটহার্ট? আরে না সায়ান এতো বোকা না যে তোর রেইপ করবে।এমনিই একটা সইয়ের জন্য ডেড আমার লাইফের ভিলেন হয়ে পরেছে উপর থেকে এমনটা করলে তো আর আমাকে তোর মতো ফকিন্নিকে গলায় ঝুলাতেই হবে।তাই এদিক থেকে তুই নিশ্চিত থাক।তবে হ্যাঁ তর বেঁচে থাকা দূরুহ করবো আমি,পারলে পালিয়ে যা,পালানোর একটা সুযোগ দিয়ে গেলাম।

অতঃপর আরুশিকে ছেড়ে চলে গেলো সায়ান।আরুশি হাফ ছেড়ে বাঁচলো।

পালানোর মেয়ে আরুশি না সায়ান,যতোক্ষণ না উদ্দেশ্য সফল করেছি ততোক্ষণ যাবো না।আই প্রমিজ টু ইউ।

আরুশি অফিস গেলো,যেতে না যেতেই অর্ডার এলো এক্ষুনি ২৫ কাপ কফি নিয়ে মিটিং রুমে যেতে হবে বসের অর্ডার,আর এখানে আরুশি কাউকে সাথে নিতে পারবে না– না তো দুইবারে গিয়ে কাজটা করতে পারবে,একবারেই সব করতে হবে বলা হয়েছে,আর যদি আরুশি তা করতে না পারে তবে স্বইচ্ছায় তাকে জব ছাড়তে হবে।পরে আবার বলতে পারবে না যে তাকে বিনা দোষে চাকরি থেকে বের করা হয়েছে,কথাটা আরুশির আত্মসম্মানে লাগে।তাই আরুশি আর কিছু না বলে তা করতে প্রস্তুত হলো।

আমি জানি আয়ান চৌধুরী আপনি নিশ্চয়ই কোনো ফন্দি এটে রেখেছেন,তবে মনে রাখবেন সবার সময় আসে।

হিয়া বড় ট্রে তে আরুশি ২৫ কাপ কফি নিয়ে কোনোমতে হেটে মিটিং রুমে যাচ্ছে।এগুলার ভারটা অতিরিক্তই হচ্ছে আরুশির জন্য।আরুশি রুমে প্রবেশ করে সবার উদ্দেশ্যে কফি নিয়ে এগুচ্ছিলো তখনি আয়ান একজনকে চোখে কিছু ইশারা করলো যাতে আরুশি লোকটির পাশে আসতে না আসতে লোকটি ওকে ল্যাংচি মারে সবার অগোচরে যার ফলস্বরূপ কফির কাপগুলো সহ আরুশি ছিটকে পরে ফ্লোরে।সাথে সাথে গর্জে উঠে আয়ান।

ইউ ব্লা/ডি পুওর।এজন্যই আমি এসব রাস্তার লোকদের কাজে রাখি না।কাজের কাজ করতে পারে না আর তেজ দেখায় ১৬ আনা।নোংরা আর কাঁদায় বড় হওয়া নোংরা লোক ভদ্রতা আর স্বচ্ছতা কি শিখবে।এদের তো জন্মেরই ঠিক থাকে না, আর আসে নিজেদের আলাদা পরিচয় বানাতে।ধনীদের হাত ধরে উপরে চড়তে চায়।এখন এভাবে পরে আছো কেনো নোংরা মেয়ে,এগুলো পরিষ্কার কে করবে।

কথাগুলো গায়ে মাখতে পারলো না আরুশি,তবুও চুপ থাকলো,সবাই দেখেছে আরুশি নিজে পরেছে অন্য দিক কেউ খেয়াল করে নি,তাই এর প্রতিবাদ করতে গেলে আরও অসম্মানে পরবে সে।চোখ বেয়ে জল গড়াচ্ছে আরুশির আশেপাশের সবাই কিভাবে তাকিয়ে আছে ওর দিকে,আরুশি জল ভরা চোখে নিচু তাকিয়ে নরম কন্ঠে বললো।

সবকিছু ক্লিন করা আমার কাজ না স্যার,আমি ক্লিনিং কর্মচারীকে ডেকে দিচ্ছি।

ইউ ডিজগাস্টিং গার্ল। তুমিই ক্লিন করবে এগুলো।উনার কাজ না এটা,নোংরা করার আগে তা ভাবা উচিৎ ছিলো,নাও ক্লিন ইট।

আরুশি বিনা বাক্যে কফিগুলো ক্লিন করলো,অনেক খারাপ লাগলো তার,সবাই এখনও ওর দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।অনেকে হাসছে,কি না কি বলছে।আরুশি কোনোরকম সেখান থেকে চলে আসলো।

নিজের ডেক্সে এসে বেশ শব্দ করেই কাঁদতে লাগলো আরুশি।আয়ান মনে শান্তি পেলো অনেক।অবশেষে আরুশিকে অপমান করতে পারলো সে।

আমি জানি আরুশি তোমার কাছে তোমার সম্মান কতোটা দামী।আর তাতে আঘাত করা মানে আমার জয়।আমিও দেখবো জব আর বাড়ি তুমি কিভাবে স্বইচ্ছায় না ছাড়ো।

আরুশি খুব কান্না করছে,আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলছে।

মা গো মা,এই পৃথিবীটা কেনো এতো নিষ্ঠুর?কেনো এতো স্বার্থপর?গরীব হলাম বলে কি আমি রাস্তার একটা পশুর থেকেও অধম।আমার কি নিজের কোনো অস্তিত্ব নেই।তবে তুমি দেখো মা আমি হার মানবো না।আমি আমার লক্ষ্য ঠিকই পুরন করবো তা যেকোনো মুল্যেই হোক না কেনো।

আরুশি অনেক কেঁদে একটু শান্ত হলে আবারও তার ডাক পরলো আয়ানের রুমে।আরুশি গিয়ে দেখলো ফ্লোরের অনেক অংশেই কফি পরে আছে একটু পর পর।আরুশিকে দেখতেই আয়ান বললো।

ক্লিন ইট।

আরুশি সোজা জবাব দিলো।এটা আমার কাজ না স্যার।

ইউ রাসকেল তোমাকে বলেছি তুমি ক্লিন করবে।অফিস পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তোমার।

যেটা আমার কাজ না আমি সেটা করতেও বাধ্য নই স্যার।আমি ক্লিনিং কর্মচারী এনে করিয়ে দিচ্ছি।

তোমার সাহস হলো কি করে আমার মুখের উপর তর্ক করার।

কথাটা বলেই তেড়ে এসে আরুশির বাজু চেঁপে ধরলো আয়ান।

কি করছেন স্যার?ছাড়েন আমার ব্যাথা লাগছে।

তোমার ব্যাথা লাগুক বা না লাগুক আই ডোন্ট কেয়ার।আমার কথামতো তুমি কাজ করতে বাধ্য।

তারপর আরুশিকে ছুড়ে ফেললো ফ্লোরে।

নাও ক্লিন ইট ইউ ডার্টি গার্ল।

আরুশির চোখ দিয়ে আবারও জল গড়ালো,তা আলতো করে মুছে নিয়ে ওগুলা পরিষ্কার করে নিলো।

সারাদিন এভাবেই ঘোড়ার খাটনি খাটালো আরুশিকে আয়ান।আরুশি অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পরেছে,নিজের ডেক্সে বসে আছে ক্লান্ত ভঙ্গিতে। মন মরা ভাব তার স্পষ্ট আন্দাজ করতে পারছে আয়ান সিসিটিভি ক্যামেরাতে।

সবে তো শুরু সস্তা মেয়ে।আয়ানের সাথে টক্কর নেওয়া তাই না।এখন দেখবে আয়ান কি জিনিস।

_________________

সারাদিনে অফিসে খেটে বাড়ি ফিরলো আরুশি।আরুশি কক্ষে প্রবেশ করার আগে ভালো করে বাহির থেকে নিজের কক্ষকে দেখে নিলো,অতঃপর কক্ষে ঢুকে চারিদিকটা ভালো করে দেখতে লাগলো।

যতোটুকু জানি আমি ওই সায়ান নিশ্চয়ই কোনো ফন্দি আটবে আমাকে মারার জন্য।তাই কোনো চান্স নেওয়া ঠিক হবে না,ভালো করে রুমটা দেখে নিই।
আরুশি যা সন্দেহ করলো তাই,আরুশির রুমের টিভির এক সাইডের ওয়্যার মাঝখানে ছিড়ে দেওয়া,ছিড়ে দেওয়া বললে ভুল হবে ওটা কেটে দেওয়া হয়েছে আর টিভির লাইনটা সুইচবোর্ডের সাথে সংযোগ করা,মানে সেখানে হাত লাগা মানে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হওয়া,ওয়্যারটা এমনভাবে রাখা যে যেকোনো সময় শরীরে লাগবে ভুলবশত।আরুশি বুঝে গেলো তা সায়ানেরই কাজ।

সায়ান আরুশিকে রুমে ঢুকতে দেখলো।চুপি চুপি সেদিকে গেলো আরুশি আছে না মরে গেছে তা খবর জানতে।রুমের দরজা ফাঁক করা ছিলো অনেকটা,সামনে থাকা আয়নায় আরুশির চোখ পরলে দেখলো সায়ান রুমের বাইরে থেকে রুমের ভিতর দেখার চেষ্টা করছে তখনি সে বুদ্ধি করে সেই ওয়্যারের পাশে হাত রেখে একটু নড়ে চড়ে নিচে পড়ে গেলো।যাতে সায়ান ভাবলো ও বিদ্যাুস্পৃষ্ট হয়ে পরে গেছে।সায়ান ওর পাশে গেলো,আরুশি নিশ্বাস আটকে পরে আছে।

যাক অবশেষে তোর খেলা শেষ ফকিন্নি, এসেছিলো সায়ানের বউ হতে।মিটলো না স্বাদ অবশেষে।

আরুশি হু হু করে হেসে উঠলো সায়ানের কথা শুনে।সায়ান হতভম্ব হলো আরুশিকে জীবিত দেখে।

কি হলো অবাক হচ্ছো যে আমি মরলাম না কেমনে,হা হা হা।কি মনে করো সায়ান আমি এতোই বোকা।নো সায়ান তুমি আমায় চালাক হতে সাহায্য করেছে,কথায় আছে না পথ চলা শিখতে গেলে হোঁটচ খেয়ে পরতে হয়।আমিও হোচট খেয়ে পথ চলা শিখে গেছি।

সায়ান আর কিছু বললো না ওকে,ব্যার্থতা মেনে নিতে না পারায় রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে যেতে নিলে হঠাৎই সেখানে পরে থাকা অল্প তেলের উপর পিছল খায় যেটা আরুশি চুলে তেল দেয় সময় পরেছিলো, পিছল খেয়ে ব্যালেন্স হারালে সায়ান ঠিক সেই কেটে রাখা ওয়্যারের উপর পরে………..

চলবে……….