নিশি পর্ব:16+17+18+19+20

0
1251

নিশি
পর্ব:16+17+18+19+20
writer অন্না
,
,
পর্ব: 16
,
শুভ:::: ভাবি কে না জানিয়ে তুই যা করছিস। ,,
,
নিরব:::: কোনো ভুল করছিনা আমি,,, ও তো জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি ,, ও কি ভেবেছিলো ও না বললে আমি কিছু জানতে পারবো না ,,,,, আমি যা করছি ঠিক করছি,,,,,
,
শুভ:::: ভাবি যা করেছে তা তো,,,
,
নিরব:::: আমি জানি সব,, ও আমার থেকে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে,, হয়তো আমি কষ্ট পাবো তাই আমাকে বলছে না, কিন্তু আমার তো সেটা জানতেই হবে ও কি লুকাচ্ছে আমার থেকে,,, ওকে আমি আর কষ্ট পেতে দিবো না,, অনেক কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা আর নয়,,, আমি সব ঠিক করে দিবো,,,
,
শুভ::: তুই যা করছিস ভেবে কর। একটাই কথা ভাবির যেনো কিছু না হয়,,,,,
,
নিরব::::: তোকে এত্তগুলা ধন্যবাদ,, তুই না থাকলে আমার প্ল্যানটা ঠিক মতো সফল করতে পারতাম না,,, কাল যেটা করলি তার জন্য আমি,,,
,
শুভ:::: স্টপ ভাই আমি তোর ভাই,, যা করেছি নিজের ভাবির জন্য করেছি,,,,, আর বাই দা ওয়ে আজ লিজা আসবে কিন্তু,,,
,
নিরব::: আবার কেনো?
,
শুভ::: বা রে ও তো প্ল্যানের একটা পার্ট তাই না?
,
এর মধ্যে হুট করে নিশি কেবিনের মধ্যে ঢুকে পরে,,,
,
নিশি:::: নিরব স্যার দেখুন কে এসেছে আপনার সাথে দেখা করতে ,,
,
নিরব::: কে এসেছে,,,
,
নিশি:::::কে আবার ভাবি এসেছে ভা,,,,বি,,,
,
নিরব::: ভাবি মানে,,,,
,
নিশি::: ভাবি মানে বুঝেন না,,, আপনার বাগদত্তা,,,আমার তো ভাবি তাই না?
,
নিরব’::’ নিশু,,,,,,
,
নিশি একপলক নিরবের দিকে তাকিয়ে থাকলো,,,,
,
নিশি:::’ চলেন শুভ ভাইয়া আপনার ভাইয়ের প্রাইভেসি লাগবে এখন,,,
,
নিরব::: নিশু তুমি,,,,
,
নিশি শুভর হাত ধরে টানতে টানতে বের হয়ে এলো,,, কেবিনের বাহিরে লিজা দাড়িয়ে ছিলো,,
,
নিশি :::: ভাবি আপনি ভেতরে যান,,স্যার আপনার জন্য
ভেতরে অপেক্ষা করছে,,,,
,
লিজা ভেতরে ঢুকে গেলো,,,
,
শুভ:::: নিশি তুমি,,,,,
,
নিশি কোনো কথা না বলে এক পায়ে দু পায়ে অফিসের ছাদে চলে গেলো,,, ছাদে এসে এক কিনারায় ধপ করে বসে পরলো,,, আজ নিশি নিস্তব্ধ হয়ে বসে আছে,,,বুকে পাথর পেতে বসে আছে,,,আজ আর কষ্ট পানি হয়ে চোখ বেয়ে নামছে না,,, নিশি চাইলেই নিরবের কাছে সব বলে দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারে,,,, নিরবের সাথে কষ্ট টুকু ভাগাভাগি করে নিতে পারে,,,, কিন্তুু নিশি তা করছে না,,,,
,
ও ভালোভাবেই জানে নিরবে হাত ধরে ও সারাজীবন পথ চলতে পারবে না,, কি দরকার ওকে মাঝপথে এনে ছেরে দেবার,,, নিশি চায় না ওকে হারাবার ভয় নিরবকে কুড়ে কুড়ে খাক,, নিশি চায় না নিরবকে জেনে শুনে কষ্টের মধ্যে ফেলতে,,, এটা শুধু নিশি নয়,, কোনো মেয়েই চায় না নিজের কাছের মানুষটাকে এতটুকু কষ্ট দিতে,,,, সব কষ্ট মুখ বুজে সহ্য করার ক্ষমতা মেয়েদের আছে,,,
.
নিশি স্তব্ধ মেরে আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপ করে বসে আছে,,, একটু পরেই নিরব এসে নিশির পাশে বসে পরে,,,,
,
নিরব:::: কেমন মেয়ে গো তুমি? নিজের বর কে অন্য একটা মেয়ের কাছে ছেরে দিয়ে এলে,,,,, ভয় হলোনা????
,
নিশি হুট করে নিরবকে জরিয়ে ধরে,,, খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে যেনো একটু ছেরে দিলেই নিরব কোথায় হারিয়ে যাবে,,, মুখে কিছু বলছেনা
,
নিরব:::: এতো ভালোবাসো যখন তখন দুরে সরিয়ে রেখেছো কেনো আমায়?
,
নিরবের কথা শোনার সাথে সাথে নিশি নিরবকে ছারতে গেলে নিরব নিশিকে জরীয়ে ধরে,,,,
,
নিরব::: ছেরো না প্লিজ,,,,
,
নিশি থমকে গেলো,,,, না পারছে আকরে ধরতে আর না পারছে ছেরে দিতে,,
,
নিরব:::: নিশু,,,,,
,
নিশি:::: হুম
,
নিরব:::: আমার দ্বায়িত্ব টা নিতে পারবে না?
,
নিশি কি বলবে বুঝতে পারছে না,,
,
নিরব::: বেশি বোঝা হয়ে যাচ্ছি তাই না? আচ্ছা ঠিক আছে দ্বায়িত্ব নিতে হবে না,, শুধু সারাদিন শেষে আমি যখন বাসায় যাবো তখন মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে আমায় আলতো করে তোমার বাহুডোরে আমায় জরীয়ে নিও,,,,,,
,
নিশি::::::
,
নিরব:::: এটাও খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে,,,, আচ্ছা কিচ্ছু করতে হবে না শুধু এভাবে সারাজীবন আমার পাশে থেকো,,,,,,,
,
নিশি:::: সেটা সম্ভব নয় নিরব,,,,
,
নিরব:::: কেনো সম্ভব নয়,,, কেনো? তুমি বোঝোনা আমি তোমাকে ছারা ভালো নেই বুঝনা??? আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভালো লাগে তোমার?
,
নিশি;;;; আমি ইচ্ছা করলেও সারাজিবন তোমার সাথে থাকতে পারবো না নিরব বোঝার চেষ্টা করো ,,, প্লিজ
,
নিরব:::: কেনো??? কেনো পারবেনা????,
,
নিশি:::: না মানে
,
নিরব;;:: কি হয়েছে নিশু প্লিজ আমাকে বলো ,,,,, কি হয়েছে,,, কেনো তুমি আমার সাথে থাকতে পারবে না,,,, বলো
,
নিশি::: সব কথা বলা যায় না নিরব,,,,
,
নিরব:::: তোমার কি হয়েছে বলো প্লিজ নিশু প্লিজ,,, আমি কথা দিচ্ছি সব ঠিক করে দিবো,,,,
,
নিশি::: চাইলে সব ঠিক করা যায় না নিরব,,, দুনিয়া যে নিয়মের বাধনে বাধা,,,
,
নিরব::: আমি কোনো নিয়ম মানিনা,, কোনো কিছু বুঝিনা আমার শুধু তোমাকে চাই,,,
,
নিশি::: পাগলের মতো কথা বলো না নিরব,,, আমি বলছি তো তোমার সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, প্লিজ আমাকে ছেরে দাও,,
,
নিরব:::: এটাই তোমার শেষ কথা???
,
নিশি:::: হ্যা,,,,
,
নিরব:::: ঠিক আছে,,,,
,
নিরব উঠে চলে আসলো,,,,, নিশিও পিছে পিছে চলে আসলো,,,,,
,
নিশি এসে ওর কেবিনে ঢুকে গেলো,,, সারাদিন আর নিরব নিশির সামনে যায় নি ,,,, নিশিও নিরবের সামনে আসে নি, কারন নিরবের সামনে যাবার মত মুখ নিশির নাই,,, কতরকম ভাবে যে নিরবকে নিশি কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে তার ঠিক নাই,,,,,
অফিস ছুটির পরে নিশি হসপিটালে চলে যায়,,,,,
,
ডাক্তার ;::: কি ব্যাপার তুমি কাল আসোনি কেনো? যানোনা তোমার এখন ডেইলি চেকাপ করাটা কতটা জরুরি??
,
নিশি:::: আর কতদিন আছি আমি,,,,
,
ডাক্তার ::: শোনো মা,,, একজন ডাক্তার কখনই চাইবে না তার পেসেন্টএর কোনো ক্ষতি হোক,আর আমি তো কখনই চাইবো না,,, আমি তোমার বাবার খুব ভালো বন্ধু,,, আমি এই ব্যাপারটা সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছি,,,, কাজ টা কিন্তু মোটেই ভালো হচ্ছে না,,, আর কেউ না হোক তোমার হাসবেন্ড এর এসব কথা জানা উচিৎ,,
,
নিশি::: আমার কি কোনোভাবেই বাচা সম্ভব না??
,
ডাক্তার::: তোমাকে আমি অনেকবার বলেছি ছেট্ট একটা
নিশি:::: থাক আর কিছু বলতে হবে না ,,, অপারেশন করার মতো টাকা আমার কাছে নাই,, আপনি তো সবই জানেন বাবা মারা যাবার পর আমি এই সংসারটাকে দাড় করিয়েছি,,, শেষ সম্বল টুকু দিয়ে আমি হয়তো শুস্থ হয়ে যাবো,,কিন্তু আমার ভাই,বোনের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে ,, আমি চাই না আমার জন্য আর কারো কোনো সমস্যা হোক,,,, প্লিজ আংকেল,,, আর কিছুটা দিন আমায় বাচিয়ে,,,,
,
ডাক্তার;::: আমি বাচিয়ে রাখার কে বলো,,,সব ওই উপরওয়ালার হাতে মা,,, তুই সবাইকে সব খুলে বল কোনো না কোনো পথ অবশ্যই বের হবে,,,,
,
নিশি:::: আমার কোনো পথ খোলা নেই,, আর আমি কারো থেকে দয়া নিতে চাই না,,, আপনি একটু কড়া ডোচ এর অষুধ দিন,, যাতে আমি একটু সুস্থ থাকতে পারি,,,, প্লিজ
,
ডাক্তার:::: তোমাকে আমি কখনই চিকিৎসা করতাম না , কিন্তু তোমাকে আমি মেয়ের মতো দেখি,,,, আমি চাইলেও,,,,
,
নিশি::: প্লিজ আংকেল আমায় কোনো কিছু বলতে হবে না,,, আমি সব জানি,,, আপনি আর কত করবেন,,,,,
,
ডাক্তার::: তুমি চাইলে আমি তোমার হাসবেন্ড কে সব,,,
,
নিশি::: না,, এটা কখনও করবেন না প্লিজ,,, আমি চাই না ও এই কথাটা জানুক,,,
,
ডাক্তার:::: খুব ভালোবাসো ওকে তাই না?
,
নিশি একটু মুচকি হাসি দিয়ে বের হয়ে চলে আসলো,,,,,,
,
বাসায় ঢোকার সাথে সাথে নিশির মা নিশিকে ডেকে ওঠে,,,,
,
নিশির মা:::: আল্লাহ্ আমার সাথে এটা কেনো করছে মা?
,
নিশির মা এর কথা শুনে নিশি থমকে দাড়ায়,,,,,,
,
নিশির মা:::: আল্লাহ্ আমায় কেনো তুলে নিচ্ছে না,,, আমার সব সম্বল কে কেনো কেড়ে নিচ্ছে কেনো??? কোন জন্মের পাপের শাস্তি পাচ্ছি আমি, , তুই কেনো আমার কাছ থেকে লুকালি কেনো????
,
নিশি:::: মা তুমি??????
পর্ব:১৭
নিশি:::: মা তুমি??????
,
মা::::: তুই আমাকে সব বলতে পারতি,,, আমার কি এটা জানার কোনো অধিকার নাই?,, আজ তোর ড্রয়্যার থেকে আমি এই রিপোর্ট গুলো পেয়েছি ,,,, এতোগুলো দিন তুই এত্ত কষ্ট কি করে সহ্য করে আসছিস মা,আমাকে কি এই কষ্টের ভাগীদার করা যেতো না? আমার সব শেষ হয়ে গেলো সব,, আমি কি নিয়ে বেচে থাকবো,,,,আল্লাহ্ আমাকে তুমি তুলে নাও,,তবুও আমার মেয়েটাকে তুমি সুস্থ করে দাও,,,,
,
নিশি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারে না,, ছুটে গিয়ে মা কে ধরে হাউমাউ করে কেদে উঠে,,,,,
,
মা::::: অনেক ভাগ্য করে আমি তোর মতো মেয়েকে আমার গর্ভে জন্ম দিয়েছি,, তুই কি ধাতু দিয়ে তৈরি বলতো,,, কেনো এসব নিজের মধ্যে চেপে রেখে নিজেকে এতো কষ্ট দিচ্ছিস,,,
,
নিশি:::: আমি তোমাকে এ কথা জানতে দেই নি মা,, আমি আর বাচবো না এটা জানলে তুমি নিজেই অসুস্থ হয়ে পরতে,,ভাই,বুনু কে সামলাতো কে বলো,,, আমি অনেক কষ্টে সংসার টা আগের জায়গায় নিয়ে এসেছি, কি করে সব নষ্ট করে দেই বলো,,, ভাই বোন এর ক্যারিয়ার তৈরি করে দিয়েছি,, এদের নিয়ে আর কোনো টেনশন নাই,, আমি সব কিছু করে রেখেছি মা,,,,,
,
মা:::: আমার তোকে চাই মা,এসব কিচ্ছু চাই না,,, আমি সব বিক্রি করে দিবো,, সব কিছু দিয়ে তোকে সুস্থ করে তুলবো,,,,
,
নিশি:::: সেটা আর সম্ভব নয় মা,,, সব কিছু শেষ করে দিলেও আমার চিকিৎসার খরচ আসবে না,,,,
,
মা:::: আমি আমার কিডনি দুটি বিক্রি করে দিবো,, আমি আমার সব কিছুর বিনিময়ে তোকে,,,
,
নিশি:::: পাগলের মতো কথা বলোনা মা,,তোমার পিছুটান আছে,,,তোমার এখনও একটা ছেলে একটা মেয়ে আছে,,,ওদের তোমাকে প্রয়োজন মা,,, আমার কোনো পিছুটান নাই,,, আল্লাহ্ যতদিন আমাকে বাচিয়ে রাখার রাখবে,,,, তুমি চিন্তা করো না মা,,,,, ভাগ্য কে আমাদের মেনে নিতেই হবে
,
মা::’: আর নিরব
,
নিরবের কথা শুনে নিশি থমকে যায়,কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না
,
মা:::: ও তোর স্বামী মা,, ওকে তো সব জানাতে পারিস,, ও তোর চি,,
,
নিশি::” আমি কারো দয়া নিতে চাই না মা,,, আমার বাবা আমাকে সে শিক্ষা দেয় নাই,,,,
,
মা;::: ওর কথাটা ভাববি তো ওর কি হবে,,,
,
,
নিশি::” ওকে অসুখী রেখে আমি মরেও শান্তি পাবো না মা,,, লিজাকে ওকে বিয়ে করতেই হবে,,, আমি বাধ্য করবো,,,, আমি ওকে সুখী দেখতে চাই মা,,,
,
মা::::: ছেলেটা সেই প্রথম থেকেই কষ্ট পেয়ে যাচ্ছে,,, কি দোষ ছেলেটার ওকে কেনো এই কষ্টের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছিস,,,,
,
নিশি::: তুমি কি চাও মা আমি যাকে নিজের জীবন মনে করি তাকে হাজার সুখের স্বপ্ন দেখিয়ে মাঝ পথে এনে মাঝপথে ওকে বিরহের আগুনে পুড়াই, ও যদি এটা জানতে পারে তো, ও মরে যাবে মা, ও মরে যাবে,,,,, আমি ওকে সেই কষ্ট টা দিতে চাই না মা,,, দিতে চাই না,,, বরং ও আমাকে ঘৃনা করে সুখে থাকুক,,, আমি চাই না আমার এ অস্থায়ী জিবনের সাথে ওকে আকরে নিতে,,,, বড্ড ভালোবাসি ওকে বড্ড বেশি ভালোবাসি,,,,
,
,
,
,
রাতে নিশি বাগানে চুপচাপ বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,, হঠাৎ ওর মনে হয় নিরবের কথা মনে হয়,, নিশি নিরবের কাছে ফোন দিবে ভেবে ফোন দেয় না,, আজ অফিসের ওই ঘটনার পর থেকে নিরব আর নিশিকে ফোন দেয় নি,, কোনো খোজ ও নেয় নি,,
,,
নিশি::: তোমার কি একটাবার ও আমার কথা মনে পরে না,, আর তো কটা দিন,,
এতো নিষ্ঠুর কেনো তুমি, আগে তো এমন ছিলেনা, আগে তো কখনও আমার ওপর রাগ করে থাকতে না, তাহলে কি সত্তি একটু একটু করে আমার থেকে দুরে সরে যাচ্ছো,,,, আর দুরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক,, এত্ত কষ্ট অবহেলার পরে কে পরে থাকবে আমার কাছে,,,, তুমি যত তারাতারি পারো আমার কাছ থেকে সরে যাও,, তোমাকে ভালো থাকতে হবে নিরব,,, তোমাকে ভালো থাকতেই হবে,,, তোমাকে ভালো রাখার দ্বায়িত্ব টা পুরণ করতে হবে,, এটা না হলে আমি মরেও শান্তি পাবো না,,,, তোমার জীবনটা আমি গুছিয়ে দিবো নিরব, যেমনটা তুমি চাইতে,,,, তোমাকে হ্যাপি থাকতে হবে নিরব,, আমার জন্য তোমাকে ভালো থাকতে হবে,,,,
,
,
,
পরদিন সকালে নিশি অফিসে গিয়ে দেখে ওর কেবিনে একটা মেয়ে বসে আছে,,,,,
,
নিশি:::: আপনি কে????
,
নিরব:::: ও আমার পি,এ,,,
,
নিশি::: তাহলে আমি কে?
,
নিরব:::: আপনার সিট ঠিক আছে,,, ও আমার পার্সোনাল সব কাজ ঠিক করবে,,, আপনি আপনার জায়গাতেই থাকবেন,,,,,
,
নিশি:::: আমি কোথাও দেখিনাই একজনের দুজন পি,এর দরকার হয়,,,
,
নিরব :::: সেটা আমার ব্যাপার আপনার না ভাবলেও চলবে,,, আর আপনার কেবিন টা চেন্জ করে পাশের কেবিনে দেওয়া হয়েছে ,,,,,,,,,, ইরা আমার কেবিনে আসো,,,,,
,
ইরা:::: জ্বি স্যার আসছি,,,,
,
মেয়েটা হেলে দুলে কেবিন থেকে বের হয়ে নিরবের পিছে ছুটে চলে গেলো,,,
,
নিশি রাগে গজগজ করতে করতে পাসের কেবিনে চলে গেলো,,,, এই রুমটা সবার থেকে আলাদা,,, ,, নিশির তাও খুব রাগ হলো,, রাগে রাগে সব ফাইল নিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো,,,,,
,
শুভ::: আসবো?
,
নিশি::: আপনাদের অফিস আমার কাছ থেকে অনুমতি নেবার কি আছে,,,,
,
শুভ:::: হুম কিন্তু চেয়ার টেবিল থাকতে ফ্লোরে বসে কাজ করছো কেনো???
,
নিশি::: আমার হাত, পা আমি যেখনে বসে কাজ করি আপনাদের কি? নিজের রুম থেকে তো তারিয়ে দিয়েছেন,,,
,
শুভ::: আমি কি করলাম,,,
,
নিশি::” সরি,,,, কি কাজে এসেছেন বলেন,,,
,
শুভ;::: নতুন মেয়েটাকে দেখেছো?
,
নিশি::: আমি কানা না,,, আপনার ভাই এর কেবিনে গেছে,,,,
,
শুভ::: ভাই এর কেবিনে গেছিলাম দরজা ভেতর থেকে লক,,,
,
নিশি;::: কিহ্
,
শুভ:::: হ্যা,,, আমি সেই কখন থেকে দাড়িয়ে আছি কিন্তু মেয়েটা বের হবার নামই করছে না,,,,,
,
নিশি:::: দরজা আটকে কিসের মিটিং হচ্ছে হ্যা,, দেখছি,,,,
,
শুভ মিটমিট করে হেসে নিশির পিছে বেরিয়ে গেলো,, এদিকে নিশি নিরবের কেবিনের সামনে আসতেই দরজা খুলে মেয়েটা মুচকি হাসতে হাসতে রুম থেকে বের হয়ে আসে,,, নিশি তো এটা দেকে রেগে যায়,,, ধুপ করে নিরবের কেবিনে ঢুকে পরে,,,
,
নিশি:::: দরজা আটকে কি করছিলেন ওর সাথে হ্যা???
,
নিরব;::: সেটা আপনার কাজ এর মধ্যে পরে না,,, আমি যাই করি তাতে আপনার কি? আপনি গিয়ে নিজের কাজ করে,,,,
,
নিরবের কথা শুনে নিশি আর নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারে না,, নিরবের টেবিলের সব ফাইল , কাগজপত্র, কলম যা যা ছিলো সব টেনে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো,,,,,,
,
নিশি::: হ্যা হ্যা আমার কি,,, আমার কি হ্যা,,, আমি কে যে আমার কাছে সব কথা বলবি তুই,, তুই থাক তোর পি,এ কে নিয়ে,,,, বদমাইশ ছেলে,,, খচ্চর,,,,, হনুমান কোথাকার,,,,,
,
একটু পরে নিরব নিশিকে ডেকে পাঠালো,, নিশি গিয়ে দেখে নিরব চেয়ার এ আধোশোয়া হয়ে বসে আছে,,, আর ইরা নিরবের চুলে হাত বোলাচ্ছে,,,,, নিশির বুকের মধ্যে একটা মোচর দিয়ে উঠলো,,, এ ব্যাথার নাম ভালোবাসা,,, মানুষ সব করতে পারে কিন্তু নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারে না,,,, নিশি থমকে গেছে ওর পা এর ধাপ এর এগুচ্ছে না,,, এই সাহস নিয়ে নিশি নিরবকে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিতে চায়,, যতই হোক নিরব তো ওর হাসবেন্ড,,,, সেটা অমান্য করবে কি করে,,,,,,,,,,, ক্রমস নিশির মাথা ভারি হয়ে ওঠে,, পা কেপে কেপে উঠছে,,, নিজেকে আটকে রাকার চেষ্টা করে,, কিন্তু পারে না ধপ করে ফ্লোরে পরে যায়,,,,
,
,
নিশির সেন্স আসলে নিজেকে হসপিটালে আবিস্কার করে,,,নিরবের কথা মনে হতেই নিশি আর এক মুহুর্তও থাকে না,, পালিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে আসে,,,,,,,, বের হবার সময় ওর বেড এর পাশে রাখা কিছু কাগজ নিয়ে চলে আসে,,,,,
,
নিরব আর ডক্টর রুমে এসে দেখে নিশি নাই,,,, আর তার পাশে রাখা কাগজ গুলোও নাই,,,
,
নিরব:::: ডাক্তার রিপোর্ট গুলো কই???
,
ডক্টর ::: আমি তো এখানেই সব রেখে গেছিলাম,,,
,
নিরব::: ওহ্ শিট্ শিট,,, ওহ্ মাই গুডনেস,,, প্ল্যান টা মাঠে মারা গেলো আমার,,, আপনারা একটু সতর্ক হতে পারলেন না,,,
,
ডাক্টর :::সরি মি,নিলয়
,
নিলয় কিছু না বলে বের হয়ে আসে,,, অফিসে এসে দেখে নিশি চেয়ার এ হেলান দিয়ে চোখ বুজে আছে,,,
,
নিরব এক পা দু পা করে নিশির কাছে এসে নিশির ডাক দিলো,,
,
নিরব:::: মিস, নিশি,,,,,
,
নিশি;;::…
,
নিরব;::: নিশি,,,,,
,
নিশি:…..
,
নিরব নিশির গায়ে হাত দিয়ে কোনো রেসপন্স পায় না,,,, নিসির পাল্স চেক করে ধপ করে ফ্লোরে বসে পরে,,,,
পর্ব:১৮
, নিসির পাল্স চেক করে ধপ করে ফ্লোরে বসে পরে,,,,
,
এর মধ্যে নিশি হা হা হা করে হেসে নিরবের সামনে বসে পরে,,,,
,
নিশি;;::: হা হা হা,,,,,, কি ভেবেছিলে মরে গেছি???? হাহাহাহা,,,,,,,
,
নিশির কথা শোনার সাথে সাথেই নিরব ঠাস করে নিশির গালে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,,,,
,
নিরব:::: সব কিছুতেই ফাজলামো তোমার হ্যা?? এক মুহুর্তের জন্য আমার কি হয়েছিলো জানো??? বুঝতে পারছো তুমি হ্যা,,, আসলে কি জানো তোমার কাছে কারো ফিলিংসের কোনো মূল্যই নাই,,,,,
,
নিশি::: আরে আমি তো যাস্ট মজা,,,,
,
নিরব:::: মজা??? কোনটা মজা হ্যা?? আমাকে কষ্ট দিতে খুব মজা পাও তাই না??
,
নিরব হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,, নিশি ধুপ করে চেয়ারে বসে পরে,,,,
,
নিশি::: তুমি নিজেকে সামলাবে কেমন করো গো, এই টুকু মজাতে তুমি এমন করছো,, যখন সত্তি সত্তি আমি,,,,,,,,,, আমি নিজেকে যতই কঠিন করার চেষ্টা করি না কেনো তোমার ভালোবাসার সামনে নিজের সব কঠিনত্ত গলে বরফ হয়ে যায়,,,, এত্ত গুলা সরি নিরব,, আসলে আমি দেখতে চেয়েছিলাম যখন আমি তোমাকে ছেরে বরাবরের জন্য চলে যাবো তখন তুমি কি করবে,,,, তোমাকে সামলাবে এমন কাউকে তোমার জন্য ঠিক করে রাখতে হবে,,, এই দ্বায়িত্ব টা পালন না করলে আমি মরে গিয়েও শান্তিতে থাকতে পারবো না,,,,
,
,
,
অফিস থেকে বের হবার সময় নিশি নিরবের গাড়ির সামনে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে,,, নিরব নিশিকে দেখে কিছু না বলে গাড়িতে উঠে বসলো,, নিরব গাড়ি নিয়ে চলেও যাচ্ছে না আবার নিশিকে গাড়িতে উঠতেও বলছে না,,, নিশিও যাচ্ছে না আবার গাড়িতেও উঠছে না,,,,, এর মধ্যে হঠাৎ ইরা এসে গাড়িতে উঠে নিরবের পাশে বসে পরে,,,, নিশি তো নিরবের দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে আছে,,,, নিরব কিচ্ছু বললো না গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো,,,,,
,
,
সেদিনের মতো আজকেও নিশির মা নিশির কাছে ফোন দেয়,,,
,
মা::” বাবা নিশি কি তোমার সাথে আছে???
,
নিরব:::: না মানে হ্যা,,,,,
,
মা:::: ঠিক আছে,, আসলে ওর তো শরীর ভালোনা, এসময় ঘরের বাহিরে থাকা ভালো কথা নয়,,,
,
নিরব ::::আচ্ছা,, চিন্তা করবেন না আন্টি আমি ওকে বাসায় রেখে আসছি,,,
,
মা:::: আচ্ছা ঠিক আছে,,,,
,
,
নিরব নিশির কাছে কয়েকবার ফোন দিলো নিশি কল রিসিভ করলো না ফোন কেটে কেটে দিলো,,,,,,,,, নিরব তো খুব রেগে যায়,,,
,
নিরব:::: শুভ নিশু কখন বের হইছে অফিস থেকে?
,
শুভ:::: ওকে তো দেখলাম গেট এর সামনে চুপচাপ দাড়িয়ে আছে,,,ডাকলাম সাড়া দিলো না,, আমি আর বেশি কিছু বলিনি চলে আসছি,,, কেনো কি হয়েছে?
,
নিরব::: কিছু না,,,
,
নিরব গাড়ি নিয়ে বের হয়ে আসলো,,, নিরব অফিসে এসে দেখে নিশি ঠিক একই জায়গায় চুপ করে দাড়িয়ে আছে,,,,,
,
নিরব কিচ্ছু বললো না, চুপচাপ নিশির সামনে গাড়ি দাড় করিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিলো নিশির সাথে কথা বললো না ,,, এটা দেখে নিশি হনহনকরে ওখান থেকে চলে এসে একটা অটোতে উঠে চলে আসে,,, নিরব হা হয়ে নিশির চলে যাওয়া দেখছে,,,,
,
নিরব:::: এই মেয়েটা কি করে,, কি বুঝে আমি আজও বুঝতে পারলাম না,, আর কিছু পারুক আর না পারুক আমার ওপর রাগ টা ভালোভাবেই দেখাবে আর পারবে আমায় কষ্ট দিতে,,,,, তুমি কেমন মেয়ে নিজের স্বামীকে অন্য মেয়ের সাথে দেখেও জেলাস ফিল করছো না,,, অধিকার এমন একটা জিনিস যেটা নিজে না নিলে অন্য কেউ হাজার বললেও কাউকে জোর করে তুলে দিতে পারবে না,,, আমি চাই তুমি তোমার অধিকার নিজে আদায় করো,, সেটা যে কোনো সিচুয়েস্যন এ হোক না কেনো,,,,, কবে বুঝবে তুমি তোমাকে ছারা আমি অচল,,, কবে বুঝবে বলোতো তোমাকে ছারা আমি এক মুহুর্তও ভালো থাকতে পারি না,,, আর কবে বুঝবে,,,,,,,,,,
,
,
নিশি বাসায় এসে সোজা নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে চুপচাপ বসে নিজে নিজে বকবক করতে লাগলো,,,
,
নিশি:::: কত্ত বড় বজ্জাত মেয়ে আমার হাসবেন্ড এর পাশে বসে,,,,এত্ত বড় সাহস,,, আমি থাকতে ও এ সাহস দেখায়,,,,, আর বেয়াদপ ছেলে আমাকে রাগ দেখানো,,, আমার সাথে তুমি কেমন কেমন করে কথা বলো আর অন্য মেয়ে মানুষ দেখলে তুমি ছত্রিশটা দাত বের করে হেসে হেসে কথা বলো,,,, সাহস কি করে হয় আমার সামনে ওই ডাইনি টাকে নিজের পাশে বসিয়ে নিজে ড্রাইভ করে বের হয়,,,, দেখো নিবো তোমাদের আমি,,,,,
,
,
মা””’::::: কি রে মা,, দরজা খোল,,,, খাবি না???
,
নিশি:::: আমার খুদা নাই তুমি খেয়ে নাও
,
মা::::: সেটা বললে হয় ওষুধ গুলা তো খেতে হবে,,,,
,
নিশি::::: মা শোনো আমার একদম ভালো লাগছে না,,, আমার সাথে কথা বলোনা যেনো , আমি কিন্তু চিল্লাবো তখন বলোনা যেনো কিছু,,,,,
,
মা:::: আচ্ছা ঠিক আছে,,,যা ইচ্ছা কর,,,দরজা খুলে ঘুমাবি,,,,
,
নিশি চুপচাপ বসে আছে,,, ঠিক তখনই নিশির দরজা কেউ ধাক্কা দিতে থাকে,,,
,
নিশি;:::: মা তুমি যাবে,,,,,
,
তবুও দরজা ধাক্কা দিতে থাকে,,,,
,
নিশি রেগে গিয়ে ঠাস করে দরজা খুলে দেয়,,, দরজা খুলে দেখে নিরব দাড়িয়ে আছে,,,, দরজা খোলার সাথে সাথে নিরব তারাতারি করে ঘরে ঢুকে যায়,,,,
,
নিশি:::: আপনি???? আপনি এখানে কেনো এসেছেন হ্যা??? আপনার সু্ন্দ্রী পারসোনাল পি,এ ছেরে দিলো,,, যান না ওর কাছে আমার কাছে কেনো এসেছেন হ্যা???
,
নিরব এসে নিশির ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,, দ্বিতীয়বার নিরবের ছোয়ায় নিশি বিমোহিত হয়ে যায়,,,, নিরবের উষ্ন ছোয়ায় নিশির পুরো শরীর কেপে উঠে,,,, নিরব নিশিকে টেনে নিজের বাহুডোরে জেীয়ে নেয়,,,, নিজের অজান্তে নিশি নিরবের শার্ট খামচে ধরে,,,,,
খানিক ক্ষন পরে নিরব নিশিকে ছেরে দেয়,,, নিশি একদম শান্ত হয়ে গেছে,,কোনো কথা বলছে না,,, নিরব নিশিকে বিছানার ওপর বসিয়ে বের হয়ে আসতে লাগে,,,,
,
নিশি:::: কোথায় যাচ্ছো???
,
নিরব কিছু না বলে বের হয়ে আসে,,, একটু পরে খাবার সাজিয়ে এনে নিশির পাশে বসে পরে ,,,, নিশির জন্য খাবার বেরে দিয়ে নিজেও খাবার বেরে নেয়,,,, কিন্তু নিরব খাওয়া শুরু করে না,,, নিশি চুপ করে বসে নিরবের কাজ দেখছিলো,, সেও খাবার হাতে তুলছে না,,, এটা দেখে নিরব খাবার ছেরে উঠতে লাগলো আর নিশি এটা দেখে তারাতারি করে খাবার মুখে পুরে নিলো,,, তখন নিরব ও খাওয়া শুরু করলো,,,, খাওয়া শেষ হলে নিরব সব ঠিক ঠাক করে আবার রুম থেকে বের হতে লাগলো,,,,
,
নিশি:’:” আবার কোথায় যাচ্ছো???
,
নিরব:::: ইরার কাছে,,,,ফুর্তি করতে,,,,,,
,
নিরবের কথা শুনে নিশি তারাতারি নিরবের হাত ধরে টেনে বিছানার ওপর হালকা ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়,,, তারপর গিয়ে দরজা লক করে দেয়,,,,,তারপর তারাতারি করে লাইট ওফ করে নিরবকে টেনে শুইয়ে দিয়ে নিরবের হাতে মাথা রেখে চুপচাপ শুইয়ে পরে,,, নিরব নিরবে মুচকি হাসছে নিশির কাজে,,,,,,,,
,
নিশি:::: (যাওয়াচ্ছি তোকে ওই ডাইনিটার কাছে,,,, সাহস কতো,, যা এবার দেখি কি করে যাস,,, মনে রাখিস আমার নাম ও নিশি,,, ছেরে দিয়ে রেখেছি জন্য টের পাচ্ছিস না,,,যদি একবার টেনে ধরি নার,,টের পাবি এই নিশি কি জিনিস। ,, হুম)
,
নিরব’::::( হাহাহাহ্ নিশু কি করো এগুলো পাগলির মতো,,,,আমার এতোই অবিশ্বাস করো,,,আরে পাগলি কেউ কি চুরি করার আগে বলে যে সে চুরি করতে যাচ্ছে?? আমি বললাম আর তুমি বিশ্বাস করে নিলে,,,,, বড় হবা কবে? আল্লাহ্)
,
,
,
নিশি সকালে উঠে দেখে নিরব পাশে নাই,, নিশি একটা রাউন্ড দিয়ে নিরব যেখানে শুয়ে ছিলো সেখানের বিছানা জরীয়ে শুয়ে পরে,,, একটু পরে ওর অফিসের কথা মনে হতেই তারাতারি করে উঠে নাস্তা না করে রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়,,,,
,
নিশি অফিসে গিয়ে নিজের কেবিনে না গিয়ে সোজা নিরবের কেবিনে চলে যায়,,, গিয়ে দেখে নিরব ইরাকে কিছু বোঝাচ্ছে,, নিশি চুপচাপ গিয়ে নিরবের সামনে একটা চেয়ার টেনে বসে পরে,, তারপর একটা খবরের কাগজ মুখের সামনে নিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ইরাকে আর নিরবকে দেখছে,,,,
নিরব ব্যাপারটা ফলো করলো,,,
,
নিরব:::: বাই দা ওয়ে ইরা,, তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে,,,,
,
নিরবের কথা শুনে নিশি পত্রিকা মুখের সামনে থেকে সরিয়ে নিরবের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো,,,
,
ইরা:::: ও মাই গড,,, সো সুইট,,,থ্যাংক ইউ স্যার,,,
,
নিশি::::(হ্যাংলা কোথাকার,,,পরের বর এর দিকে এভাবে তাকাতে লজ্জা করে না,,,, মনে হচ্ছে তোকে তুলে একটা আছার মারি বেয়াদপ মেয়ে)
,
নিরব::: ইটস ্ওকে বিউটি( নিশিকে শুনিয়ে)
,
নিশি::: এভাবে কথা না বলে কোলে তুলে নিচ্ছেন না কেনো,,, যত্তসব,,,
,
নিশি আবার সেই টেবিলের ওপরের ফাইলগুলো এক ঝটকায় ফেলে দিয়ে বের হয়ে এলো,,,,
,
পর্ব:19
ফাইলগুলো এক ঝটকায় ফেলে দিয়ে বের হয়ে এলো,,,,
,
নিশি::: আমার সামনে? আমার সামনে ও অন্য মেয়ের সাথে ফ্লাট করছে??? আমার সামনে,,,, এত্ত সাহস বেরে গেছে,,,,,,,,,
,
কাম ওন নিশি তুই এতো রিয়্যাক্ট কেনো করছিস,, তুই নিজেকে ভুলে যাচ্ছিস,, তুই তো এটাই চাস নিরবের একটা লাইফ তৈরি হোক,,,, তো কেনো এতো রিয়্যাক্ট করছিস,,, নিজেও নিরবকে কাছে টেনে নিচ্ছিস না আবার অন্য কারো সাথে সহ্যও করছিস না,,,, কেনো,,,,,
,
আমি কি করবো যতই হোক আমার বর তো,,,নিজের বর কে কিভাবে অন্য কারো সাথে সহ্য করবো,,, ভালোবাসি তো,,কোন মেয়ে তার ভালোবাসাকে অন্য কারে সাথে দেখতে পারে,,,,আমি যতই চেষ্টা করি না কেনো,,,আমার তো মন আছে,,,সেটাকে তো কিছুতেই নিজের বসে আনতে পারছি না,,,,, কি করবো আমি,,, আমার জীবনটাও আজ অনেক সুখের হতো,,আমিও আমার ভালোবাসাকে নিয়ে সংসার করতে পারতামম,,,কিন্তুু সেটা তো আমার ভাগ্যে নাই,,,, নিরবকে আমি ঠকাবো কি করে,,,,,ওর কি দোষ,ওর ও তো ভালোবাসা পাবার অধিকার আছে,,, আমি সেটা নষ্ট হতে দিতে পারি না,,,,, আমাকে কিছু একটা করতেই হবে,,,,,,
,
,
লান্স টাইমে নিশি ক্যান্টিনে টেবিলে মাথা রেখে চুপচাপ বসে আছে,,,, আজ নিশির মাথাটা একটু বেশিই ব্যাথা করছে,,,,
নিরব এসে নিশির সামনে চেয়ার এ বসে,,, আওয়াজ পেয়ে নিশি মাথা তুলে নিরবের দিকে তাকায়,,,, নিরব নিশিকে দেখে থ মেরে যায়,,, নিশির চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে আছে,,আর দু চোখ বেয়ে টপটপ করে জল পরে যাচ্ছে,,,,
,
নিরব::: নিশু কি হয়েছে তোমার দেখি একটু,,,,
,
নিরব নিশির কপালে হাত দিয়ে চমকে উঠে,,,
,
নিরব:::: এত্ত জ্বর,,,,,এত্ত জ্বর নিয়ে তুমি,,,,,,,,,,
,
নিশি;::: আমি ঠিক,,,, আছি,,,,,,
,
নিরব:::: ঠাস করে একটা থাপ্পর মেরে দিবো,,,খুব বার বেরেছে তোমার তাই না??? ঘরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে দিবো,,,,
,
নিশি:::: চিল্লাচ্ছে কেনো? সবাই শুনতে পাবে তো,,,,,,
,
নিরব::”’ চুপ্ একদম চুপ্,,,,,,
,
নিরব নিশিকে টেনে কোলে তুলে নেয়,,,
,
নিশি:::: তুমি,,,
,
নিরব:::: আর একটা কথা বললে ঠাস করে ফেলে দিবে,,,,
,
নিশি চুপ মেরে যায়,,, নিরব নিশিকে কোলে তুলে নিয়ে সবার সামনে দিয়ে বেরিয়ে এসে গাড়িতে বসিয়ে দেয়,,,,,
,
নিশি:::: কোথায় নিয়ে যাচ্ছো???
,
নিরব::: ডাক্তারের কাছে,,,
,
নিশি:::: আমার বাহিরের কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না বা চেকাপ করানো যাবে না,,,,
,
নিরব::::’ কেনো????
,
নিশি ;::::…. ( আল্লাহ্ কি বলে ফেললাম আমি)
,
নিরব::::: নিশু,,,,,,
,
নিশি:::: আসলে বলতে চেয়েছি আমি যে ডাক্তারের কাছে যাই সেখানে ছারা অন্য কোথাও কখনও যাই নি তাই,আর আমার কাছে ওষুধ আছে,,,খেলেই ঠিক হয়ে যাবে,,,,,,
,
নিরব:::: তোমার কিছু হলে আমি মরে যাবো একটা কথা মনে রেখো,,,,,
,
নিরব নিশিকে নিয়ে নিরবের বাসায় চলে যায়,,,,
,
নিশি:::: এটা..
,
নিরব:::: তোমার শশুর বাড়ি,,,
,
নিশি::: আমি যাবো না???
,
নিরব:::: কি বললে??? এখানে তোমাকে অনেক আগেই আনা উচিৎ ছিলো,,,একটু দেরি হয়ে গেছে,,
,
নিশি:::: আমার কসম লাগে নিরব প্লিজ আমি এভাবে তোমার বাসায় যেতে চাই না,,,, আমাকে যেতে বলো না,,
,
নিরব::::তোমাকে আর কখনও এ বাড়িতে আসার কথা বলবো না,,, প্রমিস,,,,,,
,
নিরব গাড়ি নিয়ে নিশির বাসায় চলে গেলো,,,রাস্তায় নিশির সাথে একটা কথাও বললো না,,,, নিশিকে ওষুধ খাইয়ে শুয়ে দিলো,,,,
,
নিশি:::: চলে যাবে???
,
নিরব:::: রাতে আসবো একবার,,,,
,
নিশি;:::: ওহ্
,
নিরব:::: বিরক্ত মনে করলে আসবো না,,,
,
নিশি:::: এসোনা,,,
,
নিরব :::: কি বললে???
,
নিশি::: এসোনা,,,,
,
নিরব:::: ঠিক আছে,,,,,
,
নিরব বের হয়ে চলে আসলো,,,,,,
,
রাতে নিশি নিরবকে ফোন দেয়, কিন্তু নিরব ফোন রিসিভ করে না,, নিশি শুভর কাছে ফোন দেয়,,,
,
নিশি:::: ভাইয়া স্যার,,,
,
শুভ:::: তোমার স্যার তো আজ বিকেলে কাজ এ দেশের বাহিরে গেছে,,,,,কেনো জানোনা???
,
নিশি:::: না আসলে,,,,,
,
শুভ::::আসলে ও নতুন পি,এ কে নিয়ে অফিসের কাজে গেছে,,,দশ দিনের ট্রু্রে গেছে,,,,,
,
নিশি::::: দশ দিনের,, তাও ইরা কে নিয়ে????
,
শুভ::: হ্যা চিন্তা করোনা,,, চলে আসবে,,,,
,
নিশি কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়,,
,
সেদিন সারারাত আর নিশি ঘুমাতে পারে না,,,সারারাত ধরে নিরবকে ফোন করে কিন্তুু নিরব ফোন ধরে না,,, এতে নিশির অনেকটা অভিমান হয়,,,,,,
,
পরদিন নিশি অফিসে গিয়ে চুপচাপ নিজের কেবিনে বসে পরে,,,,
,
শুভ::::তো তোমার স্যার এর সাথে কথা হয়েছে???
,
নিশি;:::: নাহ্
,
শুভ:::: ফোন কি করে রিসিভ করবে বলো,,, এতো সুন্দর পি,এ থাকতে ফোন এর দিকে তাই নজর থাকে,,,,
,
নিশি শুভর কথা শুনে কেবিন থেকে বের হয়ে আসে,,,,,
,
দেখতে দেখতে দশ দিন চলে যায়,,, এ কদিন এ নিশি নিরবের কাছে অনেকবার ফোন করে কিন্তু নিরবের কোনো রেসপন্স পায় না,,,
,
নিশি ওর কেবিনে বসে কাজ করছিলো,,,,
,
শুভ::::: তোমার স্যার এর সাথে দেখা হয়েছিলো???
,
নিশি:::: কই না তো,,,,উনি কি আসছে?
,
শুভ:::: ও তো কাল এসেছে,,,,
,
নিশি:::: ওহ্
,
এর মধ্যে নিরব নিশিকে ডেকে পাঠায়,,,,
,
নিশি নিরবের কেবিনের দরজা খুলে দরজার পাশে চুপচাপ দাড়িয়ে থাকে,
,
নিশি::::: বলুন স্যার ,,,
,
নিরব ::::: কাল আমার এনজেইজমেন্ট ইরার সাথে,,,,,,
,
নিরবের কথা শোনার সাথে সাথে নিশি থ মেরে যায়,, ার নিশির চোখ বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু বেয়ে পরে যায়,,,,,,
পর্ব:২০
,
,
,নিশি::::: বলুন স্যার ,,,
,
নিরব ::::: কাল আমার এনজেইজমেন্ট ইরার সাথে,,,,,,
,
নিরবের কথা শোনার সাথে সাথে নিশি থ মেরে যায়,, ার নিশির চোখ বেয়ে কয়েক ফোটা অশ্রু বেয়ে পরে যায়,,,,,,
,
নিরব:: কি ব্যাপার মিস নিশি এ্যানি প্রবলেম??
,
নিশি:::::……
,
নিরব :::::: কি কোনো ফিলিংস হলো আমার জন্য?
,
নিশি::::,,,,,,,
,
নিরব:::::: কিচ্ছু বলতে হবে না তোমার,,,, তোমার চাওয়াটাই আমি পুর্ন করছি,,, তুমি তো চেয়েছিলে আমি অন্য কাউকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করি??? নাও শুরু করছি,,,, এবার খুসি তো তুমি???
,
নিশি কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো,,,,
,
নিরব:::: তুমি পালিয়ে যেতে ভালোবাসো নিশু, কিন্তু পালিয়ে গেলে সব কিছু শেষ হয়ে যায় না,,, তুমি যতই পালাবে আমি ততই তোমার পিছু করবো,,, , পালাও তুমি কত পালাতে পারো,,, তোমাকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে,,,এভাবে নয়তো ওভাবে,,,,,আসতেই হবে,,,,,
,
নিশি দৌড়ে এসে নিজের কেবিনের দরজা লক করে হাউমাউ করে কাদতে থাকে,,,,,,
,
নিশি::: তুমি আবার কেনো এসেছো,,,চলে যাও আমাকে একা থাকতে দাও,,,
,
নিশির ছায়া::: তুমি চাইলেও আমার থেকে দুরে থাকতে পারবে না,,,, আর তুমি কেনো কাদছো নিশি,,, তুমি তো এটাই চেয়েছিলে তাই না?
,
নিশি:::: আমি এটা চাই না,, আমি কখনই চাই না,,, আমি কি করে চাইবো আমার স্বামীকে অন্য কারো সাথে,,,,,,কিন্তু আমার করার কি আছে বলো,,,,
,
নিশির ছায়া::: তোমার করার অনেক কিছু আছে,,, তুমি এটা কেনো ভাবছো তোমার মরার কথা শুনলে নিরব ভেঙে পরবে?? এটাও তো হতে পারে নিরব সব কিছু ঠিক করে দিবে,,,,
,
নিশি:::: এটা কি করে করবে ও,,,কি করে বলো,,,, আমি চাইনা ওকে আমার জন্য কষ্ট দিতে,,,,
,
নিশির ছায়:::: হাহাহাহাহা কোনটাকে কষ্ট বলছো তুমি,,, ভালোবাসার মানুষকে পাবার জন্য যে কনো কাজ করা যায়,,, সেটা কষ্ট বলে কিছু হয় না,,,
,
নিশি:::: তুমি কিচ্ছু যানো না,,,,নিরবকে আমি চিনি
,
নিশির ছায়া:::: সত্তি কি তুমি নিরবকে চিনো????
,
নিশি;::::…..
,
নিশির ছায়া::::: একটা কথা মনে রেখো ভালোবাসার মানুষের সাথে সারাজীবন একসাথে কাটানো ভাগ্যের ব্যাপার,,, যদি একদিন এই এক মুহুর্তের সুখ নিয়ে মরেও যাও তবুও কোনো আফসোস থাকবে না,,, কেনো জানো? ভালোবেসে একমুহুর্ত সময় কাটানো যা আবার একজীবনও তাই,,,,,,, নিরবের মনটাকে বোঝো,,,সব সময় নিজের ভাবনা দিয়ে অন্যকে বিচার করোনা,,,,,
,
নিশি চুপ করে কান্না করতে থাকে,,,
নিশি সিদ্ধান্ত নেয় ও নিরবকে সব বলে দিবে,,,,, নিশি উঠে নিরবের কেবিনে যায়,,,,
,
নিশি:::: আমার কিছু বলার ছিলো,,,,
,
নিরব::::: আমি ব্যস্ত আছি,,, পরে কথা হবে,,,,,,প্লিজ লিভ,,,,
,
নিশি চুপ চাপ বেরিয়ে এলো,,,,,
সারাদিন নিশি নিরবের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো,,,কিন্তুু নিরব নিশির সাথে কথা বলেনি,,,,
,
নিশি এবার রেগে যায় ধুম করে নিরবের রুমে ঢুকে পরে,,,, কেবিনে ঢুকেই নিশি থমকে যায়,,, কারন ইরা নিরবকে জরীয়ে ধরে দাড়িয়ে আছে,,,,,
,
নিশি;::::: বাহ্ এতো দুর,,,,দরজা তো লক করে নিবেন,,,
,
নিরব :::: নিশি তুমি ভুল বুঝছো,,, ও তো পরে যেতে,,,,
,
নিশি::::: আমি ছোট বাচ্চা নই নিরব,,,,,সরি স্যার,,,
,
নিরব:::: এখানে বাচ্চার কি আছে,,,ও তো,,,
,
ইরা
এর মধ্যে বেরিয়ে চলে যায়,,,,
,
নিশি::: থাক আমাকে কোনো এক্সপ্লেইন দিতে হবে না স্যার,,, এটা তো আপনাদের পারসোনাল ব্যাপার তাই না,কাল আপনাদের এনগেইজমেন্ট, সাত দিন বাহিরে ছিলেন একসাথে,,, এতোতারাতারি কি ভালোবাসার রেশ কাটে বলেন,,,,, আপনাদের তো প্রাইভেসি,,,,
,
নিরব:::: ইনাফ ইজ ইনাফ নিশু,,,, অনেক বলেছো,,, অনেক,,,,, কি ভাবছো তুমি আমি ওকে জরীয়ে ধরে ছিলাম??? হ্যা ছিলাম,,, ওকে আস্টে পিস্টে জরীয়ে ধরে ছিলাম,,,, এটাই তো চেয়েছিলে তুমি তাই না??আমি বোঝা তোমার কাছে,,,আমার ভালোবাসা ফালতু তোমার কাছে,,, অবহেলার পাত্র করে রেখেছো তুমি,,আমার কোনো মুল্য নাই তোমার কাছে,,,, আমাকে যে কোনো মুল্যে তুমি তোমার কাছ থেকে সরাতে চাও তুমি,,,কেনো নিশু কেনো??? আমার ভালোবাসার কি কোনো মুল্য নাই তোমার কাছে???? ঠিক আছে আমার ভালোবাসার কোনো মুল্য নাই দিলে সেটাকে তুমি অপমান করতে পারো না তুমি,, সেই অধিকার নেই তোমার,,,,,
,
,
তোমার কি ধারনা আমি সাতদিন ইরার সাথে ছিলাম???? এই চিনছো তুমি আমাকে? এই কদিন আমি হসপিটালে এডমিট ছিলাম,,,,
,
নিশি:::: কিহ্
,
নিরব:::? তুমি কি করে ভাবলে আমি ইরার সাথে???? আমি তোমার মন পরিক্ষা করতে চেয়েছিলাম,,, আফসোস কি জানো??? আমি সেদিন ও হেরে গেছি আর আজকেও,,,,, সত্তি আমার কোনো মুল্যই নাই তোমার কাছে,,,,
,
নিশু;::::: তোমার কি হয়েছে?? নিরব আমাকে বলোনি কেনো???
,
নিরব:::: সেই অধিকার তো ামাকে দাও নি তুমি,,,
,
নিশি:::::…….
,
নিরব::’:: আমি নিরব আজ আমার ভালোবাসার কসম দিয়ে বললাম কোনোদিন আমি তোমার কাছে আমার ভালোবাসার বা স্বামীর অধিকার নিয়ে তোমার সামনে আসবো না,,, প্রমিস,,,
,
নিশি::::: নিরব,,,,
,
নিরব
রুম থেকে বেরিয়ে যায়,,, নিশি ধুপ করে বসে পরে,,,,
,
নিরব আবার রুমে এসে নিশিকে টেনে তুলে,,,,
,
নিরব :::: আমি মরে যাই নি যে এভাবে কাদতে হবে,, তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না তুমি যানোনা?? একদম এভাবে কাদবে না বলে দিচ্ছি,,,
,
কথাটা বলেই নিরব আবার বেরিয়ে চলে আসলো,,,,,
,
,
,
,
অফিস ছুটি হবার পরে নিশি একপায়ে দুপায়ে অফিস থেকে বের হয়ে আসে নিশির মাথাটা ঘুরছে,,,,,,,
বাহিরে আসতেই রাজু নিশির হাত টেনে ধরে,,,তখন নিরব ও বের হয়,,,রাজু নিশির হাত ধরে আছে দেখে নিরব খুব রেগে যায়,,,
,
নিশি নিরবকে দেখে তারাতারি হাত টা ছারিয়ে নেয়,,,
,
রাজু;::: নিশি আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই,,
,
নিশি:::: হুম
,
রাজু;::’ will you marry me??
,
নিশি কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিশি পরে যায়,,, রাজু নিশিকে তুলতে গেলেই নিরব দৌড়ে এসে নিশিকে তুলতে লাগে,,,
,
রাজু;::: স্যার থাকনা,, আপনার ব্যস্ত হতে হবে না,, আমি ওকে নিজে যাচ্ছি,,,,
,
নিরব:::: বউ ও আমার,,, ওর থেকে দুরে থাকো,,,,,,
,
,
,
be continue