#দোটানা ২
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_০৫
আরুশি রুমে তার কাপড় ভাজ করে কাবার্ডে রাখছিলো তখনি হুট করে কারো ঘরে প্রবেশ করা আন্দাজ করতে পারলো।আরুশি পিছন ঘুরে কিছু বুঝে উঠার আগেই আয়ান বিছানায় পরে থাকা আরুশির একটা ওড়না নিয়ে ওর মুখ বেঁধে দিয়ে ওর দুটো হাত পিছন মুড়ে ধরলো,আরুশি শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু আয়ানের সাথে পেরে উঠছে না।আয়ান আস্তে করে ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বলতে লাগলো।
শুনো সস্তা রাস্তার মেয়ে,আমার সাথে টক্কর নিতে এসো না ধুলোয় মিশে যাবে।মায়েদের ভয় দেখাও আমায়। এবার কোথায় যাবে তুমি?নিমিষেই উদাও করে দিতে পারি তোমায় আমি কেউ বুঝতেও পারবে না।তাই সামনে থেকে লাগতে এসো না আমার সাথে,পরিণাম ভালো হবে না।কাল সকালে যেনো তোমাকে এই বাড়িতে আর না দেখি,আর যদি দেখেছি তবে কিন্তু তোমায় ছাড়বোনা।সবসময় মায়েরা আসবে না তোমায় বাঁচাতে কথাটা মাথায় রেখো।অতঃপর আয়ান আরুশিকে এক ধাক্কাতে বেডের কর্ণধারে ফেলে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়,আরুশি ওড়না খুলে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে শুরু করে।তারপর নির্ভয় স্বরে বলতে লাগে।
আরুশি ভয় পাবার পাত্র নয় আয়ান চৌধুরী। মরার ভয় থাকলে এখানে আসতো না।
নিজেকে স্বাভাবিক করে আবারও নিজের কাজে মন দিলো আরুশি।
সায়ান মনে মনে ফন্দি করে নিয়েছে অনেক কিছু। তবে আয়ান আরুশিকে একটু ভয় দেখিয়েছে যদি সে দমে তবে ভালো নইলে বড় কিছু করবে ভেবেছে।
আরুশি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে,মনে যতোটা সাহস আছে তার ততোটাই ভয় খেলা করছে,আয়ান ধমকি দিয়ে গেলেও সায়ান এখনও চুপ আছে,যা ঝড় আসার পূর্ব বার্তা।কারন আরুশি জানে গায়ে মাখিয়ে নেওয়ার ছেলে না তো আয়ান আর না তো সায়ান।যেহেতু আরুশি জানে সায়ান চুপ করে বসবে না এখন শুধু দেখার পালা সে কি করে।
আরুশি শুয়ে ছিলো হঠাৎই ঘরের বিদ্যুৎ চলে যায়,আরুশি ঘাবড়ায় কারন ওর কাছে কোনো ফোন নেই যে আলো জ্বলাবে, অন্ধকার ভয় পায় আরুশি,তাই উঠে গিয়ে দরজা খুলতে গেলো কিন্তু দরজাও বাহির থেকে বন্ধ। চিৎকার করো ডাকছে বড় মা ছুটো মা বলে তবে বাহিরে ওর আওয়াজ যাচ্ছে না,কারন চৌধুরী ম্যানশনের প্রতিটা রুম এভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোনো কক্ষের ভিতরের আওয়াজ বাইরে যায় না।আরুশি ডাকতে ডাকতে হঠাৎ ওর বুকে চাপ অনুভব করলো,শ্বাস নিতে পারছে না সে।বুঝতে পারলো ওর এখনই ইনহেলার নিতে হবে,অন্ধকারে হাত ঝাপটে ছুটে গেলো কাবার্ডে,কাবার্ডের ড্রয়ারে ইনহেলার রেখেছিলো ও,তবে এখন সেটা সেখানে নেই,হাত ঝাপটে আশে পাশে খুঁজেই যাচ্ছে তবে পাচ্ছে না।এদিকে নিশ্বাস নিতে পারছে না আরুশি।ধীরে ধীরে শরীর নিস্তেজ হয়ে পরলো তার,লুটিয়ে পরলো ফ্লোরে।তখনি আরুশির ভাগ্যবশত নিধী রুমে প্রবেশ করে হাতে একটা চার্জার লাইট নিয়ে আরুশিকে নিস্তেজ হয়ে পরে থাকতে দেখে ছুটে যায় তার কাছে,আরুশি পুরো জ্ঞান হারায় নি তাই সে বুঝাতে সক্ষম হলো যে সে নিশ্বাস নিতে পারছে না তার ইনহেলার লাগবে।তবে ঘরে কারো এই সমস্যা নাই নিধী ভয় পেয়ে গেলো আরুশির জন্য ওর খুব শিগ্রই ইনহেলার লাগবে,চিৎকার করে সবাইকে ডাকলো নিধী।সবাই জরো হলো সেখানে মুহূর্তে, সবাই আরুশির পাশে গেলেও আয়ান সায়ান দুজনই দুইধারে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে।নিধীর হঠাৎ কিছু মনে পরলে অস্থির স্বরে যায়ানকে বললো।
যায়ান শিগগিরী যাও পাশের বাসার মিতার কাছ থেকে ওর ইনহেলার টা নিয়ে আসো জলদি যাও।
যায়ান নিধী নিহানের ছেলে।দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে মাত্র,সে ছুটে গিয়ে ওদের প্রতিবেশি মিতার ইনহেলার নিয়ে আসলো,যেটা দিতেই আরুশি নিশ্বাস ফিরে পেলো আবার।অতঃপর ডাক্তার ডাকানো হলো। ডাক্তার ওকে দেখে বললেন যে বর্তমানে ও ঠিক আছে,ওর খেয়াল রাখতে তারপর চলে গেলেন।নিধী উদ্বিগ্ন স্বরে বলতে লাগলো।
তবে আরুশিকে বাহির থেকে কে বন্ধ করলো?আর ওর ইনহেলার টা গেলোই বা কোথায়?
নিধীর কথায় সবার চেহারায় অবাকত্বের সাথে কৌতুহল দেখা দিলো।নিধী চোখ তুলে আয়ান সায়ান দুজনের দিকেই সন্দেহ নজরে তাকালো,সাথে বাকি সবাইও।
দুজন বুঝতে পারলো সন্দেহ ওদের দিকেই তাই আর কিছু না বলে একে অপরের দিকে তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে রুম ত্যাগ করলো।
সায়ান নিজের রুমে চলে গেলো।তার এতো রাগ হচ্ছে যে নিজের চুল ছিঁড়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
ইশ সুইট মম আর আসার সময় পেলো না,ভালোয় ভালোয় আপদ সরছিলো পথ থেকে সব প্লেনে আমার জল পরলো।ভাগ্যেস খেয়াল করে গিয়ে ঠিক সময়ে মেইন সুইচ অন করেছি নইলে হঠাৎ বিদ্যুৎ যাওয়ার রহস্যা সামনে চলে আসতো।এবার বেঁচে গেছো মিস ফকিন্নি, তবে এরপর আর বাঁচবে না।
কথাটা বলে আরুশির ইনহেলার যেটা ও লুকিয়ে এনেছিলো সেটা বেলকোনি দিয়ে ছুড়ে নিচে ফেলে দিলো বাগানের দিকে।
সায়ানের ভালোই জানা ছিলো আরুশির এই অসুখের বিষয়ে আর তাই সে তা নিজের কাজে লাগাতে চাইলো।
এদিকে আয়ান মনে মনে অনেক গবেষনায় ব্যস্ত।
যতোটুকু জানি ওই সায়ানই আরুশির সাথে এমন করেছে।তবে সায়ানকে যতোটা বোকা ভাবতাম ওতোটা ও না।ভালোই জব্দ করেছিলো ওই রাস্তার মেয়েকে যদি ঠিক সময়ে ছুটো মা না আসতো তবে তো আল্লাহর প্রিয় হয়ে যেতো ওইটা এতোসময়ে,আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচতাম।তা আর হলো কই,তবে যে ডোজ সায়ান দিয়েছে তারপর মনে হয় না ওই সস্তা মেয়ে এখানে আর থাকবে আর তারপরও যদি না যায় তবে দ্বিতীয় ডোজ না হয় আমার তরফ থেকে ফ্রিতে আসবে।
আরুশি শুয়ে আছে নিজের রুমে। দুই মা এখনই ওর ধার থেকে গেলেন।নিধী ওকে একটা ফোন দিয়ে গেলো দরকার পরলে ওকে ফোন করার জন্য।আরুশির বুঝতে বাকি নেই যে কাজটা সায়ান করেছে,যেহেতু ও সায়ানের গালফ্রেন্ড ছিলো সে হিসেবে সায়ান এ ব্যাপারে জানতো,যা ও নিজেই ওকে জানিয়েছিলো।
আমি জানি সায়ান এটা তুমিই করেছো,তোমার কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আমি আশাও করি নি।তবে আমিও দমে পরে যাওয়ার জন্য আসি নি।মাথায় কাফন বেঁধে বেড়িয়েছি হাল ছাড়বোনা।
আবারও রহস্যময়ী হাসি হাসলো আরুশি।
_________________
সাত সকালে উঠলো দুই ভাই।এরা যেমনই হোক খুব ভোরে উঠে এক্সারসাইজ করার ভালো অভ্যাস দুজনেরই আছে,স্বাস্থ্য সম্পর্কে দুজনই যথেষ্ট সচেতন এদের শরীর দেখেই যে কেউ বলতে পারবে। দুজন দুদিক থেকে নিজেদের রুমে যাচ্ছিলো হঠাৎ আয়ান ব্যাঙ্গ করে বলে উঠলো।
এক্সারসাইজ করে শরীর সুন্দর রেখে কি লাভ যেখানে জীবন তেজপাতা।
সায়ান ভ্রু কুঁচকে বললো।
আমার জীবন যেমন হোক তাতে তোর কি?তামাশা দেখার অভ্যেস তোর যায় নি না?
যে নিজেই জোকার তার আলাদা করে তামাশা দেখার কি আছে?
তোর সাহস হলো কি করে আমাকে জোকার বলার।
কথাটা বলেই রেগে মেখে এসে সায়ান আয়ানকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলো।অতঃপর লাগলো দুজনে মোরগা লড়াই,মোরগা লড়াই বলার আসল কারণ একটু পর জানা যাবে।
আয়ান সায়ান দুজনের রুম দুইসাইডে আর আরুশিকে দেওয়া হয়েছে ঠিক তাদের মাঝের অংশের রুমে।
আরুশি রুমে বসে কি যেনো করছিলো হুট করে রুমের বাইরে শোরগোল শুনে বেড়িয়ে এলো সে।বেড়িয়ে যা দেখলো তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না আরুশি।আয়ান সায়ান তুমুল ঝগড়া শুরু করেছে।তবে সে ঝগড়া মুখে মুখে না হাতাহাতিতে নেমে এসেছে,তবে কেউ কাউকে না তো লাথি দিচ্ছে আর না তো ঘুষি।এতো বড় হয়েও ফ্লোরে পরে একে ওপরের চুল আর কাপড় টানাটানি করছে,দুজনের এই হাল দেখে আরুশির বড্ডা হাসি পেলো,তাই ও শব্দ করেই হাসতে লাগলো।আরুশির হাসিতে দুজন অল্পক্ষনের জন্য থেমে একসাথেই বললো।
রাস্তার মেয়ে তোমাকে পরে দেখে নিবো তারপর দুজনেরই আবার ঝগড়া চালু।
তোর জন্যই ওই রাস্তার মেয়ে ঘরে আসার সুযোগ পেয়েছে ফালতু সায়ান।
তুই ফালতু।জংলী আয়ান।
হা হা হা হা।আরে ঝগড়া করবেন ঠিক আছে মারামারি করেন আমি একটু মজা নেই এমন পুরাতন সিনেমার হিরোদের মতো ঝাপটাঝাপটি করার কি আছে।কই ভেবেছিলাম ষাঁড়ের লড়াই দেখবো কিন্তু এখানে দেখি মোরগা লড়াই চলছে।হা হা হা হা
তখন যায়ান হঠাৎ ওখানে আসে।এসে ওদের এ হাল দেখে সোজা মায়েদের কাছে দৌড় দেয় উনাদের আনতে। মায়েরা এসে কোনোরকম ওদের ঝগড়া থামায়,এটা ওদের জন্য নিত্য দিনের ব্যাপার তাই এসব নিয়ে মায়েরা আলাদা করে মাথা ঘামায় না।মায়েদের দেখে আরুশি হাসি থামিয়ে নাটক করে কাঁদতে শুরু করে এমন ভান করছে যেনো ও অনেক ভয় পেয়েছে।
মায়েরা গো এমন কেমন ছেলে আপনাদের। এতো জংলী কেনো এরা।কোনো ভালো মানুষ বাড়িতে এলে এদের জ্বালায় দেখি দৌড়ে পালাবে।কি ঝগরা শুরু করেছিলো আমি তো ভয়ে নেই।
সাহস কি করে হলো আমাদের জংলী বলার।দুজনই একসাথে বলে উঠলো তারপর একে ওপরের দিকে তাকালো।
আরুশি ভয় ভাব নিয়ে নিধীর পিছন লুকালো।
দেখেছো ছুটোমা তোমার ছেলেরা এখন আমাকেও মারতে আসছে।
আয়ান সায়ান অনেক হয়েছে চলো আমার সাথে আমার রুমে,এখনি।
আয়ান সায়ান রাগি দৃষ্টিতে আরুশির দিকে তাকিয়ে নিধীর সাথে গেলো,আরুশি মুখ টিপে হাসলো।
_________________
নিধী আয়ান সায়ান দুজনকেই নিজের রুমে নিয়ে এলো,কথা দুজনের রুম থেকে দুজনের জন্য দুটো টিশার্ট নিয়ে আসলো কারন পরনের গুলো ওরা মারামারিতে ছিড়ে দিয়েছে,তারপর দুজনকে ওগুলা পরতে দিলে দুজনই পরে নিলো তা।দুজনকে বসতে বললো নিধী,দুজন একে ওপর থেকে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসেছে,একে ওপরের দিকে পিঠ ঠেকিয়ে।
আয়ান সায়ান দুজন একত্রে আসো।
ওর পাশে বসা কি জরুরি?চোখ ঘুরিয়ে বললো সায়ান।
আমিও ওর পাশে বসতে চাই না।মুখ বাকিয়ে বললো আয়ান।
তোমরা এখনও বাচ্চা না যে বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করো।একসাথে আসো বলছি দুজন।
দুজন বাধ্য হয়ে একটু পাশে এসে বসলো,নিধী চেয়ার টেনে দুজনের সামনে বসলো কথা পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দুজনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো নিধী।
কেনো ঝগড়া করো দুজন? একই মায়ের গর্ভ থেকে দুজনের আসা তবে কেনো এতো মনোমালিন্য?
দুজনই নিশ্চুপ।
দেখো আয়ান সায়ান আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি।আমি জানি তোমরাও আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই আমার অল্প রূঢ় কথাও তোমরা গায়ে মাখতে পারো না।দেখো আমিও তোমাদের সাথে রূঢ় ব্যবহার করতে চাই না কিন্তু তোমরা যদি ওই অনাথ অসহায় মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করো তখন আমি কেমনে মেনে নিবো তা।আমার আর তোমাদের মায়ের পরিচয় ও তো একই।
ও মোটেও অসহায় নয় সুইট মম।মিথ্যুক চালাক মেয়ে ও।সায়ান বললো।
এক নাম্বার ফাজিল।ওসব নোংরা রাস্তার মেয়েকে যে কেনো তোমরা ঘরে তুলতে গেলে।সব ওই সায়ানের জন্যই হইছে।
তোকে না আমি আয়ান।
আবারও শুরু করেছো দুজন।দেখো এখন কিন্তু আমি আবারও তোমাদের বকতে বাধ্য হবো।
সরি। দুজনই বললো একসাথে।আড়চোখে আবার তাকালো একে ওপরের দিকে।
আমি আশা করি তোমরা দুজন সামনে থেকে আরুশির সাথে ভালো ব্যবহার করবে।কথাটা শুনে দুজনই নিধীর অগোচরে মুখ বাকালো।
আয়ান তুমি যাও আমার সায়ানের সাথে কথা আছে।আয়ান চলে গেলে সায়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে নিধী বলতে লাগলো।
দেখো সায়ান,তুমি এখন বড় হয়েছো,হয়তো তুমি একটা ভুল করে গেছো,কিন্তু তুমি জানো তোমার এই ভুলের মাশুল হিসেবে তোমার বাবা তোমাকে কি সাজা দিবে।দেখো বাবা আরুশি তো কোনোদিক থেকে কম না,বরং লক্ষি একটা মেয়ে,তোমারও বিয়ের বয়স হয়েছে।তুমি জানো তোমার বাবা জোর করে আরুশির সাথে বিয়ে করাবে তাছাড়া আর কোনো পথ ছাড়বেনা তোমার জন্য।তাই আমি বলি কি আরুশির সাথে কথা বলে দেখো,ওর সাথে সময় কাটাও দেখবে তোমার ওকে ঠিকই ভালো লাগবে।তুমি সময় নাও আমি কথা দিচ্ছি কেউ তোমাকে বিয়ের জন্য জোর করবে না,তুমি যথেষ্ট সময় নাও তারপর একটা ডিসিশন নিও।
মানে সুইট মম তুমি বলতে চাইছো ওই ফকিন্নিটা এখানেই থাকবে,আর আমি ওর সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো।সায়ান চৌধুরীকে অবশেষে ওকেই বিয়ে করতে হবে।নো ওয়ে সুইট মম,সায়ান চৌধুরীর এতোও দুর্দিন আসে নি।তুমি যদি আমাকে ভালোবেসে থাকো তবে আর কখনো এই আবদার নিয়ে আমার কাছে এসো না।
কথাটা বলে রেগে মেখে চলে গেলো সায়ান।
নিধী ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো তার যাওয়ার পানে।
কি করবো আমরা নিধী আপু?দিন দিন তো আয়ান সায়ান আমাদের হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে।
কি করবে বলো কথা ওদের বাবা আর চাচার প্রভাব একটু হলেও তো ওদের ভিতরও যাওয়ার ছিলো,ভাগ্যেস যায়ান এমন হয় নি।
আয়ান তো শুধু একটু অহংকারী তবে সায়ান তো সব দিক থেকেই ওপথে।তবে কি আপু আয়ান সায়ান এভাবেই ওপথে যাবে?
আরে না,ওদের বাবা চাচাও তো আমাদের জন্য ভালো পথে এসেছে ওরাও না হয় আসবে।
আমাদের জন্য না আপু,শুধু তোমার জন্য এসেছিলো,আমার তো ভয় করে ওরাও না আবার একজনের চক্করে পরে। খেয়াল আছে তোমার দুজনের স্বভাব দুরকম হলে কিন্তু ওদের পছন্দ একই।আবার না দোটানায় পরে কোনো মেয়ে।
কথা হেসে হেসে বললো কথাগুলো,কথার কথায় নিধীও হেসে উঠলো।ওদেরও ওদের আগের দিনের কথা মনে পরে গেলো অল্পতে।
চলবে……….