নীল হতে নীলান্তে পর্ব-৯+১০

0
396

#নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
নবম পর্ব

অর্নিতা আইসিউর বাইরে অবস্থানরত অরুপের মায়ের কাছে গিয়ে বসল।
সন্তানের এমন অপ্রত‍্যাশিত দুর্ঘটনা হয়তো কোন মাই চান না।
অর্নিতা – শান্ত হন আন্টি ভেঙ্গে পড়বেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।
অরুপের মা- কিভাবে শান্ত হব মা? আমার ছেলেটার হঠাৎ করে এমন কেন হলো? ও তো সুস্থই ছিল তাহলে হঠাৎ এমন কেন হলো? তুমি কি বলতে পারো মা?

অরূপের বাবা- কি হয়েছিল আমাকে বলতে পারো একটু?
অর্নিতা তারপর তাকে সব খুলে বলতে লাগল।
প্রথম থেকে সব শুনার পর তিনি নিজেও আৎকে উঠেন।
অরুপের সব শুনে ডুকরে কেদে উঠেন।

অরুপের মা- মামনি তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!
তুমি যদি ঠিক সময়মতো না পৌছাতে তাহলে কি সর্বনাশই না হতো! দোওয়া করি মা দীর্ঘজিবী হও!
আজ তুমি বা তোমরা সবাই সময়মতো না গেলে কি সর্বনাশই না হতো!
অর্নিতা তাকে বুঝিয়ে শান্ত করে উঠে দাড়ালো।
ডাইরেক্টর স‍্যার ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলছেন।
অরুপ এখনো আইসিউতে একটু সুস্থ হলে কেবিনে ট্রান্সফার করা হবে।

ডাইরেক্টর স‍্যার সবার সঙ্গে অরুপের বিষয়ে আলোচনা করে বেরিয়ে গেলেন।
অর্নিতাও কিছুক্ষণ কথা বলে আবার চলেগেল অফিসে।
_______________________________
ইনভিস্টিগেশন সেন্টারে এসেছে অর্নিতা।
হাত ঘড়িতে সময় রাত বারোটা বেজে বিশ মিনিট।
ঘড়ি দেখতে দেখতে অর্নিতা তার পাশের লোকটিকে বলে উঠলো-
আরেকটু পানির ছিটাদিন, কম হয়েগেছে!
আবারো একবালতি পানি চোখেমুখে ঢেলে দেওয়া হলো।
লোকটির চোখে ঘুম, ডুলু ডুলু চোখে টেবিলেই বসা দায়!
ঘুমের ঔষুধ কাজ করতে শুরু করেছে।

অর্নিতা- সময় নষ্ট না করে বল! মহাজন অধিকারীর পর আর কে এই পথে আছে?

লোকটি- ডুলতে ডুলতে নিভু নিভু চোখে অর্নিতার দিকে তাকিয়ে আছে।

অর্নিতা ধমক দিয়ে -বল!
বুঝেছি এভাবে হবে না। ওকে নিয়ে চলুন আমাদের টর্চার সেল এ!
অর্নিতার কথামতো লোকটিকে এবার টর্চার সেল নিয়ে যাওয়া হলো।

অর্নিতা চেয়ার এ বসে আছে। লোকটির চুল টেনে ধরে রয়েছে একজন। আরেকজন তাকে মোটা লাঠি দিয়ে ইচ্ছে মত পিটিয়ে যাচ্ছে।
অর্নিতার সহ‍্যের সীমা পেরিয়ে গেল হাতে পিস্তল নিয়ে লোকটির কপালে ঠেকিয়ে বলল-

সোজা উপরে উঠার প্ল‍্যান করেছিস নাকি?
চল তোর প্ল‍্যান সাকসেসফুল করি! এত এত টর্চারের পরেও নিজের বসের কথা প্রকাশ করছিস না!
এতটা তো এখন একজন সাধারণ মানুষ তার দেশের প্রতিও দেখায় না! নিজে মার খাবি তারপর ও কিছু স্বিকার করবি না!

পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দেওয়ার আগেই লোকটি নেতিয়ে যাওয়ার শরীর নিয়ে অনেক কষ্টে অর্নিতার পা জড়িয়ে ধরলো।

লোকটি- ম‍্যাডাম,বলছি ম‍্যাডাম! মারবেন না!
আমাদের কাছে স্পালাই করে ভারত আর মায়ানমার!

অর্নিতা -এটা আমরা জানি। কার হয়ে কাজ করিস?

লোকটি- উনি খুব ক্ষমতাধর ব‍্যাক্তি! ওনার কথায় সব চলে ম‍্যাডাম! উনি সবাইকে ফাসাঁতে পারে বাচাঁতে পারে।

অর্নিতা- কে সে?

লোকটি খানিকটা ইতস্ততবোধ করছে বলতে।
অর্নিতা আবার জিজ্ঞাসা করল কে সে?
লোকটি কিছুক্ষণ ভেবে তারপর বলে উঠলো-

– জানে আলম চৌধুরী!

অর্নিতা কিছুটা চমকে গিয়েছে! অনেক দিনের চেনা নাম! হাজারো চেষ্টা করেও বের করতে পারছিল না জানে আলমের কোন খোঁজ! লোকটির দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করতে লাগল।

অর্নিতা- জানে আলম চৌধুরী? কোথায় তিনি?

লোকটি- উনি দেশে থাকেন না! দুবাই থাকেন! তবে এতটুকু বলতে পারবো উনি দেশের বাইরে থেকেও সবকিছু পরিচালনা করেন।

অর্নিতা- আমাকে জানে আলমের সহোচরী বা তার সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন কেউ থাকলে বল।

লোকটি- মহাজন অধিকারী সহ আরো অনেকে আছে।

অর্নিতার চোখ লাল হয়েগেছে। প্রতিশোধ! তীব্র প্রতিশোধ! প্রতিশোধের নেশায় সে মত্ত যেন!
মস্তক দিখন্ডিত করলেও যেন শরীরের যে তাপ তা কমবে না!

অর্নিতা- জানে আলম চৌধুরী দেশে কখনো এসেছে?

লোকটি- জানি না ম‍্যাডাম। তবে এতটুকু বলতে পারবো সে এই বিশ বছরে দেশে আসেনি।

অর্নিতা- হুম ঠিক আছে, বলেই বেরিয়েগেল।
হাই স্পিডে গাড়ি চলাচ্ছে।
সেই লোক যার জন‍্য সে অনাথ! সেই লোক যার জন‍্য
লোকেরা তাকে দেখলেই মুখ ফিরিয়ে নিতো!

বাসায় এসেই দৌড়ে বাবার রুমের কাছে গেলো। গিয়ে বাবার পায়ের উপর জাপিয়ে পরলো।
জাহিদ আফসারী বই পড়ছিলেন। মেয়েকে এভাবে আসতে দেখে চমকে গেলেন।
অর্নিতার মা ও আসলেন মেয়েকে কাদতে দেখে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলেন –

কি হয়েছে অর্নিতা?কাদছিস কেন?

অর্নিতা- আমি আমার আম্মুর হত‍্যাকারীর খোজঁ পেয়েছি মামনি!

অর্নিতার মা অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন। এত বছর পর সেই লোকের দেখা কি করে পেল।

চলবে।

# নীল হতে নীলান্তে
#লেখিকাঃ তামান্না
দশম পর্ব

অর্নিতা- আমি আমার আম্মুর হত‍্যাকারীর খোজঁ পেয়েছি মামনি!

অর্নিতার মা অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন। এত বছর পর সেই লোকের দেখা কি করে পেল?

অর্নিতার মামনি- কি বলছিস তুই? জানে আলম তো সেই বিশ বছর ধরেই দেশে নেই। তার খোঁজ আজ পর্যন্ত তোর বাবাই পায়নি আর তুই কিনা পেয়ে গেলি?

অর্নিতা- আমি পেয়েছি মামনি আমাকে মহাজন অধিকারীর লোকেরা বলেছে সে দুবাই থাকে।

জাহিদ আফসারী- দুবাই কোথায় থাকে? আর তাকে পাবেই বা কি করে?

অর্নিতা- এতদূর যেহেতু এসেছি তাকে খুজেঁ বের করতেও আমার সময় লাগবে না।

জাহিদ আফসারী- কিন্তু তাকে ধরা যে কঠিন মা!
আমি তোমার জীবনের ঝুঁকি নিতে পারব না!
আর এত সহজ নয় সে আন্ডারওয়াল্ডের প্রভাবশালী কোন ব‍্যাক্তি! এত সহজে সে ধরা দিবে না।

অর্নিতা- আমি এত কিছু জানিনা! বাবা বুঝার চেষ্টা করো ওর কারনে আমি আমার শৈশব হারিয়েছি।
পাড়া প্রতিবেশি আমার উপর আঙ্গুল তুলতো।
আমার মা এতগুলো লোকের ধারা ধর্ষণের স্বীকার হলো। রাতের আধারে খাল পাড়ে তাকে মেরে ফেলে আসলো। কেউ যখন তার অপরাধ নিয়ে কিছুই বলছেনা কেইস নিচ্ছে না আমার বাবাই সেই কেইস নিয়েছিল আর আমার বাবাকে তারা নৃশংস ভাবে খুন করলো।
তুমিই বলো আমি কি করে চুপ থাকতে পারি?

জাহিদ আফসারী- তবুও মা! তুমি ওই কেস এ যেয়ো না!
আমি স্পেশাল ফোর্সের ব‍্যাবস্থা করছি।
তারা তাকে ধরার জন‍্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
আরেকটু ধর্য‍্যশীল হও সময়ের আঘাত সময়ই দিবে।

অর্নিতা বাবার কথা শুনে চুপচাপ তার বুকে মাথা রাখলো।
আর জাহিদ আফসারী মেয়েকে বুকে আগলে রাখলো।
অর্নিতা জানে তার বাবা তাকে কখনো নিরাশ করবে না তবে এটাও সত‍্যি তাকেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সম্পর্কে জাহিদ আফসারী অর্নিতার চাচা হোন।
অর্নিতার বাবা আজাদ আফসারী বড় এবং জাহিদ আফসারী ছোট ভাই। আজাদ আফসারী একজন সৎ পুলিশ অফিসার পরিবার নিয়ে তিনি চট্টগ্রাম এ থাকতেন। সেখানকার পরিবেশ ছিল প্রচন্ড উগ্র এবং উশৃঙ্খল। জানে আলম ছিলেন সেই এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা বলা চলে পুরোদস্তুর একজন গুন্ডা!
বড় বড় মন্ত্রীরাও তার ভয়ে তটস্থ থাকতো। কেউ তাকে নিয়ে ভয়ে কেইস বা মামলা মকাদ্দমায় জড়াতো না।
সেই জানে আলমের নামেই কেইস ফাইল করেছেন আজাদ সাহেব।
জানে আলম এ নিয়ে হুমকি দিলেও তিনি তার কথার খেলাপ করেননি।
সেইদিনই রাতের আধারে তার স্ত্রীকে তার বাড়িতেই জানে আলম এ তার সহযোগীরা গণধর্ষণ করে এবং সেখানেই তাকে হত‍্যা করে মেরেফেলে।
ছোট্ট অর্নিতা তখন চার বছরের। তার মায়ের সাথে কি হচ্ছে সে না বুঝলেও এটা ঠিকই বুঝেছিল সেদিন তার মায়ের সাথে খুব খারাপ কিছু হচ্ছে।
অর্নিতার মা যখন চিৎকার করে সাহায‍্য চেয়েছিল তখন কেউ তার মায়ের পাশে আসেনি।
অর্নিতার চোখে এখনো ভাসছে তার মায়ের আর্তনাদ।
সেদিন রাতে যখন অর্নিতাদের বাড়িতে ঐ লোকগুলো আসে তখনই অর্নিতার মা তাকে একটি রুমের বারান্দায় দরজা বন্ধ করে গিয়েছিল। তারপর আবার বারান্দার সঙ্গে সংযুক্ত রুমটিকে ও তিনি বন্ধ করে ফেলেছিলেন।
হয়তো নিজের সর্বনাশের কথা আগেই বুঝে গিয়েছিলেন।
অর্নিতার বাবা রাতের ডিউটি করে বাড়িতে ফিরে এসে স্ত্রী আর মেয়েকে খুজেঁ পাননি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনিও হয়েযান লাপাত্তা!
অর্নিতার মায়ের লাশ খাল থেকে উঠানোর পর পরেরদিন আজাদ সাহেবের লাশ ও পাওয়া যায় সেই খালেই।
জাহিদ আফসারী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে সেদিন অর্নিতাকে সেই রুম থেকে বের করে আনেন।
ছোট্ট অর্নিতা সবাইকে ছেড়ে চাচার কোলে উঠে পরে।
জাহিদ ও তার ভাই ও ভাবীর শেষ সম্বলকে সেদিন বুকের মাঝে আগলিয়ে নিয়েছিলেন।
অর্নিতাকে অনেকে দেখে মুখ ছিটকাতো কারন তার মা ধর্ষিতা! ছোট্ট অর্নিতা তখন অনেক ভেঙ্গে পরতো। তখন তার ছায়া হয়ে পাশে দাড়িয়ে ছিল তারই চাচা জাহিদ আফসারী।
নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করে তুলেছিলেন তাকে।

এইদিকে……

চব্বিশ ঘন্টা পাড় হওয়ার পরই আজ অরুপকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে।
অরুপের কিছুটা রেসপন্স পাওয়া গিয়েছে।
ডাক্তারেরা তাকে নিয়ে আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
অর্নিতা অরুপকে দেখতে এসেছে আজ অরুপ কিছুক্ষণ আগেই চোখ খুলেছে। কথা বলতে না পারলেও সবার দিকে তাকিয়ে থাকে। খুব কষ্ট হচ্ছে তার কথা বলতে।
অর্নিতা তার পাশেই দাড়িয়ে আছে।

অর্নিতা -খুব কি কষ্ট হচ্ছে আপনার অরুপ?

অরুপ মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো তার কষ্ট হচ্ছে।

অর্নিতা- ঠিক হয়ে যাবেন আপনি, একটু সময় লাগবে।
আপনি সুস্থ হোন আমরা আবার ও একসাথে কাজ করবো।

অরুপ – একটা মুচকি হাসি দিয়ে দিল।

অর্নিতাও তার সাথে হেসে উঠলো। অরুপ অর্নিতার সঙ্গে কথা বলেই তার মা বাবার দিকে একবার তাকালো।
অর্নিতা তা বুঝতে পেরে তার হাতের মুঠোয় নিজের হাত নিয়ে বলে উঠলো-

চিন্তা করবেন না সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনি সুস্থ হলে আন্কেল আন্টি ও আর কান্না করবে না। তাদের একমাএ সন্তান আপনি! আপনার চিন্তায় তারা সারাদিন চিন্তিত।

অরুপ মন্ত্র মুগ্ধের মত চেয়ে আছে অর্নিতার দিকে। এই মেয়েকে সে সব সময় একটা কঠিন কঠিন ভাব নিয়ে চলতে দেখেছিল। এই মেয়েকেই সে সব সময় সবার সঙ্গে শক্ত ভাবে কথা বলতে দেখেছিল আর আজ এই মেয়েকেই সে এতটা নরম ভাবে কথা বলতে দেখল।

আসলেই নারী জাতি সব যায়গায় সব পরিস্থিতিতে নিজেকে নিখুঁত ভাবে মানিয়ে নিতে পারে। কথাটা একদম যুতসই।
অরুপ অর্নিতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকার কারনে অর্নিতা তাকে প্রশ্ন করল কি? ব‍্যাথা করছে?
অরুপ বুকের উপর ইশারা করে এখানে।

অর্নিতা ব‍্যাস্ত হয়ে- বুকে ব‍্যাথা করছে?
দেখি দেখি কি বেশি ব‍্যাথা করছে?

অরুপ অর্নিতাকে ব‍্যাস্ত হতে দেখে আবার মাথা নাড়িয়ে জানালো তেমন নয়।
অর্নিতা উঠতে যাবে অরুপ তার হাত ধরে বসতে ইশারা করল।

অর্নিতা বসে পরল আবার ও।
অর্নিতা কিছুক্ষণ বসে তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে বেরিয়ে পরল অফিসের জন‍্য।

অফিসে এসে ডাইরেক্টর স‍্যারের সঙ্গে কথা বলল অর্নিতা। অরুপ কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর এবং মহাজন অধিকারীর উপর কঠিন নজরদারি রেখে তাকে সেই এলাকায় আবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ডিলারদের মাধ‍্যমে যে করে হোক অর্নিতা জানে আলম চৌধুরীর খোঁজ বের করে ছাড়বেই

ডাইরেক্টর স‍্যার- ইনটারন‍্যাশনাল টেরোরিজম এর উপর আমাদের অফিসারদের নজর আছে। মনে পরেছে আমাদের একজন স্পেশাল ডিপার্টমেন্ট এর অফিসার আছেন যিনি আন্ডারওয়ার্লডের এইসব কাজে খুব দক্ষ।
আমি যতটুকু জানি সে সেখানকার সেই লোকদের সঙ্গে খুব সহজে মিশে গিয়েছে। তাকে এখনো কেউ চিনতে পারেনি। কারন সেও তোমার মত চাকরিতে জয়েন দেওয়ার পর নিজের পরিচয় লুকিয়ে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে।
এক্ষেত্রে সে খুব চৌকস এটা আমি বলতে পারি।
তুমি চাইলে আমি তোমাকে সব তথ‍্য বের করে দিতে সাহায‍্য করতে পারি।

অর্নিতা – আপনি আমাকে তার সাথে যোগাযোগ করতে সাহয‍্য করুন স‍্যার। আমি চাই আমার বাবা মায়ের খুনিকে নিজের হাতে ধরতে।
তাকে শাস্তি দিতে এবং তাকে দেশের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রয়োগ করতে।

ডাইরেক্টর স‍্যার – অবশ‍্যই তোমার ইচ্ছে পূরণ হবে।
আমি সেই আশাই করি তোমার থেকে।
অর্নিতা স‍্যারের সঙ্গে কথা বলেই বেরিয়েগেল বাহিরে।

চলবে।