পূর্ণতা নাকি শূন্যতা ২ পর্ব-০৮

0
299

#পূর্ণতা_নাকি_শূন্যতা
#সিজন_২
#রেজওয়ানা_রমা
#পর্ব_০৮

সিদ্ধাত ভাইয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি দৌড়ে নিজের রুমে চলে আসি। এক মূহুর্তেও ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না। সিদ্ধাত ভাইয়াও পিছনে পিছনে আসে।

– ঈশা। ঈশা দাড়া

সিদ্ধাত ভাইয়ার কোনো কথায় কর্ণপাত না করেই রুমে চলে আসি। রুমের বন্ধ করে অনবরত কেদেই যাচ্ছি। বুকের যেন ফাকা ফাকা লাগছে। এতো কষ্ট হচ্ছে যা প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই। সিদ্ধাত ভাইয়া দরজা ধাক্কাচ্ছে,

– ঈশা আমার কথা শোন। তুই ভুল ভাবছিস পাগলি। দরজাটা খোল আমার কথাটা শোন। প্লিজ ঈশা।
– তুমি যাও সিদ্ধাত ভাইয়া আমাকে একটু একা থাকতে দাও প্লিজ।
– ঈশা আমার কথা তো শুনবি
– কি বলবে তুমি? কি শোনার আছে? সবই তো নিজেই দেখলাম সিদ্ধাত ভাইয়া
– তুই দরজা খোল। ভূমি কে সেটা তো জানবি নাকি
– কে আবার তোমার আরেকটা বউ
– ঈশা!! না জেনে উল্টো পাল্টা বলবি না। ভূমি আমার ফ্রেন্ড। জাস্ট ফ্রেন্ড আদার ওয়াইস আর কিচ্ছু না
– জাস্ট ফ্রেন্ড হয়ে জড়িয়ে ধরে কি করে সিদ্ধাত ভাইয়া?
– তুই দরজা খোল। লাস্ট বার বলছি। নয়তো…
– নয়তো কি?

দরজা খুলতে খুলতে কথা টা বললাম। আর দরজা খুলতেই সিদ্ধাত ভাইয়া হন্তদন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করে বলে,

– কি সমস্যা তোর?
– তোমাকে অন্য কারো সাথে দেখাতেই আমার সমস্যা
– কেন? তোর এতো জ্বলে কেন? তুই তো আমাকে ভালোবাসিস না
– বাসি না তো
– তাহলে আমি যার সাথে ইচ্ছা যা ইচ্ছা করি তোর কি?
– আমার কিছুই না।

কথা বলেই সিদ্ধাত ভাইয়ার সামনে থেকে চলে যাবো তখনই সিদ্ধাত ভাইয়া হাত ধরে বলে,

– তাহলে এতো রিয়েক্ট কেন করছিস?
– হাত টা ছাড়ো
– হাত কি ছাড়ার জন্য ধরেছি?
– যাও না তোমার প্রিয়া তোমার জন্য অপেক্ষা করছে
– জানি তো তাই তো প্রিয়ার কাছেই এসেছি

বুকে টেনে নিয়ে কথাটা বলে সিদ্ধাত ভাইয়া। সিদ্ধাত ভাইয়ার বুকে অদ্ভুত কিছু আছে। নিমিষেই আমার সব রাগ, অভিমান মিলিয়ে গেল। আমি সিদ্ধাত ভাইয়ার বুকে মুখ গুজে দিতেই সিদ্ধাত ভাইয়া আমার কপালে ঠোঁট ছুইয়ে বলে,

– রান্নাটা কিন্তু আমার ভীষন পছন্দ হয়েছে।
– সত্যি?
– হুম।
-তাহলে নিচে বললে না কেন?
– নিচে বলার চেয়ে তোকে আলাদা করে বলা টা বেটার মনে হলো

সিদ্ধাত ভাইয়ার কথায় মুচকি হেসে দিলাম। উনার বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিলাম। আর উনি আমাকে দুহাতে জড়িয়ে নিলেন। পরম শান্তুর জায়গা। পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।

______________

এখন বাড়িতে আমাদের বিয়ে তোড়জোড় চলছে। সিদ্ধাত ভাইয়ার এক্সাম শেষ। তাই এই সপ্তাহে শুক্রবার আমাদের বিয়ের দিন ঠিক করেছে। মন টা এখন আমার অনেক ভালো। একদম ফুরফুরা। বুকের ওপর যে পাথর চাপা কষ্টটা ছিল সেটা আর নেই। এই মেয়েটা মানে ভূমি সিদ্ধাত ভাইয়ার ফ্রেন্ড। আমাদের বিয়ে উপলক্ষ্যে এসেছে। তবুও ভূমি আপুকে আমার একটুও ভালো লাগে না। সবসময় সিদ্ধাত সিদ্ধাত করে। যা আমার একদম পছন্দ না। এমনিতে ভালো তবে সিদ্ধাত সিদ্ধাত করার জন্য অসহ্য লাগে। তবে যাই হোক সিদ্ধাত ভাইয়াকে নিজের করে পাবো এরচেয়ে সুখের আর কি হতে পারে। আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে চলছে। আমি আসলেই ভাগ্যবতী।
দুদিন পরই বিয়ে। আজ এনগেজমেন্ট, কাল মেহেন্দি সংগীত গায়ে হলুদ, পরশু বিয়ে। তাই নোভাও চলে এসেছে। সময় কত দ্রুত যায়। সন্ধ্যায় আমি রেডি হচ্ছি। আমি রেডি হচ্ছি বললে ভুল হবে আমাকে রেডি করছে পার্লরের লোক। সেই কখন থেকে সাজাচ্ছে। আজকে নিশ্চিত আমাকে ভূতনি সাজাবে। প্রায় তিন ঘন্টা পর আমাকে নিয়ে নিচে যাচ্ছে নোভা আর ভূমি আপু। সিড়িতে নামবো তখনই আমার চোখ যায় সদর দরজার দিকে। ওই মূহুর্তে কেউ একজন আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করছে। নীল সুট বুট পরা। বেশ হ্যান্ডসাম। হাতে একটা দামি ওয়াচ। সে আমাকে সিড়িতে নামতে দেখে অপলক ভাবে তাকিয়ে রয়। আমিও দেখছি তবে আগে কখনও দেখেছি বলে মনে হয় না।আমার ধ্যান ভাঙে যখন সিদ্ধাত ভাইয়া গিয়ে ওই ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে। সে তখন আমার দিক থেকে চোখ নামিয়ে নেয়। অতঃপর আমিও নিচে চলে যাই।

নিচের অনুষ্ঠানে খেয়াল করলাম ছেলেটা বা বার আমার দিকে তাকাচ্ছে। খুব আনইজি ফিল হচ্ছে। কিছুক্ষন পর সিদ্ধাত ভাইয়া সেই ছেলেটাকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,

সিদ্ধাত: ঈশা। ও আমার ফ্রেন্ড অর্থ। আর অর্থ এই হলো আমার সেই পরী। আমার পৃথিবী, আমার ভালোবাসা।
অর্থ: অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু কখনও কল্পণাও করি নি পরীটা যে এতো সুন্দর হবে
সিদ্ধাত: ওই ওই একটু সাবধান। ওটা আমার নজর দিলে চোখ…
অর্থ: তুলে নিবি তাই তো? তোর পরী বাট আমার ভাবীকে একটু কি সুন্দর ও বলতে পারবো না?
সিদ্ধাত: হ্যাঁ অবশ্যই।

উনাদের দুজনের কথায় আমি ফিক করে হেসে দিলাম। তখনই ভূমি আপু এসে বলে,

ভূমি: আরে তোমারা এখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেবে নাকি ওদিকে যাবে। সবাই ওয়েট করছে ওদের জন্য।

অর্থ: আমিও তো ওয়েট করছি

সিদ্ধাত: কিসের জন্য?

অর্থ: ওতো সতো জানতে হবে না। চল ওদিকে যাই।

অর্থ ভাইয়া কিছু একটা লুকিয়ে গেল। অর্থ ভাইয়ার তাকানো টা আমার একটুও ভালো লাগছে না। কেমন যেন অসস্থি লাগছে। সিদ্ধাত ভাইয়া আর অর্থ ভাইয়া সোফায় বসে পড়ে। ভূমি আপুও আমাকে নিয়ে সিদ্ধাত ভাইয়ার পাশে বসিয়ে দেয়। আমি বসা মাত্রই সিদ্ধাত ভাইয়া কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

– আই লাভ ইউ

সিদ্ধাত ভাইয়ার এমন কথায় আমি মুচকি হেসে দিলাম। একটু আড় চোখে তাকাতেই চোখ টিপ মারে আর আমি সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নেই।
কিছুক্ষন পর আম্মু এসে দুটি আংটি দিয়ে দুজনের হাতে দিয়ে বলে,

– নাও এবার শুভ কাজ টা সেরে ফেলো দেখি।

সিদ্ধাত ভাইয়া আংটিটা নিয়ে আমার হাতে পরিয়ে দেয়। অতঃপর সবার সামনে আমার হাতে ঠোঁট ছুইয়ে দেয়। সবাই হেসে উঠে সিদ্ধাত ভাইয়ার এমন কান্ডে। আর আমি ভীষন লজ্জা পেলাম। সিদ্ধাত ভাইয়া তখন হাত এগিয়ে দিয়ে বলে,

– নে পরিয়ে দে

আমি মুচকি হেসে আংটি পরিয়ে দিলাম। বাড়ির সবাই অনেক খুশি। আমাদেরকে একটু আলাদা সময় দিতে আম্মু বলে,

– আচ্ছা বুবু আমরা এখন যাই ওরা একটু আনন্দ করুক।
– হ্যাঁ হ্যাঁ চল মায়া

মায়া বেগম সবাইকে নিয়ে চলে যায়। আর যাওয়া মাত্রই সিদ্ধাত ঈশার কোমর জড়িয়ে এক হ্যাচকা টানে কাছে টেনে নেয়। যা দেখে এদিকে কোনো একজন রাগে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়। সিদ্ধাত ঈশার দিকে একটু ঝুকে বলে,

– এতো সুন্দর কেন তুই? আমি তো পাগল হয়ে যাবো।
– আমি সুন্দর তাই আমাকে ভালোবাসো?
– আমি ভালোবাসি তাই তুই সুন্দর

সিদ্ধাতের এমন কথায় সবাই জোরে চিল্লিয়ে উঠে। আর সিদ্ধাত মূহুর্তেই ঈশাকে ছেড়ে দেয়। ঈশা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে নেয়।

◆◆ নিচের অনুষ্ঠান শেষ করে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম। বিছানায় হেলান দিতেই একট আননোন নাম্বার থেকে কল আসে। রিসিভ করে বললাম,

– কে?
– তোমার সাথে কিছু কথা আছে
– আমার সাথে?
– জ্বী তোমার সাথে।
– কিন্তু কে আপনি?
– আমি তোমার কে সেটা পরে জানবে তবে এটা জেনে রাখো তুমি আমার ভালোবাসা
– মানে
– আমি তোমাকে ভালোবাসি। তোমাকে নিজের করতে চাই
– আরে কে আপনি? কি সব যা তা বলছেন
– আমাকে তুমি চিনবে না। তোমাকে বিয়ে করতে চাই এটাই শুধু জেনে রাখো
– এক্সকিউজ মি। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আর আমি একজনকে ভালোবাসি। আর তার সাথেই আমার বিয়ে আগামী পরশু। আপনিও ইনভাইটেড। চলে আসবেন কেমন?
– সেটা তো আমি জানি ঈশুপাখি। তবে এই বিয়ে হবে না
– হবে না মানে?
– হবে না মানে হবে না। আমি হতে দেবো না
– বিয়ে তো হবেই। আপনি যতই যাই করুন না কেন বিয়ে টা হবেই
– যদি নিজের ভালোবাসার মানুষ কে বাচাতে চাও তাহলে বিয়ে টা করো না
– মানে? কি বলতে চাইছেন আপনি?
– সব যদি আমি বলে দেই তাহলে তুমি খুজবে কি?

বলেই অপর প্রান্ত থেকে ফোন কেটে যায়। আর ঈশা চিন্তিত হয়ে পড়ে। কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। ছুটে সিদ্ধাতের রুমে চলে যায়। আর সিদ্ধাতের রুমে প্রবেশ করতেই ভূমিকে দেখে দাড়িয়ে যায়। ভূমিকে সিদ্ধাতের রুমে সহ্য করতে পারে না সে। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে যেন। নিজের রাগ সামলিয়ে বলে,

– আমার সিদ্ধাত ভাইয়ার সাথে কিছু কথা আছে
সিদ্ধাত: হ্যাঁ তো বল না
ঈশা: বাইরের কারো সামনে বলবো না। তোমার সাথে একা আমার কিছু কথা আছে
ভূমি: এক্সকিউজ মি ঈশা। তুমি কি বাইরের লোক বলতে আমাকে বোঝাচ্ছো?
ঈশা: সিদ্ধাত ভাইয়া আর আমি ব্যতিত আপনি ছাড়া তো আর কেউ নেই।
ভূমি: ঈশা! তুমি বোধহয় ভুলে যাচ্ছো তুমি কার সাথে কথা বলছো। তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে বাইরের লোক বলার? হাউ ডেয়ার ইউ?
সিদ্ধাত: ভূমি! ঈশা নয় ভুলে যাচ্ছিস তুই কার সাথে কথা বলছিস। নিজের লিমিটের ভিতর থাক।
ভূমি: সিদ্ধাত তুই এই মেয়েটার জন্য…
সিদ্ধাত : কিসের এই মেয়েটা? এই মেয়ে টা কি? কি ধরনের ল্যাগুয়েজ এগুলো ভূমি? ভদ্রতা নেই? ঈশা আমার ভালোবাসা। আমার হবু স্ত্রী। সম্মান দিয়ে কথা বলবি নেক্সট টাইম থেকে। যা এখান থেকে
ভূমি: সিদ্ধাত…
সিদ্ধাত: যেতে বলেছি আমি

ভূমি আর কোনো কথা বলে বেরিয়ে যায়। আর ভূমি চলে যাওয়ার সাথে সাথে ঈশা ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়। ভূমি পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে একবার। চরম অপমানিত হয় সে। অতঃপর সোজা গেস্ট রুমে চলে যায়। আর দরজা লাগিয়েই ঈশা ছুটে গিয়ে সিদ্ধাতের গলা জড়িয়ে ধরে। ঈশা নিজ থেকে সিদ্ধাতের কাছে যাওয়ায় সিদ্ধাত যথেষ্ট অবাক হয়।

– ঈশা কি হয়েছে?
– সিদ্ধাত ভাইয়া আমি তোমাদের কাউকে হারাতে পারবো না।
– ঈশা! হঠাৎ এই কথা? কি হয়েছে

ঈশা সিদ্ধাত কে ছেড়ে দিয়ে ফোনের সব কথা খুলে বলে।

– ঈশা কারো কিচ্ছু হবে না। তুই ভয় পাস না। আমার কাছ থেকে তোকে কেউ আলাদা করতে পারবে না
– তোমাকে বিয়ে করলে তোমাদের ক্ষতি করবে বলেছে
– কিচ্ছু করতে পারবে না। এই বাড়ির ত্রিসীমানায় আসতে পারবে না। না তোকে ছুতে পারবে না আমার পরিবার কে। আমি আছি তো। কিচ্ছু হবে না।
– আমার খুব ভয় লাগে সিদ্ধাত ভাইয়া।
– আমি আছি তো পাগলি

ঈশাকে পরম আদরের সহিত বুকে জড়িয়ে নেয় সিদ্ধাত। ঈশা ছোট্ট বাচ্চার মত সিদ্ধাতের বুকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।

_____________

অপরদিকে সেই অচেনা লোকটি একটা অল্প বয়সী মেয়ের ছবি নিয়ে দেখছে।

– তোর মৃত্যুর প্রতিশোধ আমি নেবো বোন। আমি নেবো। ওই আয়ানকে বোঝাবো মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা কতটা কঠিন। তোর মৃত্যুর সংবাদে বাবা হার্ট অ‍্যাটাকে মারা যায়। আমাদের মাথার ওপর থেকে ছাদ সরে যায়। ব্যবসার লসের ওপর লস। পথে বসতে হয়। আর এই সব কিছু ওই আয়ান চৌধুরীর জন্য। ছাড়বো না আমি ওদের কে।

তখন রুমে অন্য কেউ প্রবেশ করে,

– মামা
– কি খবর এনেছো
– প্লান বি রেডি।
– সাবাশ
– সিদ্ধাত চৌধুরীকে হালকা ভাবে নেওয়া বোকামি হবে। আর ঈশা নিশ্চয় সিদ্ধাত কে বলে দিয়েছে। তাই প্লান বি অনুসারে কাজ করতে হবে।
– তাহলে আজকে থেকেই কাজ শুরু করে দাও
– তোমার গুনোধর ছেলে কই
– তোমারই তো ভাই খুজে দেখো কোথায় আছে।
– আচ্ছা আমি দেখছি।

______________

সকালে ঈশার ঘুম ভাঙে ফোন বাজার শব্দে। ঘুম ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করে,
– হ্যালো
-ঈশা
– কে?
-আরে আমি অয়ন
– হ্যাঁ অয়ন বল
– একটু দেখা করতে পারবি?
– হঠাৎ? তার আগে বল তুই এখনো আসিস নি কেন। কাল আমার বিয়ে আর তোর দেখাই মিলছে না
– তুই আয় একটু তোর সাথে যাবো। খুব দরকার ঈশা প্লিজ
– আচ্ছা ঠিক আছে
– আমি অ‍্যাড্রেস ট মেসেজ করছি
– ওকে

অয়ন ফোন কেটে দেয়। আর ঈশা বিছানা ছেড়ে ফ্রেস হয়ে নেয়। নোভা কে নিয়ে অয়নের দেওয়া অ‍্যাড্রেসে চলে যায়।

#চলবে