নিশি পর্ব:২

0
2294

নিশি
পর্ব:২
____ অন্না
,
,
,
,নিশি::: con….. con…congra,,,
,
নিরব;;;; congratulations নিশি congratulations ,,,,,
,
নিশি:::: হুম congregation নিরব,,,,
,
নিরব;:::: তুমি আমায় এভাবে ফিরিয়ে দিবে ভাবতেও পারিনি আমি,,, আমার জীবনটা তুমি নষ্ট করে দিলে,,, আমি কি করে ভালো থাকবো বলো,,,,
,
নিশি;::: স্টুপিড দের মতো কথা বলোনা নিরব,,, তুমি খুব ভালোকরেই জানো আমি তোমাকে কেনো বিয়ে করতে পারবো না,,,
,
নিরব::: টাকার জন্য? আর আমাকে বিশ্বাস করতে বলছো? নিশি টাকার জন্য নিরব কে ছেরে দিচ্ছে বিশ্বাস করতে বলছো আমায়????
,
নিশি:::: তুমি বিশ্বাস করো আর না করো এতে আমার কিছু ডাবে আসবে না,,, এটাই সত্তি নিরব,, আর সত্তিটা মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ,,,,,,,
,
নিরব:::: তোমার কি আর কিছুই বলার নাই?
,
নিশি:::: না,,, নেই
,
নিরব:::: ঠিক আছে, দোয়া করি খুব ধনী মানুষের সাথে তোমার বিয়ে হয়,, আর খুব শান্তিতে থাকো,,, আমার মতো সামান্য মানুষকে তোমার মনে না রাখলেও চলবে,,আমার আর কি যোগ্যতা আছে বলো তোমাকে বিয়ে করার,,,,,
,
নিশি::: অহেতুক কথা বলে আমার সময় নষ্ট করোনা নিরব,,, বিয়ে করবে,, কার্ড দিতে এসেছো,, কিন্তুু তুমি তো জানোই তোমার বিয়েতে আমি যেতে পারবো না ,,,, তোমার বিয়ে ছারাও আমার অনেক জরুরি কাজ আছে,,,
,
নিরব::: হ্যা জানি,,,,
,
নিরব আর কথা বারালো না,,, চলে যাবার জন্য পা বারালো,,,,,
,
নিশি;:::নিরব,,,,,,,,,,,,
,
নিরব নিশির ডাকে চমকে উঠে,, মুখে এক রাশ হাসি নিয়ে নিশির সামনে এসে দাড়ায়,,,,
,
নিরব;::: বলো নিশু,,, তুমি আমাকে ছারা থাকতে পারবে না তো তাই না,, আমি জানতাম,,,, আমি জানতাম তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিবে না,,,,,
,
নিশি নিরবের কথার উত্তর না দিয়ে নিজের পা এর নুপুর খুলে নিরবের হাতে তুলে দেয়,,,
,
নিশি ::::: তোমার বিয়েতে দেবার মতো আমার কাছে কিছু নাই,,, আমার নুপুরের শব্দ তোমার নাকি খুব ভালো লাগে,, তাই এটা তোমার বিয়ের গিফ্ট হিসেবে দিলাম,,, তোমার বউ এর পায়ে পরিয়ে দিও,,,, প্লিজ নাও,,, প্লিজ,, প্লিজ,,প্লিজ
,
নিরব:::: এর থেকে যদি তুমি আমায় মরতে বলতে,,, হাসতে হাসতে মরে যেতাম,,,, কিন্তু তুমি যে কাজ টা করলে,,,, আমাকে জীবন্ত মেরে ফেললে,,,,,,,,
,
নিরব চলে যাচ্ছে,,,, নিশি ঠায় দারিয়ে নিরবের যাবার দিকে তাকিয়ে আছে,, জীবনের এটাই শেষ দেখা,, আর হয়তো কোনোদিনও নিলয়কে এভাবে দেখতে পারবে না নিশি,,, , নিরব আধারে মিলিয়ে গেছে তাও নিশি পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে,,,, জীবনটা আজ আলাদা হয়ে গেলো নিশির কাছ থেকে,,, যে নিরবকে ছারা নিশির সকাল হয় না,, আজ সে দুরে অনেক দুরে চলে যাচ্ছে,,, ইচ্ছা করলেও নিশি আর নিরবকে কাছে পাবে না,,,, বলতে পারবে না ” নিরব তুমি আমার, তোমাকে ছারা আমি বাচতে পারবোনা,, বড্ড ভালোবাসি তোমায় নিরব,, বড্ড ভালোবাসি, প্লিজ কখনও আমায় ছেরে যেওনা”….
আজ সেই নিশি নিরবে কষ্টের হাত থেকে বাচাতে খুব যত্ন সহকারে নিজের থেকে আলাদা করে দিলো,,,,,,
,
নিশি পিছে ঘুরতেই দেখে ওর মা দাড়িয়ে আছে,,,
,
নিশি:::: মা তুমি এখানে? কিছু লাগবে?
,
মা::::: তুই এটা কি করলি মা?
ছেলেটাকে এভাবে কষ্ট দিলি কেনো?
,
নিশি আর নিজেকে সামলাতে পারে না ওর মা কে জরিয়ে হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে,,,
,
নিশি:::: মা ও চলে যাচ্ছে মা,,, ও আমাকে রেখে চলে যাচ্ছে,,, আমি ওকে ছারা থাকবো কি রে মা,,, আমার অভ্যাস হয়ে গেছে ও,,, ওকে ছারা আমি বাচতে পারবো না,,,, ও আমায় ভুল বুঝে চলে গেলো,,,, আমার নিরব কে আমি কষ্ট দিছি মা কষ্ট দিছি,,,,,,
,
মা:::: শান্ত হ তুই,,, আমি নিরবের সাথে কথা বলবো,, সব ঠিক হয়ে যাবে,,, তুই ওকে বিয়ে করে নে,,,, আমি এদিকে সব সামলে নিব,,,
,
নিশি:::: না মা তা হয় না,,, তুমি ভাবলে কি করে আমি স্বার্থপরের মতো বিয়ে করে সংসার পাতবো,,, আমার এখন অনেক দ্বায়িত্ব,,,, আমাকে সব পুরন করতে হবে না,,,, ওকে কাছে রাখলে যে কষ্ট ছারা কিছু পাবে না,,, তার থেকে বরং ও আমায় ঘেন্না করুক,,, আমায় ঘেন্না না করলে তো ও সুখি হতে পারবে না,,,, ওকে বিয়ে না করালে যে আমাকে ভুলতে পারবে না,,, বিয়ে করে দুদিন পরে হলেও আমায় ভুলে যাবে,,, ,, ওকে সুখি দেখতে চাই মা,,, আমি ওকে সুখি দেখতে চাই,,,
,
মা:::: আর তুই? তোর যে অবস্থা হচ্ছে তোকে সামলাবে কে বল,,, তুই কেনো কষ্ট করবি,,,
,
নিশি:::: আমি ঠিক আছি মা,,, শুধু একটু কষ্ট হচ্ছে,,,, এটা ও দুদিন পরে ঠিক হয়ে যাবে,,,,,, তুমি ভেবনা না আমি যা করছি এতে সবার ভালোই হবে,,,,
,
মা’:::: কিন্তুু,,,,
,
নিশি::: কোনো কিন্তুু নয়,,, ,,, , এ নিয়ে আর কোনো কথা হবে না,, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও মা,,,,,
,
নিশি রুমে চলে এলো,,,,, সারারাত বসে কান্না করছে,,, মেয়েটি একটুকুও ঘুমায়নি,,,,, ,, সকালে আবার বেরিয়ে পরে নিশি,,,,, টিউশনি করিয়ে চাকুরীর জন্য ঘুরতে থাকে,,,, একটা বড় কোম্পানিতে ঢুকে নিশি,,,, সেখানে ইন্টারভিউ দিচ্ছে,,,, নিশি দেখতে খুব সুন্দর তাই খুব সহজেই সবার নজর কেরে নেয়,,,, সেখানে সেই কোম্পানির বস এর কুনজরে পরে যায় নিশি,,,, কোম্পানির অন্য একজন লোক নিশিকে বসিয়ে রাখে,,,,,, সবাই চলে যাবার পর নিশিকে ডেকে পাঠায় কেবিনে,,,,,
,
নিশি ধীর পায়ে এগিয়ে যায় ,,,
,
> মিস,নিশি
,
নিশি::: জ্বি স্যার
,
> আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি টাআপনার যোগ্য,,,, চাকরি টা আপনি পাবেন,,,,,
,
নিশি:::: ধন্যবাদ স্যার আপনাকে ওনেক ধন্যবাদ,,, আপনি জানেন না আপনি আমার কি উপকার করলেন,,, আমার চাকরিটার অনেক দরকার,,,
,
> মিস নিশি আপনি তো জানেন এ যুগে বিনি লাভে কেউ কারো সাহায্য করে না,,, আপনাকে আমি চাকরিটা দিবো,, কিন্তুু তার বদলে আমি কি পাবো?
,
নিশি:::: হোয়াট ডু ইউ মিন???
,
> কিছু পেতে হলে কিছু তো দিতেই হবে,,,, আপনি এতোটাও বোকা না আমার কথাটা বুঝেন নি,,,,,
,
নিশি ঠিক বুঝতে পারলো উনি কি করতে চাইছেন,,, নিশি কিছু না বলে চুপ করে উঠে আসতে নিলে বস ওর সামনে এসে দাড়ায়,,,,,
,
নিশি:;;; প্নিজ স্যার আমাকে যেতে দিন,, আমার চাকরিটা দরকার কিন্তু আমার সম্মানটা আমার কাছে অনেক বড়,,,,
,
> come on নিশি,,,, ব্যাপারটা তোমার আর আমার মধ্যে থাকবে,,, কেউ জানবে না,,,,
,বলেই লোকটা নিশির হাত ধরে,,,
নিশি সজোরে ঠাস্ করে লোকটার গালে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,
,
নিশি:::: পরের বার কোনে মেয়ের দিকে হাত বারাবার আগে এই থাপ্পরটার কথা মনে রাখবেন,,,,,,
,
নিশি দৌড়ে বের হয়ে যায়,,,,,
,
নিশি( আল্লাহ্ আর কতো আর কতো পরিক্ষা নিবে আমার,, মেয়ে বলে কি আজ আমার সাথে এটা হলো,,, এই সমাজে মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা নেই,,, সমাজের বড় বড় মানুষেরা মুখোশ পরে বসে বসে আমাদের মতো নিরীহ মেয়েদের ওপর,,,,,, আমি করবো বলো,,, পথ দেখাও আমায়)
,
নিশি রাস্তার পাশে একটা দোকান থেকে একটা বিস্কিট কিনে খেয়ে পেট ভরে পানি খেয়ে নিয়ে টিউশনিতে চলে যায়,,, সেখানে ওকে নাস্তা খেতে দিলে ব্যাগে তুলে নেয়,,,,, টিউ শনি পরানো হলে ব্যাগ দেখে ১০০ টাকা আছে,,, নিশি ৫০ টাকা দিয়ে কিছু খাবার নিয়ে হেটে রওনা দেয় বারির উদ্দেশ্যে,,,, নিশির আজ হাটার পরিমানটা খুব বেশি হয়ে গেছে,,, নিশির পায়ে ফোসকা পরে গেছে যার কারনে নিশির হাটতে খুবই কষ্ট হচ্ছে ,,, তার পরেও হাটছে,,,, নিশি যেতে যেতেই দেখে নিরব দাড়িয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,
,
be continue