পুনর্জন্ম পর্ব-১১

0
228

#পুনর্জন্ম🤍
#পর্ব_১১
#আফিয়া_আফরিন

মৃন্ময়ীর যখন জ্ঞান ফিরে আসলো, তখন কেবল সকাল। সে নিজেকে আবিষ্কার করলো তার ঘরের বিছানায়। প্রচন্ড মাথা ব্যথা নিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো।
ঠাওর করার চেষ্টা করলো, ঘটনাটা কি?
হঠাৎই চোখের সামনে ভেসে উঠলো শিশিরের অসহায় মুখখানি, ভেসে উঠলে শিশিরের আ’র্ত’না’দ। মনে পড়ে গেল শিশিরের বলা শেষ কথাটা ‘ভালো থেকো!’

মুহূর্তেই নিজেকে ছি’ন্ন বি’চ্ছি’ন্ন লাগলো। মনে হচ্ছে নিজের অস্তিত্ব বুঝি খো’য়া গেছে। কেমন জানি লাগছে? মাথার মধ্যে শিশিরের বলা কথাগুলো যেন নৃ’ত্য করে বেড়াচ্ছে।

এটা কি একটা স্বপ্ন হতে পারে না? দুঃস্বপ্ন! ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই সেই স্বপ্নের কোন অস্তি’ত্ব পাওয়া যাবে না। কিন্তু এমনটা তো হলো না। এটাই বাস্তব যে, শিশির আর নেই।

তখনই ঘরে বিনীতার আগমন ঘটে। তিনি মৃন্ময়ী কে দেখে অবাক হয়ে বললেন, ‘তোর জ্ঞান ফিরেছে মা? পুরো একটা দিন পর তোর জ্ঞান ফিরলো। কেমন আছিস বল? ঠিক আছিস তো মা?’

মৃন্ময়ীর গলা ভেঙ্গে আসছিলো। সে নিজের ভালোবাসা বাঁচাতে পারলো না। চোখের সামনে নিমিষেই হয়ে গেল জল’জ্যা’ন্ত তা’জা মানুষটা।
মৃন্ময়ী নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। মাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো হাউমাউ করে কেঁদে ফেললো। কি গগন’বিদারী সে কান্না, কি তার আহাজারি! হঠাৎ শুনলে মনে হবে এ কান্নার যেন মানুষের মত প্রাণ আছে।
.
.
.
মৃন্ময়ী যখন অনুপম শিশিরের কথা বলেছিলো, তখনই অনুপম বুঝেছিল কিছু একটা গন্ড’গোল হয়েছে। ছুটে গিয়েছিল সাথে সাথে ওই পৌড়বাড়িতে। গিয়ে শিশিরকে মৃ’ত অবস্থায় আবিষ্কার করে। তারপর ওর মা বাবা সহ, গ্রামের মানুষজনকে খবর পাঠায়। আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে এসে লা’শ নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় তাকে দা’ফন করা হয়। মৃন্ময়ী তখনো অজ্ঞা’ন। ডাক্তার বলে গেছে, ‘ব্রেইনে প্রেসার পড়েছে। একটু রেস্ট এর দরকার।’
তারপর তিনি কিছু ওষুধ পত্র লিখে দিয়ে চলে গেলেন।

পুলিশ আবার তদন্ত শুরু করেছে। শিশিরের সম্পর্কে লোকজনের কাছে খবর নিয়েছে। ইন্সপেক্টর অনিন্দিতা রায় যতটুকু বুঝলেন, তাতে এই ছেলেকে খু’ন করার পেছনে কারণ কি? এতো খু’ন হওয়ার মতো ছেলে না।

মৃন্ময়ী যেহেতু খু’নের সময় ওখানে উপস্থিত ছিল, মৃন্ময়ীর সাথে তারা কথা বলতে চাইলো। কিন্তু সে তো অজ্ঞান ছিল। অনিন্দিতা রায় বলে গেছেন, ‘জ্ঞান ফেরা মাত্র যেন তাকে খবর দেওয়া হয়।’
.
.
.
দুপুরের কিছুক্ষণ আগে ইন্সপেক্টর এলেন মৃন্ময়ীদের বাসায়। যদিও মৃন্ময়ীর মানসিক অবস্থা ভালো নয়।
অনিন্দিতা রায় একা আসেন নাই। সাথে অনুপম, রাকিব এবং তাওহীদ আরো অফিসাররাও ছিল।
অনুপম সাক্ষী দিয়েছে, ‘এই কাজের সাথে তাওহীদ কোনো না কোনোভাবে জড়িত। তাওহীদের সাথে অনেকেরই অনেক ধরনের ঝামেলা আছে। তার কোন না কোন একটার কারণে, সেই শিশিরকে খু’ন করেছে।’

পুলিশ অনুপমের কথাটা একেবারে ফেলে দেয় নাই। তাওহীদ এর বিরুদ্ধে তারা কিছু প্রমাণ পেয়েছে। যা থেকে একটু হলেও ধারণা করা যায়, তাওহীদ এই সবে জড়িত।
তাই আজকে মৃন্ময়ীর সামনেই তাওহিদকে হাজির করেছে।
.
.
শিশিরকে মা’রার সময়, তাওহীদের মাথায় এই কথা ঘুণাক্ষরেও আসে নাই; মৃন্ময়ী তাদের ব্যাপারে সাক্ষী দিতে পারে।
সে বুঝে গিয়েছিলো, এইবার তার শা’স্তি নিশ্চিত। যথেষ্ট ভয়ে ভয়ে আছে। এই ব্যাপারে তো সিওর, মৃন্ময়ী সত্যি কথাটাই বলবে।

জমিদার সাহেব মৃন্ময়ীর কথা শোনা মাত্রই, তাওহীদ কে দুই গালে দুটো থাপ্পড় ও দিয়েছেন। ছেলেদের এই বোকামির কারণে এখন, সব জারিজুরি ফাঁ’স হবে।
.
.
.
ইন্সপেক্টর অনিন্দিতা রায় শান্ত কন্ঠে মৃন্ময়ী কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেমন আছো এখন?’

মৃন্ময়ী কাঠকণ্ঠে জবাব দিল, ‘ভালো।’

‘গুড গার্ল! আচ্ছা আমরা তোমাকে কিছু প্রশ্ন করব? আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে কি?’

‘বলুন।’

‘শিশিরের সাথে তোমার সম্পর্ক কিরকম ছিল?’

‘আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসতাম।’

‘শিশিরের মৃ’ত্যুর সময় কি তুমি এখানে উপস্থিত ছিলে?’

‘হু।’

‘আচ্ছা এটা বলো তো কে ওকে মেরেছে?’

মৃন্ময়ী চুপ করে রইলো। জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না।

ইন্সপেক্টর আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোনরকম ভয় পাওয়ার দরকার নেই। আমরা আছি তো। তুমি বলতো দেখি। তাওহীদ কি এসবের সাথে কোন ভাবে জড়িত?’

মৃন্ময়ী একবার তাকালো তার তাওহীদ এর দিকে। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে সে।

মৃন্ময়ী বললো, ‘খু’নি কে সেটা বের করার দায়িত্ব আপনাদের। কে খু’ন করেছে আমি দেখি নাই।’

মৃন্ময়ীর কথা শুনে তাওহীদ এর মাথায় যেন বাজ পড়লো। সে অবাক বিষ্ময় নিয়ে মৃন্ময়ীর দিকে তাকালো।
তাওহীদ যতটা না অবাক হয়েছে, তারচেয়ে বেশি অবাক বোধহয় হয়েছে অনুপম। তার ক্ষীণ ধারণা ছিল, এই কাজ তাওহীদ এর।

অনিন্দিতা বিদায় নেওয়ার আগে জানালো, খুব শীঘ্রই সে খু’নিকে ধরবে।
.
.
.
আর না, অনেক হয়েছে। তাওহীদ বেঁচে থাকলে, ময়ূরীর মতো মেয়েরা কখনোই শান্তি মত বাঁচতে পারবে না। কখনোই বিচার হবে না। তাওহীদ বেঁচে থাকলে, এইরকম হাজার হাজার শিশিরকে তার হাতে ম’রতে হবে। তাওহীদ বেঁচে থাকলে, অরুনিমার মতো নির্দোষ মেয়েরা বিনা কারণেই দোষী হবে।
মৃন্ময়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা করার তাকেই করতে হবে। এতে যা হয় হোক। তাওহিদকে খু’ন করে, যদি মৃন্ময়ীর ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলা লাগে তাও সে রাজি। এই কারণে সে পুলিশের কাছে সত্যিটা গোপন করে গেছে।

আজকেই হবে তাওহীদের জীবনের শেষ রাত।
.
.
বিনীতা এসে বসলেন মেয়ের পাশে। মৃন্ময়ীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। মৃন্ময়ী নির্বিকার ছিল। কিন্তু তার ভিতরে ভিতরে আগুন জ্বলছিল। কষ্ট হচ্ছে না এক ফোঁটাও। শুধু প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।
কান্না পাচ্ছে না একটুও। সে ঠান্ডা মাথায় ভাবছে, তাওহিদ কে কোথায় পাওয়া যাবে?
.
.
.
‘শোনো প্রণয়, একটা কথা বলতাম।’

‘কি কথা?’

‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাল আমার বাড়ি ফিরে যাব।’

প্রণয় বিস্ময় কাটিয়ে বলল, ‘সত্যি তুমি যাবে?’

‘হ্যাঁ যাবো। অন্তত ক্ষমা তো চেয়ে দেখতে পারি।’

‘অবশ্যই। কখন যাবে বল?’

‘খুব সকাল সকাল। গ্রামের মানুষজনের মুখোমুখি হতে ইচ্ছে করে না। সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমরা যাব।’

‘আচ্ছা ঠিক আছে।’
.
.
.
মৃন্ময়ী বাসা থেকে বেরিয়েছে। মোরগের কক কক শব্দ শোনা যাচ্ছে। র’ক্তবর্ণ চোখ নিয়ে আকাশের দিকে তাকালো। সকাল হয়ে আসছে। তাওহিদকে খুঁজতে হবে।
ওড়না কাঁধ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। পা চলছে না। তবুও মৃন্ময়ীকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তাওহীদ কে দেখতে পেলো। কার সাথে যেন কথা বলছে। যার সাথে কথা বলছে সে একটু আড়ালে থাকায় তাকে দেখা যাচ্ছে না।
মৃন্ময়ী তাওহীদকে মা’রার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল। যেহেতু, কেউ আছে তাই একটু আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালো।

দুইজনের কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে।
তাওহীদ বলছে, ‘তাহলে তুমিই সে।’

সামনে আগত ব্যক্তিটি বলল, ‘হ্যাঁ আমি। আমিই সেই ব্যক্তি। এবং আজ তোরও শেষ দিন। অনেক অন্যায়, অপরাধ করছিস। আর কোন মানুষকে তোর হাতে মরতে দেব না।’

‘কে তুমি?’

‘বলবো বলবো। আজ তো আমার পরিচয় তোকে দিবোই। তোকে তো জানাবোই, কেন তোকে মা’রবো আমি।’

ওদের কথাবার্তা শুনে মৃন্ময়ী অবাক হচ্ছে। সামনে আগত ব্যক্তিটা কে? তাকে পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না। কালো শার্ট, প্যান্ট এবং মুখোশে আবৃত।

ফের দুজনের কথাবার্তায় মন দিল মৃন্ময়ী।

তাওহিদ বলল, ‘আমাকে মা’রা কোন সহজ কথা নয়। কা’পুরুষের মতো লুকিয়ে না থেকে নিজের পরিচয় দে।’

ছদ্মবেশী কাঁপিয়ে হাসি দিলো। বলল, ‘আমাকে দেখলে বিশ্বাস করতে পারবি তো?’

‘আরে আগে মুখটা তো দেখা ভাই।’

‘সবুরে মেওয়া ফলে। অপেক্ষা কর।’

তাওহীদের তর সই ছিল না। সে এগিয়ে এল ছদ্মবেশীর দিকে। অত’র্কি’ত হামলা চালালো।
.
.
মৃন্ময়ী আগে পিছে কিছু না ভেবে এগিয়ে গেলো। হাতের কাছে একটা র’ড দেখতে পেল, সেটা নিয়েই পেছন থেকে তাওহীদের মাথায় বা’ড়ি দিলো।

তাওহীদ ছদ্নবেশীকে ছেড়ে পেছন দিকে তাকালো। দেখতে পেলো মৃন্ময়ী কে। এই সময় ওকে এখানে দেখে বেশ অবাক হলো। মৃন্ময়ী হাতের র’ডটা আরেকবার উপরে তুললো, তার আগেই তাওহীদ হাত ধরে ফেললো ওর। পিছন দিক থেকে গলায় একটা ছু’রি ঠেকিয়ে বললো, ‘তুমি আমার সাথে আসছো যুদ্ধ করতে? তোমার সাহস দেখে অবাক আমি।’

‘ছাড় আমায়। তোকে তো আজ আমি শেষ করবোই। হয় তোকে শেষ করবো, নয়তো নিজ হাতে নিজেকে শেষ করবো। তোর মত ন’র-প’শুর বাঁচার কোন অধিকার নাই। তোরা পারিস শুধু মানুষকে মা’রতে।’

‘বেশি তে’রিবে’রি করলে আজ তুইও শেষ। তোর শিশিরের মত তোকেও উপরে পাঠিয়ে দেবো।’

সেই ছা’য়া মানবটি শুধু দুজনের কথাগুলো শুনছিলো। কিছু বলছিলো না।

তাওহিদ যখন মৃন্ময়ীর সাথে কথা বলছিলো। তখন সে, তাওহিদের সামনে গিয়ে ওর হাত থেকে ছু’ড়িটা কেড়ে নিলো। মৃন্ময়ীর এক হাত টেনে নিয়ে পাশে দাঁড় করালো। মৃন্ময়ী অবাক হয়ে তাকালো। তার মনেও বারবার প্রশ্ন জাগছে, ‘এটা কে?’

তাওহীদ কিছু বোঝার আগেই, সেই ব্যক্তিটি ছু’রি দিয়ে তার হাতে একটা কো’প বসালো। চিরিৎ চিরিৎ করে র’ক্ত বের হতে লাগলো। তাওহিদ বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল।

মৃন্ময়ী কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘কে আপনি?’

সে কোন উত্তর দিল না। তাওহীদের সাথে আরেকবার তার বেশ ভালো ধরনের একটা হাতাহাতি হয়ে গেল। শব্দ টা বোধহয় তন্ময়ের কানে পৌঁছালো, তন্ময় তড়িঘড়ি করে এগিয়ে এলো।
এসে সেও অবাক। মৃন্ময়ী কিছুই বুঝতে পারছে না। কিন্তু সে ছদ্দবেশী পরিচয় জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
কে এই ব্যক্তি? কিসের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে চার চারটা খু’ন করলো এবং তাওহীদ কেও খু’ন করতে চায়।
.
.
ঠিক এই সময়ে অরুনিমা এবং প্রণয় আর শুদ্ধ ও গ্রামে প্রবেশ করছে। অরুনিমা খুশি খুশি মনেই আসছে। অনেকদিন পর বাবার সাথে দেখা হবে, ভাইয়ের সাথে দেখা হবে সরাসরি।

কিন্তু তাদের বাসায় যাওয়ার রাস্তা জমিদার বাড়ির সামনে দিয়েই। জমিদার বাড়ির সামনে আসতেই থমকে দাঁড়ালো। ওই তো দেখা যাচ্ছে একটা মেয়েকে। মৃন্ময়ী?
হ্যাঁ মৃন্ময়ীই তো। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ওখানে কি করছে মেয়েটা? প্রণয়কে থামিয়ে বলল, ‘চলো তো আমার সাথে ওই দিকে।’

তারা তিনজন এখানে আসতেই অবাক। শুধু মৃন্ময়ী না, অনেকদিন পর তাওহীদ কেও দেখল অরুনিমা।

মৃন্ময়ী কে পেছন থেকে ডাক দিলো, ‘মৃন্ময়ী!’

মৃন্ময়ী সহ সবাই পেছন ফিরে তাকালো। মৃন্ময়ী এতটাই অবাক হয়েছে যে, সে কথা বলার ভাষা পুরোপুরি ভাবে হারিয়ে ফেলেছে।

তাওহীক অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এটা কি কোন ভ্র’ম? অরুনিমা কি বেঁচে আছে? তার ধারণা ছিল অরুনিমা মারা গেছে।

এদিকে অরুনিমা কে দেখে, সেই ছদ্মবেশী মুখোশধারী ও নিজের মুখোশ টা খুলে ফেলেছে। মৃন্ময়ী শুধুমাত্র একবার তাকালো সেই দিকে।
মৃন্ময়ী শুধুমাত্র একবার তাকালো সেই দিকে। অরুনিমাকে দেখে সে যতটা না অবাক হয়েছে, তার চেয়েও বেশি অবাক হয়েছে মুখোশধারী ব্যক্তিকে দেখে।

শুধু মৃন্ময়ী নয়, তাওহীদ/ তন্ময় সবাই অবাক হয়েছে।

মৃন্ময়ীর মুখ থেকে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে এলো, ‘অয়ন ভাইয়া!’

অরুনিমা তাকালো সেই দিকে। ঘটনা সে তেমন কিছুই জানেনা। তাই অবাক হয়ে চেয়ে রইলো অয়নের দিকে।

ব্যাস, অনেক অনেক দিন পর মুখোমুখি হলো একই শে’কলে বাঁধা তিনটি মানুষ। তাওহীদ এবং অরুনিমা, অয়ন এবং অরুনিমা!
.
.
.
.
.

চলবে…….

[কার্টেসি ছাড়া কপি করা নিষেধ]