প্রতিশোধ পর্ব-০৫

0
112

#প্রতিশোধ
#শিখা
#পর্ব_৫

আমি গোসল খানায় পরেছিলাম,এরপর কোন রকম সরে বের হয়ে আসি..

আমি চিৎকার করে ছকিনাকে ডাকি,ছকিনা দৌড়ে এসে আমার এ অবস্থা দেখে শকড্ হয়ে যায়, এরপর তাড়াতাড়ি আমার হাত খুলে..

আমি কাপড় চেঞ্জ করে রুমের হিটার ওন করে কম্বল গায়ে দেই..

ছকিনাঃ আফা মনি আপনারে একটা কথা কইতাম(কাপা গলায়)

আমিঃ হ্যা বলো..

ছকিনা কিছু বলে না চুপ হয়ে থাকে, এমন লাগছিলো ভয় পাচ্ছে, এরপর কিছু না বলেই চলে গেছে

অপরদিকে শুভ একটা অন্ধকার রুমে বসা,সাথে লায়লাও বসা…

সামনে আরও একজন বসা ছিলো..

শুভঃ আপনার কথা মত আমি শিখাকে বিয়ে করছি,আমার টাকা আমাকে দেন আর লায়লার হাত ও আমায় দেন আমরা বিয়ে করতে চাই…

লায়লাঃ হ্যা প্লিজ

তখনি অন্ধকারের লোকটা বলে,..

অচেনাঃ আমি এতবছর ধরে অপেহ্ম করছি আর তোরা এতেই বিরক্ত…

লায়লাঃ আমার টাকা লাগবো..

শুভঃ হ্যা আমিও এমন নাজায়েজ, দুশ্চরিত্রা মেয়েকে আর দেখতে চাই না..

অচেনাঃ চুপ কর তোরা ১৭ বছর দীর্ঘ ১৭ টা বছর ওই মুখপুরী শিখারে সহ্য করতেছি,কিন্তু আমিই যে ওর জীবন শেষ করতেছি তা ও যানেই না(শয়তানি হাসি দিয়ে)

শুভঃ আসলেই এই গেমের সিকান্দার যে আপনি ওইটা যানতে যানতে শিখার জীবনই শেষ..

অচেনাঃ আজকেই কিছু করতে হবে..?

শুভঃ আমি কিছু করলে তো কেছ খেয়ে ফেলবো..

লায়লাঃ ও বেবী তুমি এত ভাবছো কেন বস ঠিকি কোন সহজ আইডিয়া বের করবে…

অপরদিকে _______

আমি রুমে বসে আছি আর ভাবছি এত আর সহ্য করা যায় না দূরে কোথাও চলে যাবো..

রাত তখন ১২ টার বেশী বাসায় আমি একা, ভয় করছিলো খুব…

রুমের দরজা খুলে শুভ ভিতরে ডুকে আমি ভয়ে ডুক গিলি,সম্পুর্ন মাতাল অবস্থায় ছিলো..

ঠিক তখনি লোড সেডিং হয়,নিমিষেই চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে যায়….

শুভ আমার পায়ের কাছে পরে ওর ঠোটটা আমার পায়ে লাগে,আমি তাড়াতাড়ি পা সরাই,রুমে বাহির থেকে হালকা আলো আসছিলো..

আমি খাট থেকে নেমে দূরে গিয়ে দাড়াই,হঠাৎ পিছন থেকে শুভ এসে জড়িয়ে ধরে, আমি ভয়ে জমে যাই..

শুভর ঠোঁট আমার ঘাড়ে ডুবায়,আমি কেপে উঠি,নিজেকে সরিয়ে দূরে গিয়ে দাড়াই..

কিন্তু শুভ টেনে আবার কাছে নেয়, আমি আবার নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি..

এই প্রথম শুভ আমার এতটা কাছে আসছে বিয়ের দুই মাস পার হয়ে গেছে, কিন্তু এতদিনের শুভ আমার হাত ধরে দেখিনি ভালোবেসে আজ এত আদর সোহাগ একটু বেশিই লাগছিলো আমার..

আমার এইসব ভাবনার মাঝেই শুভ তার ঠোঁট আমার ঠোটে ডোবায়, আমি ফ্রিজ হয়ে যাই চেষ্টা করও তো সরাতে পারছিলাম না শুভ গভীরভাবে আমাকে চুমু খেতে থাকে আমি নিজেও আস্তে আস্তে ওরদিকে দূর্বল হয়ে পড়ি

বিয়ের পর এই প্রথম শুভ আমার এত কাছে,
শুভ আমাকে তার এতটা কাছে নিয় গেছে যে আমি ভুলে যাই যে শুভ আমার উপর কতটা অত্যাচার করেছে হয়তো, মেয়ে মানুষ এমনই একটু আগলে রাখলে পরে সব ব্যথা ভুলে যায়

পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি শুধু আমার পাশে নেই তারপর আমি বসে বসে ব্লাশ করছিলাম..

শুভ আবার সেই লোকটার কাছে গেছে.

অচেনা: তোকে আমি বলছি শিখা কে মারতে, আর তুই কিনা ওকে এটা বলেই- শুভর গসলে একটা চড় বসিয়ে দেয়

শুভঃ আমিও অনেক নেশা করেছিলাম আর আমি এগুলো করতে পারছি না, আমার কেন জানি শিখাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে হয় না

অচেনাঃ ইচ্ছে হয় না এক রাতে এত মায়া। আর আমার মেয়ে যে এত বছর ধরে তোর সাথে আছে তাকে কি বলবি..?

শুভ: না আমি শুধু লায়লাকে ভালবাসি, আর আমার লায়লাকেই লাগবে..

চলবে..?